নির্বাচিত পোস্ট | লগইন | রেজিস্ট্রেশন করুন | রিফ্রেস |
অবিশ্বাসীর বা তাদের সমস্টিডের অবান্তর প্রলাপ (প্রশ্ন নয় )
"সৃষ্টিকর্তাকে কে সৃষ্টি করেছে (নাউযুবিল্লাহ) !?"
..........।
সৃষ্টি বলতে আমরা বুঝি যা আগে থেকেই ছিল বা আছে বিশ্বে।
যেমন মানুষ ,গাছ ,পানি ,বাতাস ইত্যাদি। কোনো সৃষ্টি,অন্য কোনো কিছু সৃষ্টি করতে পারে না।
কোনো সৃষ্টি,শুধু অন্য সৃষ্টির রূপান্তর করতে পারে , বা বিভিন্ন সৃষ্টির রূপান্তরের মাদ্ধমে কোনো কিছু তৈরী করতে পারে।
এখন প্রশ্ন ,সৃষ্টিকে কে সৃষ্টি করেছে ? উত্তর হবে - সৃষ্টিকে, সৃষ্টিকর্তা সৃষ্টি করেছে। সৃষ্টিকর্তা হলেন আল্লাহ। অর্থাৎ আল্লাহ স্রষ্টা।
এখন আবার প্রশ্ন - সৃষ্টিকর্তাকে কে সৃষ্টি করেছে (নাউযুবিল্লাহ) !?
উত্তর -
সৃষ্টি`র ধ্বংস নাই,রূপান্তর আছে
সৃষ্টির স্রষ্টা হয় স্রষ্টা সৃষ্টির নয়
অর্থাৎ এর পর কোনো প্রশ্ন হয়না এবং নেই তার পরেও প্রশ্ন যারা করতে চায় ,তাদের কাছেই সেই উত্তর আছে। যেমন -প্রশ্ন কর্তা পৃথিবীতে কিভাবে এলো?উত্তর হবে ,প্রশ্ন কর্তার পিতামাতার মাদ্ধমে আবার প্রশ্ন কর্তার পিতামাতা পৃথিবীতে কিভাবে এলো ? উত্তর হবে - চলবে। .......এবং স্রষ্টায় গিয়ে প্রশ্ন শেষ।
আমি যা বুঝি বললাম ,ভুল হলে ধরিয়ে দেবেন। আল্লাহু আকবর।
০৯ ই মার্চ, ২০২২ রাত ১১:৩৫
প্রতিদিন বাংলা বলেছেন: ধন্যবাদ।
দারুন সবতথ্ জানালেন যা কোরান বলেছে।
আমি বলতে চাইছি -
যারা নাস্তিক(নাস্তিক বলে কিছু নেই ,সবাই সৃষ্টি করতে বিশ্বাস করে শুধু নাম ভিন্ন ) সাজতে গিয়ে যে প্রশ্ন টা করে -
সৃষ্টিকর্তাকে কে সৃষ্টি করেছে (নাউযুবিল্লাহ) !?
তাদের জন্য একবাককে উত্তর -
সৃষ্টির স্রষ্টা হয় স্রষ্টা সৃষ্টির নয়
ঠিক বললাম কি ?
২| ১০ ই মার্চ, ২০২২ রাত ১:০১
রাজীব নুর বলেছেন: এই পোষ্টে আমি কোনো মন্তব্য করবো না।
১০ ই মার্চ, ২০২২ ভোর ৬:১১
প্রতিদিন বাংলা বলেছেন: ধন্যবাদ।
সহমত ই মন্তব্য
৩| ১০ ই মার্চ, ২০২২ রাত ৩:২৯
সোনাগাজী বলেছেন:
এগুলোর উপর লেখার মতো হাত আপনার নেই, মনে হয়।
১০ ই মার্চ, ২০২২ ভোর ৬:১৩
প্রতিদিন বাংলা বলেছেন: ধন্যবাদ।
বাস্তব সত্য ,তাইতো চেষ্টায়
©somewhere in net ltd.
১| ০৯ ই মার্চ, ২০২২ রাত ১০:৪৮
মহাজাগতিক চিন্তা বলেছেন:
কোন যুক্তিতে আল্লাহকে অস্বীকার করা যায় না
সূরাঃ ২ বাকারা ১১৭ নং আয়াতের অনুবাদ-
১১৭। আকাশ মন্ডলী ও পৃথিবীর দৃষ্টান্ত বিহীন নতুন স্রষ্টা। আর যখন তিনি কোন কিছু করতে সিদ্ধান্ত করেন তখন উহার জন্য শুধু বলেন ‘হও’ আর উহা হয়ে যায়।
সহিহ মুসলিম, ২৫০ নং হাদিসের (কিতাবুল ঈমান) অনুবাদ-
২৫০। হযরত আনাস ইবনে মালিক (রা.)কর্তৃক বর্ণিত। রাসূলুল্লাহ (সা.) বলেন, মহান পরাক্রমশালী আল্লাহ বলেন, তোমার উম্মত হঠাৎ এ ধরনের কথা বলবে। যেমন তারা বলবে, আল্লাহ প্রত্যেকটি বস্তুকে সৃষ্টি করেছেন, কিন্তু তাঁকে কে সৃষ্টি করেছে?
