![]() |
![]() |
নির্বাচিত পোস্ট | লগইন | রেজিস্ট্রেশন করুন | রিফ্রেস |
"কখন ভূমিকম্প হইছে তার কিছুই জানি না আমি", "ভূমিকম্পের দেড় ঘণ্টা আগে আমি ঘুম থেকে উঠে পড়েছি আজ, কিন্তু তারপরও কিছুই অনুভব করিনি", "ঘুম থেকে উঠে ফেসবুকে এসে দেখছি দেশে ভূমিকম্প হয়ে গেছে"–– মঙ্গলবার সকালে ঢাকাসহ দেশের বিভিন্ন স্থানে ভূমিকম্প অনুভূত হওয়ার পর অনেকেই সামাজিক যোগাযোগ মাধ্যম ফেসবুকে এরকম প্রতিক্রিয়া জানিয়েছেন।
এদিন সকাল সাতটা পাঁচ মিনিটে যখন ভূমিকম্প অনুভূত হয়, তখন অনেকেই ঘুমে ছিলেন।
উৎপত্তিস্থল তিব্বতে এই ভূমিকম্পের মাত্রা ছিল রিখটার স্কেলে সাত দশমিক এক।
এবারের ভূমিকম্প বাংলাদেশে তেমন তীব্র ছিল না তবে আগেও বিভিন্ন সময় দেখা গেছে যে যখনই কোনো ভূমিকম্প হয়, তখনই কেউ না কেউ এই ধরনের কথাবার্তা লিখে ফেসবুকে পোস্ট করেন বা আলাপ-আলোচনা করেন।
একই সময়ে একই স্থানে থাকার পরও কেন সবাই ভূমিকম্প অনুভব করে না?
বিশেষজ্ঞরা বলছেন, এর মূল কারণ সংবেদনশীলতা ও ব্যক্তির অবস্থান। "আপনি কত তলায় আছেন, তার ওপর এটি নির্ভর করছে। আপনি যত উপরের দিকে থাকবেন, আপনার ঝাঁকুনিটা অনুভব করার সম্ভাবনা তত বেশি। যত নিচে থাকবেন, এটি অনুভব করার সম্ভাবনা তত কম," বিবিসি বাংলাকে বলছিলেন ঢাকা বিশ্ববিদ্যালয়ের ডিজাস্টার সায়েন্স অ্যান্ড ক্লাইমেট রেজিলিয়েন্স ডিপার্টমেন্টের সহযোগী অধ্যাপক ড. মো. শাখাওয়াত হোসেন।
তবে এখানে আরেকটি বিষয় হলো–– "কিছু কিছু মানুষ গতি খুব ভালো অনুভব করতে পারে।"
তার মতে, যারা ভূমিকম্প টের পায় না তাদের সেনসিটিভিটি বা সংবেদনশীলতা কম।
"অনেকে আছেন, যারা উচ্চতা নিতে পারেন না। ছাদ থেকে নিচে তাকাতে পারেন না। কারণ তারা উচ্চতার বিষয়ে খুবই সংবেদনশীল। মোশন বা গতির ক্ষেত্রেও তাই," বলছিলেন তিনি।
এক্ষেত্রে কেউ কেউ সংবেদনশীল হবেন, সেটি স্বাভাবিক হলেও "ভূমিকম্পের সময় ব্যক্তি কোন অবস্থায় ছিল, তার ওপরেও তার টের পাওয়া না পাওয়া নির্ভর করে," বলে জানান মি. হোসেন।
উদাহরণস্বরূপ তিনি মঙ্গলবার সকালের ভূমিকম্পের কথা উল্লেখ করেন।
"আজ যিনি বিশ্রাম নিচ্ছিলেন তার ভূমিকম্প টের পাওয়ার সম্ভাবনা বেশি। কেউ যদি চলাচলের মাঝে থাকে, তার টের পাওয়ার সম্ভাবনা কম। যিনি রান্না করছেন বা দৌঁড়াচ্ছেন তিনি টের না পেলেও যিনি চুপচাপ টেবিলে বসে কাজ করছেন, তার টের পাওয়ার সম্ভাবনা অনেক বেশি," বলছিলেন মি. হোসেন।
