নির্বাচিত পোস্ট | লগইন | রেজিস্ট্রেশন করুন | রিফ্রেস |
এক
সোলাইমান হক বেশ বিরক্ত নিয়ে এএসপি মাহমুদের দিকে তাকালেন । তিনি ব্যাপার টা কিছুতেই মেনে নিতে পারছে না । বিরক্ত নিয়ে মাহমুদকে বলল
-তোমার এসপি কোথায় ?
-উনি আসেন নাই ।
-আসেন নাই তো দেখতেই পাচ্ছি । দুইদিন হল আমি এখানে এসেছি অথচ তার দেখা নেই ।
-স্যার এসপি স্যার বলেছেন যে আপনি তো আর সরকারি কাজে আসেন নি, বেড়াতে এসেছেন তাই আপনার সাথে দেখা করার কোন দরকার নেই ।
-আমি মন্ত্রী জেনেও এই কথা বলেছে !
এএসপি কিছু বলার আগেই স্থানীয় এমপি আলতাফ বলল
-স্যার এই এসপি একটু ঘাড় তেড়া আছে স্যার !
-কি রকম ?
-না মানে কাউরে মানে না ! আমারে তো পুছেই না !
সোলাইমান হক সরু চোখে তাকালেন স্থানীয় এমপির দিকে । এমপি আলতাফ বললেন
-স্যার কি যে ঝামেলায় আছি এই এসপি রে নিয়া । আমরা এখন ক্ষমতায় তবুও যদি আমাদের ছেলেদের কোন দোষ খুজে পায় ঐ দিন রাতেই তাকে ধরে নিয়ে যায় ।
-তারপর ?
-ধরে নিয়ে কয়েক ঘন্টা পর তারে ছেড়ে দেয় ।
-ছেড়ে তো দিতেই হবে !
-না স্যার, কথা আছে । এই কয়েক ঘন্টার ভেতরে তাদের এমন জাগয়ায় মাইর দেয় স্যার না পারে সইতে আবার না পারে কাউরে দেখাইতে । তার স্পেশাল ট্রেনিং দেওয়া কিছু লোক আছে । তারা মাইর দেয় কোন রক্ত বের হয় না কোন হাড্ডি ভাঙ্গে না । কিন্তু যে একবার সেই মাইর খায় আর কোন দিন কোন আকাম করার সাহস পায় না ! অনেকে মাইর খাইয়া আমাদের দল ছাইড়া চলে গেছে ।
সোলাইমান হক বলল
-তোমরা কোন ব্যাবস্থা নাউ নাই ?
এএসপি মাহমুদ বলল
-স্যার উনাকে সবাই বেশ পছন্দ করে । আর উপরের লেভেলেও তার ব্যাক আপ আছে । স্যার এতোদিন জাপান ছিলেন ! সেন্ট্রাল থেকে তাকে পাঠানো হয়েছিল ! আমাদের কাউকে পরোয়া করে না ! আমাদের কিছু করার নেই । তার উপর সৎ মানুষ । দুর্নীতি একদম দেখতে পারে না !
সোলাইমান হক কি করবেন ঠিক বুঝতে পারলেন না । তিনি দেশের বন ও পশু সম্পদ মন্ত্রী ! যেখানে যান সেখান কার ওসি ডিসি এসপি তার চারপাশে ঘোরাঘুরি করতে থাকে । আর কোথাকার কোন এসপি তার সাথে একটা বার দেখাও করতে এল না ! এটা তিনি মেনে নিতে পারছেন না । মনে হচ্ছে বেটা এসপি কে গিয়ে একটা থাপ্পড় দিয়ে আসে !
দুই
তন্বী বারান্দায় বসে বাইরের দিকে তাকিয়ে ছিল । আর পাশের ঘরের তার বাবা এবং তার সাথের লোকজনের কথা কানে আসছিল । কেন জানি সব শুনে এসপি সাহেবের প্রতি একটু আগ্রহ জমে উঠলো ! এমন মানুষও আজকাল আছে নাকি ! যা শুনলো তা যদি সত্যিই হয়ে থাকে তাহলে বলতেই হবে যে এসপি সাহেব বেশ সাহসী মানুষ । নয়তো তার পেছনে বড় কেউ আছেন । নয়তো এমন কাজ সবাই করতে পারে না ! তার বাবা বেশ ক্ষমতাবান একজন মানুষ । এই কথা মোটামুটি সবাই জানে নয়তো অনুমান করে নিতে পারে । তাকে সবাই তোয়াজ করে চলে । আর এই এসপি কিনা তাকে পাত্তাই দিচ্ছে না !
