নির্বাচিত পোস্ট | লগইন | রেজিস্ট্রেশন করুন | রিফ্রেস |
হিংসা, বিদ্বেষ, পরশ্রীকাতরতা,অল্পবিদ্যা, কুশিক্ষা এবং ডাবল স্ট্যান্ডার্ড দৃষ্টিকোণ না থাকলে প্রকৃত বাঙ্গালি হওয়া যায় না।
২০১৩ সালের শেষের দিকে হবে।। সময়টা অনেক আগের কিন্তু। মোবাইলে গান শুনতে শুনতে আনমনে " আমাকে আমার মতো থাকতে দাও" গেয়ে উঠলাম সবার সামনে। সবাই চমকে উঠে বলল, গানতো ভালোই গাইলি। আমিও খানিকটা লজ্জাই পেলাম। আমাকে গান গাইতে দেখেনি কেউ। এরপর হঠাৎ তুমি আসলে। কেউ একজন পরিচয় করিয়ে দিলেন। তারপর এনরিকের সবচেয়ে আলোচিত গানটা অন্য একজন কে দিয়ে অনুরোধ করে দিতে বললে ব্লুটুথ এ দেবার জন্য। আমি তখন অন্তর্মুখী, মেয়েদের উপেক্ষা করে চলা একজন মানুষ। অথচ ঐ ছোট্ট ঘটনা আমাকে চমকে দিয়ে চলে গেল। শীতের শুরুর ঝলমলে রোদে তোমার সিড়িতে বসে থাকা আমাকে কিছুটা পেছনে নিয়ে গেল। মনে হলো দু হাজার বছর পেছনে আমি। সামনে তুমি। আমরা একটি চমৎকার সকাল শুরু করতে যাচ্ছি। তুমি আমাকে চেনো, আমি তোমাকে। এটাই হবার ছিলো। আর কিছুই হবার কথা ছিলো না।
২০১৪ এর মার্চের ঘটনাটাও ঠিক তেমনই। রমনার ঐ বেঞ্চে তোমার হাতে আমার হাত রেখে বুঝতে না পারাটা আমাকে আজো ভাবায়। হাতগুলোর আসলে হয়েছিলো কী? লিয়াম নেসন কে দেখেছিলাম ভালোবাসার প্রকাশে প্রেয়সীর হাতে ওভাবে হাত রাখতে। কব্জির একটু উপরে দু আঙুলে আলতো ভাবে তর্জনী আর মধ্যমা আঙুল রেখে বৃদ্ধাঙ্গুলে তোমার সুইসাইডাল এটেম্পটের শুকিয়ে যাওয়া দাগগুলোকে ঢেকে ফেলাই মনে হয় যেনো আসল উদ্দেশ্য ছিলো। তোমার ব্যাগ থেকে বডি স্প্রে নিয়ে নিজের চুলে স্প্রে করার ব্যাপারটা আসলে তেমন বড় কিছু নয়। যদি কোন কিছুর সাথে তুলনা করতে হয় তা একটি ভাল্লুক ছানার এক হাত তার মাথার চারপাশে ঘুরিয়ে আনার আশ্চর্য আদুরে ভংগীর সাথে করা যেতে পারে। অদ্ভুত তো। এসব মেটাফোর আসলেই কোন মেটাফোরের পর্যায়ে পড়ে? এসব ফিগার অব স্পিচের কোন একটির সাথে আদৌ মিলেছে কী? কোন প্রেমিকের কবিতায় এতো অদ্ভুত প্রেমে পড়ার মতো কোন কিছু আজতক ধরা পড়েছে? আমি এসবেই আটকে আছি বহুকাল। কতো স্পস্ট একেকে টি সিন। আমার প্রিয় ডিরেক্টর টরেন্টিনোর কথা কী এখানে বলা যায়? সে তো রোমান্টিক ফিল্মের ডিরেক্টর ও নয়। তবে কোনদিন রোমান্টিক সিন সাজালে বোধয় তিনি ,,,,, হা হা হা।
