নির্বাচিত পোস্ট | লগইন | রেজিস্ট্রেশন করুন | রিফ্রেস |
গল্প এক
-আমি ছবি তুলে দেই ?
রিয়া কথাটা শুনেই খানিকটা থমকে দাড়ালো । সম্ভবত এই কথাটা অনেক দিন সে শুনি নি কিংবা কেউ জানে বলে নি । আমি আবারও কথাটা বললাম
-আমি কটা ছবি তুলে দিবো তোমার ? তোমার সব ছবিই তো দেখি ফেলফি !
রিয়া বলল
-আমার সব ছবি দেখো তুমি ?
-কেন দেখবো না ? আমি তোমার হাজার হাজার ফলোয়ারের ভেতরে একজন ক্ষুদ্র ফলোয়ার !
রিয়া কিছুটা সময় আমার মুখের দিকে তাকিয়ে রইলো । তারপর হাতের মোবাইল টা আমার দিকে বাড়িয়ে দিল । ক্যামেরা অপশন আনাই ছিল । আমি ক্যামেরাটা হাতে নিয়ে বললাম
রেলিংয়ের উপর হেলান দিয়ে দাড়াও । চোখ আমার দিকে !
রিয়া তাই করলো । আমি কিছুটা সময় তাকিয়ে রইলাম ক্যামেরার মনিটরের দিকে । মেয়েটার চোখে কেমন জানি ছলছল করছে । মারাত্বক একটা ছবি আসবে । যে কোন ছেলের মাথা খারাপ করিয়ে দেওয়ার জন্য যথেষ্ঠ ।
বেশ কয়েকটা ছবি তুললাম ওর । মোবাইলটা সনি কোম্পানির হওয়াতে ক্যামেরাটা অনেক ভাল । ছাদের বিভিন্ন জায়গায় দাড়িয়ে আরও কয়েকটা ছবি তুললাম ।
যখন মোবাইলটা দিতে গেলাম ওর হাতে বললাম
-সুন্দর ছবি এসেছে তোমার । তোমার ক্যামেরা ফেস বেশ ভাল ।
-তার মানে কি আমার আসল চেহারা খারাপ ?
-আরে তাই বললাম নাকি ? ক্যামেরা ফেসের সাথে চেহারা ভাল খারাপের কোন সম্পর্ক নেই আসলে । এই যে দেখো আমার চেহারা কি খারাপ ?
রিয়া আমার দিকে তাকালো ভুরু কুচকে ! আমি বললাম
-আরে মানে খারাপ বলতে আমি বলছি না যে আমি খুব হ্যান্ডসাম দেখতে । বলতে চাচ্ছি ঠিক ঠাকই তো নাকি ?
-হ্যা ।
-কিন্তু আমার ছবি আসে মারাত্বক বাজে । একদম ভাল আসে না । দেখবা ?
এই বলে দেরি না করে ঠিক আরও একটু কাছে চলে গেলাম ওর । মোবাইলে তখন সেলফি মোড চালু করাই ছিল টুক করে রিয়ার সাথে সেলফি তুলে ফেললাম । তারপর এমন একটা ভাব করলাম যেন কিছুই হয় নি । ক্যামেরার ছবির গ্যালারি বের করে বললাম
এই দেখো বাজে এসছে না ।
রিয়া আবারও আমার দিকে কিছুটা সময় তাকিয়ে থেকে ক্যামেরার দিকে তাকালো । তারপর বলল
-হ্যা বাজে এসেছে । তা তুমি আমার সাথে সেলফি তুললে কেন ?
-সমস্যা কি ?
-সমস্যা আছে ।
-আরে বাবা ক্যামেরা তো তোমার । তোমার কাছে ছবি থাকবে । তুমি না চাইলে এই ছবি কেউ কোন দিন দেখবে না । ঠিক না ?
রিয়া কিছুটা সময় কি যেন ভাবলো । আমার কথায় যুক্ত খুজে বেরাচ্ছে যেন । তারপর আমার কাছ থেকে মোবাইলটা নিয়ে নিল । বলল
-তা ঠিক । এনি ওয়ে থ্যাঙ্কিউ ছবি তুলে দেওয়ার জন্য ।
-মেনশন নট । এনি টাইম । একটা কথা বলবো ?
-বল
-তুমি ফেসবুকে খুব পপুলার কিন্তু বাস্তবে খুব একা তাই না ?
যখন প্রথমবার ওর ছবি তুলে দেওয়ার কথা বলেছিলাম তখন ও খানিকটা চমকে ছিল এবারও ঠিক তেমন ভাবেই চমকালো । বরং আরও বেশি একটু । আমার দিকে তাকিয়ে রইলো কোন কথা না বলে । তারপরপ বলল
-আমি যাই । কাজ আছে ।
আর কথা না বলে রিয়া সিড়ি দিয়ে নিচে নেমে গেল । আমি তাকিয়ে রইলাম ওর চলে যাওয়ার দিকে ।
রিয়া আমাদের বিল্ডিংয়েই থাকে । আমরা যেমন ভাড়াটিয়া ওরাও ঠিক তেমনি । বিকেলে ওকে ছাদে উঠতে দেখি প্রায়ই, মাঝে মাঝে সিড়িতে উঠতে কিংবা নামতে দেখা হয় । কিন্তু কথা হয় না । কিন্তু ওকে নিয়মিত দেখি ফেসবুকে । চেহারা সুন্দর বিধায় ফেসবুকে জনপ্রিয়তা পেতে খুব একটা সময় লাগে না । রিয়ার ব্যাপারটাও তাই । কিন্তু ওর ভার্চুয়াল লাইফ টা বাস্তব দেখে অনেক টাই আলাদা । অনলাইনে সারাটা সময় হইচই করলে ওকে আমি বাস্তবে খুব নিরব থাকতে দেখেছি সব সময় । যখন সিড়ি দিয়ে নিচে নামে তখন মাথা নিচু করে নামে আবার যখন উঠে তখনই মাথা নিচু করে । ওর কেন জানি কোন বন্ধু নেই । ওর কলেজে কোন বন্ধুদের সাথে আমি ঠিক ওর কোন ছবি দেখি নি । সারাটা দিন বেশ কয়েকটা ছবি আপলোড দেয় কিন্তু সব গুলোই ফেলসি । কে জানি বলেছে যে মেয়েটি দিনে শ খানেক সেলফি তুলে তার মানে হচ্ছে মেয়েটির এমন কেউ নেই যে তার ছবি তুলে দিবে ।
আমারও তাই মনে হল । মনে যেন মেয়েটি বাস্তবের একাকিত্ব ভার্চুয়্যাল লাইফে কাটানোর চেষ্টা করছে ।
বাসায় গিয়ে ফেসবুক ওপেন করতেই দেখি একটু আগে যে ছবি তুলেছিলাম সেটার থেকে একটা আপলোড করে প্রোফাইল পিকচার দিয়েছে । তার থেকে অবাক করা বিষয় ও আমাকে খুজে বের করে আমাকে ফ্রেন্ড রিকোয়েস্টও দিয়েছে । একবার মনে কিছুটা সময় ঝুলিয়ে রাখি কিন্তু পরে মনে হল এই রিস্ক নিয়ে লাভ নেই । এক্সসেপ্ট করে ফেলি ।
তারপর ?
রিয়ার সাথে কি আমার প্রেম হয়েছিল ? হতেও পারে আবার নাও হতে পারে ! সেটা অন্য কোন গল্প ।
গল্প দুই
মুনির হাসি দেখে নিশি যেন আরও একটু রেগে গেল । বিরক্ত হয়েই বলল
-হাসছিস কেন ?
-হাসবো না ?