গত পরশু দিন রাতে তন্বীরা এই সুন্দরপুর এলাকায় বেড়াতে এসেছেন পরিবারসহ ! পরিবার বলতে তন্বীর বাবা, ওর মা আর সে । ছোট একটা ভাই অবশ্য আছে । সে আসে নি । তার এতো সময় কোথায় ! বাবা সারা বছরই কাজের চাপে খুব ব্যস্ত থাকে । তাদের নিয়ে কোথাও যাওয়ার সময় পায় না । যদিও যায় সেটা হয় সরকারী কোন সফর ! কিন্তু এবার এখানে এসেছে একদম ছুটি নিয়ে । দেশের ভেতর সুন্দরপুর এলাকাটা ওতো পরিচিত নয় টুরিস্ট এলাকা হিসাবে কিন্তু খুব নিরিবিলি আর প্রকৃতির খুব কাছাকাছি আসা যায় ! এখানে বেশ কয়েকটা বড় বড় লেক আছে । সাথে চা বাগান । সব মিলিয়ে চমৎকার একটা জাগয়া !
এসব ভাবতে ভাবতেই বাংলোর কেয়ারটেকার আলিম ঢুকলো বারান্দায় । হাতে চায়ের কাপ ! চায়ের কাপ তন্বীকে দিয়ে বেরিয়ে যেতে যাবে তখন তন্বী ওকে বলল
-তোমাদের এসপি সাহেব কে চেনো তুমি ?
-জে আফা !
-কেমন মানুষ ?
-খুউব ভালা মানুষ ।
-তাই ?
-জে আফা । উনি আসার পর থেকে আমাগো সুন্দর পুরে অনেক শান্তি আছে । মানুষ জন ভালা আছে খুব ! আর মানুষ জন খুব ভালা পায় তাকে । আর মাইয়ারা তো তারে বিয়া করনের জন্য পাগল !
তন্বী একটু অবাক হল । অবাক হয়ে বলল
-কেন ? তোমাদের এসপি সাহেব এখনও বিয়ে করে নাই ?
-না আফা ! দেখতেই সেই সৌন্দর ! আর দেখলে এখনও মনে অয় জোয়ান পুলা ! আমাদের ডিসি আর টিওনো স্যারের দুই মাইয়া আছে । একজন ডাক্তার আরেক জন উকিল । দুইজনেই স্যারের জন্য পাগল । দেখতেও সেই সুন্দর । কিন্তু স্যার এদের কাউরে পাত্তা দেয় না !
-কেন ?
-কি জানি ! হেই নাকি কারে ভালা পায় ।
তন্বীর একটু কৌতুহল হলই বটে এসপি সাহেব কে দেখার জন্য । এখনও বিয়ে করে নি তার মানে বয়স কম হবে ! আবার এতো কম বয়সে কেউ এতো জলদি এসপি হয়ে যেতে পারে না । বয়স নিশ্চই বেশি হবে, তবে বিয়ে করে নি । ওদিকে মেয়েরা নাকি এখনও তার জন্য পাগল । সেই হিসাবে খুব বেশি বয়স্কও তো মনে হচ্ছে না ।
তন্বী ঠিক করলো আজ বিকেলে হাটতে হাটতে ওদিকে একবার যাবে । যদি সম্ভব হয় দেখা করে আসবে এসপির সাথে ।
তিন
সুন্দরপুরের এসপির বাংলোটা চা বাগানের ভেতরে । চারিদিকে যড় দুর চোখ যায় কেবল চা গাছ । আর মাঝে মাঝে চা গাছ কে ছায়া দেওয়ার জন্য বড় বড় গাছ লাগালো হয়েছে । এটা সরকারী চা বাগান । সরকারী ভাবেই এখানে চা উৎপাদন হয় বলা চলে দেশের বেশির ভাগ চাই এখান থেকে উৎপাদিত হয় । এবং পুরো চা বাগানটা নিয়ন্ত্রন করে পুলিশ ডিপার্টমেন্ট !
তাছাড়া সরকারী বড় বড় সবার বাসাও এই চা বাগানের আশে পাশেই । তন্বীদের গেস্টহাউজটার একটু পরেই এই বাগান শুরু হয়েছে । তন্বীকে একা একা বের হতে দেখে ওর বাবা ওর সাথে একজন গার্ড দিয়ে দিতে চেয়েছিল কিন্তু তন্বী রাজি হয় নি । বলেছে ওর দরকার নেই । এর পর অবশ্য ওর বাবা আর কোন কথা বলে নি । তন্বীকে সে বেশ ভয় পায় কোন এক অজানা কারনে । বলা চলে ওর কথার খুব একটা অমত করে না । অবশ্য এর পেছনে একটা কারন আছে । তিনি তন্বী খুব ভালবাসে সেটা ছাড়াও আরও এটা কারন আছে ।
তন্বী আস্তে আস্তে হাটতে থাকে । বেশ কিছুক্ষন হাটার পরেই সে এসপির বাংলোটা দেখতে পেল । বড় করে সাইন বোর্ড লাগানো ! বাইরে গেটের কাছে একজন পুলিশ পাহারায় রয়েছে । কিছুক্ষন দাড়িয়ে থেকে নিজেই এগিয়ে গেল পুলিশটির কাছে ।
-আপনাদের এসপি সাহেব আছেন ?
-জি আছেন ?
-ওনার সাথে কি একটু দেখা করা যাবে ?
-স্যার তো এভাবে কারো সাথে দেখা করেন না !
