নির্বাচিত পোস্ট | লগইন | রেজিস্ট্রেশন করুন | রিফ্রেস |
হিংসা, বিদ্বেষ, পরশ্রীকাতরতা,অল্পবিদ্যা, কুশিক্ষা এবং ডাবল স্ট্যান্ডার্ড দৃষ্টিকোণ না থাকলে প্রকৃত বাঙ্গালি হওয়া যায় না।
দৃশ্যপট - ১ ( দুজন আপাদমস্তক গ্যাংস্টার বন্ধু জাছিম ও নাহিদ একটি সুপরিকল্পিত এম্বুশের অপেক্ষায় একটি রেস্তোরাঁয় বসে আছে। একের পর এক জ্বলছে বেন্সন অ্যান্ড হ্যাজেস সিগারেট। বাচার আশা কম এবারে। রেস্টুরেন্টটির চারদিকে অন্যপক্ষের শ্যুটারস এ পরিপূর্ণ। সবচেয়ে হতাশার ব্যাপার হলো এসবের মূল পরিকল্পনায় তাদের একজনের প্রিয়তমা ত্রয়ীর অংশগ্রহণ ছিলো। )
-- I'm going to torture her and I'm going to make it slow.
-- Shut up. Let me think.
-- তোর গার্লফ্রেন্ড ছিলো বিধায় আরো ভয়ংকর ভাবে সাজিয়ে দেব ওর শরীর। I will definitely enjoy this one.
-- আমি জানি তুই রেগে আছিস। কিন্তু এখন এসব ভাবার সময় না।
-- কেন জানি খুব শান্তি লাগছে। কিভাবে সুযোগ এসে যায়,,
-- চুপ থাক হলিউডের বাচ্চা। এখান থেকে বের হলেই না তুই করবি এসব?
-- খারাপ লাগছে? লুলপুরুষ? ওটা সামলে রাখলে আজ এভাবে ফেসে যাই?
-- এক্সিট কয়টা দেখেছিস? ৩ টা না?
-- ২ টা। ৩ নাম্বারে ফার্স্ট স্লিপ, সেকেন্ড স্লিপ, থার্ড স্লিপ, গালি পর্যন্ত আছে।
-- কিচেনের পেছনে?
-- হু। এটা বাদ দিতে হবে। তোর খেলনা তো সাথে থাকে। আজ আনছিস?
-- হু। লোডেড। মাই লয়াল স্মিথ এন্ড ওয়েসন।
-- তাহলে ১৪ টা। দে,,,,,
-- দীর্ঘশ্বাস?? তাও এতো বড়ো??
-- তোর কাউকে বিশ্বাস হয় না। লোডেড নিয়ে থাকিস। আর,,,,
-- ডায়লগ শেষ কর। আর শোনাও হবে না আজকের পর।
-- আমি একটা মুখস্থ করেছিলাম। তোকে বলব কিন্তু এখন মনে আসছে না। দাড়া,,,পকেটে বোধয়,,,,,
-- লিখে??,,,,কি বের করছিস?,,,,,মাই গড,,,,,
-- এই তো কাগজ টা। Men do stupid things for women, they are easily manipulated. শেষবারের মতো একটা কথা শুনবি? যদি বেচে ফিরি তুই যা বলবি আমি শুনবো। শুধু ওকে মেরে ফেলা বাদে।
-- আচ্ছা।
-- আমার পেছনে থাকিস।
দৃশ্যপট - ২ ( জাছিম এবং ত্রয়ী মুখোমুখি দাঁড়িয়ে। পিস্তল ত্রয়ীর দিকে তাক করা। বেডে একটি ট্রলি আর মেঝেতে কিছু কাপড় চোপড় আর কসমেটিকস ছড়িয়ে ছিটিয়ে আছে। দেখলেই মনে হবে খুব দ্রুত ব্যাগ গোছাতে গিয়ে আচমকা সব ফেলে দেয়া হয়েছে।)
