নির্বাচিত পোস্ট | লগইন | রেজিস্ট্রেশন করুন | রিফ্রেস |
হিংসা, বিদ্বেষ, পরশ্রীকাতরতা,অল্পবিদ্যা, কুশিক্ষা এবং ডাবল স্ট্যান্ডার্ড দৃষ্টিকোণ না থাকলে প্রকৃত বাঙ্গালি হওয়া যায় না।
কোথা থেকে লেখাটা শুরু করবো এবং পরিশেষে এটা কি দাঁড়াবে নিশ্চিত নই। আমি বলতে পারি ডিপ্রেশন কি করতে পারে তার অভিজ্ঞতা। যেহেতু আমি কোন পেশাদার মনরোগ বিশেষজ্ঞ নই। সেক্ষেত্রে আমার কাছে যে যুদ্ধ করার কৌশল গুলো আছে তা বলে দিতে পারি। আবার মানসিক ব্যাধিগ্রস্ত মানুষ দেখলে আমি কিভাবে বুঝি তাও লেখা যায় এখানে। লেখার সীমাবদ্ধতা নিয়ে কতটুকু পরিস্কার ভাবে বোঝাতে পারবো তা নিয়েও আমি সন্দেহে আছি। আমি অন্তর্জালে বিভিন্ন তথ্য দেখে এবং নিজের অভিজ্ঞতা থেকে কিছু উপায় সংগ্রহ করেছি সামাল দেবার। জানিনা এগুলো কারো কাজে আসবে কিনা? বা কারো সাথে মিলবে কিনা? কিন্তু জেনে রাখুন আমি খুবই সমব্যাথী।
বিশেষজ্ঞদের মতে, রোগীর সাংখ্যিক বিচারে ২০২০ এর পর থেকে বেশি হতে শুরু করবে মানসিক রোগীর সংখ্যা। যেটা হতে শুরু করেছেও তাদের বিশ্লেষণ মোতাবেক। কিছু কিছু ক্ষেত্রে চারপাশের পরিবেশ প্রভাবক হিসেবে কাজ করে। কিন্তু মানসিক ব্যাধি বংশানুক্রমিক। পরিবারের পুর্বপুরুষদের যেকোন কেউ এই ব্যাধিতে আক্রান্ত হলে নিজে আক্রান্ত হবার সম্ভাবনা বেশি। মজার ব্যাপার হলো আক্রান্ত হবার পর থেকে আমার এ সমস্যা কেন হচ্ছে, এর উৎস কী জানতে গিয়ে বিভিন্ন মানসিক ব্যাধি সম্পর্কে অন্তর্জালে জানতে পারি। বাইপোলার ডিজিজ, এনক্সাইটি, অবসেসিভ কম্পালসিভ ডিজর্ডার, প্যারানয়া, SOC.,AD ইত্যাদি। আমি যখন একজন পেশাদার মনরোগের অধ্যাপকের কাছে গিয়ে আমার সমস্যা গুলো বলতে শুরু করেছিলাম তিনি আমাকে বলেছিলেন নেটে খুজে বের করে এসেছি কিনা। আমাকে সাইকোথেরাপি প্রেস্ক্রাইব করা হয়েছিলো। আর সবার মতোই আমিও 'লোকে কি বলবে?' নিয়ে ভীত ছিলাম। তাই যাই নি থেরাপি নিতে। আমার অভিভাবক সবার মতই অভিনয় বলেই উড়িয়ে দিয়েছিলেন। কিন্তু আমি নিজেকে ধন্যবাদ দেই যে আমি বিশেষজ্ঞকে বলতে পেরেছিলাম, আমাকে অন্তত কোন ওষুধ দিন। এজন্য আমি নিজেকে নিয়ে গর্বিত।
আমার কাছে ডিপ্রেশন মানে হলো সকল রোগের মিলিত অবস্থা। কিংবা এদের যেকোন দু একটি মিলে আক্রান্ত হওয়া। একদিন সকাল বেলা ঘুম থেকে উঠে হঠাত খেয়াল করলাম "আমার কী হবে? " প্রশ্নটা খুব জোরালো হয়ে গেছে। চাকরি হচ্ছিলো না। বন্ধুরা অন্য শহরে। তারপর থেকেই এনক্সাইটি, মানসিক দুর্বলতা টের পাচ্ছিলাম। পরবর্তীতে শারীরিক ভাবেও দুর্বল লেগেছে। যেকোন তুচ্ছ বিষয় নিয়ে ভয়ে পেতে শুরু করলাম। ফোনকলে কথা বলার আগে এবং পরিচিত মানুষের সাথে দেখা হলেই ভয় পাওয়া শুরু হতো। একটি চাকরি হলো খুশী হবার বদলে ভয় পাওয়া শুরু হলো। দশ দিনের মাথায় চাকরি ছেড়ে চলে আসলাম। অভিভাবকরা ভালো ভাবে নিলেন না। মধ্যবিত্তের চাকরি ছাড়ার ফ্যান্টাসি থাকে তবে এতো জোরালো হবে ভাবতে গিয়ে অবাক হলেন। আরেকটি চাকরি হলো। জয়েন না করেই চলে আসলাম। যথারীতি সেই ভীতিজনক চিন্তারা গ্রাস করে ফেলল। যেখানে আমি গ্রাহ্য হবো না ভয়ে ভীত সেখানে পুরো একটি চাকরি কিভাবে করব তা নিয়ে আক্রান্ত বোধ করলাম। ব্যাংকে গিয়ে কোন বিল দেয়া আমার কাছে খুব বড় ব্যাপার। ডিপ্রেশনে যারা থাকেন তারা এমনই সমস্যার সম্মুখীন হন। আবার চারদিকে যাদেরকে স্বয়ংসম্পূর্ণ মানুষ বলা হয়ে থাকে তাদের প্রায় বেশিরভাগই টক্সিক। তাদের সাথে পেরে উঠব না ভেবেই তারা প্রথমে আক্রান্ত হন।"আমি যথেষ্ঠ নই" " অপারগ " ইত্যাদি ইত্যাদি। এ রোগে আক্রান্তদের বাওয়েল মুভমেন্টেও সমস্যা হয়।
আমাকে যদি বলা হয় আপনার জীবনের কোন স্মৃতি আপনি মুছে দিতে চান তাহলে আমি বলব, ২০১৯ এর শেষ ছয় মাস। প্রতিদিন ভোরে যে অসহ্য লক্ষ কু চিন্তারা মাথায় ঢুকতে থাকতো তখন আত্মহত্যার চিন্তাকে সমস্যা সমাধানের সবচেয়ে সহজ চিন্তা মতো মনে হতো। খুবই প্রিয় লাগতো। ওজন বাড়তে আরম্ভ করেছিলো এবং আমি কেবলই খেতে পছন্দ করতাম। সবচেয়ে দুখঃজনক সত্যি কথা হলো আশেপাশের মানুষদের সাহায্য খুবই প্রয়োজন হয়ে যায় কিন্তু পাওয়া যায়না। আপনার নিজেকে নিজেই সাহায্য খুজতে হবে। অন্তত চেস্টা করতেই হবে।
ডিপ্রেশন শুধুমাত্রই হতাশা কিংবা দুঃখবোধ নয়। এটা মস্তিষ্কের ক্যামিক্যাল ইম্ব্যালেন্স। কিভাবে ডিপ্রেসড হবেন?
