নির্বাচিত পোস্ট | লগইন | রেজিস্ট্রেশন করুন | রিফ্রেস |
হিংসা, বিদ্বেষ, পরশ্রীকাতরতা,অল্পবিদ্যা, কুশিক্ষা এবং ডাবল স্ট্যান্ডার্ড দৃষ্টিকোণ না থাকলে প্রকৃত বাঙ্গালি হওয়া যায় না।
-বলতে দাও। এখন আমি নিচে শোব। বাড়ি ভর্তি মানুষ। অন্য ঘরে যাওয়া সম্ভব হবেনা। নতুন ফ্ল্যাটে উঠবো। বাবা-মা প্রশ্ন করবেনা । তারা জানে আমি এমনই। আর হ্যাঁ আমার sleep talking এর অভ্যাস আছে। কানে তুলো দিতে হতে পারে। শুধু আজ রাতটা জ্বালাবো।
-নিচে না। তুমি আমার সাথে শুও। সমস্যা নেই।
-wao.. but thanks। আমার controlling power নাই। আর তুমি top beauty দের একজন। যদি চড়াও হই। তোমাকে যেকোন ছেলেই.........
-যেকোন ছেলে কি?
-ভালবাসতে পারে। অস্বাভাবিক কিছু না।
তার মুখে আমার সম্পর্কে ‘?’ এঁকে বালিশ আর চাদর নিয়ে মেঝেতে শুয়ে গিয়ে ছিলাম। গুড নাইট পর্যন্ত বলিনি। আমি জানি ঘুমন্ত অবস্থায় আমাকে দেখে তার দুই ঘণ্টা চিন্তা করেই কাটবে। তারপর হামি দিতে দিতে ঘুমাবে। girls......হাহ ...হা হা হা
------
৩-৪ মাস আগের কথা। তখন আমি আর নীলা বহুত ঘুরেছি। ফ্যামিলি ফাংশন, হানিমুন তথা সভ্য জগতের নেকামোগুলো তে আমরা হাতে হাত ধরে জয়েন করেছি। আনুষ্ঠানিকতার বেড়াজালে তেমন কিছু উপলব্ধি করিনি। তার প্রতি তেমন ফিলিংস হয়নি। হানিমুনে যাবার পর একটি অদ্ভুত ঘটনা ঘটে। কক্সবাজারের ঢেউ গুলো আমাকে কি বেশি নাড়া দিয়েছিল? নাকি প্রকৃতি প্রেম করতে শেখায়? আমার মত বাস্তববাদী মানুষদেরও কি উদাসীন হয়ে যেতে হয়? প্রশ্নগুলোর উত্তর খুজতে মন চাচ্ছিল। যাই হোক হোটেলে গেলাম টিকেট বুক করতে।
-দুটি রুম দেন তো?
-ok sir
নীলা চমকে দিয়ে বলল, দুটো রুম মানে? একটি দিন।
চাবি নিয়ে আসার সময় মুখ খুলল ওর
- কি ব্যাপার? এইটা কি হইল?
-কোনটা ?
-দুটো রুম বললে কেন?
-সেইরকমই তো কথা ছিল।
-আমি তোমার স্ত্রী না? আর ও কি মনে করল?
-স্ত্রী! (অনেক চেষ্টার পরও দীর্ঘশ্বাস চেপে রাখতে পারিনি)
নীলা অবাক হয়ে আমার দিকে এক পলকে তাকিয়ে ছিল। আমার তার দিকে তাকানোর সাহস হয়নি। যদি ধরা পড়ে যাই? কি বলব যে আমার উপলব্ধি শুরু হয়ে গেছে। মস্তিস্ক গুলো ভোঁতা হতে শুরু করেছে। ও আমার সামনে থাকলে অদ্ভুত শিহরণ হয়। মনে হয় তাকে আমার মধ্যে আটকে রাখি।
- কি ভাবছ?
চমক ভাঙল। দূর! কিসব ভাবছি
-না। কাগজে কলমে।
-মানে?
-তোমাকে রক্ষা করা আমার দায়িত্ব। তোমার virginity সহ সব (চাপা কাশি কাশলাম )
-তুমি না? কিছুই আটকায়না। প্রসঙ্গটা যেহেতু তুলেছ। তোমাকে বলি। তোমার না থাকতে পারে কিন্তু আমার এইসব সামাল দেয়ার অভ্যাস আছে।
-অবশ্যই । হা হা হা
-হাসতেছ কেন?
-boy friend আছে যার তার তো অভিজ্ঞতা থাকার কথাই,না?
ও স্তব্ধ হয়ে গেল।রাগ করল মনে হয়। রাগলে ও কে এত সুন্দর লাগে। ওর থেকে দূরে থাকতে হবে। এখন আগে রাগটা ভাঙ্গাতে হবে।
-সরি। আমি জানি তুমি ঠিক আছ। মানে তুমি...