-- ঘটনার বর্ণনা করা ঠিকমতো হবে কিনা কে জানে। তাড়াহুড়ায় কিছু ভুল হতে পারে। কিছু মিস করেও যেতে পারি। তাও বলি। দেখলাম নাহিদ আমাকে ডানহাত দিয়ে সরিয়ে ওর পেছনে নিয়ে আসলো। পর পর দুটো বডি পড়ার শব্দ পেলাম। কিচেনের দরজাটা লোহার গেটের মতো ছিলো বিধায় রক্ষা পেয়েছি বুঝেছো। আমাকে হাতে বড় কিচেন নাইফ টা ধরিয়ে ভারী জিনিস দিয়ে দরজাটার সামনে ব্লকের মতো করতে বললো। তা করতে করতেই এসে দেখি মেইন ডোর ফাকা। দেখি ও দৌড়ে আসছে কোনমতে আমাকে সহ একটা টেবিল উলটে ফেলে পরের টেবিলের নিচে ঢুকবে এমন সময় বুম! আমি যেভাবে আওয়াজ করেছি তা আসলে কিছু না। ঐ ব্লাস্টে আধাঘন্টা কানেই শুনিনি। গলিটা দিয়ে দুজন যখন বেরুচ্ছি তখন খুব হই হুল্লোড়। তোমার যে ভুড়িওয়ালা লোকটা, উনার আর ঐজায়গায় ভুড়ি বলতে কিছু নেই দেখে এলাম। পুলিশ, সাইরেন, এম্বুলেন্স ধুর। চারটা ওখানেই মরেছে। বাকীগুলোর কি হয়েছে কে জানে। নাহিদের ডান হাতে গুলি লেগেছে। অসুবিধা নেই। ও আবার এম্বিডেক্সস্ট্রাস। বেচারা দেখো। আমাকে বলল, আমাকে ডাক্তারের কাছে নিয়ে যা। এমন ব্যাথা আমি পেলে অজ্ঞান হয়ে যেতাম। যাই হোক। আমি জানতাম তুমি পালাবার কথা ভাববে। তাই সময় নস্ট না করে চলে এসে পড়েছি। চুপ করে আছো কেন ত্রয়ী? বলো কিছু?
-- আমাকে ছেড়ে দাও। আমি ব্যাংকক চলে যাবো।
-- আহ! কান্না করছো কেন? আমি জীবনে কোন নারীর গায়ে হাত তুলিনি। মায়ের জাত। ধান্দার জন্য অশুভ। কিন্তু ও ছাড়বে না। তাইই,,,,,আমারো তেমন কিছু তাড়া ,,,,You know. কেন করলে বলতো?
-- I'm Sorry. আমাকে ক্ষমা করে দাও। শোন,,
-- কাছে আসবা না। আমি তো আর প্রতিজ্ঞা করিনি। কস্টটা হচ্ছে কি জানো? নাহিদের সাথে থাকতে থাকতে আমি তোমাদের বিশ্বাস করাই বন্ধ করে দিয়েছিলাম প্রায়। জৈবিক তাগিদ মেটানো আর কি। দেয়া নেয়া,, ওর নারীবিদ্বেষের সাথে সবাই পরিচিত। কিন্তু দূর থেকেই কপালে ছিদ্র করা অভ্যাস। নাইফ পছন্দ করে না। মেসি আর পারসোনাল নাকি খুব। যাক। কি যেন বলছিলাম? ও হ্যা। আমি তোমার প্রতি,,, বলতে লজ্জাই লাগছে। একবার আমার এক বড় ভাই তার গার্লফ্রেন্ড মিলে আমাকে মুরগী বানিয়েছিলো। ঐ ফিলিংসটা আমি খুব ঘৃণা করি। এখন এমন লাগছে। তোমার ভুড়িওয়ালা তো নেই। এখন?
