নির্বাচিত পোস্ট | লগইন | রেজিস্ট্রেশন করুন | রিফ্রেস |
আজ ১৬ই সেপ্টেম্বার আন্তর্জাতিক গনতন্ত্র দিবসের ঠিক পরের দিন ( ১৫ সেপ্টেম্বার আন্তর্জাতিক গনতন্ত্র দিবস) আমরা সবাই জানি। আর এই দিনটিঃ প্রতি বছর নানা আয়োজনের মধ্যে দিয়ে পালিত হয় । আর এই দিন উপলক্ষে একটি স্লোগান নিধারিত হয়। এবছরের সেই নিধারিত স্লোগান ছিল " Space for Civil Society" । যা বাংলা করলে দাঁড়ায় " নাগরিক সমাজের জন্যে জায়গা"। আর এইও জানি, গনতন্ত্রে বর্তমান অবস্তা নিয়ে সঙ্কিত আছে বিশ্বের বড় বড় নাগরিক সমাজ। এর সবচেয়ে ভাল উদাহরন হতে পারে প্রমোশন অফ আ ডেমোক্রেটিক আন্ড ইকুইট্যাবল ইন্টারনেশনাল অর্ডারের প্রতিবেদন।আর গনতন্ত্র রক্ষার জন্যে এই সংস্থা বিহ্বের বিভিন্ন গনতান্ত্রিক রাষ্টের প্রতি আবেদন করছে যে আপনারা গনতন্ত্রের অবক্ষয় রক্ষায় এগিয়ে আসুন।
তবে এবার আসা যাক আমাদের দেশে " গনতন্ত্" র বস্তুটা কি?? বা কি ভাবে ব্যবহিত হয়ে আসছে? এর সঠিক উত্তর একটি কথপোকথন শুনলেই পরিষ্কার হয়ে যাবে,
গ্রামের এক বৃদ্ধ দাদু গণতন্ত্র সম্মন্ধে জানার জন্য তার নাতিকে প্রশ্ন করল
দাদু– বাবা গণতন্ত্র কি ?
নাতি- গণতন্ত্র একটা পদ্ধতি ।
দাদু – কিসের পদ্ধতি ?
নাতি – দেশ চালাইতে গেলে কিছু নিয়ম কানুন ও প্রথা মেনে দেশ চালাইতে হয় । আর এই নিয়ম প্রথা ও কানুনকে এক সাথে গণতন্ত্র বলে ।
দাদু– তাহলে কি আইন মন্ত্রীই গণতন্ত্র ?
নাতি– না দাদু, তা কেন হবে , আইন মন্ত্রী গনতন্ত্র কেন হতে যাবে । আইন মন্ত্রী তো শুধু আইন কানু্নের দেখা শুনা করে মাত্র।
দাদু– তবে তুই যে বললি আইন কানুন কে গণতন্ত্র বলে ?
