নির্বাচিত পোস্ট | লগইন | রেজিস্ট্রেশন করুন | রিফ্রেস |
রক্তাক্ত মেহেদিকে ঢাকা মেডিকেল নেওয়া হলে দায়িত্বরত কর্তারা বলেন, উপর থেকে নির্দেশ দিয়েছে চিকিৎসার জন্য কাউকে রিসিভ করা যাবে না। অন্য কোথাও নিয়ে যান, নাহয় লাশের সাথে মর্গে ফেলে রাখেন, পরিবার আইস্যা খুঁজে নিয়ে যাবে।
৫ আগষ্ট ভোরে মেহেদির মা ফজর নামাজ পড়ে কুরআন শরীফ পড়তেছেন। তিনি শুনতে পান ড্রয়িংরুম থেকে টিভির শব্দ শোনা যাচ্ছে। উনি গিয়ে দেখেন, মেহেদি বিভিন্ন চ্যানেল পাল্টিয়ে খবর দেখতেছে। মা বলেন, এতো ভোরে টিভি না দেখে ঘুমাও কিছুক্ষণ, বাবা। মেহেদি মাকে বলে, ঘুমাবো না, আম্মু। মা তখন বলেন, কিছু খাবে? রেডি করে দিবো? মেহেদি মাথা নাড়িয়ে না-বোধক উত্তর দেয়। আম্মু রোজা রাখছি, কিছুক্ষণ ঘুমাই—এ কথা বলে মা তখন ঘুমাতে চলে যায়। মেহেদির বাবা তখন ফজর পড়ে হাঁটতে বের হয়েছিল।
কিছুক্ষণ পর বাসায় ফিরে বাবা মেহেদিকে বলেন, যাও বাইরে (দোকান) থেকে নাস্তা নিয়ে আসো। মেহেদি বলে, আজকে সকালে নাস্তা করব না। মা’র হাতে রসুনভর্তা দিয়ে ভাত খাব। মা বলে, শুধু রসুনভর্তা? সাথে ডিম ভেজে দিই?
( তার মায়ের হাতে রসুনভর্তা তার খুব পছন্দের ছিল)
মায়ের হাতে ভাত খেতে খেতে মেহেদি বলে, আম্মু তোমার কাছে একটা বিষয় লুকাইছি। মা কৌতুহলী হয়ে জানতে চায়, কী লুকাইছো!
মেহেদি হাসতে হাসতে বলে, আমি তোমাকে না জানিয়ে লুকিয়ে ২দিন আন্দোলনে গেছি। রাস্তায় ভাইয়াদের পানি-বিস্কুট খাওয়াইছি।
মেহেদি খেতে খেতে মাকে বুঝায়, আমাদের বয়সী কতজন রাস্তায় নামছে। মার খাচ্ছে। প্রতিবন্ধী ছেলেরা পর্যন্ত রাস্তায় নামতেছে, আমরা কিভাবে ঘরে বসে থাকি। বড় ভাইয়ারা ত আমাদের সবার অধিকারের জন্যই জীবন দিচ্ছে।
ছেলের কথায় মন গলে মায়ের। মা তখন বলেন, আজকে আমরা সবাই বের হবো। মেহেদির বড়বোন, মা এবং মেহেদি একসাথে বের হওয়ার পরিকল্পনা করেন। মেহেদির বড়বোনের কলেজ থেকে জানতে পারে সেখানে স্টুডেন্টরা অভিভাবকদেরও আহবান করছে যেতে। তারা পরিকল্পনা করে সেখানে যাবেন। এরমধ্যে মা বোরকা পড়ছেন, মেহেদি বলে মা একটু অপেক্ষা করো, আমার এক বন্ধু আছে ওকে নিয়ে আসি। আমরা একসাথে যাব। মা বলেন, ঠিক আছে। তাড়াতাড়ি আইসো।
এইদিকে মেহেদির মা-বোন যখন রেডি হচ্ছিল বের হতে তখন ওর বাবা বকাঝকা করতে থাকে। আজকে ঢাকার পরিস্থিতি ভালো হবে না। তোরা ভুলেও বের হইছ না। মেহেদির মা বোরকা পরতে পরতে বলে, আল্লাহ কপালে যা রাখছে তা-ই হবে। আমাদের ছেলে-মেয়েরা মার খাবে, আমরা ঘরে বসে থাকব কিভাবে!
এরমধ্যে মা-মেয়ে রেডি হয়ে মেহেদির জন্য অপেক্ষা করে, কিন্তু মেহেদির ফেরার কোনো লক্ষণ নাই। কিছুক্ষণ অপেক্ষা করে মা বলে, আচ্ছা থাক, ও মনে হয় বন্ধুকে আনতে গিয়ে খেলতে চলে গেছে (প্রতিদিন এ সময় বন্ধুদের সাথে ধুপখোলা মাঠে খেলতে যায়)। আমরা দু'জন বের হয়ে যাই। মা-মেয়ে চলে যায় মেয়ের কলেজ মতিঝিল আইডিয়ালের সামনে। এদিকে আনাস বন্ধুূের সাথে চলে যায় চাঁনখারপুল আন্দোলনের ফ্রন্টলাইনে।
মোড়ে মোড়ে পুলিশ জিজ্ঞেস করতেছিল, কই যাচ্ছেন? মেহেদির মা প্রতিবারই উত্তর দিছেন, লাশ দেখতে যাচ্ছি। আমার নিকটাত্মীয় একজনের লাশ।
তিনি তখনো জানতেন না, তাকে ঘরে ফিরতে হবে ছেলের লাশের খবর পেয়ে। ঘরে ফিরে তাকে সত্যিই লাশ দেখতে হবে।
মেয়েকে নিয়ে বারোটার আগেই আইডিয়াল কলেজের সামনে পৌঁছে যান। উনাকে দেখে, একজন শিক্ষার্থী মাইকে বলতেছিল, আমাদের একজন মা চলে এসেছেন মেয়েকে সাথে নিয়ে। এভাবে আমাদের সব মায়েরা আমাদের সাথে থাকলে আমরা সাহস পাব। ...
এরমধ্যে প্রায় এক-দেড় ঘন্টা পার হয়ে গেছে। মায়ের মনটা কেমন যেন ছটফট করতেছে। পাশে থাকা মেয়ে বলে, আম্মু তুমি রোজা রাখছো, আর রোদ ত এজন্য খারাপ লাগছে। দেখবা ঠিক হয়ে যাবে।
উনি তখন উত্তর দেন, না রে। আমার বুকটা ধুকধুক করছে। ভালো লাগতেছে না। এটা রোজা রাখার জন্য না। আমার মেহেদির কিছু হলো কিনা, আল্লাহ মাবুদ জানে। এরমধ্যে মেয়েকে একটু বকাও দেন, তোমার ফোনে ২টা সিম, একটা সিম তো ওর ফোনে রাখলে এখন খোঁজ-খবর নিতে পারতাম। মেয়ে তখন বলেন, ওর ফোনে সিম রেখে কী হবে, মাঝেমধ্যে একটু গেমস খেলা ছাড়া ওই ত কারো সাথে কথাবার্তা বলে না।
আন্দোলনেই তাদের সময় কাটে। কিছুক্ষণ পর ব্যাগ থেকে মোবাইল বের করে দেখেন প্রায় ১৫-১৬টা কল। সব তার বাপের বাড়ির আত্নীয়স্বজনের কল। মেহেদির মা দুশ্চিন্তাগ্রস্থ মনে বড় ভাইয়ের কল রিসিভ করতেই ও পাশ থেকে বলে ওঠে, মোস্তাকিম কই? (এখানে বলে রাখি, মেহেদির ডাকনাম মোস্তাকিম। তার মা আদর করে এ নাম দিয়েছিল। এটা তার সার্টিফিকেট নামে নাই।)
উত্তর দেন, বাসায়।
তুই শিউর, ও বাসায় আছে?