# এমনি এমনি হওয়া যুক্তি
* আল্লাহ এমনি এমনি হয়েছেন, সুতরাং সব কিছু এমনি এমনি হয়েছে – এ যুক্তি সঠিক নয়। কারণ আল্লাহ এবং অন্য সব কিছু এক রকম নয়। অন্য সব কিছু সসীম এবং আল্লাহ অসীম। সসীমের সীমা আছে, অসীমের সীমা নেই।সসীমের সীমা থাকায় এর আগে এর সীমা দাতা থাকতে হবে। কিন্তু অসীমের সীমা না থাকায় এর আগে এর সীমা দাতা থাকার দরকার নেই। অসীম নিজেকে একা দেখে আর কিছু নেই এটা দেখতে পারেন। কিন্তু সসীম কখনই একা থাকবে না। কারণ সসীমের আগেই অসীম থাকবেন। এমন বাস্তব ঘটনা মহাজগতের শুরুতে ঘটেছিল।
সূরাঃ ১১২ ইখলাস, ১ নং আয়াতের অনুবাদ-
১। বল, তিনি আল্লাহ, এক-অদ্বিতীয়।
* আল্লাহ দেখেছেন তিনি এক, একা। আর কিছু নেই। যে এটা অস্বীকার করে সে কি দেখেছে যে তখন আল্লাহ ছাড়া আর কিছু ছিল? সুতরাং যে আল্লাহকে একাধীক বলে সে মিথ্যাবাদী। একাধীক অসীম একত্রে থাকা সম্ভব নয়। কারণ অসীম একাধীক হতে এর সীমা লাগবে। আর সীমা দিলে অসীম আর অসীম থাকে না। সুতরাং অসীম যত হবে তত অসীম একত্রে মিলে গিয়ে অসীম এক, একক থাকবেন।
সূরাঃ ১১২ ইখলাস, ২ নং আয়াতের অনুবাদ-
২। আল্লাহ অমুখাপেক্ষী।
* আল্লাহ অমুখাপেক্ষী। কারণ তিনি নিরভাব। কারণ তিনি অসীম। তাঁর সত্ত্বায় সব কিছু অসীম মাত্রায় থাকায় তাঁকে কোন কিছুর জন্য অভাব করতে হয় না। আর সেজন্য তিনি অমুখাপেক্ষী তথা অসীম।
সূরাঃ ১১২ ইখলাস, ৩ নং আয়াতের অনুবাদ-
৩। তাঁর কোন সন্তান নেই এবং তিনিও কারো সন্তান নন।
সূরাঃ ৬ আনআম, ১০১ নং আয়াতের অনুবাদ-
১০১। তিনি আসমান ও জমিনের দৃষ্টান্ত বিহীন নতুন স্রষ্টা, তাঁর সন্তান হবে কিরূপে? তাঁর তো কোন স্ত্রী নেই। তিনিতো সব কিছু সৃষ্টি করেছেন।আর সব কিছু সম্পর্কে তিনি জানেন।
* আল্লাহ একা ছিলেন বলে তাঁর স্ত্রী ছিল না। তিনি অমুখাপেক্ষী বলে তিনি স্ত্রীর মুখাপেক্ষী ছিলেন না। সেজন্য তিনি নিজের জন্য স্ত্রী সৃষ্টি করেননি। কিন্তু তিনি সৃষ্টিকে স্ত্রীর মুখাপেক্ষী করেছেন বিধায় তাঁর সৃষ্টির স্ত্রী আছে। আর স্ত্রী না থাকায় আল্লাহর কোন সন্তান নেই। আর আল্লাহ কারো সন্তান হলে তাঁর পূর্বে তাঁর পিতা-মাতা থাকার দরকার ছিল। কিন্তু আল্লাহর পূর্বে কিছুই না থাকায় তাঁর পিতা-মাতা ছিল না। আর সেজন্যই তিনি কারো সন্তান নন।
যারা বলে এমনি এমনি সব হয়েছে বলে আল্লাহ বলতে কিছুই নেই, তারা এটা কি কথা বলে? এমনি এমনি হওয়া আইনে সব কিছুর হওয়ার বিধান থাকলেও আল্লাহর এমনি এমনি হওয়া নিষিদ্ধ নাকি? এটা তবে কেমন আইন? আইন তো সবার জন্য সমান। তাহলে এমনি এমনি হওয়া আইনে আল্লাহকে কিভাবে অস্বীকার করা যায়? সুতরাং এমনি এমনি হওয়া আইনেও আল্লাহকে অস্বীকার করা যায় না, বরং সেই আইনেও যে কেউ আল্লাহকে স্বীকার করতে বাধ্য। কারণ এমনি এমনি হওয়া আইনে বস্তুর আগে শক্তি হবে। তারপর