নির্বাচিত পোস্ট | লগইন | রেজিস্ট্রেশন করুন | রিফ্রেস

অমরত্বের প্রত্যাশাহীন এই শহরে থেকে যাক কিছু খুচরো কথা...

পদ্মপুকুর

একজন শভেনিস্ট ও স্মৃতিকাতর মানুষ

পদ্মপুকুর › বিস্তারিত পোস্টঃ

ভারত মাতা কি জয়!

০৩ রা মার্চ, ২০১৪ দুপুর ২:৫৫

আয়তনে বৃহৎ হলেও ভারত কখনোই মানসিকভাবে বড় হতে পারেনি। প্রতিবেশিদের সাথে দ্বিপাক্ষিক স্বার্থসংশ্লিষ্ট বিষয়ে ভারতের আচরণ দেখলেই সেটা পরিস্কার হয়।

বিশেষ করে ক্রিকেটের ক্ষেত্রে ভারত সবসময় নিজেকে সুপেরিয়র এবং সুপ্রিম অথরিটি ভেবে এসেছে। এই অবমূল্যায়নের মানসিকতার কারণেই টেস্ট স্টাটাস পাওয়ার পর প্রায় ১৫ বছর হয়ে গেলেও এখন পর্যন্ত বাংলাদেশকে নিজ দেশে খেলার জন্য আমন্ত্রণ জানায়নি। বাংলাদেশের সাথে এই দাদাগীরি করতে পারলেও আরেক প্রবল প্রতিদন্দ্বী পাকিস্তানের সাথে সেই সাহস করে উঠতে পারে না এই মিন মাইন্ডেড দেশটি।



ভারতের প্রায় দেড় যুগ পরে টেস্ট পরিবারের সদস্য হওয়ার পর প্রথম ১৯৫২/৫৩ সালে পাকিস্তান প্রথম টেস্ট সিরিজ খেলতে যায় ভারতে। সেই সিরিজের দ্বিতীয় টেস্টেই পাকিস্তান হারিয়ে দেয় ভারতকে। যার ধারাবাহিকতা আজ পর্যন্ত বিদ্যমান।



দুই দেশের মধ্যকার এ পর্যন্ত খেলা ৫৯টি টেস্টের মধ্যে ভারত জিতেছে ৪টি সিরিজসহ ৯টি টেস্ট ম্যাচ, যার মধ্যে পাকিস্তানে ২টি। অন্যদিকে পাকিস্তান একমাত্র এশিয়ান টেস্ট চ্যাম্পিয়নশিপ ও ৫টি সিরিজ সহ জিতেছে ১২টি টেস্ট, যার মধ্যে ভারতের মাটিতে ছিল ৫টি।

আবার এই দুই দেশের মধ্যকার এ পর্যন্ত খেলা ১২৭ ওয়ানডে ম্যাচের মধ্যে পাকিস্তান ৭৩, (ভারতে ৩০টির ভেতরে ১৯টি, পাকিস্তানে ২৭টির মধ্যে ১৪টি এবং নিরপেক্ষ ভেন্যুতে ৭০টি মধ্যে ৪০ টি) ম্যাচ জিতেছে। অন্যদিকে অন্যদিকে ভারত ৫০টি (ভারতে ১১, পাকিস্তানে ১১ আর নিরপেক্ষ ভেন্যুতে ২৮টি) ম্যাচ জিতেছে।



দুই দেশের মধ্যকার খেলার এই ফলাফল অস্বীকার করার কোন উপায় নেই বিধায় ভারত এক্ষেত্রে সবসময় খেলার বাইরের খেলায় পাকিস্তানকে নাস্তানাবুদ করতে বিভিন্ন কুটবুদ্ধি ব্যবহার করে থাকে।

এশিয়া কাপ চলাকালীন টি২০’র একটা প্রোমো চলছে “দুনিয়া বদল ..... ব্যস এক ওভার মে”.. কেউ ভাল করে লক্ষ্য করেছেন কিনা, কোন এক ম্যাচের শেষ এক ওভারের দর্শক প্রতিক্রিয়া দেখানো হয়েছে এই প্রোমোতে। এই ওভারটিতে দরকার ১২ রান। কিন্তু প্রথম চার বলে দুটি উইকেট এবং দুটি ডট বল হওয়ার পর শেষ দুই বলে দুটি ছক্কা মেরে দলটি জিতে যায়।

বলা বাহুল্য এখানে জিতে যাওয়া দল হল ভারত। দর্শক প্রতিক্রিয়া দেখলেই বুঝতে পারবেন। খুবই সুন্দর কনসেপ্ট। কিন্তু গোলমেলে যায়গাটা হোল এই ম্যাচের বিপক্ষীয় দর্শকরা সবাই পাকিস্তানি সমর্থক। এর মধ্যে একজন আবার শহিদ আফ্রিদির ডামি।



গতকালের ভারত পাকিস্তান ম্যাচের শেষটা কেউ মনে করতে পারেন বল বাই বল? প্রথমে তালহা ও সাইদ আজমল আউট, তারপর জুনায়েদ এর এক রান.... এবং তারপর আফ্রিদির বিশাল দুই ছক্কা.... দারুন মিল কি বলেন?