কি বলছি। পাগল হয়ে গেলাম নাকি। ওর রুপ আমাকে পাগল বানিয়ে দিচ্ছে।রুমে গিয়ে ফ্রেশ হলাম। তারপর আমার ডায়েরী আর লাল কলম নিয়ে বসলাম। লাল কলম দিয়ে কেও ডায়রি লিখে? কিন্তু আমি লিখি। কোনোদিন যদি ও ডায়েরীটা পড়ে ফেলে?
বিকেলে বের হলাম। সূর্যের শেষ আলোটা তার মুখে পড়ছে। খুব অন্যরকম লাগছে। বলতে ইচ্ছে করছে। কি জানি হচ্ছে আমার ভিতর। এর কারন কি তুমি? তুমি শুধু আমার বাগানে রাখা ফুল যা আমার নয়। অস্ত যাওয়া সূর্যটা দেখে মনে হল হারিয়ে যাওয়াটা বেদনাদায়ক। তারপরও ঠিক করলাম ওকে confusion এ ফেলে দেয়া ঠিক হবে না। থাক এইটা হয়ত সাময়িক মোহ। ঠিক হয়ে যাবে। নিজেকে কত মিথ্যা বলা যায়? এইটা ঠিক হবেনা। এইটা ঠিক হবার নয়। হয়ত খুব বেশি ভাবছি। হটাত একটা হাত আমাকে ধরল,
-চল ফিরে যাই।
-চল
হাতটা সরিয়ে নিলাম। ও মনে হয় খেয়াল করল ব্যাপারটা। লাভ নেই। আমি ভাল অভিনয় করি। তাইতো করছি এতদিন। রুমে এসে ফ্রেশ হয়ে ডায়েরী লিখতে বসে গেলাম। মনোযোগ দিতে পারলাম না। খালি তার কথা মনে হল। ওকে ছুতে ইচ্ছে করছে। ও যদি আবার আমার হাত টা ধরত। ভিতরে কিসব অদ্ভুত ফিলিংস হচ্ছে। এটাকে কি সবাই প্রেম বলে? নিজের ভিতর গুমরে মরছি । যতই দেখছি ততই নতুন লাগছে ওকে। একটা নাইট ড্রেস পরেছে ও। সামনে এসে বলল,
-তোমার সাথে একটু কথা বলি? ডিস্টার্ব ফিল করবেনা তো?
কথা তো বলতেই চাই। আমি তোমার কথা আজীবন শুনতে চাই।আমার ভাগ্যে কি তা হবে?
-বল। কি বলবে
-তোমার কোনও গার্ল ফ্রেন্ড হয়নি কেন?
-সস্তা প্রশ্ন। আজীবন দায়িত্ব থেকে পালিয়ে বেরিয়েছি। তাছাড়া ন্যাকামো লাগে। আসলে কি এগুলো হয় মানুষের মধ্যে?
-পড়নাই তো? পড়নাই এই চ্যাপটার টা। সবকিছু দেখতে যতই practical দেখায় তার ভিতর অর্থ আছে। বুঝতে হয়।
-হয়ত
কথা বাড়াই নি । কি জানি বেফাঁস কোনও কথা যদি বলে ফেলি। I am in luv এই ন্যাকামোটাই সত্যি হল শেষ পর্যন্ত হা হা হা
রাতে খাট থেকে বালিশ আর চাদর নিয়ে মেঝেতে শুতে গেলাম।
-কি করছ
-শুতে যাচ্ছি
-এই ঠাণ্ডায় নিচে শুবে?
-আর কোনও উপায়?
-are we clear?
-obviously
-তাইলে খাটে শুতে তোমার আপত্তি কোথায়?
-কোনও মেয়ের সাথে শুই নি কখনো?
-that’s not a cause
-yes that is
-nope
-আমি ঘুমানোর সময়.........
-নাক ডাক, কথা বল, জানি আমি। আমার কোনও সমস্যা নেই। তোমাকে নিচে শুতে দিতে পারিনা। আচ্ছা আমি নিচে চলে যাচ্ছি।
-সইবে না। after all মেয়ে তো। বাদ দাও
-শুও তাহলে।
-ওকে। পরের দিন বলতে পারবানা যে তোমার ঘুম হয়নি।
-বলবনা প্রমিস
শুয়ে শুয়ে ভাবছি কার এতটা কাছে হইনি। ভাষায় বোঝানো সম্ভব নয় কেমন অবশ অনুভুতি। বোধয় এই কারনেই দূরে থাকতে হবে। ভোরে উঠলাম জগিং করতে ।দেখলাম ও ঘুমিয়ে আছে। এতোটা নিস্পাপ যেন ঘাসের ডগায় জ্বলজ্বলে শিশির। ধরতে গেলেই নাই হয়ে যাবে। আমি কি তাকে একটা কিসস করব? শুনেছি চুমু খাওয়া স্বাস্থের জন্য ভাল। ও কি মাইন্ড করবে? দূর! আমার চিন্তা চেতনা সব গ্রাস করে ফেলেছে ও। I am hacked । দৌড়াতে পারলাম না। সূর্যটা দেখে আবার তার ঘুমন্ত মুখটা মনে পড়ল। নাহ, আমার রেহাই নেই। নিজেকে ধ্বংস স্তুপ মনে হচ্ছে।আমার কি এসব ভাবা উচিত? ও তো আরেকজনকে ভালবাসে। নাহ , ফিরে যাই।
-কি ব্যাপার কোথায় গিয়েছিলে ?