-- আমার প্রতি তোমার যদি,,,
-- স্টপ, স্টপ, স্টপ। ন্যাকামি করবে না। বারবার একই ভুল হয় নাকি? এজন্যই এলাম। কি সুন্দর শরীর তোমার। ও খুব যন্ত্রণা দেবে। কাটা ছেড়া করবে। বরং আমিই মেরে ফেলি?
-- আমার উপায় ছিলো না। তোমার আমাকে বিশ্বাস হবে না জানি। কিন্তু আমি যখন তোমার সাথে,,,, মানে,,, ছিলাম,, তোমার কি মনে হয় ওটা মিথ্যে ছিলো? তোমার কিছুই হতো না। ওভাবেই বলা ছিলো। বসের টার্গেট শুধু নাহিদ ছিলো। আই,,,,,
-- শাট আপ। ইউ হোর।
-- ওর জন্য রেখো না। তুমি স্কোর স্যাটল করে দিয়ে যাও। এট লিস্ট গিভ মি আ হাগ প্লিজ।
-- সরো। ভাল লাগছে না।
-- আরে একটু,,, শেষবারের মতো,,
-- সরো!!!!বলছি না ভাল লাগছে না।
-- এখন ভালো লাগবে হাটুতে খেলে।
-- মানে?
-- হি হি হি কি খুজছো? এটা??
-- আউফ,,,,ইউ শট মি,,,,ইউ,,,
-- আরেকবার হোর উচ্চারণ করেছো তো,,, তোমার খেলা শেষ করে দিয়ে যাবো। আমি আবারো বলছি। তোমার প্রতি আমি একটু দুর্বল হয়ে পড়েছিলাম। না হয় কপালে করতাম।আশা রাখি তোমাদের সাথে আমার আর দেখা হবে না। তোমার একটা ছবি নিয়ে রাখলাম। After all I liked you. তোমার বন্ধু হাতে খেয়েছে আর তুমি পায়ে। যাও হাস্পাতালের পাশাপাশি বেডে গিয়ে গল্প করো। আর Don't trust woman easily.আমার মনে হয়না আর বলা লাগবে। হি হি হি লুজারস,,,,
দৃশ্যপট - ৩ ( একটি হাস্পাতালের বেড। জাছিমের উরুতে ব্যান্ডেজ লাগানো। নাহিদ পাশে বসে ছুরি দিয়ে আপেলের খোসা ছাড়াতে ছাড়াতে বন্ধুর দিকে তাকিয়ে মিটি মিটি হাসছে। তার কনুইতেও ব্যান্ডেজ ।)
-- প্রহর শেষের আলোয় রাঙা সেদিন চৈত্র মাস
তোমার চোখে দেখেছিলাম আমার সর্বনাশ।
-- মাদারফাকার।
-- আরেকটা আছে। মুখস্থ করেছি।
-- ভাই আমাকে মাফ করে দে ভাই।
-- Tear isn’t the only weapon of the women, the best weapon lies in between their legs.
-- ও বলেছে আমাকে সে আমাকে ভালোবেসে ফেলেছিল।
-- হা হা হা। বোধহয়। তোকে কেন বাঁচিয়ে রেখেছিল বুঝলাম।
-- এখন কি করবি?
-- আমার ইগোকে আমি রীতিমতো পূজা দেই। She hurt me. I will give it back to her. তোর ওকে মেরে ফেলা উচিত ছিল।
-- You are cold as Ice.
-- And you try to have sex with whatever that moves. I told you.
