নির্বাচিত পোস্ট | লগইন | রেজিস্ট্রেশন করুন | রিফ্রেস |
হিংসা, বিদ্বেষ, পরশ্রীকাতরতা,অল্পবিদ্যা, কুশিক্ষা এবং ডাবল স্ট্যান্ডার্ড দৃষ্টিকোণ না থাকলে প্রকৃত বাঙ্গালি হওয়া যায় না।
অনেক বছর আগে জন্ম নিলে এমনি এমনি আমার সিক্স প্যাক হয়ে যেতো। শিকারে যেতাম একটু হাত-পা ছোড়ার বয়স হলে। বাবা শেখাতেন কিভাবে বন্য শুয়োর বা ম্যামথ শিকার করতে হয়। শিকারে ব্যার্থ হলে নিজেও শিকারে পরিনত হতে সময় লাগতো না। কিল অর বি কিলড রাইট! প্রতিনিয়ত সংগ্রাম করে টিকে থাকতে হতো। এই ডিপ্রেশন, প্রোলংড প্রোক্যাস্টিনেশন নিয়ে ভাবার অবকাশ থাকতো না। আমার ক্ষিধে লাগতো। তা মেটানোর জন্য নিজেই বনবাদাড় থেকে খাদ্য যোগান দিতাম। এক এলাকার খাদ্যের অভাব হলে অন্য এলাকায় চলে যেতাম। কেউ আমার আইডি দেখতে চাইতো না। অপরিচিত জায়গায় আমি অবাঞ্চিত হতাম না। কেউ আমার ধর্ম দেখতো না, বর্ণও না। আমি প্রকৃতির অন্য সন্তানদের মতই একজন সন্তান হতাম। ইউর জাংগল, ইউওর সারভাইভাল মেনে চলতে হতো। হয় বাচতাম না হয় মরে যেতাম। মাঝামাঝি থাকতে হতো না।
আমার একজন সঙ্গী হতো। সেও জীবনযুদ্ধে অংশগ্রহণ করতো। চাঁদের আলোয় একজনের চোখে আরেকজন বিভোর হয়ে মগ্ন থাকতাম। বন্য, উন্মত্ত, উশৃংখল কিন্তু পরিশেষে নিবিড় হতো আমাদের সম্ভোগ। এখনকার রাতের মতো এতো আলোর ভীড়ে জোছনা দেখার অভাবটা বোধ হতো না। প্রতিনিয়তই জীবন আর মৃত্যুর মধ্যে থেকে একজন আরেকজনের প্রতি বিশ্বাস রাখতে হতো।অনেক সময় থাকতো আমাদের হাতে। নক্ষত্র দেখতাম। একসাথে । নিস্তব্ধতা, অন্ধকার আমাদের প্রিয় হতো। একে অপরের শ্বাসের শব্দ শুনতাম। অজানা রহস্যময় ভয়ই আপন হতো।আমার সন্তান হতো। তাকে কিভাবে বাচতে হয় তা শেখাতাম।
আমি টাকার কন্সেপ্ট নিয়ে ভাবতাম না। কতোটা পোশাক পড়ে আছি তা নিয়ে ভাবতাম না। সমাজ নামক ভন্ডামি নিয়ে ভাবতে হতো না। পঁচিশে চাকরি আটাশে বিয়ে নিয়ে ভাবতাম না। ব্লাডপ্রেসার,ডায়বেটিস, গ্যাস্ট্রিকের ঔষধ ঘুষ,যৌনতা, বডিকাউন্ট,পরকীয়া, বেতন, ট্যুর, বাচ্চার রেজাল্ট, ফরমালিন, ভেজাল,প্রফিডেন্ট ফান্ড,প্যারানয়া,,,,,, এসব তখন অলীক। আমাকে শুধু বেচে থাকার উপায় খোজা নিয়ে বেচে থাকতে হতো।