_জগিং করতে।
-এমনিতেই তো ফিট। আরও
-সূর্যোদয়টা মিস করতে চাইনি
-একটা কথা বল। এই হ্যান্ডসাম ছেলেটা কার নজরে পড়েনি কেন?
-বলছ? তোমার তাই মনে হয়?
-হা। মেয়েদের পছন্দ হবার মতই।
-মুখস্থ হয়ে গেছে
-কি?
-কথাগুলো । বন্ধুদের মুখে শুনতে শুনতে। উত্তরে বলতাম মেয়েরা যা চায় তা আমার মধ্যে নেই। আমি খামখেয়ালি আর উদাসীন। আর মনে কষ্ট দেয়ার মত অদ্ভুত বাজে অভ্যাস আছে আমার।
-তাই নাকি। বল তোমার সম্পর্কে কিছু। অবশ্য আপত্তি যদি না থাকে। তুমি তো আবার চাপা স্বভাবের । কথাই বল না।
-আমি? বাঁচাল । জাস্ট মেয়েদের সাথে অভ্যস্ত নই। জান আমার বান্ধবীরা কি বলত।আমি নাকি moody টাইপের।
-moody শব্দটা যায় তোমার সাথে।
-না। আমি এমনই। তারা ভাবত ফোন দিলে গুরুত্ব দিবনা। পরে অবশ্য বুঝে গেছে তাদের কে মেয়ে না মানুষ বন্ধু হিসেবে গ্রহন করেছি আমি।
-wao. nice. তাদের মধ্যে কেও propose করেনি?
-জুনিয়র ব্যাচের একজন কিছু বলেছিল? বলেছিলাম আমি এমন নই। নিজেই কষ্ট পাবা শুধু শুধু। তোমার আপুদের জিজ্ঞেস করলেই বুঝবা। I am not that love stuff.
-সত্যি কি তাই? কাওকে ভাল লাগেনি?
-তোমাকে লেগেছে। কারন তুমিই একমাত্র নারী যার সাথে আমি বেশি সময় পার করেছি।
খানিক অফ হয়ে গেল।আমি দেখছিলাম ও কি বলে।
-বিশ্বাস হয়না। এই যুগে.........
-অনেকেরই হয়না। যা বলেছি তা সত্যি,মিথ্যা নয়। এছাড়া বললাম তো আমি ঐরকম না।
-ঠিকই ।তুমি কেমন জানি। বিয়ের রাতের কথা গুলো মনে আছে। অস্বাভাবিক।
রাগ উঠে গেল। বুঝলাম না, কেন? বোধয় আগের অভ্যাসটাই। মনে কষ্ট দেয়া।
-তোমার গুলো কি স্বাভাবিক ছিল? বা কারও জন্য? কি এগুলো? কথা না দলিল পত্র? আমি আরেকজন কে ভালবাসি। তোমার সাথে জড়াতে পারবনা......মা-বাবার চাপে বিয়ে করেছি..............................ব্লা ব্লা ব্লা
-আমি মানছি আমার ভুল হয়ে গেছে।আমি ভাবলাম এই যুগের ছেলে হয়ে তুমি বুঝবে। I am sorry. You don’t deserve this. I am really sorry.
সরে গেলাম ওখান থেকে।নিজের উপর নিজেরই খুব রাগ হচ্ছে। ও তো সব স্বীকার করেছিল। ঠিকই তো। লাইফ এ ভুল হতেই পারে। তাই বলে কি ভুল শুধরানো দরকার না।সকাল টাইদ মাটি করে দিলাম। সৈকতে যেতে হবে। আবেগটা লুকাতে হবে।বের হয়েও গেলাম। সৈকতের বালুতে বসে আকাশ দেখতে অনেক ভাল লাগে আমার। সবকিছু ভুলে থাকা যায়। সিগারেট ধরালাম একটা। ধোঁয়াগুলোর মধ্যেও ওকে দেখতে পেলাম। কাঁদছে। খুব মায়া হল। তাকে স্পর্শ করতে ইচ্ছা করছে। কান্না মুছে দিতে ইচ্ছা করছে।
-অর্ক
চমকে উঠলাম নীলা কে দেখে। কিন্তু কথা বললাম না। কিছু বেরুচ্ছে না।
-কিছু তো খাওনি। খাবেনা?
