নির্বাচিত পোস্ট | লগইন | রেজিস্ট্রেশন করুন | রিফ্রেস |
রমজান আরবি
বারো মাসের নবম মাস।
রমজান মাসের গুরুত্ব-
ফজিলত বাকি সব মাস থেকে
পৃথক এবং
বৈশিষ্ট্যপূর্ণ। এই
মাসের প্রধান বৈশিষ্ট্য
আর ফজিলত হলো কোরআন
অবতরণ। মহান আল্লাহ রমজান
মাসের পরিচয় দিতে গিয়ে
এই বৈশিষ্ট্যের কথা
ঘোষণা করেছেন ‘শাহরু
রামাজানাল্লাযী
উনযিলা ফীহিল কোরআন’
অর্থাৎ রমজান হলো এই মাস
যে মাসে আমি কোরআন
অবতির্ণ করেছি। (সুরা
বাকারা-৮৫)। আবার সাথে
সাথে এই আয়াতে মহান
আল্লাহ পাক কোরআনের
পরিচয় দিচ্ছেন
‘হুদাল্লীন নাস’ বলে, যার
অর্থ হলো ‘মানুষের জন্য
হিদায়ত’। অর্থাৎ রমজান
হলো সেই মাস যে মাসে
মহান আল্লাহ পাক কোরআন
অবতির্ণ করেছেন মানুষের
হেদায়তের জন্য।
এখন প্রশ্ন হলো হিদায়ত
কি? স্বয়ং আল্লাহ পাক-ই
পরবর্তীতে বলে দিয়েছেন
‘ওয়া বাইয়েনাত’ অর্থাৎ সৎ
পথের স্পষ্ট নিদর্শন। এই
আয়াতের শেষে ‘ফুরকান’
শব্দ দিয়ে মহান আল্লাহ
পাক পবিত্র কোরআনের
আরেক পরিচয় দিয়েছেন
সত্য-মিথ্যার
পার্থক্যকারী। পবিত্র
কোরআনের এই আয়াতের
সারকথা হলো রমজান হলো
সেই মাস যে মাসে
মানুষের হিদায়তের জন্য,
মানুষের সামনে সত্য
মিথ্যার ব্যবধান স্পষ্ট
করতে, সৎ পথের স্পষ্ট
নিদর্শন হিসাবে পবিত্র
কোরআন অবতির্ণ করা
হয়েছে। রমজানের আরেকটি
বৈশিষ্ট্য হলো এই মাসে
মহান আল্লাহ পাক আমাদের
প্রিয় নবী রাহমাতাল্লিল
আলামীন হযরত মোহাম্মদ
(সাঃ)-কে সাইয়েদুল
মুরসালীন, খাতামুন
নাবীয়ীন হিসেবে
আনুষ্ঠানিক ঘোষণা করেন
অর্থাৎ এই মাসে তিনি
নবুওয়াত প্রাপ্ত হন এবং
তিনির কাছে ওহী আসতে
শুরু হয়। এটা উম্মতে
মোহাম্মদীর জন্য অত্যন্ত
গুরুত্বপূর্ণ ঘটনা।
এইমাসে উম্মতে
মোহাম্মদীর জন্য আরেকটি
গুরুত্বপূর্ণ বিষয় রয়েছে
যা অন্য কোন নবির ভাগ্যে
জোটেনি। সেটা হলো
কদরের রাত। কদরের ফজিলত
সম্পর্কে স্বয়ং আল্লাহ
ঘোষণা হলো ‘লাইলাতুল
কাদরে খাইরুম মীন আলফী
শাহরিন’ অর্থাৎ শবে কদরের
এক রাত হাজার মাস থেকে
শ্রেষ্ঠ।
রমজানের আরেকটি
গুরুত্বপূর্ণ ফজিলত হলো
সমস্ত মাস রোজা রাখা
ফরজ। প্রতিটি রোজায় মহান
আল্লাহ পাক অসংখ্য
মানুষকে ক্ষমা করেন এবং
জাহান্নাম থেকে
মুক্তি দিয়ে
জান্নাতের
তালিকাভুক্ত করেন। তাই
এ মাসকে বরকত-রহমত-
মাগফেরাতের মাস বলা হয়।
এই মাসের উল্লেখযোগ্য
ঐতিহাসিক ঘটনা হলো বদর
যুদ্ধ। ফুরকান শব্দ দিয়ে
মহান আল্লাহ পাক সত্য-
মিথ্যার পার্থক্যের যে
ঘোষণা দিয়েছেন তা