-ও ! আপনি কি একটু বলবেন যে একজন দেখা করতে চাচ্ছে ! আর বলবেন যে ......।
-আর কি বলবো ?
-না থাক ! আর কিছু না ! কেবল বলবেন একজন দেখা করতে চাচ্ছে !
পুলিশটি কি যেন ভাবলো । তারপর ইণ্টারকমের ফোন টা তুলে নিয়ে ভেতরে কথা বলতে লাগলো !
তন্বী দাড়িয়ে রইলো আর চারিপাশে দেখতে লাগলো ! জাগয়াটা আসলেই চমৎকার । বেড়ানোর জন্য অবশ্যই এর থেকে চমৎকার জায়গা আর হয় না কিন্তু সব সময় থাকার জন্য কেমন কে জানে । প্রতিদিন এই নির্জনতার ভেতরে থাকলে হয়তো এতোটা ভাল নাও লাগতে পারে !
-ম্যাডাম আপনি ভেতরে যেতে পারেন । স্যার আপনাকে যেতে বলেছেন !
তন্বী একটু হেসে ভেতরে দিকে পা বাড়ালো । বাংলোর গেট দিয়ে দিয়ে ঢুকেই বড় লন । সেটা চলে গেছে একদম সদর দরজার কাছে । দুপাশে নানা ধরনের ফুলের গাছ । কয়েকটা বড় বড় গাছও আছে, যেগুলো পুরো বাড়িটাকে ছায়া দিয়ে রেখেছে ।
তন্বী সদর দরজার কাছে পৌছানোর আগেই একজন দরজা খুলে বেরিয়ে এল । মাঝবয়সী এক বৃদ্ধ । তন্বী দিকে তাকিয়ে বলল
-এদিক দিয়ে আসুন !
তন্বীকে সদর দরজা দিয়ে বসার ঘরে নিয়ে গেল । সোফা দেখিয়ে বসতে ইঙ্গিত করে মাঝ বয়সী লোকটা বলল
-স্যার এখনই চলে আসবে ! আপনি একটু বসুন !
তন্বীকে একা রেখে মাঝ বয়সী লোকটা চলে গেল ! তন্বী ঘরের আসবার পত্র দেখতে লাগলো ! বেশ সাজানো গোছানো । এসপি সাহেবের পছন্দ আছে বলতে হবে ! তন্বী সোফা থেকে উঠে গিয়ে শোকেজে গিয়ে শোপিচ গুলো দেখতে লাগলো !
তখনই অনুভব করলো কেউ একজন পেছনে এসে দাড়িয়েছে !
তন্বী ঘুরে দাড়াতেই ছোট খাটো একটা ধাক্কার মত খেলো ! এতো গুলো বছর পার হয়ে গেছে অথচ ছেলেটার চেহারায় কোন ছাপ পরে নি । মনে হচ্ছে সেই ২৬ বছরের যুবক তার সামনে দাড়িয়ে আছে ।
-তুমি !
কেবল একটা কথাই মুখ দিয়ে বের হল !
-যাক ! চেহারা ভুলো নাই দেখছি !
তন্বীর কেবল মনে হল ওর পায়ে কোন জোর পাচ্ছে না । তন্বী আস্তে সোফায় বসে পড়লো । চোখের ততক্ষনে পানি জমতে শুরু করেছে । হঠাৎ করেই এমন একজন সামনে চলে আসাতেই কিছুতেই নিজের আবেগ কে ধরে রাখতে পারছে না । কিছুতেই সামনে দাড়ানো মানুষটাকে এখানে আশা করে নি ! কিছুতেই আশা করে নি ।
লাফ দিয়েই যেন তন্বী ঠিক সাত বছর আগের জীবনে চলে গেল ! তখন তন্বী বয়স কত হবে ? বাইশ ! আর মাসরুফের ২৬ কি ২৭ । সদ্য বিসিএস দিয়ে এএসপি হিসাবে জয়েন করেছে ।
চার
সামনে বসা মানুষকে মাসরুফের চিন্তিত হওয়া উচিৎ । কিন্তু কেন জানি সে মোটেই তা হচ্ছে না । বরং নিজের কাছেই কেমন একটা থ্রিল অনুভব করছে । এতোদিন টিভিতে দেখে এসেছে এখন সেটা ওর সাথে ঘটছে । মাসরুফের এক মাত্র চিন্তা মেয়েটাকে নিয়ে । অপেক্ষা করছে ওর জন্য ! বার কয়েক নিজের হাতের ঘড়ির দিকে তাকালো । এতোক্ষনে সে বের হয়ে যেত কিন্তু হঠাৎ করেই এমপি চলে আসার কারনে সেটা আর হল না !
সামনে বসা লোকটি এখানকার স্থানীয় এমপি । সাদা রংয়ের একটা পাঞ্জাবী পরে আছে । ঘামে ভিজে একাকার । পেছনে আরও কয়েকজন সাঙ্গো পাঙ্গো রয়েছে । সবার চোখই এএসপি মাসরুফের উপর নিবদ্ধ ! এমপি সাহেব আবার বলল
-তুমি কোন সাহসে আমার ছেলেকে ধরে এনেছো ? তার উপর তার হাত ভেঙ্গে দিয়েছো ? এখনই তুমি আমার ছেলেকে ছেলে দিবে ! এখনই !
