নির্বাচিত পোস্ট | লগইন | রেজিস্ট্রেশন করুন | রিফ্রেস

...............

শ্রাবণধারা

" আমাদের মতো প্রতিভাহীন লোক ঘরে বসিয়া নানারূপ কল্পনা করে, অবশেষে কার্যক্ষেত্রে নামিয়া ঘাড়ে লাঙল বহিয়া পশ্চাৎ হইতে ল্যাজমলা খাইয়া নতশিরে সহিষ্ণুভাবে প্রাত্যহিক মাটি-ভাঙার কাজ করিয়া সন্ধ্যাবেলায় এক-পেট জাবনা খাইতে পাইলেই সন্তুষ্ট থাকে......."

শ্রাবণধারা › বিস্তারিত পোস্টঃ

চাকুরি জীবন- সপ্রতিভ মুরগি ভাজা পর্ব

০৮ ই জুলাই, ২০১৩ দুপুর ১:৩৬



ছাত্রজীবন শেষ হতে না হতেই বাবার মৃত্যু আর তার ফেলে যাওয়া সংসারের ভারে অল্পদিনের মধ্যেই আমার অর্জিত দর্শনের দেউলিয়াত্ব বুঝতে পারলাম। একদিন আবিষ্কার করলাম, আমার পরনের শার্টটা ময়লা, কোমরের বেল্টটা বহু ব্যবহৃত, জুতোয় সেলাই পড়েছে কয়েক জায়গায়; আর এগুলো পরেই মাসের পর মাস বাসে ঝুলতে ঝুলতে আমি অফিসে যাই, আসি, সংকীর্ণ ঘুপচি ঘরের আলো বাতাসহীন অন্ধকারে বসে সামান্য টাকায় পুরো মাস কিভাবে চলবে তার হিসাব করি।



- কি ভাই এখানে আছেন, নাকি নাই ?

বসে ছিলাম একটা মাল্টিন্যাশনাল কোম্পানীর রিসিপশনে, এসেছিলাম চাকরির ইন্টারভিউ দিতে। আমার সাথে ইন্টারভিউ দিতে আসা সপ্রতিভ চাকরি প্রার্থীদের একজন পাশ থেকে ডাকছিলেন। নিজের ভাবনায় এত বেশী মগ্ন হয়ে ছিলাম যে তার কথা শুনতে পাইনি।



- ইন্টারভিউ দিতে এসে ঘুমায় গেলেন নাকি ভাই?

আমাকে উদ্দেশ্য করে বললেন তিনি। বেশ জোরে হেসে উঠল বাকি সবাই।



- কোথায় আছেন আপনি? জিজ্ঞেস করলো ছেলেটা।

আমার কোম্পানির নাম বলায় কেউ চিনতে পারলো না। জানতে চাইল, পড়ালেখা করেছি কোথায়। ছেলেটার প্রশ্ন করার ধরন বেশ উদ্ধত, অন্য সময় হলে উত্তর না দিয়ে চুপ করে থাকতাম। কিন্তু আজ চাকুরির ইন্টারভিউ দিতে এসেছি, আজ আমাকে বিনয়ী হতেই হবে। নম্রভাবে তার প্রশ্নের উত্তর দিলাম। আমার সাথে কথা শেষ করে তারা নিজেদের আলাপে ফিরে গেলেন। পাশে মোটা মত, চ্যাপ্টা ফর্সা চেহারার একটা মেয়ে বসেছিলেন। তিনি নামজাদা বিজনেস স্কুল থেকে পাশ দিয়ে নামী ব্যাংকে চাকরি করেন। আলাপটা উঠেছিল তাকে নিয়ে- ভাল প্রতিষ্ঠানে চাকুরি করেও কেন তিনি এখানে ইন্টারভিউ দিতে এসেছেন। মেয়েটি জানালো, কোম্পানি ভাল হলেই যে কেরিয়ার গ্রোথ ভাল হবে এমন নয়। তাদের আলোচনায় অংশ নেবার যোগ্যতা আমার ছিল না। কথা শুনে বুঝেছিলাম, মাশলো সাহেবের "হায়ারআর্কি অফ নিডের" উচ্চস্তরের মানুষ ছিলেন তারা, আর আমি ছিলাম একেবারে নিম্নস্তরে, শরীরবৃত্তি-অলাদের ঘরে।



কোন কারণে ইন্টারভিউ খুব ধীরে আগাচ্ছিল। এতক্ষণ বসিয়ে রাখা হয়েছে দেখে স্যুট পরা একটা ছেলে ঘন ঘন বিরক্তি প্রকাশ করছিল। এবার সে উঠে দাঁড়িয়ে রিসিপশনিস্ট মেয়েটিকে উদ্দেশ্য করে ইংরেজীতে বলল, ঘন্টার পর ঘন্টা তার বসে থাকার সময় নেই, তার ইন্টারভিউ কোন ভাবে আগে নেওয়া যাবে কিনা। মেয়েটি মিষ্টি হেসে জানালো, ব্যাপারটায় সে দুঃখিত, কিন্তু তার আসলে কিছু করার নেই। ছেলেটা আরও কিছু কড়া ইংরেজি বলে রাগ করে ইন্টারভিউ না দিয়েই চলে গেল। তার চলে যাওয়া দেখে বেশ অবাক হলাম। একটু দেরি হবে বলে এমন সুযোগ কেউ হাতছাড়া করে। আমাকে শেষ রাত পর্যন্ত বসিয়ে রাখলেও ইন্টারভিউ না দিয়ে আমি যাচ্ছি না, ভাবলাম মনে মনে। ছেলেটা নামজাদা সিগারেট কোম্পানিতে চাকরি করে, এখানে ইন্টারভিউ দেয়াটা হয়ত তার জন্য তেমন গুরুত্বপূর্ণ নয়।



দুপুরের পরে ইন্টারভিউয়ে আমার ডাক পরলো। ইন্টারভিউ বোর্ডে তিন জন ছিলেন। তখনো ইন্টারভিউ দেবার কলাকৌশল শিখিনি, যতটা পারলাম সহজ সরল ভাবে তাদের প্রশ্নের উত্তর দিতে চেষ্টা করলাম। কিন্তু দীর্ঘ সময় ধরে বিভিন্ন বিষয়ে, প্রসঙ্গে প্রশ্ন করে করে তারা আমাকে নার্ভাস করে ফেললেন। আমার প্রকৃতি এমনিতে সরল, নার্ভাস অবস্থায় এই সরলতা অতি মাত্রায় বেড়ে গিয়ে নিরেট বোকামিতে পরিণত হয়। অতি সরলতা যে কর্পোরেট জগতে অচল এটা কিছুটা হলেও বুঝতাম। ওখান থেকে বের হয়ে মনে হল, বেশি সরলতার জন্যই হয়ত ইন্টারভিউটা ভাল হল না। পরের দিন রাতে মারুফ ভাইকে পড়াতে গিয়ে ইন্টারভিউয়ের কথা বললাম। সব শুনে তিনি বললেন, মনে হচ্ছে ভালই হয়েছে। বেশী দিন অপেক্ষা করতে হল না, সপ্তাহখানেক পরেই একদিন সেই অফিস থেকে ফোন এলো। পরের ধাপের ইন্টারভিউয়ের জন্য নির্বাচিত হয়েছি। ফাইন্যান্স চিফ এর সাথে কদিন পরে আমার ইন্টারভিউ।



মারুফ ভাই আমাকে বলেছিলেন, বিদেশী এই ফাইন্যান্স চিফ তুখোড় বুদ্ধিসম্পন্ন এবং দূর্দান্ত প্রফেশনাল। তুখোড় বুদ্ধির ব্যাপারটা কিছুটা বুঝলেও দূর্দান্ত প্রফেশনাল ব্যাপারটা যে ঠিক কেমন তা কিন্তু আমার মাথায় ধরলো না। ভাবলাম একাউন্টিংয়ের বিদ্যা আরেকটু ঝালাই করে নিলেই বোধহয় বুদ্ধি এবং প্রফেশনালিজম দুটোকেই কুপোকাত করতে পারবো। অনেক আশা নিয়ে ইন্টারভিউ দিতে গেলাম। কিন্তু ইন্টারভিউয়ের অল্প সময়ের মধ্যে নিজেই কুপোকাত হয়ে গেলাম। প্রথমত, চিরকাল দেশী ইংরেজি শুনে শুনে বিদেশী সেই লোকের খাস আমেরিকান উচ্চারণ আমার মাথার উপর দিয়ে যাচ্ছিল। তিনি প্রশ্ন করছিলেন ঝড়ের বেগে। আমি কোন প্রশ্নই ঠিকঠাক বুঝতে না পেরে বারবার তাকে পুনরাবৃত্তি করতে বলছিলাম। তার উপর ভদ্রলোক একাউন্টিং বিষয়ে কোন প্রশ্নই করছিলেন না। সেদিন ওয়াল স্ট্রিট জার্নালে প্রকাশিত অর্থনীতির কি একটা খবর নিয়ে আমার সাথে আলোচনা শুরু করে দিলেন। এই ইন্টারভিউটা কিন্তু খুব বেশী দীর্ঘ হল না। প্রশ্ন করলেন অনেক, কিন্তু খুব মাপা সময়ের মধ্যে। বের হয়ে বুঝলাম, ইন্টারভিউটা ভালো হল না। সেদিন রাতেই মারুফ ভাইয়ের বাসায় গেলাম। ভেবেছিলাম সব শুনে মারুফ ভাই হয়ত আশার কথা কিছু বলতে পারেন। কিন্তু দেখলাম, তার মুখ গম্ভীর হয়ে গেল, শুধু বললেন, "চেষ্টা করতে থাক, এখানে না হোক অন্য কোথাও হয়ত হবে।" তার কথা শুনে খুব আশাহত হলাম। সত্যি বলতে কি, আম্মাকেও বাসায় ফোন করে এই ইন্টারভিউয়ের কথা বলেছিলাম। যদিও জানতাম, যেটা এখনও পাইনি সেটা সম্পর্কে আম্মার মনে আশা জাগানো ভুল হবে, তবু কেমন করে যেন ঠিকই বলে ফেলেছিলাম। আমার মন থেকে কিন্তু আশা পুরোপুরি গেল না। মনে হল, যদি চাকরিটা হয়ে যায়।



এরপর থেকে প্রতিদিনই ভাবি আজ হয়ত ঐ অফিস থেকে ফোন আসবে। কিন্তু না, সপ্তাহ পার হয়ে গেল, ফোন এল না। মারুফ ভাইয়ের সাথে যোগাযোগ করলাম, তিনি কোন খবর দিতে পারলেন না। বললেন, আর কিছুদিন অপেক্ষা করে দেখতে। যতো দিন যায় আমার অস্থিরতা ততো বাড়ে। পরের সপ্তাহ শেষ হয়ে গেল, ফোন এল না। মারুফ ভাইয়ের সাথে আবার যোগাযোগ করলাম। বললেন, এইচআরে খোঁজ নিয়ে দেখবেন। পরের দিন বিকেল থেকেই মারুফ ভাইকে ফোন দেই, কিন্তু ফোন ধরেন না। বহুবার চেষ্টা করেও কিছুতেই তাকে ফোনে পেলাম না। বুঝলাম, খবর খারাপ, কিন্তু খবরটা নিশ্চিত না হওয়া পর্যন্ত স্বস্তি পাচ্ছিলাম না। রাত দশটার দিকে মারুফ ভাই নিজেই কল ব্যাক করলেন। জানলেন, আমার চাকরিটা হয়নি। দুই জন ফাইনালি সিলেক্ট হয়েছে, আমি তাদের মধ্যে নেই। দুই মাস ধরে লালন করা স্বপ্ন মুহূর্তেই ভেঙ্গে শেষ হয়ে গেল। এই দুটো মাস কেমন একটা ঘোরের মধ্যে ছিলাম, ভুলেই গিয়েছিলাম যে আমি মুরগির খামারের কর্মচারী। ভুলে ছিলাম যে, জীবন যাপনে আমি নিতান্ত ছাপোষা, বেঁচে থাকার জন্য তুমুল চেষ্টায় রত একা একটা মানুষ। আম্মাকে খবরটা জানানো কষ্টকর হল, কেননা ছোট বোনের উচ্চ মাধ্যমিক পরীক্ষা শেষ হয়ে গেলে সবাই মিলে ঢাকায় থাকার ইচ্ছাটা আমার মায়ের মনে তীব্র ভাবেই ছিল। আসলে আমাদের তিন ভাইবোনকে ঢাকায় রেখে মফস্বলের নির্জন বাসায় আম্মার পক্ষে একা থাকা সম্ভব ছিল না।



