নির্বাচিত পোস্ট | লগইন | রেজিস্ট্রেশন করুন | রিফ্রেস

www.oputanvir.com

অপু তানভীর

আমার চোখে ঠোঁটে মুখে তুমি লেগে আছো

অপু তানভীর › বিস্তারিত পোস্টঃ

গল্পঃ ওভারব্রীজ রাত্রীযাপন

১৩ ই নভেম্বর, ২০১৫ বিকাল ৩:৪১

-এই খানে ঘুমাইবেন ?

প্রশ্নটা শুনে আমি পাশে ফিরে তাকালাম । বয়সে আমার থেকে বেশ বড়ই হবে । তবে স্বাস্থ্য বেশ খারাপ । মুখের মাংশ নেই বললেই চলে । সিগারেট খাওয়া ঠোটে এখনও একটা কম দামী সিগারেট জ্বলছে । আমি লোকটার দিকে তাকিয়ে বললাম
-সমস্যা ঘুমালে ?
-সত্যই ঘুমাইবেন ?
-হু !

লোকটার চোখে এবার আমি সত্যি সত্যিই বিশ্ময় দেখতে পেলাম । লোকটা কেন অন্য যে কোন মানুষের পক্ষেই এটা বিশ্বাস করে নেওয়া কঠিন যে আমি এখানে এই ওভারব্রিজের উপর ঘুমাবো । যদিও আমি এখনও শুয়ে পরার চিন্তা করছি না । রাত বেশ হয়ে গেছে মনে হয় । কারন ওভার ব্রীজটা দিয়ে মানুষের চলাচল নেই বললেই চলে । নিচে দিয়ে একটু আগেও যেখানে গাড়ির সাড়ি ভুস-ভাস করে চলছিল এখন সেখানে বেশ বিরতি দিয়ে চলছে গাড়ি ।

লোকটা নিজেই আমার দিকে একটু এগিয়ে এল ।
-বিড়ি খাইবেন ?
-জি না আমি বিড়ি খাই না ।
-সিগরেট ?
-সেই টাও না !

লোকটা একটু হতাশ মনে হল । কিছু সময় আমার দিকে তাকিয়ে রইলো চুপচাপ । আমি তখনও ওভারব্রিজের ফ্লোরের উপরে বসে আছি । নিচে একটা খবরের কাগজ বিছিয়ে নিয়েছি । রেলিংয়ে হেলান দিয়ে বসে ভাবতে লাগলাম এখানে কেন এসেছি ।
-বউয়ের লগে গোছা করছেন ?
-হুম !
-ভালা করছেন এইখানে আইছেন ! নারী জাতি বড়ই ঝামেলা পূর্ণ জাতি !

আমি লোকটার দিকে তাকিয়ে বললাম
-আপনি বিয়ে করেছেন ?
-জে ! একটা না, দুইটা !
-আপনের বউরা কই ?

এই বলে লোকটা দাঁত বের করে হাসলো । আমি আবারও বললাম
-তা এই খানে কেন ? দুই দুইটা বউ থাকতে !
আমার কথায় যেন লোকটা আরও মজা পেল । দাঁত বেরিয়ে গেল আরও । তারপর বলল
-দুইটা বিয়া করছি বইলাইতো আইজকা এইখানে ঘুমাইতাছি । ঐ যে কইলাম না নারী জাতি বড়ই ঝামেলা পূর্ণ জাতি । শান্তির জন্য এইখানে ঘুমাই ।

আমিও কি শান্তির জন্য এখানে এসেছি ?
হুম ! শান্তির জন্যই ।
অথবা বউয়ের উপর রাগ করে ?
হতে পারে দুটোই । আজকে রাতে আমার জেরিনের চেহারা দেখতে ইচ্ছে করছে না তাই বাসা ছেড়ে চলে এসেছি । থাকুক ও ওর মত । চলুক ওর ইচ্ছে মত ।

