নির্বাচিত পোস্ট | লগইন | রেজিস্ট্রেশন করুন | রিফ্রেস

www.oputanvir.com

অপু তানভীর

আমার চোখে ঠোঁটে মুখে তুমি লেগে আছো

অপু তানভীর › বিস্তারিত পোস্টঃ

কারফিউয়ের দিন কাল !

২৫ শে জুলাই, ২০২৪ সকাল ১০:০৮

আজকে মোট চারদিন ইন্টারনেট ডাউন । ব্যাপারটা খানিকটা অবিশ্বাস্য মনে হচ্ছে । সরকার নিজের উদোম ঢাকতে আজকে গুনে গুণে চারদিন নেট বন্ধ করে রেখেছে ! আবার এদিকে পলক সাহেব মেসেজ দিয়ে জানাল যে সন্ত্রাসীরা নাকি নেটে আগুন ধরিয়ে দিয়েছে এই জন্য নেট নাই । এরা নিজেরা যা সবাইকে কি তাই মনে করে? যদি সন্ত্রাসীদের আগুন লাগানোর জন্যই নেট চলে যাবে তাহলে একেক এলাকাতে একেক সময়ে নেট কিভাবে চলে যায় ? আমার বাসায় দুইটা লাইন, একটা বন্ধ হওয়ার আরো আধাঘন্ট পরে অন্যটা বন্ধ হয়েছে ! যাত্রা বাড়ির দিকে নেট বিকেল থেকে বন্ধ। এরা যে মিথ্যা বলে, একটু বুদ্ধিদ্বীপ্ত মিথ্যা তো বলতে পারে !

নেট ছাড়া থাকাটা অনেকের কাছেই অসম্ভব একটা ব্যাপার আমি জানি। এই যুগে এসে পুরো চারদিন শহরের নেট নেই, ব্যাপারটা সত্যিই অবিশ্বাসই । আমার অবশ্য এই ব্যাপারে অভিজ্ঞতা আছে । যখন পাহাড়ে বেড়াতে যাই তখন দিনের পর দিন এই রকম নেট থাকে না । এখন তো তাও ফোন কিংবা ম্যাসেজ দিয়ে যোগাযোগ করা যাচ্ছে, পাহাড়ে এসবও বন্ধ। সেই হিসাবে দিন খারাপ যায় নি আমার ।