-- ঘুমাতে দে।
-- ডাক্তার বলছিলো তোর নাকি ইরেক্টাইল ডিস্ফাংশন হতে পারে। তোর তো পুরো জীবন ভেজিটেবল হয়ে থাকতে হবে।
-- ভুতুড়ে বাড়ির মধ্যে খুব ঠান্ডা কিছু জায়গা থাকে। তোর ভেতরেও আছে এমন। এটাকে লোনলিনেস বলে। আমি জানি তুই ত্রয়ীকে খুজে বের করবি। কস্ট দিস না।
দৃশ্যপট - ৪ (কয়েক মাস পরের ঘটনা। একটি পরিত্যক্ত গ্যারেজে ত্রয়ী হাত-পা বাধা অবস্থায় চেয়ারে পড়ে আছে। দু হাটু থেকে সামান্য রক্ত ঝরছে। ব্যান্ডেজ গুলো পরিবর্তন করতে হবে। তার মুখ ডাকটেইপ লাগানো। একটু দূরেই নাহিদ দাঁড়িয়ে আছে। ক্রুর চাহনিতে তাকিয়ে আছে তার দিকে। বক্স থেকে হ্যামার টা নিয়ে বাম হাতে রাখল সে। ত্রয়ী মৃদু গেংগানো শুরু করলো )
-- আমি একদিন আমার জিম গ্লাভস সেলাই করছিলাম। আমি ঐদিন একটা জিনিস বুঝেছি। সেলাই করতে করতে আমি আবার আগের জায়গায় নটে সুচ টা ঢুকিয়ে শেষ করছিলাম সেলাইটা আমার কাছে মজবুত মনে হচ্ছিলো।
তার মানে কি দাড়ালো। জীবনে সবকিছুতেই পেছনে ফিরে আসা উচিৎ। তাহলে জীবনের গাথুনি টা শক্ত হয়।
-- উবব,,উমমব,,,,
-- ডোন্ট জাজ মি। আমার দর্শনকে জাজ করো না। আবার গ্লাভস না কেনা কে ও না। কিছু জিনিস ডিফল্ট লাগে। যেমন জাছিমের নিজের খেলনা টা। ও তোমাকে ভালোবেসে ফেলেছিলো। আর ওর খেলনাটা দিয়ে ওকেই খোড়া বানিয়ে দিলে?
-- উম,,,,,
-- গোংগাচ্ছো না ফুপিয়ে কাদছো। জানতে ইচ্ছে করছে। কিন্তু ডাকটেইপ টা খুললেই তোমার মৃত্যুর সময়টা ভীষণ এগিয়ে যাবে। বরং আমিই কথা বলি। আগে তোমার ব্যান্ডেজটা পালটে দিই। ওহ,,, সরি। ব্যান্ডেজ গুলো। দুটো হাটু তো তোমার। জাছিম আসবে বুঝলে। তোমাকে নিয়ে বিশদ ভাবে আমার সময় কাটানোর পর। ও খুব দ্রুত আসার চেস্টা করবে। তোমাকে নিয়ে খুব চিন্তিত মনে হলো। আনবেলিভেবল!!!। ব্যাথা লাগছে? নি ক্যাপ গুলোর যা অবস্থা, তুমি বেচে যদি যাও দাড়াতে পারবে না আর। আমার মনে হয় কি জানো? ও তোমাকে মারতে দেবে না।
-- উ,,,,,,
-- দেখো তোমাকে বিশ্বাস করি কি করে? আবার খুব রাগে জ্বলছিলাম। একারণেই গুলি করেছি হাটুতে প্রথমে । তারপর টর্চার করবো বলে ভাবলাম। ব্লাড যেতে থাকলে তো,,,,তাই না? নাহ! তুমি আর দাড়াতে পারবে না। ঐ তো পাগল টা দরজা নক করছে। এসে গেছে। বেচেই গেলে মনে হচ্ছে। আমার ইন্টুইশন বলছে।
দৃশ্যপট - ৫ ( প্রচুর ধড়-পাকড় আর জিরো টলারেন্স দেখা দিলে গা- ঢাকায় থাকার পর জাছিম এর সাথে নাহিদের অনেক বছর বাদে একটি বিচে দেখা হলো। এর মধ্যে অতি অদ্ভুত ঘটনাও ঘটে গেছে। বন্ধুর কোল থেকে অতি আদুরে ভাতিজিকে তার কাছে আসতে দেখে নিজেও তাড়াতাড়ি হাত বাড়িয়ে দিল নাহিদ। গত কয়েকদিন এরা দুজন একজন আরেকজনকে একটুও চোখের আড়াল করেনি। )
-- ধর এটাকে।
-- এটা আবার কী? কি কিউট আমার মামণি।
-- কিছু খাওয়াস না। ডোন্ট স্পয়েল হার। খালি চকলেট দিয়ে দেস হাতে।
-- উনি কই?