মাসরুফের কেন জানি হাসি পেল । কঠিন কিছু বলা দরকার কিন্তু হাসি মুখ নিয়ে বলল
-আমি কি সম্পর্কে আপনার মামা হই ?
এমপি গর্জে উঠে বলল
-মানে ?
-মানে এসে বললেন যে আমার ছেলেকে ছেড়ে দাও আমি ছেলে দেব ! শুনেন আপনার ছেলেকে আমি এমনি এমনি ধরে আনি নাই । কি করেছে আপনি নিশ্চয়ই জানেন ?
এমপি একটু ভড়কে গেল । এর আগের অফিসার গুলো এমপির গলা শুনেই একটু ভড়কে যেত কিন্তু সামনে বসা এই অফিসারটি সেরকম কিছুই হচ্ছে না । বরং মনে হচ্ছে সে যেন আরও মজা পাচ্ছে !
-তুমি জানো আমি তোমার কি করতে পারি ?
-জানি না ! কি করতে পারেন শুনি একটু ?
এমপি কথা খুজে পেল না ! পেছনে দাড়িয়ে থাকা এমপির এক সাঙ্গো বলল
-ভাই আপনি এতো কথা বলছেন ক্যান ? আপনি খালি একবার কন ! দেখেন কি করি !
এমপি তাকিয়ে দেখলো সামনে বসা মানুষ টা যেন গুলির বেগে নিজের চেয়ার ছেলে উঠে দাড়ালো । তারপর ঐ সাঙ্গোর সামনে গিয়ে কষে এক চড় মাড়লো ! এতো দ্রুতই ঘটনা ঘটলো যে ঐ সাঙ্গো তো ভড়কে গেলই স্বয়ং এমপিও ভড়কে গেল !
আর মাসরুফ সাঙ্গোর চোখে চোখ রেখে বলল
-কি করবি তুই ? বল কি করবি ?
মুখ দিয়ে কোন কথা বলতে পারলো না বেচারা ! মাসরুফ আবার নিজের চেয়ারে বসতে বসতে এমপি সাহেবের দিকে তাকিয়ে বলল
-দেখুন এমপি সাহবে আপনার সাথে আমার কোন ব্যক্তিগত শত্রুতা নেই । সুতরাং এটা পার্সোনাল দিকে না নিয়ে যাই আমরা ! কারন নিলে ক্ষতিটা আমার থেকে আপনারই বেশি হবে !
-তুমি আমাকে ভয় দেখাচ্ছো ! জানো তোমাকে আমি ......
কথা শেষ হল না তার আগেই মাসরুফ বলল
-ট্রান্সফার করবেন ? কোথায় করবেন ? শুনি কোথায় করবেন ? বান্দরবন, সুন্দরবন, হাহাহাহাহা ! আপনারা এতো ফানি ক্যান বলেন তো ! এর বেশি কিছু করতে পারেন না ? আর কোন ডায়ালগ জানা নেই ?
তারপর হাসি থামিয়ে বলল
-শুনেন আমার বস মানে এস পি সাহেব এখন ঢাকায় আছে জরুরী কাজে । আপনি যতই জোর লাগান না কেন ৭ দিনের আগে আমাকে এখান থেকে ট্রান্সফার করতে পারবেন না ! আর এই সাত দিনে আমি আপনার কি কি ক্ষতি করতে পারবো আপনি কল্পনাও করতে পারবেন না ! নিশ্চয়ই জানেন পুলিশ পারে না এমন কাজ নেই !
এমপির সামনেই প্যাকেট থেকে একটা সিগারেট বের করে ধরালো । জোরে একটা টান দিতে দিতে বলল
-সিরারেট খাওয়া ভাল না জানেন তো ! ছেড়ে দেওয়ার চেষ্টা করছি ! কিন্তু হচ্ছে না ! মাঝে মাঝে টেনশন বেশি থাকলে আপনা আপনিই খেতে হয় !
-তাহলে তুমি আমার ছেলেকে ছাড়বে না ?
-শুনেন মাই ডিয়ার মেম্বার অব পার্লামেন্ট, আগেই বলেছি আমি আপনার মামা লাগি না যে আসবে বলবেন আর হয়ে যাবে ! আপনার ছেলে একটা মেয়েকে রেপ করেছে । বুঝছেন কথাটা ! তাকে আমি বোঝাবো কত ধানে কত চাল ! আর একটা কথা আপনাকে আগে থেকেই বলি, যদি আপনি আপনার ছেলেকে অন্য পথে ছাড়ানোর চেষ্টা করেন তাহলে আমার কেবল এক ঘন্টা লাগবে ! ঐ দেখছেন লাঠিটা .....
