নির্বাচিত পোস্ট | লগইন | রেজিস্ট্রেশন করুন | রিফ্রেস

ডায়েরী হারিয়ে ফেলি।

ৎৎৎঘূৎৎ

হিংসা, বিদ্বেষ, পরশ্রীকাতরতা,অল্পবিদ্যা, কুশিক্ষা এবং ডাবল স্ট্যান্ডার্ড দৃষ্টিকোণ না থাকলে প্রকৃত বাঙ্গালি হওয়া যায় না।

ৎৎৎঘূৎৎ › বিস্তারিত পোস্টঃ

জোছনা দেখার লোভে।

২৬ শে ফেব্রুয়ারি, ২০২৪ দুপুর ১২:৪১




- আমাদের ঐ প্রেম টা কোথায় গেলো?
- কোনটার কথা বলছেন? বুঝিনি। আমাদের প্রেম কবে ছিলো? আমরা তো মাত্র আসলাম।
- ঐ যে অভাবের টা। ছেলেটি টিউশনি করে। ঘামে ভিজে হেটে এসে পাচ টাকা বাচিয়ে বাদাম কিনবে প্রেমিকাকে খাওয়াবে বলে।
- হোয়াট? আমরা কি নেব বলুন?
- আপনার যা ইচ্ছে। আগে বলুন তো ঐ প্রেমগুলো কোথায় গেলো?
- মেনুতে ১২৮ নাম্বার টা নিয়ে নিই কেমন। ডেজার্ট টা পরে দেখবো।
- ওকে।
- কী বলছিলেন যেনো? বাদাম খাওয়াবে,,, কী?
- ও হ্যা। মেয়েটি অভাবের সংসারে স্বপ্ন নিয়ে বড় হওয়া। রঙ জ্বলে যাওয়া শাড়ি পড়ে আসবে কেননা ছেলেটি অনুরোধ করেছে খুব। দেখা যাবে ও আগে এসে বসে আছে। কারণ ছেলেটির টিউশনি শেষ হতে একটু দেরি আছে।
- গল্পটা মজার তো।
- হতো না এমন বলছেন?
- তারপর কি হলো?
- ঘড়ি তে মেয়েটি দেখলো আর দশ মিনিট আছে। এই দশ মিনিটে ঐ ছেলেটির জন্য অপেক্ষায় রাগ তো হচ্ছেইনা বরং আরো মায়া হচ্ছে। আর ভাবছে, ওর যদি একটা চাকরি হয়ে যেতো। এরপর আমরা দূরে কোথাও গিয়ে জোছনা দেখতাম ব্লা ব্লা ব্লা। যদিও চাকরি হবার সম্ভাবনা ক্ষীণ।
- আপনি কী বই টই পড়েন। আমি একদমই পড়িনি। ব্লাইন্ড ডেটে আপনি একটু ব্যাতিক্রম ই পড়লেন। কোথায় যাওয়া যায় ঘুরতে বলুন তো?
- গল্পের কিছু অংশ বলি আরো। অবশ্য এমন হতো। আচ্ছা খাবার এসে গেছে আপনি শুরু করুন।
- আপনি?
- আমি গল্প টা বলি খেতে খেতে শুনুন।
- ওকে আই গেস।
- ছেলেটি আসলে মেয়েটি কপট রাগ দেখালো। তারপর ওরা শিমুল গাছের নিচে বসে বাদাম খেতে লাগলো। কথা বলল না নিজেদের মধ্যে। কিন্তু চারদিকের পোকামাকড় রা বুঝে গেলো ওদের মধ্যে গভীর স্নিগ্ধ প্রেম চলছে। উটকো লোকেরাও ঝামেলা করলো না। ওদের কে এতো মানিয়ে গেছে যে সবাই মুগ্ধ চোখে দেখতে শুরু করলো।
- শিমুল গাছের ফুলটা কেমন হয়?
- দেখেন নি?
- চিনতে পারবো দেখলে। চলুন একটা সেলফি,,,,
- না ধন্যবাদ।
- চমৎকার একটা রুফটফ রেস্টুরেন্ট আছে কাছেই। ঘুরে এসে সন্ধ্যায় খাওয়া যাবে।
- আপনি অনেক সুন্দর।
- থ্যাংকস।
- গল্পটা শেষ করি?
- ওহ,,,,,,শেষ করুন।
- আমি অনাগ্রহের ব্যাপারটা বুঝেছি। টপিকের তো অভাব। এরপর ছেলেটিও ঘামে ভিজে থাকা পছন্দের শাড়ি পড়া মেয়েটিকে বলল, - তোমার কপালের চুল এসে পড়লে সরানোর কিছু নেই। এভাবেই খুব ভালো লাগে। মেয়েটি ওর কথায় কোন মতে মুখ লুকালো লজ্জায়। আর বলল, বাদাম খাও আমাকে তোষামোদ করতে হবে না। একে তো দেরী করে এসেছো। এই গরমে একা বসে আছি ইত্যাদি ইত্যাদি।
- শেষ হয়েছে? চলুন।
- আপনি আর কিছু নেবেন না?
- একটা কোক নেয়া যেতো। নাহ
- আচ্ছা বলুন তো ঐ প্রেমগুলো কোথায় গেলো?
- বস্তাপচা ২০০০ সালের প্রেম। হি হি হি। ওয়েটার জিজ্ঞেস করছে বিলটা,,,,
- ফিফটি ফিফটি। আপনিই খেয়েছেন বেশি যদিও।
- এক্সকিউজ মি?
- উই আর নট আ ম্যাচ।

মন্তব্য ৬ টি রেটিং +০/-০

মন্তব্য (৬) মন্তব্য লিখুন

১| ২৬ শে ফেব্রুয়ারি, ২০২৪ দুপুর ১:০৭

রাজীব নুর বলেছেন: আপনার নিজের অভিজ্ঞতা থেকে লিখেছেন নাকি?

২| ২৬ শে ফেব্রুয়ারি, ২০২৪ দুপুর ২:৫৬

ৎৎৎঘূৎৎ বলেছেন: একদম নয়। আমার বিচিত্র সব অভিজ্ঞতা হয়েছে। এর মধ্যে এটি পড়ে না।

৩| ২৬ শে ফেব্রুয়ারি, ২০২৪ বিকাল ৩:২৮

শায়মা বলেছেন: আমার মনে হয় সত্যিকারের প্রেম ২০০০ পর্যন্তই ছিলো। তারপর টেনেটুনে ২০০০৫। এরপরে প্রেমগুলোর নাম অন্য কিছু হলে ভালো হত!

৪| ২৭ শে ফেব্রুয়ারি, ২০২৪ দুপুর ১:৩০

ৎৎৎঘূৎৎ বলেছেন: বইতে পাওয়া যায়। মাঝে মাঝে টিভিতে বোধয় দেখেছি। এখনকার গুলোর নাম আসলেই খুজে পাচ্ছিনা। ধন্যবাদ আপা মন্তব্যের জন্য।

৫| ২৭ শে ফেব্রুয়ারি, ২০২৪ বিকাল ৪:২৫

রাজীব নুর বলেছেন: মন্তব্যের উত্তর দেন নাই কেন?

২৮ শে ফেব্রুয়ারি, ২০২৪ সকাল ১০:০৭

ৎৎৎঘূৎৎ বলেছেন: উপরে দিয়েছিলাম। কি জানি কেন এমন হচ্ছে। আমার এমনই ন অভিজ্ঞতা নেই।

আপনার মন্তব্য লিখুনঃ

মন্তব্য করতে লগ ইন করুন

আলোচিত ব্লগ


full version

©somewhere in net ltd.