জেরিন এমনিতে বেশ ভাল তবে সমস্যা হচ্ছে মাঝে মাঝে এমন কিছু কাজ করে যে যেটা আমার পছন্দ না । দুজনই চাকরী করার সুবাধে বলতে গেলে সপ্তাহের অন্যান্য দিন গুলোতে ওর সাথে আমার ভাল করে দেখাই হয় না । ওর ওর মত অফিসে আমি আমার মত । রাতের বেলাতেও সারা দিনের ক্লান্ত শরীরের কারনে খুব বেশিক্ষন জেগে থাকা হয় না । তাই ছুটির দিন গুলোতে আমার সময় কাটে এক সাথে । বলতে গেলে একেবারে সকাল থেকে শুরু করে রাত পর্যন্ত । আমার অবশ্য বাইরে যাওয়ার থেকে ঘরের ভেতরে সময় কাটাতেই ভাল লাগে তবুও ওর জন্য ওকে নিয়ে এদিক ওদিক যাই ।

সময় কাটে বেশ ভাল কাটে । তবুও মাঝে মাঝে ওদিক এদিক চলে যায় । কতবার বলেছি যে ওর বন্ধু-বান্ধবদের সাথে প্রোগ্রাম গুলো ছুটির দিন গুলো বাদ দিয়ে রেখো । এই সময়টা আমার চাই । কিন্তু কে শোনে কার কথা । তার মাসের ভেতরে যাওয়া চাই । আজকের সকালেই প্লান করে রেখেছিলাম যে ওকে নিয়ে নাটক দেখতে যাবো । ওকে না বলেই দুটো টিকিটও মেনেজ করেছিলাম । কিন্তু দুপুর বেলা আমাকে জানালো যে ওর নাকি কোন বন্ধুর বাসায় পার্টি ! ও সেখানে যাবে । ফিরতেও নাকি রাত হবে ।
আমি বললাম
-আমাকে নিয়ে যাও । আমি একা একা কি করবো বাসায় ?
-অপু তুমি কি বল ! আমাদের ফ্রেন্ডসদের পার্টি তুমি গিয়ে কি করবে আর আমি জানি তুমি এই পার্টিতে গিয়ে বোর হও ।
-তাহলে তুমি যেও না !
আমার দিকে জেরিন এমন ভাবে তাকালো যেন এর থেকে হাসির কথা আর শুনে নাই ।
আমি আবারো বললাম
-না তুমি যাবা না ! আর এতো রাত পর্যন্ত তুমি বাইরে থাকবা আমার ভাল লাগবে না !
আমার এই কথায় জেরিন যেন একটু বিরক্ত হল মনে হল । আমার দিকে তাকিয়ে বলল
-দেখো আমি তোমার কথা মত চলবো না ! ঠিক আছে ? আমার একটা পার্সোনাল লাইফ আছে । এটা তোমাকে বুঝতে হবে । এখানে ইন্টারফেয়ার আমি পছন্দ করি না । তোমার পারসোনাল লাইফে তো আমি ইণটারফেয়ার করি না !

আমি আর কোন কথা বললাম না । আমার চোখের সামনে দিয়ে জেরিন বেরিয়ে গেল সন্ধ্যা বেলা । যাওয়ার বলে গেল আমি যেন খেয়ে ঘুমিয়ে পড়ি । সব কিছু রেডি করাই আছে । চাইলে আমি গরম করে নিতে পারি ওভ্যানে । আর দরজা খোলার ঝামেলা করতে হবে না ও চাবি নিয়ে যাচ্ছে ।

আমি কোন কথা বললাম না । ওকে চলে যেতে দিলাম । ও যাওয়ার কিছু টা সময় চুপ করে টিভি দেখতে লাগলাম কিন্তু কিছুক্ষন পর লক্ষ্য করলাম যে আমার প্রচান্ড রাগ উঠছে । কিন্তু রাগটা আমি প্রকাশ করতে পারছি না ! তখনই বাসা থেকে বের হয়ে এলাম । মোবাইল আর চাবি সব কিছুই টেবিলের উপরে রেখে এলাম । আর ঐ নাটকের টিকিট দুটোও । ঘর থেকে বের হওয়ার সময় মানিব্যাগও নিলাম না । কেবল কিছু টাকা নিলাম পকেটে । লক করে চাবিটা আবার দরজার নিচ দিয়ে ভেতরে ছুড়ে দিলাম ।

