নির্বাচিত পোস্ট | লগইন | রেজিস্ট্রেশন করুন | রিফ্রেস

চারুশিল্পী , লেখক

শাহ আজিজ

চারুশিল্পী , লেখক

শাহ আজিজ › বিস্তারিত পোস্টঃ

শাহ সাহেবের ডায়রি ।। ভয়ঙ্কর \'মহাপ্রলয়\'! আর কোনও মানুষ থাকবে না...!

০৩ রা মার্চ, ২০২৫ সন্ধ্যা ৭:৩০

বিজ্ঞানীরা সুপারকম্পিউটারের মাধ্যমে পৃথিবীর ভবিষ্যৎ নিয়ে গবেষণা করেছেন, যার ফলে উঠে এসেছে ভয়ঙ্কর এক তথ্য। গবেষণায় দেখা গিয়েছে, আগামী কিছু বছরের মধ্যেই পৃথিবীতে বেঁচে থাকা কঠিন হয়ে উঠতে পারে।এই ফলাফল দেখে অনেকেই মনে করছেন, হয়তো পৃথিবীর শেষ সময় ঘনিয়ে এসেছে। একদিন এমন এক দিন আসবে, যখন আর কোনও মানুষই জীবিত থাকবে না! কী ভাবে ঘটবে সেই ভয়ঙ্কর মহাপ্রলয়?সুপারকম্পিউটারের ভবিষ্যদ্বাণী: কবে ধ্বংস হবে পৃথিবী? ২০১২ সালকে আজও অনেকে ভুলতে পারেননি। সেই বছরই ছড়িয়ে পড়েছিল পৃথিবীর শেষ হয়ে যাওয়ার ভয়। বিভিন্ন রিপোর্টে দাবি করা হয়েছিল যে, ২১ ডিসেম্বরেই নাকি পৃথিবীর শেষ দিন হবে এবং এক ভয়াবহ বিপর্যয় ধেয়ে আসবে। কিছু প্রাচীন কাহিনি, ক্যালেন্ডার এবং বৈজ্ঞানিক গবেষণায় পৃথিবীর আয়ুষ্কাল এবং তার শেষ হওয়ার ইঙ্গিত দেওয়া হয়েছিল। কিন্তু এবার এক নতুন সুপারকম্পিউটারও ভবিষ্যদ্বাণী করেছে যে, পৃথিবীর শেষ খুব বেশি দূরে নয়!




একটি নতুন সুপারকম্পিউটার সিমুলেশন বিজ্ঞানীদের পৃথিবীর ভয়ংকর ভবিষ্যতের আভাস দিয়েছে। গবেষণায় দেখা গিয়েছে, আগামী ২৫ কোটি বছরের মধ্যে পৃথিবীর অবস্থা এতটাই শোচনীয় হয়ে উঠবে যে, মানুষের বেঁচে থাকা প্রায় অসম্ভব হয়ে পড়বে।

গবেষকরা আশঙ্কা করছেন, পৃথিবীর তাপমাত্রা যেভাবে বাড়ছে, তাতে ভবিষ্যতে বহু প্রজাতি, এমনকি মানুষও বিলুপ্ত হয়ে যেতে পারে। ভয়ঙ্কর দাবদাহ, অগ্ন্যুৎপাত এবং গ্রীনহাউস প্রভাবের কারণে পৃথিবী হয়ে উঠতে পারে প্রাণহীন এক গ্রহ।

এর ফলে এই অঞ্চলগুলোতে মানুষের পক্ষে বেঁচে থাকা কার্যত অসম্ভব হয়ে উঠবে। উচ্চ আর্দ্রতা, প্রচণ্ড গরম এবং প্রবল অগ্ন্যুৎপাতের কারণে এই সুপারকন্টিনেন্ট বসবাসের অযোগ্য হয়ে উঠবে।


গবেষণা বলছে, পৃথিবীতে অগ্ন্যুৎপাত বেড়ে যাওয়ার ফলে বায়ুমণ্ডলে কার্বন ডাই-অক্সাইডের মাত্রাও ভয়ানকভাবে বেড়ে যাবে, যা গ্রীনহাউস প্রভাবকে আরও তীব্র করবে। এছাড়া সূর্যের তীব্রতা আরও বাড়বে, যার ফলে গরম সহ্য করা অসম্ভব হয়ে উঠবে। গবেষণায় উঠে এসেছে, ভবিষ্যতে পৃথিবীর **৯২% অঞ্চল** মানুষের বসবাসের অনুপযোগী হয়ে পড়বে!
বিজ্ঞানীরা বলছেন, হয়তো কেবল মেরু এবং উপকূলীয় কিছু জায়গায় মানুষ টিকে থাকতে পারবে। আবহাওয়া বিজ্ঞানী ড. আলেকজান্ডার ফার্নসওর্থ এই পরিস্থিতিকে **"Triple Whammy"** বা 'তিনগুণ বিপর্যয়' বলেছেন। তিনি জানান, চরম তাপ, অত্যধিক আর্দ্রতা এবং ক্রমবর্ধমান অগ্ন্যুৎপাত একসঙ্গে মিলিত হয়ে পৃথিবীকে প্রায় বাসযোগ্যহীন করে তুলবে।
এই গবেষণাগুলি স্পষ্ট করে দিয়েছে যে, পৃথিবীর ভবিষ্যৎ একেবারেই অনিশ্চিত। তবে এটাও সত্যি যে, মানুষের কর্মকাণ্ডই ধীরে ধীরে আমাদের ধ্বংসের দিকে ঠেলে দিচ্ছে। যদিও এই ভয়ঙ্কর ঘটনা আমাদের জীবদ্দশায় ঘটবে না, তবুও জলবায়ু পরিবর্তনের ভয়াবহতা আমাদের সামনে স্পষ্ট হয়ে উঠছে। যদি এখনই সতর্ক না হওয়া যায়, তবে ভবিষ্যৎ প্রজন্মকে পৃথিবীতে বেঁচে থাকার জন্য চরম বিপদের মুখে পড়তে হবে।




