নির্বাচিত পোস্ট | লগইন | রেজিস্ট্রেশন করুন | রিফ্রেস

একজন অস্থির মানুষ। বৈপরীত্যকে লালন করি নিজের ভিতরে । সময়ের ধুলোবালি দৃষ্টিকে ঝাপসা করে- তবু চোখ মেলে চেয়ে থাকি নির্বিকার। অন্তরাত্মা চিতকার করে তবু শান্ত ভাবে হেঁটে চলি -যেন অন্যকারো চলা । উচ্চারিত কথামালা-সে ও যেন অন্য কারো বলা।

সেজুতি_শিপু

লেখালেখি করা হয়ে ওঠে না। কিন্তু মাথার ভিতর তাগিদ অনুভব করি। কত কী দেখছি চারপাশে, কত কত অনুভব বুদ্বুদের মত জেগে ওঠে, ইচ্ছে করে রেখে দেই শব্দ মালা গেঁথে। কিন্তু শব্দগুলো ফুল হয়ে ফোটে না। কেন কে জানে?

সেজুতি_শিপু › বিস্তারিত পোস্টঃ

সার্কাস

১২ ই এপ্রিল, ২০২২ দুপুর ২:৫৭


শৈশবে লক্ষ্মন দাসের সার্কাস দেখতে গিয়ে
টানটান বসে থাকতাম, অনড় , অপলক, রুদ্ধশ্বাস!
ছুঁড়ে দেওয়া নিষ্ঠুর ধারালো তলোয়ার অগ্রাহ্য করে
নিস্কম্প দাঁড়িয়ে থাকা তরুনের সেই সাহস,
কিংবা আগুনের গোলা অক্লেশে গিলে ফেলে
দুহাত ছড়িয়ে অনাবিল হাসিমুখ অভিবাদন!
সেই কিশোরী যে অনেক উঁচুতে শূন্য ঝুলে থাকা
পলকা দড়ির ওপর দৃঢ. পায়ে হেঁটে চলছে,
আর ক্ষুদে বামনের হৃদয়বিদারক সেই ভাঁড়ামো।
কী বিষ্ময়, কী বিষ্ময়!
তারপর কতদিন সেই ঘোর চলত…

বড় হতে হতে আবিস্কার করলাম -
কেউই কম যাই না তার থেকে-
প্রতিদিন বেঁচে থাকতে গিয়ে মানুষেরা যা করে
সেও জ্বলজ্যান্ত সার্কাসই বটে!
এই যদি আমার কথাই ধরি-
আগুনের গোলার মত
প্রতিদিন অক্লেশে গিলে ফেলছি কত কী ,
চারপাশ থেকে ছুটে আসা তলোয়ার থেকে
সবচে অপ্রস্তুত সময়েও দিব্যি
বাঁচিয়ে নিয়ে চলেছি নিজেকে,
যখন তখন ভাঁড়ামিও চলছে প্রচুর,
আর এই যে হেঁটে যাচ্ছি দৃঢ পায়ে
জীবনের মত বিপদজ্জনকভাবে
নড়বড়ে এক সুতোর উপর দিয়ে-
তার চেয়ে পলকা সব বাঁধন আঁকড়ে ধরে!
এগুলো কী সেই সার্কাসই নয়?
---------------------

মন্তব্য ১৪ টি রেটিং +১/-০

মন্তব্য (১৪) মন্তব্য লিখুন

১| ১২ ই এপ্রিল, ২০২২ বিকাল ৪:৫৮

রাজীব নুর বলেছেন: সুন্দর কবিতা।

১৮ ই এপ্রিল, ২০২২ সকাল ১১:৩৪

সেজুতি_শিপু বলেছেন: ধন্যবাদ।

২| ১২ ই এপ্রিল, ২০২২ সন্ধ্যা ৭:৩৪

সোবুজ বলেছেন: এতোদিন জানতাম পৃথীবি এক নাট্যশালা।আজ বুঝলাম পৃথীবি এক সার্কাসের যায়গা।কবিতা ভাল লেগেছে।

১৮ ই এপ্রিল, ২০২২ সকাল ১১:৩৫

সেজুতি_শিপু বলেছেন: ধন্যবাদ।অনেক ধন্যবাদ। পৃথিবী কি নয়?

৩| ১২ ই এপ্রিল, ২০২২ রাত ৯:১৭

নিমো বলেছেন: বহুদিন পর একটা কবিতার মত কবিতা পড়লাম।

১৮ ই এপ্রিল, ২০২২ সকাল ১১:৩৬

সেজুতি_শিপু বলেছেন: সত্যি? জেনে আনন্দিত হলাম। ধন্যবাদ।

৪| ১২ ই এপ্রিল, ২০২২ রাত ১০:২৭

শূন্য সারমর্ম বলেছেন:

শরীরে রক্ত গরম হতে হতে হয়নি ; সুন্দর কবিতা ছিলো।

১৮ ই এপ্রিল, ২০২২ সকাল ১১:৪৩

সেজুতি_শিপু বলেছেন: ধন্যবাদ। অনেক ধন্যবাদ। মানুষের রক্ত এমনিতেই ঈষত্ গরম ।

৫| ১৩ ই এপ্রিল, ২০২২ দুপুর ১:০০

প্রামানিক বলেছেন: চমৎকার কবিতা

১৮ ই এপ্রিল, ২০২২ সকাল ১১:৪৩

সেজুতি_শিপু বলেছেন: অশেষ ধন্যবাদ।

৬| ১৫ ই এপ্রিল, ২০২২ সন্ধ্যা ৭:৫১

সাগর কলা বলেছেন: - সুন্দর উপলব্ধি ভাইয়া।

১৮ ই এপ্রিল, ২০২২ সকাল ১১:৪৫

সেজুতি_শিপু বলেছেন: ধন্যবাদ। সাগর কলা কি আপনার প্রিয় ফল?

৭| ১৮ ই এপ্রিল, ২০২২ দুপুর ২:৩৫

জুল ভার্ন বলেছেন: অসাধারন সুন্দর একটা কবিতা।
লক্ষ্মণদাস সার্কাস নামটি শুনে নষ্টালজিক হয়ে গিয়েছি। আমি এই সার্কাস কোম্পানীর সার্কাস দেখেছি। লক্ষ্মনদাস সার্কাসাএর মালিক বরিশাল জেলার গৌরনদী থানায়। স্বাধীনতা যুদ্ধের সময় পাক হানাদার বাহিনী এই সার্কাস কোম্পানীর মালিক লক্ষ্মন দাস এবং সার্কাসের একটা হাতি, ভাল্লুক এবং বাঘ গুলি করে মেরে ফেলেছিলো।

১৮ ই এপ্রিল, ২০২২ বিকাল ৪:১০

সেজুতি_শিপু বলেছেন: অনেক ধন্যবাদ পাঠের জন্যে, মন্তব্যের জন্যে। আমিও শৈশবে সার্কাস দেখেছি। সেগুলি লক্ষ্মণদাসের ছিল কিনা মনে নেই। অনেক তথ্য জানতে পারলাম। অশেষ ধন্যবাদ ।

আপনার মন্তব্য লিখুনঃ

মন্তব্য করতে লগ ইন করুন

আলোচিত ব্লগ


full version

©somewhere in net ltd.