এরপর কতক্ষন হেটেছি আমি নিজেই জানি না । রাস্তার পাশেই একটা মাঝারী হোটেল থেকে খাওয়া দাওয়া করতে করতে এই ওভার ব্রীজের উপরে এসে দাড়িয়েছিলাম । নিচ দিয়ে সাই শুই করে চলে যাওয়া গাড়ি দেখতে দেখতে কখন যে সময় কেটে গেল টের পেলাম না । এখন এই রাতের বেলা এই লোকটার সাথে কথা বলছি ।

আমি আরও কিছু জানতে চাইবো তখনই বুঝতে পারলাম কেউ ওভার ব্রীজের সিড়ি দিয়ে উপরে উঠছে । আমি অবশ্য খুব বেশি আমলে দিলাম না । এতোক্ষন অনেকেই আমাকে এভাবে এখানে বসে থাকতে দেখে একটু অবাক হয়ে তাকিয়েছে। তবে কিছু জানতে চায় নি । আমি প্রথম প্রথম তাদের দিকে তাকিয়ে তাদের বিশ্মিত হওয়াটা এনজয় করলেও সেটা এখন কমে এসেছে । তবে এই পায়ের আওয়াজ গুলো শুনে একটু সন্দেহ হচ্ছে । এক সাথে কয়েকজনের পায়ের আওয়াজ ।
যা ভেবেছিলাম তাই । পেছনে তাকিয়ে দেখি তিন জন পুলিশ এগিয়ে আসছে । আমার সামনে এসে দাড়ালো ।
তাদের চোখ দেখেই মনে হচ্ছে তারা আমার এখানে বসে থাকাটা ভাল চোখে দেখছে না ।
-আপনি ? এখানে ?
-বসে আছি । কিছুক্ষন পর ঘুমাবো ।
-এখানে ?
-জি !
-বাসা কোথায় ?
আমি জায়গার নাম বললাম !
-নাম কি ?
-নামটা বললাম
-এখানে কেন ?
-এমনি ! বাসায় কেউ নাই । একা একা ভাল লাগছিল না । তাই চলে এসেছি ।

লোকটা কিছুক্ষন আমার দিকে তাকিয়ে রইলো । আমি ভেবেছিলাম আমাকে নিশ্চিত থানায় নিয়ে যাবে । কিন্তু আমাকে অবাক করে দিয়ে দেখলাম আর কিছু জানতে চাইলো না । নিচে চলে গেল । আমি একটু উকি দিয়ে দেখলাম তাদের গাড়িটা ওভার ব্রিজের নিচেই দাড়িয়ে আছে । নেতা গোছের পুলিশ টা ওয়াকি টোয়াকি দিয়ে কার সাথে যেন কথা বলছে ।
যাক এটা ভাল দিক দিয়ে ভাল যে আমাকে ছোট ডাকাতের হাতে পড়তে হবে না । অবশ্য আমার কাছে দেওয়ার মত এমন কিছু নেই ও যে ছিনতাইকারী আমাকে ধরবে । আমি নিচের খবরের কাগজটা আরও একটু বিছিয়ে শুয়ে পড়ার প্রস্তুতি নিলাম । পাশের লোকটা ততক্ষনে শুয়ে পড়েছে ।

-ভাইজান ?
-বলেন !
-আপনে মানুষটা আমার কাছে মজার মনে হইতাছে !
বললাম
-কেন ? এই কথা কেন মনে হইতেছে ?
-না মানে এই যে আপনে এইখানে চইলা আইলেন । অন্য কেউ হইলে এইডা করতো কন ? আইচ্ছা আপনের বউ কেমুন ?
-ভাল !
-তাইলে কি হইছিল কন তো দেখি !
-কি জানি । মাঝে মাঝে সমস্যা দেখা দেয় তার মাথায় !
-এইডা ঠিক কইছেন ভাইজান । মাইয়া মানুষ এমনিতে ভালা তয় মাঝে মাঝে এমুন ব্যাকা হয় আর সোজা হয় না । আমার দুইডা বউ আমি এই ব্যাকা হওয়ার জন্যই বাদ দিছি । জানেন তো ......

পাশের লোকটা আরও কয়েকটা কথা বলতে যাচ্ছিলো কিন্তু তার আগেই দেখলাম আবার সিড়ি দিয়ে কারো ওঠার শব্দ শুনতে পেলাম । লোকটঅ মনে হয় এই জন্য থামলো । আমি চোখ উঠিয়ে তাকিয়ে দেখি একজন উপরে উঠছে । কেমন যেন পরিচিত মনে হল । আরেকটু ভাল করে তাকিয়ে দেখি আরে এতো সুমন । আমার খোজ পেল কিভাবে ?

