নির্বাচিত পোস্ট | লগইন | রেজিস্ট্রেশন করুন | রিফ্রেস |
বরিশাল জেলার বানারীপাড়াসহ এ সম্প্রদায়ের কয়েক হাজার লোক নৌকায় বসবাস করছে।এই আধুনিক সময়েও যারা জীবন পার করছেন নৌকায়। নৌকায় ভেসে থেকেই মাছ শিকার করা তাদের সংগ্রামী জীবনের অংশ। নদীর পানিতে জীবনসংসার, সেখানেই জীবনের শেষ অধ্যায় তাদের। নিজস্ব ভূমি না থাকায় মৃত্যুর পর এই মানুষেরই দেহ পানিতে ভাসিয়ে দেওয়া হয়। ব্যতিক্রম জীবন-যাপনে অভ্যস্ত এ মানুষগুলো মুসলমান হলেও মানতা সম্প্রদায় নামে পারিচিত।
সরকারের কোনো সুযোগ সুবিধা পান না। তবে ভোটার (!?)
স্বাধীনতার প্রায় চার দশক পর তত্ত্বাবধায়ক সরকারের আমলে ২০০৮ সালের জাতীয় সংসদ নির্বাচনে ভোটাধিকার পায় মানতা সম্প্রদায়। কিন্তু দেশের নাগরিক হিসেবে অন্যান্য মৌলিক অধিকারগুলো থেকে বঞ্চিত।
এদের ভাগ্যে শিক্ষা, চিকিৎসা ও বাসস্হানসহ মৌলিক চাহিদার অধিকার জুটেনি। তাদের স্যানিটেশন ব্যবস্হা, পুষ্টিকর খাদ্যের যোগান কিংবা বিশুদ্ধ পানির সুবিধা নেই।
প্রশাসন যা বলে -(মানতা সম্প্রদায় প্রসঙ্গে)
উপজেলা সমাজ সেবা কর্মকর্তা - পার্থ সারথী দেউড়ী বলেন, মানতা নামে কাউকে সেবা প্রদানের কোনো নির্দেশনা আমাদের নেই। জেলে সম্প্রদায় যারা আছেন তাদেরকে সেবা দিচ্ছি।
উপজেলা মত্স্য কর্মকর্তা - মো. আবুল কালাম আজাদ বলেন, যারা জেলে পরিবার তাদের সরকার বিভিন্ন সেবা দিচ্ছে। মানতা সম্প্রদায় নামে এদের কোনো সেবা দেওয়ার সুযোগ নেই। সরকারি নির্দেশনা আসলে অবহেলিত এ সম্প্রদায়কে আমরা সেবা দিতে পারব।
স্বাধীনতার প্রায় চার দশক পর তত্ত্বাবধায়ক সরকারের আমলে ২০০৮ সালের জাতীয় সংসদ নির্বাচনে ভোটাধিকার পায় মানতা সম্প্রদায়। কিন্তু দেশের নাগরিক হিসেবে অন্যান্য মৌলিক অধিকারগুলো কি ঠিকভাবে পাচ্ছে তারা?জানা গেছে, সম্প্রতি তাদের রেজিস্ট্রির মাধ্যমে বিয়ে হচ্ছে।
মানতা সম্প্রদায় (উইকিতেও কিছু পেলাম না )
মানতা সম্প্রদায়ের বেশিরভাগ গোষ্ঠির ভাসমান জীবনের সূচনা দেড়শো থেকে দুশো বছর পূর্বে। কোনো কোনো গোষ্ঠি আরো প্রাচীন। এতগুলো বছর পরও তারা পায়নি কোনো স্থায়ী ঠিকানা, এক টুকরো স্থলভূমি। স্থায়ী বাসস্থান তাই ওদের কাছে আজও দুঃস্বপ্ন হয়ে ধরা দেয়।
এ ছাড়াও বাড়তি হিসাবে তারা পায় -
পুলিশের নানা হয়রানি।জলদস্যুর আক্রমন। নদীতে যখন মাছ থাকে না, মহাজন তাদের কিনে দেন চাল, ডাল আর লবণ।বিপদের সময় বন্ধু সেজে মহাজন সওদার নামে ওই জেলেদের দাদন দিয়ে থাকেন। আর ওই দাদনের বিনিময়ে নিজেকে জিম্মি করেন জেলেরা। কিংবা নৌকা বা জালের প্রয়োজনে মানতারা হাত পাতেন মহাজনের কাছে। আর তাতে আজীবনের জন্য বাঁধা পড়েন সুদের কঠিন শিকলে। দিনান্তে যেটুকু মাছ ধরতে পারেন তার সবটুকু মহাজনের আড়তে দিলেও সে দায় থেকে মুক্তি মেলে না।
তাদের রাষ্ট্রীয় স্বীকৃতির বিষয়ে বলেন, অনেকে আসেন কথা বলেন কিন্তু ভাগ্যের পরিবর্তন হয় না। আমরা যেমন নৌকাতে থাকি, তেমনিই আছি।
০১ লা জানুয়ারি, ২০২২ রাত ৯:০৮
প্রতিদিন বাংলা বলেছেন: ধন্যবাদ।
২| ০১ লা জানুয়ারি, ২০২২ সকাল ১১:১৮
চাঁদগাজী বলেছেন:
আপনি এদের জন্য কিছু করতে চান?