সামাজিকভাবে,
রাজনৈতিকভাবে
প্রমানার্থে বদর যুদ্ধের
ভূমিকা ইসলামের
ইতিহাসে গুরুত্বপূর্ণ।
মিথ্যা যখন সত্যকে গ্রাস
করতে উম্মাদ হয়ে উঠে তখনই
আল্লাহ পাক জিহাদের
অনুমতি দিয়ে সত্য
পন্থীদেরকে বুক টান করে
দাঁড়াতে নির্দেশ করেন।
এই নির্দেশের প্রথম
প্রতিফলন বদর যুদ্ধ। তাই
রমজানকে সত্য প্রতিষ্ঠার
এবং মিথ্যার বিরুদ্ধে
জিহাদের মাস ও বলা হয়।
বিশ্বের অনেক দেশে
আজো বদর যুদ্ধের
স্মৃতিকে হৃদয়ে লালন
করে প্রতি বছর রমজানের ১৭
তারিখে ‘জিহাদ দিবস’
পালন করে থাকেন। বদরের
ময়দানে আবু জেহেলদের
পরাজয় গোটা
জাহিলিয়াতের শরীরে
দিয়ে ছিলো প্রচন্ড
আঘাত। তাই আজো
বিশ্বব্যাপী মুসলমানরা
সত্যের পক্ষে, মিথ্যার
বিরুদ্ধে লড়াই করতে
গিয়ে বদর যুদ্ধের ইতিহাস
থেকে প্রেরণা নিতে
শ্লোগান দেন বদরের
হাতিয়ার গর্জে উঠুক
আরেক বার।
মোট কথা রমজান হলো বরকত,
রহমত, মাগফেরাত হেদায়ত ও
সত্য-মিথ্যার পার্থক্য
সৃষ্টিকারী কোরআন, এবং
জিহাদের মাস। এই মাস
ত্যাগের, আধ্যাতœ
সাধনার, এবং ইবাদতের। এই
মাসের একটি নফল ইবাদ অন্য
মাসের ফরজ ইবাদতের
সমতুল্য পূণ্যের। এই মাস
শিক্ষা গ্রহনের, চরিত্র
সংশোধনের। এত মোবারক
মাস পেয়েও যদি আমরা
কিছু অর্জনে ব্যর্থ হই,
তবে সেটা অবশ্যই আমাদরে
দুর্ভাগ্য। আল্লাহ পাক
আমাদের সবাইকে সঠিক
ভাবে তাঁর ইবাদত
গোলামীর যেনো তৌফিক
দান করেন, সঠিক ইবাদত
আদায়ের জন্য ইবাদতের
নিয়ম পদ্ধতি সঠিকভাবে
জানা অত্যন্ত জরুরী, সেই
জরুরীয়াতকে সামনে
নিয়েই আমাদের স্মরণ
রাখতে হবে রোজা শুধু
পানাহার কিংবা সহবাস
ত্যাগের নাম নয়।
রোজা হলো মানসিক,
ব্যক্তিগত সামাজিক,
রাষ্ট্রীয়, আন্তর্জাকিত
দৈনন্দিন কাজ-কর্মে
সৃষ্ট পাপাচার এবং সুদ,
ঘুষ, ব্যবিচার, মদ্যপান-
মদের ব্যবসা মিথ্যাচার
ইত্যাদি ত্যাগের নাম ।
যতটুকু নিজেদের আয়ত্বে
ততটুকু অবশ্যই সাথে সাথে
ত্যাগ করে তাওবাহ করতে
হবে। শপথ নিতে হবে
আগামীতে না করার।
কাকুতি করে সত্য পথে
চলার সাহায্য আল্লাহর
কাছে প্রার্থনা করতে
হবে। অবশ্য যা নিজের
আয়ত্বের বাইরে, তার জন্য
আল্লাহ ক্ষমাশীল, তবে
চেষ্টা করতে হবে
সামাজিক-রাষ্ট্রীয় এবং
আন্তর্জাতিক পাপাচার
বন্ধের। যদি সাধ্যমতো
চেষ্টা ও না করা হয় তবে
দায়ী থাকতে হবে। মহা নবী
(সাঃ) বলেছেন-যে
রোজাদার রোজা রেখে
মিথ্যা কথা এবং অন্যায়
পাপাচার থেকে বিরত
থাকে না তবে এমন
রোজাদারের আল্লাহর
কোন প্রয়োজন নেই।
(বোখারী শরিফ)
রোজা কি?