-ইয়ে মানে I am sorry. এই লাইন টাও মুখস্থ হয়ে গেছে বলতে বলতে।
-its ok. আসলে আমি তোমাকে হার্ট করেছি। you don’t deserve this.
-ভুলে যাও। দূর! তুমি খেয়েছ?
-না
-কেন? মানা করেছে কেউ? আমি তো করিনি।
যাক হাসল। হাসলে ওকে অদ্ভুত লাগে। বিশেষণের পুরো অধ্যায় টা তাকে দিয়ে দিলে কম হয়ে যায়। কিন্তু এই অধ্যায় টা হারিয়ে যাবে এক সময়।
দুই দিন পর বাসায় ফিরে এলাম। এরপর কর্মব্যাস্ততা ঘিরে ধরল। সারাদিন কাজ করার পর তার চেহারাটা দেখলে সব ক্লান্তি মুছে যায়। ভাবি ভালই যাচ্ছে আমার দিনকাল।নতুন ফ্ল্যাট ।আমি এক রুমে আর ও আরেক রুমে। শুধু খাওয়ার সময় তার সাথে দেখা হয়। ফরমাল কথাবার্তা। এই করে করে আজ পর্যন্ত কাটল ।একদিন অফিস থেকে এসে দেখলাম ও কাঁদছে।
-কি হয়েছে? কাদছ কেন জানতে পারি?
-তুমি কি কোনোদিন ফরমাল আচরন ছাড়া থাকতে পারনা। একটু সহজ হও। প্লিজ। একটু বুঝতে শেখ।
-আমি কি তোমাকে হার্ট করেছি?
-করনি। তাই তো অস্বাভাবিক লাগছে।
-ওকে। আমি ক্লান্ত। তোমার মাথা ঠাণ্ডা হলে আমাকে বলতে পার। আমি শাওয়ার নিতে যাচ্ছি।
-একটু বস। প্লিয।আমার তোমাকে খুব দরকার।আমি আর কাকে বলব বল।
something wrong. ওর এমন আচরনের সাথে আমি পরিচিত নই। কিছু একটা হয়েছে। পাশে গিয়ে বসলাম।
-বল কি হয়েছে।
-শাওন ফিরেছে। অস্ট্রেলিয়া থেকে।
-কে সে?
-আমার বয় ফ্রেন্ড ।তোমার মনে নেই?
কে যেন বুকের ভেতর আগুন ধরিয়ে দিল। বিকৃত মস্তিস্ক গুলো নড়তে শুরু করল। সব শেষ । আমার অতিথি এইবার ঘর ছাড়বে। কিন্তু ও কাঁদছে কেন?
- তোমার তো খুশি হওয়ার কথা। তুমি কাদছ কেন?
-তোমরা এমনই হউ। বুঝনা। ক্ষমতাই নেই। ও ও বুঝছেনা । বুঝেনিও কোনোদিন। আমি তো তার জন্য অপেক্ষা করেছি। করছিও। আর সে কিনা......
কান্নার জন্য ওর কথা আটকে জাচ্ছে।এক গ্লাস পানি দিলাম।
-কিছু বলেছে। আমি কথা বলি তার সাথে?
-লাভ নেই। its over. He is married now.
-what the……how? তুমি বলনি আমাদের মধ্যে কোনও.........
-বলেছে এত দিন একসাথে একি ছাদের নিচে you know. So he got married.
-oh my god.
বুঝতে পারছিলাম না। এক রকম মিশ্র অনুভুতি কাজ করছিল। ও খুব কষ্টে আছে। তা দেখে আমারও খুব কষ্ট হচ্ছে।কিভাবে সান্তনা দিব বুঝতে পারছিনা। ঐ ছেলেটার প্রতি খুব রাগ হল। বিশ্বাস যদি না রাখতে পারলি তাইলে প্রেম করলি কেন? কুত্তা। খুব ভেঙ্গে পরেছে ও। দুদিন ধরে কিচ্ছু খায়নি। জোর করব যে তার তো কোনও অধিকার নেই। আমরা তো.........হাহ হা হা হা
ঐ ঘটনার ৩ দিন পর.........
ঘুম থেকে উঠলাম।সব কাজ শেষে খাবার টেবিলে আসলাম। ও নেই। বুকের ভেতরটা অজানা আশংকা তে কেপে উঠল। রুমে ঢুকলাম। নেই ওখানে। বাথরুমে ঢুকব। ভয় হচ্ছে আবার বিব্রত লাগছে। সব চিন্তা ঝেড়ে ফেলে ঢুকলাম। গিয়ে যা দেখলাম।তা দেখে বিশ্বাস হচ্ছিল না। বাথ ট্যাব রক্তে লাল হয়ে আছে। পাশের ছুরিটা দেখে যা বুঝার বুঝে গেলাম। শার্ট টা খুলে জড়িয়ে নিলাম ওকে। এরপর ওকে কোলে করে নিয়ে বেডে শুইয়ে দিলাম। সবকিছু পরিক্ষা করতে লাগলাম পাগলের মত।।বাম হাত টা দিয়ে রক্ত যাচ্ছে। পরনের গেঞ্জিটা দিয়ে শক্ত করে বেধে ওকে হাসপাতালে নিয়ে এলাম। এত কিছু যখন ঘটল তখন ঘড়িতে সময় ৮ টা ৩০। তার মানে ৩০ মিনিট সময় গেছে। আর আমার কাছে এক যুগ মনে হয়েছে সময়টাকে। পুরো দিন হাসপাতালে অপেক্ষার পর বিকেলে ডাক্তার বলল, she is safe now. কিন্তু তার সাথে আপনার ব্যাবহার ভাল হওয়া উচিত। কি এমন হল যে সুইসাইড করতে চাইল?