-আমি আসলে ভাবতেও পারি নি সুমন চলে আসবে ! মানুষ কি জীবনে কোন দিন সিরিয়াস হবে না ? আজিব !
-আরে বাবা রাগ করিস কেন ? তুই দাওয়াস দিয়েছিস বলেই তো এসেছে !
-আমি তো ওকে জ্বালানোর জন্য দাওয়াত দিয়েছিলাম কিন্তু ছাগলটা যে চলে আসবে সেটা ভাবি নি ।
-আরে রাগ করিস না । আমি দেখছি !
মুনি হাসতেই লাগলো । হাসতে হাসতেই ঘর ছেড়ে বাইরে চলে গেল । নিশি আসলেই নিজেকে ঠিক মত ধরে রাখতে পারছে না । তবে নিশির রাগের কারন টা ঠিক এটা নয় যে সুমন সত্যি সত্যিই ওর বিয়ে খেতে চলে এসেছে । যখন নিশি নিজের হাতে সুমন কে বিয়ের কার্ড টা দিয়েছিলো তখনই মনে হয়েছিল সুমনের বিশ্বাস নেই । চলেও আসতে পারে । আজকে যখন সুমন কে মেহমান দের সারিতে বসে থাকতে দেখলো তখনও একটুও অবাক হয় নি । ওর রাগের কারন হচ্ছে ও এখানে এসেও মেহমানদের একটা মেয়ের সাথে হেসে কথা বলছে ।
নিশি আসলেই ভেবে পায় না কি ধরনের ছেলে যে নিজের প্রেমিকার বিয়ের দাওয়াত খেতে এসেও অন্য মেয়ের সাথে ফ্ল্যার্ট করছে । নিশি এটা দেখে কিছুতেই মেনে নিতে পারছে না । কেমন যেন একটা ঈর্ষা অনুভব করছে । এই ছেলেটার কি কোন দিন কিছু মনে করেবে । তার নিজের ভালবাসার মানুষটার যে অন্য কারো সাথে বিয়ে হয়ে যাচ্ছে এটা কি ছেলেটার কাছে কিছুই নয় ?
সুমনের সাথে নিশির ব্রেকআপটাও হয়েছে ঠিক এই জন্যই । সুমন কোন কিছুতেই সিরিয়াস নয় । পড়ালেখা শেষ করে যখন সবাই চাকরি বাকরি চেষ্টা করছে তখন সে হাওয়া খেয়ে বেড়াচ্ছে । এখনও তাই আছে । নিশি যখনই কিছু বলতো তখনই বলতো এতো তাড়াহুড়ার কি আছে । এই বিষয়টা নিয়েই ওদের মাঝে প্রায়ই ঝগড়া লেগে যেত । একদিন এমন পর্যায়ে পৌছালো যে ব্রেকআপ হয়ে গেল । তার কয়েক দিন পরেই মাহমুদ ওকে দেখতে এল । যদিও নিশির খুব একটা ইচ্ছে ছিল না তবুও বাবা মাকে আর কিছুতেই আটকাতে পারছিলো না । আসলে সুমনের উপর প্রচন্ড রাগ থেকেই ও মাহমুদ কে বিয়ে করতে রাজি হয়েছিলো । সুমনকে আরও একটু রাগানির জন্য নিজের হাতে বিয়ের কার্ডটা দিয়ে আসলো ওকে । নিশি ভেবেছিলো হয়তো বিয়ের কার্ড দেখে সুমন কিছু একটা করবে কিন্তু উল্টো আরও খুশি হল । সেটা দেখে নিশির রাগটা যেন আরও একটু বেড়ে গেল । আর আজকে এখানে এসে অন্য মেয়ের সাথে টাংকি মারছে ।
নিশি নিজের ভেতরেই রাগে ফুসতে লাগলো । কয়েকবার দেখেও এল দরজার ফাঁক দিয়ে । সেই একই ভাবে বসে আছে আর আড্ডা চালিয়ে যাচ্ছে । নিশি কি করবে না করবে যখন ভাবছে তখনই নিশির মা ঘরে ঢুকলো । একটু যেন বিষন্ন মায়ের চেহারা টা । অবশ্য বিয়ে বাড়িতে কন্যার বাবা আর মা সব সময় চিন্তায় থাকে । কখন কি হয় বা না হয় ! এটা নিয়ে তাদের চিন্তার শেষ নেই ।
-কি হয়েছে মা?
-তোর আব্বু তোকে ডাকছে ।
মায়ের সাথে সাথেই আব্বুর ঘরের যেতে দেখলো তার আব্বা বিছানায় শুয়ে আছে । তার মাথায় পানি ঢালা হচ্ছে ।
-কি হয়েছে ?
নিশির মাথায় যেন কিছুই আসছিলো না । তার আব্বার মাথায় পানি ঢালা হচ্ছে কেন ?
ঘরে ওর বাবা মা ছাড়াও কাজের মানুষটা রয়েছে । নিশির মা সেই দিকে তাকাতেই কাজের মানুষটা বাইরে চলে গেল । নিশির মা বলল
-মাহমুদদের বাসা থেকে একটু আগে ফোন এসেছিলো !
-কি হয়েছে ?
-ওরা আসছে না !
-মানে ? কি বলছো ?
-হ্যা ! ওরা আসছে না ।
-কেন ?
নিশির মা জবাব দিতে পারলো না । কেবল চেয়ে রইলো নিশির দিকে ।
নিশি কি বলবে ঠিক বুঝতে পারলো না । কিছু সময়ের ভেতরেই বর চলে আসার কথা ছিল । ওর দিক কার সব আত্মীয় স্বজনেরা চলে এসেছে । এখন ? বিয়ে না হলে খুব একটা সমস্যা হবে না কিন্তু মান সম্মানের একটা ব্যাপার আছে । নিশির বাবার কাছে নিজের মান সম্মান টা অনেক বড় একটা ব্যাপার । এই জন্যই নিশির বাবা বিছানায় পড়ে গেছেন । নিশি যখন এই কথা ভাবছে তখনই নিশি শুনতে পারলো ওর বাবা কন্ঠটা ।
-নিশি মা,
-বল বাবা !
-আমাকে মাফ করে দিস । তোকে জোর করেই বিয়ে দিতে গিয়ে কি হয়ে গেল !
-কিছু হয় নি বাবা । কিছু হবে না । তুমি চিন্তা করো না । কদিন পরে সবাই ভুলে যাবে !
বাবার মাথায় হাত বুলাতে বুলাতেই নিশির একটা কথা মনে হল চট করে । একবার মনে হল বাবা হয়তো রাজি হবে না । তারপরে মনে হল রাজি না হয়ে যাবে কোথায় ? এখন বাবা অথৈ পানিতে ডুবে যাচ্ছে । যা পাবে সেটা ধরেই ভেসে থাকতে চাইবে ।
আসলেই সত্যি বলতে কি মাহমুদ যে আসছে না এতে করে নিশি কেন জানি মোটেই খারাপ লাগছে না । বরং একটু যেন নিজেকে মুক্ত মুক্ত লাগছে । নিশি বলল
-বাবা আমি একটা কথা বলবো ?
-বল !
-দেখো আমি একটা ছেলেকে পছন্দ করতাম । আমি কোন দিন তোমাদের বলি নি । ছেলেটা আজকে এখানে আছে । ওকে দাওয়াত দিয়েছিলাম ও চলেও এসেছে । আমি ঐ ছেলেটাকে বিয়ে করতে চাই ।
নিশির বাবা বলল
-ছেলে কি করে ?
