নির্বাচিত পোস্ট | লগইন | রেজিস্ট্রেশন করুন | রিফ্রেস |
হিংসা, বিদ্বেষ, পরশ্রীকাতরতা,অল্পবিদ্যা, কুশিক্ষা এবং ডাবল স্ট্যান্ডার্ড দৃষ্টিকোণ না থাকলে প্রকৃত বাঙ্গালি হওয়া যায় না।
আমাকে জিজ্ঞেস করবেন না কোথায় যাচ্ছি। আমি এর উত্তরে কিছু একটা বলে দিয়ে পার পেতে চাই না। আপনি অর্থহীন ভাববেন বিধায় উত্তর ও দিতে চাই না। আমি বলতে চাই না আপনি যা করেন তা আমার কাছে অর্থবহ কিনা তার ব্যাপারে আপনি কতটা নিশ্চিত। কি বলছেন? কবে আসবো? ছুটি থাকলে আসবো না। দায়িত্ব না থাকলে আমাকে দেখবেনই না। বাসায় খুজে পাননি বিধায় মন খারাপ করেছেন? শুক্র-শনিবার হবে বোধয়। ক্ষমা করবেন। এর মধ্যে এক পাগলাটে অনুজ জুটে গেছে। সকাল বিকেল দৌড়ে বেড়াচ্ছি। এর চেয়ে বড় মাদকের সন্ধানই পাইনি। ওগুলো পুরনো ট্যাগ। আরও নতুন কিছু যোগ হয়েছে। " হুদাই ঘুরে", "টাকা নস্ট করে" "ঘর-বাড়ি হয়নি" ইত্যাদি ইত্যাদি।
আপনার মতই ভাবতাম বুঝলেন। প্রচুর টাকা করবো,ফ্ল্যাট কিনবো, বিয়ে করবো। হঠাৎ এসব মাথায় ঢুকে বসে আছে। আর বাকী আপনারা যা করছেন, অফিসে পলিটিক্স, দলাদলি করে আক্রমণ, সুযোগে পেয়ে রীরাংসা, তোষামোদ,,,আর হলো না। বৃহস্পতিবারের জন্য মনটা হু হু করে উঠে জানেন? কবে আসবে? কতবার অপদার্থ বলেছেন গুরুস্থানীয়রা তার শেষ নেই। বুদ্ধদেব গুহের মাধুকরী পরে মাথাটা গেছে। বন, জংগল, এর ভেতরে বয়ে চলা নদী আমাকে যেভাবে উত্তেজিত করে বলে বোঝানো যাবে না। মানে যাবো চিন্তাটা মাথায় আসলেই,,,,এবারের শীতে কোথায়? বরগুনা। স্রোতের বিপরীতে গুণ টানাটানি থেকে নাম হয়েছে নাকি? আমার সাথে মিলে যাচ্ছে না?
শুরুতে নেমে শীতের ঝটকায় মেরুদন্ড কেপে উঠেছিলো বুঝলেন। এরপর গন্তব্যে যেতে ফেরি পার হতে হলো। নৌকাটায় ছেলেটা ওপার থেকে একা কেন আসছিলো তা নিয়ে স্থানীয়রা বলাবলি করছিলো। খেটে খাওয়া মানুষদের ভুল করলে চলে? আমার কিন্তু ওকে একাই নৌকায় ভালো লেগেছে। এর চেয়ে রাজকীয় দৃশ্য আর আছে?
