নির্বাচিত পোস্ট | লগইন | রেজিস্ট্রেশন করুন | রিফ্রেস |
মন রে, কৃষিকাজ জানো না; এমন মানবজমিন রইল পতিত আবাদ করলে ফলত সোনা! রামপ্রসাদ সেন ([email protected])
এলাকার এক ভাতিজা বিদেশ থেকে বাড়ি এসে খুব টাকা-পয়সা খরচ করা শুরু করল। তার বন্ধু-বান্ধবের সংখ্যাও বেড়ে গেল। এ সময়ে কলেজ পড়ুয়া এক মেয়ের পেছনে ঘোরা শুরু করল সে। বিষয়টা ভাতিজার পরিবার ভালোভাবে নিল না। এরমধ্যে হঠাৎ করে তার বাপ টাকা-পয়সা সব নিয়ে নিল। ভাতিজার টাকার অভাব দেখা দিল। এমন অবস্থা দাঁড়াল চুল কাটার, এমনকি তার নাকের কী একটা সমস্যা; সেটা ভালো করার জন্য ডাক্তার দেখাতে টাকা দরকার সেটাও তার বাপ দেয় না। ভাতিজা দুঃখ করে বলে, কাকা, আমি একসময় রাজার জীবন পার করেছি। আর এখন ফকির।
ভাতিজার বন্ধু-বান্ধবের সংখ্যাও কমে গেল। এখন বলতে গেলে সে ঘরবন্ধী। খুব একটা বাইরে বের হয় না। আমি তাকে বললাম, “সুসময়ে অনেকেই বন্ধু বটে হয়, অসময়ে হায় হায় কেউ কারো নয়”। সে কিছু বলে না।
যাহোক, আওয়ামী লীগ ক্ষমতায় থাকার সময় বঙ্গবন্ধু শেখ মুজিবুর রহমানের জন্মদিনে এক শিক্ষক কেক না পেয়ে পাউরুটি কেটে জন্মদিন পালন করেছিলেন। এ ঘটনায় পুলিশ ওই শিক্ষককে ধরে নিয়ে গিয়েছিল। তুচ্ছ কারণে কতজনের চাকরি গেল, কতজন জেল খাটল এগুলো এখনও বিস্মৃত হয়নি! অতি উৎসাহীদের মুজিবপ্রীতি দেখে আমি বুঝেছিলাম, আওয়ামী লীগের পতন হলে এরা সবার আগে পালাবে অথবা পল্টি নেবে।
আসলে চাটুকারদের দ্বারা বেষ্টিত হয়ে থাকলে বাস্তবতা বোঝা যায় না। শেখ হাসিনা চাটুকার দ্বারা সবসময় বেষ্টিত ছিলেন। তিনি বাইরের খবর পেতেন বলে মনে হয় না। তার আশপাশে কি এমন কেউ ছিলেন না যিনি বাস্তবতা জানেন? অবশ্যই ছিলেন। কিন্তু তিনি হয়তো তাদের কথায় গুরুত্বই দেননি।
পয়সা খাইয়ে সাংবাদিক পুষেছিলেন শেখ হাসিনা। ৫ আগস্টের আগে যারা ‘জি আপা, জি আপা’ করত। আহ্লাদিত কণ্ঠে আপা ডাক শুনে শেখ হাসিনা হয়তো ভেবেছিলেন তারা নিজের মায়ের পেটের ভাই। ৫ আগস্টের পর দায়ে পড়ে হোক, খুশিতে হোক আর নতুন লাভের গুড় খেতে গিয়েই হোক তারা ‘খুনি হাসিনা’, ‘ফ্যাসিস্ট হাসিনা’ বলতে শুরু করল। এখন অন্যজনের তোষামুদি শুরু করছে মিডিয়া। যাদের খবর প্রচারিত হতো না, তাদের খবর সবার আগে প্রচার পাচ্ছে। আগে বিটিভিতে বাতাবি লেবুর বাম্পার ফলন দেখাত। এখন সব চ্যানেলেই একই দশা। আগের সবাইকে বাদ দিয়ে নতুন নতুন লোক নিয়োগপ্রাপ্ত হচ্ছেন, তারাও শেখ হাসিনার দেখানো পথেই চলছেন। তবে মুখ খুলে কিছু বলা যাচ্ছে না। বললেও তাদের মনমতো হতে হবে। এটা অনুমিতই ছিল। গণেশ যে এভাবে উল্টে যাবে; ঘুণাক্ষরেও কি শেখ হাসিনার মনে হয়নি?
