নির্বাচিত পোস্ট | লগইন | রেজিস্ট্রেশন করুন | রিফ্রেস |
ছবি -নেট থেকে
মূল কথা দিয়ে শুরু করি(সরকারি কর্মচারী সাহেব দের জন্য মেগা প্রকল্প) :-
বাংলাদেশে মোট সরকারি কর্মচারী সাহেবদের সংখ্যা (ছোটলোকের ভাষায় চাকর বলে) সংখ্যা ২০ লক্ষ। ২০ লক্ষ সরকারের কর্মচারীর বেতন দেয় জনগণ ,কর্মচারীরা বেতন পায় দেশের সেবা করার জন্য ,দেশের মানুষের সেবার জন্য নয়। তার আরো একটি প্রমান দিতে তৈরী হচ্ছে মেগা সরকারি কর্মচারী উন্নয়ন মডেল প্রকল্প।
বাংলাদেশ সরকার ঘোষণা দিয়েছে যে, সরকারি কর্মকর্তা-কর্মচারীদের জন্য আট বিভাগীয় শহরে আটটি নতুন সরকারি কর্মচারী হাসপাতাল হচ্ছে। সেখানে শুধুমাত্র সরকারি কর্মকর্তা-কর্মচারী এবং তাদের পরিবারের লোকজন চিকিৎসা নিতে পারবেন।
ইতিমধ্যে ঢাকার ফুলবাড়ীয়ায় ঢাকা মেডিকেল কলেজ হাসপাতালের খুব কাছেই সরকারি কর্মচারী হাসপাতাল আরেকটি হাসপাতাল আছে। এ আবার কি? সরকারি কর্মচারী কর্মকর্তা না হলে আপনি ওই হাসপাতালে ভর্তি হতে পারবেন না। চিকিৎসা নিতে পারবেন না।
সংবিধানের কোন ধারায় এর ব্যাখ্যা আছে কি ,নেই
নিরাপত্তা এবং ট্রেনিং জনিত কারণে মিলিটারি, পুলিশ বা বিডিআর হাসপাতাল করার যৌক্তিকতা আছে,সরকারি কর্মচারী কর্মকর্তাদের জন্য আলাদা হাসপাতাল করার নৈতিক অধিকার কি সরকারের আছে?
সরকারি কর্মকর্তা-কর্মচারী হলে আপনাদের অনেক সুবিধা আছে। আমরা সেই সুবিধা নিয়ে প্রশ্ন তুলি না। সরকার তার অধীনে কাজ করা কর্মচারী, কর্মকর্তাদের একটু আধটু সুবিধা দিতেই পারে। তাই বলে তাদের জন্য আলাদা হাসপাতাল।?
এই বিশেষ সুবিধা দেয়ার জন্য যে টাকার প্রয়োজন সে টাকা দিচ্ছে কারা?