টেবিলের ঠিক ডান দিকের একটা তাকে কয়েকটা পুলিশের রুল রাখা ছিল । সেটা দেখিয়ে মাসরুফ বলল
-এই লাঠি দিয়ে আপনার ছেলের প্রতিটা হাড্ডির জয়েন্ট আমি ভেঙ্গে গুড়িয়ে দেব । থানার ভেতরে আমাকে কেউ আটকাতে পারবে না ! কেউ না ! এখন আপনি চিন্তা করেন জেলের ভেতর সুস্থ ছেলে চান নাকি মুক্ত পঙ্গু ছেলে চান ? সিদ্ধান্ত আপনার !
এমপি কোন কথা বলতে পারলো না ! সামনে বসা মানুষটার দৃঢ়তা দেখে তিনি কেমন যেন চুপছে গেছে । এতোদিন ক্ষমতার দাপটে তিনি সবাইকে চুপ করিয়ে রেখেছেন আজকে নিজেই চুপ হয়ে গেছেন ।
এএসপি মাসরুফ আবার বলল
-বাসায় যান এমপি সাহেব । আপনার ছেলে যে অন্যায় করেছে তাকে তার শাস্তি পেতে দিন ! অন্যায়কে প্রশ্রয় দেওয়া ঠিক না !
আর কোন কথা হল না ! এমপি চুপচাপ নিজের দলবল নিয়ে উঠে চলে গেল । আসার সময়ে ঠিক যতটাই উদ্ধত ছিল যাওয়ার সময়ে তিনি ততটাই যেন চুপসে গেছেন !
এমপি বেরিয়ে যেতেই মাসরুফ নিজের ঘড়ির দিকে তাকালো । বেশ খানিকটা দেরি হয়ে গেছে এমনিতেই । মেয়েটা নিশ্চই অনেক টা সময় অপেক্ষা করছে। এখন বাসায় গিয়ে কাপড় বদলানোর সময় নেই । আজকে মেয়েটাকে একটু চমকে দেওয়া যাক এই ভেবেই মাসরুফ পুলিশের পোষাক পরেই বের হয়ে গেল ।
পাঁচ
তন্বীকে যখন বেশ কয়েক দিন ধরেই মাসরুফ ফলো করছিল তন্বীর চোখে মুখে কোন প্রকার বিরক্তি খুজে পায় নি । বরং মাসরুফের মনেই হয়েছে মেয়েটা ওকে পছন্দই করে । একদিন রাস্তার মাঝে দাড়িয়ে তন্বী বলল
-ভাল ছেলেরা মেয়েদের এরকম পেছন পেছন ফলো করে না ?
-তোমাকে কে বলল আমি ভাল ছেলে ?
-বাহ ! একেবারে তুমি ? আমাকে তুমি করে বলছেন কেন শুনি ? আমাকে কে চিনেন আপনি ?
-না ! পিচ্চি মেয়েকে আপনি করে বলতে কার ভাল লাগে বল !
-শুনেন আমি মোটেই পিচ্চি না ! আর যে মানুষ গুলো আমাকে আপনি করে বলে না আমি তাদের সাথে কথা বলি না !
-আচ্ছা ! তাহলে কি আমি চলে যাবো ?
-হ্যা !
-সত্যি যাবো ?
-হ্যা সত্য যাবেন !
মাসরুফ আর কথা বাড়ায় নি । চলে এসেছিল সেদিনই !
পরের কয়েক দিন আর যায় নি । চার পাঁচ দিন পরে আবার যখন গিয়ে হাজির হল তখন তন্বীকে দেখে একটু অবাকই হল । তন্বী মাসরুফ কে দেখে যেন একরাশ অভিমান ভরা কন্ঠে বলল
-আপনি এতো দিন আসেন নাই কেন ?
-আপনি পছন্দ করেন না তো !
-আমি কি তাই বললাম !
-ঐ একই কথা ! আজকে তো আপনি করে বলছি তা আজকে কি কথা বলা যাবে ? নাকি আজকেও চলে যাবো !
তন্বীকে অনেক টা সময় মাসরুফের দিকে তাকিয়ে বলল
-একটা রিক্সা ডাকেন !
-কেন ?
-ডাকতে বলছি ডাকেন ! এতো কথা কেন ?
তারপর দুজন অনেক টা সময় রিক্সা করে ঘুরলো । চাইলেই মাসরুফ সরকারি গাড়িতে করে ওকে নিয়ে ঘরতে পারতো । কিন্তু সেটা করতে মন চায় নি । এমন কি মাসরুফ যে এখান কার এএসপি সেটাও তন্বীকে বলে নি । তন্বীর ব্যাপারেও খুব এটা কিছু জানতেও চায় নি ।
তারপর দেখা সাক্ষাত হতেই থাকলো । আজকে সকালে হঠাৎ করেই তন্বী ওকে আসতে বলেছে । সেখানেই যাওয়ার কথা ছিল কিন্তু মাঝ খানে এমপি বেটা এসে ঝামেলা বাঁধিয়ে দিল ।
ছয়
অন্যান্য দিনের মত আজকে তন্বীর মুখ টা একটু যেন গম্ভীর ! মাসরুফ বুঝতে পারছে কিছু একটা হয়েছে ।
-কোন সমস্যা ?