ক্ষুদ্র শক্তি বিবর্তিত হয়ে বৃহৎ শক্তি হবে। তারপর বৃহৎশক্তি বিবর্তিত হয়ে সর্বশক্তিমাণ হবেন অন্য কোন কিছু হওয়ার আগেই। আর সেজন্যই আল্লাহ দেখেছেন তিনি এক, একা ও অসীম। তারপর আর সব কিছু কি এমনি এমনি হবে? না তা’ হবে না। কারণ অন্য আর সব সসীম। তাদের হতে আল্লাহকে তাদের সীমা দিতে হবে। তারপর তাদেরকে ‘হও’ বলতে হবে। তারপর তারা হবে। সসীমের হওয়ার এটাই নিয়ম। প্রোগ্রামার প্রোগ্রামের সব লিমিট দেন, তারপর ডান কমান্ড দেন। তারপর প্রোগাম হয়। প্রোগ্রাম হওয়ার এটাই নিয়ম। কিছু নিয়ম আছে যা চিরন্তন সত্য। সসীমের হওয়ার এ নিয়মও চিরন্তন সত্য। এজন্য আল্লাহ সব কিছুর সৃষ্টিকর্তা। আল্লাহ যা সৃষ্টি করেছেন সে সব আবার অন্য কেউ সৃষ্টি করতে পারে না। কারণ অন্য কেউ আল্লাহর মত সর্বশক্তিমান নয়। সৃষ্টির ক্ষেত্রে আল্লাহ অমুখাপেক্ষী হলেও সৃষ্টির ক্ষেত্রে অন্যরা আল্লাহ প্রদত্ত বুদ্ধি খরচ করে।সেজন্য আল্লাহর মত সৃষ্টিকর্তা কেউ নেই।
# বিবর্তন যুক্তি
বস্তু বিবর্তনের আগে এটা হতে হবে। কিন্তু বস্তুর আগে শক্তি হবে। কারণ বস্তু থেকে এর গতি অত্যাধিক বেশী। শক্তি হয়ে এটা বিতর্তিত হয়ে ক্ষুদ্র শক্তি থেকে বৃহৎ শক্তি হয়ে সর্বশক্তিমান হবেন বস্তু হওয়ার আগেই। বস্তু সসীম বিধায় এটা আগে সীমার অপেক্ষায় থাকবে। তারপর এটা হওয়ার আদেশের অপেক্ষায় থাকবে। বীগ ব্যাং ঘটিয়েছেন সর্ব শক্তিমান। কারন এত্তবড় কান্ড এমনি এমনি হবার নয়।
সূরাঃ ২১ আম্বিয়া, ৩০ নং আয়াতের অনুবাদ-
৩০। যারা কুফুরী করে তারা কি ভেবে দেখে না যে, আকাশমন্ডলী ও পৃথিবী মিশেছিল ওতপ্রতভাবে। অতঃপর আমি উভয়কে পৃথক করে দিয়েছি। আর প্রাণবান সব কিছু সৃষ্টি করেছি পানি হতে। তথাপি কি তারা ঈমান আনবে না?
* বীগ ব্যাং এমনি এমনি হলে যাতে বীগ ব্যাং হলো তা’ কোথা হতে এলো? সুতরাং বীগ ব্যাং দিয়েও আল্লাহকে অস্বীকার করা যায় না, বরং মহাবিস্ফোরণে মহাশক্তির প্রয়োজন হিসাবে সে ক্ষেত্রেও আল্লাহকে স্বীকার করতে হয়।
সূরাঃ ২ বাকারা ১১৭ নং আয়াতের অনুবাদ-
১১৭। আকাশ মন্ডলী ও পৃথিবীর দৃষ্টান্ত বিহীন নতুন স্রষ্টা। আর যখন তিনি কোন কিছু করতে সিদ্ধান্ত করেন তখন উহার জন্য শুধু বলেন ‘হও’ আর উহা হয়ে যায়।
* এমনি এমনি কি হবে সেটা ঠিক করে দিলেন আল্লাহ। তারপর তিনি ‘হও’ বলার পর সেটা হলে, সেটা আর এমনি এমনি কেমন করে হলো? সে জন্য সবাইকে আল্লাহকে যৌক্তিকভাবে অবশ্যই স্বীকার করতে হবে। আর কোন যুক্তি ছাড়া কেউ গায়ের জোরে আল্লাহকে অস্বীকার করলে আল্লাহ তার থেকে কড়ায়-গন্ডায় এর হিসাব নিবেন। আল্লাহর সাথে বেয়াদবীর ফল কারো জন্য মঙ্গল জনক হবে না। আল্লাহ তাকে সময় দিচ্ছেন, তাকে সুখে রাখছেন এবং দেখছেন সে সংশোধন হয় কিনা। তথাপি সে সংশোধন না হলে তার জন্য দয়া দেখানোর আর কোন পথ থাকবে না।