সে টাকা দিচ্ছে দেশের সাধারণ জনগণ। ইনকাম ট্যাক্স, VAT আর বিভিন্ন নামে বেনামে আরোপ করা শুল্ক'র টাকা দিচ্ছে কারা? সেখানে কি সরকারি-বেসরকারি বিভাজন করা আছে? টাকাগুলো কি সবার কাছ থেকে নিচ্ছেন না? তাহলে সেই টাকা থেকে কেন সরকারি কর্মচারী, কর্মকর্তাদের বিশেষ সুবিধা দেবেন? বিশেষ করে সেই সুবিধা যদি হয় স্বাস্থ্য সেবা নিতে। পৃথিবীর কোথাও কি এই অদ্ভুত ব্যবস্থা আছে বলে মনে হয় না।
অবৈধ পথে উপার্জন করি সরকারের নিম্নস্তরের কর্মচারীরা (ব্যাতিক্রম আছে )
ঢাকার প্রাইভেট হাসপাতালে চিকিৎসা খরচ বহন করা মামুলি ব্যাপার। তাদের সঞ্চয় মাঝেমাঝে মিডিয়ায় প্রকাশ পায় ,তারাতো নিরীহ নয় ,নিরীহ হলো খেতে খাওয়া শ্রমম,কৃষক,রিকশাওয়ালারা। আলাদা হাসপাতাল সবার আগে তাদের প্রয়োজন সরকারের কর্মচারীদের দাপটে তারা সরকারের হাসপাতালেই সহজে প্রবেশ করতে পারেনা
[বঙ্গবন্ধু বলেছিলেন -আপনাদের কাছে আমার জিজ্ঞাসা, শিক্ষিত ভাইয়েরা যে আপনার লেখা পড়ার খরচ দিয়েছে তা শুধু আপনার সংসার দেখার জন্য নয়। আপনার ছেলেমেয়েদের দেখার জন্য নয়। দিয়েছে, তাদের জন্য আপনি কাজ করবেন, তাদের সেবা করবেন বলে। তাদের আপনি কি দিয়েছেন? কি ফেরত দিয়েছেন, কতটুকু দিচ্ছেন? তার টাকায় ইনজিনীয়ার সাহেব, তার টাকায় ডাক্তার সাহেব, তার টাকায় অফিসার সাহেব, তার টাকায় রাজনীতিবিদ সাহেব, তার টাকায় মেম্বার সাহেব]
১৬ ই এপ্রিল, ২০২২ সন্ধ্যা ৭:০৯
প্রতিদিন বাংলা বলেছেন: ধন্যবাদ ,
কদিন পরে তো গণপরিবহনে আলাদা সিট বসাবে
২| ১৬ ই এপ্রিল, ২০২২ বিকাল ৫:০১
রাজীব নুর বলেছেন: সরকার চায় সরকারী লোকদের খুশি রাখতে। এটা একটা পলিটিক্স।
১৬ ই এপ্রিল, ২০২২ সন্ধ্যা ৭:০৭
প্রতিদিন বাংলা বলেছেন: ধন্যবাদ
তাতো বলার অপেক্ষা রাখেন ,তাই বলে -
ভারসাম্য বলেতো কিছু আছে !
৩| ১৬ ই এপ্রিল, ২০২২ বিকাল ৫:৪০
শূন্য সারমর্ম বলেছেন:
সরকারী কর্মচারী-কর্মকর্তা সোনার হরিণ।
১৬ ই এপ্রিল, ২০২২ সন্ধ্যা ৭:১২
প্রতিদিন বাংলা বলেছেন:
ধন্যবাদ ,
এমনিতেই কাঁচা বাজারে তাদের গরমে পণ্য কেনাই দায়
৪| ১৬ ই এপ্রিল, ২০২২ রাত ৮:০৮
আহমেদ জী এস বলেছেন: প্রতিদিন বাংলা,
গণপ্রজাতন্ত্রী বাংলাদেশের সংবিধানের দ্বিতীয় ভাগে "রাষ্ট্র পরিচালনার মূলনীতি" অংশের ধারা ১৯৷ (১)তে বলা আছে - সকল নাগরিকের জন্য সুযোগের সমতা নিশ্চিত করিতে রাষ্ট্র সচেষ্ট হইবেন৷
১৬ ই এপ্রিল, ২০২২ রাত ৯:৫৫
প্রতিদিন বাংলা বলেছেন: ধন্যবাদ ,
জানা হলো ধারা।
তবে বর্তমান রাষ্ট্র পরিচালনার মূলনীতি;-
রাষ্ট্র পরিচালকরা করবে রাষ্ট্রের চাকরদের ভিআইপি সুযোগ নিশ্চিত।
আর চাকুরেরা নিশ্চিত রাখবে রাষ্ট্র পরিচালকদের গদি ।
নাগরিকেরা নিশ্চিত করবে চাকরদের বেতন ভাতা।
©somewhere in net ltd.
১| ১৬ ই এপ্রিল, ২০২২ বিকাল ৪:২১
মরুভূমির জলদস্যু বলেছেন: আরো কতো কি দেখার বাকি