খুবই সোজা। অন্য ফিজিক্যাল এক্টিভিটি বাদ দিন। তিনমাস শুধু ফেসবুকে স্ক্রল করুন, শুয়ে থাকুন। এর একমাত্র কর্তব্য হলো ফিজিক্যাল ইনএক্টিভিটি। আমাদের চারপাশে এমনিতেই দূষণ বাড়ছে। শব্দদুষণকে সরাসরি একটি অনুঘটক হিসেবে নেয়া যায়। আবার অনেকেই বাস্তবের কষাঘাতে যা করতে পছন্দ করেন না তাই বেচে থাকার জন্যে করে যেতে থাকেন। সেটা শুধু মাত্র চাকরি না,বিয়ে বা অন্য সম্পর্ক, অন্য কোন দায়বদ্ধতাও হতে পারে। আসলে ডিপ্রেশন হবার কোন নির্দিষ্ট কারণ নেই। তবে মা-বাবা বা প্রপিতামহদের কারো থেকে থাকলে ডিপ্রেশন হতে পারে।
আর্নেস্ট হেমিংওয়ে, রবিন উইলিয়ামসন, জিম ক্যারি, সুশান্ত সিং রাজপুত দের মতো এখনো আমার সুইসাইডাল থট আসে। ঐ সময় টায় নিয়মিত ছিলো এখন অনিয়মিত। আমার হাস্যোজ্বল চেহারা কিংবা হিউমার যেভাবে ভালোভাবে রান করছে তা দেখে কেউ বুঝতেই পারবে না যে আমার ভেতর এনক্সাইটি এমন দাপট দেখিয়ে বেড়াচ্ছে। দু সপ্তাহে একবার জীবন নিয়ে এগিয়ে যেতে আলসেমিতে পায়। আশেপাশের কেউ ভুগছে কিনা তা জানতে আমার সমস্যা হয় না। অনেকে স্বীকার করতে চান না। আমার এক বাইপোলার বন্ধুর সাথে আমার সম্পর্ক শেষ হয়ে গেছে।
ডিপ্রেশনের কার্যত কোন সম্পুর্ণ সমাধান নেই। এটা নিয়ন্ত্রণ করা যায় কিন্তু একেবারে নির্মূল করা সম্ভব নয়। প্রথমে আমি হাটতে শুরু করেছিলাম ভোরে উঠে। কিন্তু সোশ্যাল এনক্সাইটি প্রকট হয়ে যাওয়ায় হলো না। তারপরে বোনের পরামর্শে মেডিটেশন করা শুরু করলাম। দু মাস পরে তাতেও মনযোগী হতে পারলাম না। এরপর ডাম্বলস নিয়ে হোমওয়ার্কআউট শুরু করলাম। এবারে ফল পাওয়া শুরু করলাম। ব্যায়ামের ফলে আমাদের ব্রেইন থেকে হ্যাপি হরমোন নিঃসরণ হয়। মানসিক যন্ত্রণা কিছুটা কমতে শুরু করল। ট্রাভেলিং শুরু হলো আবার। মোবাইল থেকে দূরে রইলাম। সবচেয়ে টনিক হিসেবে কাজ করেছে আমার স্কুলের শিক্ষার্থীদের হাসিমুখগুলো। ওরা আমি ডেংগুজ্বরে আক্রান্ত ছিলাম জেনে আসার পরে বলেছে আমার জন্য তাদের দোয়া করার ব্যাপারটা। কত সহজে ওরা ভালোবেসে ফেলে। আর বাড়িতে কুকুরদের খাওয়ানো আমাকে খুব সাহায্য করেছে। যদি কেউ বলে আমার OCD তাহলে আমি প্রথমেই বলব Hit the gym. বাচ্চাদের সাথে থাকুন, কুকুরদের খাওয়ান। আমার উপলব্ধি হলো, সেলফিশ মানুষদেরই ডিপ্রেশন হয় বেশিরভাগ। আর সুইসাইড করলে আপনি ছাড়া আশেপাশের সব মানুষ জিতে যায়। আপনার যে ফুচকা খাবার কথা, অন্য কেউ খাবে। যে ভালোবাসা আপনি হয়তো পেতেন তা অন্য কেউ পাবে। একটা নোংরা বিষাক্ত লোক বেচে থাকবে আর আপনি অপেক্ষাকৃত কম বিষাক্ত হয়েও ঝুলে পড়বেন? এইডা হইলো??? বিষাক্ত লোক পৃথিবীর এতো ক্ষতি করছে তা যদি দেখতে না পান এখনকার অর্থহীন যুদ্ধ গুলো দেখুন। কিংবা সোশ্যাল মিডিয়ায় আসুন। ওরা ঠিকই ঘুম থেকে উঠে এক হাজার শিশু মেরে ফেলার সিদ্বান্ত নেবে। ধর্মের নামে, আদর্শের নামে, বিপ্লবের নামে। আবার তাতে সায় দেবে আরো কিছু নোংরা বিষাক্ত কুতসিত মানুষ। অথচ দেখুন, আত্মহত্যার সিদ্বান্ত নেবে না। আর আপনি ওদের চেয়ে কম বিষাক্ত হয়ে এমন ছুটি নেবেন? নিজেকে বলুন, ওরা যদি বেচে থাকতে লজ্জা না পায়,,,,,,,ইত্যাদি ইত্যাদি।
কিছু ধরন যেগুলো আমার কাছে যেমন মনে হয়েছে তা লিখছি। দেখুন মিলে কিনা? আপনার হতেই হবে তা নয়। আশেপাশের কারো সাথে মিলে কিনা দেখতে পারেন।
বাইপোলার - হুট করে রেগে যায়। খুব বাজে বিহেভ করে। ফলে ইমোশনাল এনার্জি খরচ হয়ে যায়। পরবর্তীতে কান্নায় ভেংগেও পড়তে পারে। কিন্তু সমস্যা স্বীকারই করবেনা। পাশের কারো এগিয়ে আসতে হবে। একসাথে সকল আবেগ এসে গেলে যেমন ব্যবহার করে মানুষ, তারা তাই।
এনক্সাইটি - "বুক ধড়ফড় করে" এদের কমন বার্তা হতে পারে। কারণ অনেকেরই আমাদের যশস্বী ব্লগারদের মতো শব্দভাণ্ডার সমৃদ্ধ নয়। কল আসলে কিংবা উর্ধতন কেউ ডেকে পাঠালে কিংবা পরীক্ষার আগের মুহুর্তে তাদের ভেতরকার অবস্থা বুঝতে হলে নিজেকে অক্সিজেন কম একটি অন্ধকার কন্টেইনারে কল্পনা করুন।
প্যারানয়া- যত তুচ্ছই হোক না কেন তার ভয়ে ভীত হওয়া এবং ভয়ে বিছানা থেকে নামতে না পারা। সব ভয়ংকরী প্রলয় আমার হতে পারে যেমন: ছিনতাই, রেইপ,মার্ডার, অর্থনৈতিক ক্ষতি ইত্যাদি।
ADHD - এটেনশনের জন্য উচ্চস্বরে অনর্গল কথা বলা। কাউকে বলতে না দেয়া। কেউ কাছে থাকলেই কথা বলা। নিজে নিজে কথা বলা।
OCD - একই কাজ বারবার করা। যেমন : হাত ধোয়া, বারবার গোসল করা, কোন কাজ করতে একই আদেশ বারবার দেয়া ইত্যাদি।
ডিপ্রেশন - যে জিনিসগুলো করতে আনন্দ পেতেন যেমন জীবন যাপন তা করা অর্থহীন মনে করা এবং কোনকিছুতেই
ভালো না লাগা অথবা ক্রমাগত কান্না করে নিজেকে ব্যর্থ ভাবা ইত্যাদি।
এই পুরো লেখার উদ্দেশ্য হলো সান্ত্বনা দেয়া। আপনি যে হোন না কেন একলা নন। স্বীকার করুন, কাউকে বলুন, আশেপাশের মানুষদের খেয়াল করুন। পরিশেষে সাহায্য নিন। এই লেখার কোন তথ্যই বিশেষজ্ঞের মত নয়। আমার ব্যাক্তিগত জগাখিচুড়ি। এড়িয়ে যাবার এবং হেসে উড়িয়ে দেবার সুযোগ আপনার রয়েছে। ব্যায়াম করুন(সপ্তাহে অন্তত চারদিন), টডলারদের লক্ষ্য করুন, কুকুরদের খাওয়ান। আমার সাথে যেটা থাকে তাকেও খাওয়াতে টাকা পাঠাতে পারেন। আমি দরিদ্র স্কুল শিক্ষক। এত টাকা কই পাবো?
১৪ ই নভেম্বর, ২০২৩ ভোর ৬:৩১
ৎৎৎঘূৎৎ বলেছেন: এমন আন্তরিক মন্তব্যের জন্য আপনাকে অশেষ ধন্যবাদ। I'm glad too. অধ্যাপকের সামনেও বলে ফেলেছি যে তাকে ফেস করতেও আমি ভয় পাচ্ছি। কাগজে লিখে নিয়ে গিয়েছিলাম।
২| ১৩ ই নভেম্বর, ২০২৩ সন্ধ্যা ৭:১১
শূন্য সারমর্ম বলেছেন:
প্রতি মুহুর্তে একের পর এক 'ভাবনা' আসে যায়, কখনো প্রতিটি ভাবনায় ফোকাস করে দেখেছেন?
১৪ ই নভেম্বর, ২০২৩ ভোর ৬:৩২
ৎৎৎঘূৎৎ বলেছেন: থিবো মেরিসের কোন বইয়ে এমন কোন ট্রিক্স লেখা আছে। এটা ফলো করি। আপনাকে ধন্যবাদ।
৩| ১৩ ই নভেম্বর, ২০২৩ সন্ধ্যা ৭:১২
শূন্য সারমর্ম বলেছেন:
You are not your next thoughts.
১৪ ই নভেম্বর, ২০২৩ ভোর ৬:৩৩
ৎৎৎঘূৎৎ বলেছেন: Exactly.
৪| ১৩ ই নভেম্বর, ২০২৩ সন্ধ্যা ৭:২১
মিরোরডডল বলেছেন:
ডিপ্রেশনের সবচেয়ে ভালো মেড হচ্ছে মানুষের সাহচর্য।
সেই সময় একা থাকে মানে ভয়াবহ চিন্তার ভেতর দিয়ে যাওয়া।
এবং এলোমেলো লাইফস্টাইল, যা কোন পজিটিভ আউটকাম আনে না কিন্তু অনেক ক্ষতি করে দিয়ে যায়।
ভেরি ট্রু। মেন্টাল সাপোর্ট ভীষণ দরকার।
পাশাপাশি সেলফ কাউন্সেলিং।
পাশ থেকে কেউ যতই বোঝাক, নিজে থেকে যতক্ষণ মাইন্ড সেট না করবে যে আমি এর মধ্যে থেকে বের হয়ে আসতে চাই এবং আমি পারবো, ততক্ষণ অন্য কেউ হেল্প করতে পারে না ।
১৪ ই নভেম্বর, ২০২৩ ভোর ৬:৩৭
ৎৎৎঘূৎৎ বলেছেন: আমি মনে করি অন্য কেউউ সাহায্য করতে পারবে না যদি নিজে সাহায্যে কেউ না চায়। ফেসবুকের দুনিয়ায় সবাই নিজেকে জ্ঞানী ভাবে। সব কোটস মুখস্থ যা কাছের কেউ বললে ক্লিশের মতো শোনায়। ফলাফল শুন্য। আশেপাশের মানুষদের তখন ভেতরে এন্ট্রি মিলে না। দুর্ভাগ্যজনক যে এখন কারো সময়ও নাই। কিন্তু আমার ক্ষেত্রে কিছু বন্ধু ছিলো, আমার এক ভাই এবং বোন ছিলেন।
৫| ১৩ ই নভেম্বর, ২০২৩ সন্ধ্যা ৭:৩৮
নিবর্হণ নির্ঘোষ বলেছেন: আমি মনে করি ডিপ্রেশনের আসলে কোন ঔষধ নেই । আমার কাছে ডিপ্রেশনের ঔষধ ছিল অস্তিত্ববাদ আর ইকবালের কবিতা !!