News18 বাংলা



মন্তব্য ১১ টি রেটিং +০/-০

মন্তব্য (১১) মন্তব্য লিখুন

১| ০৩ রা মার্চ, ২০২৫ সন্ধ্যা ৭:৪১

ধুলোপরা চিঠি বলেছেন:



আমি ভাবছিলাম যে, আজকেই কিছু ঘটতে যাচ্ছে। সেহরিতে কি খাচ্ছেন?

২৫ কোটী বছর পরও যদি আমাদের গ্রহ ধ্বংস হয়, তা নিয়ে চিন্তিত হওয়ার কারণে নেই। মানব জাতি আগামী ৩ থেকে ৫ লাখ বছরের মাঝে নিশ্চিহ্ন হয়ে যাবে। সুতরাং আমাদের গ্রহের ধ্বংস কোন মানুষ দেখবে না।

০৩ রা মার্চ, ২০২৫ সন্ধ্যা ৭:৫৭

শাহ আজিজ বলেছেন: আমি জানি আমরা সাক্ষী হব না সেই দুঃসময়ের । তবে এরি মাঝে ছোট খাটো থ্রেট যাকে অবজ্ঞা করা যায়না ।

০৩ রা মার্চ, ২০২৫ সন্ধ্যা ৭:৫৯

শাহ আজিজ বলেছেন: গেলো ২৫ বছর স্ট্রোক এর কারনে রোজা রাখতে অক্ষম ।

২| ০৩ রা মার্চ, ২০২৫ রাত ৮:২৩

কামাল১৮ বলেছেন: ২৫ বছর আগে আমি বাইপাস করে স্ট্রোক করার হাত থেকে রক্ষা পাই।
পরিবর্তন হবেই।কোন কিছুই স্থায়ী নয়।

০৩ রা মার্চ, ২০২৫ রাত ৮:৪০

শাহ আজিজ বলেছেন: ধন্যবাদ ।

৩| ০৩ রা মার্চ, ২০২৫ রাত ৯:৩৬

ধুলোপরা চিঠি বলেছেন:



লেখক বলেছেন: গেলো ২৫ বছর স্ট্রোক এর কারনে রোজা রাখতে অক্ষম ।

-সাড়ে ৩ হাজার বছর আগে, ইহুদীরা মরুভুমিতে বাস করতো; খাবার যোগাড় করা মুশকিল ছিলো; তাই তারা কিছু খাবার সন্চয় করার জন্য রোজার চালু করেছিলো। আপনি তো সেই খাবারের সমস্যায় নেই?

০৪ ঠা মার্চ, ২০২৫ সকাল ৯:২৪

শাহ আজিজ বলেছেন: নিউরো সমস্যা , প্যানিক অ্যাটাক , ডায়াবেটিস সবই আছে ।

শেষের লাইনগুলো কোথায় পাব বললে পড়ে নিতাম ।

৪| ০৪ ঠা মার্চ, ২০২৫ সকাল ৮:৪৮

আলামিন১০৪ বলেছেন: মস্করা বাদ দিয়ে মৃত্যু চিন্তা করেন...মৃত্যু অমোঘ সত্য

০৪ ঠা মার্চ, ২০২৫ সকাল ৯:২৬

শাহ আজিজ বলেছেন: কেউ কি মস্করা করেছে এখানে ????

৫| ০৪ ঠা মার্চ, ২০২৫ সকাল ১০:৪৭

রাজীব নুর বলেছেন: মানুষ কত সীমাহীন পরিশ্রম করে পৃথিবীটাকে সাজিয়েছে। সেই কষ্টের পৃথিবী ধ্বংস হয়ে যাবে!! আহারে!!!

০৪ ঠা মার্চ, ২০২৫ দুপুর ১:১৪

শাহ আজিজ বলেছেন: এখানেই ঈশ্বর নিষ্ঠুর -------------------

আপনার মন্তব্য লিখুনঃ

মন্তব্য করতে লগ ইন করুন

আলোচিত ব্লগ


full version

©somewhere in net ltd.