আসলে গত ১৫ বছরে প্রতিকূল পরিস্থিতি সামাল দিয়ে তার সাহস এমন বেড়ে গিয়েছিল যে, মনে করেছিলেন তাকে কেউ নামাতে পারবে না। আমেরিকাকেও গোণায় ধরেননি।
এই প্রতিকূল পরিস্থিতিতেও কিছু মানুষকে দেখা যাচ্ছে বঙ্গবন্ধুর পক্ষে কথা বলে বিপদে পড়ছেন, কারও কারও চাকরি চলে যাচ্ছে। শেখ হাসিনা তার সুসময়ে তাদের মূল্যায়ন করেননি। আবার যদি ক্ষমতাপ্রাপ্ত হন, একই কাজ করবেন তিনি। ত্যাগীদের মূল্যায়ন করবেন না। বস্তুত কোনো দলই করে না। এ জন্য পরে ভোগে।
যে যেমন করে সে তেমনই ফলভোগ করে। আজকে যারা বঙ্গবন্ধু শেখ মুজিবুর রহমানকে জাতির জনক মানছে না, একাত্তরকে অস্বীকার করছে, অন্যের ওপর জুলুম করছে; একটা সময় হয়তো আসবে তারাও একই পরিণতির মুখোমুখি হবে। ভুলে গেলে চলবে না দিন সবসময় একরকম যায় না। শেখ হাসিনা যেমন গোয়ার্তমির ফল ভোগ করছেন, একই রকম ফল এখনকার স্বৈরাচারীরাও ভোগ করবে। প্রকৃতি কাউকেই ছাড়ে না।
ছবি: ইন্টারনেট
১৬ ই অক্টোবর, ২০২৪ সন্ধ্যা ৭:৪২
রূপক বিধৌত সাধু বলেছেন: “১৫ জুলাই থেকে ৮ আগস্ট পর্যন্ত সংঘটিত জুলাই গণঅভ্যুত্থানসংশ্লিষ্ট ঘটনার জন্য কোনো মামলা, গ্রেপ্তার বা হয়রানি করা হবে না।” পুরাই মগের মুল্লুক।
২| ১৬ ই অক্টোবর, ২০২৪ সন্ধ্যা ৭:৪৫
পুরানমানব বলেছেন: একাত্তরকে কেউ অস্বীকার করিতেছে না । অযথা ফালতু কথা লিখবেননা। মুজিবের স্বৈরাচারী নিকৃষ্টতা তুলে ধরে তার উপযুক্ত জবাব দিতেছে জনগন।
জাতির যে আরো অনেক আব্বা আছেন সেইটা একটু মনে করাইয়া দেওয়া দরকার নতুন প্রজন্ম কে।
আপনি কোথায় পাইয়াছেন ৭১ কে অস্বীকার করা হইতাছে ? এরকম অপবাদ আপনি দিতে পারেননা।
১৬ ই অক্টোবর, ২০২৪ সন্ধ্যা ৭:৫৫
রূপক বিধৌত সাধু বলেছেন: একটা জাতির জনক কয়জন হয়?
৩| ১৬ ই অক্টোবর, ২০২৪ রাত ৮:০৮
পুরানমানব বলেছেন: লেখক বলেছেন: একটা জাতির জনক কয়জন হয়?