এখন, আমার সামনে সমানে সবাই শব্দ করে যাচ্ছে। বিংশতম শতাব্দীর শব্দ। কাপড়ে পড়েও নগ্নতার শব্দ। সমাজের দোহাই দিয়ে ভন্ডামির শব্দ। সৎ পথে থেকে ধুলায় লুটিয়ে পড়ার শব্দ। চাহিদার শব্দ। লোভের শব্দ। কাপুরুষতার শব্দ। পাপ-পুন্যের শব্দ। আমার কানে তালা লেগে যাচ্ছে। আমার পরিচয় দিতে হচ্ছে সবখানে। শব্দ করে বেচে থাকতে হচ্ছে। অথচ শব্দ করলেই শিকার ফসকে যেতো আগে। আমিও শব্দ করছি। বেচে থাকতে শব্দ করতে হচ্ছে। ভন্ডামির শব্দ করছি শরীরের সর্বোচ্চ শক্তি খরচ করে। শরীরের আর মানিব্যাগের স্বাস্থ্য ঠিক রাখতে প্রাণপণে শব্দ করে যাচ্ছি। কেবল পরিপূর্ণ হচ্ছে না।
অথচ আমার শিকার করার কথা। পিনবতন নীরবতার মধ্য দিয়ে। গুহায় বসে সন্তানের, সঙ্গীর মুখে জোছনার আলো দেখার কথা। নক্ষত্র দেখার কথা। সবুজ ঘাসের মাঠে গরুর মতো ধীরে লয়ে বেচে থাকার কথা। শ্বাস নেবার কথা। সময় হয়ে এলে উবে যাবার কথা।
লেখাগুলোও আক্রান্ত হয়ে পড়ছে। তাদেরও আকর্ষণীয় ভুমিকা,যবনিকার প্রয়োজন হচ্ছে। এবারে দিতে পারলাম না। দুঃখিত। এই লেখা আমার না। যারা এ সো কল্ড আধুনিক যুগে এমন অনুভব করেন, তাদের।
২০ শে মে, ২০২৩ ভোর ৫:২৫
ৎৎৎঘূৎৎ বলেছেন: আন্তরিক ধন্যবাদ পড়ার জন্য। ভালো থাকবেন সবসময়।
২| ১৯ শে মে, ২০২৩ বিকাল ৫:০০
মহাজাগতিক চিন্তা বলেছেন: পড়ে শান্তি পেলাম।
২০ শে মে, ২০২৩ ভোর ৫:২৫
ৎৎৎঘূৎৎ বলেছেন: অশেষ কৃতজ্ঞতা।
৩| ১৯ শে মে, ২০২৩ সন্ধ্যা ৬:২২
শেরজা তপন বলেছেন: ৎৎৎঘূৎৎ অবশেষে আপনার নামখানা লিখতে পেরে বড় প্রশান্তি হচ্ছে!!
এই যে বললেন লেখাটা আপনার না তবে চমৎকার লেখাটা কার আর কে আছে আপনার মত উতউতউতঘূতউতউত
২০ শে মে, ২০২৩ ভোর ৫:৩৩
ৎৎৎঘূৎৎ বলেছেন: আমার মতো আরো অনেক মানুষ আছে যারা নিজেদেরকে এই যুগে অনেক বিচ্ছিন্ন মনে করেন। এ যুগের জীবিকার জন্য খুজতে হয় এমন অনেক উপায় যাদের অসহায় করে তোলে। ঘুম থেকে উঠে নিয়ম মেনে এসব করতে হচ্ছে অনেকেরই। হাপিয়ে উঠতে হচ্ছে। নামটার একদম সঠিক উচ্চারণ আমিও পারতাম না। আপনি লিখেছেন দেখে খুব অবাক হয়েছি। অসংখ্য ধন্যবাদ।
৪| ১৯ শে মে, ২০২৩ রাত ১১:১৯
স্মৃতিভুক বলেছেন: বড়ো বেশি গভীর লেখা, ৎৎৎঘূৎৎ।
এই মেকি সভ্যতা, তথাকথিত শিক্ষিত-বুদ্ধিমান মানুষ, আর নিজেদের জাহির করার নিমিত্তে (প্রতিনিয়ত) নিঃসৃত শব্দ-দূষণে ক্লান্ত আমি, নিয়ম করেই পাহাড়-পর্বত ঠেঙিয়ে বেড়াই।
অসাধারণ এই পোস্টের জন্য আপনাকে অনেক ধন্যবাদ।
২০ শে মে, ২০২৩ ভোর ৬:৫৩
ৎৎৎঘূৎৎ বলেছেন: প্রকৃতির মাঝে গেলে এই অদ্ভুত রহস্যের কিছুটা উন্মোচন হয়। কেউ কেউ বুঝে যায় কেন তারা মেকি সভ্যতায় বিলং করেনা। শেষ নিরব জোছনা দেখেছিলাম রাজশাহী যাবার সময়। দূর দুরান্তে কোন বাতি নেই। আহ! সে এক অসাধারণ দৃশ্য। আপনাকে অশেষ ধন্যবাদ পড়ার জন্য।
৫| ২০ শে মে, ২০২৩ দুপুর ২:৩৯
