নির্বাচিত পোস্ট | লগইন | রেজিস্ট্রেশন করুন | রিফ্রেস

অমরত্বের প্রত্যাশাহীন এই শহরে থেকে যাক কিছু খুচরো কথা...

পদ্মপুকুর

একজন শভেনিস্ট ও স্মৃতিকাতর মানুষ

পদ্মপুকুর › বিস্তারিত পোস্টঃ

এই শীতে ঘুরে আসুন বৃহত্তম ম্যনগ্রোভ সুন্দরবনে

০৯ ই নভেম্বর, ২০১৬ দুপুর ১:০৫


পর্যটনবান্ধব এলাকা হিসেবে সুন্দরবন এখনও কক্সবাজার দুরে থাক, রাঙামাটি, বান্দরবান পর্যায়েও যেতে পারেনি। এর পেছনে সুযোগ সুবিধার অপর্যাপ্ততাতো আছেই, উপরোন্তু তথ্য স্বল্পতার কারণে যেটুকু আছে সেটাও আমরা ঠিকঠাক জানতে পারি না। আদতে সুন্দরবন ঘুরে আসা এখন বেশ সহজ, নিরাপদ এবং অবশ্যই রোমঞ্চকর।

সুতরাং, শোনা বা না শোনা কথাগুলো বাদ দিন, এই শীতের শুরুতেই ঘুরে আসুন সুন্দরবনে। শ্যালা নদীতে বোটে বসে হিমেল কার্তিকের রাতে আকাশে অগুনতি তারা দেখতে দেখতে মংলা থেকে সুন্দরবনের দিকে যাত্রা স্বর্গীয় অনুভূতি এনে দেবে আপনাকে।

আপনার ট্যুর হতে পারে একদিনের, ৩ দিনের অথবা আরো বেশি সময়ের। মংলায় অনেকগুলো ট্যুর অপারেটর আছে। তারাই সব ব্যবস্থা করবে। নিরাপত্তা নিয়ে একদমই ভাববেন না। প্রতি বোটেই বনবিভাগ থেকে আধুনিক অস্ত্রধারী প্রহরী দেওয়া হয় কমপক্ষে দুজন করে।

ঢাকা বা দূরবর্তী অন্য কোন শহর থেকে ট্যুর প্যাকেজের আওতায় যাওয়ার চেয়ে মংলার ট্যুর অপারেটরদের সাথে যোগাযোগ করে ন্যূনতম ৮ থেকে ১৫/২০/৩০ বা আরো বেশি সদস্য নিয়ে নিজেরাই প্লান করুন এবং বাসে বা ট্রেনে খুলনা পৌঁছে মংলার গাড়ি ধরুন। ব্যক্তিগত গাড়িতে খুলনা থেকে মংলা ঘন্টা খানেকের পথ। এরপর ট্যুর অপারেটরের প্যাকেজে ঢুকে পড়ুন, সাশ্রয়ী হবে।

একদিনের হলে খুব বেশি দুর যেতে পারবেন না, করমজলের হরিণ প্রজনন কেন্দ্র এবং হারবারিয়ায় গহীন সুন্দরবনের আবহ কিছুটা নিয়েই ফিরে আসতে হবে। এরকম ট্যুর হলে মংলা থেকে সেটা সকালে শুরু হয়ে সন্ধ্যার আগেই আপনাকে আবার মংলায় ফেরত নিয়ে আসবে।

তবে ৩দিন বা তার চেয়ে বেশি দিনের ট্যুর হলে সাধারণত সন্ধ্যায় মংলা থেকে বোট যাত্রা শুরু করে। এরপর কচিখালি, কটকা, দুবলার চর, হিরণপয়েন্ট হয়ে ফিরতি পথে হারবারিয়া ও করমজল ঘুরিয়ে আবার মংলায় এনে দেবে আপনাকে।

ইট কাঠ পাথরের এই শহর থেকে পলিয়ে গহীন বনের নৈশব্দ আপনাকে পাগল করে দেবে। সাথে তো থাকছেই বিভিন্ন শেডের সবুজ আর পাখির কিচির মিচির। খোলা বনে চড়ে বেড়ানো মুক্ত হরিন দেখতে পাবেন এখানে সেখানে, কুমিরও দেখতে পাবেন, আরো দেখতে পাবেন বাঁদর ও বুনো শুয়োর। কিন্তু বাঘ দেখতে পাওয়ার সম্ভাবনা নিতান্তই কম। তবে, সুন্দরবনে গিয়ে বাঘ না দেখতে না পাওয়াটাই তো নিরাপদ! বলাতো যায়না, বাঘও যদি আমাকে দেখার অপেক্ষায় বসে থাকে!

ও, সুন্দরবন এলাকায় লোকাল ট্যুরিস্ট এবং বিদেশীর অনুপাত প্রায় সমান। তাই এখানকার ট্যুর অপারেটরদের ব্যবস্থাপনা ভালো। বোটগুলো পরিচ্ছন্ন, ফুডিং আশাতিরিক্ত ভালো এবং ক্রুদের ব্যবহারও ভালো। নিশ্চিত থাকুন এবং নির্ভাবনায় ঘুরে আসুন বিশ্বের বৃহত্তম ম্যানগ্রোভ বন সুন্দরবন।

মন্তব্য ১ টি রেটিং +০/-০

মন্তব্য (১) মন্তব্য লিখুন

১| ০৯ ই নভেম্বর, ২০১৬ দুপুর ২:১৭

ফরিদ আহমদ চৌধুরী বলেছেন: আল্লাহ যদি নেন তবে যদি কোন দিন যেতে পারি!

আপনার মন্তব্য লিখুনঃ

মন্তব্য করতে লগ ইন করুন

আলোচিত ব্লগ


full version

©somewhere in net ltd.