সহীহ বোখারী-মুসলিম এবং
অন্যান্য হাদিসের গ্রন্থ
থেকে প্রমানিত যে,
ইসলামের প্রধান স্তম্ভ
পাচঁটি। যার একটি রমজান
মাসের রোজা। বাংলা
অভিধানে রোজা অর্থ-
উপবাস। ইসলামী পরিভাষায়
এ অর্থ যথার্থ নয়। আমরা
বাংলা অভিধানে
উপবাসের অর্থ দেখতে পাই-
অনশন, অনাহার ইত্যাদি।
শুধু উপবাস, অনাহার,
অনশনকে রোজা বলা যাবে
না। রোজা শব্দ বাংলা
ভাষায় এসেছে উর্দু-
ফার্সী থেকে। আরবী
ভাষার ‘ছাওম’ শব্দ থেকে
রোজা শব্দের উৎপত্তি।
ছাওম’এর বহুবচন ‘ছিয়াম’।
‘ছাওম’ বা ‘ছিয়াম’এর
আভিধানিক অর্থ হলো-
বিরত থাকা, বিরত রাখা।
ইসলামী পরিভাষায় ছাওম
বা ছিয়াম অর্থ হলো
আল্লাহর নির্দেশ
পালনার্থে সোবহে
সাদেকের শুরু থেকে
সূর্যাস্ত পর্যন্ত
রোজার নিয়তে পানাহার-
সহবাস থেকে বিরত থাকা।
নিয়তের আবশ্যকতা এবং
নিয়ম রোজার জন্য
পানাহার-সহবাস পরিত্যাগ
যেমন ফরজ তেমনি নিয়তও।
তবে নিয়তের জন্য মুখে
উচ্চারণ কিংবা আরবী
বাক্য উচ্চারণ জরুরী নয়।
মনে মনে শুধু আল্লাহর
নামে রোজা রাখার
সংকল্প করলেই নিয়তের
শর্ত আদায় হয়ে যাবে।
( বেহেশতী জেওর)। তবে
কেউ যদি সহীহ উচ্চারণে
আরবী পারেন তবে তার জন্য
আরবী বাক্য উচ্চারণ
উত্তম। রোজার নিয়ত হলো
‘নাওয়াইতু আন আছুম্মা
গাদাম্মিন শাহরে
রামাজানাল মোবারাকে
ফারজাল্লাকা ইয়া
আল্লাহু ফাতাকাব্বাল
মিন্নী ইন্নাকা
আন্তাচ্ছামীউল আলীম।’
অর্থ: আগামী কাল পবিত্র
রমজান মাসের ফরজ রোজা
রাখতে মনস্ত করলাম। হে
আল্লাহ, তুমি তা গ্রহণ কর।
বাস্তবিক তুমি শ্রোতা ও
জ্ঞানী।
অথবা, সংক্ষেপে শুধুই
এতটুকু বললেই হবে- ‘ওয়াবী
ছাওমী গাদিন নাওয়াইতু
মিন শাহরে রমজান’ অর্থ:
আমি আগামী কাল রমজানের
রোজা রাখার নিয়ত করছি।
রোজার নিয়ত না করে যদি
কেউ সমস্ত দিন পানাহার
এবং সহবাস থেকে বিরত
থাকে তবে রোজা আদায়
হবে না। রমজান মাসে