আমি মনে করি আত্মহত্যা খারাপ কিছু না, যার ইচ্ছা সে ঝুলে যাক ! এমনিতেও কিছু তো বদলাচ্ছে না । যা আছে তা থাকবেই , আমি যা খেতে পারছি না বা আমার খাবার কিন্তু অন্যজন কেড়েই নিচ্ছে । আমি যখন আবার ঘুরে দাঁড়াবো আমাকেই আবার বলবে অপরাধ করছো তুমি । আমি যখন গর্জে উঠব তো বলবে পাশবিক হয়ে উঠেছি আমি ।
আমি ততক্ষণ সবার কাছে জীবিত যতক্ষণ আমি প্রয়োজন সবার !!
১৪ ই নভেম্বর, ২০২৩ ভোর ৬:৪১
ৎৎৎঘূৎৎ বলেছেন: সারভাইভাল অব দ্য ফিটেস্ট। খুব কম মানুষ বুঝতে পারে এটা যে জংগল এবং সে নিজে একজন নগণ্য সারভাইভর। না পারলে সরে যাও। আপনাকে একটা কথা জিজ্ঞেস করি যদি কিছু মনে না করেন? আপনার বয়েস কত?
৬| ১৩ ই নভেম্বর, ২০২৩ রাত ৮:০৫
শেরজা তপন বলেছেন: বন্ধুদের সাথে আড্ডা, ভ্রমন, বইপড়া, ফিল্ম দেখা, ফিজিক্যাল এক্সারসাইজ আর ক্রিয়েটিভ কাজে ব্যস্ত থাকলে কোন হতাশাই বেশী কাছে চাপতে পারে না।
বিশেষ করে আড্ডা আর ভ্রমনটা খুবই জরুরী।
ভাল লিখেছেন।
১৪ ই নভেম্বর, ২০২৩ ভোর ৬:৪৩
ৎৎৎঘূৎৎ বলেছেন: ডিপ্রেশন হতাশা নয়। জিম বলেছেন, ডিপ্রেশন হচ্ছে আপনার আত্মার আপনার এই দেহকে আর পছন্দ না করা। বাকি সব করেও তখন আনন্দ পাওয়া যায় না। ব্যায়াম ছাড়া নিয়ন্ত্রণে আসা কষ্টের। আপনাকে ধন্যবাদ।
৭| ১৩ ই নভেম্বর, ২০২৩ রাত ৮:০৬
মিরোরডডল বলেছেন:
আমি মনে করি আত্মহত্যা খারাপ কিছু না, যার ইচ্ছা সে ঝুলে যাক ! এমনিতেও কিছু তো বদলাচ্ছে না । যা আছে তা থাকবেই , আমি যা খেতে পারছি না বা আমার খাবার কিন্তু অন্যজন কেড়েই নিচ্ছে । আমি যখন আবার ঘুরে দাঁড়াবো আমাকেই আবার বলবে অপরাধ করছো তুমি । আমি যখন গর্জে উঠব তো বলবে পাশবিক হয়ে উঠেছি আমি ।
আমি ততক্ষণ সবার কাছে জীবিত যতক্ষণ আমি প্রয়োজন সবার !!
নিজের কাছে নিজেকে প্রয়োজনীয় করে তুলতে হবে।
নিজেকে ভালোবাসতে হবে, কেয়ার করতে হবে।
নিজে সুখী হলে, অন্যকে ভালোবাসতে পারবে।
you always have to keep fighting against something that hurts you.
Never give up.
১৪ ই নভেম্বর, ২০২৩ ভোর ৬:৪৬
ৎৎৎঘূৎৎ বলেছেন: থিবো মেরিসের মাস্টার ইউর ইমোশন বইতে বলা হয়েছে, "ডিপ্রেশনে ব্যায়াম না করার অর্থ হলো প্রচন্ড মাথাব্যাথায় ওষুধ না খাওয়া।" We have to keep trying.
৮| ১৩ ই নভেম্বর, ২০২৩ রাত ৮:০৯
নিবর্হণ নির্ঘোষ বলেছেন: আপনি যে যুদ্ধ করে যাচ্ছেন তার অনেকটাই আমি বুঝছি । কারণ আপনার মতই আমি এমন সময় কাটিয়েছি যদিও এটা ছিল ভিন্ন ও আরও কুৎসিত !
আমার পক্ষ থেকে উষ্ঞ এক ভালোবাসা জানবেন । হ্যাঁ আপনিও একা নন !!
১৪ ই নভেম্বর, ২০২৩ ভোর ৬:৪৭
ৎৎৎঘূৎৎ বলেছেন: আপনার প্রতিও ভালোবাসা রইলো।
৯| ১৩ ই নভেম্বর, ২০২৩ রাত ৮:২০
সাড়ে চুয়াত্তর বলেছেন: বিষণ্ণতার পিছনে পারিবারিক ধারা থাকতে পারে। আপনার পরিবারে কেউ কি ছিল?
মূল্যবান কথা বলেছেন, 'আবার অনেকেই বাস্তবের কষাঘাতে যা করতে পছন্দ করেন না তাই বেচে থাকার জন্যে করে যেতে থাকেন। সেটা শুধু মাত্র চাকরি না,বিয়ে বা অন্য সম্পর্ক, অন্য কোন দায়বদ্ধতাও হতে পারে। '
শোনা যায় যে জীবনানন্দ দাসও মরার জন্য নিজেই ট্রামের নীচে পড়েছিলেন। আরনেসট হ্যামিংওয়ে সম্পর্কে শোনা যায় সে আত্মহত্যা করেছিল। কিন্তু উনিই বলেছিলেন A man can be destroyed but cannot be defeated। কিন্তু নিজেই আত্মহত্যার কাছে পরাজিত হয়েছিলেন।
নিজেকে বলুন, ওরা যদি বেচে থাকতে লজ্জা না পায়,,,,,,,ইত্যাদি ইত্যাদি। । সঠিক।
উদ্বেগ থাকা মানেই রোগ না। অতি সাধারণ ব্যাপারে অকারণে উদ্বেগ হলে সেটাকে রোগ বলা যেতে পারে।
ADHD – এই ব্যাপারে জানতাম না। কিন্তু আপনার লেখা পড়ার পরে মনে হচ্ছে একটা ৭/৮ বছরের মেয়ের মধ্যে এই লক্ষণগুলি আমি দেখছি। মেয়েটা
চরম অসহায় এবং গরীব। বাবা মার বিচ্চেদ হয়ে গেছে। তারা পুনরায় ভিন্ন জায়গায় বিয়ে করেছে। মেয়েটা একটা পরিবারের সাথে আছে এবং তাদের দয়াতে বেচে আছে। এই মেয়েটা একা একা কথা বলে, উচ্চস্বরে অনর্গল কথা বলতেই থাকে। থামতে বললেও থামতে চায় না। আমাকে অনেকে বলেছে ওর মাথায় সমস্যা আছে। আমি এখনও বিশ্বাস করি যে সামান্য সমস্যা যা আছে সেটা ঠিক হয়ে যাবে যদি তার পাশের মানুষগুলি তাকে সাহায্য করে।
OCD – আমার এক কাজিনের (বোন) এই রোগ আছে। বারবার হাত ধোয়া। সে চিকিৎসা নিচ্ছে। তার বাবা, নানী এবং দাদীর এই রোগ আছে। শুচিবাই রোগ বলে। আসলে শুচিবাই রোগ একটা মানসিক রোগ। এদের সাথে চলা খুব যন্ত্রণা দায়ক ব্যাপার।
নিয়মিত ব্যায়াম এই ধরণের মানসিক সমস্যা উত্তম ওষুধ। জিমে গিয়ে করতে পারলে আরও ভালো ফল পাওয়ার কথা।
আপনি ভালো আছেন আশা করি এবং নিজের দেয়া পরামর্শগুলি মানছেন ঠিক মত।
১৪ ই নভেম্বর, ২০২৩ সকাল ৭:০০
ৎৎৎঘূৎৎ বলেছেন: জ্বী আছে।
আর্নেস্ট হেমিংওয়ের পিতাও একই রোগে ভুগতেন। যে লোকটি Old man and the see লিখে সবাইকে কৌশল শিখিয়ে গেছেন তিনি একদিন ভোরে ঊঠে নিজের বন্দুকের নল চোয়ালে ঠেকিয়ে ট্রিগার টিপে দিলেন, ভাবা যায়। রবিন মশাই সবাইকে হাসিয়ে জীবনের লোভ দেখিয়ে নিজ জীবন নিয়ে নিলেন। অথচ হিটলার তা করল না, লিন্্কিন পার্কের চেস্টার কে যে ভৎসনা করল সে সিদ্ধান্ত নিল না আত্মহত্যার। এরা করলে পৃথিবীর কি ক্ষতি হতো। যারা আমার বেড়া তোমার ছাগলের নামে শিশুগুলোকেও রেহাই দেয়না তারা আত্মহত্যা করবে না।
এই লেখাগুলো পরামর্শ নয়। আমি যা ফলো করি তাই। হয়তো মন্তব্যের ঘরের গুলোই পরামর্শ হিসেবে থাকবে।
প্রতিদিন নিজেকে ব্যায়াম থেকে একটি দিনের ছুটির জন্যে থামাতে চেস্টা করি। অনেক সময় পুরো সপ্তাহে ছুটি নেয়া হয়না। ব্যায়াম করলে তা আপনার সিদ্ধান্ত কে ধনাত্মকভাবে প্রভাবিত করে। আপনাকে ধন্যবাদ।
১৬ ই নভেম্বর, ২০২৩ ভোর ৬:৫৫
ৎৎৎঘূৎৎ বলেছেন: জীবনানন্দের মতো আরো অনেকেরই বোধয়,
" বধূ শুয়েছিলো পাশে— শিশুটিও ছিলো;
প্রেম ছিলো, আশা ছিলো— জ্যোৎস্নায়–
তবু সে দেখিল কোন্ ভূত? ঘুম কেন ভেঙে গেল তার?,,,,,,,,,,
অর্থ নয়, কীর্তি নয়, সচ্ছলতা নয়—
আরো-এক বিপন্ন বিস্ময়
আমাদের অন্তর্গত রক্তের ভিতরে
খেলা করে;
আমাদের ক্লান্ত করে
এই রোগ আছে। মানে,,,,, দেখিলো কোন ভূত? কিংবা,,,, বিপন্ন বিস্ময় এই দুইটা লাইন এখন অনেকের সমস্যা আমার মনে হয়।
১০| ১৩ ই নভেম্বর, ২০২৩ রাত ৯:১৫
নিবর্হণ নির্ঘোষ বলেছেন: নিজের কাছে নিজেকে প্রয়োজনীয় করে তুলতে হবে।
নিজেকে ভালোবাসতে হবে, কেয়ার করতে হবে।
নিজে সুখী হলে, অন্যকে ভালোবাসতে পারবে।
you always have to keep fighting against something that hurts you.
