নির্বাচিত পোস্ট | লগইন | রেজিস্ট্রেশন করুন | রিফ্রেস |
লেখা পড়া করে যে অনাহারে মরে সে!!!!!এই কথাটি বলেছে আমার বন্ধু সাঈদ। সেই শৈশবকাল থেকে শিখে এসেছি “লেখাপড়া করে যে/ গাড়ি ঘোড়া চড়ে সে”। যখন কৈশোরে পা দিলাম তখন এই গুরুমন্ত্রটির প্যারডিও শিখলাম, “ লেখা পড়া করে যে / গাড়ি চাপায় মরে সে”। কিন্তু কবির হয়তো সুযোগ ও সময়ে অভাবে লিখে যেতে পারেন নি, লেখা পড়া না করলে কি হয় বা তার কপালে কি জুটবে।
ঐ কাঁচা বয়সে, বাল্যশিক্ষায় এই কথাটা কত সহস্রজনের মাথায় ঢুকিয়ে দেওয়া হয়েছিলো? একবার ভাবুন ?? কী ভয়ানক ব্রেইনওয়াস করা হয়েছিল ঐটুকুন ছোটমাথায় !!!!! সুন্দর ও সফল মানুষ হওয়ার স্বপ্ন, দেশে দশ জনের একজন হওয়ার স্বপ্ন, এই সব কিছু ছাপিয়ে তার মাথায় ঢোকানো হলো গাড়ি-ঘোড়ায় চড়ার স্বপ্ন! ভাবখানা এমন "বাবু, মন দিয়ে পড়াশুনা করো, তাহলে প্রাইজ আছে! তোমার গাড়ি- ঘোড়ায় চড়া হবে!" কী পরিমাণ জঘন্য বস্তুবাদী প্রবাদ!
সেই ছোট্ট বাবুটি পড়তে শুরু করলো ,পড়ালেখা আর শেষ হয় না। বাবু পড়ে আর পড়ে, স্কুল –কলেজের পাঠ চুকিয়ে, মেধাবীদের কাতারে নিজের জায়গা করে নিয়ে বিশ্ববিদ্যালয়ের ডিগ্রীও অর্জন করে। বাবু লোকাল বাসে ধাক্কাধাক্কি করে গা বাঁচিয়ে ঘাম মাখিয়ে জুতার সোল ক্ষইয়ে ভাবতে থাকে "আর কত লেখাপড়া করা বাকী?"
এদিকে বাবুর চোখের সামনে লেখাপড়ার ধার না-ধারা কত্তোজন গাড়ি, বাড়ি, টাকা কাঁড়িকাঁড়ি, আয়েশ ঝুড়ি ঝুড়ি নিয়ে এগুতে থাকে। কিন্তু বাবুর আর সেই কাক্ষিত গাড়ি চড়া হয়না । সেই বাবুটি আজ বড় হয়েছে কৈশোর পার করে যুবক । শিক্ষা জীবন শেষ করে বেকার জীবনে পা রেখেছে । বেকার জীবনে একটাই উপলব্ধি তার ভিতরে জন্মেছে , এই বেকার জীবনে পা দেওয়া যতটা সহজ তার থেকে বের হওয়া ঢের কঠিন।
সে আজ মনের অজান্তেই , শৈশবের শেখা গুরুমন্ত্রটি ভুল প্রমানিতে করে বলে ফেলে “ লেখাপড়া করে যে/ অনাহারে মরে সে”। তার কাছে আজ এর চয়ে বড় উপলব্ধি আর কিছু নেই। আমি আজ বন্ধু সাঈদের কথার প্রতিত্তরে বলি বন্ধু তুমি রফিক আজাদের কন্ঠে কন্ঠ মিলিয়ে বলো, “ চাকুরি দে হারামজাদা নইলে গাঁজা কাবো !!!!!!
©somewhere in net ltd.