নির্বাচিত পোস্ট | লগইন | রেজিস্ট্রেশন করুন | রিফ্রেস |
নতুন পে স্কেল নিয়ে হেভি হাঙ্গামা চলছে। আমি বেসরকারি প্রতিষ্ঠানের চাকর, আমার এই পে স্কেল নিয়ে খুব একটা মাথাব্যথা থাকা উচিৎ নয়। কিন্তু বুঝতে পারছি অনেকেরই মান মর্যাদা, আর্থিক মর্যাদা নিয়ে টানাটানি বেধে গেছে।
জাতির মেরুদন্ড বর্তমান ঢাবি ভিসির শিরদাড়ার মত সোজা রাখতে যাঁরা বিরোধীদলের যে কোন আন্দোলনে শিক্ষা প্রতিষ্ঠান খোলা রাখতে হত্যে দিয়ে পড়েন, সেই মহাত্মনগণ এখন লাল-সাদা-গোলাপি-নীল ভুলে রঙধনুর মত এক হয়ে ধনুর্ভঙ্গ পণ করে ক্লাস টøাস বাদ দিয়ে একেকজন রাজপথের প্রমিথিউস হয়ে গেছেন। অন্যদিকে অর্থনীতিকে চাঙ্গা রাখতে যে বাংলাদেশ ব্যাংক কোন একটা ছুতো পেলেই ছুটির দিন, এমনকি ঈদের আগের দিনও বাণিজ্যিক ব্যাংক খোলা রাখার ফর্মান জারি করে, তারা নিজেরাই এখন ইজ্জত রক্ষার্থে কোমর বেঁধে নেমে পড়েছে।
যাই হোক, যার ইজ্জত সে বুঝুক। আমি বাঙালি, নিজের উপর কোপ না পড়া পর্যন্ত আমি সাধু সন্ত।
গতকাল রাতে রিমোট ঘুরাতে ঘুরাতে ইনডিপেনডেন্ট টিভির ‘আজকের বাংলাদেশ’ টক শোতে আটকে গেলাম। খালেদ মহিউদ্দিনের উপস্থাপনা ভাল লাগে, সাথে প্যানেলে আছেন অর্থ ও পরিকল্পনা প্রতিমন্ত্রী এম এ মান্নান, সাবেক জাদরেল আমলা সাদত হুসাইন এবং বাংলাদেশ ব্যাংকের সাবেক ডেপুটি গভর্নর মুশিদ কুলী খান। সুতরাং কিছুক্ষণ দেখা চলে।
প্রতিমন্ত্রী বাহাদুর কিছুটা যুক্তি আর কিছুটা শাসনের মধ্য দিয়ে প্রতিষ্ঠিত করে ফেললেন যে যাঁরা বিসিএস ক্যাডার, তাঁরা অবশ্যই আলাদা কিছু। একটা ‘এক্সাম’ এর মধ্য দিয়ে তাঁরা সিলেকটেড হন, সেহেতু তারাই অষ্টম গ্রেডে এন্ট্রি নেবেন (অন্যরা পরের গ্রেডে)। এটাই স্বাভাবিক।
এরপর বিরতির মধ্য দিয়ে প্রতিমন্ত্রী বাহাদুর এক্সিট নিয়ে নিলে সাবেক পিএসসি চেয়ারম্যান এবং সাবেক ডেপুটি গভর্নর মহোদয় এ ব্যাপারে একমত হলেন যে বাংলাদেশ ব্যাংকের কর্মকর্তারাও আলাদা মর্যাদা পাওয়ার দাবীদার। তাঁদেরকে অন্যান্য রাষ্ট্রায়ত্ব বাণিজ্যিক ব্যাংকের কর্মকর্তাদের সাথে মেলানো যাবে না। তাঁদেরও আলাদা পরীক্ষা সিস্টেম আছে, আলাদা কার্যপ্রণালী আছে ব্লা ব্লা ব্লা ব্লা
তাহলে সমিকরণটা কি দাড়ালো?