আমার মনে আছে যখন প্রথম মোবাইল ফোন হাতে এল সেই সময়ে আমি আমার বন্ধুবান্ধবের সাথে মেসেজ আদান প্রদান করতাম । ফোনে গল্প করা আমার কোন কালেই পছন্দের কোন কাজ ছিল না । আর তাছাড়া সেই সময়ে মিনিট ছিল সাত/আট টাকা । এতো টাকা খরচ করে আজুড়ে গল্প করার শখও আমার ছিল না । আমি তখন প্রচুর মেসেজ পাঠাতাম । সেই সময়ে মেসেজের বান্ডেল কিনে সবাইকে মেসেজ পাঠিয়ে খোজ খবর নিতাম । এই নেটওয়ার্ক বন্ধের ভেতরে সেই একই ভাবে সবার কাছে মেসেজ আদান প্রদান করছিলাম ।
প্রথম দিন কারফিউয়ের খবর আমি পাই নি। রাতেরবেলা সেদিন একটু আগেভাগেই নিচে নেমেছিলাম । সেইদিন বাসস্টান্ডে তুমুল গোলোযোগ হয়েছে শোনা যাচ্ছে । সেই হিসাবে এলাকার পরিবেশ বেশ থমথমে। আমি দ্রুত নিচে নেমে গেলাম খাবার হোটেলে । গিয়ে দেখি সে হোটেলের অর্ধেক সাটার নামানো। সবার মাঝে একটা চিন্তার ছাপ । একটু আগে নাকি এখানেও ঝামেলা হয়েছে । চারিদিকের প্রায় সব দোকান বন্ধ । আমি খাবার নিতে গিয়ে দেখি সেখানে প্রায় কিছুই নেই । আমি দ্রুত হোটেল থেকে বের হয়ে হাউজিংয়ের ভেতরের দিকে আরেকটা হোটেলে গিয়ে হাজির হলাম । দেখলাম সেখান গরম গরম পরোটা ভাজছে । তবে এছাড়া আর কিছুই নাকি নেই । আমি দ্রুত খাবার নিয়ে বাড়ির দিকে হাটা দিলাম ।
রাস্তার ডিপার্টমেন্টাল স্টোর থেকে কফি কিনব ভাবছিলাম কিন্তু অবাক হয়ে খেয়াল করলাম যে প্রতিটি দোকানেই প্রচুর ভীড় । সবাই কেনাকাটা করছে । আমি তখনও জানি না যে কারফিউ দিবে। তবে লোকজন সম্ভবত জেনে গেছে। আমি চেষ্টা করেও কোন দোকান থেকে কোণ জিনিস পত্রই কিনতে পারলাম না।
রাতে বাসায় ফিরে এসে পিসি চালু করলাম । খেতে খেতে নেট সার্চ করছি, প্রথমে আমার ডট ইন্টারনেট ডাউন হয়ে গেল । বাসায় মাজেদার লাইনও আছে । সেটা তখনও চলছে । তবে সেটাও বেশি সময় ধরে চলল না। কিছু সময় পরে দেখলাম সেটাও ডাউন । মোবাইল নেট তো আরও আগেই বন্ধ হয়েছে। খাওয়া দাওয়া শেষ করে আরও কোন কাজ খুজে পেলাম না । যদিও রাতে আমি দ্রতই ঘুমিয়ে পড়ি । আজকে আরও একটু জলদি ঘুমিয়ে পড়লাম ।
সকালে ঘুম ভাঙ্গল বেশ সকালে । প্রতিদিনের নিত্য রুটিন মোতাবেক ফ্রেশ হয়ে কফি তৈরি করলাম । তারপর সকালের নাস্তা সেরে পিসি অন করলাম। জানি তখনও ইন্টারনেট আসে নি । আজকে নেট ছাড়াই কাজ করতে হবে ।
তখনই পরিচিত একজনের কাছ থেকে মেসেজ পেলাম । আমার ফোনের হোয়াটসএপ আর সিমের মেসেজ টোন একই রকম । আমার মনে হয়তো নেট ফিরে এসেছে । কারণ জানি রাতে নেট অফ রাখলেও সকালে ঠিক নেট চালু হয়ে যায় । দেখলাম মেসেজ এসেছে । সেখান থেকেই জানতে পারলাম না কারফিউ দিয়েছে। আর তখনই আমার মনে হল শনিবার পর্যন্ত নেট আসবে না ।