এ সময় ত ঘরেই থাকে।
তাড়াতাড়ি ওর খোঁজ নে।
এভাবে বিভিন্ন জায়গা থেকে কল আসতে থাকে মেহেদির মায়ের কাছে। কেউ তখনো বলেনি সে মারা গেছে। বলছে, মাথায় আঘাত পেয়েছে, তারাতাড়ি বাসায় আসতে।
ততক্ষণে মায়ের মনের ভেতর পুরোপুরিভাবে খবর হয়ে গেল তার কলিজার টুকরার কিছু একটা হয়ে গেছে।
মেয়েকে নিয়ে আইডিয়াল কলেজের আন্দোলন থেকে দ্রুত বাসায় ফিরেন। বাসার কাছাকাছি এসে দেখেন, তাদের বাসার সামনে পুকুরপাড়ে শতশত মানুষ, কেউ কান্নাকাটি করতেছে। উনি সবাইকে ঠেলে সামনে এগিয়ে গিয়ে দেখেন, তার ছেলের নিথর দেহটা পরে আছে৷ ঐ মুহূর্তে তার সারা শরীর নিস্তেজ হয়ে যায়। সেন্সলেস হয়ে পরেন।
ফিরে আসা যাক চাঁনখারপুলে, সেদিন কিভাবে শহীদ হয়েছিল শেখ মেহেদি হাসান জুনায়েদ।
এগারোটার দিকে মেহেদি তার বন্ধুদের সাথে চাঁনখারপুল আন্দোলনের ফ্রন্টলাইনে চলে যায়। দেড়-দুই ঘন্টা সেখানে পুলিশের সাথে তারা ফাইট করে। পুলিশের গুলির বিপরীতে প্রতিরোধ হামলা চলে ইটপাটকেল ছুঁড়ে। মেহেদি এবং তার বন্ধুরা ছিল বড়দের সাথে একদম সামনে। একটার দিকে তার এক বন্ধু বলে, দোস্ত চল আমরা বাসায় চলে যাই।
মেহেদি উত্তর দেয়, তুই যাইলে যা, আমি যাব না। হয় শহীদ হয়ে ঘরে ফিরব, না হয় তার পতন (হাসিনার) শেষে বীরের বেশে ঘরে ফিরব।
মেহেদির এক বন্ধু তখন বাসায় চলে যায়, আরেক বন্ধু তার সাথে থেকে যায়। আনুমানিক দেড়টার দিকে, ওদের মিছিল যখন একটু সামনে আগায় তখন ব্যাকফুটে যায় সামনের পুলিশের দল। তখন পাশে একটা গলির মুখে অবস্থান করছিল কিছু পুলিশ। মেহেদি মাথানিচু করে ইটের টুকরা হাতে নিতে যাবে, ঠিক তখনি পরপর দুইটা গুলি তার মাথায় আঘাত করে। একটা গুলি একপাশে দিয়ে ঢুকে ছিদ্র করে আরেকপাশ দিয়ে বের হয়ে যায়। আরেকটা গুলি তার চোখ দিয়ে ঢুকে ভেতরে আটকে যায়।
আহত অথবা নিহত মেহেদিকে মানুষজন উদ্ধার করে ঢাকা মেডিকেল নিয়ে যায়। মেডিকেল কতৃপক্ষ তাকে রিসিভ করতে অস্বীকৃতি জানায়। বলে, উপর থেকে নির্দেশ এসেছে কাউকে চিকিৎসা না দিতে। এখান থেকে নিয়ে যান, নাহয় মর্গে নিয়ে লাশের সাথে ফালাই রাখেন। পরিবার আইস্যা খুঁজে নিয়ে যাবে।
পরে সেখান থেকে মেহেদিকে মিটফোর্ডে নিয়ে যাওয়া হয়। কিন্তু ততক্ষণে সে আর বেঁচে রইল না। শহীদের খাতায় তার নাম যোগ হয়ে যায়।
ঐখানের মানুষজন মেহেদির পকেটে থাকা সিম ছাড়া স্মার্টফোনটাতে ডায়াল কলে দেখেন, বাবা নামে একটা নম্বর সেইভ করা। মানুষজন মনে করছিল, বোধহয় তার বাবা হতে পারে। কিন্তু কল দিলে তার নানা ধরেন। মেহেদির মা তার বাবার (মানে মেহেদির নানা) নম্বর বাবা নামে সেইভ করছিল। এই ফোনটা তার মা চালাতো।
তাদেরকে কল দিয়ে মেহেদির খবর জানানো হয়। সেখান থেকে আত্নীয়স্বজন সবার জানাজানি হয়। তার মা তখনো মেয়েকে নিয়ে রাজপথে আন্দোলনে। মেহেদির নিথর দেহ বাসায় আনার এক ঘন্টা পর তিনি বাসায় এসে পৌঁছান।
মেহেদির বয়স মাত্র ১৪বছর। উইল ফাওয়ার স্কুলে সপ্তম শ্রেণিতে পড়তো। স্বপ্ন ছিল বড় হয়ে সে ইঞ্জিনিয়ার হবে, একইসাথে কুরআনে হাফেজ হবে। এজন্য হাফেজি মাদ্রাসায় ভর্তিও হয়েছিল। প্রায় ১০ পারার মতো মুখস্থ করে ফেলছে। নম্র এবং ভদ্র ছেলে হিসেবে এলাকার সবাই তাকে ভালোবাসত। তার মা জানায়, মেহেদির জানাযায় এতো মানুষ হয়েছে যে, এখানে কেন্দ্রীয় ঈদের জামাতেও এতো মানুষ হয়নি কখনো।
কয়েক মাস আগে এলাকার মসজিদে আয়োজন করছিল, যারা ৪০দিন জামাতে ৫ওয়াক্ত নামাজ আদায় করবে, তাদের সাইকেল দেওয়া হবে। মেহেদি সেখান থেকে অনেক বড় একটা সাইকেল পেয়েছিল। ওর মা বলছিল, এতবড় সাইকেল তুমি কী করবে? ও তখন বলে, কয়দিন পর আমি পড়তে চলে গেলে আব্বু চালাবে আমার সাইকেল।
কোনো কারণে বাবা তাকে মাঝেমধ্যে বকাঝকা করলে বাবার অনুপস্থিতিতে মাকে সে সময় বলতো, দেখ আম্মু, আব্বু এখন আমাদের বকাঝকা করে। একদিন দেখবা আমাদের দুই ভাই-বোনকে নিয়ে তোমরা গর্ববোধ করবা। মা তাকে হাসতে হাসতে জিজ্ঞেস করে, তোমার আপু ভালো ছাত্রী। এসএসসিতে গোল্ডেন এপ্লাস পেয়েছে, ওকে নিয়ে নাহয় আশা করা যায় ভবিষ্যতে কিছু করতে পারবে, কিন্তু তুমি এমন কী করছো বা করবা যে তোমাকে নিয়ে আমরা গর্ববোধ করবো!