Never give up.
আপা একবার তর্ক করেছিলাম না ঐ যে ভালোবাসা নিয়ে ? সেই থেকে একটা বিষয় জেনেছিলাম প্রয়োজনই সব । নিজের কাছে প্রয়োজনীয় হলেও সমাজে যখন আমি প্রয়োজন না তখন এমনিতেই আমাকে বাঁচতে দেবে না ! হাহা দেবেই না !!
১১| ১৩ ই নভেম্বর, ২০২৩ রাত ৯:২৪
শায়মা বলেছেন: আত্মহত্যার প্রবনতা বা স্যুইসাইডাল টেন্ডেনসী। এটা একবার শুরু হলেই ডক্টরের কাছে যাওয়া উচিৎ সেটা সাইকিয়াটিস বা কাউন্সেলর যেই হোক না কেনো।
মানুষ যখন কোনো সমস্যার সমাধান খুঁজে পায় না তখনই ডিপ্রেশনে ভুগে ও শেষে কোনোই কূল কিনারা না পেয়ে আত্মহত্যা করে বসে থাকে।
আমি সবাইকেই এই কারনেই একটাই কথা বলি, পৃথিবীতে আসলে সব কিছুরই সমাধান আছে।
এই মানসিক শক্তি নিয়ে এগিয়ে গেলে অনেক সমস্যার সমাধান তো হয়নি এবং জীবন সহজ হয়ে যায়।
মেডিটেশন এবং জিম এটা মানসিক অবসাদ বিষন্নতা এবং সকল রকম দুশ্চিন্তা থেকে মুক্তির একটা ভালো উপায়।
তুমি সঠিক সব পদক্ষেপই নিয়েছিলে ভাইয়া।
তোমার জন্য অনেক ভালোবাসা ও শুভকামনা।
১৪ ই নভেম্বর, ২০২৩ সকাল ৭:০৮
ৎৎৎঘূৎৎ বলেছেন: ডিপ্রেশনের জন্য কুকুরদের খাওয়াতে হবে, শিশুদের সাথে থাকতে হবে এবং ব্যায়াম করতে হবে। আমার স্কুলের চাকরি আমার অভিভাবক, আত্মীয় সঠিকভাবে নেয়নি। পুরো সমাজেরই শিক্ষকদের প্রতি অবহেলা আছে যা শুধু আমাদের দেশেই না। আমি সব জানতাম। কিন্তু শিশুরা নিজেরাই এক থেরাপি। সবার মেন্টাল হেলথের জন্য শিশুরা খুবই প্রয়োজনীয়। আমার জন্যই ওদের সাথে থাকি।
আমার কাছে যে কুকুরটা আসে বেচারি আমার জন্য জেনুইন অপেক্ষা করে। হা হা হা।
আপনাকে অশেষ ধন্যবাদ। ভালো থাকবেন আপা।
১২| ১৩ ই নভেম্বর, ২০২৩ রাত ৯:৫৫
ডার্ক ম্যান বলেছেন: আমি মাঝে মধ্যে ডিপ্রেশনে ভুগতাম। একবার তো এমন আত্মহত্যার পদ্ধতিও বের করে ফেলেছিলাম যাতে কেউ বুঝবে না মৃত্যুটা আত্মহত্যা ছিলো।
গত বছর জুন-জুলাই এর দিকে হঠাৎ করেই আত্মহত্যার সিদ্ধান্ত নিয়েছিলাম। ঐদিন যদি আর ৫ মিনিট বাসায় থাকতাম তাহলে আজ এই কমেন্ট করতে পারতাম না।
এখনো আমার জটিল অবস্থা কাটে নি। কিন্তু আত্মহত্যার কথা আর মাথায় আসে না।
মানুষ আদতে সবসময় একা।
আপনার পোস্ট পড়ে এসব মনে পড়ে গেলো।
১৪ ই নভেম্বর, ২০২৩ সকাল ৭:১৫
ৎৎৎঘূৎৎ বলেছেন: I'm really sorry to remind you. Those were the dark and scattered places. আমিও একটি পেয়েছি। বাইরের দেশের ইচ্ছামৃত্যুতে ব্যবহার হয়। এখানেও বানানো যাবে। প্রোডাকশন কস্ট তেমন বেশি না। এর বদলে মনে হলো স্কুটারে করে ঘুরি। একা সলো ট্যুরে যাই। নিজেকে ভয় পেতে শুরু করলে বেরিয়েও পড়ি। ৭৮৮ কোটি মানুষ। সবার জন্য সহজ প্ল্যান থাকুক। আমি না হয় এমনেই বাচি। অশেষ কৃতজ্ঞতা। মন্তব্যের জন্য।
১৩| ১৩ ই নভেম্বর, ২০২৩ রাত ১১:০০
শেরজা তপন বলেছেন: @ডার্ক ম্যান এখনো ডার্কনেস থেকে বের হতে পারেননি বলে আমার ধারণা। আপনার কথা শুনে খুব ভয় পেলাম!
গতকাল হুট করে আপনি আপনার সব পোস্ট ডিলিট করেছেন নয়তো ড্রাফট নিয়েছেন। কারণটা কি জানতে পারি?
১৪| ১৪ ই নভেম্বর, ২০২৩ ভোর ৪:২২
রিম সাবরিনা জাহান সরকার বলেছেন: লেখাটা খুব মনোযোগ দিয়ে পড়লাম। গভীর বিষয়। অথচ সহজ করে মাথায় ঢুকে গেল।
ধন্যবাদ। কারো নিশ্চয়ই কাজে আসবে। নিশ্চিত।
১৪ ই নভেম্বর, ২০২৩ সকাল ৭:১৬
ৎৎৎঘূৎৎ বলেছেন: যদি একজনেরও কাজে লাগে নিজেকে ধন্য মনে করব। আন্তরিক ধন্যবাদ।
১৫| ১৪ ই নভেম্বর, ২০২৩ ভোর ৬:৫৬
কোলড বলেছেন: Have you ever heard the term "clinical depression"?
Other bloggers here are doing a disservice to you by emphasizing on some psych aspects. Please consult a clinical psychiatrist (NOT Psychologist) and get Prozac or newer anti-depressant.
Keep an eye on your libido while on anti-depressant.
১৪ ই নভেম্বর, ২০২৩ সকাল ৭:২৬
ৎৎৎঘূৎৎ বলেছেন: I've been prescribed overtly and all the Information given by you are gladly taken. I know this terms and not on any antidepressant anymore. It makes me blurry. Instead of that i workout so hard that I lost several pounds and get ripped ha ha ha. And the other thing you mentioned is ok I guess.
Thank you very much for the comment. I appreciate it.