নিশি চট করেই রেগে গেল ।
-বাবা ! এখন ছেলে কি করে খুজতেছো ? খুব তো কাজের ছেলে খুজে এনেছিলে । দেখলে না কি হল ! দেখ যদি আজকে এই আসরে আমার বিয়ে না হয় তাহলে এর পরে আর কোন দিন তুমি আমাকে বিয়ের ব্যাপারে কোন কথা বলতে পারবে না । এই আমি বলে দিলাম ।
এই বলে নিশি উঠে চলে এল । দরজার কাছে যেতেই বাবার ডাক আবার শুনতে পেল ।
-কোথায় তোর সেই ছেলে । আমাকে দেখা !
দুই
সুমন কিছুটা সময় ভদ্রলোকের দিকে তাকিয়ে রইলো । কি বলবে ঠিক বুঝে উঠতে পারছিলো না । নিশির বাবাকে আগে থেকেই চিনতো তবে কোন দিন কথা হয় নি আর আজকে যেন ভদ্রলোককে অন্য রকম লাগছে । আর একটু আগে তিনি যা বলেছে তার জন্য আরও অন্য করম লাগছে ! সুমন বলল
-ওর সাথে আমার যা ছিল সব শেষ হয়ে গেছে । আমি কেবলই বিয়ের দাওয়াত খেতে এসেছি । বিয়ে করতে নয় !
-তুমি আরেকবার ভেবে দেখো !
-কোন ভাবা ভাবির কিছু নেই । আমি বেকার মানুষ । বিয়ে করে বউকে খাওয়াবো কি ?
-সেটা পরে চিন্তা করা যাবে । এখন যদি আমার মেয়ের বিয়ে না হয় তাহলে আর কোন দিন ও বিয়েই করবে না । দেখো তোমাকে ও এখনও ভালবাসে । তাই সবার আগে ও তোমার কথাই আমাকে বলেছে ।
-নিশি বলেছে ও আমাকে বিয়ে করতে চায় ?
-হ্যা !
-আচ্ছা আমি ওর সাথে কয়েকটা কথা বলতে চাই !
-আচ্ছা আমি ব্যবস্থা করছি ।
এইবলেই নিশির বাবা বের হয়ে গেল । নিশি ঢুকলো কিছু সময় পরেই ।
-কি বলবে বল ?
-তুমি সত্যিই আমাকে বিয়ে করতে চাও ?
-হ্যা !
-গুড ! তা আমার কি রাজি হওয়া উচিৎ ?
-মানে ? তুমি রাজি না ?
-রাজি তবে এভাবে না । যেহেতু তুমি প্রস্তাবটা করেছো সেহেতু আমাকে তুমি অফিশিয়ালি বিয়ের জন্য প্রোপোজ করবে ! লাইক হাটু গেড়ে নিচে.........
-জীবনেও না ! যাও তোমার বিয়ে করতে হবে না !
এই বলে নিশি চলে যেতে চাইলে পেছন থেকে সুমন ওকে জড়িয়ে ধরলো ! কানের কাছে মুখটা এনে বলল
-কোথায় যাও সুন্দরী । যখন আমাদের এই সুযোগ দিয়েছে সেটা আমি হাত ছাড়া কেন করবো !
প্রথমে নিজেকে ছাড়িয়ে নিতে চাইলেও পড়ে নিশি শান্ত হয়ে গেল । আসলে এখন ওর রাগ করাটা ঠিক হচ্ছে না । এমন ভাবে ওদের আবারও কাছে আসার সুযোগ আসবে ও ভাবতে পারে নি । ভাবতেও পারছে না আসলেই এটা ঘটতে যাচ্ছে !
তিন
বাসর ঘরের ব্যবস্থা নিশিদের বাসাতেই হল । নিশির ঘরেই । নিশির কাছে তখনও খানিকটা স্বপ্নই মনে হচ্ছে যেন । সুমনের সাথেই ওর বিয়ে হয়ে গেছে এবং সেটা ওর বাবার মতেই সেটা ও এখনও ঠিক ভাবতে পারছে না ।
দরজা খুলে সুমন করে ঘরে ঢুকলো । ওর বিছানার কাছে এসে একটা মোবাইল বের করে দিয়ে ওর দিকে বাড়িয়ে দিল !
-কি ?
সুমন বলল
-একজন তোমার সাথে কথা বলবে ।
নিশি খানিকটা অবাক হয়ে বলল
-কে ?
-কথা বল । বললেই বুঝতে পারবে । আমি বারান্দায় আছি । কথা শেষ হলে বারান্দায় এসো । তোমার সাথে আজকে আমার জ্যোঁছনা দেখার দিন !
নিশি ফোন টা কানের কাছেই ধরে হ্যালো বলতেই ও পাশ থেকে আওয়াজ ভেসে এল !
-কন্গ্রাচুলেশন !
-মাহমুদ !!
নিশির মাথায় কিছু ঢুকছিলো না । সুমনের ফোনে মাহমুদ কেন ?
-আপনি ? এসবের মানে কি !
-এখনও বুঝতে পারছো না ?
-মানে এই সব ?
-সুমন করেছে । আসলে ও যখন আমাকে তোমার কথা বলল আমি প্রথমে রাজি হচ্ছিলাম না । কিন্তু ওর সাথে কথা বলে আমি রাজি না হয়ে পারি নি । আমার একটা কথা শোন, ছেলেটা তোমাকে সত্যি সত্যিই ভালবাসে । ওর সাথে কথা বলে আমার মনে হয়েছে আমার থেকে ওই-ই তোমাকে বেশি ডিজার্ভ করে ।
নিশি কি বলবে কিছুই খুজে পেল না । ওর চোখ তখন চলে গেছে বারান্দার দিকে ।
মাহমুদ বলল
-সামনের জীবনে তুমি কেবল ওর হাত দুটো শক্ত করে ধরে রেখো । দেখবে পৃথিবীর সব সুখ ও তোমার জন্য এনে দিবে ।
-জানি !
-আচ্ছা যাই তাহলে । তোমার সামনের জীবন সুখের হোক ।
লাইন কেটে গেল !
নিশি আস্তে আস্তে নামলো বিছানা থেকে । যা কিছু হয়েছে সেটা ভাগ্যের কারনে হয় নি । সুমন ঘটিয়েছে । ভালবাসার মানুষটাকে কাছে পাওয়ার জন্য মানুষের কি না চেষ্টা ! এটা ভাবতেই একটা অসম্ভব ভাললাগা শুরু হয়েছে মনের ভেতর !
বারান্দায় পা রেখে দেখে সুমন বসে আছে ভরা জ্যোঁছনার ভেতরে ।
ও ঢুকতেই ওর দিকে হাসলো ! বলল
-তুমি ভাবলে কিভাবে যে তুমি আমাকে আমি চলে যেতে দিবো ?
-যদি মাহমুদ রাজি না হত !
-তখন অন্য ব্যবস্থা করতাম !
-তাই ?
-খুব বীর পুরুষ ?
-হুম !
-আর আমার বাবার যদি কিছু হয়ে যেত ?
-তখন তো আরও সহজ হয়ে যেত ।
-একদম .....!!
সুমন ওর হাত ধরে নিজের কাছে বসালো !
-আজ কোন ঝগড়া নয় ! আজকে আমাদের জ্যোঁছনা দেখার দিন !
গল্প তিন
-আপনার নামে মামলা করা উচিৎ জানেন ?
মেয়েটা কিছুটা সময় আমার দিকে তাকিয়ে রইলো । একটা অবিশ্বাসের ছায়া দেখতে পেলাম মেয়েটার চেহারায় । আসলে কেউ তাকে এমন কথা বলতে পারে এমন ধারনা সম্ভবত মেয়েটার মাথায় ছিল না । আমি একটু পেছনে দিকে তাকিয়ে দেখি লিজা আর লিপি এখনও সজিবের সাথে গল্প করে যাচ্ছে যদিও লিজার চোখ খানিকটা আমার দিকে ।
মেয়েটি কিছুটা সামলে নিয়ে মেয়েটি বলল
-সরি, কি বললেন ?