মুজিবকে জাতির পিতা ঘোষণা দিয়াছে স্বাধীনতা পরবর্তী সর্বোচ্চ নিকৃষ্ট এবং বর্বর দল ''বাল'' (বাংলাদেশ আওয়ামীলীগ) ,বঙ্গবন্ধু উপাধি দিয়াছে তোফায়েল।
আর স্বৈরাচার উপাধি দিয়াছে সারাদেশের জনগণ। যার ফলাফল ১৫ ই আগস্ট।
এখন আবার বলিয়েননা ড্যাডি খারাপ হইলেও ড্যাডি। একখানা জাতি মানুষের মতন একজনের বীর্য হইতে উৎপন্ন হয়না , সম্মিলিত ত্যাগে একখানা জাতি স্বাধীনতা লাভ করে।
১৬ ই অক্টোবর, ২০২৪ রাত ৮:১৭
রূপক বিধৌত সাধু বলেছেন: প্রেসক্লাবে তাহলে আপনিই হাজির ছিলেন জিন্নাহর জন্মদিন পালন করতে? তা পাকিস্তানের জাতির জনক কয়জন? জিন্নাহ ছাড়া আর কেউ আছে?
৪| ১৬ ই অক্টোবর, ২০২৪ রাত ৮:১৪
বিউটিফুল ইউ বলেছেন: ভাদ্র মাসে কুত্তা পাগল হয়। ফেব্রুয়ারি মার্চ আর ডিসেম্বরে পাগল হয় কুকুর রাজাকার আলবদর বাহিনী। পাকি জারজ ছাড়া কেউ জাতীর পিতা ও বঙ্গবন্ধুকে অসম্মান করবেনা।
১৬ ই অক্টোবর, ২০২৪ রাত ৮:১৯
রূপক বিধৌত সাধু বলেছেন: জাতির জনক ইস্যুতে ওদের চুলকানি পুরোনো। জিন্নাহকে জাতির জনক ঘোষণা করলে খুশি হতো।
৫| ১৬ ই অক্টোবর, ২০২৪ রাত ৮:২৩
পুরানমানব বলেছেন: লেখক বলেছেন: প্রেসক্লাবে তাহলে আপনিই হাজির ছিলেন জিন্নাহর জন্মদিন পালন করতে? তা পাকিস্তানের জাতির জনক কয়জন? জিন্নাহ ছাড়া আর কেউ আছে?
বাংলাদেশ লইয়া থাকতে পারেননা বদ্দা? কথায় কথায় লাফ দিয়া পাকিস্তান যাইতাছেন কেন ?
আমার আগের মন্তব্যের দেওয়া উত্তরখানা বুঝিলে এই শিশুতোষ প্রশ্ন করিতেননা।
১৬ ই অক্টোবর, ২০২৪ রাত ১০:১৮
রূপক বিধৌত সাধু বলেছেন: ‘বাঙালি জাতির জনক’ তত্ত্বটি নিয়ে অনেক বাঙালির মনোজগতেই অনিচ্ছাকৃত বা ইচ্ছাকৃত দোটানা-দোনোমনা-দোলাচল আছে। এই দ্বিধাগ্রস্ত সম্প্রদায়টিকে আরো বিভ্রান্ত-বিভক্ত করে দেয়ার উদ্দেশ্যে অনেক মর্দে মোজাহিদ আবার পরিকল্পিতভাবে ‘মুসলিম জাতির জনক’-এর সাথে ‘বাঙালি জাতির জনক’-এর একটি সুচতুর সংঘর্ষ বাঁধিয়ে দিয়ে থাকেন। ‘বাঙালি জাতির জনক’ ও ‘মুসলিম জাতির জনক’ সম্পূর্ণ ভিন্ন দুটো ধারণা, এর একটির সাথে আরেকটির কোনো সংঘাত-সংঘর্ষ নেই; যেটুকু বিভ্রান্তি আছে, সেটুকু সুপরিকল্পিতভাবে ছড়িয়েছে রাজাকারচক্র।