-হু !
-কি হয়েছে আমাকে বল ? নাকি আমার পুলিশের পোষাক দেখে পছন্দ হয় নি !
-তুমি যে এএসপি আমি আজকে সকালে জেনেছি !
-ও ! ভাল ! তা তোমার পুলিশ পছন্দ না ?
-তুমি এমপির ছেলের হাত ভেঙ্গে দিয়েছো মেরে ?
-তুমি কিভাবে জানলে ?
-দিয়েছো কি না ?
-দিয়েছি ! আরও অনেক কিছুই ভাঙ্গবো ! তুমি জানো সে কি করেছে ? মেয়েটার বাবা আমাকে জড়িয়ে ধরে যখন কাঁদছিল তখনই আমি সিদ্ধান্ত নেই ঐ শা.... সরি বেটাকে আমি একটা উচিৎ শিক্ষা দেব !
তন্বীক অনেক টা সময় চুপ করে থেকে বলল
-আমি ঐ এমপির মেয়ে ! ঐ রেপিস্টের বোন !
মাসরুফ কি বলবে ঠিক ঠিক বুঝে উঠতে পারলো না । অনেক দিন সে এমন ধাক্কা খায় নি । কেবল অবাক হয়ে তন্বীর দিকে তাকিয়ে রইলো । নিজেকে সামলাতে কিছুটা সময় লাগলো ! তারপর বলল
-আমার কাজের সাথে নিশ্চয়ই আমার পার্সোনাল লাইফ মিশবে না ! তুমি কার মেয়ে কার বোন এটা আমার কাছে খুব বেশি গুরত্বপূর্ণ না ! তোমাকে আমি পছন্দ করি এটা গুরুত্বপূর্ণ !
তন্বী কিছু বলার আগেই রেস্টুরেন্টে দরজায় এমপি কে দেখা গেল ! তিনি সরাসরি তন্বীদের টেবিলের দিকে এসে মাসরুফের দিকে তাকিয়ে বলল
-বাহ । আমার ছেলেকে রেপের দায়ে ধরে এখন নিজেই আমাকে মেয়েকে টিজ করা হচ্ছে !
তন্বী তার বাবা সোলাইমান হককে বলল
-বাবা তুমি এখানে কেন এসেছো ? আমি তোমাকে বললাম না আমি দেখছি ব্যাপার টা ?
-তুই রাখ তোর দেখা দেখি !
-বাবা তুমি যাও এখান থেকে ! যাও বলছি !
মাসরুফ কেবল অবাক হয়ে তন্বীর দিকে তাকিয়ে রইলো । ওর ব্যাপার টা মেনে নিতে কষ্ট হচ্ছে । বেশ কষ্ট হচ্ছে । বলল
-তাহলে প্লান করেই এসেছিলে ? ভাল ! আসলে তুমি তোমার বাবার মেয়ে এটা প্রথমে মানতে কষ্ট হচ্ছিল । ভেবেছিলাম মেয়ে নিশ্চই বাবা আর ভাইয়ের মত না ! আর শুনেন মিষ্টার মেম্বার ! আপনি আমার বাল টাও ছিড়তে পারবেন না ! লাগান আপনার মেয়েকে আমার পেছনে দেখি কি করতে পারেন !
এই বলে মাসরুফ আর দাড়ালো না সেখানে ! অনেক কিছুই ঘটতে পারতো কিন্তু ঘটনা আর সামনে দিকে এগোলো না !
ঐদিন রাতের বেলা তন্বীকে শেষ বারের মত ফোন করলো মাসরুফ । ফোন করে বলল
-মেয়েটার বাবা কেস তুলে নিয়েছে । তোমার ভাইকে কাল সকালে ছেড়ে দেওয়া হবে ।
-থেঙ্কিউ !
-আমাকে থ্যাঙ্কিউ দেওয়ার কিছু নেই । তোমার বাবাকে দাও । সেই সব কিছু করেছে । যাক ভেবেছিলাম ছেড়ে দেওয়ার আগে তোমার ভাইয়ের আচ্ছা মত খবর নেব কিন্তু তোমার কথা ভেবে কেন জানি করতে পারলাম না ! তবে .....।
-তবে ?
-তবে দুঃখ একটাই যে আমি সম্ভবত ভুল মানুষকে ভালবেসেছি !
-প্লিজ এমন করে বল না ! আমি....।
-জানি কিছু বলতে হবে না তোমাকে !
তারপরই মাসরুফ ফোন রেখে দিল ! পরদিন সে এলাকা ছেড়ে চলে যায় । আর ফিরে আসে নি ! কদিন বাদে সেখানে নতুন এএসপি এসে যোগ দেয় ! সব কিছুই আগের মত হতে শুরু করে কেবল তন্বীকে কেমন যেন বদলে যায় ! সবার সাথে প্রয়োজন ছাড়া একটা কথাও বলে না । নিজের বাবা আর ভাইয়ের সাথে তো কথা বলাই প্রায় বন্ধ করে দিল ! জীবন এভাবেই চলছিল তখনই আবার নতুন করে সব কিছু অলট পালট হতে শুরু করলো !