-- ভাই চার বছর হয়ে গেছে।
-- আমিও ভাবছিলাম। তোকে এখনো কিছু খাইয়ে মেরে ফেলেনি। খেলনা টা দূরে রাখিস। বাবুর জন্যেও সেইফ না।
-- আমাকে মেরে ফেললে ওর হুইলচেয়ার ধাক্কা দেবে কে? তুই তো আজন্মের মতো বসিয়ে দিলি।
-- ও কস্ট হচ্ছে? ব্লাডি,,,,
-- আমার ওয়াইফ এখন ভাই।
-- আসল ব্যাপার হলো বাবুর মা। নইলে,,,
-- তুই তো কস্ট দিলিই ভাই। আর মনে রাখছিস কেন এতো?
-- যন্ত্রণা আমার হচ্ছে। প্রথমত বিশ্বাস করতে পারছি না প্রতিদিন সকালে। এনক্সাইটি হচ্ছে কখন তোর মৃত্যুর সংবাদ শুনি। এর উপর মামণিকে দেখতে ইচ্ছে করে সবসময়। সব মিলিয়ে সাইকিয়াট্রিস্ট দেখাতে হবে মনে হয়।
-- She loves me,,,,us.
-- আমি যাই। ধর। মামণির খেয়াল রাখিস।
-- কথা বলে যা। Don't you think ইন্টারেস্টিং হবে?
দৃশ্যপট - ৬ ( নাহিদ সমুদ্রের ঢেউয়ের দিকে তাকিয়ে আছে। এমন সময় হুইল চেয়ারের শব্দে পেছনে ফিরে দেখে ত্রয়ী এসেছে পাশে। চেয়ার লক করে তার দিকে তাকিয়ে হাসলো। জাছিম তার মেয়েকে নিয়ে পালিয়েছে। ওদেরকে কথা বলতে প্রায় বাধ্য করার প্রয়াস বলা যায়। নাহিদ ত্রয়ীর চেয়ারের পেছনে গিয়ে আনলক করে ত্রয়ীকে নিয়ে সামনে যেতে থাকলো। পড়ন্ত বিকেলে এর চেয়ে নিখুত দৃশ্য ঐ সৈকতে আর নেই।)
-- ও ফাসিয়ে দিয়ে গেছে, নো? আপনি চলে যাচ্ছিলেন তাড়াহুড়ো করে,,,,
-- কেমন আছো?
-- আমি জীবনের সেরা সময়টাতে আছি। আপনি আমাদের সাথে থাকলে ভালো লাগতো আরো।
-- তোমার হাতে খেলনা থাকলে খুশি হতে যখন তখন,,,, তাই না? ভেবেছো না কয়েকবার?
-- ভাবতাম। কিন্তু বাবুর সাথে আপনার কেমিস্ট্রি দেখে,,,
-- এসবে কাজ হয় না আমাকে হ্যাক করার ক্ষেত্রে।
-- আমাকে দেখলে পালান কেন? গিল্ট?
-- হা হা হা। তোমার ভাগ্য আসলেই ভালো। ছাগলটা,,,,আসলেই পুরা ব্যাপারটাতে আমার মাথা ব্যাথা করে ভাবতে গেলে। পয়েন্ট ব্ল্যাংকে গুলি করেও একসাথে,,,,আবার বাবু,,,,, ভাবা যায়?