অনিচ্ছা সত্ত্বেও মুরগীর খামারের পুরনো বাস্তবতায় আবার ফিরতে হল। একদিন কি একটা কাজের সূত্র ধরে আমাদের ছাত্র এমডি আমার সাথে খুব চোটপাট করলেন। মিয়া উদ্দিন চলে যাবার পর থেকেই আমার মধ্যে একটা উড়ু উড়ু ভাব তৈরি হয়েছিল, সেই কোম্পানীতে ইন্টারভিউ দেবার সময় থেকে ভাবটা বেড়ে গিয়েছিল। আমাদের ছাত্র এমডি বিষয়টা লক্ষ করেছিলেন। ধমকা ধমকি সে কারণেই করলেন, কাজটা ছিল উপলক্ষ মাত্র। অনেক দিন চেষ্টা করেও নতুন কোন চাকরির ব্যাবস্থা করতে পারছিলাম না। সীমাহীন অযোগ্যতায় নিজের উপর ঘৃণাটা দিনের পর দিন বেড়ে যাচ্ছিল। যে ভাবে চেষ্টা করলে কাজ হতে পারে, মনে হচ্ছিল ঠিক সে কাজ গুলো আমি করছিলাম না। আসলে কি, তখন পর্যন্ত নিজের ভিতরেই গুটিয়ে থাকতাম। নিতান্ত ঠেলায় না পড়লে খোলস ছেড়ে বাইরে বের হতাম না। বাহিরের কুটিল, স্বার্থপর পৃথিবীর সাথে কিভাবে যে অভ্যস্থ হয়ে সামাজিক হয়ে ওঠা যায় তার উপায় জানা ছিল না। আমার পিঠ যেহেতু দেয়ালে ঠেকে গিয়েছিল, তাই কোন ভাবে ঘুষ দিয়ে হলেও এই নীতিবিহীন রুক্ষ পৃথিবীর সাথে আপোষ রফা করতে চাচ্ছিলাম। কিন্তু ঠিক কিভাবে, কোথায় কখন যে ঘুষটা দিতে হবে সেটাই বুঝতে পারছিলাম না। ঠিক করলাম, এখন থেকে বড় ভাইদের মধ্যে যারা ভাল জায়গায় আছে, তাদের সাথে দেখা করে চাকরির খোঁজ করব, সুযোগ মত সিভিও দিয়ে আসবো। কিন্তু ঐ ঠিক করা পর্যন্তই, চাকরির প্রয়োজনে কারো সাথে যোগাযোগ করার কথা ভাবতে গেলেই মনের মধ্যে কেমন একটা সংকোচ, মানুষকে বিরক্ত করার তীব্র অস্বস্তি দানা বাঁধতো। ফোন করবো করবো করেও কোন বড় ভাইকে আর ফোন করা হত না, দেখা করে সিভি দেওয়া তো দূরের কথা।



একদিন অনেক সাহস সঞ্চয় করে ভাল কোম্পানীতে ভাল চাকুরি করেন এমন এক বড় ভাইকে ফোন দিলাম এবং তার সাথে দেখা করার অনুমতি চাইলাম। তার কথা শুনে মনে হল তিনি অনেক ব্যস্ত আর ঝামেলার মধ্যে আছেন, কিন্তু তিনি আমাকে সময় দিতে রাজি হলেন এবং পরেরদিন বিকেলে গুলশানে তার অফিসে যেতে বললেন। পরদিন সেই বড় ভাইয়ের সাথে দেখা করার জন্য তৈরি হচ্ছি, অফিস থেকে সেদিন একটু আগে আগে বের হবার প্লান। অফিস থেকে বের হব এমন সময়ে আমার মোবাইলে টিএনটি নম্বর থেকে একটা ফোন এল। মাস খানেক আগেও টিএনটি নাম্বার থেকে ফোন এলে চমকে উঠতাম। যে অফিসে ইন্টারভিউ দিতে গিয়েছিলাম সেখান থেকে সবসময় টিএনটি নাম্বার থেকে ফোন আসতো, একটা নির্দিষ্ট নাম্বার নয়, একেকবার একেক নাম্বার। ততদিনে সেই চাকরিটা না পাবার দুঃখ প্রায় কাটিয়ে উঠেছি। ভাবলাম বোধহয় সেই বড় ভাইয়ের অফিস থেকে ফোন। কিন্তু ফোন এসেছে সেই কোম্পানি থেকেই। সুকণ্ঠী একটি মেয়ে বললো, তাদের এইচআর ম্যানেজার আমার সাথে কথা বলতে চান, কবে আমি তাদের অফিসে যেতে পারবো।ওখানে শেষ ইন্টারভিউয়ের দেবার পর থেকে এর মধ্যে প্রায় দুমাসের বেশী সময় পার হয়ে গেছে, আমার মনে সন্দেহ হল যে হয়ত তারা আবার নতুন করে ইন্টারভিউ নিতে চায়। জানালো, তা নয়, ইন্টারভিউয়ের পর্ব শেষ, এখন তারা আমাকে জব অফার করবে আর বেতন নিয়ে কথা বলবে। বললাম, আমি আজই ফ্রি আছি, যদি এইচআর ম্যানেজারের সময় হয়, তবে এখনই তাদের অফিসে গিয়ে দেখা করতে পারি। মেয়েটি আমাকে লাইনে রেখে কিছুক্ষণ পরে ফিরে এসে জানালো, তাদের অফিস পাঁচটা পর্যন্ত খোলা, যদি সাড়ে চারটার মধ্যেই আসতে পারি তাহলে যেন আসি।



তখন প্রায় চারটা বেজে গেছে। সেসময়ে ঢাকার রাস্তা এখনকার মতো এতটা দূর্বিষহ ছিলনা। কাওরান বাজার থেকে সিএনজি নিয়ে আধাঘন্টার মধ্যেই গুলশানে পৌঁছলাম। সেদিনও সেই পুতুল চেহারার মাখন শরীরের মেয়েটি রিসিপশন ডেস্কে বসে ছিল। একটু হাসি হেসে, কার সাথে দেখা করতে এসেছি জানতে চাইল। আজ কেন যেন তার হাসিটাকে তাচ্ছিল্যের বলে মনে হল না। এইচআর ম্যানেজারের সাথে তাড়াতাড়িই আমার কাজ শেষ হয়ে গেল। বেতন নিয়ে দরকষাকষি করার যোগ্যতা আমার ছিল না, শুধু কাগজ পত্রে চোখ বুলিয়ে সই করে দিলাম। আমার হাতে তিনি আরও কিছু কাগজ ধরিয়ে দিলেন, বললেন, কিছু কাজ এখনও বাকি আছে। মেডিকেল এবং সিকিউরিটি চেক শেষ হলেই কেবল আমি চাকরিতে জয়েন করতে পারবো। ভয় হল, কি জানি অতি উৎসাহ আর উত্তেজনায় ব্লাড প্রেশার বেড়ে গিয়ে মেডিকেলের পরীক্ষায় ফেল মারি কিনা। কিন্তু সেরকম কিছু হল না, সহজেই মেডিকেল এবং সিকিউরিটি পরীক্ষায় পাশ দিলাম।



মারুফ ভাইয়ের কাছে পরে শুনেছিলাম, ঐ চাকরিতে চুড়ান্ত ভাবে নির্বাচিত হওয়া দুজনের মধ্যে একজন নাকি শেষ পর্যন্ত জয়েন করেনি। অনেকদিন ঝুলিয়ে রেখে অবশেষে তিনি এই কোম্পানিতে জয়েন না করার সিদ্ধান্ত নেন। অতএব বদলি খেলোয়াড় হিসেবে আমি মাঠে নামার সুযোগ পেয়েছিলাম। পরে জেনেছিলাম, বদলি খেলোয়াড়ের যোগ্যতা আসল খেলোয়াড়ের সমান নয় বলে, আমার বেতন অপর সহকর্মীর প্রায় অর্ধেক ছিল। কিন্তু তার পরেও অনেক খুশি আর উৎসাহ নিয়ে মাস খানেক পরে আমি নতুন চাকরিতে যোগ দিয়েছিলাম। বেতন অর্ধেক হবার কারণেই কিনা জানিনা, নতুন অফিসের সহকর্মীরা কিন্তু আমাকে ঠিক সহজ ভাবে গ্রহন করলো না। পোশাকে-আশাকে, কথায় বা আচরণে আমি সেই নামী মাল্টিন্যাশনাল কোম্পানির চাকরিজীবীদের সমগোত্রীয় ছিলাম না বলেই হয়ত এখানে আমার অভ্যর্থনাটা কিছুটা উপহাস সহকারে হল। প্রথম যেদিন এখানে ইন্টারভিউ দিতে এসেছিলাম সেদিন যে ছেলেটা আমাকে নিয়ে রসিকতা করে অন্যদের আমোদ দিয়েছিল, ইন্টারভিউয়ে ফার্স্ট হয়ে সে আমার অল্প কিছুদিন আগে এ কোম্পানীতে যোগ দিয়েছিল। জানিনা ঠিক কি কারণে আমি তার বিরাগভাজন হয়েছিলাম, ফাইন্যান্সের অন্য সহকর্মীদের মত আমি তার গুণমুগ্ধ ছিলাম না বলেই হয়ত, আমাকে নিয়ে ঠাট্টা বিদ্রুপ উপহাসে আমার এই সহকর্মী অন্য সকলকে মাতিয়ে রাখত। চাকরিটাকে আমি খুব গুরুত্বের সাথে নিয়েছিলাম, তাই এখানে যোগ দেবার পর থেকেই অতিমাত্রায় সিরিয়াস হয়ে গিয়েছিলাম। আমি অফিসে যেতাম সবার আগে, বের হতাম সবার পরে। কোন কাজের ডেড-লাইন এক সপ্তাহ পরে থাকলেও তিন দিনের মধ্যেই কাজ শেষ করে সুপারভাইজারের কাছে রিভিউয়ের জন্য পাঠিয়ে দিতাম। অনেকটা নিজের অজান্তেই আমার মনে হয়ত এই ভাবটা কাজ করেছিল যে, আমি যেহেতু আর সবার মত স্মার্ট নই, অতএব নিষ্ঠা ও আন্তরিকতা দিয়ে সেটা আমি পূরণ করে দেবো। বলাই বাহুল্য আমার এই অতিরিক্ত নিষ্ঠা আমার সহকর্মীদের দৈনন্দিন হাসি ঠাট্টার বিষয় হয়েছিল। আমাদের পশ্চিমা ফাইন্যান্স চিফ যদিও আমাকে নিয়ে আমার সহকর্মীদের রসিকতায় কখনও কখনও আমোদ পেতেন, আমার ঐকান্তিক নিষ্ঠা কর্পোরেট পরিবেশে সবসময় মানানসই না হলেও এটাকে তিনি গুরুত্বের সাথে নিয়েছিলেন। পরবর্তী এপ্রেইজাল বা মূল্যায়নের সময় তার চেষ্টাতেই আমার অর্ধেক বেতনের অর্ধেক কর্মচারী হওয়ার বৈষম্যটা দূর হয়েছিল। এখানে জয়েন করার পর থেকে বছর খানেক পর্যন্ত, যতদিন আমি শিখিনি যে উপহাসের জবাব উপহাস করেই দিতে হয়, অথবা বাঁকা কথার জবাব রুক্ষ ভাবেই ফিরিয়ে দিতে হয়, আমার দিন গুলো খুব নিঃসঙ্গ আর বেদনাদায়ক ছিল।