হজরত ইবরাহিম (আ.) গোটা মুসলিম জাতির পিতা। তিনি আরবিভাষী-ফারসিভাষী মুসলিমদেরও পিতা, আবার ইংরেজি-তুর্কি-গ্রিক-উর্দু-পর্তুগিজ-বাংলা-চাকমা-মান্দি-হিন্দিভাষী মুসলিমদেরও পিতা। একটি ধর্মে কেবল একটি ভাষার লোকজনই অন্তর্ভুক্ত নন, বরং বহু ভাষার ও বহু দেশের লোকজন অন্তর্ভুক্ত। মুসলিম জাতির যেমন একজন পিতা আছে, তেমনি একটি দেশের জনগণের কিংবা একটি ভাষার ব্যবহারকারীদেরও আলাদা-আলাদা পিতা থাকতে পারে; যেমন : সৌদি আরবের পিতা ইবনে সৌদ, তুরস্কের ও তুর্কি জাতির পিতা কামাল পাশা, ভারতীয়দের পিতা মহাত্মা গান্ধী, পাকিস্তানিদের পিতা মুহাম্মদ আলি জিন্নাহ, বলিভিয়ানদের পিতা সাইমন বলিভার, বাংলাদেশের ও বাঙালি জাতির পিতা শেখ মুজিবুর রহমান।
অনেকে আছেন; যারা মুসলিম জাতির জনক, তুর্কি-আরব-ইরানি জাতির জনক থেকে শুরু করে রাষ্ট্রবিজ্ঞান-জীববিজ্ঞান-চিকিৎসাবিজ্ঞান-রসায়নশাস্ত্রসহ সব কিছুর জনককে মেনে নিতে রাজি; কেবল ‘বাঙালি জাতির জনক’-কে মানতেই তারা নারাজ, কেবল এই একটি ইশুতেই ‘মডারেট মুসলিম’ থেকে তারা কট্টর মুসলিম হয়ে যান! মারদাঙ্গা মোজাহিদরা আবার বলে থাকেন— ‘যারা মুজিবকে জাতির জনক বলে, তাদের মায়েরা মুজিবের সাথে শুয়েছে নাকি?’ অবশ্য এই মর্দে মোজাহিদদের মগজে শোয়াশুয়ি ছাড়া আর কোনো চিন্তাভাবনা নেই। শত-শত গিগাবাইট পর্নো-লব্ধ বিদ্যা যাদের মগজে, ময়না-টিয়া-কলিজুদের সাথে টেলিসঙ্গম ও টেবিলসঙ্গম-লব্ধ এলেম যাদের শিশ্নাগ্রে; তাদের কাছ থেকে এই শোয়াশুয়ি ছাড়া আর কী বা আশা করা যেতে পারে!
ইবনে সৌদ সৌদি আরবের, কামাল পাশা তুর্কি জাতির, অ্যারিস্টটল রাষ্ট্রবিজ্ঞানের, ইবনে সিনা চিকিৎসাশাস্ত্রের জনক; এর মানে এই না— সকল সৌদির মা ইবনে সৌদের সাথে শুয়েছেন, সকল তুর্কির মা কামাল পাশার শয্যাসঙ্গী হয়েছেন, রাষ্ট্রবিজ্ঞানের সকল শিক্ষার্থীর মা অ্যারিস্টটলের সাথে কিংবা সকল চিকিৎসকের মা ইবনে সিনার সাথে শুয়েছেন! এই পিতৃত্ব আদর্শিক-রাজনৈতিক-ঐতিহাসিক, এই পিতৃত্ব বিমূর্ত ও প্রতীকী। জৈবিক পিতার সাথে এই পিতাদের সংঘর্ষ নেই। এই পিতারা সন্তানদেরও পিতা, সন্তানদের জৈবিক পিতাদেরও পিতা। বিয়েবহির্ভূত শোয়াশুয়ির অভ্যেস ছিল অবশ্য জিন্নাহর, শুয়ে থাকলে কতিপয় পাকিস্তানির কিংবা কতিপয় বাংলাদেশী ছুপা পাকির মা-নানি-দাদি উনার সাথে শুয়ে থাকতে পারেন; তাও ঐ শরীর নিয়ে জিন্নাহ সকল পাকিস্তানির মায়ের সাথে শুয়েছেন বা শুতে পেরেছেন বলে মনে হয় না!