১৬| ১৪ ই নভেম্বর, ২০২৩ সকাল ৮:৩১
শার্দূল ২২ বলেছেন: আমার এখানে কমেন্ট করা মানাবেনা আমি জানি। কারণ এখানে লেখক সহ পাঠকদের অতি উচ্চ মানের ভাবনা এবং তার সমাধানের মাঝে আমার এক গ্লাস পানি পড়া হাতে নিয়ে দাড়ানোর মত অবস্থা হবে। তারপর বলার জন্য যখন এসেছি তখন নিজের জীবন থেকে দুই একটা কথা বলে যাই। কারো কাজে লাগবেনা সে আমি জানি।
প্রথমত আমি ডিপ্রেশান কাকে বলে সেটা জীবনে পাইনি । বা পড়িনি। আমার জীবনের উত্থান পতনের মাত্রা এত উচু নিচু ছিলো যে সেই আমি যখন ডিপ্রেশানে পড়িনি সেহেতু আমি ডিপ্রেশান কে বিশ্বাস করতে রাজি নই।
তখন আমার বয়স ২২, কোন এক কথার ছলে আব্বু বলছে পড়া লেখা শেষে নিজে কিছু করার চেষ্টা করে নিজেকে দাড় করাবা। আমার সম্পদ থেকে তুমি কিছু পাবেনা, , তোমার থেকে আমার কিছু চাইনা, আমার থেকেও তুমি কিছু চাইবেনা। বাবার সেই কথা গুলো আমার নিজের মধ্যে জেদ তৈরী করে।
ছাত্র অবস্থায় একটা বিদেশি প্রতিস্ঠানে কাজ করি, অনেকটা অলৌকিক ভাবে আমি সেখানে মাত্র দুই বছরে অনেক বড় একটা জায়গায় পৌছে যাই। আত্মবিশ্বাস বেড়ে যায় আমার। ভাগ্য বিধাতা বলে একটা কথা আছে। সেটা আমার ক্ষেত্রে ১০০ ভাগ সত্য, যেখানেই যেতাম মানুষ আমাকে নিজের করে নেয়।এখনো। এই বিশ্বাস আরো বেড়ে যায় আরেক অলৌকিকতায়। একদিন সন্ধ্যায় ফোন এলো কালকে সকাল ১০ টার মধ্যে একটা বিশাল পরিমানের টাকা পেমেন্ট করলে আরেকটা বিশাল আয় আমার হবে । সেই টাকার ৩০ ভাগ আমার কাছে ছিলো, বাকি ৭০ ভাগ নেই, এত সকালে সেটা আমাকে দেয়ার মত আমার জানা শোনা কেউ নেই, আব্বুত দিবেইনা। রাত ১০ টায় আমার এক জেঠাতও ভাই ফোন করে বললো তোর বাসা দুইজন লোক সহ আসতেছি। একটু লেনদেন বিষয় নিয়ে। শাহাজানপুরের ওনার একটা বাড়ি ছিলো সেটা বিক্রি করে দিচ্ছে। তার বায়না দিলো যা আমার প্রয়োজনীয় টাকার সমান। ভাইয়া বললো এগুলো তোর কাছে রাখ। তোর একাউন্টে জমা রাখিস ,পরে এসে আমি নিয়ে নেবো। আমি আকাশ থেকে পড়লাম, সেই থেকে আজকে পর্যন্ত জীবনের কোন ক্ষতি বা সমস্যা অভাব কিছু নিয়ে আমি ভয় পেতামনা। বিশ্বাস ছিলো কিছু একটা ঘটবে বা ঘটিয়ে দেবো ।
মাত্র ২৫ বছর বয়সে আমি একটা প্রতিষ্ঠান দাড় করাই, এটা গড়তে গিয়ে আমি অনেক সমস্যায় পড়েছিলাম ,সেসব বলার সময় নাই ।এখানে একটু টাকার পরিমান টা বলবো নাহয় আমার সমস্যা বুঝতে পারবেননা। বিডি টাকা প্রায় ৫ কোটি। যার অর্ধেক ছিলো ধার করা। মাত্র দেড় বছরের মাথায় সেই প্রতিষ্ঠান জ্বালিয়ে দেয় কোন এক সন্ত্রাসী দল। এই সন্ত্রাীরা আমাকে একবার তুলে নিয়ে গিয়েছিলো রামগড়ের হেয়াকো নামের এক জায়গায় চোখ বেধে ।তিন দিন পর আইনের লোকেরা আমাকে বের করে নিয়ে আসে। তাদের একটাই কথা ওখানে এই প্রতিস্ঠান রাখা যাবেনা। আমি নিজেও জানতামনা আমি কোথায় আছি, খেয়েছি চোখ বাঁধা অবস্থায়।তখনো বিশ্বাস ছিলো কেউনা কেউ আমাকে ঠিকি খুজে বের করে ফেলবে।
আগুন তখনও জ্বলছিলো পুরো পুরি নিবেনি। ভিতরে ঢুকিনি, গেইট থেকেই তাকিয়ে ম্যানাজারকে বললাম সব কিছু ঠিক করে যা পারেন বিক্রি করে দেন। পুড়ে যাওয়া প্রতিষ্ঠান থেকে ৩০ ভাগ পেয়েছি মাত্র। ধার করা টাকা ফেরৎ ডিয়ে কিছুদিনের মধ্যে আমি আমেরিকার ভিসার নিয়ে নিলাম। বাংলাদেশকে বিদায় দিলাম। এখানে এসে পড়ছি আরো বড় বিপদে। এত কথা বলা যাবেনা। দেশ বিদেশ ভ্রমণ এটা আমার নেশা। এসব করতে গিয়ে যত সমস্যায় পড়েছি তা শুনলে অনেকই ভয়ে চেয়ার থেকে পড়ে যাবে।
কোন বিপদ আমাকে এতটুকু দুর্বল করতে পারেনি কোনদিন। আমার বিশ্বাস ছিলো কোন না কোন ভাবে আমি উঠে দাড়াবৈ,শার্দুলকে মাটিতে শোয়াবে এমন কোন বিপদ দুনিুয়াতে নাই। যা ভেঙে গেছে বা হারিয়ে গেছে তা নিয়ে সময় নষ্ট করে খুজতে যাইনি কোনদিন, যা গেছে সে গেছে। হাত থেকে দামি মোবাইল টেনে নিয়ে গেছে ছিনতাইকারী পিছনে ফিরে তাকাইনি সে কোন দিকে গেছে, মনে মনে এটা ভেবেছি এই যন্ত্রণা থেকে অন্তত কয়দিন বাঁচা যাবে।
এমন করে আমি যেখানে যুদ্ধ করে দুনিয়াতে এখনো টিকে আছি বহাল তবিয়েতে সেখানে কেউ গিভআপ এর কথা বলতে আসবে আর আমি শুনবো তা হতেই পারেনা। আমার সামনে কেউ আত্মহত্যার কথা বললে তাকে শান্তনা বা বুঝানো দুরের কথা উলটো আত্মহত্যার সব উপকরণ নিজের টাকায় কিনে হাতে ধরিয়ে দেবো। আর বলবো এমন দুর্বল চিত্তের মানুষের এই দুনিয়াতে থাকার কোন অধিকার নেই । আমরা যুদ্ধ করবো বাঁচার জন্য কিংবা বাচানোর জন্য আর কেউ কাপুরুষের মত আত্মহত্যা করবে আর আমরা সেটা নিয়ে গবেষণা করবো ,সে কেন করলো। কিভাবে ঠেকানো যেত এত সব ভাববার সময় হাতে নাই।
১০টা লম্বা শ্বাস তারপরেই পা বাড়ান সামনে। পা-ই খুঁজে নিবে গন্তব্য।
শুভ কামনা
১৪ ই নভেম্বর, ২০২৩ সন্ধ্যা ৬:০০
ৎৎৎঘূৎৎ বলেছেন: আপনার মতো পজিটিভিটির ছিটেফোটা যদি আমার থাকতো । আই এনভি দ্যাট। আপনি অসাধারন একজন মানুষ। এই রকমের মানুষেরা ম্যামথের সামনে দাঁড়িয়ে তাদের দাত উপড়ে ফেলে। গো গেটার পিপল। শুভকামনা রইলো।
১৭| ১৪ ই নভেম্বর, ২০২৩ সকাল ৮:৪৭
শেরজা তপন বলেছেন: ডিপ্রেশন আর হতাশা দুটো আলাদা বিষয় এটা আলাদা বিষয় যা আমার জানা ছিল না সেটা জানানোর জন্য ধন্যবাদ।
আপনার কথামত ব্যায়াম ছাড়া ডিপ্রেশোন নিয়ন্ত্রনে আনা সম্ভব নয়- তাহলে মেয়েদের জন্য এটা নিয়ন্ত্রনে আনা বেশ কষ্টকর!
আপনি ডিপ্রেসানের জন্য সুইসাইডাল কেসের ব্যাপারে সুশান্ত সিং রাজপুত-এর কথা বলেছেন। তিনি কিন্তু নিয়মিত হার্ড জিম করতেন। আর হেমিংওয়ে বংশগতভাবে হেমোক্রোমাটোসিস (he-moe-kroe-muh-TOE-sis) রোগে আক্রান্ত ছিলেন যার কারনে তাদের পরিবারের অনেকেই একসময় অসহ্য শারিরিক চাপ সইতে না পেরে আত্মহত্যার পথ বেছে নেন। (এ বিষয়ে আমার একটা লেখা ড্রাফটে আছে- এখনো পোস্ট দেই নি)
যাই হোক, ব্লগে খুব সাধারন মানের কিছু লেখার ভীড়ে আপনার লেখা অবশ্যই অনন্যসাধারণ। আলোচনার খাতিরেই কিংবা আপনার কাছ থেকে আরো কিছু জানার জন্যই আমি একের অধিক মন্তব্য করছি। কিছু মনে করবেন না।
১৪ ই নভেম্বর, ২০২৩ সন্ধ্যা ৬:০৪
ৎৎৎঘূৎৎ বলেছেন: কিছু কিছু ক্ষেত্রে অজ্ঞতাই সুন্দর। আমার লেখায় মন্তব্য পাওয়া আমার কাছে প্রশংসা কুড়িয়ে পাবার অনুভুতি তৈরি করে। আপনাদের কারো কারো লেখার আমি নিয়মিত পাঠক। কিছু মনে করার প্রশ্নই আসে না। ভুল সংশোধনের আপনারাই একমাত্র মাধ্যম। ভালো থাকবেন।
১৮| ১৪ ই নভেম্বর, ২০২৩ সকাল ৯:০৭
ডার্ক ম্যান বলেছেন: শেরজা তপন বলেছেন: @ডার্ক ম্যান এখনো ডার্কনেস থেকে বের হতে পারেননি বলে আমার ধারণা। আপনার কথা শুনে খুব ভয় পেলাম!