তবে দেশী মুরগির খামারের ক্ষুদ্র চাকর থেকে বিদেশী কোম্পানীর ক্ষুদ্র কিন্তু কিছুটা সৌখিন চাকরে উন্নিত হয়ে আমার জীবনে বেশ কিছু পরিবর্তন এসেছিল। তিন চার মাস পরে ছোট বোনের পরীক্ষা শেষ হয়ে গেলে, আমার চিলেকোঠার এক রুমের বাসা ছেড়ে দিয়ে আম্মা আর ছোট দুই বোনকে নিয়ে সবাই মিলে তিন বেডরুমের একটা ছোট ফ্লাটে উঠে গিয়েছিলাম। ত্রিশ বছরেরও বেশী সময় মফস্বল শহরে সংসার-জীবন কাটিয়ে দেয়া আমার মা অবশেষে এই পোড়া ঢাকা শহরে বসবাস করতে এসে তার সবগুলো সন্তানকে একসাথে একই ছাঁদের নিচে পেয়েছিলেন। বাবার মৃত্যুর পর থেকে অনেক পাতাঝরা নিষ্ফল শীতের পরে সেবার বসন্তে আমাদের উঠোনের শুঁকনো বুড়ো গাছটায় আবার নতুন করে সবুজ কচি পাতা ধরেছিল। এখানে চাকরি করে কিছুকাল পরে আমি যথাক্রমে একটা ক্রেডিট কার্ড, লক্কড় ঝক্কড় টাইপ একটা পুরাতন ভাঙ্গা গাড়ি এবং বিশ্ববিদ্যালয় পাশ দেওয়া মাঝারি মাপের একজন সুন্দরী স্ত্রীর অধিকারী হয়েছিলাম। এছাড়াও ঢাকা শহরে যত্রতত্র গজিয়ে ওঠা ২৫, ৪০ বা ১০১ পদের অখাদ্য ব্যুফে রেস্তোরাঁ ও মুরগিভাজার দোকান গুলো আমাদের জন্য তাদের দ্বার উন্মুক্ত করেছিল। সারাদিন ব্যাংকের হিসাব মিলিয়ে বা পাওনাদারের টাকা পরিশোধ করে অফিসে সন্ধ্যার নাস্তায় যখন আমার সহকর্মীদের সাথে মুরগি ভাজায় কামড় দিতে দিতে শেয়ার মার্কেটের লাভ ক্ষতির হিসাব করতাম, তখন মনে হত, গরু হয়ে পৃথিবীতে জন্ম নেয়াটা কতই না আনন্দের.........।



(তৃতীয় পর্ব সমাপ্ত)



প্রথম পর্ব: চাকুরি জীবন- বিষণ্ণ ছোলা ভাজা পর্ব: Click This Link



দ্বিতীয় পর্ব: চাকুরি জীবন - যখন দেয়ালে পিঠ: Click This Link

মন্তব্য ১৪০ টি রেটিং +২৭/-০

মন্তব্য (১৪০) মন্তব্য লিখুন

১| ০৮ ই জুলাই, ২০১৩ দুপুর ১:৫৭

টুম্পা মনি বলেছেন: ++++++

০৮ ই জুলাই, ২০১৩ সন্ধ্যা ৬:২২

শ্রাবণধারা বলেছেন: পড়ার জন্য আর প্রথম কমেন্টের জন্য অনেক ধন্যবাদ। শুভকামনা রইলো.........।

২| ০৮ ই জুলাই, ২০১৩ দুপুর ২:০৩

কান্ডারি অথর্ব বলেছেন:

সিরিজটা ভাল লাগছে চলুক।

++++++ রইল।

০৮ ই জুলাই, ২০১৩ সন্ধ্যা ৬:২৩

শ্রাবণধারা বলেছেন: ধন্যবাদ কান্ডারী অথর্ব ভাই। সিরিজের সবগুলো লেখায় আপনার মন্তব্য দেখে আপ্লুত.......। শুভকামনা..।

৩| ০৮ ই জুলাই, ২০১৩ দুপুর ২:১৬

স্বপনীল জলরং বলেছেন: in a word more than excellent !!!!

চলুক।।

০৮ ই জুলাই, ২০১৩ সন্ধ্যা ৬:২৪

শ্রাবণধারা বলেছেন: অনেক ধন্যবাদ ভাই আমার সামান্য লেখা পড়ে উৎসাহ দেওয়ার জন্য।

শুভকামনা রইলো............।

৪| ০৮ ই জুলাই, ২০১৩ দুপুর ২:৪২

পাকাচুল বলেছেন: পরের পর্বের অপেক্ষায় রইলাম।

০৮ ই জুলাই, ২০১৩ সন্ধ্যা ৬:২৯

শ্রাবণধারা বলেছেন: অনেক ধন্যবাদ পাকাচুল ভাই। আরেকটা পর্বে আশাকরি শেষ করতে পারবো চাকুরি জীবনের গল্প বলা।
তবে চাকরি জীবন ছাড়াও আরও কিছু গল্প বলে যেতে চাই.........।

৫| ০৮ ই জুলাই, ২০১৩ বিকাল ৩:৩২

মোমের মানুষ বলেছেন: +দিালাম। চমৎার হয়েছে।

০৮ ই জুলাই, ২০১৩ সন্ধ্যা ৬:৩০

শ্রাবণধারা বলেছেন: অনেক ধন্যবাদ মোমের মানুষ আমার সামান্য লেখা পড়ে মন্তব্যের জন্য....।

৬| ০৮ ই জুলাই, ২০১৩ বিকাল ৪:৩৪

আদম_ বলেছেন: পড়বোনা পড়বোনা করেও পুরোটা পড়লাম.......... অতীব চমতার হয়েছে। অসাধারণ লেখা। চাকরি সিরিজই তো জীবনের একমাএ সিরিজ নয়, অন্য কোন সিরিজ চলতে পারে।

০৮ ই জুলাই, ২০১৩ সন্ধ্যা ৬:৩৩

শ্রাবণধারা বলেছেন: অনেক ধন্যবাদ ভাই। আরেকটা পর্বে চাকুরি জীবনের কথা বলা শেষ করে, জীবনের অন্য গল্পগুলো বলবো বলে আশা করছি.......।

৭| ০৮ ই জুলাই, ২০১৩ বিকাল ৪:৪৭

ছিরা কবি বলেছেন: student lifta akhon o shesh hoi ni....
tobe chakri jibonta onek agei thekei shuru...

apnar lekhai nijer onek akkheper shur khuje pailam..+++++

০৮ ই জুলাই, ২০১৩ সন্ধ্যা ৬:৩৬

শ্রাবণধারা বলেছেন: ছাত্র জীবন শেষ না করেও চাকুরি করছেন জেনে শ্রদ্ধা অনুভব করছি। আশা করি চাকরিটা আপনার ছাত্রত্বের সাথে সাংঘর্ষিক নয়। তবে যে কোন মূল্যে ঠিক সময়ে ভাল করে লেখা পড়া শেষ করবেন এই দোয়া রইলো............।

৮| ০৮ ই জুলাই, ২০১৩ বিকাল ৫:০০

রিয়ান৯১১ বলেছেন: উপহাসের জবাব উপহাস করেই দিতে হয়, অথবা বাঁকা কথার জবাব রুক্ষ ভাবেই ফিরিয়ে দিতে হয় +++++++++++++++++++++++

০৮ ই জুলাই, ২০১৩ সন্ধ্যা ৬:৪০

শ্রাবণধারা বলেছেন: ধন্যবাদ ভাই। সত্যি বলতে কি অনেক কাজের জিনিসের সাথে কিছু খারাপ জিনিসও আমি এখান থেকে শিখেছিলাম। তবে বলতেই হবে এখান থেকে আমার ভাল-শিক্ষা, খারাপ-শিক্ষার চেয়ে অনেক অনেক গুন বেশী।

শুভকামনা..........।

৯| ০৮ ই জুলাই, ২০১৩ বিকাল ৫:২৫

অপ্রিয় সত্য বলেছেন: ভাল লাগলো। আপনার এই সিরিজটা ফলো করছি। চলুক +++

০৮ ই জুলাই, ২০১৩ সন্ধ্যা ৬:৪১

শ্রাবণধারা বলেছেন: অনুসরণে রাখার মত মানসম্পন্ন লেখা আমার নয়, তারপরও আমার চাকরি জীবনের গল্প ভাল লেগেছে দেখে খুব খুশি হলাম ভাই।

অনেক অনেক শুভকামনা......।

১০| ০৮ ই জুলাই, ২০১৩ রাত ৯:১৮

সাদামাটা একজন বলেছেন: চমৎকার হয়েছে। এত সুন্দর করে লিখতে পারেন!

০৮ ই জুলাই, ২০১৩ রাত ৯:২৮

শ্রাবণধারা বলেছেন: অনেক ধন্যবাদ ভাই। খুব ভাল যে লিখতে পারিনা তা জানি, কিন্তু কেন জানি জীবনের যে কথা গুলো কাউকে কখনো বলা হয়নি এবং বলা হবে না, সেগুলো এখানে লিখতে ভাল লাগে। (মানে লেখার কষ্টটা ছাড়া :)

শুভকামনা.........।

১১| ০৮ ই জুলাই, ২০১৩ রাত ১১:৩১

তৌহিদ জামান73 বলেছেন: ছন্দ আছে লেখায়; একনাগাড়ে পড়ার মত। ধন্যবাদ

০৮ ই জুলাই, ২০১৩ রাত ১১:৩৯

শ্রাবণধারা বলেছেন: ধন্যবাদ তৌহিদ জামান ভাই আমার সামান্য লেখা পড়ে উৎসাহ দেবার জন্য।

শুভকামনা রইলো...........।

১২| ০৯ ই জুলাই, ২০১৩ ভোর ৫:৪৮

বোকামন বলেছেন:






কেমন আছেন আপনি ?
এইতো জীবন....... চাকরি-বাকরি....প্রফেশনালি-জম ......।
আত্মাটা বেঁচে থাকুক।

আপনার লেখার ধরন,উপস্থাপনে আরেকবার মুগ্ধ হলাম :-)
দেখা হবে পরবর্তী কোন পর্বে, কথা হবে অন্য কোন জীবন নিয়ে।

ভালো থাকুন লেখক। খুব ভালো।।

০৯ ই জুলাই, ২০১৩ দুপুর ১২:১১

শ্রাবণধারা বলেছেন: বোকামন ভাই, ভাল আছি। অনেক খুশি হয়েছি সিরিজের সব কটা লেখায় আপনার মন্তব্য দেখে।

ভাবছি, আপনার যখন Songs of Innocence'র কবিতা গুলো লেখা শেষ হয়ে যাবে তখন Songs of Experience"র সময়ে কি আপনি আপনার নিক বদলিয়ে "অভিজ্ঞমন'' বা এরকম কিছু রাখবেন?