মেহেদি তখন বলে ওঠে, আরে দেইখো, এখন নাহয় কিছু করতে পারি নাই। একদিন দেখবা আমাকে নিয়েই বেশি গর্ববোধ করবা।
মেহেদি সত্যিই বাবা-মাকে গর্ববোধ করতে পেরেছে। নতুন বাংলাদেশ বিনির্মিত হয়েছে তার রক্তের উপর দিয়ে। তার মা-বাবার জন্য এটা পরম গৌরবের।
একজন সন্তানহারা মায়ের কথা একনাগাড়ে শুনে গেলাম। তাকে সান্ত্বনা দেওয়ার মতো কোনো শব্দ আমার জানা ছিল না। সর্বশেষ কাঁদতে কাঁদতে বলেন, আড়াই মাস ধরে ঠিক মতো ঘুমাতে পারি না। ছেলের জন্য কাঁদতে কাঁদতে অসুস্থ হয়ে যাই। রাতে ঘুম ভেঙে যায়, ছেলের কথা মনে পড়ে। কাঁদতে থাকি। তার প্রিয় খাবার রসুনভর্তা তৈরি করে রাখি, কিন্তু আমার মোস্তাকিম (মেহেদি) খেতে আসে না। তার বিড়ালগুলো তাকে খুব মিস করে। তার রুমে ঘুরাঘুরি করে। তার ছবির পোস্টারের ওপর শুয়ে থাকে, তাকে খোঁজে। সুকেইস-ভরতি ক্রেস্টগুলো দেখি। কানে বাজে তার কথা, আম্মু দেখবা, আমাকে নিয়ে তোমরা একদিন অনেক গর্ববোধ করবা।রক্তাক্ত মেহেদিকে ঢাকা মেডিকেল নেওয়া হলে দায়িত্বরত কর্তারা বলেন, উপর থেকে নির্দেশ দিয়েছে চিকিৎসার জন্য কাউকে রিসিভ করা যাবে না। অন্য কোথাও নিয়ে যান, নাহয় লাশের সাথে মর্গে ফেলে রাখেন, পরিবার আইস্যা খুঁজে নিয়ে যাবে।
৫ আগষ্ট ভোরে মেহেদির মা ফজর নামাজ পড়ে কুরআন শরীফ পড়তেছেন। তিনি শুনতে পান ড্রয়িংরুম থেকে টিভির শব্দ শোনা যাচ্ছে। উনি গিয়ে দেখেন, মেহেদি বিভিন্ন চ্যানেল পাল্টিয়ে খবর দেখতেছে। মা বলেন, এতো ভোরে টিভি না দেখে ঘুমাও কিছুক্ষণ, বাবা। মেহেদি মাকে বলে, ঘুমাবো না, আম্মু। মা তখন বলেন, কিছু খাবে? রেডি করে দিবো? মেহেদি মাথা নাড়িয়ে না-বোধক উত্তর দেয়। আম্মু রোজা রাখছি, কিছুক্ষণ ঘুমাই—এ কথা বলে মা তখন ঘুমাতে চলে যায়। মেহেদির বাবা তখন ফজর পড়ে হাঁটতে বের হয়েছিল।
কিছুক্ষণ পর বাসায় ফিরে বাবা মেহেদিকে বলেন, যাও বাইরে (দোকান) থেকে নাস্তা নিয়ে আসো। মেহেদি বলে, আজকে সকালে নাস্তা করব না। মা’র হাতে রসুনভর্তা দিয়ে ভাত খাব। মা বলে, শুধু রসুনভর্তা? সাথে ডিম ভেজে দিই?
( তার মায়ের হাতে রসুনভর্তা তার খুব পছন্দের ছিল)
মায়ের হাতে ভাত খেতে খেতে মেহেদি বলে, আম্মু তোমার কাছে একটা বিষয় লুকাইছি। মা কৌতুহলী হয়ে জানতে চায়, কী লুকাইছো!
মেহেদি হাসতে হাসতে বলে, আমি তোমাকে না জানিয়ে লুকিয়ে ২দিন আন্দোলনে গেছি। রাস্তায় ভাইয়াদের পানি-বিস্কুট খাওয়াইছি।
মেহেদি খেতে খেতে মাকে বুঝায়, আমাদের বয়সী কতজন রাস্তায় নামছে। মার খাচ্ছে। প্রতিবন্ধী ছেলেরা পর্যন্ত রাস্তায় নামতেছে, আমরা কিভাবে ঘরে বসে থাকি। বড় ভাইয়ারা ত আমাদের সবার অধিকারের জন্যই জীবন দিচ্ছে।
ছেলের কথায় মন গলে মায়ের। মা তখন বলেন, আজকে আমরা সবাই বের হবো। মেহেদির বড়বোন, মা এবং মেহেদি একসাথে বের হওয়ার পরিকল্পনা করেন। মেহেদির বড়বোনের কলেজ থেকে জানতে পারে সেখানে স্টুডেন্টরা অভিভাবকদেরও আহবান করছে যেতে। তারা পরিকল্পনা করে সেখানে যাবেন। এরমধ্যে মা বোরকা পড়ছেন, মেহেদি বলে মা একটু অপেক্ষা করো, আমার এক বন্ধু আছে ওকে নিয়ে আসি। আমরা একসাথে যাব। মা বলেন, ঠিক আছে। তাড়াতাড়ি আইসো।
এইদিকে মেহেদির মা-বোন যখন রেডি হচ্ছিল বের হতে তখন ওর বাবা বকাঝকা করতে থাকে। আজকে ঢাকার পরিস্থিতি ভালো হবে না। তোরা ভুলেও বের হইছ না। মেহেদির মা বোরকা পরতে পরতে বলে, আল্লাহ কপালে যা রাখছে তা-ই হবে। আমাদের ছেলে-মেয়েরা মার খাবে, আমরা ঘরে বসে থাকব কিভাবে!
এরমধ্যে মা-মেয়ে রেডি হয়ে মেহেদির জন্য অপেক্ষা করে, কিন্তু মেহেদির ফেরার কোনো লক্ষণ নাই। কিছুক্ষণ অপেক্ষা করে মা বলে, আচ্ছা থাক, ও মনে হয় বন্ধুকে আনতে গিয়ে খেলতে চলে গেছে (প্রতিদিন এ সময় বন্ধুদের সাথে ধুপখোলা মাঠে খেলতে যায়)। আমরা দু'জন বের হয়ে যাই। মা-মেয়ে চলে যায় মেয়ের কলেজ মতিঝিল আইডিয়ালের সামনে। এদিকে আনাস বন্ধুূের সাথে চলে যায় চাঁনখারপুল আন্দোলনের ফ্রন্টলাইনে।
মোড়ে মোড়ে পুলিশ জিজ্ঞেস করতেছিল, কই যাচ্ছেন? মেহেদির মা প্রতিবারই উত্তর দিছেন, লাশ দেখতে যাচ্ছি। আমার নিকটাত্মীয় একজনের লাশ।
তিনি তখনো জানতেন না, তাকে ঘরে ফিরতে হবে ছেলের লাশের খবর পেয়ে। ঘরে ফিরে তাকে সত্যিই লাশ দেখতে হবে।
মেয়েকে নিয়ে বারোটার আগেই আইডিয়াল কলেজের সামনে পৌঁছে যান। উনাকে দেখে, একজন শিক্ষার্থী মাইকে বলতেছিল, আমাদের একজন মা চলে এসেছেন মেয়েকে সাথে নিয়ে। এভাবে আমাদের সব মায়েরা আমাদের সাথে থাকলে আমরা সাহস পাব। ...
এরমধ্যে প্রায় এক-দেড় ঘন্টা পার হয়ে গেছে। মায়ের মনটা কেমন যেন ছটফট করতেছে। পাশে থাকা মেয়ে বলে, আম্মু তুমি রোজা রাখছো, আর রোদ ত এজন্য খারাপ লাগছে। দেখবা ঠিক হয়ে যাবে।
উনি তখন উত্তর দেন, না রে। আমার বুকটা ধুকধুক করছে। ভালো লাগতেছে না। এটা রোজা রাখার জন্য না। আমার মেহেদির কিছু হলো কিনা, আল্লাহ মাবুদ জানে। এরমধ্যে মেয়েকে একটু বকাও দেন, তোমার ফোনে ২টা সিম, একটা সিম তো ওর ফোনে রাখলে এখন খোঁজ-খবর নিতে পারতাম। মেয়ে তখন বলেন, ওর ফোনে সিম রেখে কী হবে, মাঝেমধ্যে একটু গেমস খেলা ছাড়া ওই ত কারো সাথে কথাবার্তা বলে না।
আন্দোলনেই তাদের সময় কাটে। কিছুক্ষণ পর ব্যাগ থেকে মোবাইল বের করে দেখেন প্রায় ১৫-১৬টা কল। সব তার বাপের বাড়ির আত্নীয়স্বজনের কল। মেহেদির মা দুশ্চিন্তাগ্রস্থ মনে বড় ভাইয়ের কল রিসিভ করতেই ও পাশ থেকে বলে ওঠে, মোস্তাকিম কই? (এখানে বলে রাখি, মেহেদির ডাকনাম মোস্তাকিম। তার মা আদর করে এ নাম দিয়েছিল। এটা তার সার্টিফিকেট নামে নাই।)
উত্তর দেন, বাসায়।
তুই শিউর, ও বাসায় আছে?