প্রতিমন্ত্রী বাহাদুরের মতানুযায়ী বিসিএস ক্যাডারগণ প্রথম শ্রেণীর নাগরিক (বিসিএস ফ্যামিলি প্লানিং, পোস্টাল, সমবায়, ফুডসহ)।
বাকি দু মহোদয়ের মতে বাংলাদেশ ব্যাংকের কর্তাদেরও আলাদা মর্যাদা থাকা উচিৎ, সুতরাং তাঁরা দ্বিতীয় শ্রেণীর নাগরিক হবেন।
আর যেহেতু বাংলাদেশ ব্যাংকের এই শ্রেণীকরণটা হয়েছে ন্যাশনাল কমার্শিয়াল ব্যাংকের সাথে তুলনা করে, সুতরাং রাষ্ট্রায়ত্ত্ব ব্যাংকের মহামহীম কর্তাবৃন্দ পড়বেন তৃতীয় শ্রেণীতে।
আর আমরা যেহেতু বেসরকারি প্রতিষ্ঠানে, আমরা পড়ব চতুর্থ শ্রেণী ক্যাটেগরিতে.. .. .. সাধু সাধু।
তবে বিশ্ববিদ্যালয়ের কোন প্রতিনিধি যেহেতু ওখানে ছিলেন না, তাই তাঁর ঠিক কোন পজেশনে মেরুদন্ড খাড়া করবেন জানা গেল না।
২| ১২ ই জানুয়ারি, ২০১৬ বিকাল ৪:১৫
মহা সমন্বয় বলেছেন: তবে বিশ্ববিদ্যালয়ের কোন প্রতিনিধি যেহেতু ওখানে ছিলেন না, তাই তাঁর ঠিক কোন পজেশনে মেরুদন্ড খাড়া করবেন জানা গেল না।
হা হা কথা সইত্য।
৩| ১২ ই জানুয়ারি, ২০১৬ বিকাল ৫:৩০
প্রামানিক বলেছেন: তাইলে যারা চাকরী বাকরী করেনা তারা কোন ক্যাটাগরীতে?
১২ ই জানুয়ারি, ২০১৬ সন্ধ্যা ৬:০৩
পদ্মপুকুর বলেছেন: ক্যাটেগরি লেস
৪| ১৩ ই জানুয়ারি, ২০১৬ দুপুর ১২:১০
রাশেদ রাহাত বলেছেন: পিকচার আভি বাকিহ্যা মেরি দোস্ট।
১৩ ই জানুয়ারি, ২০১৬ দুপুর ২:১৪
পদ্মপুকুর বলেছেন: সেইটাই তো ভয়ের কথা, বস। অফিস শেষ করে হাতিরঝিল দিয়ে হেটে যেতে এখন ভয় করে।
৫| ১৩ ই জানুয়ারি, ২০১৬ সন্ধ্যা ৬:৫৪
Ahmed Musa বলেছেন: হাসিনা আর তার আমলারা বাদে সবাই চতুর্থ শ্রেণীর কর্মচারী
৬| ৩১ শে জানুয়ারি, ২০১৬ দুপুর ২:৫৮
বিজন রয় বলেছেন: আমাদের দেশে চরম বৈষম্য।
©somewhere in net ltd.
১| ১২ ই জানুয়ারি, ২০১৬ বিকাল ৩:৪০
আমি আবুলের বাপ বলেছেন:
পেটে যখন খাবারের টান থাকে, তখন পেটের খাবারের কথা চিন্তা থাকে। সেই পেটের খাবারের চিন্তা আমরা দূর করে দিয়েছি বলে, এখন প্রেস্টিজ নিয়ে টানাটানি- এটাই বাঙালির স্বভাব।চাকরি ছেড়ে সচিব হন: শিক্ষকদের প্রধানমন্ত্রী