আপনার ধারণা ঠিক । জানিনা এই অবস্থা থেকে বের হতে আর কয়বছর লাগে।
১৯| ১৪ ই নভেম্বর, ২০২৩ সকাল ৯:৪৩
নিবর্হণ নির্ঘোষ বলেছেন: সারভাইভাল অব দ্য ফিটেস্ট। খুব কম মানুষ বুঝতে পারে এটা যে জংগল এবং সে নিজে একজন নগণ্য সারভাইভর। না পারলে সরে যাও।
তা ঠিক আছে কিন্তু এরপর কী ? পশুর সাথে যুদ্ধ চলে কিন্তু যারা মানবিকতার ধ্বজা উড়িয়ে এরপর অত্যাচার চালায় তার বেলায় ? মূল্যবোধ মান যখন সাম্রাজ্যবাদীদের স্বার্থ দিয়ে তৈরী হয় তখন ????
আপনাকে একটা কথা জিজ্ঞেস করি যদি কিছু মনে না করেন? আপনার বয়েস কত?
মনে করবার কিছুই নেই । আমি জীবনের রজত জয়ন্তী এই বছর পালন করেছি সেই অনুযায়ী আমি ২৫ বছরে যুবা !!
১৪ ই নভেম্বর, ২০২৩ সন্ধ্যা ৬:০৭
ৎৎৎঘূৎৎ বলেছেন: এটা একই সাথে অবাক করার মতো এবং যন্ত্রণাদায়ক যে আমি আপনার বয়েসে এতো ভালো লিখতে জানতাম না। যা এখনো অধরা। মনে হয়েছে যে আপনি বিশের ঘরেরই কেউ হবেন। ভালো থাকবেন।
২০| ১৪ ই নভেম্বর, ২০২৩ দুপুর ১২:৪৫
রাজীব নুর বলেছেন: আমাদের দেশের মানূষেরা ডিপ্রেশন থেকে আত্মহত্যা করে না। ধনী দেশের মানূষেরা বিষন্নতা থেকে আত্মহত্যা করে।
১৪ ই নভেম্বর, ২০২৩ সন্ধ্যা ৬:১৬
ৎৎৎঘূৎৎ বলেছেন: ওখানে সব পেয়েছি'র দল। ওখানেই বেশী হতে পারে। অনেকেই আর কিছু করার নেই বলেও আত্মহত্যা করে আবার অনেকে লং রিপিটেশন অব লাইফে বোর হয়েও করে। তবে ডিপ্রেশন অন্য ব্যাপার। নিজের সংগে যুদ্বজয়ের সম্ভাবনা কম থাকে। মন্তব্যের জন্য আন্তরিক ধন্যবাদ।
২১| ১৪ ই নভেম্বর, ২০২৩ দুপুর ১:২৯
বাউন্ডেলে বলেছেন: পারিবারিক নির্যাতন, কলহ, শারীরিক-মানসিক নির্যাতন, পরীক্ষা-প্রেমে ব্যর্থতা, দারিদ্র্য, বেকারত্ব, প্রাত্যহিক জীবনের অস্থিরতা, নৈতিক অবক্ষয় ও মাদক ইত্যাদি কারণে মানুষ আত্মহত্যার পথ বেছে নেয়।
বিশ্ব স্বাস্থ্য সংস্থার প্রতিবেদন মোতাবেক প্রতি বছর বিশ্বে ৮ লাখেরও বেশি মানুষ আত্মহত্যা করে। প্রতি ৪০ সেকেন্ডে একজন মানুষ আত্মহত্যা করে। এছাড়া এর প্রায় ১৫ থেকে ২০ গুণ মানুষ আত্মহত্যার চেষ্টা চালিয়ে ব্যর্থ হয়। বিশ্ব স্বাস্থ্য সংস্থার প্রতিবেদন অনুযায়ী, আত্মহত্যা প্রবণতার ক্ষেত্রে বিশ্বে বাংলাদেশের অবস্থান দশম। বাংলাদেশে প্রতি বছর কমপক্ষে ১৩ হাজার থেকে ৬৪ হাজার মানুষ আত্মহত্যা করে।
শিক্ষিত মানুষ যখন, জীবন নামক কর্মযজ্ঞের হিসাব মেলাতে পারে না-তখন আত্মহত্যার যৌক্তিক কারন অনুসন্ধানে উদ্যেগী হয়। এটা মস্তিস্কে অবস্থিত তথ্য সমুহের সার্বিক সমন্বয় করতে ব্যর্থতার একটি বহিঃপ্রকাশ । যা জীবন্ত জগতের কাছে বোকামী আক্রান্ত ব্যাক্তির কাছে সফলতা মনে হয়।
১৪ ই নভেম্বর, ২০২৩ সন্ধ্যা ৬:১৪
ৎৎৎঘূৎৎ বলেছেন: হিউম্যান মাইন্ড একটা অদ্ভুত জিনিস। ইটস ভেরি স্ট্রেঞ্জ থিং নট টু ওয়ান্ট টু লিভ এনিমোর। ধন্যবাদ আপনাকে পরিসংখ্যান টির জন্য।
২২| ১৪ ই নভেম্বর, ২০২৩ দুপুর ২:২৩
জেরী বলেছেন: ভাই,আমি পুরা ২০২২ সালটাতে ডিপ্রেশনে ছিলাম।শুইতে,বসতে,কাজ করতে গেলে,খাইতে গেলেও খাকি মন খারাপ লাগত।ঘুম থেকে উঠেই এত হতাশ লাগত।আবার মাঝে মাঝে রাতে ঘুম থেকে উঠে ও প্রচন্ড খারাপ লাগত।বিশ্বাস করবেন কিনা জানি না পুরা একটা বছর খারাপ লাগার সময় পার হয়ে এখন আর খারাপ লাগে না।অনেকেই বলত কাউন্সিলের কাছে যাও।কিন্তু আমি মানি নিজেকে শুধুমাত্র নিজেই বুঝ দিতে পারা যায়। অন্য কেউ আমাকে একদিন,দুইদিন বুঝাবে কিন্তু সবসময় পাশে থেকে আমার অবস্থানে নিজেকে রেখে আমার খারাপ লাগাটা কি অনুভব করতে পারবে?নিজের ডিপ্রেশন কাটানোর জন্য প্রচুর মুভি আর ওয়েবসিরিজ দেখেছি।সেই সাথে গল্প বই পড়েছি অনেক।নানা কাযে নিজেকে বিজি রাখতাম।বেড়াতে কম যেতাম কারণ রিলেটিভদের কথায় বেশি হার্ট হতাম।তবে অফিসে আসা যাওয়ার পথে বাসে পাশে যেই বসত অপরিচিত তাদের সাথে নানা টপিকে গল্প করতাম।ফোনে কথা বলা কমিয়ে দিয়েছিলাম আর হোস্টেল লাইফের বান্ধবীদের সাথে প্রতি মাসে এক বার হলে ও গেট টুগেদার থাকত।এভাবেই ডিপ্রেশন কাটাতে পেরেছি। এবং এখনো মানি নিজের ডিপ্রেশন নিজেই কাটানো যায় সেই সাথে নিজেকে শুধুমাত্র নিজেই ভাল ভাবে বুঝিয়ে ঠিক রাখতে পারে।
এই বছর মানে ২০২৩ সালে ডিপ্রেশনভাবটা আর নাই।নিশ্চিত হয়ে বলতে পারছি কারন গত জুনে যখন জানলাম আমার মা ক্যান্সারের সেকেন্ড স্টেজে আছে নিজেকে খালি একটা রাত সময় দিছিলাম।হসপিটালে সেই রাতে খালি বাথরুমে গিয়ে,পাশে বসে কান্নাকাটি করছি পরদিন থেকে ছোট ভাইয়ের সাথে মাকে নিয়ে আবার দৌড়াদৌড়ি শুরু।কারন বড়ভাই তখন দেশের বাইরে।আমি ভেবেছিলাম মায়ের অসুস্থতার কথা শুনে আমি আবার ডিপ্রেশনে চলে যাব।কিন্তু লাকিলি সেটা আর হয়নি।তবে এখন যে কোন কাজ করার আগে প্রচন্ডরকমের স্ট্রেস ফিল করি,এই স্বভাবটা আগে ছিল না।
তবে কখনো আত্মহত্যার চিন্তা আসেনি মাথায়। ধরেন আত্মহত্যা করতে গিয়ে যদি আটকাই্য়া যাই তাইলে তো সুস্থ হলে বাসায় গেলে তো আরেক কিস্তিতে মাইর দিব,সেই ভয়ে
১৪ ই নভেম্বর, ২০২৩ সন্ধ্যা ৬:২০
ৎৎৎঘূৎৎ বলেছেন: আপনি যা যা করেছেন ঠিক তাইই করা দরকার । আপনার মন্তব্য খুবই গুরুত্বপুর্ণ।নিজেকে নিজেই সাহায্য করতে হবে। আমাদের দেশে নেগেটিভ মানুষ খুব বেশী। অনেকেই ফান করেছে। আজব ব্যাপার হলো ফ্যামিলির মেম্বাররাই বিরক্ত হয়ে অনেক কথা বলতে পারে। আপনাকে অশেষ ধন্যবাদ।
২৩| ১৪ ই নভেম্বর, ২০২৩ বিকাল ৫:১৬