সুমন আমাকে দেখে একেবারে দৌড়ে এল ।
-থ্যাঙ্ক গড ! আপনে এইখানে !

আমি আবার উঠে বসতে বসতে বললাম
-তুমি এইখানে কেন ?
-এইখানে থাকবো না আমি ? আপনি কি ছেলে মানুষ নাকি ? এই কাজ কেউ করে ?
-কি হয়েছে ? এমন কি হয়েছে বল ?
-দুলাভাই আপনার খোজে পুরো ঢাকা শহরে মানুষ ঘুরে বেড়াচ্ছে । আব্বা বের হয়েছে । বড় মামা আমি ছোট খালু সবাই !

ঢাকায় জেরিনদের আত্মীয়ের অভাব নেই আমি জানি । আমি বললাম
-কেন ? আমি কি হারিয়ে গেছি নাকি ? আশ্চর্য । বাসায় কেউ ছিল না তাই হাওয়া খেতে বের হয়েছি । সমস্যা কি ?

সুমন কিছু সময় আমার দিকে তাকিয়ে থেকে তারপর বলতে শুরু করলো । যে যা বলল তার সারমর্ম হল জেরিন পার্টিতে যাওয়ার পরেও আমাকে বেশ কয়েকবার ফোন দিয়ে পায় নি । পাবে কিভাবে আমি তো ফোন রেখে এসেছি । শেষে না পেরে ও ১০ টার দিকেই বাসায় এসে হাজির হয় । ঘরে আমার কোথাও খুজে না পেয়ে এবং টেবিলের উপর আমার মোবাইল মানিব্যাগ আর নাটকের টিকেট দেখে বুঝতে পারে যে আমি রাগ করে বাসা থেকে চলে গেছি । তখনই ওর বাবা আর ছোট ভাই সুমন করে ফোন দেয় । তারপর সার্চ পার্ট শুরু !

সুমন বলল
-চলেন বাসায় চলেন ।
আমি বললাম
-এখানে আমার সমস্যা হচ্ছে না । আমি ঠিক আছি । কাল যাবো বাসায় । তুমি চাইলে এখানে শুয়ে পড়তে পারো আমার পাসে । ওভার ব্রীজ ঘুমানোর জন্য খারাপ না কিন্তু !
-আপু চিন্তা করছে আপনার জন্য । সেই তখন থেকে কাঁদছে ।
-আচ্ছা তোমার আপুর এতো চিন্তা থাকলে সে আমাকে ছেড়ে যেত না । আমি মানা করা সত্ত্বেও তার কাছে তার বন্ধুরা জরুরী হয়ে ওঠতো না ।
-দুলাভাই প্লিজ রাগ করে থেকেন না আর ! আব্বা এমনিতেও আপুকে সেই বকা দিয়েছে । আপনিও যদি এমন করেন !
-আরে বাবা সমস্যা নেই তো । আমি তো ঠিক আছি । আছি না ? সমস্যা কোথায় ?

সুমন আরও কিছুক্ষন তাকিয়ে রইলো । তারপর একটু দুরে গিয়ে ফোনে কথা বলতে লাগলো । নিশ্চয় জেরিনের কাছে কিংবা শ্বশুর মশাইকেই ফোন দিয়েছে । তারপর আমার দিকে তাকিয়ে বলল
-আপনি থাকেন আমি আসছি !
সুমন দ্রুত পারে নিচে নেমে গেল ।

আমার পাশের লোকটা আমার দিকে তাকিয়ে বললল
-যাইবেন গা এহন ?
-আরে না ! আজকের রাত এখানেই থাকবো । ডিসিশান ফাইনাল ।
আমার কথা শুনে লোকটা আবারও সেই দাত বের করে হাসলো । তারপর
-তয় একটা কথা কই ?
-বলেন !
-আমার ক্যান জানি মনে হইতেছে আপনার বউ এখনই আপনের কাছে এইখানে চইলা আইবো । নারী জাতি ঝামেলা পূর্ণ জাতি কিন্তু এরা বড় মায়া ভরা জাতি ! দেইখেন আইবো !