পরিশিষ্টঃ
নিজের বারান্দায় বসে সোলাইমান হক সন্ধ্যার চা খাচ্ছিলেন । যদিও ঘড়ি বলছে সন্ধ্যা কিন্তু চারিদিকে অন্ধকার হয়ে গেছে বেশ ভাল ভাবেই । গেষ্ট হাউজের আঙ্গিনাটা বেশ আলোকিত হয়ে আছে কিন্তু এর বাইরে বেশ অন্ধকার ! বারান্দায় চা খেতেই তিনি দেখতে পেলেন একটা গাড়ি গেষ্ট হাউজের আঙ্গিনায় ঢুকছে । গাড়ির ধরন দেখেই বুঝতে কষ্ট হল না যে গাড়িটা সরকারি !
তিনি ভাবলেন নিশ্চই তার সাথে আবার নতুন কেউ দেখা করতে এসেছে । কিন্তু এরই ভেতর কেবল ঐ বদমাইশ এসপি ছাড়া আর সবাই দেখা করে গেছে । আবার কে এল ?
তিনি কেয়ারটেকারকে ডাক দিলেন !
কেয়ারটেকার আসতেই বললেন
-কে এসেছে দেখো তো ?
গাড়ির দিকে তাকিয়ে কেয়ার টেকার বলল
-এইটা তো এসপি সাহেবের গাড়ি !
সোলাইমান হক মনে মনে একটু খুশি হল । যাক দেরিতে হলে বেটার একটা সুবুদ্ধি হয়েছে । নয়তো এখান থেকে গিয়েই বেটার খবর নিতেন তিনি !
কিন্তু তিনি অবাক হয়ে দেখলেন গাড়ি থেকে তন্বী নেমে এল ! গাড়ির কাঁচ ধরে আরও কিছুক্ষন দাড়িয়ে কথা বলল ভেতরের মানুষ টা সাথে । তারপর তন্বী গেস্ট হাউজের দিকে রওনা দিল । গাড়ি থেকে কেউ নামলো না ! গাড়ি ঘুরে চলে গেল আবার !!
তিনি ঠিক মত বুঝতেই পারলেন না কি হল । এসপির গাড়িতে তন্বী কি করে এল ? আর কেনই বা এল ?
রাতে খাওয়ার সমু তিনি তন্বীর দিকে তাকিয়ে দেখলেন অন্যান্য দিনের থেকে তন্বীর ভেতরে কেমন যেন একটা পরিবর্তন ! অনেক দিনের সেই চিরো চেনা গম্ভীর ভাব টা নেই আর ওর ভেতরে !
তিনি ভেবেই পেলেন না কি এমন হয়ে গেল যে এক সন্ধ্যার ভেতরেই তন্বীর ভেতরে এতো পরিবর্তন হয়ে এল ! তবে তন্বীকে কিছু জিজ্ঞেসও করতে সাহস হল না ।
সকালের জন্য আর অপেক্ষা না করেই তিনি সেই রাতেই এসপির বাড়ির দিকে রওনা দিলেন । তার দেখাই লাগবে কি হল এতো দ্রুত !
যখন দরজা দিয়ে সোলাইমান হক আরিফের ড্রয়িং রুমে ঢুকলে তিনিও যেন নিজের চোখ কে বিশ্বাস করতে পারলো না !
-তুমি ?
-আরে আপনি ! মন্ত্রী সাহেব আমার বাসায় ?
-তুমি এখানে কি করছো ?
-এটা কি ধরনের প্রশ্ন হল ? আমি এখানে থাকি !
সোলাইমান হক নিজের কেবল তাকিয়েই রইলো । মাসরুফ বলল
-বসুন মন্ত্রী সাহেব ! আপনি আসবেন ভেবেছিলাম । এতো জলদি আসবেন ভাবি নি !
সোলাইমান হকের কাছে আস্তে আস্তে সব কিছু পরিস্কার হয়ে গেল । তন্বীর হঠাৎ করেই চুপ হয়ে যাওয়ার কারন টা যেমন এই মাসরুফের কাছ থেকে দুরে চলে যাওয়া ছিল ঠিক তেমনি হঠাৎ করে হাসি খুশির কারন টাও নিশ্চই এই ছেলেটাই !
মেয়ের জেদের সাথে তিনি পেরে উঠবেন না এটা তিনি ভাল করেই জানেন । তাহলে কি এই ছেলের সাথে সমঝোতা করে ফেলাই ভাল নয় ! কিন্তু তিনি বড় হয়ে তার উপর একজন মন্ত্রী হয়ে আগে এই কথা কিভাবে বলেন !
মাসরুফ বলল
-এখনও দাড়িয়ে আছেন ? বসুন ! নাকি এখনও পুরানো কথা মনে রেখেছেন ? বাইদা ওয়ে আপনার গুনধর পুত্র কি করে এখন ? আগের মতই আছে নাকি বদলেছে !