আবহাওয়া অধিদপ্তরের ভূমিকম্প পর্যবেক্ষণ ও গবেষণা কেন্দ্রের সহকারী আবহাওয়াবিদ ফারজানা সুলতানাও একই কথা জানান বিবিসি বাংলাকে।
তিনি জানাচ্ছিলেন যে সাধারণত খুব কম মাত্রার ভূমিকম্প হলেও তিনি তা অনুভব করেন। কিন্তু তার বাসা নয় তলায় হওয়া সত্ত্বেও আজকের ভূমিকম্প তিনি অনুভব করেননি।
"এর কারণ, তখন বাচ্চাকে স্কুলে পাঠানোর জন্য আমি নিজেই দৌঁড়াদৌড়ি করছি। আমি স্থির থাকলে আমি অবশ্যই অনুভব করতাম," বলেন এই আবহাওয়াবিদ।
"আজ নিচ তলায় দাঁড়িয়ে থেকেও কেউ কেউ ভূমিকম্প অনুভব করেছে। আট-নয় তলার অনেক বাসিন্দাও কিন্তু আবার ভালোই ঝাঁকুনি অনুভব করেছেন। মূলত, টিভি দেখছেন, তিনি হয়তো অনুভব করছেন। কিন্তু যিনি রান্না করছেন তিনি হয়তো ফিল করছেন না।"
তিনি আরও বলেন, যে এলাকায় ভূমিকম্প হয়েছে, সেখানবার সবাই-ই স্বাভাবিকভাবে এটি অনুভব করে। কিন্তু দূরের ক্ষেত্রে এটা হয়– কেউ টের পায়, কেউ পায় না। মোমেন্ট ম্যাগনিটিউড স্কেল নামেও ভূমিকম্প পরিমাপ করার একটি স্কেল আছে। এটি অনেক ক্ষেত্রে ভূমিকম্প মাপার যন্ত্র হিসেবে পরিচিত রিখটার স্কেলকে প্রতিস্থাপন করেছে।
ভূমিকম্পের মাত্রা বোঝাতে যে সংখ্যাটি দেয়া হয়, তা দিয়ে ফল্ট লাইন কতটুকু সরেছে এবং যে গতি এই সরানোর পেছনে কাজ করেছে সেটি নির্দেশ করে।
দুই দশমিক পাঁচ বা তার কম কম্পন সাধারণত অনুভূত হয় না, তবে যন্ত্রে ধরা পড়ে। পাঁচ মাত্রার কম্পন অনুভূত হয় এতে সামান্য ক্ষতি হতে পারে। সাত দশমিক আট মাত্রার ভূমিকম্প বেশ শক্তিশালী বলে ধরা হয় এবং এতে মারাত্মক ধরনের ক্ষতি সাধিত হয়।
আট মাত্রার বেশি কোনও ভূমিকম্প যে কোনো কিছুর ভয়াবহ ক্ষতি করতে পারে এবং এর কেন্দ্রে থাকা অবকাঠামোকে সম্পূর্ণভাবে ধ্বংস করতে পারে।
দুটি টেকটোনিক প্লেট বা সাবপ্লেট পরস্পরের দিকে অগ্রসর হলে একটি আরেকটির নিচে প্রবেশ করে। সাধারণত ভারি পাতটি হালকা পাতের নিচে প্রবেশ করে এবং যে সীমানা বরাবর প্রবেশ করে তাকে সাবডাকশন জোন বলে
বিজ্ঞানীরা তাদের গবেষণায় দেখেছেন, সাবডাকশন জোনে বড় আকারের দু'টো ভূমিকম্পের মাঝখানে সময়ের ব্যবধান হচ্ছে ৮০০ থেকে ৯০০ বছর।
বি বি সি
০৫ ই মার্চ, ২০২৫ সন্ধ্যা ৭:১২