-বললাম যে আপনার নামে মামলা করা উচিৎ ? এবং আপনাকে জেলে আটকে রাখা উচিৎ !
-কেন ? জানতে পারি কি ?
-অবশ্যই । আপনাকে কেউ বলে নি যে আপনার চেহারা দেখলে ছেলে মানুষদের বুকে একটা চিনচিন ব্যাথা হয় । রাতে ঘুম হয় না । আমি নিশ্চিত আজকে রাতে এবং সামনে আরও কয়েকটা রাতে আমার ঘুম আসবে না !
মেয়েটা আমার কথা শুনলো কয়েক মুহুর্ত । এখন দুইটা ঘটনা ঘটতে পারে । এক হচ্ছে মেয়েটা চরম ভাবে বিরক্ত হতে পারে আবার দুই মেয়েটা হেসে ফেলতে পারে । আমি যে তার রূপের প্রসংশা করছি সেটা নিয়ে খানিকটা খুশি হতে পারে । যদিও এই পদ্ধতিটা অনেক পুরানো । আগে প্রায়ই হিন্দি সিনেমাতেই এই টাইপের ডায়ালগ দেখা যেত ।
মেয়েটাকে দেখে আসলেই মাথা খানিকটা গুলিয়ে গেছিলো তাই মাথায় আর কিছু আসে নি ! এটা মনে আসলো তাই বলে দিলাম । এবং আমাকে খানিকটা অবাক করে দিয়েই মেয়েটা হাসলো । তবে যতটা ভেবেছিলাম ততটা নয় ।
মেয়েটি বলল
-সবার সাথে এভাবে ফ্ল্যার্ট করেন ?
কথাটা শুনে এমন ভাব করলাম যে ন এর থেকে অবাক করা আর বিশ্ময়কর কথা আমি জীবনে আর শুনি নাই । বললাম
-আপনার কি তাই মনে হচ্ছে ? আমার চেহারার দিকে তাকিয়য়ে দেখুন !
মেয়েটি কিছু না বলে তাকিয়ে রইলো আমার চেহারার দিকে । আমি তাড়াতাড়ি বললাম
-যার আসার কথা ছিল সে আসে নি তাই না ?
মেয়েটা কিছুটা যেন চমকালো । তারপর বলল
-আপনি দেখছিলেন ?
-সত্যিই দেখছিলাম । আসলে আমার চোখ আপনার দিকেই ছিল । সরি ! আসলে আমি চোকখ সরাতে পারছিলাম না ।
মেয়েটা আমার এই সদ্য বলাটা যেন বিশ্বাস করে নিল এবং সেটা অপছন্দ করলো বলে মনে হল না। বলল
-হ্যা । আসার কথা ছিল তবে আসবে না ।
-চলে যাবেন এখন ?
-হ্যা ! বসে থেকে কি করবো ?
-একটা কথা বলি !
-না করলে কি বলবেন না ?
-নাহ বলবো । আসলে একটা অনুরোধ করবো । আমি আমার বন্ধুদের দিকে ইশারা করে দেখালাম । তারপর বলল
-আসলে আজকে আমার বন্ধু লিজার জন্মদিন । দেখতেই পাচ্ছেন । আমাদেরও একজন আসার কথা ছিল কিন্তু সে আসে নি । আপনি আমাদের সাথে যোগ দিন তাহলে খুব ভাল হয় !
-কি বলেন ? নাহ ঠিক আছে । ধন্যবাদ ।
-না প্লিজ আসুন ! প্লিজ !
-না ঠিক আছে ।
-আরে আসুন না ! কেক-ই তো কাটবো !!
আমি এতোবার করে অনুরোধ করতে লাগলাম যে মেয়েটা শেষে রাজি হয়ে গেল । ওকে নিয়ে আমাদের টেবিলের দিকে গেলাম !
আসলে লিজার জন্মদিনের ট্রিট খেতে এসেছি আল-ফ্রাস্কোতে । সেখানেই মেয়েটাকে দেখি । কারো জন্য অপেক্ষা করছিলো । মনযোগ আকর্ষন করার মতই মেয়েটার চেহারা ছিল । আমিও গ্রুপের সাথে আড্ডা দিতে দিতে মেয়েটার দিকে লক্ষ্য রাখতে লাগলাম । এক পর্যায়ে মেয়েটা কাকে যেন ফোন করলো । কয়েক বার যেন ফোনে পেল না । তারপর একটা সময় কিছু কথা হল এর পর মেয়েটার চেহারায় আরও যেন একটু বেশি হতাশ হল । বুঝতে কষ্ট হল না যে মেয়েটা যার জন্য অপেক্ষা করছিলো সে আসতে মানা করে দিয়েছে । মনে মেয়েটা একা একা চলে যাবে । তাই একটা চান্স নিলাম । এবং মেয়েটা আমাকে অবাক করে দিয়ে রাজি হয়ে গেল ।
আমাদের সবার সাথেই বেশ মিশে গেল । মেয়েটা নিজের নাম বলল ফাইজা । শেষে যখন আমাদের আড্ডা শেষ হল আমাদের সবাইকেই ধন্যবাদ দিল চমৎকার এই সময়টার জন্য । নিজের জন্য বেশ কয়েকটা ছবিও তুললো । সবার শেষে আমাকে যেন একটু বেশিই ধন্যবাদ দিলো ।
আমার কাছে মনে হয় মেয়েটা আসলে এভাবে রাজি হয়ে যাবে আর রাজি হলেও মানিয়ে নিতে পারবে না । কিন্তু মনে হল যেন মেয়েটা আমাদের গ্রুপের কত দিনের চেনা । মিশুক প্রকৃতির মেয়ে সেটা ব্যাবহারেই বুঝতে পারলাম । যাই হোক একবার মনে হল মেয়েটার কাছে মোবাইল নাম্বার চাই কিন্তু সেটা লেইমনেসের মাত্রা আসলেই ছাড়িয়ে যাবে বলে আর চাওয়া হল না ।
কিন্তু তখনই ঘটনা ঘটনার আরও বাকি ছিল । রাতে ফেসবুকে বসে ছিলাম । রাত তখন তিন কার কাছাকাছি বাজে তখনই আমার ইনবক্সে একটা নক এল । এতো রাতে পরিচিত সবাই-ই ঘুমিয়ে পড়ে । বাইরে থাকে কয়েকজন তাদের মাঝে মাঝে নট দেয় ! কিন্তু আজকে তাকিয়ে আমার খানিকটা চোখ কপালে উঠলো । নক দিয়েছে আর কেউ না, ফাইজা ! এই মেয়ে আমার খোজ পেল কিভাবে ?
নক দেওয়ার আগে প্রোফাইলে গিয়ে দেখি আসলেই আজকের মেয়েটা । এবং আজকে সন্ধ্যায় আমাদের সাথে নিজের ক্যামেরায় যে ছবি গুলো তুলেছিলো সেই ছবি গুলো সে সেখানে শেয়ার করেছে । খাইছে আমারে ।
-আপনি ? আমার খোজ পেলেন কিভাবে ?
মেয়েটা কিছু টাইপ করলো কিন্তু সেটা পোস্ট হল না । মানে হল মেয়েটা যা লিখে ছিল সেটা মুছে ফেলেছে । কয়েক মুহুর্ট চুপচাপ । তারপর ফাইজা লিখলো
-আপনার ভাইবার নাম্বার টা কি দেওয়া যাবে ?