মুহাম্মদ মামুনূর রশীদ বলেছেন: বিষন্নতা এমন একটা মানসিক অবস্হা যা যে ভোগে সেই বোঝে। যে কখনো ভোগেনি, সে আসলে বিষন্নতার কষ্ট বা অনু্ভূতি কিছুই বুঝবে না। খুব বেশি খারাপ অবস্হায় চলে গেলে মানুষ অনেক সময় আত্মহননের শক্তিটুকুও হারিয়ে ফেলে।
খুব ক্ল্যাসিক একটা অবস্হা হলো যে আপনি বিছানা ছেড়ে উঠতেই চাইবেন না। আপনি খুব ক্লান্ত তা কিন্তু না বরং সারা রাত ঘুমানোর পরেও আপনি মানসিকভাবে এতটাই অবসন্ন যে বিছানা ছেড়ে ওঠার মত শক্তিও আপনার না থাকতে পারে। সবই কিন্তু মনের ভেতরকার অবস্থা। ভেতরে ভেতরে খু্বই খারাপ অবস্থা। কিন্তু আসলে বাইরের বাস্তব পরিস্হিতি কিন্তু অতটা খারাপ না যতটা বিষন্নতায় ভুগতে থাকা মানুষ মনে করে থাকেন।
এরকম অবস্হায় সমাধান হলোঃ
/সাইকোলজিস্টের কাছে যাওয়া। কারন তারা প্রশিক্ষিত বিধায় জাজমেন্টাল না। তারা ধৈর্য্য ধরে আপানার কথা শুনে, সাইক্রিায়াটিস্টের ব্যাবস্থাপত্র অনুযায়ী এন্টি ডিপ্রেসেন্ট/এন্টি অ্যাংসাই্টির ওষুধ দেবে। তারপর কয়েকটা CBT থেরাপীর সেশনের মধ্য দিয়ে যেতে হবে।
/ইতোমধ্যে সাইকোলজিস্টের পরামর্শক্রমে লাইফস্টাইলে পরিবর্তন আনতে হবে। যেমন নিয়মিত শারিরীক পরিশ্রম করা। সয়ম মত ঘুমানো ও ঘুম থেকে ওঠা।
/নিজের শখের কাজগুলো নতুন ভাবে শুরু করা।
/মানুষ কি মনে করল, মানুষ কি ভাবলো, বা মানুষ আমাকে কোন কিছুর ব্যাপারে সার্টিফাই করল কিনা এসবই মাথা থেকে ঝেড়ে ফেলতে হবে।
/নিজেকে ভালোবাসতে হবে। একটাই তো জীবন তাই না? আরে ভাই নিজেকে নিজে ভালো না বেসে অন্যকে ভালোবাসতে পেরেছে কোন আল্লাহ্র বান্দায়?
নোটঃ বাড়িতে দুটো বেড়াল, চারটা লাভ বার্ড আর গ্যারেজে রাস্তার পাচটা (ছয়টা ছিল, একটা গাড়ির নিচে পরে মারা গেছে) কুকুরকে নিয়মিত খাওয়ানো হয়। এই অবলা প্রানীগুলো বিষন্নতার বিরূদ্ধে রীতিমতো থেরাপীর কাজ করে। মানুষ বেইমান, অকৃতজ্ঞ হতে পারে কিন্তু এই প্রানীগুলো নয়।
১৪ ই নভেম্বর, ২০২৩ সন্ধ্যা ৬:২৬
ৎৎৎঘূৎৎ বলেছেন: পোস্ট টা আপনার থেকে আসলেই হতো। কি সুন্দর ভাবে কি করতে হবে বলা আছে। আশা করি সবাই উপকৃত হবে। আসলেই কিছু কিছু ব্যাপার শব্দে প্রকাশ করা খুব কস্টের। যার হয়নি সে বুঝবে না। এখন এপিডেমিকের পর্যায়ে চলে গেছে। শুভকামনা রইল।
২৪| ১৪ ই নভেম্বর, ২০২৩ সন্ধ্যা ৬:১৩
নিবর্হণ নির্ঘোষ বলেছেন: মনে হয়েছে যে আপনি বিশের ঘরেরই কেউ হবেন।
এখানে কী না মিসিং ?
আপনি এটাও জানেন না যে আমি আপনার মত এতটা বিষণ্ন সুন্দর ছবি জীবনেও তুলতে পারবো না । খুব কম মানুষকে এমন ছবি তুলতে দেখেছি । আপনি বাদে আরেকজনকে চিনি যিনি এমন ছবি তুলতে পারে !!
আপনি নিজেও আমার চাইতে ভালো লিখতে জানেন, এটা এক বাক্যে সবাই স্বীকার করবে !!
ভালো থাকবেন ৎৎৎঘূৎৎ !!
১৬ ই নভেম্বর, ২০২৩ ভোর ৬:৪৬
ৎৎৎঘূৎৎ বলেছেন: শিল্পকলা একাডেমির বারান্দায় এক ২৩ বছর বয়েসী যুবক আমাদের কথাবার্তা শুনে হঠাত জিজ্ঞেস করেছিলো।
আমাদের জন্যে আপনাদের ম্যসেজ কী?
তখন আমি ভাগ্যক্রমে দেখা হওয়া একজন লেখকের সাথে কথা বলছিলাম। সে এক গল্প। অবশ্যই লিখার চেস্টা করব। আগে ঐ যুবকের প্রশ্নে আসি। নিজের ছোটদের সাথে একটু বিজ্ঞের ভান ধরলে চলে। বললাম,
আমি খুবই দুঃখিত। এই যে একা একা বাদাম খাচ্ছেন, একা মঞ্চ নাটক দেখতে আসছেন এভাবেই আপনাকে চলতে হবে। আর কেউ বই, সাহিত্য নিয়ে আলোচনা করবে না আপনার গ্রুপে। আপনাকে বিচ্ছিন্ন হয়েই পেরুতে হবে পথ। লেখক ও তাই বললেন।
আপনিও ভালো থাকবেন। লিখতে থাকবেন। শুভকামনা।
২৫| ১৫ ই নভেম্বর, ২০২৩ সকাল ৭:৪৯
শায়মা বলেছেন: লেখক বলেছেন: ডিপ্রেশনের জন্য কুকুরদের খাওয়াতে হবে, শিশুদের সাথে থাকতে হবে এবং ব্যায়াম করতে হবে। আমার স্কুলের চাকরি আমার অভিভাবক, আত্মীয় সঠিকভাবে নেয়নি। পুরো সমাজেরই শিক্ষকদের প্রতি অবহেলা আছে যা শুধু আমাদের দেশেই না। আমি সব জানতাম। কিন্তু শিশুরা নিজেরাই এক থেরাপি। সবার মেন্টাল হেলথের জন্য শিশুরা খুবই প্রয়োজনীয়। আমার জন্যই ওদের সাথে থাকি।
আমার কাছে যে কুকুরটা আসে বেচারি আমার জন্য জেনুইন অপেক্ষা করে। হা হা হা।
আপনাকে অশেষ ধন্যবাদ। ভালো থাকবেন আপা।
কুকুরদের খাওয়ানো ঠিক কতখানি আমি জানিনা তবে আমার বিশ্বাস ডিপ্রেশনে সবাইকে কাবু করা যায় না। যারা পণ করে কিছুতেই ডিপ্রেসড হবেই না।
আমি যতটুকু জানি নিস্বার্থ ভালোবাসা একমাত্র পেট এনিমেলস থেকেই মানুষ পায়। তাই আমার লিও ডালমেশিয়ান বা ফায়ার নামে এক বুলডগের মৃত্যু নিয়ে যে কষ্ট হয় বা তাদের ভালোবাসার যে আনন্দ স্মৃতি মনে পড়ে তা আর কিছুর সাথে তুলনা হয়না।
আর আমিও স্কুলে জব করি ভাইয়া আর আমার ধারণা আমার আনন্দের উৎস আমার ছোট্ট ছোট্ট মুখগুলো।
আমি প্রিস্কুলের টিচার কাজেই সেই ইনোসেন্ট ৪/৫ বছরের বাচ্চাগুলিকে যখন রোজ সকালে বুকে জড়িয়ে ধরি তখন হৃদয় এক অদ্ভুত প্রশান্তিতে ভরে যায়।
আমি প্রতিদিন নতুন করে বাঁচার আনন্দে বেঁচে উঠি।
জানো কাল একটা পিচ্ছি আয়রা আমাকে জড়িয়ে বলে , মিস ডু ইউ নো হু ইজ দ্যা বেস্ট গার্ল ইন দ্যা ওয়ার্ল্ড? আমি ভেবেছিলাম সে নিজের নাম বলবে। কিন্তু আমাকে অবাক করে দিয়ে সে বললো, ইউ ...ইউ আর দ্যা বেস্ট গার্ল ইন দ্যা ওয়ার্ল্ড। তারপর ১০০ আদর দিয়ে দিলো। আমার বাচ্চাগুলোর ভালোবাসা আর তাদের মাবাবাদের ভালোবাসা আমাকে বাঁচিয়ে রাখে আমার অর্ধেক জীবন.....