০১ লা জানুয়ারি, ২০২২ রাত ৯:১০
প্রতিদিন বাংলা বলেছেন: ধন্যবাদ।সম্প্রদায়স্বীকৃতি প্রথম
৩| ০১ লা জানুয়ারি, ২০২২ বিকাল ৩:২৭
জ্যাকেল বলেছেন: ইহাদের এইভাবে বিপন্ন রেখে আমাদের দেশ আগাবে কি করে?
০১ লা জানুয়ারি, ২০২২ রাত ৯:১৩
প্রতিদিন বাংলা বলেছেন: ধন্যবা।পেশা মৎস শিকার,বাসস্থান নৌকা-ওরা কোনো সম্প্রদায় নয়,তবে ভোটার (!?)
৪| ০১ লা জানুয়ারি, ২০২২ বিকাল ৪:৫৫
মোহাম্মাদ আব্দুলহাক বলেছেন: নৌকায় বাস করে তা কোনো মন্দ কিছু নয়, কিন্তু তাদের কোনো নিরাপত্তা নেই, ওরা অবহেলিত, তা সরকারের দোষ, আমাদের দোষ। সবাইকে সচেতন হতে হবে।
লন্ডন নৌকা বাড়ির অনেক দাম।
০১ লা জানুয়ারি, ২০২২ রাত ৯:১৪
প্রতিদিন বাংলা বলেছেন: ধন্যবাদ। পেশা মৎস শিকার,বাসস্থান নৌকা-ওরা কোনো সম্প্রদায় নয়,তবে ভোটার (!?)
৫| ০১ লা জানুয়ারি, ২০২২ সন্ধ্যা ৭:০২
রাজীব নুর বলেছেন: ভালো একটা বিষয় নিয়ে পোষ্ট দিয়েছেন।
আসলে এদের কথা কেউ ভাবে না। আর এখন এরা বটার না কি তা নিয়ে ভাবার দরকার নেই। গত ১২ বছর ধরে দেশে কেমন ভোট হচ্ছে সেটা তো জানেন।
০১ লা জানুয়ারি, ২০২২ রাত ৯:১৭
প্রতিদিন বাংলা বলেছেন: ধন্যবাদ ।সেটাই বলেছি - পেশা মৎস শিকার,বাসস্থান নৌকা-ওরা কোনো সম্প্রদায় নয়,তবে ভোটার কেনো (!?)
৬| ০১ লা জানুয়ারি, ২০২২ রাত ৮:৩৩
শায়মা বলেছেন: বেদে বেদেনীদের জীবন চক্র এভাবেই চলে আসছে যুগের পর যুগ। ছোটবেলায় নাচ শিখেছিলাম বাবু সালাম বারে বার আমার নামটি গয়া বাইদা বাবু বাড়ি পদ্মার পার। তখন মনে হয়েছিলো তাদের চাইতে সুখী জীবন আর কারও হয় না। এক ঘাটেতে রান্ধি বাড়ি মোরা আরেক ঘাটে খাই, মোদের সুখের সীমা নাই। আসলেও হয়ত চির স্বাধীন জীবনই ওদের কাম্য কিন্তু আজকাল হয়ত সেই স্বাধীনতা খর্ব হয়েছে।
০১ লা জানুয়ারি, ২০২২ রাত ৯:২৫
প্রতিদিন বাংলা বলেছেন: ধন্যবাদ। দারুন, অকপট স্বীকার। বেদেরা স্বীকৃতি সম্প্রদায়। সরকারের সুবিধা পায় (জনপ্রতিনিধিরাই খেয়ে ফেলে )। কিন্তু (মন্টা, মনটা ) সরকার কতৃক স্বীকৃত নয়। অথচ ভোটার (!?)
৭| ০১ লা জানুয়ারি, ২০২২ রাত ১০:০১
তানীম আব্দুল্লাহ্ বলেছেন: কখনো কাছে গিয়ে কথা বলে দেখবেন
অনেক নরম স্বরে কথা বলে এরা ।
নাটোরের সিংড়ায় দেখেছি নদী চলনবিলে চলাচল সারা বছর ।
০২ রা জানুয়ারি, ২০২২ রাত ১২:০৭
প্রতিদিন বাংলা বলেছেন: ধন্যবাদ।অর্থাত এখনো ওরা মানুষ (নাইবা পেলো সরকারের সম্প্রদায়)
©somewhere in net ltd.
১| ০১ লা জানুয়ারি, ২০২২ সকাল ১১:১৪
জুল ভার্ন বলেছেন: এই সম্প্রদায় মান্তা/ মুন্দ্রা নামে পরিচিত।