মনে মনে বললাম দেওয়া যাবে না মানে ? তুমি বললে আমি আমার ব্যাংক একাউন্ট নাম্বার থেকে নিজের অন্য আরও কত নাম্বার দিতে দেব !
ফাইজা বলল
-আসলে আজকে আসার সময়ই নাম্বার টা নিয়ে আসার দরকার ছিল । ভুলে গেছিলাম
আমি না্ম্বার দিয়ে দিলাম । তারপরই কল চলে ।
আমি রিসিভ করে বললাম
-আমি আসলেই আপনাকে আশা করি নি । ভেবেছিলাম আর কোন দিন দেখা হবে না হয়তো !
মেয়েটা হাসলো ।
-আমার কিন্তু মনে হয়েছিলো আমাদের আবার কথা হবে !
-সত্যি ? আমি খুব বেশি অবাক হয়েছি ।
-হুম ! একটা কথা বলবো । তাহলে আপনি আরও বেশি অবাক হবেন !
-বলুন !
-আমি কিন্তু আপনাকে আগে থেকেই চিনি ।
-মানে ! কিভাবে ?
-আসলে আই ইউজড টু রিড ইয়োর স্টুপিড স্টোরিস !
-স্টুপিড !!
-সরি !
-না ঠিক আছে । আপনি সত্যিই আমার গল্প পড়তেন ?
-হুম ! প্রথমে আপনি যখন এলেন তখন আপনাকে চিনতে পারি নি কিন্তু চেহারা ঠিক চিনতে না পারলেও কেমন যেন চেনা চেনা লাগছিলো । তারপর চিনেছি !
-আচ্ছা এই জন্যই রাজি হয়েছেন আমাদের সাথে জয়েন করতে ?
-বলতে পারেন !
আমার তাই মনে হল সেখানে কিছু ঘাপলা ছিল । একটা মেয়ে এভাবে রাজি হওয়ার তো কথা না কোন ভাবেই । ফাইজা আবার বলল
-আসলে আমার জীবনে একটা বড় ধ্বংসের জন্য আপনি খানিকটা দায়ী ! তাই মনে হল আপনার সাথে যোগাযোগ করে কথাটা বলা দরকার !
-মানে ?
আমি মেয়েটার কথা কিছুই বুঝতে পারলাম না । মেয়েটার আমি কি এমন ক্ষতি করলাম ? আমি তো ওকে চিনতামই না আজকের আগে ।
ফাইজা কিছুটা সময় চুপ থেকে তারপর বলল
-ঐ যে বললাম না আমি আগে আপনার স্টুপিড স্টোরি গুলো পড়তাম । পড়ে মনে হত আসলেই পৃথিবীতে ভালবাসা বলে কিছু আছে ।
-আপনার কি মনে হয় নেই ?
-অবশ্যই নেই !
আমার আসলে মেয়েটার জীবন সম্পর্কে কোন ধারনা নেই । তাই কি বলতে গিয়ে কি বলবো সেটা আবার কোন দিকে যাবে তাই চুপ করে রইলাম ।
ফাইজা বলল
-সত্যি বলতে কি আপনার গল্প পড়ে মনে হয়েছিলো যে আসলেই এরকম বাস্তবের প্রেমে হয় । সব হ্যাপি এন্ডিং । কিন্তু হয় না । খুব খারাপ লাগে জানেন । যদি কোন দিন আপনার লেখা না পড়তাম তাহলে এরকম হত না । মানে স্বপ্ন জাগতো না । সেটা ভেঙ্গেও যেত না ।
আমি কি বলবো ঠিক বুঝলাম না । ফাইজা আবার বলল
-আপনি এসব ফাউল গল্প লেখা বন্ধ করে দেন । বাস্তবে এমন কিছু হয় না । বাস্তবে যা হয় তাই লিখুন !
অন্য কেউ হলে তাকে এই সময় আমি কঠিন কিছু কথা বলতাম কিন্তু ফাইজাকে কেন জানি বলতে পারলাম না । কেন বলতে পারলাম না কে জানে ? আমি ভেবেছিলাম যে তখনই ফাইজা ফোন রেখে দিবে তবে সে দিলো না । প্রায় ভোর পর্যন্ত কথা বলল আমার সাথে । ফোন রাখার আগে কেবল বলল
-আসলে খুব একা একা লাগছিলো । আজকে ভেবেছিলাম সুইসাইড করবো । কোন একটা কারন খুজছিলাম বাঁচার জন্য । আপনার সাথে কথা বলে সেটা কাটিয়ে উঠলাম । ধন্যবাদ আর আপনার লেখাকে স্টুপিড স্টোরি বললাম বলে মন খারাপ করবেন না । কেমন !
-নাহ মন খারাপ কেন করবো ! খানিকটা সত্য অবশ্য বলেছেন ।
-আপনার সাথে কথা বলে ভাল লাগলো !
-আমারও
ঐদিন সকালে বেশ বেলা করে ঘুম ভাঙ্গলো । উঠে দেখি ফাইজার এসএমএস এসেছে বেশ কয়েকটা । সব গুলো পড়লাম । যার একটাতে বলা হয়েছে আমার আজকে বিকেলে কোন কাজ আছে নাকি । যদি না থাকে তাহলে একবার দেখা করা যায় নাকি !
লিখে দিলাম যে যাবে ।
আমি আসলে জনাতাম না ফাইজা মেডিক্যালের ছাত্রী । অবশ্য এমন মেয়েদের ডাক্তারই হওয়া উচিৎ । রোগি কেবল চেহারা দেখেই অর্ধেক ভাল হয়ে যাবে । আমি ওর মেডিক্যালের সামনে হাজির হলাম বিকেল বেলা । ওকে ফোন দিতেই ও বের হয়ে এল । আমাকে নিয়ে রিক্সায় উঠলো ।
-কোথায় যাচ্ছি আমরা ?
-জানবেন । তবে কোন কথা বলবেন না । আমি যা করবো সেটাতে হ্যা হ্যা করবেন । মনে থাকবে ?
-মানে ?
-কোন মানে নেই । আপনার গল্পের একটা সুত্র এপ্লাই করতে যাচ্ছি ।
-আমি আসলেই ঠিক বুঝতে পারছি না ।
-বুঝবেন
সত্যি বুঝতে পারলাম । ফাইজা আমাকে আরেকটা প্রাইভেট মেডিক্যাল কলেজের সামেনে নিয়ে এল । এবং নেমেই ওর হাবভাব খানিকটা বদলে গেল । আমার হাত ধরলো খুব স্বভাবিক ভাবে । তারপর আমাকে প্রায় টেনেই নিয়েই গেল ।
কয়েকটা ছেলে মেয়ে আড্ডা দিচ্ছিলো একজায়গায় বসে । সেখানে গিয়ে ফাইজা আমার হাত ধরা অবস্থায়ই একজনকে বলল
-শিহান কোথায় বলতে পারো ?
-ও তো এখানে নেই ?
-কোথায় গেছে ?
আমি আসলে তখনই বুঝতে পারছি না কি হচ্ছে । ফাইজা শিহান নামের কাউকে খুজতেছিলো । কিন্তু আমার কেন জানি মনে হল ও সেটা খোজার চেয়ে আমার হাত ধরে আছে সেটা সবাইকে দেখাতে ব্যস্ত ।
আমি যখন আবার ওকে নিয়ে বের হলাম তখনও আমার হাত ছেড়ে দিল । রিক্সায় চড়তে চড়তে বললাম
-কি ব্যাপার ফাইজা ?
-অবাক হচ্ছেন খুব ?
-একটু ?
-কেন আপনার গল্পে তো এমন ঘটনা ঘটে প্রায়ই ঘটে না ?
-তা ঘটে ! কিন্তু আজকে বাস্তবে ঘটলো !