অনেক ভাল থাকুন এই কামনা করি.........।

১৩| ০৯ ই জুলাই, ২০১৩ সকাল ৭:০৯

আম্মানসুরা বলেছেন: বাহ!!!! খুব ভালো হয়েছে।মাঝে খারাপ লাগলেও শেষে এসে ভালো লেগেছে।

০৯ ই জুলাই, ২০১৩ দুপুর ১২:২৮

শ্রাবণধারা বলেছেন: অনেক ধন্যবাদ আম্মানসুরা লেখা পড়ে মন্তব্যের জন্য। শেষে এসে ভালো লেগেছে জেনে আপ্লুত, তবে কি আমার কিন্তু দুঃখ দুর্দশার কথা লিখতে খারাপ লাগে না :)

আপনার নিকটা কিন্তু বেশ অন্যরকম, কেমন আরব কফির মত....।

শুভকামনা...।

১৪| ১১ ই জুলাই, ২০১৩ দুপুর ১:০৩

আমি ইহতিব বলেছেন: দেরী হয়ে গেলো ভাইয়া, ৮ তারিখেই দেখেছিলাম আপনার পোস্ট কিন্তু সময় স্বল্পতার কারনে পড়া হয়নি।

আপনার জীবন কাহিনি থেকে এখনকার জেনারেশনের অস্থির চিত্তধারীদের অনেক কিছু শেখার আছে।

পরবর্তী পর্বের অপেক্ষায় থাকলাম।

১১ ই জুলাই, ২০১৩ দুপুর ১:৪৮

শ্রাবণধারা বলেছেন: ধন্যবাদ ভাই আমি ইহতিব, লেখা পড়ে মন্তব্যের জন্য।

আমার সামান্য লেখা যদি কারো অনুভুতিকে স্পর্শ করে তবে সেটা আমার জন্য অনেক খুশির কারণ হবে; তবে, এটা থেকে কেউ কিছু শিখবে এতটা আশা আমার নয়, লেখক হিসেবে আমি অতি নগন্য।

ভাল থাকবেন..........।

১৫| ১১ ই জুলাই, ২০১৩ দুপুর ১:৩৯

প্রত্যাবর্তন@ বলেছেন: ঝরঝরে কাহিনী ভাল লাগল

১১ ই জুলাই, ২০১৩ দুপুর ১:৫৫

শ্রাবণধারা বলেছেন: অনেক ধন্যবাদ ভাই প্রত্যাবর্তন। লেখার সময় আমি একটু ভয়েই ছিলাম যে লেখাটা বোরিং হয়ে যাচ্ছে কি না, আপনার মন্তব্য দেখে ভাল লাগলো।

আগের পর্বগুলো পড়ার আমন্ত্রন।

শুভকামনা.........।

১৬| ১১ ই জুলাই, ২০১৩ দুপুর ২:০০

এসএমফারুক৮৮ বলেছেন: চমৎকার উপস্থাপন ক্ষমতা আপনার।

প্রিয়তে নিয়ে রাখলাম।

১১ ই জুলাই, ২০১৩ দুপুর ২:০৭

শ্রাবণধারা বলেছেন: ধন্যবাদ এসএমফারুক ভাই; এ সিরিজের প্রায় সবগুলো লেখায় আপনার মন্তব্য দেখে সত্যি অনেক আনন্দিত।

ভাল থাকবেন।

১৭| ১১ ই জুলাই, ২০১৩ দুপুর ২:২২

আধার আলো বলেছেন: দারুন লাগলো। সত্যিই চমৎকার। :)

১১ ই জুলাই, ২০১৩ দুপুর ২:৩৫

শ্রাবণধারা বলেছেন: অনেক ধন্যবাদ আধার আলো। আগের পর্বগুলো পড়ার আমন্ত্রন রইলো।

আপনিও কিন্তু বেশ লেখেন।

শুভকামনা.............।

১৮| ১১ ই জুলাই, ২০১৩ বিকাল ৩:৩৭

ফিরে এলাম নতুন নিকে বলেছেন: অসাধারণ আপনার জীবনের এই অভিজ্ঞতাগুলো। আর তার চাইতেও অসাধারণ আপনার বর্ণনা। ইচ্ছে করছে আপনার হাতটা ধরে বলি- থামবেন না, এগিয়ে চলুন।

১১ ই জুলাই, ২০১৩ বিকাল ৩:৫৬

শ্রাবণধারা বলেছেন: অনেক ধন্যবাদ আপনাকে। আপনার শেষ কথাগুলো ছুঁয়ে গেল। সেই মুরগির খামার থেকে যে পথচলা শুরু হয়েছিল সেখান থেকে হয়ত এগিয়েছি অনেকটা পথ। কিন্তু মনে হয়, এ আর এমন কি। মনে হয়, কত দূরেই বা যেতে পারে মিয়া উদ্দিনের সহকারীরা?

ভাল থাকুন..............।

১৯| ১১ ই জুলাই, ২০১৩ বিকাল ৪:৩৫

শায়মা বলেছেন: ভাইয়া আর ভুল হবেনা।:)

১১ ই জুলাই, ২০১৩ সন্ধ্যা ৬:৩১

শ্রাবণধারা বলেছেন: তোমার যে মনে পড়েছে এতেই অনেক খুশি :)

২০| ১১ ই জুলাই, ২০১৩ বিকাল ৪:৩৭

শায়মা বলেছেন: মনে পড়েছে তোমাকে। ছোলাভাজা পর্ব দেখে।


তুমি তো অনেক অনেক ভালো একজন লেখক। অনেক মজা করে লিখতে জানো. আবার ইমোশনালও আছো।

১১ ই জুলাই, ২০১৩ সন্ধ্যা ৬:৫৮

শ্রাবণধারা বলেছেন: নাহ, এখনও ঠিক লেখক হয়ে উঠতে পারিনি, ভাল লেখক হয়ত যোজন যোজন দূরের পথ; কোন কালেও হয়ত সে পর্যন্ত পৌঁছতে পারবো না।

তবু এই যে আমার তুচ্ছ সব লেখা কারো কারো অনুভূতিকে ছুয়ে যায়, এই ব্যাপারটাই আমাকে মুগ্ধ করে। না বলা কথা বলবার ইচ্ছার সাথে অনুভূতিকে ছুয়ে যাওয়ার মুগ্ধতার মিশেলে যে অসামান্যতা তার সাথে আর কোন অনুভূতিরই তুলনা চলে না।

তোমার জন্য শুভকামনা............।

২১| ১১ ই জুলাই, ২০১৩ বিকাল ৪:৪৮

বটের ফল বলেছেন: পাঠককে ধরে রাখার মত সবগুলো উপাদান রয়েছে আপনার লেখায়। সত্যি কথা বলতে কি, অনেক আগ্রহ নিয়ে পড়েছি। এবং সবশেষে শুধু এটুকু বলতে চাই-

শুভকামনা আপনার জন্য।
আরো বলতে চাই-

পোষ্টে একগুচ্ছ প্লাস।
++++++++++++++

১১ ই জুলাই, ২০১৩ সন্ধ্যা ৭:০৬

শ্রাবণধারা বলেছেন: অনেক অনেক ধন্যবাদ বটের ফল।

সত্যি বলতে কি, নিজের লেখার এই পয়েন্টটা নিয়ে আমি বেশ চিন্তায় থাকি। মনে হয় বোরিং হয়ে যাচ্ছে না তো, বকর বকর বেশি হয়ে যাচ্ছেনা তো, বেশি ব্যক্তিগত কথা বলা হয়ে যাচ্ছে না তো। আপনার মন্তব্য পড়ে তাই আশার আলো দেখতে পেলাম।

ভাল থাকবেন...।

২২| ১১ ই জুলাই, ২০১৩ বিকাল ৪:৫১

বটের ফল বলেছেন: এমন সুন্দর একটি লেখাতে আরো বেশী কিছু বলা মানেই বাতুলতা।

অনেক অনেক ভালো থাকবেন।

১১ ই জুলাই, ২০১৩ সন্ধ্যা ৭:১০

শ্রাবণধারা বলেছেন: আমি কিন্তু লেখার সমালোচনা শোনার ব্যাপারে বেশ আগ্রহী। তবে এই প্লাটফর্মটায় সেটার তেমন চর্চা নেই দেখতে পাচ্ছি।

লেখা ভাল লেগেছে দেখে আপ্লুত। অনেক অনেক শুভকামনা......।

২৩| ১১ ই জুলাই, ২০১৩ সন্ধ্যা ৭:৪০

পাগলা জগাঈ বলেছেন: অসাধারন একটা লেখা
আপনার সাথে কি দেখা করা সম্ভব? কোন চাকরি বা কোন কিছু চাইনা, শুধু গল্প করার জন্য দেখা করতে চাই

১২ ই জুলাই, ২০১৩ রাত ১:২৯

শ্রাবণধারা বলেছেন: লেখা ভাল লেগেছে জেনে আনন্দিত।

আমি অতিশয় নগন্য, ছাপোষা শ্রেণীর মানুষ, দেখা অবশ্যই হতে পারে। গল্প করার বা আড্ডা দেবার সুযোগ পেলে সাধারণত মিস করিনা............।

শুভকামনা রইলো..............।

২৪| ১৪ ই জুলাই, ২০১৩ রাত ১:৫৫

অগ্নির বলেছেন: ভাই আপনার লেখার হাত অসাধারন । পরের পর্বের জন্য আগ্রহ নিয়ে অপেক্ষা করছি ।

১৪ ই জুলাই, ২০১৩ রাত ২:১৫

শ্রাবণধারা বলেছেন: অনেক ধন্যবাদ ভাই অগ্নির। আমার চাকরি জীবনের দৌড় খুব বেশি নয়, আরেকটা পর্বে শেষ করতে পারবো আশা করি।

শুভকামনা রইলো...............।

২৫| ০২ রা আগস্ট, ২০১৩ রাত ৯:৩৯

েবনিটগ বলেছেন: +++++++++++++++++++++++

০৩ রা আগস্ট, ২০১৩ বিকাল ৪:২৮

শ্রাবণধারা বলেছেন: অনেক ধন্যবাদ বেনিটগ ভাই, সিরিজের তিনটি লেখাই পড়ার জন্য এবং মন্তব্যের জন্য।

অনেক অনেক শুভকামনা রইলো...............।

২৬| ০৪ ঠা আগস্ট, ২০১৩ ভোর ৪:১২

শিপন মোল্লা বলেছেন: আপনার প্রথম পোস্ট পড়েই
আমি আপনার ফেন হয়ে গেলাম। চমৎকার লিখছেন।

০৫ ই আগস্ট, ২০১৩ রাত ১২:০২

শ্রাবণধারা বলেছেন: অনেক ধন্যবাদ আবুশিথি ভাই আমার সামান্য লেখা পড়ে উৎসাহ দেবার জন্য।

শুভকামনা রইলো...........।

২৭| ০৯ ই আগস্ট, ২০১৩ বিকাল ৩:২৮

অন্তরন্তর বলেছেন:
ঈদ মোবারক ।

০৯ ই আগস্ট, ২০১৩ রাত ১০:২৯

শ্রাবণধারা বলেছেন: ঈদ মোবারক

২৮| ৩০ শে আগস্ট, ২০১৩ রাত ৩:১৬

কাল্পনিক_ভালোবাসা বলেছেন: খুব চমৎকার। মন ছুয়ে যাওয়ার মত একটা লেখা! আপনি অনেক সফল হোন এই দোয়া করি। ভালো থাকুন। পরের পর্বের অপেক্ষায় রইলাম।

৩০ শে আগস্ট, ২০১৩ ভোর ৪:০৩

শ্রাবণধারা বলেছেন: মন ছুঁয়ে যাওয়ার মত একটা কমেন্ট। শুধু এ লেখাটাতে নয়, সিরিজের সব কটা লেখাতেই।

সফল নাই-বা হলাম........।

"আমার নাই-বা হল পারে যাওয়া / যে হাওয়াতে চলত তরী/ অঙ্গেতে সেই লাগাই হাওয়া........"