যখন বলা হয় ‘মুসলমান-মুসলমান ভাই-ভাই’, তখন এই ভ্রাতৃত্ব জৈবিক নয়, বরং আদর্শিক। করিম মুসলমান, করিমের বাবা বা শ্বশুরও মুসলমান; এর মানে কি মুসলমান হবার কারণে ঐ বাবা ও শ্বশুরও করিমের ভাই? হাসপাতালের নার্সদেরকে লোকে ‘সিস্টার’ ডাকে; রহিম নার্সকে ‘সিস্টার’ ডাকলে রহিমের বাবা কি নার্সকে ‘ডটার’ ডাকবেন? পাদরিদেরকে লোকে ‘ফাদার’ ডাকে; এখন কি আলবার্ট পাদরিকে ‘ফাদার’ ডাকলে আলবার্টের মা ঐ পাদরিকে ‘হাজব্যান্ড’ ডাকবেন? যেসব মর্দে মোজাহিদ ‘বাঙালি জাতির জনক’-তত্ত্বে বিশ্বাসী না, তাদের অনেকেই আবার বিভিন্ন পিরের মুরিদ; ঐ পিরদেরকে তারা ‘পির বাবা’, ‘দয়াল বাবা’ ইত্যাদি বলে ডাকেন; এর মানে কি ঐ মর্দে মোজাহিদদের মায়েরা ঐ পিরবাবা বা দয়াল বাবার সাথে শুয়েছেন? তাদের মায়েরা কি ঐ পিরদেরকে ‘পির স্বামী’ কিংবা ‘দয়াল স্বামী’ বলে ডাকেন?
এসব প্রশ্নের জবাব নেই। এসব প্রশ্ন জিজ্ঞেস করলে কিছু নান্দনিক নুরানি গালি ছাড়া আর কিছু জোটে না। মর্দে মোজাহিদরা সব জনক-এ বিশ্বাসী, কেবল ‘বাঙালি জাতির জনক’-এ অবিশ্বাসী। চুলকানিটা জনকেও নয়, বাঙালি জাতির জনকেও নয়; চুলকানিটা শেখ মুজিবে! যদি শেখ মুজিবের জন্ম না হতো কিংবা ‘বাঙালি জাতির জনক’ হিশেবে যদি নাম আসত ফজলুল কাদের চৌধুরী কিংবা গোলাম আজমদের; তাহলে ঐ মর্দে মোজাহিদরা ‘বাঙালি জাতির জনক’ তত্ত্বকে কেবল মেনেই নিত না, বরং তারা দলে-দলে নোটারি কিংবা অ্যাফিডেভিট করে জন্মদাতা বাপের নাম কেটে দিয়ে সার্টিফিকেটে-পাসপোর্টে-পরিচয়পত্রে ঐ ফজলুল-গোলামদের নাম বসিয়ে নিত!