-- আপনার বন্ধু বোকা না। আসলে ওর হৃদয় যেখানে থাকার কথা ওখানেই আছে।
-- থাকার কথাই। গুলিটা যেহেতু করো নি ওখানে।
-- আপনার নেই। আসলেই ভাগ্য ভালো আমার।
-- ওর মতো হাজবেন্ড হয় না বলে?
-- না। ঐদিন মেরেই ফেলতেন। মারেন নি বলে। আপনার চোখেই দেখেছিলাম। যখন বললেন জাছিম আসবে ভাবছিলাম ও কখন আসবে। আপনার আসলেই ওখানে হৃদয় বলতে কিছু নেই। কিন্তু আপনাকে অনেক আগেই ক্ষমা করে দিয়েছি। আপনিও ট্রাই করে দেখতে পারেন।
-- I'm not going to say sorry. You shot him.
-- I know. এখন ধাক্কা দিয়ে বন্ধুর বউ কে বসিয়ে হুইলচেয়ার চালাতে মজা কেমন লাগছে?
-- বালুতে একটু যন্ত্রণার।
-- কাধে ব্যাগ দেখছি। আমাদের সাথে থেকে যান। বাবু খুব কান্না করবে না দেখতে পেলে । অচেনা দেশ। আবার আপনার যে প্যারানয়া তা দূর হয়ে যেতো থাকলে। ব্যাপারটা ব্যাতিক্রম কিন্তু,,,,, এখানে থামুন।
-- এটা রিস্কি। যাই। আর দেখা হবে না। তোমরা ভালো থেকো। Don’t shoot my friend again.
১৫ ই সেপ্টেম্বর, ২০২৪ রাত ৯:৩৪
ৎৎৎঘূৎৎ বলেছেন: আপনাকে খারাপ লেখক ও লেখা একটু দ্রুত চিনতে হবে। তাহলে সময় নস্ট হবে কম। আমি খুব ভাল লিখতে চাই। মন্তব্যে খুব হাসি পেয়েছে কল্পনায় আপনার বিরক্তি ঠাওর করতে পেরে। আরেকবার পরে দেখার চেস্টা করতে পারেন। আন্তরিক ধন্যবাদ আপনাকে।
২| ১৪ ই সেপ্টেম্বর, ২০২৪ রাত ১১:৫১
মিরোরডডল বলেছেন:
লেখাটা পড়লাম, কিচ্ছু বুঝিনি!!!!!
শুধু বুঝতে পারছি লেখা পড়ে এখন আমার মাথা ব্যথা করছে
Anyway, are you alright?
১৫ ই সেপ্টেম্বর, ২০২৪ রাত ৯:৩৮
ৎৎৎঘূৎৎ বলেছেন: আপা আমার লিখতে ভীষণ ইচ্ছে করে। কিন্তু একসুত্রে গাথুনি টা হচ্ছেই না। একটাই তো পুকুর। পড়ার পুকুর, লেখার পুকুর। যেখানে ডুব দিয়ে বাকীসব ভুলে থাকা যায়। Thank you for asking. You're the kindest. ভালো থাকবেন সবসময়।
৩| ১৫ ই সেপ্টেম্বর, ২০২৪ রাত ১১:০৮
জনারণ্যে একজন বলেছেন: লেখক বলেছেন: আপনাকে খারাপ লেখক ও লেখা একটু দ্রুত চিনতে হবে। তাহলে সময় নস্ট হবে কম। আমি খুব ভাল লিখতে চাই। মন্তব্যে খুব হাসি পেয়েছে কল্পনায় আপনার বিরক্তি ঠাওর করতে পেরে। আরেকবার পরে দেখার চেস্টা করতে পারেন। আন্তরিক ধন্যবাদ আপনাকে।