শাহ আজিজ বলেছেন: ইউ এস জী সি র একদা ব্লগিয় বন্ধুর সাথে খুব ভাব জমিয়েছিলাম । চীনা ব্লগে সরকারী হাত লেগে বন্ধ হলে যোগাযোগ বিচ্ছিন্ন হল । ইনার মঙ্গোলিয়ায় মাটির প্রায় ১ কিলোমিটার নিচে একাধিক ফাটলে সেন্সর লাগানো আছে । ওটা মুভ করলে মাটির উপরে ছোট্ট ষ্টেশন তা ডিটেকট করে । একই সময় আমেরিকাতে একটি স্যাটেলাইট বার্তা ষ্টেশন একিভাবে ঐ ঝাকুনি নজরদারিতে আনে এবং সংশ্লিষ্ট রাষ্ট্রে অ্যালার্ম দেয় যাতে তাঁরা হুশিয়ার হয় , তাতে জানমালের ক্ষতি কম হয় । নেপালে একিভাবে সঙ্কেত দিলেও তাঁরা গুরুত্ব দেয়নি ফলাফল মৃত্যুর সংখ্যা বেড়ে গিয়েছিল ।
২| ০৫ ই মার্চ, ২০২৫ সন্ধ্যা ৬:৫২
কাজী আবু ইউসুফ (রিফাত) বলেছেন: বাংলাদেশে এখন ঘন ঘন ভূমিকম্প হচ্ছে! বিষয়টিকে আমলে নিয়ে ডিজাস্টার ম্যানেজমেন্ট প্ল্যান /ডিজাইন থাকা জরুরি, জনগণ বিশেষ করে ঢাকায় বসবাসরতদের সচেতনতা ও বেসিক প্রশিক্ষণ /জ্ঞান সরকারি /বেসরকারিভাবে নিশ্চিত করা উচিত বলে মনে করি।
০৫ ই মার্চ, ২০২৫ সন্ধ্যা ৭:১৭
শাহ আজিজ বলেছেন: এই নজরদারি খুব ব্যয়বহুল বিষয় । আমেরিকাকে অনুরোধ করলে তাঁরা সাহায্য করবে ।
৩| ০৫ ই মার্চ, ২০২৫ সন্ধ্যা ৭:২৪
সৈয়দ কুতুব বলেছেন: এগুলো আমাদের পাপের ফসল
০৫ ই মার্চ, ২০২৫ সন্ধ্যা ৭:৩৫
শাহ আজিজ বলেছেন: নাহ সইয়েদ সাহেব , ভুকম্পন একটি স্বাভাবিক আচরন ।
৪| ০৫ ই মার্চ, ২০২৫ সন্ধ্যা ৭:৪২
নিমো বলেছেন: @কুতুব, আল্লাহও দ্বিতীয় প্রজাতন্ত্র চায়, এজন্যই এত ঘন ঘন ভূমিকম্প। বুলডোজারের খরচ লাগছে না। এটাতো ভালো খবর। আলাদা করে ভাঙচুর করতে হবে না।
৫| ০৫ ই মার্চ, ২০২৫ রাত ৮:৫৭
অপলক বলেছেন: বেশ তথ্য সম্পৃদ্ধ পোষ্ট। ভাল লাগল...
৬| ০৬ ই মার্চ, ২০২৫ সকাল ৭:৩৫
কামাল১৮ বলেছেন: ঢাকা শহর একটা বারুদের স্তুপের উপর আছে।কবে যে পাস্ট হবে কেউ বলতে পারে না।পরিকল্পনাহীন একটা বিরাট জনবসতির শহর ঢাকা।
০৬ ই মার্চ, ২০২৫ সকাল ১১:২৪
শাহ আজিজ বলেছেন: না আমি তা মনে করিনা । বরং সিলেট ময়মনসিংহ বিপদজনক যেহেতু তা পাহাড়ি এলাকায় । পাহাড়ি এলাকায় ঝাকুনি বেশি হয় । ১৭০০ সালে সংঘটিত ভুমিকম্প দাউদকান্দি নদীর গতিপথ পরিবর্তন করেছিল । ঢাকায় এখন নির্মাণ প্রক্রিয়া বেশ মজবুত ।
৭| ০৬ ই মার্চ, ২০২৫ সকাল ১১:০১
রাজীব নুর বলেছেন: আমি ভূমিকম্পে মরতে চাই না।
০৬ ই মার্চ, ২০২৫ সকাল ১১:১৮
শাহ আজিজ বলেছেন: মাঠে তাবু খাটাইয়া বসবাসের অভ্যাস করো ।
৮| ০৭ ই মার্চ, ২০২৫ দুপুর ১২:২৫
রাজীব নুর বলেছেন: লেখক বলেছেন: মাঠে তাবু খাটাইয়া বসবাসের অভ্যাস করো ।
টাবু যে খাটাবো সে নিরাপদ জায়গাও তো নাই।
©somewhere in net ltd.
১|
০৫ ই মার্চ, ২০২৫ সন্ধ্যা ৬:৫১
ধুলোপরা চিঠি বলেছেন:
ভুমিকম্পের কেন্দ্র যেদিন ঢাকায় হবে, সেদিন সবাই টের পাবেন, তি্ব্বত ১৩০০ কিলো দুরে।