২০১৫ এর কোন ঘটে যাওয়া আষাঢ় এর সাথে আজকের আষাঢ় এর একদম আষ্টেপৃষ্ঠে মিল ছিলো। আমি রিক্সা থেকে নেমে সি এন জি তে উঠবো। তুমি যখন নামলে বৃস্টি শুরু হলো। আজকের মতো। বৃষ্টির সময়ে তুমি যে রিক্সা থেকে নেমে আমার কাছে হেটে আসলে ঐ রাজকীয় ভংগিমার প্রচন্ড শক্তি ছিলো এক ভয়ংকর নির্মম বাস্তববাদী পুরুষকে এক নিমেষে ভালবাসায় বাধ্য করার। ভেজা দুটি কাকের মতো দুজনে যার যার গন্তব্যে রওনা দিতে হলো। তবে ঘাড়ে তোমার নিশ্বাসের উত্তাপ টা তখন সহ্য হচ্ছিলো না। চলে আসবো এটা ভাবতে আনন্দ হচ্ছিলো। কারণ বেশিরভাগ সময়ই আমার কারো সাথে আদিখ্যেতা সহ্য হয় না। অথচ ফিরে আসার সময় আমার পেটে তখন ভালোবাসা ছাড়া কিছুই ছিলো না।
তারপর কেটে গেছে অনেক বছর। কতোবার দেখা হলো। দেখা হবার আকুলতাটা ছিলো আমার মধ্যেও অস্বীকার করবো না। তোমার হিসেব নিকেশ আমার চোখ এড়ায় নি। জড়িয়ে ধরেও আর ঐ ভালোবাসাটা খুজে পাই নি। তোমার বেশভূষা যুগের বিষে পালটে গিয়েছিল বিধায় আমার এমন হয়েছিলো কিনা জানিনা। তবে তার ভূমিকা থেকে থাকবে। তুমিও পালটে গিয়ে থাকবে বোধয়। আমার এ যুগের পরিবর্তন সবসময়ই নির্লজ্জ লেগেছে। ঐ ভালোবাসাটা কোন সিরিয়াল কিলারের প্রথম খুনের সাথে তুলনা করলে কেমন হয়। কিংবা প্রথম সিগারেটের সাথে। প্রথম লিখে ফেলা কোন প্রেমের গল্পের সাথে অথবা জিমে ভর্তি হবার পর প্রথম লেগ ডে'র সাথে। প্রথম বন্ধুর দেয়া কোন দুষ্টু কার্ডের সাথে বা নিজের টাকায় কেনা বাইকে প্রথম চড়ে বসার সাথে। আচ্ছা, প্রথম বই চুরি করার সাথে তুলনা করলে কেমন হয়? নিজেকে আমি ধন্যবাদ অবশ্যই দিই কারণ অদ্ভুত এই হৃদয় নিয়েও আমি ভালোবাসায় আক্রান্ত হতে পেরেছিলাম।
আমি দুঃখিত। এরপর তোমাকে আমি কদাচিৎ ভালোবাসতে পেরেছিলাম।
২৮ শে জুন, ২০২৪ বিকাল ৪:৩১
ৎৎৎঘূৎৎ বলেছেন: আশা করি আশাহত হবেন না জেনে যে এমন কিছুই ঘটেনি। একটা পরীক্ষা করার ইচ্ছে ছিলো অনেক দিনের। যদি বছরের ইংগিত দেই লেখা আসলেই জীবন্ত হয়ে উঠে কিনা দেখা। আপনাকে মন্তব্যের জন্য ধন্যবাদ।
২| ২৮ শে জুন, ২০২৪ বিকাল ৫:০০
ক্রেটোস বলেছেন: না, আপনার আশা সফল হলো। আমি আশাহত হইনি কারণ আমার এমন কোন আশাই ছিল না যে এই ঘটনাপ্রবাহ সত্য।
আমি এটাই বোঝাতে চেয়েছি পোস্টটা এমন যে পড়বার ক্ষেত্রে অস্পষ্ট মানে এমন অনেক কিছুই গোপন রাখা আছে যার কারণে ঘটনাপ্রবাহের ব্যাখ্যা নেই কিন্তু এতটাও অগোছালো নয় যে অনুধাবনে সমস্যা হবে।
বছরের উপস্থাপন নয় ৎৎৎঘুৎৎ, স্থান ও পরিবেশের পুঙ্খানুপুঙ্খ বিবরণ ও সাম্প্রতিক সময়ের কিছু ঘটনার আবর্তন কোন লিখাকে জীবন্ত করে তোলে!
