নির্বাচিত পোস্ট | লগইন | রেজিস্ট্রেশন করুন | রিফ্রেস |
হিংসা, বিদ্বেষ, পরশ্রীকাতরতা,অল্পবিদ্যা, কুশিক্ষা এবং ডাবল স্ট্যান্ডার্ড দৃষ্টিকোণ না থাকলে প্রকৃত বাঙ্গালি হওয়া যায় না।
আমি সবসময় কাউকে উদাহরণ দেয়ার সময় উইলিয়াম গোল্ডিং এর 'লর্ড অব ফ্লাইজ' এর কথা বলে থাকি। মানুষ মাত্রই Chaos পছন্দ করে। অন্যের ক্ষতি পছন্দ করে। কিন্তু স্বীকার করতে চায়না। মানুষের মস্তিষ্কের উপর নিজেদের কোন control নেই। তাও সে নিজে স্বীকার করতে চায়না। মাঝে মাঝে অনেক পিউর মানুষের দেখা মেলে। তারা প্রাণভরে অন্যের মংগল করতে এবং মংগল কামনা করতে পারে। খতিয়ে দেখলে দেখা যাবে তারা নিজেদের পরিপুর্ণ ভাবে বিধায় তা করতে পারে। ' লর্ড অব ফ্লাইজ' বইতে দেয়া আছে সর্বোচ্চ ১৩ বছরের উর্ধে নয় এমন কিছু বাচ্চা দুর্ঘটনাবশত একটি দ্বীপে এসে পড়ে। সময়ের সাথে সাথে এই বাচ্চাগুলোর মধ্যেও হিংসা, ক্ষমতার লোভ, সত্যকে অস্বীকার করে নিজস্ব ক্ষুধা নিবারণ ইত্যাদি মানবীয় গুণাবলি চলে আসে যার ফলে একসময় তারা বর্বর হয়ে পড়ে। এদের মধ্যে একজন শেষ পর্যন্ত পুরোপুরি হারায়নি। কিন্তু সে প্রোটাগনিস্ট সবার ভেতর থেকে ভাল জিনিসটা বের করে এনে তাদেরকে শেষ পর্যন্ত মানবিক রাখতে পারেনি। ঐ বাচ্চা গুলোর মধ্যে যার পেশিবহুল বপু ছিলো সে বাচ্চাটি অন্যদের শোষণ করতে থাকে। গোল্ডিং একশ বছর আগে মানুষের এই মানবিক গুণাবলী গুলো ধরতে পেরেছিলেন যার ফলে তিনি কস্টে ভুগতেন। সংগত কারণেই এই বইটি আমাকে নাড়া দিয়েছিলো।
এ যে চরম সত্য!!
আমার চলার পথে আমি এমন কিছু ভাল মানুষের দেখা পেয়েছিলাম যারা সবাইকে নিয়ে 'তোমরা ঝগড়া করোনা,থাক আমারটা খাও এবং একসাথে মিলেমিশে থাকো" টাইপ চলাফেরা করতেন। আবার কিছু অসাধারণ কদর্য মানুষ এবং কিছু ভাল মানুষ যারা নিজেদের বিচিত্র ক্ষুধা ও মানবীয় গুণাবলীর জন্য কদর্য হয়ে পড়তেন এমন ও পেয়েছিলাম। ওদের দেখলে আজো আমার বিষ্ঠা দেখার অনুভূতি জন্মে। বেশিরভাগ যারা দ্বিতীয় টাইপ, সময়ে বদলে যান কিন্তু স্বীকার করেন না তাদেরকে । আমি ব্যাপার গুলো একপ্রকার মেনে নিয়ে নিজের মত থাকতে পারতাম কিংবা ভুলে যেতাম যদিনা গোল্ডিং মহাশয়ের বইয়ের কাহিনী হুবহু আমার চোখে ধরা না পড়ত। দেখলাম তাদের মধ্যে অন্যের ক্ষতি করার, হতে দেখার তীব্র আকাঙ্ক্ষা রয়েছে। রয়েছে জোরপূর্বক বেশী ভোগ করার অদম্য বাসনা। প্রোটাগনিস্ট বাচ্চাটার মত সবাইকে একত্র করতে গিয়ে ভাল কিছু মানুষ কেন বিপদে পড়েন তা বোঝা যাচ্ছে অনেকটা ঝর্ণাস্বচ্ছ জলের মতো। প্রকৃতি ভারসাম্যহীনতা পছন্দ করেনা। তাই প্রত্যেক বারে ভাল মানুষটার জন্য তার গ্রুপে খুব কম সংখ্যক ও নয় এমন কিছু উকুনে ভর্তি বিষ্ঠার মত মানুষ ও এসে যায়। তিনি প্রাণপণ চেস্টা করেন ঐ মানুষগুলোকেও ভাল করে তুলতে কিন্তু" যাহা হবার নয় তাহা নিয়ে কাহাতক যাওয়া যায়"।
গোল্ডিং মহাশয়ের মতো আমিও ইদানিং কস্টে ভুগছি এবং ঘৃণাবশত মুখে থুতু জমে যাচ্ছে মানুষের মানবিক গুণাবলীর আসল রুপ তথা সত্য রুপ দেখে। উদারতা নেই। নীচুতায় ভরে যাচ্ছে বাচ্চা গুলোর মন। বর্বর হয়ে যাচ্ছে বাচ্চা গুলো। এবং তাইই হবার কথা কিন্তু স্বীকার্য নয় ব্যাপারটা তাইনা??
