নির্বাচিত পোস্ট | লগইন | রেজিস্ট্রেশন করুন | রিফ্রেস |
মানুষজনের ভিড় সুমনে ঠিক ভাল লাগে না । বিয়ে জন্মদিনের পার্টি থেকে সব সময় দশ হাত দুরে থাকে । কিন্তু বন্ধু আকিবের অনুরোধ কিছুতেই উপেক্ষা করতে পারে নি । বাধ্য হয়েই এই অনুষ্ঠানে আসতে হয়েছে ।
আকিব ওকে বসিয়ে রেখে সেই কখন যে ভেতরে গেছে আর ফেরার নাম নেই ! সুমন বিরক্ত হয়ে এদিক ওদিক দেখতে লাগলো ! কখন এখান থেকে বের হবে সেইটা ভাবছে !
এদিক ওদিক তাকাতে গিয়ে সুমনের চোখ পড়লো মেয়েটার উপর । এবং প্রথমবার চোখ পড়াতেই বুকের ভেতর কেমন একটা চিনচিনে ব্যাথা প্রবাহিত হল ! হাত পা কেমন ঠান্ডা হয়ে এল ! মনে হল এখনই মারা যাবে সে ! চোখ ফেরাতে চাইলেও কিছুতেই ফেরাতে পারলো না !
মানুষ এতো সুন্দর হয় কিভাবে ?
সুমন অবাক হয়ে লক্ষ্য করলো মেয়েটা দেখেই তার বুকের ভিতর এক ধরনের অস্বস্থি শুরু হয়েছে । পার্টিতে আসা আরও কিছু ছেলে মেয়েটার দৃষ্টি আকর্ষনের চেষ্টা চালিয়ে যাচ্ছে কিন্তু মেয়েটার সেদিকে লক্ষ্য নেই । তার চঞ্চলা চোখে কি যেন খুজছে । একবার এদিক আরেকবার ওদিকে কি যেন একটা খুজে বেড়াচ্ছে মেয়েটা ! ঠিক সেই সময়ে মেয়েটার সাথে সুমনের চোখাচোখি হল ! বুকের চিনচিনে ব্যাথাটা যেন আরেকবার মাথা চাড়া দিয়ে উঠলো ! হার্টবীট আরেক দফা মিস হয়ে গেল ! কিন্তু সেই বীট টা আর কয়েকশ মাইল বেগে দৌড়াতে লাগলো যখন মেয়েটা ওর দিকে হাটা শুরু করলো !
সুমনের বার বার মনে হল মেয়েটা ঠিক ওর দিকেই আসছে যদিও ওর দিকে আসা কিংবা ওর সাথে কথা বলার কোন প্রকাস সম্ভাবনা নেই । তাহলে মেয়েটা ওর দিকে কেন আসছে ।
-এখানে একটু বসবো ?
সুমন প্রথমে কি বলবে ঠিক বুঝতে পারলো না ! লক্ষ্য করলো তার বুকের ভেতরে ধড়ফড়ানী বেড়েই চলেছে । কোন রকমে বলল
-জি বসুন !
-মানুষ এতো ভীড় কিভাবে সহ্য করে আমি বুঝি না !
-জি !
-কিছু না ! আমি ভীড় একদম সহ্য করতে পারি না । কিন্তু এই বিরক্তকর কাজ গুলোই আমাকে করতে হয় বারে বার !
-জি !
মেয়েটি হাতের ইশারায় একটা ওয়েটার কে ডাকলো ! ওয়েটার সামনে আসতেই মেয়েটি বলল
-আমার জন্য এক কাপ চা নিয়ে আসুন তো !
তারপর সুমনের দিকে তাকিয়ে বলল
-আপনি কিছু নিবেন ?
-জি !!
-বললাম আপনি কিছু নিবেন ?