সাড়ে বারোটার দিকে বাইরে বের হলাম । মনে একটা ভয় ছিল যে খাবার হোটেল বুঝি বন্ধ থাকবে । তবে সেরকম কিছুই হল না। দেখলাম গতরাতের হোটেলটা খোলা আছে । আর মানুষও নেই । দেরি না করে দুপুরের খাবার কিনে বাসায় চলে এলাম । এখন কেন জানি আর পিসি অন করতে মন চাইল না । চারদিকে কী হচ্ছে কিছু জানার কোন উপায় নেই । আজিমপুরে একজন বন্ধু থাকে । তাকে মেসেজ দিয়ে জানালাম যে ওদের রাতে অবস্থা ভাল ছিল না । তবে এখন শান্ত । এভাবে যাকেই জিজ্ঞেস করি সেখানে রাতের অবস্থা জানায় । বসিলা ব্রিজের কাছে এক বন্ধু থাকে সেখানেও নাকি একই অবস্থা ।
রাতের বেলা একটু ভয়ে ভয়েই বের হলাম খাবার কিনতে। দুপুরে কারফিউ শিথিল ছিল কিন্তু এখন তো আবার চলছে। কারফিউয়ের ভেতরে বাইরে বের হওয়ার ঝুকির ব্যাপার। তবে হাউজিংয়ের ভেতরে দেখতে পেলাম মানুষজন ঘোরাঘুরি করছে । আমি দ্রুত হোটেলের দিকে পা বাড়ালাম । হোটেলটা একেবারে হাউজের গেটের বাইরে । একটু ভেতরের দিকে । তাই এদিকে লোকজন আসে না । গতদিনের মত দ্রুত খাবার কিনে ফিরে এলাম ।
সকাল বেলা হঠাৎ কুমিল্লা থাকা একজন বন্ধুর ফোন । তার ফ্লাইট রাতের বেলা । কিন্তু সমস্যা হচ্ছে তার এনওসি টিকিট কিছুই প্রিন্ট করা হয় নি । সব দোকানপত্র বন্ধ । আমার বাসায় প্রিন্টার আছে সে জানে । তাকে বাসায় নিয়ে এলাম । আমি অবাক হয়ে জানতে চাইলাম সে কুমিল্লা থেকে ঢাকা এলো কিভাবে? সে জানালো গতকাল যে দুইঘন্টার ব্রেক দিয়েছিল সেই সুময়েই রওনা দিয়েছে। আমার বাসার গলির পাশেই ওর এক ছোট ভাই থাকে । রাতে সেখানেই ছিল । আমার কাছ থেকে সব কাগজপত্র প্রিন্ট করে নিয়ে সে দৌড়াল শ্যাওড়া পাড়াতে । সেখান থেকেই এয়ারপোর্টে যাবে রাতে।
আরেকটা মজার ব্যাপার হল এই কদিনে । অনেকদিন পরে নিয়মিত ভাবে রেডিও শোনা শুরু করলাম । বাইরের খবর পাওয়ার একমাত্র উপায় এই রেডিও । প্রতি ঘন্টা ঘন্টার খবর হচ্ছে সেটা শুনছি । স্কুলে থাকতে আমি রেডিও শুনতাম খুব । আমার কালো রংয়ের ছোট একটা এমএমএফএম ব্রান্ডের রেডিও ছিল। সেটা আমার অনেক পছন্দের ছিল । আজকে অনেক দিন পরে আবার নিয়মিত ভাবে বাংলাদেশ বেতারের গান আর সংবাদ শুনছি !
বাইরে বের হয়ে সব থেকে বেশি ভীড় দেখলাম মোবাইল রিচার্জের দোকানে । বিকাশ নগদের সার্ভার পুরোপুরি ভাবে বন্ধ । এমন কি ম্যানুয়্যাল ভাবেও কাজ করছে না। আর ইউটিলিটি বিল প্রদানে দেখলাম বিশাল লম্বা লাইন । ভাগ্য ভাল যে আমার মোবাইলে যথেষ্ঠ পরিমান টাকা ছিল । আমি সব সময় মাসের শুরুতেই মাস চলার মত কিছু টাকা একাউন্ট থেকে তুলে নিজের কাছে রাখি। মোটামুটি একটা হিসাব থাকে যে মাসে কতটাকা খরচ হবে। যদি কোন দরকার পড়ে তখন আবার একাউন্ট থেকেই টাকা তুলে সেই সমাধান করি । খরচের টাকা থেকে খরচ করি না। এই কারণে এই যাত্রার কোন সমস্যা হয় নি। কিন্তু এমন অনেকেই আছে যারা তাদের সব টাকা কেবল ব্যাংক/বিকাশ একাউন্টেই রাখে। যখন দরকার হয় তখন তুলে খরচ করে। তারা এইবার সবাই বিপদে পড়েছে খুব।

এরপর এভাবে দিন পার হচ্ছে । প্রতদিন দুইবেলা করে বাইরে বের হই । খাবার কিনে আবার দ্রুত বাসায় ফিরে আসি। সারাদিন বই পড়ি আর গান শুনি । এরই ভেতরে দুইটা বই পড়ে শেষ করে ফেলেছি। একটা বই হচ্ছে একজন মুক্তিযোদ্ধা আর্মি জেনারেলের লেখা। স্বাধীণতার প্রথম দশটা বছর কেমন ছিল সেটার বর্ণনা। অন্য বই হচ্ছে স্বাধীনতা পরে ৭৫ এর আগ পর্যন্ত সেই সময়ে বাংলাদেশের অবস্থা কেমন ছিল । প্রায় প্রায় ৫০০ পৃষ্ঠার একটা বই। এই বইটা একটু বেশি বিস্তারিত ভাবে লেখা। এই বই নিয়ে একটা আলাদা রিভিউ লিখতে হবে । বইটা পড়তে পড়তে কেবল একটা কথাই আমার মনে হল যে পরিস্থিতি খুব একটা বদলায় নি।
আজকে (সোমবার) দুপুরে কেবল হোটেলে বসেই খাবার খেলাম । দেখলাম লোকজন এখন অনেকটাই নির্ভয়েই চলাচল করছে।