আমারও কেন জানি মনে হচ্ছিলো যে জেরিন ঠিক ঠিক চলে আসবে । আমাদের দুজনের ধারনাকে ঠিক করে দিয়ে আধা ঘন্টার ভেতরে ওভার ব্রীজের নিচে আবার সুমনের বাইক এসে থামলো । আমি নিচে না তাকিয়েই বুঝলাম সুমন একা আসে নি । কয়েক সেকেন্ড পরেই হিলের খটখট হাওয়াজ ভেসে এল ।

আমি তাকিয়ে দেখলাম জেরিন ওভার ব্রীজের মাথায় এসে দাড়িয়েছে । আর এগুলো না । আমার দিকে তাকিয়ে রইলো অশ্রুশিক্ত চোখে । ওভার ব্রীজের যে কম পাওয়ার আলো জ্বলছে সেটাতে ওর চোখের জল চিকচিক করতে লাগলো ! একবার মনে হল এভাবেই বসে থাকি । কিন্তু পরে মনে হল থাক । অনেক হয়েছে । নিশ্চয়ই ও নিজের ভুল বুঝতে পেরেছে । এবার আমার যাওয়া দরকার । আজকে রাতের জন্য মেয়েটার যথেষ্ঠ শিক্ষা হয়েছে !

আমি উঠে দাড়ালাম ।

মন্তব্য ৪৩ টি রেটিং +৭/-০

মন্তব্য (৪৩) মন্তব্য লিখুন

১| ১৩ ই নভেম্বর, ২০১৫ বিকাল ৩:৫২

কাবিল বলেছেন: আমি গল্প পড়ায় ব্যাস্ত আছি ততক্ষনে চা পাঠিয়ে দেন।

১৩ ই নভেম্বর, ২০১৫ বিকাল ৪:০৭

অপু তানভীর বলেছেন: আমি খাওয়ামু না । বিরানী খাওয়াইতে পারি ;);)

২| ১৩ ই নভেম্বর, ২০১৫ বিকাল ৩:৫৬

তন্ময় দেবনাথ 007 বলেছেন: আইডিয়া খারাপ না

১৩ ই নভেম্বর, ২০১৫ বিকাল ৪:০৯

অপু তানভীর বলেছেন: হুম ! :)

৩| ১৩ ই নভেম্বর, ২০১৫ বিকাল ৪:১৪

কাবিল বলেছেন: টিকিট মেনেজ করেছিলেন নাটক দেখার জন্য, কিন্তু আপনারাইত সুন্দর রোমাঞ্চকর নাটক উপহার দিলেন।
আইডিয়াটা সুন্দর কেও যদি নিজে থেকেই ভুল বুঝতে পারে তাইলে আর বলার কিছু থাকেনা।

শুভ কামনা আপনাদের জন্য।

১৩ ই নভেম্বর, ২০১৫ বিকাল ৪:৪৬

অপু তানভীর বলেছেন: অনেক ধন্যবাদ :):)

৪| ১৩ ই নভেম্বর, ২০১৫ বিকাল ৪:১৮

কাবিল বলেছেন: লেখক বলেছেন: আমি খাওয়ামু না । বিরানী খাওয়াইতে পারি ;);)

বিরানী আমার খুব একটা পছন্দ না, ( যদিও কপালে জটেনা)
আমার চাই সাদা ভাত, এক পিছ ছ মাংস আর ডাল। :P

১৩ ই নভেম্বর, ২০১৫ বিকাল ৪:৪৬

অপু তানভীর বলেছেন: আরে আসেন আসেন একদিন । কা্চ্চি খেয়েই দেখেন ;)

৫| ১৩ ই নভেম্বর, ২০১৫ বিকাল ৪:৩১

শায়মা বলেছেন: কিন্তু পরে মনে হল থাক । অনেক হয়েছে । নিশ্চয়ই ও নিজের ভুল বুঝতে পেরেছে । এবার আমার যাওয়া দরকার । আজকে রাতের জন্য মেয়েটার যথেষ্ঠ শিক্ষা হয়েছে !