এ সময় ত ঘরেই থাকে।
তাড়াতাড়ি ওর খোঁজ নে।
এভাবে বিভিন্ন জায়গা থেকে কল আসতে থাকে মেহেদির মায়ের কাছে। কেউ তখনো বলেনি সে মারা গেছে। বলছে, মাথায় আঘাত পেয়েছে, তারাতাড়ি বাসায় আসতে।
ততক্ষণে মায়ের মনের ভেতর পুরোপুরিভাবে খবর হয়ে গেল তার কলিজার টুকরার কিছু একটা হয়ে গেছে।
মেয়েকে নিয়ে আইডিয়াল কলেজের আন্দোলন থেকে দ্রুত বাসায় ফিরেন। বাসার কাছাকাছি এসে দেখেন, তাদের বাসার সামনে পুকুরপাড়ে শতশত মানুষ, কেউ কান্নাকাটি করতেছে। উনি সবাইকে ঠেলে সামনে এগিয়ে গিয়ে দেখেন, তার ছেলের নিথর দেহটা পরে আছে৷ ঐ মুহূর্তে তার সারা শরীর নিস্তেজ হয়ে যায়। সেন্সলেস হয়ে পরেন।
ফিরে আসা যাক চাঁনখারপুলে, সেদিন কিভাবে শহীদ হয়েছিল শেখ মেহেদি হাসান জুনায়েদ।
এগারোটার দিকে মেহেদি তার বন্ধুদের সাথে চাঁনখারপুল আন্দোলনের ফ্রন্টলাইনে চলে যায়। দেড়-দুই ঘন্টা সেখানে পুলিশের সাথে তারা ফাইট করে। পুলিশের গুলির বিপরীতে প্রতিরোধ হামলা চলে ইটপাটকেল ছুঁড়ে। মেহেদি এবং তার বন্ধুরা ছিল বড়দের সাথে একদম সামনে। একটার দিকে তার এক বন্ধু বলে, দোস্ত চল আমরা বাসায় চলে যাই।
মেহেদি উত্তর দেয়, তুই যাইলে যা, আমি যাব না। হয় শহীদ হয়ে ঘরে ফিরব, না হয় তার পতন (হাসিনার) শেষে বীরের বেশে ঘরে ফিরব।
মেহেদির এক বন্ধু তখন বাসায় চলে যায়, আরেক বন্ধু তার সাথে থেকে যায়। আনুমানিক দেড়টার দিকে, ওদের মিছিল যখন একটু সামনে আগায় তখন ব্যাকফুটে যায় সামনের পুলিশের দল। তখন পাশে একটা গলির মুখে অবস্থান করছিল কিছু পুলিশ। মেহেদি মাথানিচু করে ইটের টুকরা হাতে নিতে যাবে, ঠিক তখনি পরপর দুইটা গুলি তার মাথায় আঘাত করে। একটা গুলি একপাশে দিয়ে ঢুকে ছিদ্র করে আরেকপাশ দিয়ে বের হয়ে যায়। আরেকটা গুলি তার চোখ দিয়ে ঢুকে ভেতরে আটকে যায়।
আহত অথবা নিহত মেহেদিকে মানুষজন উদ্ধার করে ঢাকা মেডিকেল নিয়ে যায়। মেডিকেল কতৃপক্ষ তাকে রিসিভ করতে অস্বীকৃতি জানায়। বলে, উপর থেকে নির্দেশ এসেছে কাউকে চিকিৎসা না দিতে। এখান থেকে নিয়ে যান, নাহয় মর্গে নিয়ে লাশের সাথে ফালাই রাখেন। পরিবার আইস্যা খুঁজে নিয়ে যাবে।
পরে সেখান থেকে মেহেদিকে মিটফোর্ডে নিয়ে যাওয়া হয়। কিন্তু ততক্ষণে সে আর বেঁচে রইল না। শহীদের খাতায় তার নাম যোগ হয়ে যায়।
ঐখানের মানুষজন মেহেদির পকেটে থাকা সিম ছাড়া স্মার্টফোনটাতে ডায়াল কলে দেখেন, বাবা নামে একটা নম্বর সেইভ করা। মানুষজন মনে করছিল, বোধহয় তার বাবা হতে পারে। কিন্তু কল দিলে তার নানা ধরেন। মেহেদির মা তার বাবার (মানে মেহেদির নানা) নম্বর বাবা নামে সেইভ করছিল। এই ফোনটা তার মা চালাতো।
তাদেরকে কল দিয়ে মেহেদির খবর জানানো হয়। সেখান থেকে আত্নীয়স্বজন সবার জানাজানি হয়। তার মা তখনো মেয়েকে নিয়ে রাজপথে আন্দোলনে। মেহেদির নিথর দেহ বাসায় আনার এক ঘন্টা পর তিনি বাসায় এসে পৌঁছান।
মেহেদির বয়স মাত্র ১৪বছর। উইল ফাওয়ার স্কুলে সপ্তম শ্রেণিতে পড়তো। স্বপ্ন ছিল বড় হয়ে সে ইঞ্জিনিয়ার হবে, একইসাথে কুরআনে হাফেজ হবে। এজন্য হাফেজি মাদ্রাসায় ভর্তিও হয়েছিল। প্রায় ১০ পারার মতো মুখস্থ করে ফেলছে। নম্র এবং ভদ্র ছেলে হিসেবে এলাকার সবাই তাকে ভালোবাসত। তার মা জানায়, মেহেদির জানাযায় এতো মানুষ হয়েছে যে, এখানে কেন্দ্রীয় ঈদের জামাতেও এতো মানুষ হয়নি কখনো।
কয়েক মাস আগে এলাকার মসজিদে আয়োজন করছিল, যারা ৪০দিন জামাতে ৫ওয়াক্ত নামাজ আদায় করবে, তাদের সাইকেল দেওয়া হবে। মেহেদি সেখান থেকে অনেক বড় একটা সাইকেল পেয়েছিল। ওর মা বলছিল, এতবড় সাইকেল তুমি কী করবে? ও তখন বলে, কয়দিন পর আমি পড়তে চলে গেলে আব্বু চালাবে আমার সাইকেল।
কোনো কারণে বাবা তাকে মাঝেমধ্যে বকাঝকা করলে বাবার অনুপস্থিতিতে মাকে সে সময় বলতো, দেখ আম্মু, আব্বু এখন আমাদের বকাঝকা করে। একদিন দেখবা আমাদের দুই ভাই-বোনকে নিয়ে তোমরা গর্ববোধ করবা। মা তাকে হাসতে হাসতে জিজ্ঞেস করে, তোমার আপু ভালো ছাত্রী। এসএসসিতে গোল্ডেন এপ্লাস পেয়েছে, ওকে নিয়ে নাহয় আশা করা যায় ভবিষ্যতে কিছু করতে পারবে, কিন্তু তুমি এমন কী করছো বা করবা যে তোমাকে নিয়ে আমরা গর্ববোধ করবো!