@ ৎৎৎঘূৎৎ, আমি যখন যা পড়ি, তা সর্বোচ্চ মনোযোগ দিয়েই পড়ি; সুতরাং আবার পড়ার কোনো প্রয়োজনীয়তা দেখছি না। হয়তো মাঝে মাঝে বিরক্ত হই, কিন্তু কিছু পড়ার পর কখনোই মনেহয়না যে সময় নষ্ট করেছি।
আপনার আগের কোনো লেখা যখন ভালো লেগেছে, তখন তাও বলেছি। সমস্যা এখানেই, যৌক্তিক সমালোচনা কেউ নিতেই পারে না।
খারাপ লেখক নিয়ে আমার কোনো মাথা ব্যাথা নেই, কিন্তু খারাপ লেখা নিয়ে আছে।
১৬ ই সেপ্টেম্বর, ২০২৪ ভোর ৬:৪৫
ৎৎৎঘূৎৎ বলেছেন: আমি সত্যিই মর্মাহত হইনি। সমালোচনার জন্যই আসি ব্লগে। অন্যত্র মানুষের মনের কথা বোঝা যায় না। সবাই খুব ডিফেন্সিভ হয়ে থাকে আজকাল। আবার ভাবে অন্যরাও হয়ে আছে। আপনি নির্দ্বিধায় সমালোচনা করতে পারেন এই ব্লগে। লেখা টা ভালো নয়। পরে এডিট করেছি আবার। এই কারনেই পড়তে বলা। যদিও তথৈবচ। প্রথম মন্তব্যে আমি শুধুই মজা করছিলাম। তবে অবস্থা এমন দাঁড়িয়েছে আপনি তাও বিশ্বাস করবেন না।
৪| ১৬ ই সেপ্টেম্বর, ২০২৪ সকাল ৮:০৭
জনারণ্যে একজন বলেছেন: ধন্যবাদ, ৎৎৎঘূৎৎ।
আপনার লেখার হাত তো খুবই ভালো, আগেও কোনো কোনো লেখায় বলেছিলাম। এবং আপনার মোটামুটি প্রতিটা গল্পেই টুইস্ট থাকে।
সাধারণতঃ কথোপকথন নির্ভর গল্পে মনোনিবেশ করতে একটু কষ্ট হয়। তার উপর যদি এতটাই টুইস্ট থাকে, তবে খুবই কঠিন হয়ে যায় ট্র্যাক করা। এই গল্পে যেমন কোন চরিত্র কি বলেছে, সেটা ট্র্যাক করেই তারপর শেষ করতে হয়েছিল। পড়ার ছন্দ একটু নষ্ট হয়ে গেছিলো তাতে।
আপনার একসেপ্টেন্সের ধরণ খুবই ভালো লেগেছে। ভালো থাকবেন আপনি, শুভকামনা রইলো।
১৬ ই সেপ্টেম্বর, ২০২৪ বিকাল ৫:৪৭
ৎৎৎঘূৎৎ বলেছেন: ভালো থাকবেন আপনিও।
©somewhere in net ltd.
১| ১৪ ই সেপ্টেম্বর, ২০২৪ রাত ১১:১৯
জনারণ্যে একজন বলেছেন: দু'বার পড়লাম আপনার গল্পটা। প্রথমবার চেষ্টা করেও শেষ করতে পারিনি, বিরক্ত হয়ে অর্ধেক পড়েই বাদ দিয়েছিলাম। দ্বিতীয়বারে বেশ কষ্ট হলেও শেষ করলাম।
গল্পে টুইস্ট থাকতেই পারে। কিন্তু টুইস্টের চক্করে পড়ে গল্প যদি হয়ে ওঠে জিলাপির প্যাঁচ, তবে তা কখনোই সুখপাঠ্য হয়ে ওঠে না। বরং বিরক্তির কারণ হয় পাঠকদের জন্য।
যাই হোক, ভালো থাকবেন। আশাকরি খুব বেশি মর্মাহত হননি মন্তব্য পড়ে।