০১ লা জুলাই, ২০২৪ সকাল ১০:২৭
ৎৎৎঘূৎৎ বলেছেন: লেখক হলে সহজ হতো ব্যাপারটা। ধন্যবাদ আপনাকে।
৩| ২৮ শে জুন, ২০২৪ সন্ধ্যা ৭:১৬
প্রামানিক বলেছেন: হুম অনেক কিছু বলেছেন
০১ লা জুলাই, ২০২৪ সকাল ১০:২৭
ৎৎৎঘূৎৎ বলেছেন: হা হা হা। মন্তব্যের জন্য ধন্যবাদ।
৪| ২৮ শে জুন, ২০২৪ রাত ৯:৫২
রূপক বিধৌত সাধু বলেছেন: আমি কিন্তু সত্যি ধরে নিয়েছিলাম। যাহোক, লেখা দারুণ হয়েছে।
০১ লা জুলাই, ২০২৪ সকাল ১০:২৮
ৎৎৎঘূৎৎ বলেছেন: আন্তরিক ধন্যবাদ আপনাকে। কোথাও এমনই ঘটে গিয়ে থাকবে।
৫| ২৮ শে জুন, ২০২৪ রাত ১০:০১
আহমেদ জী এস বলেছেন: ৎৎৎঘূৎৎ ,
প্রথম প্রেম অমনিই হয়! দীর্ঘ বিচ্ছেদের পরেও কোথায় যেন কি একটি সুর বেজে যায়!
চমৎকার লেখা। গদ্যকবিতার মতো আলো আঁধারির খেলা খেলে গেছেন। মনে হচ্ছে বলতে চাইছেন ---
"....আমি কথনও যাইনি জলে
কখনও ভাসিনি নীলে
কখনও রাখিনি চোখ
ডানা মেলা গাংচিলে
আবার যেদিন তুমি সমুদ্রস্নানে যাবে
আমাকেও সাথে নিও
নেবে তো আমায়........."
০১ লা জুলাই, ২০২৪ সকাল ১০:৩২
ৎৎৎঘূৎৎ বলেছেন: প্রথম প্রেম এমনিই হয়। সত্যি। আমার অনেকদিনের প্রিয় গান এটা। সমুদ্রের পাড়ে বেশি মনে পড়ে। অশেষ ধন্যবাদ।
৬| ২৯ শে জুন, ২০২৪ বিকাল ৩:৫৪
বোকা মানুষ বলতে চায় বলেছেন: সুন্দর লেখনী। প্রথম ভালোবাসার অনুভূতি এবং সেই সাথে আঙ্গুলের ফাঁক গলে তা হারিয়ে যাওয়ার গল্প ফুটে উঠেছে দারুণভাবে। +++
০১ লা জুলাই, ২০২৪ সকাল ১০:৩৩
ৎৎৎঘূৎৎ বলেছেন: অশেষ কৃতজ্ঞতা। চমৎকার মন্তব্য।
৭| ০১ লা জুলাই, ২০২৪ সকাল ১১:০১
অপু তানভীর বলেছেন: আহা প্রেমের সেই মুহুর্তগুলো ! আপনার এই লেখাা পড়ে আমার নিজের প্রেমিকার কথা মনে পড়ে গেল ! যদিও আমার তার সাথে কখনই বৃষ্টিতে ভেজা হয় নি । এমন সুযোগই আসে নি । তবে প্রথম কথা বলা পাশা পাশি রিক্সায় চড়া, পার্কে বসা - সেই মুহুর্তগুলোর কোন তূলনা নেই।
©somewhere in net ltd.
১| ২৮ শে জুন, ২০২৪ বিকাল ৪:১৬
ক্রেটোস বলেছেন: আপনি দেখছি অনেকটা গোপন রেখে সবটাই বলে দিলেন!