লেখাটা গুগল ডকে তিনদিন আগে, অর্থ্যাৎ সোমবার লিখেছিলাম। তারপরের দিনগুলো আর স্বাভাবিক হয়ে এসেছে। মানুষজন সব বাইরে বের হচ্ছে । ২৪ তারিখ আমিও বের হলাম । একবার শান্তিনগরে ঢু মেরে আসলাম। সাইকেল ছিল সাথে তাই যাতায়াতে কোন সমস্যা হয় নি। তবে এখনও ফেসবুক এবং ইনস্টগ্রাম ডাউন দেশে। এছাড়া আমি এখনও পর্যন্ত হোয়াটসএপে কোন ছবি বা ডকিউমেন্ট পাঠাতে পারি নি । কালকে রাতে ইউটিউব চলছিল বাফারিং হয়ে তবে আজকে সকাল থেকে কোন ভিডিও চলছে না এখনো পর্যন্ত !

একটা কথা শেষ করি । বিটিভির মত একটা অযোগ্য অদরকারি প্রতিষ্ঠানের ভবন ভাংচুর নিয়ে সরকারকে উৎকন্ঠিত দেখলাম, ১৮৭টা মৃত্যু নিয়ে তাদের ততখানি চিন্তিত হতে দেখলাম না । মৃত্যুর সংখ্যাটা কেবল পত্রিকাতে এসেছে । এর থেকে সংখ্যাটা যে আরও কত বেশি সেটা তো আর বলার অপেক্ষা রাখে না। আমাদের এই দেশে সব কিছুর সব কিছুর দাম আছে, কেবল মানুষের জীবনের দাম ছাড়া ! পত্রিকাতে দেখলাম ২১ জনকে দাফন করা হয়েছে যাদের পরিচয়ই জানা যায় নি ! তাদের কাছের মানুষগুলো কোন দিন কি জানতে পারবে তাদের ভাগ্যে কী ঘটেছিল?

মন্তব্য ২২ টি রেটিং +৬/-০

মন্তব্য (২২) মন্তব্য লিখুন

১| ২৫ শে জুলাই, ২০২৪ সকাল ১০:৩৯

শাওন আহমাদ বলেছেন: ওরা নিজেরাও জানে যে ওদের মিথ্যা জনগন বুঝতে পারে, এর পরেও বলে লোক দেখানো দায় এড়াতে। কে কি বিশ্বাস করল বা না করল তাতে ওদের কিচ্ছু যায় বা আসে না।

২৫ শে জুলাই, ২০২৪ সকাল ১১:৫১

অপু তানভীর বলেছেন: সত্যিই তাই ! ওদের আসলে কিছুতেই কিছু যায় আসে না । যে কোন কিছুর বিনিময়ে ওরা কেবল ক্ষমতায় থাকতে চায় !

২| ২৫ শে জুলাই, ২০২৪ সকাল ১০:৪২

ধুলো মেঘ বলেছেন: এরা খুব ভালো করেই জানে যে এদের কথা কেউ বিশ্বাস করেনা। তারপরেও কিছু একটা বলতে হয়, তাই বলে।

যে পুলিশ ১২/১৪ বছরের ছেলেপেলেদের গুলি করতে একটুও বাধেনা, মহাখালী এলাকায় এতগুলো ধ্বংসযজ্ঞ চালানো হল - তাদের মুরোদ হলোনা একজনকেও গুলি করে ভয় দেখিয়ে তাড়িয়ে দেয়। এই আন্দোলনকারীরা ধ্বংসযজ্ঞ চালিয়ে - এই কুকথাও আমাদেরকে বিশ্বাস করতে হবে।

মেট্রো রেলের দুটি স্টেশন ফ্রি স্টাইলে ভাংচুর করেছে। এই ভাংচুর করতে কম করে হলেও এক ঘন্টা তো লেগেছে। পুলিশের বাচ্চাগুলোর খেমতা হলোনা কাঁদানে গ্যাস বা সাউন্ড গ্রেনেড মেরে এই দুষ্কৃতিদেরকে ধ্বংসযজ্ঞে বাধা দেবার। এই ধ্বংসযজ্ঞ বিএনপি-জামাত করেছে, আর পুলিশ তাদেরকে ফুলেল অভ্যর্থনা দিয়ে দাঁড়িয়ে দাঁড়িয়ে দেখেছে - এগুলো আমরা বিশ্বাস করে নিয়েছি।

এবার এই ধ্বংসযজ্ঞের আসামী হিসেবে এমন কিছু মানুষকে ধরবে - যারা এগুলোর ব্যাপারে কিছুই জানেনা।

২৫ শে জুলাই, ২০২৪ সকাল ১১:৫২

অপু তানভীর বলেছেন: এই সরকারের আমলে কোন দিন হয়েছে বিরোধী দল হামলা করেছে আর সরকারি পুলিশ সেখানে গুলি চালায় নি । বিটিভি মহাখালিতে হামলা চালাল আর পুলিশ কিছু বলল না? বলে নি কারণ যারা করেছে তারা আদৌও কি বিরোধী পক্ষ?