মেহেদি তখন বলে ওঠে, আরে দেইখো, এখন নাহয় কিছু করতে পারি নাই। একদিন দেখবা আমাকে নিয়েই বেশি গর্ববোধ করবা।
মেহেদি সত্যিই বাবা-মাকে গর্ববোধ করতে পেরেছে। নতুন বাংলাদেশ বিনির্মিত হয়েছে তার রক্তের উপর দিয়ে। তার মা-বাবার জন্য এটা পরম গৌরবের।
একজন সন্তানহারা মায়ের কথা একনাগাড়ে শুনে গেলাম। তাকে সান্ত্বনা দেওয়ার মতো কোনো শব্দ আমার জানা ছিল না। সর্বশেষ কাঁদতে কাঁদতে বলেন, আড়াই মাস ধরে ঠিক মতো ঘুমাতে পারি না। ছেলের জন্য কাঁদতে কাঁদতে অসুস্থ হয়ে যাই। রাতে ঘুম ভেঙে যায়, ছেলের কথা মনে পড়ে। কাঁদতে থাকি। তার প্রিয় খাবার রসুনভর্তা তৈরি করে রাখি, কিন্তু আমার মোস্তাকিম (মেহেদি) খেতে আসে না। তার বিড়ালগুলো তাকে খুব মিস করে। তার রুমে ঘুরাঘুরি করে। তার ছবির পোস্টারের ওপর শুয়ে থাকে, তাকে খোঁজে। সুকেইস-ভরতি ক্রেস্টগুলো দেখি। কানে বাজে তার কথা, আম্মু দেখবা, আমাকে নিয়ে তোমরা একদিন অনেক গর্ববোধ করবা।
২| ১৯ শে অক্টোবর, ২০২৪ বিকাল ৪:৫৫
জুল ভার্ন বলেছেন:
৩| ১৯ শে অক্টোবর, ২০২৪ বিকাল ৫:৩৯
সোনাগাজী বলেছেন:
এই লেখা কার? আপনি তো ৫ লাইন লিখলে ২৫টা ভুল থাকে, ইহাতে তেমন ভুল নেই।
৪| ১৯ শে অক্টোবর, ২০২৪ বিকাল ৫:৫১
রূপক বিধৌত সাধু বলেছেন: আপনারা যদি অন্ধভাবে জামায়াতের একাত্তরের কর্মকাণ্ড সমর্থন করতে পারেন, ১৫ আগস্ট সমর্থন করতে পারেন অথবা বিএনপির ২১ আগস্ট বা অন্যান্য অপকর্ম সমর্থন করতে পারেন তাহলে দেখা যাবে আওয়ামী লীগে এমন অনেক দালাল আছে যারা অন্ধভাবে আওয়ামী লীগকে সমর্থন করে। এরা সবাই দলান্ধ। এদের বিবেকবোধ বলতে কিছু নেই।
১৯ শে অক্টোবর, ২০২৪ সন্ধ্যা ৭:২২
তানভির জুমার বলেছেন: অন্ধভাবে জামায়াতের একাত্তরের কর্মকাণ্ড আমরা সমর্থন করিনা, ৭২-৭৫ ইতিহাস পড়েন। হাসিনার ১৬ বছরের শাসন আর মুজিবের ৩ বছরের শাসন একই রকম ছিল। আওয়ামীলিগ করে অথচ লুটপটকারী আর সন্ত্রাসী না, এরকম ৫ জনের নাম বলতে পারবেন।
৫| ১৯ শে অক্টোবর, ২০২৪ বিকাল ৫:৫৭
সৈয়দ কুতুব বলেছেন: আওয়ামী লীগ দলের যারা অপরাধী সবাইকে বিচারের আওতায় আনতে হবে।তবে শুধু সাপোর্ট করলেই কেউ অপরাধী এমন ভাবা কি ঠিক? অনেকে মুক্তিযুদ্ধের স্বপক্ষের শক্তি হিসাবে কাউকে না পেয়ে আওয়ামী লীগ কে সাপোর্ট করে। এরাই আসল সমস্যায় পড়েছে এখন।
১৯ শে অক্টোবর, ২০২৪ সন্ধ্যা ৭:২৬
তানভির জুমার বলেছেন: মুক্তিযুদ্ধের স্বপক্ষের শক্তি হিসাবে কাউকে না পেয়ে আওয়ামী লীগ কে সাপোর্ট করে। ব্যাপক একটা বিনোদনমূলক কথা বললেন।
তা আওয়ামীলিগ মুক্তিযোদ্ধের কি কি স্বপ্ন বাস্তবায়ন করেছে? এরকম ১ টা উদাহারণ দিতে পারবেন?
৬| ১৯ শে অক্টোবর, ২০২৪ সন্ধ্যা ৭:১৯
আজব লিংকন বলেছেন: এইসব পোস্ট পরলে আমি ইমোশনাল হয়ে যাই। ফুলের মতো জীবনগুলা নোংরা রাজনীতির বোলির পাঠা হলো। শুধু আওয়ামীলীগের নেতা-নেত্রী নয় তাদের হুকুম পালনকারী প্রতিটি পুলিশ বিজিবির অফিসার সদস্যদের উপযুক্ত শান্তি চাই।
প্রতিটি হত্যার বিচার চাই।
১৯ শে অক্টোবর, ২০২৪ সন্ধ্যা ৭:৩১
তানভির জুমার বলেছেন: একটা দল ক্ষমতায় থাকার জন্য নিজ দেশের নিরপরাধ জণগনের উপর গণহত্যা চালাতে পারে। পৃথিবীর কোন ইতিহাসে এটা নাই। ৬ বছরের বাচ্ছার উপর হেলিকপ্টার থেকে গুলি করে হত্যা করা হয়েছে।
৭| ২০ শে অক্টোবর, ২০২৪ রাত ১:৫৭
সামিউল ইসলাম বাবু বলেছেন:
৮| ২০ শে অক্টোবর, ২০২৪ সকাল ৯:১৭
এ আর ১৫ বলেছেন: আপনি কি আন্দোলনকারিদের হাতে হাজার তিনেক পুলিশ হত্যা , স্নাাইপার ও সুটার দিয়ে নিজেদের লোককে হত্যা করে সরকারে উপর দায় চাপানোকে সমর্থন করেন ।
আপনার নিজেরাই নরপিশাচ হয়ে অন্যকে এই অপবাদ দেন কি করে ?
মুগ্ধকে আপনারাই মেরেছেন, আবু সাঈদকে আপনারাই মেরেছেন , ছয় তালা বিল্ডিং এর উপরে শিশুকে আপনাদের স্নাইপাররাই গুলি করেছে । নিজেরাই নরপিশাচ !!!
২০ শে অক্টোবর, ২০২৪ সকাল ৯:৫১
তানভির জুমার বলেছেন: মিথ্যাচার আওয়ামীদের পুঁজি। এদের মুখ খুললেই মিছা কথা ছাড়া কথা বের হয় না।
৯| ২০ শে অক্টোবর, ২০২৪ সকাল ৯:৫৮
আহরণ বলেছেন: আরে না, এই মেহেদি/টেহেদি........ জন্মগত ভাবেই নেংটি রাজাকার। খোঁজ নিলে দেখা যাবে এই ছেলে নিশ্চিত ভাবে রাজাকার বংশের। অল্প বয়সে মরে ভাল হয়েছে, তা না হলে জঙ্গি হওয়ার সম্ভাবনা ছিল। ইদানিং শোনা যাচ্ছে, মেহেদিদের মতো অনেক ছেলেপেলে গোপনে হামাসের খাতায় নাম লেখাচ্ছেন লেবাননে যেয়ে যুদ্ধ করবে। কী ভয়ংকর!! এবার বুঝেছেন, @ ভাইয়া?