-sorry doc.শুধু এটা জেনে রাখুন আমি তাকে কোনও কষ্ট দেইনি। is she able to talk?
-not yet. Pls take care of her।ওর আপনাকে ভীষণ প্রয়োজন।
এই বলে ডাক্তার চলে গেলেন।রাত টা ঘুমুতে পারিনি। সকালে উঠেই তার সাথে দেখা করতে গেলাম। ও জেগে আছে। আমার দিকে এক পলক দেখল আবার মুখ ফিরিয়ে নিল।
-nice try. আরেকটু ভাল হওয়া উচিত ছিল। এই ধর ফ্ল্যাটের ছাদ থেকে লাফ দিলে হয়ত......
-I am sorry.
কাদতে কাদতে বলল।
-কেমন আছ এখন?
-ভাল
-কিছু খাবা?
-বাসায় যাব?
-এইবার কি লাফ দিবা?
-হি হি হি। তুমি একটা...
-জানি। I am sorry.
-কেন?
-তোমার পরনে ঐটা আমার শার্ট।
-শার্ট মানে। আমিতো...।। oh my god
-চোখ বন্ধ ছিল আমার। প্রমিস।
এদিক ওদিক তাকালাম। লুকানোর আশায়। বৃথা গেল চেষ্টাটা।
-আমি ঠিক আছি এখন। বাসায় চল। তোমার হচ্ছে একটা বিহিত।
-তবে আমি তোমাকে এই যুগের হাল্কা মেয়েদের মতই ভাবছিলাম। ভাবিনাই যে এতটা করতে পার তুমি।
ও কিছু না বলে চুপ করে রইল। হাসপাতাল থেকে বাসায় আসলাম। জীবনে প্রথম কোনও মেয়ের এতোটা সেবা করেছি। খুব ভাল লাগছিল। ওকে খাইয়ে দেয়া। পোশাক পরিয়ে দেয়া। বলে বোঝানো সম্ভব নয় ওকে কতটা ভালবেসে ফেলেছি।খাইয়ে দেয়ার সময় চোখে চোখ পরে যায়। চট করে সরিয়ে নেই। যদি ও বুঝে ফেলে ।বুঝতে দেয়া যাবে না। কিছুদিন পর আমাদের বিয়ের এক বছর পূর্ণ হবে। ডিভোর্স নিতে হবে।
এমনই কথা ছিল।
-আমরা কি? অর্ক?
-মানে?
-আমাদের সম্পর্ক?
-বন্ধু। এই আপেল টা খাও । অফিস যেতে হবে। খারাপ লাগলে ফোন দিও। চলে আসব।
অফিস এ গেলাম। যথারীতি ফিরেও আসলাম কাজ শেষে ।
-এখন কেমন?
-ভাল । জান আমাদের বিয়ের এক বছর পূর্ণ হতে আর ৭ দিন বাকি।
- তাই। finally you are gonna be free.
-হা হা হা
-হাসছ কেন?
-কিছুনা। চল ডিনার করি
আজ থেকে ক্যালেন্ডারে দাগ দিয়ে রাখতে হবে। আর মাত্র কয়টা দিন পাব তাকে। ও আসছে। ডায়েরী টা লুকালাম। খেয়াল করল কিনা কে জানে।
- আমি তোমার সাথে শুতে পারি।
-আমার কিন্তু......
- ব্যাপার না। জানি।
-শুও তাহলে
আজ আর আমার ঘুম হবেনা। ওর ঘুম দেখা আমার কাছে নেশার মত।পাবই তো আর কয়টা দিন। নীলা তোমার নীল আকাশের মেঘ গুলো যদি একটু সরাতে। তাহলে দেখতে অনেক আলো অপেক্ষা করছে।
-good morning
-দেখে তো মনে হয়না তুমি ঘুমিয়েছ ।
-না ঘুমালাম তো।
-একটা প্রশ্ন করি? তুমি কি লিখ তোমার ঐ ডায়েরীটাতে
-কিছুনা। অখাদ্য লাগবে তোমার কাছে। শপিং করবা? টাকা রেখে গেলাম। বাহির থেকে ঘুরে আস। ভাল লাগবে।
-না আমার বাসায় থাকার প্ল্যান
- ওকে। আমি গেলাম।
অফিস থেকে ফিরে নিজের রুমে গিয়ে ফ্রেশ হলাম। ডয়ার এ ফোনটা রাখব এমন সময় পকেটে হাতড়ে চাবিটা পেলাম না। সব খানে খুজলাম। নেই। গেল, ডয়ার টা ভাঙতে হবে। নিলার ডাকে চমকে উঠলাম।
-কি খুজছ? এই নাও ডায়নিং টেবিলে ফেলে গেছ।
-থ্যাংকস
-এইটাও মনে হয় তোমার?