৩| ২৫ শে জুলাই, ২০২৪ সকাল ১০:৪৩

ধুলো মেঘ বলেছেন: এরা খুব ভালো করেই জানে যে এদের কথা কেউ বিশ্বাস করেনা। তারপরেও কিছু একটা বলতে হয়, তাই বলে।

যে পুলিশ ১২/১৪ বছরের ছেলেপেলেদের গুলি করতে একটুও বাধেনা, মহাখালী এলাকায় এতগুলো ধ্বংসযজ্ঞ চালানো হল - তাদের মুরোদ হলোনা একজনকেও গুলি করে ভয় দেখিয়ে তাড়িয়ে দেয়। এই আন্দোলনকারীরা ধ্বংসযজ্ঞ চালিয়ে - এই কুকথাও আমাদেরকে বিশ্বাস করতে হবে।

মেট্রো রেলের দুটি স্টেশন ফ্রি স্টাইলে ভাংচুর করেছে। এই ভাংচুর করতে কম করে হলেও এক ঘন্টা তো লেগেছে। পুলিশের বাচ্চাগুলোর খেমতা হলোনা কাঁদানে গ্যাস বা সাউন্ড গ্রেনেড মেরে এই দুষ্কৃতিদেরকে ধ্বংসযজ্ঞে বাধা দেবার। এই ধ্বংসযজ্ঞ বিএনপি-জামাত করেছে, আর পুলিশ তাদেরকে ফুলেল অভ্যর্থনা দিয়ে দাঁড়িয়ে দাঁড়িয়ে দেখেছে - এগুলো আমরা বিশ্বাস করে নিয়েছি।

এবার এই ধ্বংসযজ্ঞের আসামী হিসেবে এমন কিছু মানুষকে ধরবে - যারা এগুলোর ব্যাপারে কিছুই জানেনা।

৪| ২৫ শে জুলাই, ২০২৪ সকাল ১১:৪৬

সামরিন হক বলেছেন: সব কিছুই ঠিক আছে তবুও কিছুই ঠিক নেই।

২৫ শে জুলাই, ২০২৪ সকাল ১১:৫৩

অপু তানভীর বলেছেন: সত্যিই তাই । সব কিছু ঠিক আছে কিন্তু কিছুই ঠিক নেই ।

৫| ২৫ শে জুলাই, ২০২৪ দুপুর ১২:০২

রবিন_২০২০ বলেছেন: আপনার লেখা থেকে সেই সময়ের কিছুটা চিত্র পাওয়া গেলো। আত্মীয় স্বজন সবারই উঠতি বয়সের ছেলেমেয়ে আছে। জানিনা কে কেমন আছে।

২৬ শে জুলাই, ২০২৪ সকাল ১০:৪৫

অপু তানভীর বলেছেন: হাউজিংয়ের ভেতরে হয়তো তেমন কিছু হয় নি । যারা সরাসরি সংঘর্ষের ভেতরে পড়েছে তারা সত্যিকারের বিপদে পড়েছিল কিংবা যারা দিন আনে দিন খায় তাদের অবস্থা ছিল আরো খারাপ !

