নির্বাচিত পোস্ট | লগইন | রেজিস্ট্রেশন করুন | রিফ্রেস |
আমরা আজ সব সময় খুজি চেতনা, আমাদের চারপাশে শুধু চেতনার ছড়াছড়ি, আমাদের চেতনার শেষ নেই। তবে আমাদের মনের চেতনার ছড়িয়ে থাকা চেতনা খুজার আগে জানে নেই, আক্ষরিক অর্থে চেতনা কি?? চেতনা হলো ইংরেজি "Consciousness" শব্দের প্রতি শব্দ।যা বাংলায় ব্যবহিত হয়
যার অর্থ হলো; মনের একটি ধর্ম বা বৈশিষ্ট্য যাকে আরও অনেকগুলি মানসিক বৈশিষ্ট্যের সমষ্টি হিসেবে গণ্য করা হয়, যেমন আত্মমাত্রিকতা, আত্মচেতনা, অনুভূতিশীলতা, পৃথকীকরণ ক্ষমতা, এবং নিজের সত্তা ও আশেপাশের পরিবেশের মধ্যকার সম্পর্ক অনুধাবনের ক্ষমতা। মনের দর্শন, মনোবিজ্ঞান, স্নায়ুবিজ্ঞান এবং
বোধ বিজ্ঞানে চেতনা নিয়ে ব্যাপক গবেষণা হয়।
আমরা বাঙালী জাতি মোটামুটি ভাবে যেসব চেতনা মনে ধারন করি তার মধ্যে উল্লেখ্য হলো
ভাষা আন্দোলনের চেতনা,
মুক্তি যুদ্ধের চেতনা,
গনতন্ত্রের চেতনা,
সৈরাচার বিরোধি চেতনা,
মজীবিও চেতনা,
জাতীয়তাবাদি চেতনা,
নারীবাদি চেতনা,
নারী বিদ্দেশি চেতনা,
মার্কসববাদি চেতনা,
ফাসিবাদি চেতনা,
সমাজতান্ত্রিক চেতনা,
এছাড়া ও রয়েছে, ইসলামী চেতনা, হিন্দু ধর্মীও চেতনা, সনাতনী চেতনা, আরও অনেক চেতনা আছে আমাদের মাঝে বিশেষ করে ব্যক্তিগত ভাবে আমরা এক এক জন এক এক ভিন্ন চেতনা মনের মধ্যে ধারন করি। তবে হালের সবচেয়ে গুরুত্ববহ হলো মুক্তি
যুদ্ধের চেতনা, যেটা নিয়ে আমরা শধু এই ডিসেম্বর মাসেই বেশি বেশি আলোচনা ও সমালোচনা করে থাকি। বাকি এগারো মাস আমাদের মনে মুক্তি যুদ্ধের চেতনার কোন ছাপ থাকে কিনা, আমরা জানি না বা জানার চেস্টাও করি না।মুক্তি যুদ্ধের চেতনা কি শুধু এই একমাসের কোন সম্পদ ? মুক্তি যুদ্ধের চেতনা কি শুধুই ডিসেম্বর মাসের চেতনা।
প্রায়ই আমাদের দেশের রাজনৈতিক নেতাদের মুখে ‘মুক্তিযুদ্ধের বা
স্বাধীনতার চেতনার ‘ কথা শোনা যাই এবং এই চেতনার আলোকই অনেক ভালো কিছু করার উদ্যোগ নেয়ার কথা বলা হয় । কিন্তু তারা নিজেরাও জানেন কিনা মুক্তি যুদ্ধের চেতনা কি ? যদি সবাই জানতেন, তাহলে গলা ফাটিয়ে তা বিক্রি করতে নামতেন না??
ঠিক একই ভাবে আলোচিত হয় ; গনতন্ত্রের চেতনা। বিশেষ ভাবে ভাবি নূর হত্যা দিবস এলেই, বা ডিসেম্বর মাসে যেদিন নাকি আমাদের দেশ থেকে সৈরাচার সরকার এরশাদের পতন হয়েছিল। সৈরাচার সরকার পতনের ২৫ বছর পূর্তি উপলক্ষ্যে, আজ
কাল পত্রিকার পাতায় শুধুই গনতন্ত্রের চেতনার কথায় দেখা যায়। আমার জানতে ইচ্ছে করে আমরা কি, আমাদের সেই
গনত্রান্তিক রাস্ট্র গঠনের যে চেতনা নিয়ে সৈরাচার বিরোধী যুদ্ধে ঝাপিয়ে পড়েছিলাম তার ধারের কাছেও কি যেতে পেরেছি ???
আবার যদি দেখি মজিবীও চেতনার কথা যা আমাদের জাতির পিতা আমাদের দেখিছিল, তাকি আমরা লালন করতে বা বুকে ধারন করতে পেরেছি??? আমরা অল্প কয়েক জনকে বাদ দিলে মনে হয় নআ, মজিবীও আদর্শ বা চেতনার অস্তিত্ব খুজে পওয়া যাবে???
ইসলামি চেতনার কথাই যদি বলি, ইসলাম ধর্মে তো কোথাও অন্য ধর্মের মানুষের উপর আঘাত করতে বা তাদের ধর্ম পালনে
বাধা দেয়ার কথা বলা নাই। তাহলে কোথায় আমাদের ধর্মীও চেতনা ?? কেউ নিজেকে আস্তিক, কেউ বা নিজেকে নাস্তিক, কেউ আবাবার মুক্তিমনা, ইত্যাদি রুকমের মুখরোচক চেতনায় বিশ্বাসী বলে আখ্যা দিচ্ছি।
মোট কথা, আমরা শুধু আজ চেতনা ব্যবসাহী হয়ে উঠেছি; শুধু যে যেখানে পারছি চেতনা বিক্রি করছি। কেউ চেতনা বুকে ধারন করি না, শুধু আশায় থাকি কিভাবে চেতনাকে ব্যবহার করে ফায়দা লুটানো যায়।
যতক্ষন পর্যন্ত 'বাংলাদেশ' চেতনা বা ধারনাটি পরিস্কার ও পরিচ্ছন্ন ভাবে প্রতিষ্ঠিত না হচ্ছে, তত দিন আমাদের এ জাতির কোন উন্নতি হবে বলে মনে হয় না। এ ক্ষেত্রে অনেকে বলতে পারেন
বাংলাদেশ চেতনা কি??
বাংলাদেশ চেতনা হলো সেটি, যার মধ্যে থাকবে না কোন দুর্নীতি,
প্রতিহিংসা, হানাহানি, অর্থের লোভ লালসা, । এককথায় মনে ধারন করতে হবে মানবিক মূল্যবোধ।
©somewhere in net ltd.
১| ১৩ ই ডিসেম্বর, ২০১৫ রাত ১১:৩০
দেবজ্যোতিকাজল বলেছেন: ভাল লিখেছ