-what the hell ।ডায়েরীটাতে কিছুই নেই। বলছিলাম তোমাকে.........। আরে এমনি লিখতে ইচ্ছা হয়েছিল ...... ওকে ফাইন। কারও ডায়েরী পরা যে উচিত না তুমি জাননা? কেন ধরেছ? তোমরা মেয়েরা অতিরিক্ত কৌতূহলী।
-তুমি ধরা পড়ে গেছ।
-এইটা শুধুমাত্র একটা লেখা
-ক্যালেন্ডারের দাগ গুলা? তোমার কি মনে হয়, সন্দেহ হয়নি আমার? তুমি যখন হাসপাতালে নিতে গিয়েছিলে,তখনি ধরতে পেরেছি। সারা রাত ঘুমাও নি তুমি। বাথট্যাবে থাকা অবস্থায় আমি পুরপুরি বেহুশ হয়ে যায়নি। দেখেছি তুমি কতটা ব্যাকুল ছিলে। তোমার চোখে জল দেখে বিশ্বাস কর ঐ দিন আমার বাচতে ইচ্ছা করছিল। কারন আমি একজন কে ফেলে যাচ্ছিলাম
-আরে অদ্ভুত। তুমি মানসিক চাপে ছিলা। আর আমি তোমায় বাচাব না।
-you moron। আজকে ঘুমাওনি কেন? আমার ঘুম দেখবে বলে। একবার অন্তত বলতে পারতা তো......।। আমি বুঝতে পারিনি একটা মানুষ এতোটা ভালবাসতে পারে। শুধু এইটা বুঝেছিলাম। তুমি আমাকে কখনই বলতে না। তুমি খুব বাস্তববাদী। তুমি বলতে না।
সব ঠাণ্ডা হয়ে গেল। শুধু তার ফোঁপানোর শব্দ। কি করব বুঝতে পারছি না। কতক্ষণ বসে আছি জানিনা। ওর হাত টা ধরলাম।
-খাবে চল
-একটাবার তোমাকে জড়িয়ে ধরি
-জামার মাপ নিতে চাও? ঐটা তো জানাই আছে............।আউফ। চড়টা কিসের জন্য।
-এটা তোমার পাওনা ছিল। গাধা কোথাকার
মেয়েদের হাতে এত জোর জানাছিল না ।
২| ০৪ ঠা ডিসেম্বর, ২০১৪ বিকাল ৩:০২
কাল্পনিক_ভালোবাসা বলেছেন: অন্যরকম একটা গল্প। ভালোই লেগেছে।
৩| ০৪ ঠা ডিসেম্বর, ২০১৪ বিকাল ৩:২৬
ৎৎৎঘূৎৎ বলেছেন: ধন্যবাদ
ধূসরছায়া এবং কাল্পনিক_ভালোবাসা
অনুপ্রানিত
৪| ০৪ ঠা ডিসেম্বর, ২০১৪ বিকাল ৩:৩৩
একনীল বনসাই বলেছেন: নীলা তোমার নীল আকাশের মেঘ গুলো যদি একটু সরাতে। তাহলে দেখতে অনেক আলো অপেক্ষা করছে।
ভাল লেগেছে.