রাজীব নুর বলেছেন: সুন্দর লেখা।
২১ শে মে, ২০২৩ ভোর ৬:৪৭
ৎৎৎঘূৎৎ বলেছেন: ধন্যবাদ।
৬| ২১ শে মে, ২০২৩ সকাল ৯:৫৮
আহমেদ জী এস বলেছেন: ৎৎৎঘূৎৎ ,
সেই অনেক অনেক আগে জন্ম হলে ঘোৎ ঘোৎ করা ছাড়া তখন আর কোনও শব্দ বেরুতো না মুখ থেকে! কারন, কথা বলাই তো শেখেননি তখন।
সেকালে বেঁচে থাকার জন্যে সংগ্রাম করতেন এখনও এই আধুনিক জমানায় সেই বেঁচে থাকারই সংগ্রাম করছেন ।
এখন আইডি বের করেন পকেট থেকে ছাপা কাগজের তখন আইডি দেখতে হতো পানিতে নিজের মুখ দেখে।
উপরের তিন লাইন আমার লেখা না। আমার লেখা নীচেরটুকু, অবশ্য কপি করা ---
দাও ফিরে সে অরণ্য, লও এ নগর,
লও যত লৌহ লোষ্ট্র কাষ্ঠ ও প্রস্তর,
হে নব সভ্যতা। হে নিষ্ঠুর সর্বগ্রাসী,
দাও সেই তপোবন, পুণ্যছায়া রাশি,
গ্লানিহীন দিনগুলি, সেই সন্ধ্যাস্নান
সেই গোচারণ, সেই শান্ত সামগান,
নীবার-ধান্যের মুষ্ঠি বল্কল-বসন,
মগ্ন হয়ে আত্মমাঝে নিত্য আলোচন,
মহাতত্ত্বগুলি। পাষাণপিঞ্জরে তব,
নাহি চাহি নিরাপদে রাজভোগ নব।
চাই স্বাধীনতা, চাই পক্ষের বিস্তার
বক্ষে ফিরে পেতে চাই শক্তি আপনার;
পরানে স্পর্শিতে চাইছিড়িঁয়া বন্ধন,
অনন্ত এ জগতের হৃদয়স্পন্দন।
এটুকু কপি নয় ----- অপূর্ব এক ঘোর লাগানিয়া লেখা। বক্তব্য আর বাক্যের গাঁথুনি সিক্স প্যাকের মতো দৃঢ়।
বুকের মাঝে টনটন করে যাওয়ার মতো বলে গেছেন....+++++++++++
২১ শে মে, ২০২৩ বিকাল ৪:৫৭
ৎৎৎঘূৎৎ বলেছেন: এখন মানুষ প্রচুর কথা বলে। কেউ কি কারো শোনে? আগে কথা বলা জানতো না। কিন্তু বুঝতো হৃদয় দিয়ে। আমার ইদানীং সবাইকে আমার চেয়ে দ্রুতগামী মনে হয়। পাল্লা দিয়ে তাদের ছাচে পড়ে কুলিয়ে উঠতে পারছি না। জটিলতা বাড়ছে। আমার মতো যারা আছেন তাদের ব্যাপারে ভেবে খারাপ লাগছে। কৃতজ্ঞতা রইল মন্তব্যের জন্য।
৭| ২২ শে মে, ২০২৩ দুপুর ১২:০৭
জটিল ভাই বলেছেন:
লিখাটা অনুবাদ বলে মনে হলো। তবে লিখার মাঝে যে আদিমতা রয়েছে তা দেখে মনে হচ্ছে লিখাটা আপনার হতেও পারে নামের ভিত্তিতে
২২ শে মে, ২০২৩ সন্ধ্যা ৭:০০
ৎৎৎঘূৎৎ বলেছেন: যখন কেউ আমার কোন লেখা আমার কিনা ভেবে সন্দেহ করে তখন খুব তৃপ্তি লাগে। এখানের প্রত্যেক লাইন পৃথিবীর কোন না কোন জায়গায় কেউ না কেউ চিন্তা করেছে বা বলেছে বা লিখেছে বলেই বিশ্বাস করি। এ আর নতুন কি। চিন্তার বৈচিত্র্য আর কতো ভিন্ন হবে। ধন্যবাদ পড়ার জন্য।
©somewhere in net ltd.
১| ১৯ শে মে, ২০২৩ বিকাল ৪:৪০
গেঁয়ো ভূত বলেছেন: চমৎকার ভাবনা, ভাবনার খোরাক আছে লেখায়।
পরবর্তী লিখা পাঠের অপেক্ষায় রইলাম।
হ্যাপি ব্লগিং।