অনেক শুভকামনা.....।

২৯| ০২ রা সেপ্টেম্বর, ২০১৩ দুপুর ২:৫০

গ্রীনলাভার বলেছেন: উপহাসের জবাব উপহাসে দেননি বলেই তো আপনি অন্যদের থেকে আলাদা। হতে পারে আমিই ভুল ভাবছি।
যাই হোক, জটিল সিরিজ।

০২ রা সেপ্টেম্বর, ২০১৩ বিকাল ৪:১১

শ্রাবণধারা বলেছেন: সত্যি বলতে কি, চাকরিজীবনের অনেকগুলো বছর পার করলেও ঠিক ততটা চালাক চতুর এখনও হয়ে উঠতে পারিনি। যতটা কথা শুনি তার দশ ভাগের এক ভাগও ফেরত দিতে পারিনা। ঠিক সময়ে মনেই আসেনা কথাগুলো, অতএব চুপ করে শুনতে হয় শুধু। আগে অবশ্য আরও বেশী শুনতাম।

অনেক ধন্যবাদ আর শুভকামনা.....।

৩০| ০২ রা সেপ্টেম্বর, ২০১৩ বিকাল ৩:১৩

অদ্ভুত_আমি বলেছেন: বাস্তব জীবনের গল্প ... অনেক ভালো লাগলে পড়ে।

০২ রা সেপ্টেম্বর, ২০১৩ বিকাল ৪:২১

শ্রাবণধারা বলেছেন: অনেক ধন্যবাদ অদ্ভুত_আমি। বাস্তব জীবনের গল্প অনেক সময়ই কিছু নিরস ধরণের হয়, তবু লেখা ভাল লেগেছে জেনে আপ্লুত।

শুভকামনা.......।

৩১| ০২ রা সেপ্টেম্বর, ২০১৩ বিকাল ৫:৫৩

লালমিয়াভাই বলেছেন: ভালো লিখেছেন। আপনার এই লেখাটার সাথে আমার অনেক মিলে। ভালো থাকুন ।

০২ রা সেপ্টেম্বর, ২০১৩ সন্ধ্যা ৬:৩৭

শ্রাবণধারা বলেছেন: ধন্যবাদ লালমিয়াভাই। আমাদের মধ্যবিত্তের জীবনের গল্পগুলো কম বেশী একই রকমের। আর তাই অনেকটা একই ধরনের অনুভূতি নিয়ে আমাদের বেড়ে ওঠা, সংসার, জীবনযাপন। বাহিরের অনেক পার্থক্য , মতবিভেদের দেয়াল থাকলেও, আমার মনে হয় খুব ভিতরে আমরা আসলে অনেকখানি একই রকমের.....।

শুভকামনা.......।

৩২| ০২ রা সেপ্টেম্বর, ২০১৩ সন্ধ্যা ৭:১৭

আব্দুল্লাহ আল নোমান বলেছেন: ভাই আমিতো আপনার বিরাট ভক্ত......এত সুন্দর করে আবেগ দিয়া লেখেন কেমনে??

ছন্দ আছে লেখায়; একনাগাড়ে পড়ার মত.....এটাই আপনার লেখার সবচেয়ে বড় দিক....যদিও গুছিয়ে লিখতে পারিনা বলে শুধু মন্তব্য করি তবে ভালো লেখার কদর করি.....আপনে দেশের অনেক বাঘা বাঘা লেখকের .....থাক আর কইলাম না..........চলুক । ধন্যবাদ

০২ রা সেপ্টেম্বর, ২০১৩ সন্ধ্যা ৭:৪১

শ্রাবণধারা বলেছেন: অনেক ধন্যবাদ আব্দুল্লাহ আল নোমান ভাই, আমার সামান্য লেখা পড়ে সুন্দর মন্তব্যের জন্য।
সত্যি বলতে কি, মানুষ হিসেবে আমি যেমন তুচ্ছ, লেখক হিসেবে আরও বেশী তুচ্ছ। আর কেরানীগিরি করে লেখালেখির অবসর, মানসিকতা কোনটাই ঠিক থাকে না। লেখালেখির জন্য যে সাধনার প্রয়োজন হয় তা হয়ে উঠেনি। এ জীবনে খুব সম্ভব আর হবেও না। তারপরও এরকম মন্তব্য দেখলে আপ্লুত হই। এটাই অনেক পাওয়া।
লিখতে চাইলে অগোছালো ভাবেই লিখুন না। আমাদের সময়টাইতো অগোছালো, দেখবেন ঠিকই লেখা দাড়িয়ে গেছে।
অনেক অনেক শুভকামনা.......।

৩৩| ২৯ শে সেপ্টেম্বর, ২০১৩ রাত ৩:৩৬

খেয়া ঘাট বলেছেন: কোনোও তুলনা নাই। অসাধারণ লিখেন।

২৯ শে সেপ্টেম্বর, ২০১৩ সকাল ১১:২৭

শ্রাবণধারা বলেছেন: অনেক ধন্যবাদ খেয়া ঘাট, লেখা পড়ার জন্য এবং মন্তব্যের জন্য অবশ্যই।

শুভকামনা রইলো...........।

৩৪| ০৭ ই অক্টোবর, ২০১৩ রাত ১০:০২

শায়মা বলেছেন: ভাইয়া, ভাইয়া, ভাইয়া ভাইয়া!:)

আর ভুল করিনি!:)

০৭ ই অক্টোবর, ২০১৩ রাত ১১:৪০

শ্রাবণধারা বলেছেন: তুলিতে আঁকা শায়মা ( নাকি শায়মা আপু বলবো), গেলেই বা ভুলে ( যার তার তুলি নয়, স্বয়ং ভিণ্চির?) । তুমি ভুলে যাও বলেই তো আমি তোমাকে বেশ একটু মনে করিয়ে দেওয়ার সুযোগ পাই :)

মাঝে মাঝে আমি ব্লগের ভারচুয়াল সব চরিত্র নিয়ে ভাবতে বেশ মজা পাই। মানে, নেহায়েত বাস্তব জীবনে এই মানুষগুলো কেমন। যদিও বাস্তব জীবনের মতই ভারচুয়াল জগতেও আমার পরিচিত চরিত্র নেহায়েতই স্বল্প, তবুও ইচ্ছা আছে আমার কল্পনায় এই মানুষগুলি ঠিক কেমন সেটা নিয়ে কখনও লিখবো....।

৩৫| ০৫ ই জানুয়ারি, ২০১৪ বিকাল ৩:২২

আদম_ বলেছেন: সেই যে কবে একটা মুরগী ভাজা খাওয়াইছিলেন
আর তো কোন নতুন পোস্ট দেখিনা।
কেন? জাটির বিবেকের কাচে আজ এই কোশ্চেন?

০৫ ই জানুয়ারি, ২০১৪ বিকাল ৫:১৪

শ্রাবণধারা বলেছেন: এবার আপনাদের জাফানী সুসি খাওয়ানোর ইচ্ছা, কিন্তু জাফানী ডিশ বলে কথা, রান্না শেষই হচ্ছে না। :)

শুভকামনা.........।

৩৬| ০৩ রা ফেব্রুয়ারি, ২০১৪ সন্ধ্যা ৭:৫৪

অর্থনীতিবিদ বলেছেন: দীর্ঘদিন আপনি নতুন কোন পোস্ট লিখেন নি। আশা করি আবার নিয়মিত হবেন।

০৪ ঠা ফেব্রুয়ারি, ২০১৪ সন্ধ্যা ৬:১১

শ্রাবণধারা বলেছেন: ধন্যবাদ ভাই অর্থনীতিবিদ, বিষয়টা মনে করিয়ে দেবার জন্য।

জাগতিক কাজ-কারবারে ব্যস্ত থাকি, এবং তারও চেয়ে বেশি উদভ্রান্ত থাকি। তাই ব্লগ পাঠে নিয়মিত হলেও, লেখাটা হয়ে উঠছেনা মোটেও।

আর অফিসে বসে ব্লগ পড়া গেলেও, লেখাটা কিন্তু বেশ কঠিনই...:)

৩৭| ০৪ ঠা ফেব্রুয়ারি, ২০১৪ সন্ধ্যা ৬:০৮

নতুন বলেছেন: অনেক বড় লেখা তাই পড়বোনা মনে হয়েছিলো...

কিন্তু শুরু করে শেষ করতেই হলো.... খুবই ভাল আপনার লেখার স্টাইল... ++

জীবনটা এমনই...সবার জীবনেই গল্প আছে... কেউ কেউ নিজের গল্পটা দেখতে পারেনা...

আপনার জীবনের গল্প দেখে দেখে বলছেন এমন মনে হলো... পরের পবে`র অপেক্ষায় রইলাম..

০৪ ঠা ফেব্রুয়ারি, ২০১৪ সন্ধ্যা ৬:৪২

শ্রাবণধারা বলেছেন: চমৎকার মন্তব্য ভাই নতুন। সত্যিই তাই " সবার জীবনেই গল্প আছে... কেউ কেউ নিজের গল্পটা দেখতে পারেনা..."

আমার আরও মনে হয় যে, আমদের আশে পাশে যে মানুষগুলো অসহায়, ভাগ্যাহত তাদের জীবন থেকেই শেখার আছে অনেক বেশি।

আমরা অযথাই হাসেনা-খালেদার কাণ্ড কারখানার দিকে তাকিয়ে থেকে অনুভুতির মৃত্যু ঘটাই..............।

৩৮| ০৪ ঠা ফেব্রুয়ারি, ২০১৪ সন্ধ্যা ৭:২৮

ঝটিকা বলেছেন: বাস্তব জীবনের গল্প বলে আবেগ গুলো এতো সহজ সুন্দর ভাবে উঠে এসেছে। মনটা খারাপ হতে হতে আবার মনটা ভালো হয়ে গেল যখন দেখলাম চাকরিটা শেষ পর্যন্ত পেয়েছিলেন। এটা কত বছর আগের ঘটনা? আপনার পরিবারের এখনকার অবস্থা কি খুব জানতে ইচ্ছা হচ্ছে ( যদি কিছু না মনে করেন)

০৫ ই ফেব্রুয়ারি, ২০১৪ বিকাল ৪:৩১

শ্রাবণধারা বলেছেন: ধন্যবাদ ভাই ঝটিকা লেখা পড়বার জন্য এবং মন্তব্যের জন্য অবশ্যই।

ছয়-সাত বছর আগের ঘটনা লিখেছি এখানে। আর পরিবার ভাল আছে। যদিও জীবনের পরিক্রমায় আবারও বিছিন্ন হয়েছি মা এবং বোনদের থেকে - এসেছি বিদেশে জীবিকার তাগিদে। তবুও বলতেই হবে, সবকিছু মিলে অনেকটাই পেট-মোটা ভুড়িওয়ালা সুখী সুখী জীবন যাপন করছি ইদানীং। যদিও অনিশ্চয়তার ভূত মাঝে মাঝে তাড়া করে, কখনোবা ক্লান্ত মনে হয় নিজেকে..........।

৩৯| ০৪ ঠা ফেব্রুয়ারি, ২০১৪ সন্ধ্যা ৭:৪১

নতুন বলেছেন: লেখক বলেছেন: চমৎকার মন্তব্য ভাই নতুন। সত্যিই তাই " সবার জীবনেই গল্প আছে... কেউ কেউ নিজের গল্পটা দেখতে পারেনা..."


