নির্বাচিত পোস্ট | লগইন | রেজিস্ট্রেশন করুন | রিফ্রেস |
আমি শুধু কয়েকটা কথা বলতে চাই...
এই আন্দোলন দমাতে এবং ভেঙে চুরমার করে দিতে সরকার বেশ কয়েকটি বিষয়কে সামনে নিয়ে আসতে পারে। তারমধ্য কিছু হল ইনফ্লুয়েন্সার টাইপের ব্যক্তিবর্গ,সেটা হতে পারে রাজনৈতিক,হিউমিনিস্ট,শিক্ষাবিদ টাইপের। এরা আপনাদের সমর্থন দিয়ে আপনাদের ভেতরে ঢুকে গিয়ে লিডারশীপ দেয়া তত্থা নির্দেশনা দেয়া শুরু করবে। এটা হতে পারে তাদের সোশ্যাল মিডিয়া প্ল্যাটফর্মে অথবা সরাসরি ময়দানে। যখনই এই টাইপের কিছু এদের থেকে দেখবেন তড়িঘড়ি করে তামিম সাকিব মাশরাফির মত ছুড়ে ফেলে দিবেন,দুই সেকেন্ড ও সময় নিবেন না।
ছবিতে লক্ষ্য করুন,এটা ২৯ জুলাই ২০২৪ এর চিত্র,ঢাকার আকাশের চিত্র। একটি হেলিকপ্টার ও একটি ফাইটার জেট(সম্ভবত,আমি যদি ভুল না হই) উড়েবেড়াচ্ছে। এটা কেন? আপনাদের উপর হামলা করবে? গুলি করবে? অথকবা স্বৈরাচারের ভাষায় পানি ঢালবে? নাহ! এইসবের একমাত্র কাজ হচ্ছে মানুষকে ভীতিপ্রদর্শন করা,আতংকিত করা। পূর্বে যত অপকর্ম করেছে এরা আর এই ধরণের কোন কিছু করার সাহস রাখেনা।
ইউএন পীসকিপিং,ইউএন হিউমেন রাইটস শুধু নয়,সারা বিশ্বের অসংখ্য সাংবাদিক,বুদ্ধিজীবী,রাজনৈতিক নেতা,ইউকে পার্লামেন্ট সহ সবাই ডাকে সাড়া দিয়েছে,কথা বলেছে, বলতেছে। সেনাবাহিনীর উপরই শুধু চাপ আসেনি,গোটা স্বৈরাচারের উপরই এসেছে ও তার দলবলের উপর। মনে রাখবেন র্যাব বা র্যাপিড একশন গণভবন নামের ফোর্স অনেক ঠান্ডা হয়ে গেছে আগের চেয়েও। পুলিশ গুলি চালাবেনা আগের মত। তবে এরা সর্বোচ্চ ভাবে পুলিশ কে ব্যবহার করতে চাইবে,লাঠিপেটা বা টিয়্যারশেল। আপনারা সর্বদা সবকিছুর জন্য প্রস্তুত থাকবেন,মনে রাখবেন আপনার ভাই,আপনার বন্ধুদের জন্য এদের নূন্যতম সিম্প্যাথি ছিলোনা,নেই।
আকাশে যান,সেনাবাহিনীর গাড়িবহর অথবা র্যাবের গাড়ি সবই থাকবে,যুদ্ধের পরিবেশ তৈরী করে এরা এই রাষ্ট্রকে দমিয়ে রাখতে চাইবে। উগ্রতা পরিহার করবেন,ছেড়ে দিবেন না। ছাত্রলীগ পেলে ছাড়বেন না,ঢাবিতে আমাদের বোনদের আল্লাহরেএএএএএএএ চিৎকারের শব্দ এখনো কানে বাজে।
সবচেয়ে বড় বিষয় হচ্ছে সামাজিক ভাবে নিজ এলাকায় কমিউনিটি গড়ে তুলুন,প্রয়োজনে পরিবার সহ অন্যান্য এলাকার,একই বিল্ডিং,পাশের বিল্ডিংয়ের মানুষদের সাথে একজোট হয়ে যান,এরা আপনাকে দিনের বেলায় গুলি না করলেও রাতে গুম করতে পারে,এরেস্ট তো করবেই,অতএব কমিউনিটি গড়ে তুললে আপনার বাসায় এট্যাক করলে কমিউনিটির মাঝে সেটা ছড়িয়ে দিন হেল্প চেয়ে,সবাইকে ডাক দিন,একিভাবে আপনিও করবেন(পরিবার প্রয়োজনে পুরো বিল্ডিংয়ের সব মানুষ সাহায্য বেরিয়ে আসুন এভাবেই গ্রেপ্তার বা গুম ঠেকানো সম্ভব এবংকি আবাসিক এলাকায় ঢুকার ও সাহস পাবেনা দুই একটা জায়গায় উল্টো হামলার শিকার হলে।
সর্বশেষ যে বিষয়টি বলব সেটা হচ্ছে,আপনি যে গুম হচ্ছেন অথবা আপনি যে এরেস্ট হচ্ছেন এটার একমাত্র কারণ হচ্ছে সোর্স। পুলিশ,ডিবি,র্যাব যে কাউকে বাসায় গিয়ে এরেস্ট করে তারা কখনোই নিজেরা আগে যায়না,এদের সোর্সের মাধ্যমে এরা কনফার্মেশন নেয়,দ্যান ডিরেক্ট হিট করে। এই হিট শব্দটা আসলে মূলত র্যাবের। র্যাবের গুম সম্পর্কে বা সোর্স সম্পর্কে অন্য কোনদিন কথা বলব। অতএব এই সোর্সদের এড়িয়ে চলুন,বিশেষ করে এই সময়ে কট্টর, উগ্রপন্থী ও দুই নৌকায় পা দেয়া আপনার বন্ধুকেও পরিহার করুন। এড়িয়ে চলুন,আপনি ভাত খেলে বলবেন চাওমিন খাইছেন,চাওমিন খাইলে বলবেন ডিবির ন্যুড(ল)স খাইছেন।
সবাই দোয়া করবেন,মসজিদে,রাস্তায়,হাটতে,বসতে,খাইতে,নামাজে,গীর্জায়,মন্দিরে।
পূর্ব দিগন্তে সূর্য উঠতেছে বন্ধুরা...
- Riaz Hannan
Blogger,Online Activist,Humanist
©somewhere in net ltd.
১| ৩০ শে জুলাই, ২০২৪ রাত ১০:০৪
মেঠোপথ২৩ বলেছেন: view this link
view this link
উপড়ের ভিডিওগুলো এখন ফেসবুকে ভাইরাল। বিশিষ্ট আইনজীবিরা ছাত্রদের পাশে এসে দাড়িয়েছ। তুলে নিয়ে গিয়েও এখন আর বেশি সুবিধা করতে পারবে না পুলিশ।