নির্বাচিত পোস্ট | লগইন | রেজিস্ট্রেশন করুন | রিফ্রেস |
আমি একজন ভাল মানুষ বলেই নিজেকে দাবী করি। কারো দ্বিমত থাকলে সেটা তার সমস্যা।
মন ভালো না থাকলে আমি রাস্তায় এলোমেলো হাটি।
কখনো কখনো রাস্তার মাঝখান দিয়ে হাটি। গাড়ি-বাস চাপা দিলে দিক, আমার কিছু যায় আসে না। মাঝে মাঝে হাটতে হাটতে এয়ারপোর্ট চলে যাই। এয়ারপোর্ট বড় অদ্ভুত জায়গা। কেউ যাচ্ছে, কেউ আসছে। যারা যাচ্ছে তাদের স্বজনরা কাদছে। আবার যারা আসছে, তাদের স্বজনদের মুখে হাসি। যাইহোক, মন খারাপ হলে- কখনো কখনো চায়ের দোকানে বসে থাকি। মানুষ অকারণে ফালতু কথা বলে, তাদের কথা মন দিয়ে শুনি।
ছোটবেলা মন খারাপ হলে, আমি রেললাইনে চলে যেতাম।
এক ঘন্টা পর পর ট্রেন আসা যাওয়া করে। ঘন্টার পর ঘন্টা আমি ট্রেনের আসা যাওয়া দেখতাম। সন্ধ্যা পর্যন্ত আমি রেলস্টেশনে বসে থাকতাম। এখন অবশ্য রেলস্টেশন যাই না। বয়স বাড়ার সাথে সাথে সব কিছু বদলে যায়। খাদ্য, শখ, স্বপ্ন, ইচ্ছা। কতদিন হয়ে গেলো রেল লাইনে যাই না। ১১ বছর আগে বাগিচা রেল লাইনের সামনে চায়ের দোকানে অনেক আড্ডা দিতাম। চুন্নুর চায়ের দোকান। প্রতিদিন আড্ডা দিতাম। আড্ডা দিতে গিয়ে দশ বারো কাপ চা খেয়ে ফেলতাম।
হযরত আলী স্ত্রীর উপর রাগ হলে মাটিতে গড়াগড়ি করতেন।
বড়ই হাস্যকর। আমার এক বন্ধুর মন মেজাজ খারাপ হলেই বারে গিয়ে মদ খেতো। আরেক বন্ধুর মন খারাপ হলে চলে যেতো পুরান ঢাকায়। বিরানী খেতো। তারপর দই মিষ্টি। খাবার খেলেই তার মন ভালো হয়ে যেতো। নীলা নামের একটা মেয়েকে চিনি, তার মন খারাপ হলেই সে আইসক্রিম খেতো। আইসক্রিম খেলেই তার মন ভালো হয়ে যেতো। আমার এক শিক্ষক বলতেন, মন খারাপ হলেই আকাশ দেখবি। আমার ঘর থেকে এখন আকাশ দেখা যায় না।
ইদানিং আমার মন খারাপ হলে আমি বই পড়ি, নয়তো লিখি।
যা মন চায় লিখি। পড়তে পড়তে অথবা লিখতে লিখতে মন ভালো হয়ে যায়। লেখালেখির মধ্যে একটা অকৃত্রিম আনন্দ আছে। পড়তে এবং লিখতে আমার কখনো ক্লান্তি আসে না। বরং আনন্দ পাই। সহজ সরল আনন্দ। আজকাল আমি মন খারাপ হলেই প্রার্থনা করি। এবং আমি অনুভব করি, ঈশ্বর আমার প্রার্থনা শুনছেন। আল্লাহ আমার মন ভালো করে দেন। অলৌকিক একটা ব্যাপার। বলে বুঝাতে পারবো না। জাস্ট অনুভব করা যায়।
মানুষের মন বড় অদ্ভুত!
হুটহাট খারাপ হয়ে যায়, ভালো হয়ে যায়। দুনিয়াতে সবচেয়ে বেশি রহস্য মহাকাশে এবং সমুদ্রের গভীরে। মহাকাশ আর সমুদ্রের চেয়ে বেশি রহস্য মানুষের মনে। মন ভালো না থাকলে আমি রমনা পার্কে গিয়ে চুপচাপ বসে থাকি। রাস্তার পাশের দোকান থেকে চা খাই, সিগারেট খাই। ফোন করে পুরোনো প্রেমিকাদের সাথে কথা বলি। দেখা করি। কোয়ালিটি টাইম পার করি। পুরোনো প্রেমিকারা এখনও ডাকলেই চলে আসে। সময় দেয়। তাদের সাথে আনন্দময় সময় পার করি।
২৭ শে অক্টোবর, ২০২৪ বিকাল ৩:০৯
রাজীব নুর বলেছেন: ব্যস্ততার কারনে মন্তব্যের উত্তর দিতে দেরী করে ফেললাম।
২| ২৬ শে সেপ্টেম্বর, ২০২৪ ভোর ৬:০৬
আজব লিংকন বলেছেন: এই লিখাটাও মন খারাপের লিখা নাকি? ব্যস্ত থাকলে মন খারাপের ভুতে পায় না। ফাঁকা থাকলে আমাকেও মন খারাপের ভুত পেয়ে বসে। তোমার ঘরে বসত করে কয় জনা টাইপ।
৩| ২৬ শে সেপ্টেম্বর, ২০২৪ সকাল ৮:০০
মুনতাসির বলেছেন: আমাদের যদি কামাই করতে না হয় তবে অনেক কিছু করা সম্ভব। আবার যদি কামাই করার চিন্তাও না থাকে তাইলেও সম্ভব। আমার এক বন্ধু বাল্ব ফিউজ করত সুইচ অন অফ করে। সে পারত তার কারণ তার পরিবার সে বাড়তি খরচ বহন করতে পারত। বেস্ত থাকেন কখন?