-আসলে আপনি কি চাচ্ছেন একটু কি বলা যাবে !
আমার সেই কথার জবাব না দিয়ে ফাইজা বলল
-আচ্ছা আমি যতদুর জানি আপনি এখন সিঙ্গেলই আছেন । আপনার প্রেমিকার বিয়ে হয়ে যাওয়ার পরে আর কারো সাথে আর কিছু হয় নি ।
-ইচ্ছে করে নি আর কি !
-কটা দিন আমার সাথে ইন এ রিলেশনশিপে গেলে কি খুব বেশি সমস্যা হবে ?
-মানে ?
আমি সরু চোখে মেয়েটার দিকে তাকিয়ে রইলাম । মেয়েটা আমার দিকে ঠিক তাকিয়ে নেই । আমার ব্যাপার টা বুঝতে কিছুটা সময় লাগলো তবে ধরতে পারলাম ঠিক ঠিক । আসলে এরকম আমার গল্পে প্রায়ই অনেক বারই হয়েছে । একজন কে পাওয়ার জন্য অন্য জন অন্য কারো সাথে মিথ্যা প্রেমের অভিনয় করেছে ফেইক রিলেশনশীপে গেছে ।
আমি বললাম
-আপনি সত্যি এটা করতে চান ?
-হ্যা !
-কেন ?
-জানি না । বললাম না আপনার গল্প পড়তাম । মনে হল কাজ হলেও হয়তো হতে পারে ।
-ওকে সমস্যা নেই । কদিনের জন্য আপনার বয়ফ্রেন্ড হতে খারাপ লাগবে না ।
তারপর সত্যি সত্যি আমাদের লোক দেখাবো প্রেম শুরু হল । এক সপ্তাহ করে মাস গড়ালো । ফোন থেকে ম্যাসেঞ্জার আর ভাইবারে কথা হত অনেক । মানুষকে দেখানোর জন্য দেখা হল বেশ কয়েকবার । ছবিও উঠানো হল অনেক । সেই সাথে সগুলো ফেসবুকে পোস্টও হল ।
একটা সময় জানতে পারলাম ফাইজার এক্স বয়ফ্রেন্ড নাকি ওর সাথে যোগাযোগ করার চেষ্টা করছে । ওকে বেশ খুশি লাগলো । বলল যে কাজ হচ্ছে । আরও সপ্তাহ খানেক পরে ও জানালো যে শিয়ান নাকি ওর সাথে দেখা করতে চেয়েছে । আমি যেন ওখানে থাকি সত্যটা বলার জন্য ।
খানিকটা মন খারাপ হল । অন্য কিছু না হলেও মেয়েটার সাথে চমৎকার সময় কাটছিলো । শিয়ানের সাথে সব কিছু ঠিক হয়ে গেলে আর তো কথা হবে না । তখন ?
কিন্তু কি আর করা !
ভাগ্য মেনে নিতে হবে ।
আমাদের দেখা হল সেই আল-ফ্রাস্কোতেই । আমাদের যাওয়ার কিছু সময় আগেই দেখলাম শিয়ান সাহেব এসে হাজির । আমাকে আসতে দেখে একটু যেন মলিন হয়ে গেল । কিছু যেন ঠিক ঠিক বলতে পারছিলো না । একটু যেন দ্বিধা করলো । ফাইজা বলল
-ওর সামনেই বল । সমস্যা নেই ।
-আমি জানতাম শিয়ান কি বলবে । এবং এও জানতাম ফাইজা কি বলবে । শেষে আমাকে বলতে হবে ।
কিন্তু শিয়ানের কথা শোনার পড়েই ফাইজার চেহারা একটা সুক্ষ হাসি দেখতে পেলাম । কেমন যেন মিলল না । ফাইজা বলল
-আমি কত দিন ধরে এই দিনটার জন্য অপেক্ষা করেছি তুমি জানো শিয়ান ! যে তীব্র অবহেলা তুমি আমাকে করেছো বিশ্বাস ছিল সেটা একদিন তুমি বুঝতে পারবে !
-আই এম সরি বেইবি ! আসলে তোমাকে অন্য কারো সাথে দেখে আমি বুঝতে পারলাম তোমাকে আমি কতটা ভালবাসি ! এবং আমি জানি তোমাদের এই রিলেশন টা সত্যি না । আমি খুব ভাল করেই জানি । আমার বেইবি কোন দিন আমাকে ছেতে অন্য কোন ছেড়ে যেতে পারে না । তাই না বাবু ! আমাকে একটা ধাক্কা দেওয়ার জন্য তুমি এটা করেছো !
আমি তাকালম ফাইজার চোখে দিকে । ফাইজা তাকিয়ে আছে শিয়ানের দিকে । তারপর আমার দিকে তাকিয়ে মৃদ্যু স্বরে হাসলো । ওর হাসি দেখেই আমার কেন জানি মনে কিছু একটা ঠিক নেই । আমি তাকিয়েই আছি আমার চোখের সামনে ধপ করে ফাইজা শিয়ানের গালে চড় মারলো । আমি আসলে ভাবতেই পারি নি ও এমন কিছু করতে পারে । আমি কেবল অবাক হয়ে তাকিয়ে রইলাম । সব ঠেকে বেশি অবাক হয়েছে শিয়ান নিজে । ও নিজেও আসলে মনে হয় ভাবতে পারে নি যে ফাইজা ওকে মারতে পারে । ভাগ্য ভালে যে তখন আশে পাশে আর কেউ ছিল না । থাকলে তারাও আমাদের মত অবাক হয়েই তাকিয়ে থাকতো !
ফাইজা বলল
-শোধ দিয়ে দিলাম । মনে আছে ?
ফাইজা বলেছিলো ওকে একবার নাকি শিয়ান চড় মেরেছিলাম !
তারপর আমার দিকে তাকিয়ে বলল
-চল ওঠা যাক ।
-মানে ?
-মানে ওঠা যাক ! আমার কাজ শেষ ।
আমি আর কোন কথা না বলে ফাইজার পেছন পেছন হেটে বের হয়ে গেলাম রুম থেকে । তাকিয়ে দেখি শিয়ান তখনও গালে হাত দিয়ে বসে আছে ।
রিক্সা উঠে বললাম
-ওটা কি ছিল ?
-কেন ? আসলে সব কিছু নতুন ভাবে শুরু করার জন্য একটা ধাক্কার দরকার হয় । এতোদিন আমি ঠিক মত নিজেকে সামলাতে পারছিলাম না । আজকের পর থেকে খুব পারবো । এতো শান্তি লাগছে যে তোমাকে বলে বোঝাতে পারবো না ।
-হুম বুঝলাম ।
তারপর কি বলবো ঠিক খুজে পেলাম না । মনে হল একটা কথা বলা দরকার । আমি বললাম
-আচ্ছা এখন তো লোক দেখানোর দরকার নেই । তা আমাদের ঐ রিলেশনশীপ স্টাটাস টার কি হবে !
-কেন ? সমস্যা কি ! আমার বয়ফ্রেন্ড হয়ে থাকতে কি খুব বেশি সমস্যা হচ্ছে ?
-না মানে আমি কি তাই বললাম নাকি ! মানে ভারপ্রাপ্ত হয়ে আর কদিন !
ফাইজা আমার দিকে তাকিয়ে থেকে বলল
-মিস্টার অপু তানভীর এতো জলদি এতো কিছু আশা করা ভাল না । অপেক্ষা করেন ঠিক আছে । সামনে দেখেন কি হয় !
কথা টা বলেই ফাইজা মুখ কঠিন করতে গিয়ে হেসে ফেলল । আমার কেন জানি মনে হল অপেক্ষা করতে হলেও অপেক্ষার ফল খারাপ হবে না !
