নির্বাচিত পোস্ট | লগইন | রেজিস্ট্রেশন করুন | রিফ্রেস

অশান্ত বাশিওলা

raselabe

তাই মনে হয় আমি বড় স্বার্থপর।

raselabe › বিস্তারিত পোস্টঃ

পঁচে যাওয়া ছেলের গল্প

১৪ ই ফেব্রুয়ারি, ২০১৫ রাত ১০:০৭

***
পত্রপুটে ঢেকে রাখা,
অনাঘ্রাতা পূজার কুসুম দুটির প্রতি লোভ
বেসামালভাবে বাড়লো আজ। তাই
পেন্ডিং এ
থাকা নেভারএন্ডিং লেখাটা দিয়ে দিলাম
আজ।
ক্যাম্পাস লাইফে কিছু লুজার থাকে,
যারা ক্যাম্পাসের নতুন আগত কিছু
সুন্দরী মেয়েদের মনে মনে পছন্দ করে,
মনে মনেই বাসর সাজায়।
আর এই ঘোড়া নামক
গাধাগুলিকে ডিঙ্গিয়ে ঘাস খায়
কিছু ছেলে;
ক্যাম্পাসে তারা চকলেটবয় হিসেবেই
খ্যাত। অপরিসীম ধৈর্য্য, অনবদ্য পরিশ্রম,
আর প্রেম নামক পূর্ব অভিজ্ঞতার
জোয়ারে মেয়ে পটানো শেষ
হাসিটা তারাই হাসে।
তারা সাদামাটা জীবনকেও অসাধারণ
করে তুলতে জানে। তাদের
কাউকে খারাপ বলা যাবেনা।
তারা এক একজন শিল্পী; প্রেমশিল্পের
দক্ষ কারিগর। তারা সময়ের কাজ
সময়ে করে। যাদের চারিত্রিক
বৈশিষ্ট্যভান্ডার জেনেও
মেয়েরা ছুটে যায়, যাদের প্রশংসাধন্য
বাহু প্রসারিত হয়, ভালোবাসা নামক
ভিটামিনে হৃষ্টপুষ্ট তাদের হৃদয়,
ভালোবাসা বিতরণ করেও তারা ফতুর
হয়না কখনো। তাদের বিজয়ীর হাসি যখন
কান পর্যন্ত ঠেকে তখন আমাদের
ঈর্ষান্বিত হওয়ার কিছু নেই।
ভালোবাসা হচ্ছে অনেকটা সাবানের
প্যাকেটের মত। যতদিন মোড়ক খুলবে না,
নতুনই থাকবে। যখনই মাখতে শুরু করবে; হ্যাঁ,
মন বিকশিত ও পরিষ্কার হতে শুরু
করবে ঠিকই, সাথে ক্ষয়েও যাবে।
আমরা বলি, “ভালোবাসা”
সাবানে ঘষামাজা, সুন্দর মনের অসুন্দর
চেহারার মেয়ে হলেও চলবে,
চকলেটবয়রা বলে-
“ভালোবাসা হচ্ছে এমন একটা ঘর,
সৌন্দর্য্য হচ্ছে তার দরজা।
যে ঘরে দরজা নেই সে ঘরে ঢুকব
কিভাবে?”
সত্যিকারের ভাল কিন্তু
বাসে গাধাগুলিও। এই
অভদ্রসমাজে তারা ভদ্র ছেলে বলেই
পরিচিত। যৌবন শেষ হওয়ার পর
বুঝতে পারে, “ভাল ছেলেকে ভাল
বলার অনেকেই আছে, ভালবাসার কেউ
নেই”। অথর্ব, অপদার্থ, প্রাগৈতিহাসিক
মন-মানসিকতার এই ছেলেগুলি কল্পনার
সোকেজেই
সাজিয়ে রাখে মানবীরুপী আলপনাদের।
এদের মাঝে কেউ কেউ স্বীকার
করে আঙ্গুর ফল টক, আর
কারো কারো ভাবনাধারা তো আরও
বিভৎস। বলে আমিই হয়তো যোগ্য না,
আমারই হয়তো কমতি ছিল।
“সুখে থেকো ও আমার নন্দিনী টাইপ” সুখ
(!)গাঁথা এদের।
এরা ছিনিয়ে খেতে জানে না,
জানিয়ে খেতেও জানে না,
মানিয়ে নিয়ে না খেয়ে থাকতে জানে।
এদের সবার মনের
মাঝে থাকে একটা সুন্দরী রাজকন্যা।
যাকে দেখেই অপরিণাদর্শী হৃদয়
তৈরী হয় প্রত্যাখিত
(সোজা বাংলা ভাষায় ‘ছ্যাক’) হওয়ার
জন্য। মনকে শুধু শক্তই করে যায়, কল্পনায়
ছোটায় রংধনু।
রাজকন্যা বেড়ে ওঠে, সময়ের
দাড়িপাল্লায় ঘাবড়ে যায় স্বয়ং বয়স,
সরেস মেজাজে ক্রমেই অসাড়তা ভর
করে, বাস্তবতার অভেদ্য
বেড়াজালে ভেদ্য শুধুমাত্র অপাঙতেয়
আনাড়ি শৈশব। শৈশবের
বোকা হাতছানি, কৈশোরে ধরা কোন
এক গাধার হাতখানি,
অথবা জামদানি কিনে দিতে চাওয়া অবুঝ
প্রাণীর স্বপ্নখানি, সব চলে যায়
পিকদানিতে। স্বপ্ন, থুথু রূপে জমা হয়
মহাকালের ডাস্টবিনে।