ভারতের কি দরকার ছিল বাবা এই লাফাঙ্গাবাজী করার!

মন্তব্য ৭ টি রেটিং +০/-০

মন্তব্য (৭) মন্তব্য লিখুন

১| ০৩ রা মার্চ, ২০১৪ বিকাল ৩:০০

প্রথম সকাল বলেছেন: দারুন লেখসেন

২| ০৩ রা মার্চ, ২০১৪ বিকাল ৩:২৯

মুদ্‌দাকির বলেছেন: Great post :)

৩| ০৩ রা মার্চ, ২০১৪ বিকাল ৩:৩৪

আদম_ বলেছেন: দারুন লেখসেন

৪| ০৩ রা মার্চ, ২০১৪ সন্ধ্যা ৬:৫১

আরিফ রুবেল বলেছেন: প্রথমত, সাড়া বিশ্বে একটা দেশকে আমি প্রচণ্ড অপছন্দ করি আর সেটা হচ্ছে পাকিস্তান। আমি হলফ করে বলতে পারি গতকাল পাকিস্তানের বিজয়ে বাংলাদেশের কিছু মানুষ যতটা আনন্দিত হয়েছে বাংলাদেশ বিজয়ী হলে তারা একই রকম খুশি হত না। সমস্যাটা ওখানে।

এবার আসা যাক ভারতের দাদাগিরির ব্যাপারে। বিজ্ঞাপনটা আমার মনে হয় সবারই চোখে পড়েছে, চক্ষু-কর্ণের জন্য রীতিমত পীড়াদায়ক। মিডিয়ার একচ্ছত্র নিয়ন্ত্রনের সুযোগ নিয়ে ভারত নিজেকে এমনভাবে প্রদর্শন করছে যাতে মনে হয় বিশ্বে একটাই মাত্র দেশ আছে আর সেটা ভারত। ভারত দেখায় সে সব সময় বিজয়ী । আর এখানেই আসে বাংলাদেশের আত্মপরিচয়ের বিষয়টা। বাংলাদেশ সম্প্রতি টি-টুয়েন্টি বিশ্বকাপের থিম সং প্রকাশ করেছে গান তাও মেনে নেয়া যায় কিন্তু যে ভিডিওটা এই গানের সাথে দেখা যাচ্ছে সেটা কোন দিক দিয়ে ক্রিকেটের গান অথবা কোন দিক দিয়ে এখানে বাংলাদেশকে রিপ্রেজেন্ট করা হচ্ছে !!!


ভারতের এই অতি হামবড়া স্বভাবের কারনে সে যেকোন ম্যাচে হারলেই সেটা আনন্দদায়ক। বিপক্ষ দল পাকিস্তান হল কি দক্ষিন আফ্রিকা সেটা ধর্তব্য নয়। কিন্তু সমস্যাটা বাঁধে তখনই যখন কেউ কেউ বলার চেষ্টা করে একটা ম্যাচ জিতে পাকিস্তানের শহীদ আফ্রিদি বাংলাদেশের হয়ে ফেলানির হত্যার প্রতিশোধ নিয়েছে। এগুলারে আমার আবাল মনে হয়। পাকি বীর্যের লোভে মুহ্যমান একদল শুয়োরের বাচ্চা মনে হয়।

০৪ ঠা মার্চ, ২০১৪ দুপুর ১২:১৬

পদ্মপুকুর বলেছেন: আপনার মন্তব্যর সাথে আমিও একমত। এখানে পাকিস্তানের মাহাত্ম্য নয়, আমি বলতে চেয়েছি ভারতের মানসিক দৈন্যতার কথা। একজন মানুষ, দেশ বা অন্য কেউই অনেক কিছু অর্জন করলেই বড় হয় না। বড় হয় তার কাজে, আচরণে, ব্যবহারে। ভারত এই বিষয়টাই বুঝতে শিখেনি আজ পর্যন্ত।
আর নিজের দেশকে বাদ দিয়ে অন্য একটা দেশ নিয়ে আদিখ্যতা করাটা ছ্যাবলামী ছাড়া কিছুই নয়, সেটা পাকিস্তান, ভারত, দক্ষিণ আফ্রিকা বা জিম্বাবুয়ে যেই হোক না কেন।

৫| ০৩ রা ফেব্রুয়ারি, ২০১৬ দুপুর ১:৫৩

অগ্নি কল্লোল বলেছেন: বহুত খুব।।

৬| ১০ ই আগস্ট, ২০২০ রাত ১:৩১

ঢুকিচেপা বলেছেন: শুরুর লাইনটাই দারুণ এবং ঐ কথাতেই রয়েছে সব কিছু।
বাংলাদেশ যদি কখন খারাপও খেলে তারপরও আমি বাংলাদেশের পক্ষে।

আপনার প্রথম পোস্টে উপস্থিতি জানিয়ে গেলাম।

আপনার মন্তব্য লিখুনঃ

মন্তব্য করতে লগ ইন করুন

আলোচিত ব্লগ


full version

©somewhere in net ltd.