আমি শুধু দেখি... সবার জন্য কিছু করার ক্ষমতা আমার নাই... তাই মানুষের জীবন দেখি...

লেখা চালিয়ে যান... আপনার দেখার ক্ষমতা আলাদা... :)

০৫ ই ফেব্রুয়ারি, ২০১৪ বিকাল ৫:৫০

শ্রাবণধারা বলেছেন: মানুষের জীবন দেখা যদি তার অবস্থার উন্নতির জন্য কিছু করার অনুপ্রেরণা যোগায়, এর চেয়ে ভাল বিষয় আর কি হতে পারে আমার জানা নেই। আপনার জন্য অনেক অনেক শুভকামনা....।

৪০| ১৫ ই ফেব্রুয়ারি, ২০১৪ রাত ৯:৫৬

বেলা শেষে বলেছেন: আমার আরও মনে হয় যে, আমদের আশে পাশে যে মানুষগুলো অসহায়, ভাগ্যাহত তাদের জীবন থেকেই শেখার আছে অনেক বেশি।
একবার করে হলেও আমি আপনার "Blog" দেখবো এবং পড়বো ।
Salam & Respect to you...
অনেক অনেক ভালো থাকবেন।
...good writing , good post,
Thenk you very much

১৮ ই ফেব্রুয়ারি, ২০১৪ রাত ১২:৪৬

শ্রাবণধারা বলেছেন: ধন্যবাদ ভাই বেলা শেষে । তবে আমি বছরে একটা বা দুটো লেখা লিখি। তাই বছরে এক বা দুবার আসলেই যথেষ্ট হবে।

শুভকামনা........।

৪১| ২৫ শে মার্চ, ২০১৪ দুপুর ১:৫৯

প্রোফেসর শঙ্কু বলেছেন: নতুন পর্বের জন্য তাগাদা দিয়ে যাচ্ছি। শুভকামনা।

২৫ শে মার্চ, ২০১৪ দুপুর ২:৪৯

শ্রাবণধারা বলেছেন: ধন্যবাদ ভাই প্রোফেসর শঙ্কু। বেহুদা ব্যস্ততার মধ্যে থাকি। কাজ তেমন নাই তাও মনের মধ্যে অবসর নাই, মনোযোগ নাই।

শুভকামনা............।

৪২| ০৬ ই এপ্রিল, ২০১৪ রাত ১০:১১

জামিল সাস্ট বলেছেন: ভাইয়া, আপনার লেখার হাত খুবই ভালো। সত্যি বলছি, পড়তে একটুও ক্লান্ত লাগে নাই। আশা করি, আপনি লেখালেখি কখনো থামাবেন না। যখনই সময় পাবেন, আমাদের জন্য লিখবেন।

ভালো থাকবেন। চমৎকার লেখার জন্য অনেক অনেক ধন্যবাদ।

০৬ ই এপ্রিল, ২০১৪ রাত ১১:২১

শ্রাবণধারা বলেছেন: ধন্যবাদ ভাই জামিল, এমন মন্তব্যে লিখবার উৎসাহ সত্যি বেড়ে যায়। যদিও জানি কি বা এমন লিখি।
লেখা পড়তে বোরিং লাগেনি জেনে আপ্লুত। আপনার জন্যও অনেক অনেক শুভকামনা............।

৪৩| ১৪ ই এপ্রিল, ২০১৪ সন্ধ্যা ৬:১৬

নাসীমুল বারী বলেছেন: শুভ নববর্ষ-১৪২১।
তৃতীয় পর্বটা পড়লাম। মনে হলো বিভুতি ভুষনের এ যুগের অপু। ধন্যবাদ চমৎকার এমন একটি লেখার জন্য।

আমরা যে 'পোস্ট' শব্দটি ব্যবহার করি, এই 'পোস্ট' এই ইংরেজি শব্দটা আমরা বাংলা প্রতিশব্দায়ন করতে পারি ' সংযুক্তি' শব্দ দিয়ে। এতে রক্তের বিনিময়ে রক্ষা করা বাংলা ভাষার প্রতি আমাদের শ্রদ্ধা জানানোটা আরেকটু হৃষ্টপুষ্ট হবে না?

এ সম্পর্কে আপনার মতামত প্রত্যাশা করছি।

আমার ব্লগে আমন্ত্রণ।

১৪ ই এপ্রিল, ২০১৪ রাত ১১:০১

শ্রাবণধারা বলেছেন: ধন্যবাদ ভাই আপনার মন্তব্যের জন্য। বিভূতিভূষণের অপরাজিত আমার অতি প্রিয় পাঠ্য। বিশেষ করে সর্বজয়ার মৃত্যু, অপর্ণার সাথে অপুর হঠাৎ ঘটে যাওয়া বিয়ে, সংসার, অপর্ণার মৃত্যু এই অংশগুলো সত্যি বলতে কি, পথের পাচালী বা আরন্যকের চাইতে আমার অনেক বেশি প্রিয়।

যাক সে কথা। বাংলা শব্দ ব্যাবহারের ব্যাপারে আপনার আগ্রহ আমাকে মুগ্ধ করেছে। এমন অজস্র বাংলা শব্দ আছে যেগুলো আমরা অনায়াসে কিছু চালু ইংরেজি শব্দের পরিবর্তে প্রতিশব্দ হিসেবে ব্যাবহার করতে পারি। হয়ত শুরুতে কিছুটা আরোপিত মনে হতে পারে, কিন্তু প্রতিদিনের অভ্যাসেই সেটা ঠিক হয়ে যাবে। কিন্তু কথা হলো জাতি হিসেবে আমরা এমন যে আমরা ইংরেজী শিখতে শুরু করলে ভাবি, বাংলাকে দ্রুত ভুলতে পারলেই বোধহয় ইংরেজি শেখার সুবিধা হয়।

শুভকামনা........।

৪৪| ১৫ ই এপ্রিল, ২০১৪ বিকাল ৪:৪২

জাহাঙ্গীর.আলম বলেছেন: আপনার এ সিরিজ লেখাটি বহুবার পড়েছি ৷ এতো শুধু আপনার কথা নয় হয়ত আমাদেরও অনেকের কথা ৷ জীবন ও চোখে দেখা এ লেখাতে আসলে মন্তব্য হয় না ৷ আপনার লেখার ধরণ ভীষণ ভাল ৷ চোখের সাথে মনেরও ভাবান্তর হয় ৷ জানি জীবন আর নিজেদের নিয়ে সময়কে বয়ে চলছেন ৷ তবু যদি কখনো ইচ্ছে হয় লিখবেন আর শেয়ার করবেন প্রত্যাশা করি ৷ ভাল থাকবেন ৷

১৫ ই এপ্রিল, ২০১৪ বিকাল ৫:৪৬

শ্রাবণধারা বলেছেন: লেখক বলেছেন: ধন্যবাদ ভাই আলজাহাঙ্গীর। চাকুরিজীবনের গল্প লিখে এখনও শেষ করতে পারিনি। আশা করি শীঘ্রই আর একটা পর্বে তা শেষ করবো।

চাকরবৃত্তির পরে কিছুটা সময় যদিও হাতে পাই, সামন্য পড়ালেখা করার অবসরও ঘটে প্রায়শঃ। তবু কেন যেন লিখবার যে মনোযোগ তা ঠিক আসেনা বেশ অনেক ক'মাস হলো।

তবে লিখতে চাই। মনের ভিতরে অনেক কথার ভিড়, লিখে কিছুটা ভারমুক্ত হতে ইচ্ছে করে। যদিও মনে হয় এ পৃথিবীতে আমার ভূমিকা, আরও অজস্র অনুল্লেখযোগ্য ছাপোষা অফিস চাকরের, লেখকের নয়।

শুভকামনা রইলো........।

৪৫| ১৮ ই এপ্রিল, ২০১৪ দুপুর ১২:০২

রাজু রহমান বলেছেন: পড়ে ভাল লাগল

১৮ ই এপ্রিল, ২০১৪ সন্ধ্যা ৬:২২

শ্রাবণধারা বলেছেন: ধন্যবাদ ভাই । শুভকামনা ।

৪৬| ১৩ ই মে, ২০১৪ রাত ২:৫২

পংবাড়ী বলেছেন: লেখা ভালো লেগেছে; তবে, বেশী আবেগ যোগ করা হয়েছে।

১৩ ই মে, ২০১৪ সকাল ১১:৫০

শ্রাবণধারা বলেছেন: ধন্যবাদ।

চেষ্টা করেছিলাম নিজের চাকরি জীবনের ঘটনাগুলোই ধারাবাহিক ভাবে লিখে যেতে, আর সেসময়ের অনুভুতির বর্ণনা দিতে। সচেতনভাবে আবেগ যোগ করার ইচ্ছা কিন্তু ছিলনা।

আবেগ বস্তুটা নিতান্তই ব্যাক্তিগত, আর সেটা ঠিক ব্লগবাজারে আমজনতার সাথে ভাগাভাগি করার ইচ্ছা আমার একেবারে নেই।
হয়ত অনুভুতির বর্ণনাকেই আপনি আবেগ যোগ করা বলছেন - যেটা এই লেখাটার একটা উদ্দেশ্যও বটে।

শুভকামনা রইলো।

৪৭| ০২ রা জুন, ২০১৪ রাত ১১:৩২

পংবাড়ী বলেছেন: এক বছর চলে গেলো, নতুন কিছু ভাবছেন?

০৫ ই জুন, ২০১৪ সন্ধ্যা ৬:৩৬

শ্রাবণধারা বলেছেন: হুম। মোল্লার দৌড় আর সামান্য একটু বাকি আছে।

আরেকটা পর্বে ক্ষুদ্র মানুষের বর্তমান দিন গুলোর কথা লিখবার ইচ্ছা আছে। শীঘ্রই লিখে ফেলতে পারবো বলে আশা করি।

মনে করিয়ে দেবার জন্য ধন্যবাদ।

৪৮| ২৭ শে জুন, ২০১৪ বিকাল ৫:৪৭

জাহাঙ্গীর.আলম বলেছেন:
প্রায় বছরপূর্তি হতে যাচ্ছে আপনার সর্বশেষ পোস্টের ৷ আশা রাখি এর মধ্যেই পাঠক পাবেন পরবর্তী পোস্ট ৷ ভাবছেন কিছু নিশ্চয় ৷

ভাল থাকুন সর্বদা ৷

১৮ ই অক্টোবর, ২০১৪ বিকাল ৫:০২

শ্রাবণধারা বলেছেন: ধন্যবাদ জাহাঙ্গীর আলম ভাই। অনেক অনেক দেরী করে ফেলেছি ইতোমধ্যে। জাগতিকতার ব্যস্ততায় লেখালেখির ইচ্ছেটা প্রায় হারাতে বসেছি। কিন্তু শুরু করবো আবার।

অনেক অনেক শুভকামনা আর নানা দেশের নতুন লেখকদের ব্যাপারে আপনার আগ্রহের জন্য অনেক শ্রদ্ধা।

৪৯| ১৮ ই অক্টোবর, ২০১৪ সকাল ৭:৩৪

রেজওয়ানা আলী তনিমা বলেছেন: ১৬ তম ভালোলাগা। অনুসরণে নিলাম। আপনি ভালো লেখেন ।

১৮ ই অক্টোবর, ২০১৪ বিকাল ৪:৫৪

শ্রাবণধারা বলেছেন: ধন্যবাদ রেজওয়ানা আলী তনিমা আপু। শুভকামনা রইলো..........।

৫০| ২৩ শে অক্টোবর, ২০১৪ বিকাল ৫:৫৩

খেলাঘর বলেছেন:


নতুন কিছু লেখেন, পাঠক আছেন।

২৩ শে অক্টোবর, ২০১৪ সন্ধ্যা ৬:৩৮

শ্রাবণধারা বলেছেন: হুম লিখব। কিঞ্চিত দৌড়ের উপর আছি :)

৫১| ২৮ শে অক্টোবর, ২০১৪ রাত ১২:০৩

খেলাঘর বলেছেন:

আপনি একটি ভালো পোস্ট প্রসব করেছিলেন; উহার বয়স দেড় বছর হয়ে গেছে।

৫২| ২৯ শে অক্টোবর, ২০১৪ সন্ধ্যা ৭:৩৭

খেলাঘর বলেছেন:


আপনি মনে হয় লেখার কথা ভাবছেন?