পরিচয়পত্রে জনৈক লাল মিয়ার নাম ভুলক্রমে সোনা মিয়া এসেছে, কর্তৃপক্ষের কাছে গিয়ে লাল মিয়া বললেন— ‘ভাই, আমার সোনাটা কেটে একটু লাল করে দেন না!’ বাঙালি জাতির জনক হিশেবে শেখ মুজিবের পরিবর্তে এই ফজলুল-গোলামদের নাম এলে কত বাঙালি যে সোনা কেটে লাল করার জন্য লাইনে দাঁড়িয়ে যেত, এর ইয়ত্তা নেই।
শেখ মুজিব বাংলাদেশ রাষ্ট্রের প্রতিষ্ঠাতা, বাংলাদেশের স্বাধীনতাসংগ্রামের অবিসংবাদিত ও অপ্রতিদ্বন্দ্বী নেতা। স্বাধীনতার পক্ষের কারো তাকে বাঙালি জাতির জনক বলে ডাকতে আপত্তি থাকার কথা নয়, তাকে বাঙালি জাতির জনক বলে ডাকার বিপরীতে হাজারও ছুতা তুলতে পারে কেবল স্বাধীনতাবিরোধী রাজাকারচক্র ও ছুপা রাজাকারচক্র। শেখ মুজিবকে বাঙালি জাতির জনক বলে ডাকতে যদি নিতান্তই আপত্তি থেকে থাকে, তবে তা থাকতে পারে বাংলাদেশের বাইরের কিছু-কিছু বাঙালির। বাঙালি কেবল বাংলাদেশে নেই, বাংলাদেশের বাইরেও আছেন। তাদের কাছে মুজিবের চেয়েও গুরুত্বপূর্ণ বাঙালি থেকে থাকতে পারেন। বাংলাদেশের বাইরের বাঙালিদের কাছে শেখ মুজিব জাতির জনক কি না, সেটি অবশ্য দীর্ঘ অ্যাকাডেমিক আলোচনার বিষয়।
বঙ্গবন্ধু শেখ মুজিবুর রহমানকে বাঙালি জাতির জনক হিশেবে স্বীকৃতি দিতে অন্তত বাংলাদেশের কোনো বাঙালির দ্বিধা থাকার কথা নয়। যদি কারো থেকেই থাকে, তবে সে নিশ্চয়ই স্বাধীনতাবিরোধী কিংবা কোনো স্বাধীনতাবিরোধীর ঔরসজাত বেওয়ারিশ উত্তরসূরি।
৬| ১৬ ই অক্টোবর, ২০২৪ রাত ৮:৩১
পুরানমানব বলেছেন: বিউটিফুল ইউ বলেছেন: ভাদ্র মাসে কুত্তা পাগল হয়। ফেব্রুয়ারি মার্চ আর ডিসেম্বরে পাগল হয় কুকুর রাজাকার আলবদর বাহিনী। পাকি জারজ ছাড়া কেউ জাতীর পিতা ও বঙ্গবন্ধুকে অসম্মান করবেনা।
এসক্কল ভাদ্র আশিন ছাড়িয়া বলেন মোদির জারজগুলান ভারতে বৈধ সন্তানের পরিচয় পাইছে কিনা , নাকি ঐখানেও সক্কলে জারজ বলিয়া ডাকিতেছে ?
১৬ ই অক্টোবর, ২০২৪ রাত ১০:২০
রূপক বিধৌত সাধু বলেছেন: মোদি ক্ষমতায় আসার পর ঢাকায় একটা দলের নেতাকর্মীরা মিষ্টি বিতরণ করেছিল। সেটা মানুষ ভুলে যায়নি। অথচ তারাই এখন দিনরাত মোদির নাম জঁপে।
৭| ১৭ ই অক্টোবর, ২০২৪ দুপুর ১:২৮
রাসেল বলেছেন: বঙ্গবন্ধুকে ১৯৭১ সালের তথা যুদ্ধ পূর্ববর্তী সময়ের ভূমিকার জন্য সম্মান জানানো যেতে পারে, তবে যুদ্ধ পরবর্তী সময়ের ভূমিকার জন্য নয়।
১৯ শে অক্টোবর, ২০২৪ বিকাল ৫:৪৬
রূপক বিধৌত সাধু বলেছেন: বাংলাদেশের ইতিহাসে ধুয়া তুলসিপাতা কেউ না। আগামী ১০-১৫ বছর পর বিশ্লেষণ করে দেখা যাবে অন্যদের তুলনায় শেখ হাসিনা ভালো। এখন যদিও স্বৈরাচার বলা হচ্ছে। আসলে আমাদের দেশে শতভাগ নিখুঁত রাজনীতিবিদ পাওয়া যাবে না।
©somewhere in net ltd.
১| ১৬ ই অক্টোবর, ২০২৪ সন্ধ্যা ৭:২৮
সোনাগাজী বলেছেন:
কোমলমতিদের পরিচয় বের হওয়ার পর থেকে পরিস্হিতি বদলাচ্ছে।