নির্বাচিত পোস্ট | লগইন | রেজিস্ট্রেশন করুন | রিফ্রেস

অশান্ত বাশিওলা

raselabe

তাই মনে হয় আমি বড় স্বার্থপর।

raselabe › বিস্তারিত পোস্টঃ

@ যে দেশ তার নাগরিকদের তেমন কিছু দিতে পারে না, সে দেশের নাগারিকগণও সে দেশকে তেমন কিছু দিতে চায় না বা পারে না @

১৭ ই ফেব্রুয়ারি, ২০১৭ রাত ৯:২৭

এবারের সংগ্রাম আমাদের বেকারত্ব থেকে মুক্তির সংগ্রাম, এবারের সংগ্রাম আমাদের বাঁচা মরার সংগ্রাম।বেকার যখন হয়েছি আরও প্রয়োজনে যুগ যুগ বেকার থাকবো। আমরা বেকার যখন হয়েছি প্রয়োজনে , কিছু নতুন বেকার তৈরি করবো তবু বাংলাদেশকে বেকার মুক্ত করে তুলবো ইনশাল্লাহ। আসুন সকল বেকাররা মিলে এক যুগে বেকার মুক্তির আন্দলন গড়ে তুলি। সকল বেকার ভাই বোন এবং বন্ধুঃ হাতে হাত রেখে ঐক মত গড়ে তুলি আর আওয়াজ তুলি হয় সকল বেকারদের মেরে ফেলা হোক না হয় চাকরি দাও !!!!!!! ( জাতির পিতার বানী পারোডি করার জন্য আন্তরিক ভাবে দুঃখিত )।
শিক্ষা মানুষকে দেয় আলো এবং সম্মুখে চলার পথ। শিক্ষা যখন আলো দানের পরিবর্তে শিক্ষার্থীদের অন্ধকারে নিক্ষেপ করে তখন আমরা আসলে কাকে দায়ী করব? শিক্ষার্থীদের, না শিক্ষা প্রতিষ্ঠানগুলোকে, না অভিভাবকদের, না শিক্ষাব্যবস্থাকে না রাজনৈতিক নেতৃত্বকে? আসলে কমবেশী সবাই দায়ী।
ক্রমবর্ধমান বেকারত্বের দেশ আমাদের প্রিয় বাংলাদেশ (বেকারদের কাছে মনে হয় খুব একটা প্রিয় না শুধুমাত্র চাকুরি ছাড়া )। কী দরকার শিক্ষিত তরুণদের ছোট মেসে থাকা, গুটিসুটি হয়ে এবং অস্বাস্থ্যকর জীবনযাপন করা আর রাস্ট্রের উপর চাপ বাড়ানো।
কিন্তু পরিস্থিতি যে কত ভয়াবহ তা বিভিন্ন পরিসংখ্যান এবং চিত্রের মাধ্যমে বুঝা যায়। আমরা যখনই কোনো নিয়োগ পরীক্ষায় পরীক্ষা দিকে তাকায়, তখন দেখা যায় শিক্ষিত বেকারদের কী করুণ দুর্দশা। হাজার হাজার নয়, লাখ লাখ শিক্ষিত বেকার ঘুরে বেরাচ্ছে চাকুরি নামক সোনার হরিণের পিছনে। এই হরিণ ধরার জন্য একশটি পদের বিপরীতে কয়েকশ কিংবা কয়েক হাজার প্রার্থী এসে হাজির হয়, সবাই উচ্চশিক্ষিত। দিনের পর দিন, মাসের পর মাস এবং বছরের পর বছর তারা হয় বাবা-মার উপর কিংবা টিউশনি বা এ ধরনের কিছু অস্থায়ী পেশার উপর নির্ভর করে চলছে। কোথায় তাদের ভবিষ্যত, কোথায় দেশকে কিছু দেয়ার চিন্তা আর কোথায় সুকুমার বৃত্তি কিংবা দেশ সেবার চিন্তা। শুধুই বেঁচে থাকার সংগ্রাম। এই চিন্তাই তাদের আচ্ছন্ন করে রাখে সর্বক্ষণ। তাদের চোখে মুখে ফুটে উঠে, যে দেশ তার নাগরিকদের তেমন কিছু দিতে পারে না, সে দেশের নাগারিকগণও সে দেশকে তেমন কিছু দিতে চায় না বা পারে না ।
ইন্টারভিউয়ের ক্ষেত্রে দেখা যায়, অনেক প্রার্থী মৌখিক পরীক্ষার সব নিয়মকানুন জানা থাকা সত্ত্বেও কঠিন বাস্তবতা এবং জীবনের ঘাত-প্রতিঘাত তাদেরকে মৌখিক পরীক্ষার বোর্ডেই কেঁদে ফেলতে বাধ্য করেছে। কেউ এসেছে বোনের ভর্তির টাকা দিয়ে সুদুর উত্তরবঙ্গ থেকে ঢাকায় পরীক্ষা দিতে, কেই শয্যাগত পিতার চিকিৎসার টাকা যোগাতে পারছে না বরং সেই সংসারের উপরই নির্ভর করে তার শিক্ষিত জীবন চালাতে হচ্ছে, নেই বাবার জমি যা দিয়ে উপার্জন বাড়াতে পারে বা কিছু করে খেতে পারে।
দেশের প্রতিটি ছোট ছোট জেলা শহরগুলোর কলেজে এখন অনার্স পড়ার সুযোগ রয়েছে। ছাত্রছাত্রীরা অনার্স পড়ছে পাঁচ, ছয় কিংবা সাত বছর যাবত। তারপর মাস্টার্স করছে আরও এক দু-বছর ধরে। পুরো সময়টাই তারা কৃষক কিংবা স্বল্প আয়ের বাবা-মার স্বল্প উপার্জনের উপর নির্ভর করে পড়াশুনা করছে। বছরের পর বছর তারা মেসে থাকছে আর স্বপ্নের দিন গুনছে কবে নিজে উপার্জনক্ষম হবে, কবে বাবা-মা ভাইবোনদের উপকার করবে কবে নিজে বিয়েশাদি করে সুখের সংসার গড়বে। কিন্তু পাশ করার পর শুরু হয় আর এক বিড়ম্বনা। চাকুরির জন্য ছুটতে হয় দ্বারে দ্বারে আর অফিসে অফিসে। কিন্তু চাকুরি মিলছে না। হতাশা নিত্যসঙ্গী।
এই অবস্তায় আমাদের একটাই স্লোগান “এবারের সংগ্রাম আমাদের বেকারত্ব থেকে মুক্তির সংগ্রাম, এবারের সংগ্রাম আমাদের বাঁচা মরার সংগ্রাম।বেকার যখন হয়েছি আরও প্রয়োজনে যুগ যুগ বেকার থাকবো। আমরা বেকার যখন হয়েছি প্রয়োজনে , কিছু নতুন বেকার তৈরি করবো তবু বাংলাদেশকে বেকার মুক্ত করে তুলবো ইনশাল্লাহ। “ আসলেই কি দেশকে পাকিস্তানি শত্রু মুক্ত করার মত কি সহজ কাজ বেকারত্ব মুক্ত করা ??

মন্তব্য ০ টি রেটিং +০/-০

মন্তব্য (০) মন্তব্য লিখুন

আপনার মন্তব্য লিখুনঃ

মন্তব্য করতে লগ ইন করুন

আলোচিত ব্লগ


full version

©somewhere in net ltd.