৫| ০৪ ঠা ডিসেম্বর, ২০১৪ বিকাল ৩:৩৬
ৎৎৎঘূৎৎ বলেছেন: ধন্যবাদ @বনসাই
৬| ০৪ ঠা ডিসেম্বর, ২০১৪ বিকাল ৩:৪৯
মেহেদী হাসান ভূঁঞা বলেছেন: ভাল হয়েছে....লেখায় +
৭| ০৪ ঠা ডিসেম্বর, ২০১৪ বিকাল ৫:১৩
ৎৎৎঘূৎৎ বলেছেন: ধন্যবাদ @মেহেদী হাসান ভূঁঞা
৮| ০৪ ঠা ডিসেম্বর, ২০১৪ সন্ধ্যা ৬:২২
সুমন কর বলেছেন: ভালো লাগল।
১৭ ই মার্চ, ২০১৫ সকাল ৮:১২
ৎৎৎঘূৎৎ বলেছেন: ধন্যবাদ। লেখাটি পড়ার জন্য
৯| ০৪ ঠা ডিসেম্বর, ২০১৪ রাত ৯:২৩
সাকিলা আক্তার বলেছেন: দারুণ লেখেন,পড়ে ভালো লাগলো।
১০| ০৪ ঠা ডিসেম্বর, ২০১৪ রাত ১০:১৬
রসায়ন বলেছেন: অসাধারণ লিখেছেন ।
১১| ০৪ ঠা ডিসেম্বর, ২০১৪ রাত ১০:২৯
এহসান সাবির বলেছেন: ভালো লেগেছে।
ছোট কিছু টাইপো আছেঠিক করে নিলে চমৎকার হবে।
যেমন-
তোমার পড়নে
এরপর ওকে কুলে করে নিয়ে বেডে শুয়ালাম
শুভ কামনা।
১২| ০৪ ঠা ডিসেম্বর, ২০১৪ রাত ১১:৪৪
সুলতানা সাদিয়া বলেছেন: ঝরঝরে ভাষা। ভাল লাগা রইল। টাইপোগুলো সেরে নিন।
১৩| ০৫ ই ডিসেম্বর, ২০১৪ ভোর ৫:৩৪
অশ্রুত প্রহর বলেছেন: গল্পটি পড়ে খারাপ লাগল না। :-)
১৪| ০৫ ই ডিসেম্বর, ২০১৪ রাত ১০:১৯
ৎৎৎঘূৎৎ বলেছেন: দুর্ভাগ্যবশত খারাপ না লাগার জন্য এটি একটি ব্যার্থ প্রয়াস
১৫| ০৫ ই ডিসেম্বর, ২০১৪ রাত ১০:৫০
কলমের কালি শেষ বলেছেন: মিষ্টি ঘরনার গল্প বেশ লাগলো ।
১৬| ০৬ ই ডিসেম্বর, ২০১৪ বিকাল ৩:০৬
শান্তির দেবদূত বলেছেন: চমৎকার গল্প। একটানে পড়ে গেছি, এমনি মোজে গিয়েছিলাম। কাহিনীতে যদিও নতুনত্ব নেই তবে আপনার সাবলিল লেখনশৈলীর কারনে সে অভাব কেটে গেছে। আর একটা ছোট্ট পর্যবেক্ষণ, ইদানিং অনেকের লেখায়ই দেখি অর্ক, নীলা এই নামদুটি ঘুরেফিরে আসছে। গল্পের চরিত্রে এই কমন নামগুলোকে কম ব্যবহার করলেঈ মনে হয় ভালো।
অনেক শুভেচ্ছা রইল। আরও লিখুন।
১৭| ০৬ ই ডিসেম্বর, ২০১৪ সন্ধ্যা ৭:৪৭
ৎৎৎঘূৎৎ বলেছেন: এটা আমার ২ বছর আগের লেখা। এতদিন পর ব্লগে সেফ হইলাম। ভাবলাম লেখাটা পোস্ট করি। চরিত্রায়ন পুরানো।
১৮| ১০ ই ডিসেম্বর, ২০১৪ রাত ১১:৪২
ডি মুন বলেছেন:
মিষ্টি করে লেখা।
ভালো লাগল।
টাইপোগুলো ঠিক করে নিলে আরো সুন্দর হবে লেখাটা।
+++
আরো সুন্দর সুন্দর লেখা উপহার দিন আমাদেরকে।
শুভকামনা রইল
ভালো থাকুন।
১৯| ১২ ই ডিসেম্বর, ২০১৪ দুপুর ২:৪১
ৎৎৎঘূৎৎ বলেছেন: ধন্যবাদ ।
২০| ০৯ ই জানুয়ারি, ২০১৫ সন্ধ্যা ৬:১৯
আমি অথবা অন্য কেউ বলেছেন: দারুন লাগলো। ++
২১| ২৩ শে জানুয়ারি, ২০১৫ সকাল ৮:১৫
ৎৎৎঘূৎৎ বলেছেন: ধন্যবাদ
২২| ২৮ শে জানুয়ারি, ২০১৫ দুপুর ১২:৩২
আরজু পনি বলেছেন:
লেখাটি গতকাল অফলাইনে পড়েছিলাম । বেশ ভালো লেগেছিল ।
তাই আজ লাইক বাটন চেপে ভালো লাগা নিশ্চিত করলাম ।
অনেক শুভকামনা রইল আপনার জন্যে ।
তবে নিকটি কেমন যেন পড়তে কষ্ট হয় !