২৯ শে জানুয়ারি, ২০১৬ রাত ১১:৫৬
অপু তানভীর বলেছেন: পড়ে ফেলুন সব গুলো ।
ধন্যবাদ
২| ৩০ শে জানুয়ারি, ২০১৬ রাত ১২:২১
শাহরিয়ার কবীর বলেছেন: প্রথম টা পড়লাম ভাল লাগলো।
৩০ শে জানুয়ারি, ২০১৬ রাত ১২:৩০
অপু তানভীর বলেছেন: ধন্যবাদ
৩| ৩০ শে জানুয়ারি, ২০১৬ রাত ১:৩৬
আবু শাকিল বলেছেন: প্রথম টা পড়লাম -
আপনার প্রায়ই গল্প আমি-তুমি টাইপ
জীবনে কি এখনো সিরিয়াসনেস আসে নাই ???
দুর্ভাগা আমি রাজ্যের সব হতাশার গ্লানি আমার দিকেই সব ঝুঁকেছে
৩০ শে জানুয়ারি, ২০১৬ রাত ১:৪৯
অপু তানভীর বলেছেন: বাস্তব জীবনটা আমাদের নিয়ন্ত্রনয়ে থাকে না । গল্পের ঘটনা টা থাকে । কি দরকার বাস্তবের কাঠিন্য গল্পে নিয়ে আসা ! থাকুক না এটা সহজ সরল !!
৪| ৩০ শে জানুয়ারি, ২০১৬ রাত ১:৫৬
আবু শাকিল বলেছেন: খুব দামি কথা বলেছেন - বাস্তব জীবনটা আমাদের নিয়ন্ত্রনয়ে থাকে না । গল্পের ঘটনা টা থাকে । কি দরকার বাস্তবের কাঠিন্য গল্পে নিয়ে আসা ! থাকুক না এটা সহজ সরল !!
ভাবতে হবে আমাকেও ।
৩০ শে জানুয়ারি, ২০১৬ রাত ২:১১
অপু তানভীর বলেছেন: ভাবা শুরু করে দিন ! ভাবা ভাল কাজ !
৫| ৩০ শে জানুয়ারি, ২০১৬ রাত ২:৩১
বৃতি বলেছেন: সুন্দর গল্প। এতো এতো রোম্যান্টিক গল্প লিখছেন- কিন্তু প্লট কমন পড়ছে না- ব্যাপারটা ভাবতেও অস্বাভাবিক লাগছে আমার কাছে
৩০ শে জানুয়ারি, ২০১৬ রাত ২:৩৬
অপু তানভীর বলেছেন: হাহাহা !
নাহ কিছু আছে একই রকম গল্প !
ধন্যবাদ পড়ার জন্য !
৬| ৩০ শে জানুয়ারি, ২০১৬ সকাল ৮:৪৭
আহা রুবন বলেছেন: গোর্কির একটা গল্প পড়েছিলাম। যেখানে মেয়েটির চেহারা অনাকর্ষনীয় ছিল। তাই তার কোনও বন্ধু ছিল না, কেউ মিশতো না তার সাথে। একেবারেই একা। অবহেলা করত সকলে। প্রতিবেশীদের কাছে গুরুত্ব বাড়াতে, তার অনেক বন্ধু আছে সেটা দেখানোর জন্য নিজেই নিজের কাছে চিঠি লিখে ডাকবাক্সে ফেলত। আপনার প্রথম গল্পের মেয়েটি সেলফি তোলে, অবশ্য সে সুন্দরি কিন্তু সেও আসলে একা। সুন্দরি হলেও যে সে নির্বান্ধব হতে পারে, সুন্দরভাবে অল্পকথায় ফুটে উঠেছে। চলমান সময়ের প্রতিচ্ছবি... ভাল একটা গল্প উপহার দেয়ার জন্য ধন্যবাদ।
৩০ শে জানুয়ারি, ২০১৬ দুপুর ২:৪০
অপু তানভীর বলেছেন: ধন্যবাদ
৭| ৩০ শে জানুয়ারি, ২০১৬ সকাল ৯:৫৬
কল্লোল পথিক বলেছেন: তিনটি গল্পই ভাল লেগেছে।
ধন্যবাদ লেখক।
৩০ শে জানুয়ারি, ২০১৬ দুপুর ২:৪০
অপু তানভীর বলেছেন: ধন্যবাদ পড়ার জন্য
৮| ৩০ শে জানুয়ারি, ২০১৬ সকাল ১১:১৮
অগ্নি সারথি বলেছেন: প্রামানিক বলেছেন: একটা পড়েছি বাকিটা পরে পড়বো।
আমিও।
৩০ শে জানুয়ারি, ২০১৬ দুপুর ২:৪১
অপু তানভীর বলেছেন: লেখক বলেছেন: পড়ে ফেলুন সব গুলো ।
ধন্যবাদ
৯| ৩০ শে জানুয়ারি, ২০১৬ সকাল ১১:২০
সাহসী সন্তান বলেছেন: তিনটা গল্পই আপনার প্রত্যেকটা লেখার মত সাবলিল ভঙ্গীমায় এগিয়ে গেছে! তবে অন্য গল্প গুলোর মত তেমন কোন চমক পেলাম না! সম্ভাবত ছোট গল্প বলেই হয়তো এমনটা হয়েছে! কিন্তু তারপরেও সুখ পাঠ্য ছিল!
শুভ কামনা জানবেন!
৩০ শে জানুয়ারি, ২০১৬ দুপুর ২:৪২
অপু তানভীর বলেছেন: ধন্যবাদ পড়ার জন্য ।
আসলে এগুলো ফেসবুকে লেখা । গল্প গুলো যাতে হারিয়ে না যায় তাই এখানে জমা করে রাখা আর কি !
১০| ৩০ শে জানুয়ারি, ২০১৬ দুপুর ১:৪১
ইনফেকটেড মাশরুম বলেছেন: সুখপাঠ্য...
জীবনটাও গল্পের মত নির্মল অনুভতির হোক, শুভ কামনা...
৩০ শে জানুয়ারি, ২০১৬ দুপুর ২:৪২
অপু তানভীর বলেছেন: ধন্যবাদ পড়ার জন্য ।
কিন্তু জীবন টা গল্পের মত হয় না কোন ভাবেই
১১| ৩০ শে জানুয়ারি, ২০১৬ দুপুর ২:০৯
মোহাম্মদ সাজ্জাদ হোসেন বলেছেন: আপনার লেখা বরাবরই ভালো।
আপনার লেখার হাত ভালো। পড়ে খুব আরাম পেলাম।
পোস্টে এ+
৩০ শে জানুয়ারি, ২০১৬ দুপুর ২:৪৩
অপু তানভীর বলেছেন: ধন্যবাদ । আরাম পেয়েছেন জেনে ভাল লাগলো
১২| ৩০ শে জানুয়ারি, ২০১৬ দুপুর ২:১৪
দিশেহারা রাজপুত্র বলেছেন: সাবলীল লেখনী।
ভালো লাগল।
+
৩০ শে জানুয়ারি, ২০১৬ দুপুর ২:৪৩
অপু তানভীর বলেছেন: অনেক ধন্যবাদ পড়ার জন্য
১৩| ৩০ শে জানুয়ারি, ২০১৬ বিকাল ৩:১৪
লিও কোড়াইয়া বলেছেন: গল্প খুব একটা পড়ি না, আপনার গল্পগুলো ভালো লাগলো।
৩০ শে জানুয়ারি, ২০১৬ বিকাল ৩:১৬
অপু তানভীর বলেছেন: ধন্যবাদ পড়ার জন্য
১৪| ৩০ শে জানুয়ারি, ২০১৬ সন্ধ্যা ৬:৪৮
লাইলী আরজুমান খানম লায়লা বলেছেন: সুন্দর আর সাবলীল !! এত সুন্দর লিখেন কি করে
৩০ শে জানুয়ারি, ২০১৬ রাত ১০:১৬
অপু তানভীর বলেছেন: ধন্যবাদ
১৫| ৩০ শে জানুয়ারি, ২০১৬ সন্ধ্যা ৭:১৬
মনিরুজ্জামান শুভ্র বলেছেন: প্রথমটা পড়লাম। বেশ লাগলো।
৩০ শে জানুয়ারি, ২০১৬ রাত ১০:১৭
অপু তানভীর বলেছেন: ধন্যবাদ! বাকি গুলো পড়ে ফেলুন
১৬| ৩০ শে জানুয়ারি, ২০১৬ রাত ৯:৫০
বিদ্রোহী ভৃগু বলেছেন: যাক বহুতদিন পরে নিজের গল্পের মূল্যায়ন নিজেই যথার্থ করলেন ফাইজার মূখ দিয়ে
তাড়াহুড়োয় লিখেচেন মনে হয়- অন্যদিনের চেয়ে বেশী টাইপো চোখে লাগলো..