"Hell is empty,
All the devils are here."
০৩ রা এপ্রিল, ২০২১ বিকাল ৪:১৪
ৎৎৎঘূৎৎ বলেছেন: আমি কিন্তু বলিনি যে ভাল মানুষ পাইনি। আপনাকে অভিনন্দন যে পৃথিবী আপনাকে অন্য ভাবে ধরা দিয়েছে। জেনে ভাল লাগল। আমিও চাই এর ছোঁয়া সবার জীবনে মিষ্টি রোদের মতো লেগে থাকুক। কিন্তু উল্টোটাই বেশি। ধন্যবাদ আপনাকে।
২| ০৩ রা এপ্রিল, ২০২১ দুপুর ১২:৫৭
রাজীব নুর বলেছেন: আমার চলার পথে আমি কোনো ভালো মানুষের দেখা পাই নি।
০৩ রা এপ্রিল, ২০২১ বিকাল ৪:১৮
ৎৎৎঘূৎৎ বলেছেন: আমরা মানুষ।প্রাণি হিসেবে আমাদেরই বিকৃতির ধরণ অনেক সৃজনশীল। কিন্তু স্বীকার্য নয়। ধন্যবাদ। ভাল থাকবেন।
©somewhere in net ltd.
১| ০৩ রা এপ্রিল, ২০২১ দুপুর ১২:১৫
সাজিদ উল হক আবির বলেছেন: উইলিয়াম গোল্ডিং এর লেখাকে রেফারেন্স ধরে আজকাল ক'জনই বা ব্লগপোস্ট লেখা শুরু করেন! তাই, ভালো লাগলো অন্তত একটি মডার্ন ক্লাসিক টেক্সটের সূত্র ধরে আপনার পৃথিবী দেখার বর্তমান চোখকে উপস্থাপন করবার। আপনার লেখার যে বক্তব্যগুলোর সঙ্গে বিনয়ের সঙ্গে দ্বিমত পোষণ করতে চাই, তা হল, উইলিয়াম গোল্ডিং এর অত্যন্ত সিনিক, এবং নেতিবাচক দৃষ্টিতে পৃথিবী দেখার প্রবণতা; এবং আপনার তাঁকে সামনে বাড়ানোর প্রয়াস।
মনে রাখলে সুবিধা হবে যে, গোল্ডিং নিজে দ্বিতীয় বিশ্বযুদ্ধের সময় ব্রিটিশ রয়্যাল নেভীর জুনিয়র অফিসার হিসেবে যুদ্ধে তিনি সরাসরি জড়িত ছিলেন, উভয় পক্ষের নিদারুণ হত্যাযজ্ঞ তাঁকে গভীরভাবে প্রভাবিত করে। যুদ্ধ পরবর্তী স্নায়ুযুদ্ধও তাঁকে জীবনের ব্যাপারে একটা পেসিমিস্ট দৃষ্টিভঙ্গী তৈরিতে সহায়তা করে। দ্বিতীয় বিশ্বযুদ্ধে তো অস্কার শিন্ডলারের মতো লোকও ছিলেন, যিনি নিজের জীবনের ঝুঁকি নিয়ে মানুষকে বাঁচিয়েছেন। অনুপ্রেরণার জন্যে তাকাতে হলে তাদের দিকে তাকালে বরং দৃষ্টিভঙ্গী আরও প্রসারিত এবং ইতিবাচক হয়।
পৃথিবী আরও সুন্দর, মানবিক রঙে রূপে আপনার সম্মুখে প্রতিভাত হোক, এই কামনা করি।
শুভকামনাসহ।