নির্বাচিত পোস্ট | লগইন | রেজিস্ট্রেশন করুন | রিফ্রেস

চাহিদা আমৃত্যু পূর্ন হবেনা জেনেও নিজ স্বার্থে মানবতার মুখোশ খুলে ফেলি। ভুলে যাই -মৃত্যুর আয়োজনই জীবন https://innalillahi.com/ pitamata.com/ bddesh.com/ ..

প্রতিদিন বাংলা

প্রতিদিনবাংলা

প্রতিদিন বাংলা › বিস্তারিত পোস্টঃ

"বাংলাদেশ ছাত্রলীগ" জাতীয় অধিকার আদায় মঞ্চ ( ছিলো!?)

০৪ ঠা জানুয়ারি, ২০২২ বিকাল ৫:৩৬

১৯৪৯ সালে তৎকালীন পাকিস্তানের প্রথম বিরোধী দল হিসাবে ‘আওয়ামী মুসলিম লীগে’র আত্মপ্রকাশ ঘটে, যা পরে আওয়ামী লীগ নাম ধারণ করে।
তার আগেই - ১৯৪৮ সালের ৪ জানুয়ারি বঙ্গবন্ধু শেখ মুজিবুর রহমানবাং লাদেশ ছাত্রলীগ সংগঠনটি প্রতিষ্ঠা করেন। তাঁর নেতৃত্বেই ওই দিন ঢাকা বিশ্ববিদ্যালয়ের ফজলুল হক হলে আনুষ্ঠানিকভাবে এর যাত্রা শুরু হয়। তৎকালীন তরুণ নেতা শেখ মুজিবুর রহমানের প্রেরণা ও পৃষ্ঠপোষকতায় এক ঝাঁক মেধাবী তরুণের উদ্যোগে সেদিন যাত্রা শুরু করে ছাত্রলীগ।

দেশের সবচেয়ে প্রাচীন ও ঐতিহ্যবাহী সংগঠন বাংলাদেশ ছাত্রলীগের ৭৪তম প্রতিষ্ঠাবার্ষিকী আজ। বাংলা ও বাঙালীর স্বাধীনতা ও স্বাধিকার অর্জনের লক্ষ্যেই মূল দল আওয়ামী লীগের জন্মের এক বছর আগেই প্রতিষ্ঠা পেয়েছিল গৌরব ও ঐতিহ্যের এ ছাত্র সংগঠনটি।
অবিভক্ত পাকিস্তানের সর্বপ্রথম ছাত্র সংগঠন এটি। পূর্ব পাকিস্তান মুসলিম ছাত্রলীগ নামে যাত্রা শুরু এই সংগঠনটির। বাংলাদেশ স্বাধীন হওয়ার পর এর নাম হয় বাংলাদেশ ছাত্রলীগ। ১৯৪৯ সালের ২৩শে জুন আওয়ামী মুসলিম লীগ গঠিত হয়। পরবর্তীতে দলে সাম্প্রদায়িক বিতর্ক এড়িয়ে চলতে ১৯৫৫ সালে দলের নাম থেকে মুসলিম শব্দটি বাদ দিয়ে নামকরণ করা হয় পূর্ব পাকিস্তান আওয়ামী লীগ। সাম্প্রদায়িক অভিযোগ থেকে রক্ষা পেতে একই সাথে ছাত্রলীগের নামেও পরিবর্তন আসে, ছাত্রলীগের নাম হয় ‘পূর্ব পাকিস্তান ছাত্রলীগ’।
বাংলাদেশের ছাত্রসমাজের এই সংগঠনের নাম “বাংলাদেশ ছাত্রলীগ” ও ইংরেজিতে “Bangladesh Students League”, সংক্ষেপে বাংলায় ছাত্রলীগ নামে ও ইংরেজিতে “BSL” নামে অভিহিত করা হয়।

স্বাধীনতা যুদ্ধে ছাত্রলীগের নেতৃত্বে মুজিব বাহিনী গঠিত হয়। স্বাধীনতার পর দলের নামেও পরিবর্তন আসে । ছাত্র লীগের নাম হয় বাংলাদেশ ছাত্রলীগ।
বাংলাদেশ ছাত্রলীগ ১৯৫২ সালের ভাষা আন্দোলন, ১৯৬২ এর শিক্ষা কমিশন আন্দোলন, ১৯৬৬ সালের ছয় দফা আন্দোলন, ১৯৬৯ সালের গণঅভ্যুত্থান এবং এগারো দফা আন্দোলন, বাংলাদেশের স্বাধীনতা যুদ্ধসহ বিভিন্ন রাষ্ট্রীয় স্বাধিকার আন্দোলনে অংশগ্রহণ করে।
ছাত্রলীগের নেতৃত্বে থাকেন সভাপতি ও সাধারণ সম্পাদকগণ। তারা জাতীয় সম্মেলন, আওয়ামী লীগের কেন্দ্রীয় কার্যনির্বাহী কমিটির সভাসহ বিভিন্ন ভাবে নির্বাচিত হন। নিচের ছাত্রলীগের শুরু থেকে নেতৃবৃন্দের তালিকা দেয়া হল:
বর্তমানের ছাত্রলীগ এর কিছু বিচ্ছিন্ন ভালো কাজ আছে

