নির্বাচিত পোস্ট | লগইন | রেজিস্ট্রেশন করুন | রিফ্রেস |
হিংসা, বিদ্বেষ, পরশ্রীকাতরতা,অল্পবিদ্যা, কুশিক্ষা এবং ডাবল স্ট্যান্ডার্ড দৃষ্টিকোণ না থাকলে প্রকৃত বাঙ্গালি হওয়া যায় না।
১। প্রতিদিন ঘুম থেকে উঠেই ছেলেটি আস্তে আস্তে ঘুরতে থাকা সিলিং ফ্যানটার দিকে তাকিয়ে থাকে । নিজেকে বলতে থাকে,
- আর একটা দিন। হয়তো পৃথিবীটা সুন্দর । আর একটা দিন। ওয়ান ডে এট আ টাইম।
২। কুকুরটিকে সবসময় লেফট ওভার যা ছিলো দিতাম । করোনার এ সময়ে পাশের বাড়িতে না খেয়ে থাকতে থাকতে একসময় বিষ খেয়ে ফেললেন এক মহিলা । অথচ আমি সবার সবাই চোখ টাটানো উপেক্ষা করে কুকুরটিকে মাঝে মাঝে খাইয়ে গেছি। অনেক সময় আমার খাওয়া সম্পন্ন না করেই দিয়ে দিতাম। আমার ডায়েট ও হয়ে যেতো। যতো কম খাওয়া যায়। আবার ওদিকে কুকুরটিও আমাকে দেখলে লেজ নাড়ে। একদিন তো আমাকে দূরের এক রাস্তা থেকে অভিভাবকের মতো গার্ড দিয়ে নিয়ে এলো রাত দুটোয়। এভাবে কুকুরপ্রীতি এবং মনুষ্য বিদ্বেষ হাতে হাত ধরে চলছিলো। কুকুরটি মাঝে অনেকদিন আসেনি। আজ এসেছে, কুই কুই শব্দে পাশে এসে তার উপর কোন মানুষের করা ক্ষত দেখাতে। দেখলাম , তার শরীরের অনেকখানি জায়গা জুড়ে অনাবৃত মাংস পেশী দেখা যাচ্ছে।
এখনো আমার অবস্থান আগের মতোই। আমি জানি কার বেশি সাহায্য প্রয়োজন ।
৩। রাহাত আজ বৃস্টি ভেজা দুপুর , প্রেয়সীর স্যালাইভা, পেটে তার রান্না করে আনা শক্ত মাংসের টুকরোর চিকেন নুডুলস আর ঘাড়ের উপর গরম নিশ্বাসের অনুভুতি নিয়ে বাসায় ফিরেছিলো। এটুকুই কম কি? আরো চাওয়া পাপ। যেতে দেয়া ভালো। কমোডে বসে মোবাইলে টাইপ করতে লাগলো, আমি জানি তুমি অন্তত ভালো থাকবে। তবে রান্নাটার দিকে একটু মনযোগ দিও। পুরুষের নাকি হার্টের সাথে পেটের সরাসরি একটি মধ্যস্থতা আছে।
তনুর বিয়েটা তাহলে কালকেই!
৪। এরিস আমাদের ইংরেজি ডিপার্টমেন্টের একজন লেকচারার। ক্যারিয়ারে উদাসীন মানুষটি তার জীবন সম্পর্কে সচেতন ভাবে উদাসীন। বিয়ের ঝামেলায় যাননি। শুনেছি ভীষণ প্রেম ছিলো কারো সাথে। তাও সন্দেহ হয়। স্রোতের বিপরীতের একজন মানুষ। সবাই তার সম্পর্কে একই কথা বলে খালি। লোকটি ঠিক সুস্থ নয়। তার সাথে তুমি এতো বেশী লেগে থাকো কেন? ড্যাডি ইস্যুজ আছে নাকি তোমার? ইত্যাদি ইত্যাদি। বলাটা অমূলক না । স্যারের একমাত্র শিষ্যা বোধয় আমিই আছি। উপরন্তু শিষ্যও নেই।
ঐদিন কতগুলো বিশাল দেহী সুস্থ লোক আমার উপর হামলে পড়তে যাচ্ছিলো । অসুস্থ মানুষটি কিছু না ভেবেই সামনে এসে ছুরি খেয়ে এখন হাসপাতালে । শেষ শয্যায় তার বুকে যখন আমার ডান চোখ থেকে শেষ অশ্রু বিন্দুটি গড়িয়ে পড়ছে তখন আমার মাথার সোনালী চুল গুলো এলোমেলো করতে করতে বললেন,
- ভেবোনা। একমাত্র মানুষই বিকৃতিতে সৃজনশীল। গেট ইনটু ট্রাভল ইয়ং লেডী । গো, গেট ইনভল্ভড ।
এরিসের বুকটা একবার উঠে নেমে গেলো। আমি ফিরে এলাম সুস্থ মানুষের ভীড়ে ।
২৫ শে আগস্ট, ২০২১ রাত ৯:২৫
ৎৎৎঘূৎৎ বলেছেন: আন্তরিক ধন্যবাদ।
২| ২৫ শে আগস্ট, ২০২১ সন্ধ্যা ৭:৪২
শেরজা তপন বলেছেন: তিন নম্বর বুঝতে বেশ কষ্ট হচ্ছে
২ নম্বর ভাল লেগেছে
৩| ২৫ শে আগস্ট, ২০২১ রাত ৯:২৯
ৎৎৎঘূৎৎ বলেছেন: আন্তরিক ধন্যবাদ পড়ার জন্য।
©somewhere in net ltd.
১| ২৫ শে আগস্ট, ২০২১ সকাল ১০:৫৬
খায়রুল আহসান বলেছেন: বেশ লিখেছেন, টুকরো কথার গল্পগুলো। ২ আর ৪ বেশি ভালো লেগেছে।