আমার কিন্তু মনে হয় না সে নিজের ভুল বুঝতে পেরেছে। :(

নারীজাতি বড়ই ঝামেলার জাতি! এত সহজে বুঝবে! বাসায় যাও তারপর বুঝবা মজাটা !:(


ভাইয়ু তারপর বাসায় যাওয়ার পর কি হলো নেক্সট পর্বে লিখো আচ্ছা!:)

১৩ ই নভেম্বর, ২০১৫ বিকাল ৪:৪৭

অপু তানভীর বলেছেন: বাসায় গেলে কি হইবে সেইটা তো কেউ বলতে পারে না । তবে আসলেই এতো স হজে তারা বুঝবে না ! দেখা যাক বাসায় আগে যাইয়া লই :):):)

৬| ১৩ ই নভেম্বর, ২০১৫ বিকাল ৪:৪৬

প্রামানিক বলেছেন: বউয়ের লগে এমুন গোস্বা কেউ করে। বউ যদি না আইতো তাইলে তো সারা রাইত ঠান্ডায় কষ্ট পাইতেন।

চমৎকার গল্প, পুরোটাই পড়েছি, ধন্যবাদ।

১৩ ই নভেম্বর, ২০১৫ বিকাল ৪:৪৯

অপু তানভীর বলেছেন: অনেক অনেক ধন্যবাদ :):):)

৭| ১৩ ই নভেম্বর, ২০১৫ বিকাল ৪:৪৮

প্রামানিক বলেছেন: বোন শায়মা, বাসায় যাওয়ার পর কপালে বউয়ের প্যাদানী ছাড়া আর ভালো কিছু জুটবো কিনা সন্দেহ। কুত্তার বাঁকা লেজ সারা জীবন বাঁকা্ই থাকে।

১৩ ই নভেম্বর, ২০১৫ বিকাল ৪:৫৪

অপু তানভীর বলেছেন: :D

৮| ১৩ ই নভেম্বর, ২০১৫ বিকাল ৪:৫৬

শায়মা বলেছেন:

১৩ ই নভেম্বর, ২০১৫ বিকাল ৪:৪৭

লেখক বলেছেন: বাসায় গেলে কি হইবে সেইটা তো কেউ বলতে পারে না । তবে আসলেই এতো স হজে তারা বুঝবে না ! দেখা যাক বাসায় আগে যাইয়া লই :):):)



যাও যাও তবে মাইর খেয়ে জেনো আমাদেরকে লুকাবানা ভাইয়া। সত্যি কথাটা নিয়েই গল্প লিখো ওকে??? :P





৭. ১৩ ই নভেম্বর, ২০১৫ বিকাল ৪:৪৮

প্রামানিক বলেছেন: বোন শায়মা, বাসায় যাওয়ার পর কপালে বউয়ের প্যাদানী ছাড়া আর ভালো কিছু জুটবো কিনা সন্দেহ। কুত্তার বাঁকা লেজ সারা জীবন বাঁকা্ই থাকে।


প্রামানিকভাইয়া আমার অপু ভাইয়া কিন্তু আমার কলিজাভাইয়া মানে আমার আপনভাই সে কিন্তু কুত্তা না তার কিন্তু লেজ নাই! :( :( :(

সে একজন অতি ভালো পুলা!!!!!!!! সে নিজেই সেটা লিখে রাখে তার কপালের স্টিকারে!:)

আমার ভাইকে যদি আমার ভাবিজীমনি একটা ফুলের টোকাও দেয় তাহলে কিন্তু খুব খারাপ হবে !!!!!!!!!! আমি কিন্তু অনেক রেগে যাবো! :(


তার থেকে অপুভাইয়া তুমি আর জীবনেও রাগ করবানা আমার ভাবীমনির উপরে। সে একটা পার্টিতে গেলে তুমি দুইটা পার্টিতে যাবা। সে তার বান্ধবীদের সাথে গেলে তুমিও তোমার বান্ধবীদেরকে বাড়িতে দাওয়াৎ দিবা দেখবা একদম সিধা হয়ে যাবেই যাবে!!!!!!!!!!!:) :) :)

১৩ ই নভেম্বর, ২০১৫ রাত ১১:২০

অপু তানভীর বলেছেন: হুম । আমি অতি ভালা পুলা এটা সবাই জানে :):)