৫৩| ০৩ রা নভেম্বর, ২০১৪ রাত ১০:০০

খেলাঘর বলেছেন:


তাজুদ্দিন আহমেদ কে ছিলেন?

৫৪| ০৪ ঠা নভেম্বর, ২০১৪ রাত ৯:৫৪

পরিবেশ বন্ধু বলেছেন: ভাল লাগল

৫৫| ২৬ শে ডিসেম্বর, ২০১৪ ভোর ৪:০৬

খেলাঘর বলেছেন:


আপনি আর লিখছেন না কেন, ব্যস্ত?

২৮ শে ডিসেম্বর, ২০১৪ সন্ধ্যা ৭:১৫

শ্রাবণধারা বলেছেন: নাহ এমন কোন ব্যস্ত না । কেরাণীগিরির স্বাভাবিক ব্যস্ততা যতখানি, তার বেশি তেমন কিছু নয় ।
অনেকদিন ধরেই চেষ্টা করছি বর্তমানের চাকরি জীবনটা নিয়ে লিখবার, কেন যেন হয়ে উঠছে না । এখনকার বাস্তবতাটা বেশ জটিল - মধ্যপ্রাচের দেশে তেল কোম্পানীর চাকুরে হিসেবে জীবন যাপন করছি তিন বছর । এখানের তথাকথিত এক্সপাট জীবনের পাশ্চাৎ-প্রাচ্য, আরব-অনারব, এশিয়ান-ইউরোরিয়ান-আমেরিকান কর্পোরেট বৃত্তি, সংস্কৃতি, প্রফেশনালিজমের ঘোরটেপ অদ্ভুত জটিল । আমার হীনমন্য বাঙালী চোখ দিয়ে সেটা বোঝার চেষ্টা করছি । হয়ত লিখে ফেলতে পারব শীঘ্রি....।

৫৬| ১৪ ই জানুয়ারি, ২০১৫ দুপুর ১:২১

মুহাম্মদ জহিরুল ইসলাম বলেছেন: হুমম... ভাল... :)

১৪ ই জানুয়ারি, ২০১৫ দুপুর ২:০২

শ্রাবণধারা বলেছেন: ধন্যবাদ ভাই । আপনার জন্য শুভকামনা ।

৫৭| ১০ ই ফেব্রুয়ারি, ২০১৫ সন্ধ্যা ৬:২৭

চাঁদগাজী বলেছেন:


আপনার ভাবনা বিস্তৃত, লিখুন।

৫৮| ০২ রা এপ্রিল, ২০১৫ রাত ২:২৯

চাঁদগাজী বলেছেন:


আপনার পর্যবেক্ষণ ভালো, লিখুন।

০২ রা এপ্রিল, ২০১৫ রাত ২:৪৩

শ্রাবণধারা বলেছেন: চাঁদগাজী ভাই, লিখবো ।

সামুতে অনেক সময় কাটাই আর অধিকাংশ লেখা পড়ে দুঃখিত হই । যদিও রাজনৈতিক বা ধর্মীয় জ্ঞান কোনটাই নেই , নিজের অভিজ্ঞতা, অনুভুতি ছারা বলতে পারি এমন কথাও বেশি নেই ।

শুভকামনা ।

৫৯| ১৮ ই সেপ্টেম্বর, ২০১৫ রাত ১২:১৬

কালীদাস বলেছেন: দারুন বর্ণনা। পরের চাকরি নিয়ে আর কোন পোস্ট দেয়ার বা সিরিজ কন্টিনিউ করার কোন প্ল্যান নেই?

৬০| ৩০ শে অক্টোবর, ২০১৫ সন্ধ্যা ৬:০২

শাহাদাত হোসাইন শুভ বলেছেন: বিরাট ব্যাপার... চাকরির যে সাধনাটা আপনি করেছেন তা চমৎকার.... পাঠক এই রকম লেখাই তো চায়... যাক আমি নতুন... তাই বহুকাল পর লেখাটা পেয়েছি এবং মন্তব্য করছি....
+++++

৬১| ৩০ শে অক্টোবর, ২০১৫ সন্ধ্যা ৬:১৫

তারছেড়া লিমন বলেছেন: দারুন লাগল..............

৬২| ২৯ শে ডিসেম্বর, ২০১৫ সন্ধ্যা ৭:১৭

বীরেনদ্র বলেছেন: চমৎকার, অপূর্ব। পর্বগুলোর কলেবর একটু ছোট হলে পড়তে সুবিধে হত। অনেক অনেক শুভেচ্ছা।

৩০ শে ডিসেম্বর, ২০১৫ সন্ধ্যা ৬:২০

শ্রাবণধারা বলেছেন: ধন্যবাদ বীরেনদ্রদা । আপনার মূল্যবান মন্তব্য মনে থাকবে পরবর্তী পর্বে । এমনিতেই তেমন লিখতে বসতে পারিনা - আলস্যে, জাগতিক ব্যস্ততায় , তবে লেখা শুরু করলে আবার দেখি বকবকানী থামাতে পারি না ।

৬৩| ০১ লা ফেব্রুয়ারি, ২০১৬ বিকাল ৩:৫০

সামিয়া বলেছেন: Oh my God you're awesome brother :)

০১ লা ফেব্রুয়ারি, ২০১৬ বিকাল ৪:৩৫

শ্রাবণধারা বলেছেন: :) এই ভাবে বেঁচে থাকা, তেমন কিছুই হয়তো নয় । ধন্যবাদ আর শুভকামনা রইলো .........।

৬৪| ০২ রা ফেব্রুয়ারি, ২০১৬ রাত ১২:০৭

সামিয়া বলেছেন: by the way আপনি কি এখনো সেই company তে আছেন?আমি কিন্তু গুলশান ২ এ একটা company তে কাজ করি আপনার অফিসের নাম জানতে পারি??? আমি ভাবছি আপনি কি আমার অফিসের কেউ!!!!!!

০২ রা ফেব্রুয়ারি, ২০১৬ রাত ১২:৪৩

শ্রাবণধারা বলেছেন: নাহ আমি আর এখন সেই অফিসে নেই । অমি আপনার অফিসের কেউ হওয়ার সম্ভাবনা খুব কম বলে মনে হয় । আমার ধারণা ঐ অফিসের কেউ ব্লগ পড়েই না, লেখা তো দূরের কথা । তবে আমার ধারণা একেবারে ভুল হতে পারে ।

৬৫| ০২ রা ফেব্রুয়ারি, ২০১৬ দুপুর ১২:১৫

সামিয়া বলেছেন: আমার অফিসের ও কেউ জানে না আমি ব্লগ পড়ি অথবা লিখি বেশির ভাগ তো ব্লগ কি সেটাই জানেনা, বাট অনেকেই সি,এ, এস,এস,সি,এ করা পাবলিক, এরা অফিস পলিটিক্স বেশি ভালো জানে, এবং তাদের জীবন এইগুলোর মধ্যেই সীমাবদ্ধ । দে আর জিনিয়াস :) :) :)

০২ রা ফেব্রুয়ারি, ২০১৬ দুপুর ১:৪০

শ্রাবণধারা বলেছেন: এখন সেই অফিস থেকে ৫ হাজার কিলোমিটার দূরে বসে আছি বলেই হয়তো পুরানো অফিসের সহকর্মীদের আরেকটু ভাল করে দেখতে পারি, বুঝতে পারি । তাদের সম্পর্কে অনুযোগ, অভিযোগ নেই । মনে মনে ভাবি তারা তাদের মত - সাধারণ । (আমিও এমন কিছু অসাধারণ নই অবশ্য :) ) । তার চেয়ে বড় কথা, তাদের রঙ্গমঞ্চে অভিনয়ের সুযোগ পেয়েছিলাম বলেই আজ পৃথিবীর রঙ্গমঞ্চে অভিনয়ের সুযোগ পেয়েছি - হোক সে তুচ্ছ কেরানীর চরিত্র ।

আর অফিস পলিটিক্সটা একটা বাস্তবতা - কেরিয়ারে ভাল করতে হলে অন্য সব কিছুর পাশাপাশি আপনাকে অফিস পলিটিক্সেও ভাল হতে হবে, তা আপনি যে এক্সিকিউটিভের চরিত্রেই অভিনয় করুন না কেন !

আপনার কোম্পানীর নামের অদ্যাক্ষর "র" হলে আমার সেই পুরানো অফিস একটা বা কটা বিল্ডিং পরেই ছিল । অবশ্য এখন আর তারা সেই বিল্ডিংয়ে নেই, গুলশানে কাছেই অন্য একটা বিল্ডিংয়ে চলে গেছে ।

৬৬| ২৯ শে মার্চ, ২০১৬ সকাল ৭:২৭

উৎপল হালদার বলেছেন: ভাল হয়েছে অনেক

৬৭| ২৯ শে মার্চ, ২০১৬ সকাল ৭:৫৭

অন্তঃপুরবাসিনী বলেছেন: খুব ভালো লাগল।
বাস্তব জীবনের আরো গল্প আমাদের শুনাবেন আশা করি। ২০১৩ এর ৮ জুলাই থেকে ২০১৬ এর ২৯ মার্চ। অনেকটা সময়। এর ভিতর যে নতুন গল্প জমা হয়েছে লিখে ফেলুন তাড়াতাড়ি। :)

৬৮| ১৭ ই অক্টোবর, ২০১৬ সকাল ৯:১৯

ডঃ এম এ আলী বলেছেন: কোন এক জনের বুক রিভিউতে আপনার কমেন্ট দেখে মনে হল লিখায় আছে অনেক ভার ও ধার । তাই পরিচিত হতে এলাম এখানে। এ লিখাটি পাঠ করলাম । এখন চোখে ভিষন ঘুম লিখায় যা পেয়েছি সে কথা এখন লিখতে পারছিনা । কাল আবার আসব । বেশ পুরানো লিখা , জানিনা এ মন্তব্য চোখে পড়বে কিনা । ভাল লাগা জানিয়ে গেলাম । কি বিচিত্র এ জগত, যেখান থেকে আপনার এখানে আসা সে লিখাটিতে দেখলাম নীজেকে বেশ জানিয়ে বলে প্রকাশ করার জন্য তার সে কি আপ্রান্ত প্রয়াশ, যে বিষয়ে লিখছে সেটায় যে আসলে কি আছে, সে সম্পর্কে ধারনা নাই বিশেষ , আর এ লিখায় লিখকের দৈনতা প্রকাশের সেকি অভিলাস । এ ধারাটিই যে বেশী উত্তম, হতো যদি তা সকলের জানা তাহলে কতই না হত শুভন ।
অবাক হয়ে ভাবলাম, আপনার লিখার এত দারুন শক্তিশালী হাত , তারপরেও কেন এত কম লিখা , নাকি লিখা হয় অন্য কোথাও । এ হাত তো বসে খাকার নয়, তা হয় প্রতিভাত । অনুরোধ এ ব্লগে লিখালিখিতে একটু সরব হোন, আমরা পাই শত্তিশালী একজন লিখক । অল্প এই কয়দিনের এ ব্লগ জীবনে মনে হল ভাল লিখা এখানে বেশ দুর্লভ ।
শুভেচ্ছা রইল ।