প্রাসংগিক নয় তবে নৌকাগুলো দেখে রবীন্দ্রনাথের নৌকাডুবির কথা মনে পড়াটা ঠিকই হয়নি। কোন মিল নেই। ওসময় ঝড় হয়ে বউ বদল পর্যন্ত হয়ে গিয়েছিলো। অদ্ভুত ব্যাপার ওখানে নয়। অদ্ভুত ব্যাপার হলো " স্বামীর নাম মুখে আনতে নেই" সুত্রের ফলে কি যে একটা অসাধারণ গল্প পেলাম ভাবুন তো। এখানে নৌকাগুলো শান্ত, শান্তিপূর্ণ।
পৃথিবীর সকল কিছুই অগোছালো। এর একটা সৌন্দর্য আছে। সব কিছু গুছিয়ে ফেলা মানুষদের কাজ। দরকার আছে বলুন। সূর্যের আলো টা গাছের ফাক ফোকর দিয়ে এসে ভাংগা নৌকাটার গলুইটা ছোবে, জলে পড়ে অপার্থিব আকৃতি বানাবে তাহলেই না প্রান ভরে দেখবেন। কিন্তু আপনার করবেন কী বসার জন্য জায়গা বানাবেন, ভাংগা নৌকাটা সরিয়ে স্পিডবোটটা এনে বাধবেন আরো কতোকিছু।
অবাস্তব লাগছে? এসব কেন করবেন ভাবছেন? একবার চেস্টা করে দেখুন। এই পথটা ধরে এগুলেই নিজের পায়ের শব্দ ছাড়া আর কিছু শুনতে পাবেন না। অদ্ভুত এক ছন্দ। নিজের শ্বাসের শব্দও অসাধারণ লাগবে তবে ক্লান্ত হয়ে যাবার পর। মোবাইল টা আর ক্যামেরাটা পথ শুরু হতেই ব্যাগ থেকে আর বের করবেন না। কথা বলবেন না। শুধু বনলতা সেনের হাজার বছরে ধরে পথে হাটতে থাকবেন। সত্যি বলছি আর সবকিছু গৌণ মনে হবে।
এই ব্যাটা কখন এসে আটকেছে কে জানে? বড্ড বেমানান লাগছে না? মানবসম্পদের কি বিপুল শক্তির অপচয় বলে মনে হচ্ছে না? হচ্ছে না? তাহলে আপনার সাথে আমার সাথে মিলবে না বোধয়।
কি ভাবছেন? বনের ভেতর দিয়ে নদী দেখার কি আছে? একবার এসেই দেখুন না। অতি সাধারণ কিন্তু হারিয়ে গেলে বুঝতে পারবেন ফিরতি পথ ধরে ফিরে আসতে কেমন লাগে। আমি হারিয়ে গেছি কিনা? আভিধানিক ভাবে? সত্যি হারিয়ে বের হতে না পেরে একই পথে পৌনে এক ঘন্টার মত হেটে ফিরেছি বুঝলেন। অদ্ভুত ব্যাপার হলো এই যে নেটওয়ার্ক কাজ করেনি, কল দেয়া যাচ্ছিলো না তা নিয়ে একটুও বিচলিত হইনি। আপনিও হবেন না।
আপনি থাকবেন না। এ বন তার সব সন্তান সহ থেকে যাবে ভাবতে কেমন লাগছে? সভ্যতা না পৌছলে একেকটি জায়গা কতটা সুন্দর থেকে যেতে পারে কল্পনা করতে কস্ট হয়। আমরাই অবাঞ্চিত। আর ওই সবুজ শ্বাশত। হিংসে নেই, ঈর্ষে নেই পাবেন এমন সবুজ ঐ কাঠখোট্টা নয়টা-পাচটা চাকরির জীবনে? এখানে আছে শুধু বিশ্রাম আর উচ্চ স্বরের গান কিংবা কবিতা। গলা কর্কশ হলেও গেয়ে ফেলতে পারেন, " যদি তোর ডাক শোনে কেউ না আসে,,,,,,,
বরগুনা থেকে কুয়াকাটা যেতে তিনটি নদী পার হওয়া আমার জীবনের সেরা নদী ভ্রমণ হয়েই থাকবে। সে গল্প হবে। হয়তো অন্য কোনদিন। জানিনা আপনার আক্ষেপ হবে কিনা। আমার ফিরে আসতে হয়েছে। বাধা ধরা যান্ত্রিক জীবন আর জীবনের ছকে আটকে থাকা মানুষদের অসম্পূর্ণতা দেখতে হয়েছে। এই আক্ষেপ কোথায় রাখি বলুন?
আমার এই ঘুরে বেড়ানো অর্থহীন লাগছে? লাগতেই পারে। কিন্তু আমার কাছে আর সব যে অর্থহীন লাগে?