৯| ১৩ ই নভেম্বর, ২০১৫ বিকাল ৫:১৩

কামরুন নাহার বীথি বলেছেন: আহা ---------------
শেষ পর্যন্ত আর ওভারব্রিজ -এ সাধের ঘুমটা দেওয়া হলো না!!!!
দোয়া করি পরের রাতে যেন আবার ওভারব্রিজ -এ ঘুমাতে আসতে হয়!!!! :) :) :)

১৩ ই নভেম্বর, ২০১৫ রাত ১১:২১

অপু তানভীর বলেছেন: নাহ ! ঘুম আর দিলাম কই । দেখলেন কোথা থেকে কি চলে এল :)

১০| ১৩ ই নভেম্বর, ২০১৫ বিকাল ৫:২১

রূপক বিধৌত সাধু বলেছেন: বউ অতি অাধুনিক হলেও জামাইয়ের প্রতি দরদ অাছে । কাহিনী ভালো লেগেছে । অালাভোলা জামাইয়ের জন্য সহমর্মিতা রইলো ।

১৩ ই নভেম্বর, ২০১৫ রাত ১১:২১

অপু তানভীর বলেছেন: এটাও অবশ্য ঠিক । কন্যারা এমনিতে বেশ ভালু :)

১১| ১৩ ই নভেম্বর, ২০১৫ সন্ধ্যা ৬:৫১

আরণ্যক রাখাল বলেছেন: :) জেরিনের ব্যবহার বড়ই সন্দেহজনক

১৩ ই নভেম্বর, ২০১৫ রাত ১১:২২

অপু তানভীর বলেছেন: আমার কাছেও তাই মনে হইতেছে :):)

১২| ১৪ ই নভেম্বর, ২০১৫ রাত ১২:১৩

রক্তিম দিগন্ত বলেছেন: এহেম! এহেম!
পরে বাসায় গিয়ে হইছিল টা কী? জানবার মুনচায়।

নারী জাতি ঝামেলা পূর্ণ জাতি। যতই মায়া দেখায়া নিয়া যাক - বাসায় গিয়া তো কিছু একটা হইছেই। ঐডার কাহিনী কবে আসবে?

১৪ ই নভেম্বর, ২০১৫ রাত ১২:১৭

অপু তানভীর বলেছেন: এটা তো সত্যই । বাসার খবর আর বাইরে প্রকাশ করে লাভ কি :D

১৩| ১৪ ই নভেম্বর, ২০১৫ রাত ১২:২৮

আমি ময়ূরাক্ষী বলেছেন: অপুভাই বাসার খবর ভালো?

১৪ ই নভেম্বর, ২০১৫ রাত ১২:৩৪

অপু তানভীর বলেছেন: খুউব ভালু :D :D

১৪| ১৪ ই নভেম্বর, ২০১৫ সকাল ৯:৫৭

ইকরাম বাপ্পী বলেছেন: এই গল্পের পরের পর্বও দিয়েন... ... বাসায় নিয়া রাম ধোলাই কিংবা জামাই আদর... ... দুই-ই হতে পারে... ... :P

১৪ ই নভেম্বর, ২০১৫ দুপুর ১:৫৯

অপু তানভীর বলেছেন: এখন এইটাই দেখার বিষয়

১৫| ১৪ ই নভেম্বর, ২০১৫ দুপুর ২:১৩

ইকরাম বাপ্পী বলেছেন: ছিঃ ছিঃ কি বলেন এইটা দেখার বিষয় হয় কীভাবে?? :P :P :`>

১৪ ই নভেম্বর, ২০১৫ দুপুর ২:৪০

অপু তানভীর বলেছেন: ছিঃ ছিঃ কেনু হইবে ?
আশ্চর্য :-&

১৬| ১৬ ই নভেম্বর, ২০১৫ সন্ধ্যা ৭:৫৭

প্লাবন২০০৩ বলেছেন: থাক অপু ভাই, বাসায় চইল্লা যান। ভাবীর অনেক শিক্ষা হইয়া গেছে। আগামী দুই তিন দিন মনে হয় না আর এমুন করব। আর করলে তো সমস্যা নাই, ওভারব্রীজ তো আছেই। আর আমার বাসাও আছে।