ভাইয়া তুমি না আগে অনেক সুন্দর গল্প কবিতা লিখতে??
হঠাৎ কি অনিয়মিত হয়ে গেছিলে??
ভাইয়া লেখালেখিও কিন্তু ডিপ্রেশন কমায়। এঙ্গার ম্যনেজমেন্টে হেল্প করে। আমাকে এক সাইকিয়াটিস বলেছিলো যার উপর রাগ হবে তার উপর সব রাগের কথা লিখে সেই কাগজ টুকরো টুকরো করে ছিড়ে ফেলতে।
আমি অবশ্য ভালোর ভালো কিন্তু কারো উপর রাগ হলে কাগজ না তাকেই ছিড়ে ছুড়ে ছিন্ন ভিন্ন করে ফেলতেও পারি।
কাজেই নো ডিপ্রেসন ........
অনেক ভালো থেকো ভাইয়া। অনেক ভালোবাসা!!!
১৬ ই নভেম্বর, ২০২৩ ভোর ৬:১৯
ৎৎৎঘূৎৎ বলেছেন: আমি রিমোট এরিয়ায় চাকরি করি আপা। বেশিরভাগই খুবই দরিদ্র। এর ফলে বাচ্চাগুলোকে তাদের মায়ের কড়া শাসনের মধ্য দিয়ে যেতে হয়। মায়েরা কাজে ব্যস্ত। বলা যায় যুদ্ধে ব্যাস্ত। অধিক সন্তান, অভাব। আর তাদের বাবাদের তারা প্রায় পায়ই না। একটু স্নেহে তাদেরকে দেখলে ওরা যে কি করে আপনাকে ইম্প্রেস করবে তা নিয়ে ব্যস্ত হয়ে পড়ে। গুড মর্ণিং স্যার বলে যখন আমার স্কুটার আসতে দেখলে যেভাবে ছুটতে থাকে এটা এক্নসাধারণ বেচে থাকার ঔষধ। এসেই সব গুরুত্বপূর্ণ খবরাখবর দিতে থাকে।
মাঝে মাঝে মনে হয় আগের শিক্ষকেরা এই আনন্দ এতো বছর ধরে পেয়ে আসছেন? মানুষের সবচেয়ে পিউর ফর্মে তাদের সাথে থাকতে পারা অন্যরকম অনুভুতির।
আপা আমি কখনোই ভালো লিখতাম না। ইদানীং আরো জোড়া লাগানো কঠিন হয়ে পড়ছে। তবে আগের চেয়ে কম ভুগছি। কুকুরদের খাওয়ালে কাজে দেয়। অন্তত ডায়েট টা মেইনটেইন সহজে হয়ে যায়। আমি অর্ধেক সে অর্ধেক। হা হা হা।
২৬| ১৫ ই নভেম্বর, ২০২৩ সকাল ৭:৫৫
শায়মা বলেছেন: ভাইয়া আরেকটা কথা বলি,
ডিপ্রেশনের আরেক ওয়ে মন ডাইভার্ট করা। নিজের সাথে নিজেই ব্যস্ত থাকা। নানা আনন্দময় উপায়ে নিজেকে ব্যস্ত রাখা। আরেকটা সহজ উপায় শিবরাম চক্রবর্তীর বই পড়া।
আর পড়তে না চাইলে আমাকে বলো আমি একটা করে গল্প শোনাবো। তখন তুমি হাসতে হাসতে ডিপ্রেশনের বাবাও ভুলে যাবে দাদাও ভুলে যাবে। হা হা
কাজেই মন খারাপ হলেই সবার প্রতিই আমার সাজেশন হয় শিবরাম পড়ো নইলে নিদেন পক্ষে মিঃ বিন বা ডোনাল্ড ডাক কার্টুন দেখো। হা হা
১৬ ই নভেম্বর, ২০২৩ ভোর ৬:৩২
ৎৎৎঘূৎৎ বলেছেন: ওটাই করি। নিজেকে ব্যস্ত রাখি। Mind is the strong master but a beautiful servant. মাঝে মাঝে বশে আনা কঠিন হয়ে যায়। তখন ৪৫ মিনিট নিজেকে অবজার্ভার বানিয়ে ফেলার চেস্টা করি। এই এনক্সাইটির কারণ বিশ্লেষণ করা শুরু করি। Tom hanks এর " That too shall pass" জপতে থাকি। মাঝে মাঝে পারিনা আপা। নিজেকে ভয় লাগে। আগামী মুহুর্ত গুলোর জন্য।
ভয়ংকর ডিপ্রেশনে বই খুব কাজে লেগেছিলো। মিসির আলী মশাই মাথা আরো আওলায়ে দিয়েছিলেন মনে আছে। বাদ দিয়ে শীর্ষেন্দু পড়েছিলাম। এই লোকটা অপেক্ষাকৃত নরম সরম পুরুষদের ও বাচতে কিছু কৌশল দিয়ে দেন বই গুলো তে।
ফ্রেন্ডস সিরিজ দেখি মন খারাপ হলে। খুবই ভাল। আবার চ্যান্ডলারের এই অদ্ভুত মৃত্যু খুব কস্ট দিয়েছে। শিবরাম চক্রবর্তীর কিছু পড়েছি বোধয় মনে নেই। পড়ার চেস্টা করবো। আপনার ভালোবাসা মনে থাকবে। আপনি অনেক ভালো থাকবেন আপা।
২৭| ১৬ ই নভেম্বর, ২০২৩ সকাল ১১:৫৮
শায়মা বলেছেন: আমি ভালো থাকি ভাইয়া। কেউই আমাকে খুব সহজে ডিপ্রেসড করতে পারে না কারন আমি দুঃখ পাইনা আমি রাগে পাগল হই বা কেঁদেও ফেলি কিন্তু রাগে ও দুঃখে না । দুঃখ বলে কিছুই রাখিনা আমার জীবনে।
এমনিতে অবশ্য আমার সাস্থ্যই সকল সুখের মূল। তেমন অসুখ বিসুখ নেই কিন্তু আমার যখন নিউমোনিয়া হলো তখন হঠাৎ আমার কি যে হলো অকারনেই হাসতে হাসতে মরে যাচ্ছিলাম যা আমি এমনিতে হাসি তাই বেশি আর তখন পুরাই যা দেখি তাই হাসতে হাসতে মরি হসপিটালে জ্বরটা কমার পর থেকে। এরপর কি হলো হঠাৎ দুঃখ এই জীবনের যত চেপে রাখা দুঃখ এসে ভর করলো আমার উপরে। আমি হাউ মাউ কান্না। সবাই অবাক! পাগল হয়ে গেলো নাকি!!
হা হা হা
যাক বাবা সেটা অবশ্য দুদিনের উথলে ওঠা দুঃখে ছিলো সারা জীবনের দুঃখ প্রকাশ। আর এই দুঃখটা উথলে উঠেছিলো আমার বিশেষ একজনের উপরে যাকে আমি জানতেই দেইনি তার আচরন আমাকে দুঃখ দিয়েছে এতটাই বেশি। কখনও দেবোও না
কারন দরকারই নেই। আমি তো ভালো থাকি। আনন্দে এবং আনন্দে!
ভাইটা বাইকে করে সবুজ গ্রামের আইল ধরে ছুটে যাওয়া তোমার বাইক আর তোমার পিছে ছুটে যাওয়া বেবিদেরকে দেখতে পারছি চোখের সামনেই!
আহা কত সুন্দর!!!
২৮| ১৭ ই নভেম্বর, ২০২৩ রাত ৮:৪৮
Fluxone বলেছেন: বাংলাদেশের বেশিরভাগের মানুষের থেরাপি নেবার মত টাকা এবং সচেতনতা নেই।কিন্তু থেরাপি যেমন সিবিটি খুবই ভালো,তবে সন্দিহান যে বাংলাদেশে ভালো থেরাপিষ্ট আছে কিনা। ধন্যবাদ
১৮ ই নভেম্বর, ২০২৩ বিকাল ৫:৪৫
ৎৎৎঘূৎৎ বলেছেন: অন্তত আমার পোস্টের মন্তব্যগুলো দারুন সাহায্য করতে পারে। ধন্যবাদ আপনাকে।
২৯| ৩০ শে নভেম্বর, ২০২৩ দুপুর ১:০০
অপু দ্যা গ্রেট বলেছেন:
জানি না কি হবে। তবে আপাতত এমন কেউ নেই যে আমার কথা শুনবে। আবার আত্মহত্যার মত কঠিন সিদ্ধান্ত নেয়া আমার জন্য বেশ কঠিন।
বেচে আছি হয়ত বেচে থাকব। মৃত্যুটা হবে ধুকে ধুকে। এটাই হয়ত নিয়ত।
আপনার লেখা পড়ে ভাল লাগল। বেচে থাকলে কথা হবে।
০৩ রা ডিসেম্বর, ২০২৩ রাত ৯:৫৮
ৎৎৎঘূৎৎ বলেছেন: এগিয়ে যাওয়াই হোক এক মাত্র আকাঙ্ক্ষা। ভালো থাকবেন সবসময়।
©somewhere in net ltd.
১| ১৩ ই নভেম্বর, ২০২৩ সন্ধ্যা ৭:০৭
মিরোরডডল বলেছেন:
নিজে থেকে ইনিশিয়েটিভ নিয়ে ডক্টরের হেল্প নিয়ে, ইউ ডিড দ্যা রাইট থিং।
I'm glad to see you're okay now.