নির্বাচিত পোস্ট | লগইন | রেজিস্ট্রেশন করুন | রিফ্রেস |
মাননীয় প্রধানমন্ত্রী বাংলর শিক্ষকদের উদ্দেশে যা বলেছেন তা ভুল বলেনি, যথার্থই বলেছেন। তিনি আন্দোলনকারী শিক্ষকদের বিসিএস পরীক্ষা দিয়ে নিজেদের যাচাই করে নিতে বলছেন। এই কথাটির সাথে আমার মনে হয় সবাই একমত হবেন। কারন গুটি কয়েক সিট বা বইয়ের অধ্যায় পড়ে ভাল রেজাল্ট করা যায়। কিন্তু পৃথিবী সম্পর্কে জানা হয় না। যারা এই কাজটি করছেন এবং ভাল রেজাল্ট করছেন তাদের অবশ্যই মেধানী বলবো। কারন্ তারা শিক্ষা জীবনের প্রতিটা মূহর্তকে ভাল ভাবে কাজে লাগান জ্ঞান অর্জনের তাগিদে। কিন্তু এই সব অদম্য মেধাবীরা মনের ভিতর লালন করে শিক্ষক হওয়ার স্বপ্ন। কিন্তু বাধ সাধে আমাদের তথাকথিত শিক্ষকমন্ডলী, আজকে যারা বেতন বৈষম্য দূরীকরণ আন্দোলনের নেতৃত্ব দিচ্ছেন, তারা সবাই বিভিন্ন বিশ্ববিদ্যালয়ের শিক্ষক নেতা।যারা বিশ্ববিদ্যালয়ের কর্ণধার নামে পরিচিত। তাঁরা বিশ্ববিদ্যালয়ের বিভিন্ন প্রশাসনিক কাজে অনেক ভুমিকা পালন করে থাকেন এবন সেই সাথে সারকারের এক জন একনিষ্ঠ ব্যাক্তি হিসেবে পরিচিতি লাভ করেন। তারাই বিশ্ববিদ্যালয়ের শিক্ষক নিয়োগের একমাত্র যাচাই মাধ্যম ( মানদন্ড) হিসেবে কাজ করেন। আর সেই সুযোগেই তারা বাস্তবায়ন করেন তাদের মনের নোংরা স্বপ্ন। তাদের হাত দিয়ে কত যে মেধাবি ছাত্র-ছাত্রী শিক্ষক হওয়া থেকে বঞ্চিত হয়, তার অনেক প্রতিটা বিশ্ববিদ্যালয়ের ইতিহাস থেকে জানতে পারবেন। । এই মেধাবী ছাত্রদের বাদ দেওয়া হয় তথাকথিত রাজনৈতিক কারন দেখিয়ে, অথবা স্বজন প্রীতি করে অথবা শিক্ষক সমিতি নির্বাচনে জয় ছিনিয়ে নিয়ে আনতে অথবা এলাকা ভিত্তিক পছন্দের ক্যান্ডিডেট কে নেওয়ার জন্য। এই সব ক্ষেত্রে বিশেষ ভুমিকা পালন করে থাকে উপাচার্য সহ অন্যান্য শিক্ষক নেতৃবৃন্দ । তারাই তো এই বিশ্ব বিদ্যালয় গুলো কে কলুষিত করছেন। যে মেধাবি ছাত্র, তার অদম্য মেধা নিয়ে শিক্ষক হওয়ার কথা ছিল , তাকে তো আপনারাই বঞ্চিত করেছেন। সেই মেধাবি ছাত্রই যদি কোন দিন সচিব হয়ে যায়, তাহলে তথাকতিত বিশ্ববিয়ালয়ের কে মুল্যায়ন করবে? কোন দিনও আপনারা মূল্যায়ন পাবেন না। যে ছাত্রটি বাবা-মার পরেই তার শিক্ষককে জানতো, সেই ছাত্রটি কেন আপনাদের মূল্যায়ন করছে না। তা কি কখনো ভেবে দেখেছে ? নিজের বিবেকের কাছেই এই প্রশ্ন করুন। আমার মনে হয় উত্তর পেয়ে যাবেন। কিন্তু আপনারা বিবেকের কথা শুনতে পান না বোধ হয়। অথবা বিবেক বলে যা ছিল , তা আর অবশিষ্ট নেই। সব নিশেষ হয়ে গেছে। অনেক মেধাবি ছাত্র আছে যারা পাবলিক বিশ্ববিদ্যালয়ে শিক্ষক হতে পারে নাই।হয়েছে সচিব অথবা কোন মন্তনালয়ের প্রধান অথবা এর মধ্যে ইউরোপ , আস্থেটেলিয়া থেকে উচ্চ শিক্ষা শেষ করে দেশে ফিরছে। যাদের কে বাংলাদেশের কোন বিশ্ববিদ্যালয়ে শিক্ষক হিসাবে নেওয়া হয় নাই শুধু মাত্র তথাকতিত বিশ্ববিয়ালয়ের শিক্ষকদের নোংরা মনবাসনা পূর্ণ করার তাগিদে।
১২ ই জানুয়ারি, ২০১৬ রাত ১০:০৬
raselabe বলেছেন: এই হলো আমাদের শ্রদ্ধেয় স্যারবৃন্দ.।.।.।.।.।.।.।.।.। বুঝলেন ভাই।
©somewhere in net ltd.
১| ১২ ই জানুয়ারি, ২০১৬ বিকাল ৩:১৯
পথিক নোমান বলেছেন: ভীষন দুঃখজনক। এরা আন্দোলন করে ক্লাস বাদ দিচ্ছে, কিন্তু প্রাইভেট বিশ্ববিদ্যালয় এবং ইভেনিং কোর্সে ঠিক মতো ক্লাস নিচ্ছে।