প্রতিদিনের রোজার নিয়ত
পৃথকভাবে করতে হবে। রাত
থেকে নিয়ত করলে যদিও
আদায় হয়ে যায় তবে উত্তম
সেহরীর সময়ে নিয়ত করা।
রমজানে যদি প্রভাতে
কিংবা দুপুরের পূর্ব
পর্যন্ত কারো রোজার
নিয়ত না হয় এবং এই সময় হঠাৎ
মনে হয় ফরজ রোজা ছেড়ে
দেওয়া অন্যায়, তাই আমি
রোজা ভাংবো না, আর
ইতোমধ্যে সে কিছু
পানাহার কিংবা সহবাস
না করে, তবে ফরজ রোজা
আদায় হয়ে যাবে। রমজান
মাসের রোজা ছাড়া এমন
নিয়ত গ্রহণযোগ্য নয়। অবশ্য
আমাদের উলামায়ে
কেরামদের মতে রমজান
মাসের শুরুতেও যদি কেউ
সমস্ত রোজার নিয়ত করে
নেয় তবু আদায় হয়ে যাবে।
রোজার প্রকারভেদ
রোজা পাঁচ প্রকার।
১. ফরজ রোজা: যা আবার চার
প্রকার-ক) রমজান মাসের
রোজা। খ) কোন কারণ বশত
রমজানের রোজা ভঙ্গ হয়ে
গেলে তার কাযা আদায়ে
রোজা। গ) শরীয়তে
স্বীকৃত কারণ ব্যতিত
রমজানের রোজা ছেড়ে
দিলে কাফ্ফারা হিসেবে
৬০টি রোজা রাখা। ঙ)
রোজার মান্নত করলে তা
আদায় করা।
২. ওয়াজিব রোজা: নফল রোজা
রেখে ভঙ্গ করলে
পরবর্তীতে তা আদায় করা
ওয়াজিব।
৩. সুন্নত রোজা: মহরম মাসের
নয় এবং দশ তারিখে রোজা
রাখা।
৪. মোস্তাহাব রোজা: প্রতি
চন্দ্র মাসের ১৩, ১৪, এবং ১৫
তারিখে, প্রতি
সাপ্তাহের সোম ও
বৃহস্পতিবারে, কোন কোন
ইমামের মতে শাওয়াল মাসে
পৃথক পৃথক প্রতি সপ্তাহে
দুটো করে ছয়টি রোজা
রাখা মোস্তাহাব। তবে
ইমাম আবু হানিফা (রহ.)-এর
মতে এক সাথে হোক কিংবা
পৃথক পৃথক হোক শাওয়ালের
ছয়টি রোজা মাকরূহ।
(ফতোয়ায়ে আলমগিরী,
প্রথম খণ্ড)। একদিন পর পর
বারো মাস রোজা
রাখাকেও অনেকে
মোস্তাহাব বলেছেন।
একদিন পরপর বারো মাস
রোজা রাখতেন নবি হযরত
দাউদ (আ.), তাই এই রোজাকে
বলা হয় ‘ছাওমে দাউদ’।
মোস্তাহাব হলো এই ইবাদত
যা করলে পূণ্য এবং না
করলে পাপ নেই। তবে
মোস্তাহাব রোজার
ফজিলত হযরত নবি করিম (সা.)