৪| ২৬ শে সেপ্টেম্বর, ২০২৪ সকাল ৯:২৬
সৈয়দ মশিউর রহমান বলেছেন: এখন চাকুরী বাকুরী কিছু করছেন?
৫| ২৬ শে সেপ্টেম্বর, ২০২৪ সকাল ১১:১৬
নয়ন বড়ুয়া বলেছেন: অনেকদিন পর ব্লগে এসে আপনাকে দেখে ভালো লাগলো রাজীব দা...
৬| ২৬ শে সেপ্টেম্বর, ২০২৪ দুপুর ১:৪০
নজসু বলেছেন:
আমার মন অল্পতেই যেমন খারাপ হয়, আবার অল্প সময়েই ভালো হয়ে যায়।
হাইস্কুল জীবনে আমার যখন খুব মন খারাপ হতো তখন আমি উচ্চ শব্দ দিয়ে ডি এক্স বল খেলতাম।
এখন মন খারাপ হলে হালকা ভলিউমে রবীন্দ্র সংগীত শুনি। এই একটা জিনিষ নিমিষে আমার মনটা ভালো করে দেয়।
বই পড়াটাও কাজে লাগে। তবে, পড়ার চেয়ে চোখ বন্ধ করে গান শোনাটা বেশি ভালো বোধ হয় আমার।
প্রিয় ভাই, আপনি ঠিকই বলেছেন, মানুষের মন আসলেই অদ্ভুত! বিচিত্র!
৭| ২৬ শে সেপ্টেম্বর, ২০২৪ দুপুর ১:৪১
নজসু বলেছেন:
পুরাতন প্রেমিকারা মানে? এযাবত কতগুলো প্রেম করেছেন?
আমাদের ভাবী জানেন তো?
৮| ২৬ শে সেপ্টেম্বর, ২০২৪ বিকাল ৫:৩৪
সমূদ্র সফেন বলেছেন: মন ভালো হয়ে গেল ।
৯| ২৬ শে সেপ্টেম্বর, ২০২৪ রাত ১১:৪৭
রানার ব্লগ বলেছেন: মন খারাপ হলে আমি ঘুমাই৷ ঘুমিয়ে সময় পার করি৷
১০| ২৭ শে সেপ্টেম্বর, ২০২৪ রাত ৩:৪২
স্বপ্নের শঙ্খচিল বলেছেন: আমি গান শুনি বা একশন ছবি দেখি
১১| ২৭ শে সেপ্টেম্বর, ২০২৪ সকাল ১১:০২
মোহাম্মদ সাজ্জাদ হোসেন বলেছেন:
কোটা আন্দোলনের কথা বলছি।
এটা কোন আদর্শিক আন্দোলন ছিল না।
এটা ছিল শিবির কর্তৃক পরিচালিত একটি প্রতারণামূলক আন্দোলন।
কোটা থেকে সরকারের পদত্যাগের দাবিতে আন্দোলন।
এমন জ্বালাও পোড়াও ধ্বংসাত্মক আন্দোলন এই ভূমিতে জীবনেও হয় নাই।
প্রফেসর সাহেব ইহাতে যোগদান করেছেন জরিমানার শাস্তি থেকে বাঁচার জন্য এবং ট্যাক্স থেকে মওকুফ পাওয়ার জন্য।
তাঁকে প্রায় সাড়ে ৬০০ কোটি টাকা ট্যাক্স প্রদান করতে হতো।
এখন সেটা হয়তো আর দিতে হবে না।
১২| ২৭ শে সেপ্টেম্বর, ২০২৪ সকাল ১১:১১
মোহাম্মদ সাজ্জাদ হোসেন বলেছেন:
আপনার পুরাতন প্রেমিকের কি বিয়ে হয় নাই!¿?
১৩| ২৭ শে সেপ্টেম্বর, ২০২৪ দুপুর ১২:২৮
ঢাবিয়ান বলেছেন: ব্লগার হাসান কালবৈশাখি কে বড়ই মিস করতেছি। মন খারাপ থাকলে উনার মন্তব্যে না হেসে পারা যেত না। আর তাতেই উধাও মন খারাপ
ফান এসাইড মন খারাপে প্রার্থনা বলতে কি নামাজ পড়েন? আসলেই এটা অনেক বড় একটা ঔষধ । যে ব্যক্তি নিয়মিত নামাজ পড়ে , ডিপ্রেশন তার ধারে কাছে ঘেসতে পারে না।
©somewhere in net ltd.
১| ২৬ শে সেপ্টেম্বর, ২০২৪ ভোর ৫:২৩
কামাল১৮ বলেছেন: যারা সঠিক ভাবে চিন্তা করতে পারে না তাদের অনেক সমস্যা।তারা প্রায় পাগলের মতো এই হাসে এই কাঁদে।বস্তুবাদ ভালো মতো না জানলে সঠিক ভাবে চিন্তা করতে পারার কথা না।আর বিষয়টা কঠিনে বটে।হেগেল থেকে শুরু করতে হবে ।
চার্বাকরা নান্তিক ছিলো কিন্তু বস্তুবাদী ছিলো না।বর্তমানেও বহু নাস্তিক বস্তুবাদী না।অথচ তাদের বস্তুবাদী হবার কথা ছিলো।