২২ শে ফেব্রুয়ারি, ২০২৪ সকাল ১১:০৯
ৎৎৎঘূৎৎ বলেছেন: একা একা অসাধারণ লাগে। মন্তব্যের জন্য ধন্যবাদ আপনাকে।
২| ২০ শে ফেব্রুয়ারি, ২০২৪ সন্ধ্যা ৭:৩০
রাজীব নুর বলেছেন: ছবি গুলো মন দিয়ে দেখলাম।
২২ শে ফেব্রুয়ারি, ২০২৪ সকাল ১১:১০
ৎৎৎঘূৎৎ বলেছেন: এইবারো ভালো লাগেনি? কারণ একই। ধন্যবাদ।
৩| ২০ শে ফেব্রুয়ারি, ২০২৪ রাত ৮:৩৪
জ্যাক স্মিথ বলেছেন: দৃষ্টিনন্দন সব ছবির সাথে চমৎকার বর্ণনায় পোস্ট'টি যেন জীবন্ত হয়ে উঠেছে, সত্যিই দারুণ পোস্ট।
আর ভ্রমন কখনোই অর্থহীন নয়, ভ্রমনের মাধ্যমেই মানুষের জ্ঞান, বুদ্ধি এবং অনেক অনেক অভিজ্ঞতার সঞ্চার হয়।
২২ শে ফেব্রুয়ারি, ২০২৪ সকাল ১১:১২
ৎৎৎঘূৎৎ বলেছেন: আমি ভাবতাম বইয়ের চেয়ে ভ্রমণে শেখা যায় বেশি কথাটা বোধয় সত্যি নয়। কিন্তু কথাটা সত্যি। কৃতজ্ঞতা ও শুভকামনা রইলো।
৪| ২১ শে ফেব্রুয়ারি, ২০২৪ ভোর ৫:০৮
মিরোরডডল বলেছেন:
ছবিগুলো এক কথায় অপূর্ব!!!
সেকেন্ড ছবিটা মাথা নষ্ট করা সুন্দর।
ছবির সাথে বর্ণনার স্টাইলটা ব্যতিক্রম এবং অভিনব।
ৎ পোষ্ট দিয়ে হারিয়ে যায় কেনো?
সবার মাঝেই থাকবে।
২২ শে ফেব্রুয়ারি, ২০২৪ সকাল ১১:১৪
ৎৎৎঘূৎৎ বলেছেন: চেস্টা করবো আপা। মাঝখানে জীবনের ব্যস্ততা ঢুকে যায়। আপনাকে ধন্যবাদ। আপনার মন্তব্য পেয়ে ভালো লেগেছে।
৫| ২১ শে ফেব্রুয়ারি, ২০২৪ ভোর ৬:৪৫
শ্রাবণধারা বলেছেন: অদ্ভুত সুন্দর কিছু ছবি তার সাথে ভিন্ন ধরনের বর্ণনা খুব ভালো লাগলো।
সবচেয়ে ভালো লেগেছে চতুর্থ ছবিটি। আর ছয় নম্বরে আটকে পড়া সাবমেরিনটা (?) দেখে অবাক হলাম বৈকি।
২২ শে ফেব্রুয়ারি, ২০২৪ সকাল ১১:১৮
ৎৎৎঘূৎৎ বলেছেন: ঐ ছবিটা তোলার আগে কিছু সময় দাঁড়িয়ে ছিলাম ওখানে। সাবমেরিন টা আমাকেও অবাক করেছে। শুভকামনা।
©somewhere in net ltd.
১| ২০ শে ফেব্রুয়ারি, ২০২৪ সন্ধ্যা ৬:০৫
ঢাবিয়ান বলেছেন: ছবিগুলো খুব সুন্দর ও আপনার প্রকৃতিকে উপভোগ করার প্রক্রিয়াটা বেশ লাগল। আপনার এই ঘুরে বাড়ানো অর্থহীনতো নয়ই বরং পুরোটাই অর্থবহ। দলে বলে ঘুরতে গিয়ে , সেলফি মেলফি তুলে ফেসবুকে আপ্লোড দেওয়াটাই বরং অর্থহীন ঘুরে বাড়ানো।