৬| ২৫ শে জুলাই, ২০২৪ দুপুর ১:০৭

করুণাধারা বলেছেন: আজকাল যোগাযোগ করার জন্য whatsapp, মেসেঞ্জার আর ফেসটাইম ব্যবহার করি। এখন খালি হোয়াটসঅ্যাপে মেসেজ পাঠানো যাচ্ছে।

আপনার লেখাটা অনেকটা দিনলিপি ধরনের। তারিখ থাকলে বুঝতে সুবিধা হত। হাউজিং কি মোহাম্মদী হাউজিং? তাহলে শুক্রবারে যে গোলাগুলি হল আন্দোলনকারী আর পুলিশের সেই ঘটনার উল্লেখ থাকলে ভালো হতো।

২৬ শে জুলাই, ২০২৪ সকাল ১০:৪৭

অপু তানভীর বলেছেন: আমি লম্বা সময় ধরে হোয়াটসএপই ব্যবহার করি । যোগাযোগের জন্য এটাই আমার পছন্দ । হ্যা এখনও ভিডিও কল করা যাচ্ছে না । কোন ছবি পর্যন্ত পাঠানো যাচ্ছে না।

এটা সোমবার লেখা নিচেই লিখে দিয়েছি । দিনলিপির সময়কাল বৃহস্পতিবার রাত থেকে শুরু !

৭| ২৫ শে জুলাই, ২০২৪ দুপুর ১:২৫

গিয়াস উদ্দিন লিটন বলেছেন: এরকম একটা কিছুর প্রয়োজন ছিল।
তারা ভেবেছিল তাদের চ্যালেঞ্জ করতে পারে এমন কোন শক্তি নেই।

২৬ শে জুলাই, ২০২৪ সকাল ১০:৪৯

অপু তানভীর বলেছেন: শুরুর দিকে কাদের মিয়ার কথা বার্তা নিশ্চয়ই খেয়াল করেছেন । তারা আসলে ভেবেছিল হেলমেটলীগ দিয়েই এটা সামলানো যাবে । কিন্তু হেলমেটলীগ তো পরে পুলিশ বিজিবি দিয়েও সামলাতে পারে নি । এখন দেখেন কথার সুর একেবারে বদলে গেছে । এখন যেন সরকারই ভিক্টিম হয়ে গেছে !

৮| ২৫ শে জুলাই, ২০২৪ দুপুর ২:২৮

শায়মা বলেছেন: ইন্টারনেট ছাড়াও আজও জীবন চলে। ইন্টারনেট বন্ধ হলে কিছু সময়ের জন্য হয়ত থমকাবে মানুষ তবে মানুষ আর তাদের কর্মযজ্ঞ মনের ফল্গুধারা ইচ্ছা আকাঙ্খা লড়াই বড়াই কোনো কিছুকেই আসলে বেশিদিন কিছু দিয়ে আটকানো যায় না। শুধু হয়ত কিছু সময়ের জন্য থমকে দেওয়া যায়।

করোনারকালে সব স্কুল কলেজ ইউনি বন্ধ থাকলেও ছিলো অনলাইনক্লাস। বিশেষ করে আমাদের মত ইংলিশ মিডিয়াম স্কুলগুলোতে। এবারে সেটাও চলছে না। অনলাইনও নেই। কি আর করা আদিম যুগে ফিরে গেলেও জীবন চলবেই.....

২৬ শে জুলাই, ২০২৪ সকাল ১০:৫১

অপু তানভীর বলেছেন: হ্যা সেটা সত্যি কিন্তু আমাদের জীবন ইন্টারেটের প্রয়োজনীয়তা এখন অনস্বীকার্য । যোগাযোগের কথা বাদ দিলাম পুরো অর্থনীতির বড় একটা অংশ টিকে আছে এটার উপরে ।

৯| ২৫ শে জুলাই, ২০২৪ দুপুর ২:৪৪

বোকা মানুষ বলতে চায় বলেছেন: আমাদের এখানে পুরো ছয়দিন কোন ইন্টারনেট সার্ভিস ছিলো না। বিরক্তিকর টিভি চ্যানেল আর এর ওর কাছ থেকে পাওয়া তথ্যের মাধ্যমে দেশের আবহাওয়া পরিস্থিতি বুঝার চেষ্টা করেছি। আমিও গল্প বই পড়ে দুদিন পার করেছি। এর বাইরে কিছু কাজ ছিলো পিসিতে যার জন্য নেট প্রয়োজন নেই, এই ফাঁকে সেগুলো করে দিন কাটিয়েছি। এর বাইরে মুভি দেখেছি চ্যানেল পাল্টে পাল্টে।

এর বাইরে উল্লেখ করার মত একটা উপলব্ধি হয়েছে এই কয়দিনে, যা শেরজা তপনের "কেমন ছিলাম আমরা?" পোস্টের মন্তব্যেও বলেছি,