বেশী বেশি ষ্টুপিড গল্প লিখবেন। যাতে আমরাও পড়ে পড়ে ষ্টুপিড অপূর্ন স্বপ্নের অপূর্ণতার স্মৃতিচারন করতে পারি ...
৩০ শে জানুয়ারি, ২০১৬ রাত ১০:১৯
অপু তানভীর বলেছেন: কথা সত্য!! কেউ জানুক আর নাই জানুক আমি তো জানি!!
টাইপো কি বেশি ছিল? এগুলো সব ফেসবুকে আগে পোস্ট করেছি!!
১৭| ৩০ শে জানুয়ারি, ২০১৬ রাত ৯:৫৩
দেবজ্যোতিকাজল বলেছেন: ভাল লিখেছ
৩০ শে জানুয়ারি, ২০১৬ রাত ১০:১৯
অপু তানভীর বলেছেন: ধন্যবাদ
১৮| ৩০ শে জানুয়ারি, ২০১৬ রাত ১০:০৮
আমি তুমি আমরা বলেছেন: প্রথম গল্পটা ভাল ছিল। রিয়ার রিকোয়েস্ট একসেপ্ট হয়েছে-গল্পটা ওখানেই শেষ করা যেত। সব গল্পেই প্রেম হতে হবে-এমন কোন কথা নেই।
৩০ শে জানুয়ারি, ২০১৬ রাত ১০:২০
অপু তানভীর বলেছেন: গল্প তো ওখানেই শেষ
১৯| ৩০ শে জানুয়ারি, ২০১৬ রাত ১০:৫৮
চাঁদগাজী বলেছেন:
"-অবশ্যই । আপনাকে কেউ বলে নি যে আপনার চেহারা দেখলে ছেলে মানুষদের বুকে একটা চিনচিন ব্যাথা হয় । রাতে ঘুম হয় না । আমি নিশ্চিত আজকে রাতে এবং সামনে আরও কয়েকটা রাতে আমার ঘুম আসবে না ! "
-সস্তা বাক্য
৩১ শে জানুয়ারি, ২০১৬ দুপুর ১:১১
অপু তানভীর বলেছেন: সবাই যে দামী দামী বাক্য লিখে সমাজ উদ্ধার করবে তেমন টা ভাবছেন কেন ?
২০| ৩০ শে জানুয়ারি, ২০১৬ রাত ১১:২০
আরণ্যক রাখাল বলেছেন: প্রথমতাই সবচেয়ে ভাল হইছে।
৩য়টাও ভালো
৩১ শে জানুয়ারি, ২০১৬ দুপুর ১:১২
অপু তানভীর বলেছেন: আমার কাছেও প্রথমটা বেশ পছন্দ !
পড়ার জন্য ধন্যবাদ
২১| ৩১ শে জানুয়ারি, ২০১৬ রাত ১২:০১
আবদুল্লাহ িশবলী বলেছেন: ভালোলাগা....।
৩১ শে জানুয়ারি, ২০১৬ দুপুর ১:১৩
অপু তানভীর বলেছেন: ধন্যবাদ
২২| ৩১ শে জানুয়ারি, ২০১৬ রাত ১:০৭
সুজন চন্দ্র পাল বলেছেন: তিনটাই পরলাম, সহজ সরল ভাষায় পরতে ভাল লাগলো, তবে দু" একটা শব্দ (যেমন চান্স) এভাবে ব্যবহার না করলে গল্পের ক্ষতি হত না। ধন্যবাদ ভাল লাগানোর জন্য ।
৩১ শে জানুয়ারি, ২০১৬ দুপুর ১:১৪
অপু তানভীর বলেছেন: ধন্যবাদ পড়ার জন্য ।
আসলে আমরা স্বাভাবিক ভাবেই যে সব শব্দ মুখ দিয়ে ব্যবহার করি সেগুলো লেখার সময়ও চলে আসে । আচ্ছা এরপর একটু লক্ষ্য রাখবো !
২৩| ৩১ শে জানুয়ারি, ২০১৬ সকাল ৯:৪২
ৎৎৎঘূৎৎ বলেছেন: আপনার লেখার ভুল এবং বানান ভুল গুলোই আমার বেশী ভাল লাগে। হার্ট যখন কাজ করে ব্রেন কাজ না করাই ভালো। অসাধারন বলবো না। কিন্তু পড়ে ঠোটের কোনে তৃপ্ত হাসি ফিল করছি। ভাল থাকবেন।
৩১ শে জানুয়ারি, ২০১৬ দুপুর ১:১৫
অপু তানভীর বলেছেন: বানান ভুল আমার লেখার অন্যতম বৈশিষ্ট্য
২৪| ৩১ শে জানুয়ারি, ২০১৬ সকাল ১০:৩৬
দ্য হাফ ব্লাড প্রিন্স বলেছেন: আপনি চিরকালই বস!
৩১ শে জানুয়ারি, ২০১৬ দুপুর ১:১৫
অপু তানভীর বলেছেন: ধন্যবাদ
২৫| ৩১ শে জানুয়ারি, ২০১৬ দুপুর ১:২১
রিকি বলেছেন: রেস্পেক্ট
৩১ শে জানুয়ারি, ২০১৬ দুপুর ১:২৪
অপু তানভীর বলেছেন: স্যালুট
২৬| ৩১ শে জানুয়ারি, ২০১৬ সন্ধ্যা ৭:১০
গিয়াস উদ্দিন লিটন বলেছেন: অসাধারণ গল্পত্রয়ী , পড়ে মুগ্ধ হলাম !!!
০১ লা ফেব্রুয়ারি, ২০১৬ রাত ২:৪২
অপু তানভীর বলেছেন: ধন্যবাদ লিটন ভাই
২৭| ২৯ শে ফেব্রুয়ারি, ২০১৬ রাত ১১:৪৭
মোঃ আব্দুল্লাহ আল গালিব বলেছেন: ভালোলাগা জানানোর ভাষা নাই
০১ লা মার্চ, ২০১৬ রাত ১২:০১
অপু তানভীর বলেছেন:
২৮| ১২ ই আগস্ট, ২০১৮ সকাল ৯:৪৪
খাঁজা বাবা বলেছেন: পড়লাম
গল্প গল্পের মতই ছিল
©somewhere in net ltd.
১| ২৯ শে জানুয়ারি, ২০১৬ রাত ১১:৪২
প্রামানিক বলেছেন: একটা পড়েছি বাকিটা পরে পড়বো।