১০| ২০ শে অক্টোবর, ২০২৪ সকাল ১০:৫১
এ আর ১৫ বলেছেন: মিথ্যাচার আওয়ামীদের পুঁজি। এদের মুখ খুললেই মিছা কথা ছাড়া কথা বের হয় না।
তাই নাকি , যা বলছি সব কিছুর প্রমাণ আছে ।
আচ্ছা বলুন তো মুগ্ধ ছিল পুলিশের তাড়া খেয়ে পালিয়ে যাওয়া মিছিলের মাঝখানে , পুলিশ ছিল পিছনে , মারছিল রাবার বুলেট , মিছিলের পিছনের লোকদের গায়ে সেই রাবার বুলেট লেগেছে শরিরের পিছনে , তাহোলে মাঝামাঝিতে থাকা মুগ্ধের কপালে বুলেট লাগলো কি করে , মাথার পিছনে না লেগে, যেখানে পুলিশ ছিল পিছন দিকে ।
কে মিথ্যুক ? কে নরপিশাচ ? এটাতো নিজেরা হত্যা করে সরকারের উপরে দোষ চাপানোর সফল প্রচেষ্ঠা। ৩১০৮ পুলিশ হত্যার খবর গোটা মিডিয়াতেই চেপে গেছে এবং ইনডেমনিটি বিল পাশ করে এই হত্যাকান্ডের বিচারের পথ রুদ্ধ করা হয়েছে ।
নরপিশাচ কারা সবাই দেখতে পাচ্ছে ।
২০ শে অক্টোবর, ২০২৪ সকাল ১১:১৫
তানভির জুমার বলেছেন: ৩১০৮ জন পুলিশ হত্যা এই চুতিয়া প্রপাগান্ডা কেন করিস তোরা। হত্যা করা ৫০ জন পুলিশের বিস্তারিত তথ্য দিতে পারবি কুলাঙ্গার। তোরা এতই খারাপ। আওয়ামীদের নাম শুনলে মনুষ থুতু দেয় এখন।
১১| ২০ শে অক্টোবর, ২০২৪ সকাল ১০:৫৭
সৈয়দ মশিউর রহমান বলেছেন: রামছাগল ম্যা ম্যা করছে।
১২| ২০ শে অক্টোবর, ২০২৪ সকাল ১১:১৭
নতুন বলেছেন: বাংলাদেশের মানুষ জানে জামাত/শিবির আয়ামীলীগের চেয়ে বেশি ভয়ংকর।
এমন আবেগী কাহিনি যদি আপনি জামাত/শিবিরের পক্ষ থেকে পেয়ে থাকেন তবে সেটার মাঝে ঘাপলা আছে।
এমনটা ঘটেছে, ঘটা অস্বাভাবিক না, আয়ামীলীগ সন্ত্রাসীরা হাসপাতালেও হামলা করে আহতদের পিটিয়েছিলো।
সাইকোপ্যাথেরা এমনটা করতেই পারে। তাই এমন সন্ত্রাসীদের সরকার থেকে হঠানো ফরজ।
তবে দুক্ষ লাগে যখন কিছু মানুষ পেটে লাথি পরেছে বলে মিথ্যাচার করে আয়ামীলীগের পক্ষে সাফাই গায়।
এরা আসলোই মানুষ না আয়ামীলীগ?
২০ শে অক্টোবর, ২০২৪ সকাল ১১:৪৪
তানভির জুমার বলেছেন: ধর্ম-ইসলামের কথা ইত্যাদি প্রসঙ্গ আসলে আপনাদের জামাত-শিবিরের কথা মাথায় আসে কেন? ইসলাম ধর্ম কি শুধু জামাত শিবিরদের জন্য? শহীদ ছেলেটার বিস্তারিত তথ্য দেওয়া আছে তারপরও ঘাপলা আছে বলছেন? ঘাপলা কথা না বলে নিজে একটু ইন্টারনেটে সার্চ করে দেখে নিলেই পারেন।
১৩| ২০ শে অক্টোবর, ২০২৪ সকাল ১১:৪৪
এ আর ১৫ বলেছেন: ৩১০৮ জন পুলিশ হত্যা এই চুতিয়া প্রপাগান্ডা কেন করিস তোরা। হত্যা করা ৫০ জন পুলিশের বিস্তারিত তথ্য দিতে পারবি কুলাঙ্গার। তোরা এতই খারাপ। আওয়ামীদের নাম শুনলে মনুষ থুতু দেয় এখন।
গালাগালি মানুষ তখন করে, যখন তাদের আর কোন যুক্তি থাকে না । প্রথম কথা -- মুগ্ধ হত্যাকান্ড নিয়ে যে কথা গুলো দিলাম সেটার কোন উত্তর না দিয়ে গালাগালি দিয়ে পার পাওয়ার চেষ্ঠা করা হয়েছে ।
এবার আসি ৩১০৮ জন পুলিশকে হত্যা করার প্রসংগে, ইউনুস সরকার রেড এলার্ট দিয়ে লুকানোর চেষ্ঠা করেছে, কোন মিডিয়াতেই সেটা প্রকাশ হতে দেয় নি । সরকার যদি ইনডেমনিটি দেয়া সেটা হবে মিড জুলাই থেকে ৫ ই অগাস্ট পর্যন্ত কিন্তু ৮ তারিখ পর্যন্ত কেন ? কারন এই তিন দিনে পুলিশের উপরে গণহত্যা চালানো হয়েছিল এবং ৪০০ + থানাতে ।
একটু স্ট্রেটেজিক বিশ্লেষন করলেই , এই ব্যপক গণহত্যার রুপটা বোঝা যাবে । একই কায়দায়, প্রতিটি থানাকে কয়েক হাজার লোক মিলে ঘিরে ফেলে আক্রমন করা হয়েছে, কোন পুলিশ থানা থেকে পালাতে পারেনি । ৩রা অগাস্টে এই আক্রমণের সুচনা হয় সিরাজগন্জে, থানা ঘিরে আক্রমন করে ১৩ জন পুলিশকে হত্যা করা হয় ।
৪০০ থানাতে আক্রমন হয়েছে ,একই ভাবে হাজার হাজার লোক জড় করে, চারি দিক থেকে থানা গুলোকে ঘিরে ফেলে এবং যে সব পুলিশ পালাতে পারেনি, তাদের সবাইকে হত্যা করা হয়েছে, তাই হিসেব এবং বিবেচনা করলে হতাহত ৩১০৮ হওয়ার সম্ভবনা শতভাগ এবং এটা নিশ্চিত হয়েছে যখন এই সব হত্যাকান্ডের জন্য কাউকে বিচার করা যাবে না এই মর্মে ইনডেমনিটি বিল পাশ করে। অগাস্টের ৫ তারিখ পর্যন্ত ইনডেমনিটি দিলে কোন প্রশ্ন থাকতো না কিন্তু যখন অগাস্টের ৮ তারিখ পর্যন্ত সব অপকর্মের ইনডেমনিটি দেওয়া হয়েছে, তখন নি থলির বিড়াল বেড়িয়ে এসেছে । এখন মানুষ থুতু দেওয়া শুরু করেছে , আপনাদের মত নরপিশাদের মুখ !!