"আমার একটা ভিন্ন উপলব্ধি ছিলো নিজেকে নিয়ে, তা হল আমরা কি ভয়ানকভাবে ডিজিটাল ডিপেন্ডেন্সি'তে আক্রান্ত। এক সপ্তাহ'র মত ইন্টারনেট বিচ্ছিন্ন থাকায় মনে হচ্ছিলো যেন নিজের দেহ থেকে কিছু নাই হয়ে গেছে। তাও টেলিভিশন চ্যানেল, মোবাইল কল সার্ভিস চালু ছিলো। এই সময়ে উপলব্ধি করেছি বিশ বছরের ব্যবধানে আমাদের মানসিক জগত কি ভয়ংকরভাবে ছোট্ট ডিভাইসের স্ক্রিনে বন্দী হয়ে গেছে। আজ ডিজিটাল ডিভাইস ছাড়া নিজেদের জীবনাচার কল্পনা করতে কষ্ট হচ্ছে। অথচ মাত্র বিশ বছর আগেও কি সুন্দর মুক্ত ছিলো আমাদের জীবন-জগত পুরোটাই। এই কয়দিনের শিক্ষায় আমি নিজে ব্যক্তিগতভাবে উপলব্ধি করেছি, এই ডিজিটাল ডিপেন্ডেন্সি থেকে ধীরে ধীরে নিজেকে সরিয়ে নিয়ে এসে বই পড়া, গান শোনা, ভালো ভালো নির্বাচিত মুভি দেখা (টেলিভিশন চ্যানেল ঘুরিয়ে যদি পাওয়া যায়, তাহলে সবচাইতে ভালো) এগুলোর চর্চা আবার শুরু করতে হবে। অনেকটা "ব্যাক টু নাইনটিস"।"

২৬ শে জুলাই, ২০২৪ সকাল ১০:৫৬

অপু তানভীর বলেছেন: এটা তো আর একদিনে হয় নি । ধীরে ধীরে হয়েছে । এই যেমন ধরেন আজ থেকে বারো বছর আগে মানুষ মোবাইল মানির (বিকাশ) কেমন ভাবে নির্ভর করতো? কিন্তু এখন দেখেন দেশের কত শতাংশ মানুষ এটার উপর নির্ভর করে । আবার দেখেন ফেসবুক! এটা আমাদের নিছক যোগাযোগ আর টাইম পাসের জায়গা হলেও অনেকের জন্য এটা তাদের একমাত্র রুটিরুজি । আমি একজনের কথা জানি যে তার ফেসবুক বইয়ের পেইজ চালায় । গত দশ বারো বছরে প্রায় ৩০ কোটি টাকার বই বিক্রি করেছে । এই রকম আরও কত ব্যবসা যে আছে কেবল ফেসবুক নির্ভর ।
আমাদের আর কোন দিন নাইনটিসে ফেরৎ যাওয়া হবে না যদি না এই সিস্টেম যুদ্ধ লেগে ধ্বংস না হয়!

১০| ২৫ শে জুলাই, ২০২৪ রাত ১১:৫৭

শেরজা তপন বলেছেন: হোটেলের খাবার নিয়মিত খেয়ে তো আপনি কঠিন রোগ বাঁধাবেন!!

১১| ২৫ শে জুলাই, ২০২৪ রাত ১১:৫৮

শেরজা তপন বলেছেন: হোটেলের খাবার নিয়মিত খেয়ে তো আপনি কঠিন রোগ বাঁধাবেন!!

২৬ শে জুলাই, ২০২৪ সকাল ১০:৫৭

অপু তানভীর বলেছেন: এই দেশে আর বেশিদিন বাঁচার উপায় নাই । রোগে মরার আগেই দেখবেন একদিন ফুট করে মরে গেছি ! :D

১২| ২৬ শে জুলাই, ২০২৪ রাত ৮:৫৬

মনিরা সুলতানা বলেছেন: আমাদের তো শুরুর ক দিন টিভি ও ছিল না।
হ্যাঁ মালের শোক বিশাল শোক। আর জান চলে গেলে কেবল একটা পরিবারের ই শোক করার অধিকার আছে।

০৫ ই আগস্ট, ২০২৪ সকাল ৯:২৬

অপু তানভীর বলেছেন: সত্যিই তাই ।

আপনার মন্তব্য লিখুনঃ

মন্তব্য করতে লগ ইন করুন

আলোচিত ব্লগ


full version

©somewhere in net ltd.