১৭ ই নভেম্বর, ২০১৫ রাত ৩:৫৯

অপু তানভীর বলেছেন: অবশ্যই চলিয়া আসিবো কুনো চিন্তা করিয়েন না ! B-))

১৭| ১৭ ই নভেম্বর, ২০১৫ বিকাল ৫:৪৬

বিদ্রোহী ভৃগু বলেছেন: আহা শৈষ পর্যন্ত চোখের চিকচিক করা জলে শিক্ষা!!! ;)

মাঝে মাঝে এই ট্রিটমেন্ট ভালু;:) বিয়ের পরের মাইয়ারা যদি আগের প্রেমের সময়ের মাইয়ার মতো থাকতো - জীবনে স্বর্গে যাবার সাধও থাকতনা ;) =p~ =p~ =p~

১৭ ই নভেম্বর, ২০১৫ রাত ১১:৫৬

অপু তানভীর বলেছেন: কথা অতি সত্য ! আমার অবশ্য এখনও সেই অভিজ্ঞতা হয় নাই তবে সামনে নিশ্চয়ই অপেক্ষা করতেছে ! ;);)

১৮| ২১ শে নভেম্বর, ২০১৫ রাত ১২:২৬

সাজ্জাতুল ইমরান ফয়সাল বলেছেন: দারুন হইসে
....। 8-|

২২ শে নভেম্বর, ২০১৫ রাত ১:০০

অপু তানভীর বলেছেন: ধন্যবাদ :)

১৯| ২৩ শে নভেম্বর, ২০১৫ বিকাল ৫:০১

গেম চেঞ্জার বলেছেন: ওঃ আইচ্চা। এতো সহজ সরল অপু ভাইটা!! :||

আমি হইলে নির্ঘাৎ ফাইনাল ডিসিশন অ্যাপ্লাই করতাম। /:)



হুশিয়ারিঃ
নারী জাতিরে নিয়া ঝামেলা পাকাইসেন। কোন নারীবাদি যদি আপনার এ গপ্প দেখে তাইলে খপর আছে.......... ;)


২৩ শে নভেম্বর, ২০১৫ রাত ৮:৩৭

অপু তানভীর বলেছেন: আমি সকল নারী জাতিকে ট্যাকেল দিতে প্রস্তুত আছি :D
নু টেনশন !

২০| ২৬ শে নভেম্বর, ২০১৫ রাত ৮:০৩

Jahid hasan amily বলেছেন: ভাই শিতকালে কি ওভারব্রিজে কাথা কম্বল নিয়ে যামু ?

২৬ শে নভেম্বর, ২০১৫ রাত ১১:৫৬

অপু তানভীর বলেছেন: পরিস্থিতি বদলালে উপকরণও বদলাবে :D

২১| ১৫ ই জানুয়ারি, ২০১৮ রাত ১:৩৪

ব্যর্থ সৈনিকের দিনলিপি বলেছেন: আমার সাবেক প্রেমিকার জন্যে শীতের সময় একবার রাগ করে তার বাসার পাশের মার্কেটের ফাঁকা সিড়ির সামনে শুইয়া সেলফি তুলে তারে পাঠাইছিলাম। ওইটা দেইখা হেভি কান্দন তার। এরপর ফোন বন্ধ করে সারা রাত ঘুমাইসি ওইখানে। পরেরদিন ভোরবেলা এক ফকির ঘুম থেকে আমারে জাগায় দিয়া কয় বাজান উঠো। চাইয়া দেখি এই শীতের ভোরে সে আমার সামনে দাঁড়ায় আছে। ভাবলাম ভুল হয়তো বুঝতে পারসে কিন্তু পরের সপ্তাহে সেইম কাজ আবার করলো । তার ১ মাস পর আমারে ছ্যাকা দিয়া চইলা গেলো :P :P

১৯ শে জানুয়ারি, ২০১৮ রাত ১১:৪২

অপু তানভীর বলেছেন: :D :D =p~

২২| ১৪ ই আগস্ট, ২০১৮ সকাল ১১:৫৪

খাঁজা বাবা বলেছেন: যদি না খুজতো তো সারা রাত বাইরে।
বাস্তবে খোজে না :)

আপনার মন্তব্য লিখুনঃ

মন্তব্য করতে লগ ইন করুন

আলোচিত ব্লগ


full version

©somewhere in net ltd.