নির্বাচিত পোস্ট | লগইন | রেজিস্ট্রেশন করুন | রিফ্রেস |
হিংসা, বিদ্বেষ, পরশ্রীকাতরতা,অল্পবিদ্যা, কুশিক্ষা এবং ডাবল স্ট্যান্ডার্ড দৃষ্টিকোণ না থাকলে প্রকৃত বাঙ্গালি হওয়া যায় না।
শেষবার কান্তজীউ মন্দির, নয়াবাদ মসজিদ, প্রত্নতত্ত্ব জাদুঘর দেখতে দিনাজপুর গিয়েছিলাম। আমার মধ্যে অসাধারণ ঘোরের জন্ম হয়েছিলো। কি স্থির, শান্ত পরিবেশ। সুস্থ বোধ করছিলাম অনেকদিন পর।
প্রাইমারিতে চাকরি করার ফলে কলিগদের মধ্যে যখন একজন সিনিয়র জিজ্ঞেস করলেন এইবারের বন্ধে কোথাও যাবো কিনা তখন আমি বললাম উত্তরে যাবো। বেতনের অপ্রতুলতায় সবাই যখন ধুকছে তখন এটা বলতে আমার কিছুটা ইতস্ততই লাগছিলো। অনেকে টিপ্পনী করতেও ছাড়লেন না। বউ থাকলে ঘাড়টা ভাংতো। এমন বাউন্ডুলে আর বিলাসীতার ইতি টানতে সিনিয়র ম্যামদের ভালো প্রয়াস ছিলো। আমাকে ভীষন পছন্দ করেন ছোট ভাইয়ের মতো। কিছুটা প্রশ্রয়ের সুযোগ আমার নেয়া উচিত। কিন্তু আমি নেই না। এটা আমার জন্য বিলাসীতা নয়। আমি না হয় মারা পড়বো বলেই বন্ধ পেলেই একা বেড়িয়ে পড়ি। আমার পিছুটান নেই, ঝাড়া হাত-পা। যাই হোক। ম্যামদের আবার হতাশ করে দিয়ে সংসারের প্রতি বিন্দুমাত্র ইচ্ছা প্রকাশ না দেখিয়ে আবার একা বেরিয়ে পড়লাম।
প্রতিবারের মতো হলো না। এইবারে আমার একজন সুইট ছোট ভাই জুটে গেলো। এইবার একা বেরোনো হবে না ভয়ে সুক্ষ ভাবে তাকে ভয় দেখিয়েছি পর্যন্ত। নাহ! সে আমার চেয়ে দ্বিগুণ উৎসাহ নিয়ে ছুটি নিয়ে ফেলেছে। ঘর থেকে বেরুতেই হঠাৎ কালো হয়ে খানিক বাতাসের ঘুর্ণি দেখে আমার অলস মন বৃহস্পতিবারের ক্লান্তি বিছানায় বিলিয়ে দেবার চিন্তা করেছিলো স্বীকার করছি। কিন্তু ভাই আমার কল দিয়ে তা নস্যাৎ করে ফেলল। প্রকৃতিও আসন্ন ঝড়ের আভাস দিয়েও রোদমাখা বিকেল তৈরিতে মনযোগ দেয়াতে আমিও বের হয়ে গেলাম। সাথে ক্যামেরা, ইন্সটা৩৬০ একশন ক্যাম আর বিভুতিভুষণের তারানাথ তান্ত্রিক সমগ্র। বগুড়া যাবার প্ল্যান প্রথমে। ঢাকা থেকে অনুজকে তুলে নিয়ে দুজনে মিলে ঠিক করবো কি করা যায়। প্রতিবারের মতো এইবারো জানিনা কোথায় ভাড়ায়, কোথায় খরচে ঠকতে হবে। কি করলে খরচ একটু কমবে। কিন্তু তাতে কখনো আমার যাত্রা থামেনি। আমি অনেকদিন ঘরে ফিরবো না। এটা আমি জানি।
০৮ ই এপ্রিল, ২০২৩ সকাল ৮:২৩
ৎৎৎঘূৎৎ বলেছেন: আমায় ক্ষমা করবেন। আমি ভালো লিখতে জানি না। ইদানিং তা তলানিতে গিয়ে ঠেকেছে। কিছু অগোছালো বাক্য লিখে রাখব নিজে যাতে ভুলে না যাই। অশেষ ধন্যবাদ আপনাকে।
২| ০৭ ই এপ্রিল, ২০২৩ রাত ২:০৪
অপু তানভীর বলেছেন: এাভবে বেরিয়ে পড়তে পারাটা অনেক চমৎকার ব্যাপার । আমাদের ভেতরে প্রায়ই কেউই এমনটা পারেন না । আমি অবশ্য পারি । তবে আমার উত্তরের দিকে যাওয়ার ঝোক কম । আমার ঝোক বেশি দক্ষিনের দিকে । আরও ভাল করে বললে পূর্ব দক্ষিন দিকে ।
আপনার যাত্রা চমৎকার কাটুক এই কামনা করি ।
০৮ ই এপ্রিল, ২০২৩ সকাল ৮:২৯
ৎৎৎঘূৎৎ বলেছেন: পুরো বাংলাদেশ দেখার ইচ্ছেটা প্রবল আমার। বেশি টানে ঐতিহাসিক জায়গাগুলো। কত কি হতো এখন কালের সাক্ষী হয়ে রয়ে গেছে। টাইম ট্রাভেল করতে পারলে আমি পেছনেই পড়ে থাকতাম। ভবিষ্যতে আমার আগ্রহ নেই। উত্তরে এমন সব জিনিস বেশি মনে হলো। আপনাকে আন্তরিক ধন্যবাদ শুভকামনার জন্য। আপনিও ভাল থাকবেন।
৩| ০৭ ই এপ্রিল, ২০২৩ দুপুর ১:০৯
রাজীব নুর বলেছেন: আমি অনেকদিন কোথাও যাই না।
০৮ ই এপ্রিল, ২০২৩ সকাল ৮:৩১
ৎৎৎঘূৎৎ বলেছেন: মানুষকে মাঝে মাঝে ঘর ছেড়ে অনেক দূর যেতে হয় নিজেকে সত্যিকারভাবে চেনার জন্য। কোথাও দেখেছিলাম। তাইই বেড়িয়ে পড়ি ঘটে টাকা জমাতে পারলে। ভালো থাকবেন।
৪| ১১ ই এপ্রিল, ২০২৩ সকাল ৮:১১
আমি সাজিদ বলেছেন: এমন হুট করে বের হওয়া হয় না অনেকদিন। বেশ ভালো লিখেছেন।
১২ ই এপ্রিল, ২০২৩ রাত ৯:৪৬
ৎৎৎঘূৎৎ বলেছেন: বাঙালিরা ভ্রমণপ্রিয় আর ভোজনরসিক। বেরিয়ে পড়ুন। আমার দেশটা আসলেই অনেক সুন্দর।
©somewhere in net ltd.
১| ০৬ ই এপ্রিল, ২০২৩ রাত ১০:৪৪
বোকা মানুষ বলতে চায় বলেছেন: ফেরার পর আপনার ভ্রমণ বৃত্তান্ত সম্বলিত ভ্রমণ কাহিনী পড়ার অপেক্ষায় রইলাম।