আমি অলরেডি ব্যাখা করেছি, কি ভাবে মুগ্ধকে হত্যা করা হয়েছে ।
১৪| ২০ শে অক্টোবর, ২০২৪ দুপুর ১২:৪২
নতুন বলেছেন: এ আর ১৫ বলেছেন: ৩১০৮ জন পুলিশ হত্যা এই চুতিয়া প্রপাগান্ডা কেন করিস তোরা। হত্যা করা ৫০ জন পুলিশের বিস্তারিত তথ্য দিতে পারবি কুলাঙ্গার। তোরা এতই খারাপ। আওয়ামীদের নাম শুনলে মনুষ থুতু দেয় এখন।
@ তানভির ভাই। আপনি গালি দিতে পারেন না। আশা করি সরি বলবেন।
@এ আর ১৫ ভাই আপনি ৩১০৮ জন পুলিশ হত্যার তথ্য কই পাইলেন? মিথ্যাচার করে আপনি আয়ামীলীগ হিসেবে প্রমান দিচ্ছেন।
শেখ হাসিনার উচিত ক্ষমা চেয়ে জাতীর কাছে আবার আয়ামীলীগকে নতুন করে সাজানোর আবেদন করা।
কিন্তু সেটা আপনার মতন আয়ামীলীগের জন্যই সম্ভবনা। এখন ২০২৪ চলে, যেসব হত্যা, নির্যাতনের ভিডিও আছে সেটা আয়ামীলীগের ধংষের জন্য যথেস্ট।
জনগনের কাছে ক্ষমতা চেয়ে নতুন করে শুরু করাই একমাত্র পথ সেটা আয়ামীলীগকে বাচাতে পারে। নতুবা শেখ হাসিনার মারা যাবার পরে আয়ামীলীগ বিলিন হয়ে যাবে।
১৫| ২০ শে অক্টোবর, ২০২৪ দুপুর ১২:৫৫
নতুন বলেছেন: লেখক বলেছেন: ধর্ম-ইসলামের কথা ইত্যাদি প্রসঙ্গ আসলে আপনাদের জামাত-শিবিরের কথা মাথায় আসে কেন? ইসলাম ধর্ম কি শুধু জামাত শিবিরদের জন্য? শহীদ ছেলেটার বিস্তারিত তথ্য দেওয়া আছে তারপরও ঘাপলা আছে বলছেন? ঘাপলা কথা না বলে নিজে একটু ইন্টারনেটে সার্চ করে দেখে নিলেই পারেন।
ছেলেটা মারা গেছে সেটা নিয়ে সন্দেহ নাই। তার আত্নত্যাগ নিয়েও সন্দেহ নাই। সে পথে নেমে ছিলো সেটাই তার আত্নত্যাগের পরিচয়। সেই সন্মান তার প্রাপ্য।
কিন্তু আ্পনার কাহিনির পরতে পরতে ধর্মীয়করনই প্রমান করে সেটা সম্ভবত জামাতী/শিবিরের ভার্ষন।
নাম মুস্তাকিম মা ডাকে, ১০ পারা হাফেজ, রোজা, কোরান তেলায়াও, ...
মেহেদি উত্তর দেয়, তুই যাইলে যা, আমি যাব না। হয় শহীদ হয়ে ঘরে ফিরব, না হয় তার পতন (হাসিনার) শেষে বীরের বেশে ঘরে ফিরব।
১৪ বছরের ছেলে বড়দের সাথে শহীদ হবার ভাবনা নিয়ে পুলিশের সাথে ফাইট করেনা।
অতিরন্জন কখনোই ভালো না।
১৬| ২০ শে অক্টোবর, ২০২৪ দুপুর ১২:৫৭
এ আর ১৫ বলেছেন: @ নতুন ,,,,,, @এ আর ১৫ ভাই আপনি ৩১০৮ জন পুলিশ হত্যার তথ্য কই পাইলেন? মিথ্যাচার করে আপনি আয়ামীলীগ হিসেবে প্রমান দিচ্ছেন।
এই তথ্যকে সরকারের পক্ষ হতে গোপন করা হয়েছে , কিন্তু ৪০০ + থানা আক্রমন এবং ধবংসের খবর সব মিডিয়াতে এসেছে , হাজার হাজার মানুষ থানা ঘিরে আক্রমন করা হয়েছে কিন্তু আটকে পড়া পুলিশদের কি হয়েছে তার কোন খবর নেই যদি ও খবর আছে থানার অস্ত্র লুট হয়েছে । একটা থানার আক্রমনের পরিনতি আমরা জানি ৩ রা অগাস্টের সিরাজগন্জের থানা আক্রমন করে লুট এবং ১৩ জন পুলিশ হত্যা করার কাহিণী , এখন চিন্তা করুন ৪০০+ থানাতে একই কায়দায় আক্রমন হোলে কয় জন মারা যেতে পারে ।
একটা প্রশ্ন ইনডেমনিটির মেয়াদ ৮ তারিখ পর্যন্ত করা হোল কেন ? ৫ তারিখ হওয়ার কথা । এই ৩ দিন চলেছে পুলিশ হত্যাকান্ড।
কিন্তু সেটা আপনার মতন আয়ামীলীগের জন্যই সম্ভবনা। এখন ২০২৪ চলে, যেসব হত্যা, নির্যাতনের ভিডিও আছে সেটা আয়ামীলীগের ধংষের জন্য যথেস্ট।
স্নাইপার সুটার দিয়ে হত্যা করার প্রমাণ ও আছে , শুধু মুগ্ধের হত্যাকান্ডের উদাহরন দিয়েছি ।
১৭| ২০ শে অক্টোবর, ২০২৪ দুপুর ১:২১
রবিন_২০২০ বলেছেন: হৃদয়বিদারক। আর কিছু বলার মতো ভাষা নেই।
অফটপিকঃ আপনার ব্লগে আওয়ামী ইতরগুলোর মন্তব্য দেখে ধারণা করি ওই গুলোর জন্মের ঠিক নেই। হটাৎ করে এই বেজন্মা গুলো ব্লগের দখল নিয়ে নিয়েছে।
১৮| ২০ শে অক্টোবর, ২০২৪ দুপুর ১:২৮
নতুন বলেছেন: এ আর ১৫ বলেছেন: @ নতুন ,,,,,, @এ আর ১৫ ভাই আপনি ৩১০৮ জন পুলিশ হত্যার তথ্য কই পাইলেন? মিথ্যাচার করে আপনি আয়ামীলীগ হিসেবে প্রমান দিচ্ছেন।
এই তথ্যকে সরকারের পক্ষ হতে গোপন করা হয়েছে , কিন্তু ৪০০ + থানা আক্রমন এবং ধবংসের খবর সব মিডিয়াতে এসেছে , হাজার হাজার মানুষ থানা ঘিরে আক্রমন করা হয়েছে কিন্তু আটকে পড়া পুলিশদের কি হয়েছে তার কোন খবর নেই যদি ও খবর আছে থানার অস্ত্র লুট হয়েছে । একটা থানার আক্রমনের পরিনতি আমরা জানি ৩ রা অগাস্টের সিরাজগন্জের থানা আক্রমন করে লুট এবং ১৩ জন পুলিশ হত্যা করার কাহিণী , এখন চিন্তা করুন ৪০০+ থানাতে একই কায়দায় আক্রমন হোলে কয় জন মারা যেতে পারে ।
একটা প্রশ্ন ইনডেমনিটির মেয়াদ ৮ তারিখ পর্যন্ত করা হোল কেন ? ৫ তারিখ হওয়ার কথা । এই ৩ দিন চলেছে পুলিশ হত্যাকান্ড।
কাজলের কৌতুক মনে পড়ে গেলো।
এক চাপাবাজ একবার গল্প করছিলো, যে গত বছর সুন্দরবনে ৪০০ বাঘ দেখেছিলো। বন্ধুরা বলেছিল তাই ৪০০ বাঘ কিভাবে দেখবি?
বলে আরে ২০০ এর কম হবেনা। পরে ১০০ পরে ১০---
শেষে বলে যদি বাঘ না থেকে তবে গোলপাতা নড়লো কিভাবে।
আপনি ৪০০ থানাতে আক্রমনে ১৩+ পুলিশ বসে ছিলো হিসেবে ৩১০৮ সংখ্যার চাপা মারছেন?
কোন হত্যারই ইন্ডেমনিটি দিতে পারেনা। সকল হত্যার বিচার করতে হবে। যে মানুষের গায়ে হাত তোলে সে মানুষ থাকেনা, সে পুশুর চেয়েও অধম হয়ে যায়।
কিন্তু তাই বলে আপনি আয়ামীলীগের মতন অন্ধ হলে তো সমস্যা।
একটা কথা বলেন। আপনি কি সত্যি বিশ্বাস করেন যে ৩১০৮ জন পুলিশ থানাতে পুড়িয়ে মারা হয়েছিলো?