তাই সেই ফুলবতী আর কখনো নিজের
হয়না, নিজের হয়না অলীক স্বপ্নগুলো,
যাযাবর সময়গুলি শুধু বেদনাই দেয়,
ফিরে আসেনা কোন রাজকন্যা বকুল ফুল
হয়ে। কারণ সেই ফুলের আজ
ফুলটুসি চালচলন।
সেই বকুল ফুলটি এখন নিজেই বকুল গাছ,
তৈরী হচ্ছে ফুল ফোটাবে বলে। অন্যের।
কোন এক চকলেটবয়ের।
সুন্দরী মেয়েরা যে কুলাঙ্গারতম
ছেলেদের
প্রেমে পড়ে তাতো নিপাতনে সিদ্ধ।
নিজ দর্শন থেকে বলছি, আজ পর্যন্ত কোন
সুন্দরী মেয়েকে কোন স্মার্ট
কিংবা সুন্দর ছেলের
সাথে ঘুরতে দেখিনি। একটা বাইক
থাকলেই হলো, সাথে একটু
গঞ্জিকাসেবনকারী টাইপ
চেহারা আর ভারী একটা মানিব্যাগ
(ভিজিটিং কার্ড দিয়ে নয়, অফকোর্স
টাকা দিয়ে)।
এদের উপর মেয়েরা রাগ করেও
থাকতে পারেনা, কোন পূজায় কোন
দেবী খুশি হয় তা তারা খুব ভাল করেই
জানে। দিন শেষে সন্তুষ্ট
করতে পারে ভোজনবিলাসী হা-
ভালবাসাতে (হাভাতে’র
সাথে মিলিয়ে বললাম) মুখগুলো। প্রিয়
বন্ধুদের কাছে এদের
নামে শোনা পর্যবেক্ষনগুলি আপ্লুত
করে মেয়েগুলির মনন। ভালবাসার
শ্রাদ্ধ্য করে মনে মনে দিনভর,
গালাগালিতে মাতিয়ে রাখে ফোনখানি,
এমনকি হাতাহাতিতেও ছাড়
পায়না সামনাসামনি দেখা হলে।
কিন্তু চকলেটবয়রা কি ছেড়ে দেয়ার
পাত্র? তাদের একটু কান ধরার
অভিনয়ে তোলপাড় উঠে যায় মনসমুদ্রে,
একটা দুষ্ট হাসিতেই ভেস্তে যায়
ফুসিয়ে থাকা হাজার রাগ।
অতঃপর?
চারিত্রিক সনদপত্রের
শ্রাদ্ধ্যতে এসে যায় শ্রদ্ধা,
গালাগালি রুপান্তরিত হয় গলাগলিতে
আর
হাতাহাতি গিয়ে ঠেকে হাতাহাতিতে (তবে অন্য
অর্থে)।
কোন এক চিপায় জড়াজড়ি করে, সমবেত
চুমোয় উদযাপন হয় উপলক্ষ্য।
জলপাইরঙা অন্ধকারে বিলীন হয়
লাম্পট্য...
হায় সেলুকাস! যেই দেশে এক
সাবানে কাপড় কাচা, সেই
সাবানে গোসল করা যায়, সেই
দেশে সবই সম্ভব। বেরসিকের এই
দেশে প্রেমটাই যেন সবচেয়ে বড়
রসিকতা। আর সেই
রসিকতাকে মহিমান্বিত
করেছি আমরা “ভালোবাসা দিবস”
নামক দিনটির ব্যবচ্ছেদ করে। হায়
ভ্যালেন্টাইন! এই জন্যেই
কি দিয়েছিলে জীবন?
যার জন্যে রোদ্দুরের
কাছে বাজিতে হেরেছেন রোজ,
সে দেখেনি। যাকে নিয়ে গল্প
করেছেন নিযুত তারার সনে,
সে শোনেনি। যার অপেক্ষায়
ষোলটি গোলাপ
শুকিয়ে গেছে বিমর্ষে, সে বোঝেনি।
আপনার অভিমানের
মেঘগুলো বৃষ্টি হয়ে ঝরেছে,
সে আসেনি...
দীর্ঘশ্বাসের দীর্ঘসূত্রিতা আজ
বাগাড়াম্বর বাগযন্ত্রকে বিচলিত
করছে “ভালবাসি” বলতে। চকলেটবয়/
গার্লরা যে ভালবাসার কথা বলছে,
সেই “ভালবাসি” বলাটা অর্থহীন। আর
পঁচে যাওয়া ভালোবাসা নয়,
সত্যিকারের ভালোবাসা খুঁজে ফিরি।
হয়তো কখনো মুখ ফুটে বলেনি মানুষটা,
কিন্তু নীরবে জানও
দিতে পারবে আপনাকে খুশি দেখতে।
ভুল প্রেমে আর যেন না কাটে কোন
বসন্ত... হ্যাপি ভ্যালেন্টাইনস ডে.

ঋণী: বন্ধু শুভর প্রতি

মন্তব্য ২ টি রেটিং +০/-০

মন্তব্য (২) মন্তব্য লিখুন

১| ১৪ ই ফেব্রুয়ারি, ২০১৫ রাত ১১:১৮

গরু গুরু বলেছেন: পুটটুশ লাগল

২| ১৫ ই ফেব্রুয়ারি, ২০১৫ রাত ১২:০৩

raselabe বলেছেন: পুটটুস কিু

আপনার মন্তব্য লিখুনঃ

মন্তব্য করতে লগ ইন করুন

আলোচিত ব্লগ


full version

©somewhere in net ltd.