নির্বাচিত পোস্ট | লগইন | রেজিস্ট্রেশন করুন | রিফ্রেস |
আমার ঠিক মনে পরছে, ক্লাস টুতে যখন আমি পরি, বাংলা বইয়ে একটি কবিতা ছিল "ইচ্ছে"। তবে কবির নাম মনে পরছে না, ম্পনে হয় আহসান হাবীব। কি মনে পঅঅড়ছে কইঈ? নাকি মমনে করতে পারছেন না? কবিতাটি শুনলে মনে পড়বে নিশ্চয়, তাহলে শুনুন,,,,,,,,,,,
#
মনারে মনা কোথায় যাস?
বিলের ধারে কাটব ঘাস।
ঘাস কি হবে?
বেচব কাল,
চিকন সুতোর কিনব জাল।
জাল কি হবে?
নদীর বাঁকে
মাছ ধরব ঝাঁকে ঝাঁকে।
মাছ কি হবে?
বেচব হাটে,
কিনব শাড়ি পাটে পাটে।
বোনকে দেব পাটের শাড়ি,
মাকে দেব রঙ্গিন হাঁড়ি।#
#
তবে কবিতা মনে না পড়লেও মাকে একটা হাড়ি কিনে দেয়ার কথা, মায়ের মুখের সেই কল্পিত হাসির কথা নিশ্চয় মনে পরছে। বোন কে বলে ছিলেন তাকে শাড়ি কিনে দিবেন। তার জন্য একটি সুন্দর বর এনে দিবেন। তাই না!!!
আমরা সবাই আমাদের বাচ্চামনের কমল আকুতি ভরে চাই। এসব তাই না। আমাদের শিক্ষাও তাই শিক্ষা দেয় ছোট্ট বেলায়। আর আমরা এটাই শিখে বড় হয় যে বড় হয়ে বাবা মায়ে, ভাইয়ের বোনের জন্য কিছু না কিছু কিনে দিতে হয়। অবুঝ মনে সেটাই পণ করি। আর একটু বড় হলে ভাবি আমিই পারব বাবাা মায়ের কষ্ট লাঘন করতে।
এত আশা আর বুক ভরা স্বপ্ন নিয়ে আমরা হাজার হআজার মায়ের সন্তান ভতি হঈ বিশবিদ্যালয়ে। ভাবি আপন মনে ছোটবেলার দেয়া কঠা এবার পুরন হবে। মা যখন মাথায় হাত বুলিয়ে আদর করে তখন ফিস ফিস করে বলি,,,,
এইত আর মাত্র ক'টা দিন আমার পড়া লেখা শেষ হলে, আমি একটা ভাল কিছু করব। তোমাকে আর বেস দিন কষ্ট করতে হবে না। বাবা কে বলো ছোটর জন্য একটা ভাল পাত্র দেখতে। এবার ওকে বিয়ে দিতে হবে। আর হ্যা বাবাকে এত পরিশ্রম করতে মানা করিও।
কিন্তু আমাদের শিক্ষা প্রতিষ্ঠান গুলীতে চলছে সারথনেশী মহলে বুনে দেয়া ছাত্র রাজনীতি। তাদের ক্ষমতা রক্ষা করতে বা ক্ষমতা পাবার আশায় ; ছাত্রদের নামিয়ে দিচ্ছে এই অসভ্য রাজনীতির খেলায়। সেই মায়ের সন্তানদের করছে দল বিভক্ত। ছড়িয়ে দিচ্ছে হিংসের বীজ। তুলে দিচ্ছে অস্ত্র, কেরে নিচ্ছে হাতের বই, বানাচ্ছে সন্ত্রাসী। এখানে চলছে উচ্চ মহলের তাবেদারি, আর ছাত্ররা হচ্ছে তার চাকায় পিস্ট হওয়ার বস্তু। এক দিকে যেমন দলাদলিতে ও গ্রুপে গ্রুপে মারামারি: দিচ্ছে প্রান অথবা বরন করে নিচ্ছে পুংগু জীবন। অথবা হয়ে যাচ্ছে নেশাগ্রস্ত।
আর এই সুযোগে কিছু মহল তাদের রাজনৌতিক ভাষায় দোষ দিচ্ছে ছাত্র রাজনীতি। বলছে যা করেছে ছাত্ররা করেছে, তাদের ফল তাদেরকেই ভোগ ককরতে হবে। এই সময় ততারা ভুলে যাচ্ছে, ছত্রদের কথা। কিন্তু এরাই বানিয়েছে সন্ত্রাসী, ব্যবহার করেছে সাধারণ ছাত্রদের ( মায়ের সঅন্তানদের)। ওই সব মহল নিজেদের আখের গোছাতে ছাত্রদের ব্যবহার করেছ। দিনের পর দিন তারা এই কাজ করব চলেছে। যখনিই এক দলকে ব্যবহার করা শেষ হচ্ছে, তখন আর একদল কে তারা বেছে নিচ্ছে।
আর ছাত্ররা মারামারি ককরছে নিজেদের মধ্যে, দিচ্ছে প্রান। বিশবিদ্যালয় হয়ে উঠছে যুদ্ধ ক্ষেত্র। অনির্দিষ্টকালের জন্য বন্ধ হচ্ছে বিশবিদ্যালয়। তাদের সুবিধার জন্য অনির্দিষ্টকাল বন্ধ করে রাখছে আমাদের প্রণের বিশবিদ্যালয়। এতে তাদের তো কোন ক্ষতি নেই। যা হবার তা হলো আমাদের শিক্ষা জীবনকে লম্বা করছে। আমরা হারাচ্ছি আমাদের মূল্যবান সময়। আমরা পড়ে যাচ্ছি সেশনজট নামক থাবার করাল গ্রাসে। আর তারা বলছেন ছাত্ররা আজ বেপরোয়া হয়ে গেছে।
কিন্তু এই সহজ সরল ছাত্ররা তো রাজনীতি করতে বিশবিদ্যালয়ে আসে না। তারা তো মাকে কথা দিয়েছিল তার জন্য মাটির হাড়ি নিয়ে আসবে। বাবার কাধ থেকে সংসারের বোঝা নামিয়ে নিবে।
কিন্তু কেন তাদের আজ অপরাধের বোঝা নিয়ে জেল হাজোতে কাটাতে হচ্ছে। কেনইবা পালিয়ে থাকতে হচ্ছে। কে এর জন্য দায়ী? কে অপরআধী? কারা কেরে নিচ্ছে হাজার হাজার মায়ের স্বপ্ন?
আজও কি বুঝবে না এই নির্বোধ ছাত্ররা? ফিরিয়ে কি দেবে না মায়ের চোখের স্বপ্ন?
২| ২৭ শে নভেম্বর, ২০১৪ সকাল ১০:১৯
মাথা ঠান্ডা বলেছেন: ভালো লাগলো।
৩| ২৭ শে নভেম্বর, ২০১৪ সকাল ১১:৪২
raselabe বলেছেন: ভাই আমাদের বাংলাদেশে এভাবেই চলছে,,,,,,,,,, দিনের পর দিন
©somewhere in net ltd.
১| ২৭ শে নভেম্বর, ২০১৪ সকাল ৯:৪০
হুতুম বলেছেন: ভাই খূব ভালো লিখেছেন, ধন্যবাদ