সোলাইমান হক বসতে বসতে বলল
-পুরানো কথা না আনাই ভাল !
-হুম ! ঠিক তাই ! না আনাই ভাল !
তারপর ..... সবাই সুখে শান্তিতে বসবাস করিতে লাগিলো !
লেখাটি লুলু আন্টির জন্য
১১ ই জুন, ২০১৫ বিকাল ৪:২২
অপু তানভীর বলেছেন: আমার গল্পে তো টাইপো থাকবেই সাবির ভাই
এখনই ঠিক করে দিচ্ছি !
২| ১১ ই জুন, ২০১৫ বিকাল ৫:০৭
রিকি বলেছেন: ১ ম লাইক এসপি সাহেবকে ঘুষ হিসেবে !!!!
১২ ই জুন, ২০১৫ রাত ১২:২৯
অপু তানভীর বলেছেন: হে হে হে !
৩| ১১ ই জুন, ২০১৫ সন্ধ্যা ৭:০৪
অপ্রতীয়মান বলেছেন: লেখাটা আগই পড়েছি। এখন একটা প্লাস দিতে এখন আবার পড়লাম।
তবে প্রথম নায়িকার নামটাও কিন্তু খারাপ ছিল না
১২ ই জুন, ২০১৫ রাত ১২:৩২
অপু তানভীর বলেছেন: এইটাও কিন্তু খারাপ না
৪| ১১ ই জুন, ২০১৫ রাত ১০:৪১
আরণ্যক রাখাল বলেছেন: তন্বী আমার এক প্রতিবেশীর নাম যার আবার ভাব ম্যালা| ওই নামের নায়িকা না হলেও পারত
১২ ই জুন, ২০১৫ রাত ১২:৩৩
অপু তানভীর বলেছেন: হে হে হে হে !
৫| ১৯ শে জুন, ২০১৫ সকাল ১১:৫৯
জুন বলেছেন: মনে হলো আমাদের অপু তানভীর না, কোন বিখ্যাত ছোট গল্পকারের গল্প পড়লাম ।
খুব ভালোলাগলো একটানে পড়তে ।
বাই দ্যা ওয়ে আমিও একজন রিটায়ার্ড এস্পির কন্যা
+
১৯ শে জুন, ২০১৫ দুপুর ১২:২৩
অপু তানভীর বলেছেন: সত্যি নাকি ? আপনার জীবনেও কি এমন কোন এসপি সাহেব আছে নাকি ?
বলে ফেলেন ! নতুন আরেকটা গল্প হয়ে যাক
৬| ২২ শে জুন, ২০১৫ দুপুর ২:৩৮
আশিক ইলাহি বলেছেন: ১ ম ভালো লাগা রইল অপু ভাইয়া
২৩ শে জুন, ২০১৫ রাত ২:০০
অপু তানভীর বলেছেন: ধন্যবাদ
৭| ২৭ শে জুন, ২০১৫ সন্ধ্যা ৭:৪৩
সাইফুল ফরিদপুর বলেছেন: আপনি আমার বাল টাও
ছিড়তে পারবেন না ! লাগান আপনার মেয়েকে আমার পেছনে দেখি কি করতে পারেন !
২৭ শে জুন, ২০১৫ রাত ৮:২৮
অপু তানভীর বলেছেন: আমি কিছু লিখি নাই
৮| ২৭ শে জুন, ২০১৫ রাত ৯:১৮
সাইফুল ফরিদপুর বলেছেন: কে লিখলো ভাই
২৭ শে জুন, ২০১৫ রাত ৯:৪৪
অপু তানভীর বলেছেন:
৯| ২৮ শে জুন, ২০১৫ ভোর ৪:৪৭
সাইফুল ফরিদপুর বলেছেন: ভূতে
০৭ ই জুলাই, ২০১৫ দুপুর ১২:২৫
অপু তানভীর বলেছেন: কিসে ?
১০| ২৮ শে জুন, ২০১৫ সকাল ১০:০৬
অপ্সরা বলেছেন:
এনেছি আমার শত জনমের প্রেম আঁখিজলে গাঁথা মালা
ওগো সুদূরিকা, কভু কি হবেনা শেষ...........
০৭ ই জুলাই, ২০১৫ দুপুর ১২:২৫
অপু তানভীর বলেছেন: হাহাহাহা
না শেষ হওয়ার কুনো সম্ভাবনা নাই !
১১| ০৯ ই নভেম্বর, ২০১৫ রাত ৮:০৮
অপ্সরা বলেছেন:
০৯ ই নভেম্বর, ২০১৫ রাত ৯:৩৩
অপু তানভীর বলেছেন:
©somewhere in net ltd.
১| ১১ ই জুন, ২০১৫ বিকাল ৩:৫৮
এহসান সাবির বলেছেন: কিছু টাইপো আছে অপু ভাই, যেমন
তন্বীর কেবল মনে হল ওর পায়ে কোন জোড় পাচ্ছে না । 'জোর'
পরদিন সে এলাকা ছেলে চলে যায় 'ছেড়ে'
..............
ঠিক করে দিয়েন প্লিজ।