সময়কাল সভাপতি সাধারণ সম্পাদক
১৯৪৮ নাঈমউদ্দিন আহমেদ (আহবায়ক)
১৯৪৮-১৯৫০ দবিরুল ইসলাম খালেক/নেওয়াজ খান
১৯৫০-১৯৫২ খালেক নেওয়াজ খান/ কামরুজ্জামান
১৯৫২-১৯৫৩ কামরুজ্জামান /এম.এ ওয়াদুদ
১৯৫৩-১৯৫৭ আব্দুল মোমিন তালুকদার/ এম. এ আউয়াল
১৯৫৭-১৯৬০ রফিকুল্লাহ চৌধুরী আযহার আলী, /শাহ মোয়াজ্জেম হোসেন (ভারপ্রাপ্ত)
১৯৬০-১৯৬৩ শাহ মোয়াজ্জেম হোসেন /শেখ ফজলুল হক মনি
১৯৬৩-১৯৬৫ কে.এম ওবায়দুর রহমান/ সিরাজুল আলম খান
১৯৬৫-১৯৬৭ সৈয়দ মাজহারুল হক বাকী /আব্দুর রাজ্জাক
১৯৬৭-১৯৬৮ ফেরদৌস আহমেদ কোরেশী /আব্দুর রাজ্জাক
১৯৬৮-১৯৬৯ আব্দুর রউফ(বহিস্কৃত) /খালেদ মোহাম্মদ আলী
১৯৬৯-১৯৭০ তোফায়েল আহমেদ /আ.স.ম. আব্দুর রব
১৯৭০-১৯৭২ নূরে আলম সিদ্দিকী /শাহজাহান সিরাজ (বহিস্কৃত), ইসমত কাদির গামা
১৯৭২-১৯৭৩ শেখ শহিদুল ইসলাম /এম. এ রশিদ
১৯৭৩-১৯৭৪ মনিরুল হক চৌধুরী /শফিউল আলম প্রধান (বহিস্কৃত), /মোস্তফা জালাল মহিউদ্দিন
১৯৭৬-১৯৭৭ এম. এ আউয়াল (আহবায়ক)
১৯৭৭-১৯৮১ ওবায়দুল কাদের বাহালুল/ মজনুন চুন্নু
১৯৮১-১৯৮৩ মোস্তফা জালাল /মহিউদ্দিন খ.ম জাহাঙ্গীর
১৯৮৩-১৯৮৫ আব্দুল মান্নান /জাহাঙ্গীর কবির নানক
১৯৮৬-১৯৮৮ সুলতান মোহাম্মদ মনসুর /মোঃ আব্দুর রহমান
১৯৮৮-১৯৯২ হাবিবুর রহমান (বহিস্কৃত), শাহে আলম (কার্যকরী) অসীম কুমার উকিল
১৯৯২-১৯৯৪ মাঈনুদ্দিন হাসান চৌধুরী /ইকবালুর রহিম
১৯৯৪-১৯৯৮ এ. কে. এম. এনামুল হক /শামীম ইসহাক আলী খান পান্না
১৯৯৮-২০০২ বাহাদুর বেপারী /অজয় কর খোকন
২০০২-২০০৬ লিয়াকত সিকদার /নজরুল ইসলাম বাবু
২০০৬-২০১১ মাহমুদ হাসান রিপন /মাহফুজুল হায়দার চৌধুরী রোটন
২০১১-২০১৫ এইচ. এম. বদিউজ্জামান সোহাগ সিদ্দিকী /নাজমুল আলম
২০১৫-২০১৮ মো: সাইফুর রহমান সোহাগ এস. এম জাকির হোসাইন
২০১৮-২০১৯ রেজওয়ানুল হক চৌধুরী শোভন /গোলাম রাব্বানী
২০১৯- আল নাহিয়ান খান জয় /লেখক ভট্টাচার্য

মন্তব্য ৬ টি রেটিং +১/-০

মন্তব্য (৬) মন্তব্য লিখুন

১| ০৪ ঠা জানুয়ারি, ২০২২ সন্ধ্যা ৬:২৫

জ্যাকেল বলেছেন: একটা / চিহ্ণ দিলে ভাল। দুইজনের নাম এক হয়ে যাচ্ছে।

০৪ ঠা জানুয়ারি, ২০২২ রাত ৮:১৬

প্রতিদিন বাংলা বলেছেন: ধন্যবাদ।জ্বী

২| ০৪ ঠা জানুয়ারি, ২০২২ রাত ৮:০১

সোবুজ বলেছেন: ছাত্ররা ছাত্রদের দাবি দাওয়া নিয়ে কথা বলবে।জাতিয় রাজনীতিতে নাক গলানো বন্ধ করতে হবে।স্বাধীন দেশে রাজনৈতিক দলের লেজুড়বৃত্তি করা দেশের জন্য বা ছাত্রদের জন্য মোটেই ভাল কিছু না।

০৪ ঠা জানুয়ারি, ২০২২ রাত ৮:১৭

প্রতিদিন বাংলা বলেছেন: ধন্যবাদ।কথা সত্য,(তবে যোগ )

৩| ০৫ ই জানুয়ারি, ২০২২ বিকাল ৪:১৫

রায়হান চৌঃ বলেছেন: পূর্বে "বাংলাদেশ ছাত্রলীগ" জাতীয় অধিকার আদায় মঞ্চ, তখন বাহ্‌বার ও কমতি ছিল না

কিন্তু বর্তমানে....... বর্তমানে বলা হয় "বেয়াদপ বড় হয়ে ছাত্রলীগ হয়", এই দুর্নাম কি ভাবে গুছাবে বলুন তো ?

০৫ ই জানুয়ারি, ২০২২ রাত ৮:০০

প্রতিদিন বাংলা বলেছেন: ধন্যবাদ।জ্বী, আজ ছাত্র লীগ বা সরকারের ছাত্র সংগঠন মানে - এলাকা ভিত্তিক চাদা আদায় ঠিকাদার

আপনার মন্তব্য লিখুনঃ

মন্তব্য করতে লগ ইন করুন

আলোচিত ব্লগ


full version

©somewhere in net ltd.