২৩| ২৯ শে জানুয়ারি, ২০১৫ রাত ১:২৮
ৎৎৎঘূৎৎ বলেছেন: নিক টি ছোট বেলার পড়া ভুতের গল্পের একটি ভুতের নামে দেয়া
আন্তরিক ধন্যবাদ আপনাকে আমার লেখা পড়ার জন্য।
২৪| ০১ লা মার্চ, ২০১৫ সন্ধ্যা ৭:১০
আরণ্যক রাখাল বলেছেন: একটা সিনেমা দেখলাম যেন| সুখপাঠ্য| আপনার ভাষাতো অতুলনীয়| সাধারণ প্লটও তাই অসাধারণ একটা রুপ পেয়েছে| অপ টপিক:- প্রত্যেক মন্তব্যের ডানে কয়েকটা চিহ্ন আছে যাদের সর্বডানেরটায় ক্লিক করলে একটা বক্স আসবে| যেখানে লিখলে কমেন্টকারীর কাছে প্রতিউত্তরের নটিফিকেসন চলে যাবে
০৫ ই মার্চ, ২০১৫ রাত ৮:৩২
ৎৎৎঘূৎৎ বলেছেন: ধন্যবাদ আমার লেখাটি আন্তরিকভাবে সহ্য করার জন্য। এবং আরেকটিবার ধন্যবাদ দিতে হয় আমার কাছে ব্যাপারটা নতুন। কিংবা বলতে পারি চোখ এড়িয়ে গেছে
২৫| ০১ লা মার্চ, ২০১৫ সন্ধ্যা ৭:১৪
আরণ্যক রাখাল বলেছেন: দুঃখিত সবচেয়ে ডানের চিহ্নটা নয় বামেরটা অনেকটা বাঁকাতীর চিহ্নটা
২৬| ১৬ ই মার্চ, ২০১৫ রাত ৮:২৮
প্রোফেসর শঙ্কু বলেছেন: চমৎকার লেখা! আমি অবাক হয়েছি লেখার মাঝে চরিত্রগুলোর কথা পড়তে স্বাভাবিক, একেবারে বাস্তব লাগছিল।
উপভোগ করলাম।
১৭ ই মার্চ, ২০১৫ সকাল ৮:১৮
ৎৎৎঘূৎৎ বলেছেন: অনুপ্রানিত।আমার লেখাটি আপনার উপভোগ্য লাগল জেনে ভাল লাগছে। আন্তরিক ধন্যবাদ জানবেন।
২৭| ০৭ ই জুলাই, ২০১৫ বিকাল ৪:১৩
প্রোফেসর শঙ্কু বলেছেন: নতুন কিছু লিখুন। দুই বছরের পুরান লেখা দিয়ে চলবে না আর
২৮| ০৪ ঠা আগস্ট, ২০১৫ দুপুর ১২:২৫
ৎৎৎঘূৎৎ বলেছেন: পরীক্ষার কারনে ব্লগে ঢুকা হয়নি। আর আপনাদের লেখা পড়েই আমার তৃপ্তি। আমি লেখক নই। শুধু মাত্র মনের মত প্লটের লেখা না পেলেই নিজের মত করে কিছু লিখে আবার পড়ি। ভাল লাগে। আপনি আমার লেখার অপেক্ষা করছেন মনে হতেই বিব্রত লাগছে। আমি সত্যি লেখক নই। পাঠক। আন্তরিক ধন্যবাদ।
২৯| ২৫ শে আগস্ট, ২০১৫ বিকাল ৫:৪৭
বলাকা মন বলেছেন: দারুন গল্প
৩০| ২৫ শে আগস্ট, ২০১৫ সন্ধ্যা ৬:০৬
বঙ্গভূমির রঙ্গমেলায় বলেছেন:
গল্প পাঠে মুগ্ধতা!!!
নতুন লিখা দিচ্ছেন না কেন?
৩১| ২৯ শে আগস্ট, ২০১৫ সকাল ১১:৩৪
শায়মা বলেছেন: আর লেখোনা কেনো ভাইয়া!!!!!!!!
এত্ত চুপচাপ বসে আছো!!!!!!!!!!!
৩২| ০৯ ই ডিসেম্বর, ২০১৫ দুপুর ১২:২১
অপর্ণা মম্ময় বলেছেন: বিয়ের পরের লাভ স্টোরি। ভালো লাগলো পড়তে
৩৩| ২৫ শে ডিসেম্বর, ২০১৫ সকাল ১০:৫৭
ৎৎৎঘূৎৎ বলেছেন: ধন্যবাদ আপনাকে
৩৪| ২৬ শে ডিসেম্বর, ২০১৫ ভোর ৪:১৩
রুদ্র জাহেদ বলেছেন: অপর্ণা মম্ময় বলেছেন: বিয়ের পরের লাভ স্টোরি। ভালো লাগলো পড়তে
দারুণ লাগলো
+++
০৪ ঠা জানুয়ারি, ২০১৬ সকাল ৯:০৪
ৎৎৎঘূৎৎ বলেছেন: ধন্যবাদ আপনাকে
©somewhere in net ltd.
১| ০৪ ঠা ডিসেম্বর, ২০১৪ দুপুর ২:৫৯
ধূসরছায়া বলেছেন: যদিও বাস্তবতা জিনিসটা অন্য রকম, তবু খুব ভালো লেগেছে। দারুন আর দুর্দান্ত ভালোবাসার গল্প...