কর্তৃক স্বীকৃত।
৫. নফল রোজা: মোস্তাহাব
আর নফল খুব কাছাকাছির
ইবাদত। সহজ অর্থে নফল হলো
যা ফরজ, ওয়াজিব, সুন্নত নয়
এমন ইবাদত পূণ্যের নিয়তে
করা। রোজার ক্ষেত্রেও
তাই। তবে নফল রোজা রেখে
ভঙ্গ করলে কাযা ওয়াজিব
হয়ে যায়। এই পাঁচ
প্রকারের নিয়ত করতে হবে
পৃথক পৃথক। রমজান মাসে
ফরজ রোজা ছাড়া অন্য কোন
নিয়ত করলে তা গ্রহণযোগ্য
হয় না। কেউ যদি রমজান
মাসে ওয়াজিব, নফল,
মুস্তাহাবের নিয়ত করে
তবু তা ফরজ হিসেবে আদায়
হবে। রমজানের রোজার জন্য
দুপুর পর্যন্ত নিয়ত করার
বিধান থাকলেও
বাকিগুলোতে সেহরীর
সময়েই নিয়ত করে নিতে হয়।
অবশ্য নফল রোজাও দিন
ধার্য্য করে রোজার নিয়ত
যদি দুপুরের মধ্যে করা হয়
তবে নিয়তের শর্ত আদায়
হয়ে যাবে। কিন্তু কাযা
রোজা বা দিন ধার্য্য না
করে মান্নত রোজার জন্য
রাত থেকে নিয়ত করা
জরুরী।
যে সময় রোজা রাখা মাকরূহ
মহরম মাসে শুধু দশ তারিখে
রোজা রাখা মাকরূহ।
মহানবি (স.) নিষেধ করেছেন
শুধু দশ তারিখে রোজা
রাখতে। কারণ ইহুদিরা
মহরমের দশ তারিখে রোজা
রেখে থাকে। মহানবি (স.)
বলেছেনÑতোমরা ৯
তারিখেও রোজা রাখ। যদি
কেউ ৯ তারিখে রোজা
রাখতে ভুলে যান তবে
তিনি ১০ তারিখের সাথে
১১ তারিখ রোজা রেখে
ইহুদিদের সাথে ব্যবধান
করতে পারেন। শুধু মহরমের
দশ তারিখে রোজা রাখলে
মাকরূহ হয়ে যাবে।
শুক্রবারে রোজা রাখা
মাকরূহ। হযরত আবু হোরায়রা
(রা.) থেকে বর্ণিত হযরত
নবি করিম(স.) বলেছেন যে,
তোমরা কেউ শুধু
শুক্রবারে রোজা রাখবে
না, তার পূর্বে এবং পরে
রোজা রাখা ব্যতীত।
(মোত্তাফাকুন আলাইহে)।
অন্য একটি হাদিসে হযরত
আবু হোরায়রা(রা.) থেকে
বর্ণিত হযরত মহানবি(স.)
বলেছেন যে, রাতসমূহের
মধ্যে শুধু জুম্মার
রাতকে নামাজের জন্য
ধার্য্য করবে না এবং
দিনসমূহের মধ্যে শুধু
জুম্মার দিনকে রোজার
জন্য ধার্য্য করবে না, যদি
তা তোমাদের রোজা
রাখার তারিখে না পড়ে।
( মুসলিম শরিফ)।
ইয়াওমুশ শকের দিনে রোজা
রাখা মাকরূহ। বিস্তারিত
আলোচনা সামনে আসবে।
যে সব কারণে রোজা রাখা
হারাম দুই ঈদের দিন এবং
কোরবানীর ঈদের পরের তিন
দিন মোট এই পাঁচ দিনে
রোজা রাখা হারাম।
মহিলাদের হায়েয (মাসিক
রক্তক্ষয়) নেফাযের
(সন্তান গর্ভপাত কালিন
রক্তক্ষয়) সময় রোজা রাখা
হারাম।
রোজা ফরজ হওয়ার শর্ত ১.
মুসলমান হওয়া, ২. পাগল না
হওয়া, ৩. বালেগ হওয়া।
©somewhere in net ltd.