নাকি আয়ামীলীগের দলের প্রচারনা হিসেবে এইসব বলে বেড়াচ্ছেন?????
যদি দলের কর্মী হিসেবে মিথ্যা বলার কাজ নিয়ে থাকেন তবে সেটা ঠিক আছে।
কিন্তু যদি সত্যি বিশ্বাস করে এই মিথ্যা প্রচার করে বেড়াচ্ছেন তবে আপনার জন্য কস্ট হচ্ছে।
১৯| ২০ শে অক্টোবর, ২০২৪ দুপুর ১:৫৬
এ আর ১৫ বলেছেন: @নতুন---- আপনি ৪০০ থানাতে আক্রমনে ১৩+ পুলিশ বসে ছিলো হিসেবে ৩১০৮ সংখ্যার চাপা মারছেন?
জী প্রতিটি থানাতে গড়ে ১০ থেকে ২০ জন ২৪ ঘন্টা উপস্থিত থাকে , এক ব্যাচ যায় আরেক ব্যাচ আসে , থানা ওপেন থাকে ২৪/৩৬৫ ভিত্তিতে ।
প্রতি থানাতে কয়েক হাজার লোক অস্ত্র হাতে আক্রমন করেছিল , সব মিডিয়াতে এই খবর এসেছে , আপনার একটা গোল পাতা নড়ার উদাহরন এখানে চলে না । সব মিডিয়াই বলেছে ১ থানা নহে ৪০০ + থানাতে হাজার হাজার লোক মিলে আক্রমন করেছে ।
মিডি্যাতে শুধু ৩ অগাস্টের একটা থানার ১৩ জন পুলিশকে হত্যার খবর প্রচারিত হয়েছে এবং বাকি ৪০০+ থানার খবর গোপন করা হয়েছে ।
একটা কথা বলেন , সরকার যদি ইনডেমনিটি দেয়, সেটার সীমা ৫ ই অগাস্ট পর্যন্ত হওয়ার কথা, সেটা ৮ই অগাস্ট পর্যন্ত হোল কেন ? এই প্রশ্ন কি কখনো নিজেকে করেছেন ? এর কারনটা একটু অনুসন্ধান করুন তখন সব কিছু পরিষ্কার হয়ে যাবে ।
২০| ২০ শে অক্টোবর, ২০২৪ বিকাল ৩:০৫
নতুন বলেছেন: একটা কথা বলেন , সরকার যদি ইনডেমনিটি দেয়, সেটার সীমা ৫ ই অগাস্ট পর্যন্ত হওয়ার কথা, সেটা ৮ই অগাস্ট পর্যন্ত হোল কেন ? এই প্রশ্ন কি কখনো নিজেকে করেছেন ? এর কারনটা একটু অনুসন্ধান করুন তখন সব কিছু পরিষ্কার হয়ে যাবে ।
কোন সরকারই কোন অপরাধের ইনডেমনিটি দিতে পারেনা। সেটা ঠিক না।
কিন্তু আপনি কি পেটের দায়ে মিথ্যা প্রচার করছেন না কি বিশ্বাস থেকে সেটা আগে বলুন।
যদি পেটের দায়ে করে থাকেন তবে আপনার সাথে তর্ক করে সময় নস্ট করবো না। চালিয়ে যান, পেট সবারই আছে।
কিন্তু যদি বিশ্বাস করেন যে ৩১০৮ জন পুলিশ মারা গেছে তবে আপনাকে পাতা নড়ার গল্প বুঝিয়ে বলবো।
২১| ২০ শে অক্টোবর, ২০২৪ বিকাল ৩:৪৮
মোহাম্মদ সাজ্জাদ হোসেন বলেছেন:
আপনার কাছে যে আসবে ক্ষমা চাইতে?
২২| ২০ শে অক্টোবর, ২০২৪ সন্ধ্যা ৬:২৭
মেঠোপথ২৩ বলেছেন: @ রূপক বিধৌত সাধু , অন্ধভাবে ১৯৭১ এ জামাতের সাপোর্ট দিতেতো এই লেখককেতো কখনো দেখিনি । শুধু এই লেখক নয় , এই ব্লগের কোন ব্লগারকেই দেখিনি। আপনি দেখে থাকলে তথ্য প্রমান দিন। এখন আর আপনাদের জালিম সরকার নাই যে ভয় দেখিয়ে , ট্যগিিং করে দমিয়ে রাখতে পারবেন।। কারো বিরুদ্ধে অভিযোগ করলে তথ্য প্রমান সহকারে করবেন।
২৩| ২১ শে অক্টোবর, ২০২৪ ভোর ৬:৪৪
এ আর ১৫ বলেছেন: @ নতুন --- কোন সরকারই কোন অপরাধের ইনডেমনিটি দিতে পারেনা। সেটা ঠিক না।
আপনি কি মনে করেন , মানেন সেটা কি আমার প্রশ্ন ছিল --- আমার প্রশ্ন -- ৫ তারিখ থেকে ৮ তারিখ পর্যন্ত এই ৩ দিন কেন ইনডেমনিটির আওতায় আনা হয়েছে এবং এটার উত্তর হোল আপনি অপরাধের ইনডেমনিটি দেওয়া সমর্থন করেন না। আসল কথা পাশ কাটানোর অপ প্রয়াশ।
ব্যপারটা এমন যে -- সিকিউড লক্ড ভোল্ট থেকে কি ভাবে চুরি হোল ? এর উত্তর হোল -- আমি যে কোন রকম চুরি চামারির বিরুধী। আপনি এত বৎসর ব্লগিং করার পর এমন আউট , সত্যই অবাক বিষয় ।
যদি পেটের দায়ে করে থাকেন তবে আপনার সাথে তর্ক করে সময় নস্ট করবো না
সেটা তো আপনার কাজেই প্রমাণ করে । আপনাই আদর্শ ব্যক্তি এই বিষয়ে , আপনার গায়ে প্রগতিশীলতার ছাপ আছে , আপনারেই তো পে করবে মৌলবাদিরা - এই বিষয় গুলোকে হালকা করার জন্য । আপনার পিছলামি মার্কা কথা বার্তাই তো সে বার্তা দেয় ।
জবাব দেন--- সরকারের পতন হয় ৫ তারিখে কিন্তু দায়মুক্ত করা হয়েছে কেন ৮ তারিখ পর্যন্ত ?
২৪| ২১ শে অক্টোবর, ২০২৪ দুপুর ১২:২২
নতুন বলেছেন: এ আর ১৫ বলেছেন: @ নতুন --- কোন সরকারই কোন অপরাধের ইনডেমনিটি দিতে পারেনা। সেটা ঠিক না।
আপনি কি মনে করেন , মানেন সেটা কি আমার প্রশ্ন ছিল --- আমার প্রশ্ন -- ৫ তারিখ থেকে ৮ তারিখ পর্যন্ত এই ৩ দিন কেন ইনডেমনিটির আওতায় আনা হয়েছে এবং এটার উত্তর হোল আপনি অপরাধের ইনডেমনিটি দেওয়া সমর্থন করেন না। আসল কথা পাশ কাটানোর অপ প্রয়াশ।
আমি ইন্ডেমনিটির পক্ষে না। সেটা করে সরকার ভুল করেছে। বিএনপি, জামাতের চাপে এটা করেছে।
কিন্তু আপনার মিথ্যাচার ঠিক না।
©somewhere in net ltd.
১| ১৯ শে অক্টোবর, ২০২৪ বিকাল ৪:২৯
সৈয়দ মোজাদ্দাদ আল হাসানাত বলেছেন: ভীষন খারাপ লাগে গল্প গুলো পড়তে । ঐ কয়দিনতো খাবার, ঘুম কিছুই ছিল না। ভিপিএন দিয়ে ফেসবুকে খবর গুলো দেখতে দেখতে দুচোখ পানিতে ভিজে যেতো।