নাতি – না দাদু তা না, এত দিন তুমি একটি গনতান্ত্রিক দেশে বাস করেও গনতন্ত্র কি জানলে না ।
দাদু – একটু বল না রে ভাই , এই দ্যাখো আমি এত দিন শুধু শুনেই আসছি গনতন্ত্র, যখন তখন, যা তার মুখে ।
নাতি – আচ্ছা তোমাকে বুঝিয়ে দিচ্ছি । ধর দিদি ভাই হলোএকটা দেশ,আমি ও বাবা হলাম জনগন আর তুমি সরকার । তুমি সরকার হিসাবে দেশ চালাচ্ছো আমরা জনগণ সুখে শান্তিতে আছি এটাই গণতন্ত্র । আজ এটুকুই বোঝ পরে আরও অনেক বেশী বুঝতে পারবে । চল অনেক রাত হয়ে গেছে ঘুমোতে চল , কালকে আমার অফিস আছে ।
আর এভাবেই আমাদের দেশে গনতন্ত্রের চর্চা হয়ে আসছে। আমাদের দেশের কোন জনগন আজও জানে না সত্যিকারের গনতন্ত্র কি? আমাদের যে ভাবে বুঝানো হচ্ছে সে ভাবেয়াই আমরা গনতন্ত্র বুঝে যাচ্ছি। স্বাধীনতার ৪৫ বছর পরও আমরা জানলাম না গনতন্ত্র কি? কিন্তু আমরা গনতান্ত্রিক রাষ্টে বাস করি। গনতন্ত্রই আমাদের দেশের সবচেয়ে আলোচিত বিষয়।
যদি পাঠ্য-পুস্তকের ভাষায় বলি তবে গনতন্ত্রের সংজ্ঞা দাঁড়ায় এরকম, গনতন্ত্র হলো একটি দেশের সর্বসাধরণের দ্বারা রচিত একটি সরকার পদ্ধতি। সচরাচর এতে থাকে জনগন কর্তৃক নির্বাচিত প্রতিনীধি যারা বাকস্বাধীনতা, ধর্মীয় ও রাজনৈতিক অভিমত প্রকাশের ব্যাপারকে সমর্থন করে। গনতন্ত্রের অর্থ হল সামাজিক শ্রেণীবিভাজন ব্যতিরেকে নগরিকগন কর্তৃক প্রণীত একে অপরের জন্য নিবেদিত একটি সুষ্ঠ ও সুষম ব্যবস্থা। এটি হল জনগণের ইচ্ছা অনুসারে দেশ শাসন করার পদ্ধিতি।
এবার আসা যাক মুল কথায়, ১১ সেপ্টেম্বার প্রমোশন অফ আ ডেমোক্রেটিক আন্ড ইকুইট্যাবল ইন্টারনেশনাল এবং রাইটস টু ফ্রিডম অব পিসফুল আসেম্বেলির রিপোর্টে বলা হয়েছে , গনতন্ত্র আজ বহুবিধি ব্যাবহারিক সশব্দে পরিনত হয়েছে । রিপোর্টে আরও দেখানো হয়েছে , শুধু নির্বাচন একটি দেশকে গনতান্ত্রিক রাষ্টে পরিনত করে না। এই নির্বাচন গুলোর মধ্যবর্তি সময়ে দেশের সামগ্রিক অবস্থার কি ঘটে? সেই সাথে রিপোর্টে কিছু প্রশ্ন জানায় যার উত্তর থেকে পাওয়া যায় দেশটি কতটা গনতান্ত্রিক? প্রশ্ন গুলো এরকমঃ
১) জনগন কি কথা বলতে পারে ?
২) জনগন কি নির্বাচন প্রতিনিধিদের তাদের ইচ্ছার সঙ্গে যুক্ত বা প্রভাবিত করতে পারে?
৩) সরকার কি জনগনের ইচ্ছা ও চাহিদার সাথে সম্পর্কিত সিদ্ধান্ত নেয়?
৪) জনগন কি তাদের কোন দাবি আদায়ে শান্তিপর্ণভাবে আন্দোলন করতে পারে?
৫) শান্তিপূর্ণ উপায়ে ভিন্নমত প্রকাশকে সহ্য ও তা বিকাশঅকে মেনে নেয়া হয় কি না?
এই প্রশ্ন গুলোর উত্তর থেকে একটি দেশের গনতন্ত্রের অবস্থা পরিমাপ করা যায়। সুতরাং এই সব থেকে আমরা খুব সজেই আমাদের দেশের অবস্তা আমরা নির্ণয় করতে পারি।
২| ১৭ ই সেপ্টেম্বর, ২০১৫ ভোর ৪:৪৫
raselabe বলেছেন: এই প্রশ্নের উত্তর আপনি জানলেই,,, বুঝবেন গনতন্ত্র কি বা এর অবস্তা কি??? আমাকে আর বলে দিতে হবে না।
©somewhere in net ltd.
১| ১৭ ই সেপ্টেম্বর, ২০১৫ রাত ৩:৫০
শ্মশান বাসী বলেছেন: সবগুলো প্রশ্নের উত্তরই নেগেটিভ।। তবে কি আমাদের দেশে গনতন্ত্র নেই? অবশ্যই আছে তবে তা গ্রন্থে।।