১৯ শে অক্টোবর, ২০১৬ রাত ৩:২৩

শ্রাবণধারা বলেছেন: ধন্যবাদ আলী ভাই, আমার অতি নগন্য পোস্ট পড়ে মন্তব্যের জন্য । লিখতে চাই, লিখতে চাই, লিখতে চাই ....... যদিও জানিনা কি নিয়ে লিখবো, ঠিক কেনই বা লিখবো ? কিন্তু কোথাও স্থির হয়ে বসার আগেই আবার ডাক পড়ে যায় পরবর্তী যাত্রার - বাড়ি বদলের ব্যস্ততা চলছে বেশ কিছুদিন হলো । থিতু হয়ে বসার চেষ্টা করছি, চেষ্টা করছি একটু বই পুস্তক কেতাব দস্তাবেদ নিয়ে একটা শেষ চেষ্টা করে দেখতে যদি খুব ক্ষুদ্র, তুচ্ছ, সামান্য হলেও কিছু একটা করতে পারি ভালোবাসাময় । জীবনকে যে ভালোবাসি এই কথাটা বলতে ইচ্ছা করে জোরে, কারো কানে পৌছুক বা না পৌছুক সেটা পড়ের হিসাব । সেই প্রস্তুতিটাই শেষ হচ্ছে না !!!

আপনি যে বুক রিভিউয়ে আমার মন্ত্যব্য প্রসংগে লিখেছেন, সে বইটা আসলে আমার কৈশোরের ক্রাশ - ফ্রাউলিন প্যাট্রিসিয়া হলম্যান, সংক্ষেপে প্যাট বইটার নায়িকার নাম । তাহাকে উদ্দেশ্য করে আমি কৈশোরে একখানা পত্র লিখিয়াছিলাম, যদিও প্যাট্রিসিয়া ম্যাডাম বইয়ের শেষে মারা গিয়েছিলেন এবং তাহার এপিটাফ পর্যন্ত আমার পত্র পৌছায়নি । তো আসলে আমার মনে হলো ঐ রিভিউয়ের লেখিকা ঠিক জানেই না যে বই পড়ে মুগ্ধতা ঠিক কি বস্তু , তাই হয়তো আমার মন্তব্যটা একটু তিতো হয়েছে - কেননা সে বইয়ের পাতায় পাতায় যে আমার ভালোবাসা জড়ানো - বব, কস্টার, গোটফ্রিডের জন্য, প্যাটের জন্য, ওদের গাড়ি কার্লের জন্য ..........।
আপনার জন্য অনেক অনেক শুভকামনা ।

৬৯| ০৫ ই ডিসেম্বর, ২০১৬ ভোর ৪:৫৮

ডঃ এম এ আলী বলেছেন: নোটিশ পাইনি বলে এই সুন্দর প্রতি উত্তরটি দেখতে বিলম্ব হলো । ধন্যবাদ জানা হল অনেক ।

৭০| ২৭ শে এপ্রিল, ২০১৭ বিকাল ৩:০৯

নিলয় মৌ বলেছেন: ওস্থির লিখছেন ভাইয়া.।.।

২৭ শে এপ্রিল, ২০১৭ বিকাল ৪:০৬

শ্রাবণধারা বলেছেন: অতি পুরাতন এই লেখা পড়ে মন্তব্যের জন্য আপনাকে অস্থির ধন্যবাদ ও শুভকামনা ।

৭১| ০১ লা সেপ্টেম্বর, ২০১৮ রাত ৩:১৯

তারেক সিফাত বলেছেন: খুবই ভালো লিখেছেন ভাইয়া। ৩টি পর্বই পড়েছি। ++

সরাসরি প্রিয়তে।

৭২| ২৯ শে এপ্রিল, ২০২২ রাত ১০:০৯

কাশফিয়া কাশফুল বলেছেন: দারুন !

২৯ শে এপ্রিল, ২০২২ রাত ১১:০১

শ্রাবণধারা বলেছেন: অনেক পুরাতন এই লেখাটা পড়ে মন্তব্যের জন্য অনেক ধন্যবাদ কাশফিয়া কাশফুল।
শুভকামনা রইলো।

৭৩| ২১ শে নভেম্বর, ২০২২ সকাল ১০:৪২

রূপক বিধৌত সাধু বলেছেন: পরপর তিনটে লেখা পড়লাম। একেবারে মন্ত্রমুগ্ধ!

২২ শে নভেম্বর, ২০২২ রাত ২:৫৬

শ্রাবণধারা বলেছেন: পুরাতন এই লেখাগুলো পড়ে আপনার ভালো লেগেছে জেনে খুশি হলাম। ভালো থাকবেন।

৭৪| ২২ শে নভেম্বর, ২০২২ ভোর ৬:৫৪

কাছের-মানুষ বলেছেন: দেশে বছর দুয়েক থেকে সেটেল হবার চেষ্টা করেছিলাম, দেশে সেটেল হওয়া কঠিক কর্ম, আমি মনে হয় মানানসই ছিলাম না ! আপনার বর্তমান অবস্থা কি?

২২ শে নভেম্বর, ২০২২ সকাল ৯:৫১

শ্রাবণধারা বলেছেন: ধন্যবাদ কাছের-মানুষ ভাই। আপনি হয়তো বিদেশ থেকে গিয়ে দেশে সেটেল হবার চেষ্টা করেছিলেন বলেই ব্যাপারটা কঠিন হয়ে গিয়েছিল।

বর্তমান অবস্থা এই তো, জীবন চলে যাচ্ছে একরকম।

ভালো থাকবেন।

৭৫| ২১ শে এপ্রিল, ২০২৩ রাত ১২:১১

খায়রুল আহসান বলেছেন: আগের দুটো পর্বের মতই এটাও অতি চমৎকার! পোস্ট থেকে শিক্ষণীয় বিষয়ঃ শুধু 'সবুর' নয়, নিষ্ঠা এবং অধ্যবসায়ও "মেওয়া ফলে"।

"তবে চাকরি জীবন ছাড়াও আরও কিছু গল্প বলে যেতে চাই........". (০ নং প্রতিমন্তব্য) - আপনার সেই সব "আরও কিছু গল্প" শোনার জন্য আমি উদগ্রীব, কিন্তু আপনি বোধহয় মোটেই সময় পাচ্ছেন না।

"আপনার জীবন কাহিনি থেকে এখনকার জেনারেশনের অস্থির চিত্তধারীদের অনেক কিছু শেখার আছে" (১০ নং মন্তব্য) - আমি ইহতিব এর এ কথাটার সাথে আমিও একমত।

"ইচ্ছে করছে আপনার হাতটা ধরে বলি- থামবেন না, এগিয়ে চলুন" - (১৪ নং মন্তব্য) - ফিরে এলাম নতুন নিকে এর এ মন্তব্যটি পড়ে একজন পাঠক হিসেবেই আমি মুগ্ধ এবং বাকরুদ্ধ হয়ে গেলাম! স্বয়ং লেখক হিসেবে আপনার অনুভূতিটা তো বুঝতেই পারছি! আগেকার পাঠকেরা তাদের মন্তব্যে সত্যিই কতই না আন্তরিক ছিলেন! তারা আজ ব্লগে নেই, কিন্তু তাদের হার্দিক মন্তব্যগুলো আজও উজ্জ্বলভাবে শোভা পাচ্ছে, যা আমার মত একজন অনুসন্ধিৎসু পাঠকের জন্য খুবই চিত্তাকর্ষক।

২৪ নং প্রতিমন্তব্যটি সুন্দর হয়েছে। ৩৩ নং এর শেষ লাইনটাও।

৭৬| ২১ শে এপ্রিল, ২০২৩ রাত ১২:৩০

খায়রুল আহসান বলেছেন: অবাক হয়ে ভাবলাম, আপনার লিখার এত দারুন শক্তিশালী হাত , তারপরেও কেন এত কম লিখা , নাকি লিখা হয় অন্য কোথাও । এ হাত তো বসে খাকার নয়, তা হয় প্রতিভাত । অনুরোধ এ ব্লগে লিখালিখিতে একটু সরব হোন, আমরা পাই শত্তিশালী একজন লিখক - ডঃ এম এ আলী এর এ কথাগুলোর সাথে আমার ভাবনার/জিজ্ঞাসারও মিল রয়েছে। তাই একই অনুরোধ আমিও রেখে গেলাম।
পোস্টে ২৬তম প্লাস। +
আপনার এবং আপনার পরিবারের জন্য নিরন্তর শুভকামনা....

২১ শে এপ্রিল, ২০২৩ রাত ১:৪৭

শ্রাবণধারা বলেছেন: সালাম এবং অনেক ধন্যবাদ খায়রুল আহসান ভাই এই পুরাতন লেখা পড়ে মন্তব্যের জন্য।

আপনার কথা আমাকে অনুপ্রাণিত করে এটা বললে কম বলা হবে। আপনার অনুপ্রেরণাময় কথামালা তো আপনারই সুপরিণত, সুরুচিপূর্ণ, শুচিশুদ্ধ জীবনাচার ও ব্যক্তিত্বের বহিঃপ্রকাশ, যা আমার এই স্মৃতিচারণমূলক লেখাগুলোর চেয়ে বহু, বহুগুন শক্তিশালী।

অনেক অনেক দোয়া ও শুভকামনা।

৭৭| ২১ শে এপ্রিল, ২০২৩ রাত ২:১১

অপু তানভীর বলেছেন: তৃতীয় পর্বটা আগে পড়লাম । যদিও যখন পড়তে শুরু করেছি তখনও খেয়াল করি নি যে এটা তৃতীয় পর্ব । পড়ার সময় মনে হচ্ছিলো যে কোন সুনিপুন লেখকের লেখা কোন গল্প পড়ছি । তবে শেষ এসে বুঝতে পারলাম যে এটা আসলে কোন গল্প নয়, একেবারে আপনার জীবনের কাহিনী । এতো চমৎকার ভাবে লিখেছেন যে সত্যি মনে হচ্ছিলো যে কোন গল্পের চরিত্রকে নিয়েই লিখেছেন । আসলে আমাদের জীবনের গল্প গুলো কোন অংশের গল্পের চরিত্রের থেকে কম নয়- এটা আপনার এই লেখা থেকে আবারও প্রমাণিত হল ।

তবে আপনার পোস্টের সংখ্যা এতো কম কেন শুনি ! বেশি বেশি করে লিখুন ।

২২ শে এপ্রিল, ২০২৩ ভোর ৫:০৯

শ্রাবণধারা বলেছেন: অনেক ধন্যবাদ অপু তানভীর আপনার চমৎকার মন্তব্যের জন্য। আমার এই বেশ পুরাতন লেখায় এমন মন্তব্য আমার জন্য খুবই উৎসাহব্যঞ্জক।

ঈদ-মোবারক। আপনার ঈদ চমৎকার কাটুক এই শুভকামনা রইলো।

আপনার মন্তব্য লিখুনঃ

মন্তব্য করতে লগ ইন করুন

আলোচিত ব্লগ


full version

©somewhere in net ltd.