সুমন কিছু বলতে গিয়ে অনুভব করলো ওর মুখ দিয়ে ঠিক মত কথা বের হচ্ছে না ! নিজেকে কিছুটা শান্ত করে বলল
-আমার জন্যও এককাপ চা নিয়ে আসুন ! আর চায়ে এক চামচ লবন দিবেন !
ওয়েটার খানিকটা অবাক হয়ে তাকিয়ে রইলো সুমনের দিকে । তবে বেশি সময় অপেক্ষা না করে চলে গেল চা আনতে ! সুমন মেয়েটির দিকে তাকিয়ে দেখে মেয়েটি ওর দিকে খানিকটা অবাক হয়ে তাকিয়ে আছে । মেয়েটি বলল
-আপনি লবন দিয়ে চা খান কেন ?
-খাই !
কিছুক্ষন নিরবতা ! তারপর সুমন আবার বলল
-আসলে, আমার বাসা সমুদ্রের পাশে তো, সারা টা জীবন সমুদ্রের নোনা জল খেয়ে বড় হয়েছি । এখানে, এই ইট পাথরের শহরে নোনতা স্বাধ টাকে খুব মিস করি ! তাই ....
মেয়েটি অনেক সময় নিয়ে সুমনের দিকে তাকিয়ে রইলো ! তারপর নিজের হাতটা বাড়িয়ে দিয়ে বলল
-আমি তানজিনা করিম ! আপনি ?
-সুমন !
-নাইস টু মিট ইউ মিস্টার সুমন ! আপনার সাথে পরিচিত হতে পেরে ভাল লাগছে ! নিজের চেনা শহরকে কেউ এভাবে মিস করে আমার জানা ছিল না !
সুমন কিছু না বলে কেবল তানজিনার দিকে তাকিয়ে রইলো ! তার হাতটা তখন সুমনের হাতে ধরা !
দুই
তারপর ঘটনা যেন খুব দ্রুত ঘটতে লাগলো ! সুমন আর তানজিনা দেখা হতে লাগলো ঘন ঘন ! যে সুমন মেয়েদের সাথে ঠিক মত কথা বলতে পারতো না সেই সুমন তানজিনার সাথে ঘন্টার পর ঘন্টা কথা বলতে লাগলো ! আর সাথে থাকতো সুমনের নোনতা চা ! একটা সময় সুমন অবাক হয়ে লক্ষ করলো যে টংয়ের দোকানে বসে তানজিনাও তার মত লবন চা খাচ্ছে হাসি মুখে !
তানজিনার সব থেকে ভাল লাগতো সুমনের সহজ সরল কথা বলাটা । আজকার শহুরে ছেলেগুলোর মত এতো আলগা ভাব কিংবা ফুটানী দেখানো জিনিসটা সুমনের ভেতরে একদম নেই । সব সময় সত্য বলার চেষ্টা করে । যখন তানজিনা ওর সামনে আসে সুমন কেমন একটু নার্ভাস হয়ে পড়ে । কিন্তু মুখে একটা ভাল লাগা মিশ্রিত হাসি নিয়ে তানজিনা সাথে কথা বলে । পরিস্কার ভাবেই তানজিনা বুঝতে পারে ছেলেটা তাকে অসম্ভব পছন্দ করে । কিন্তু লজ্জার কারনে কিছু বলতে পারে না । তানজিনা কেবল হাসে সুমনের এই লজ্জা পাওয়া দেখে !
তিন
-চা কেমন হয়েছে ?
-হুম ! কি বললে ?
-বললাম চা কেমন হয়েছে ?
-ভাল !
-তোমার জন্য স্পেশাল ভাবে লবন দিয়ে বানিয়েছি ! ভাল বানিয়েছি না ?
-অনেক সুন্দর হয়েছে !
-তুমি কি জানো এই লবন চা বানানোর জন্য আমি কত ভাবে প্রাক্টিস করেছি দিনের পর দিন !
সুমন খানিকটা অবাক হয়ে তানজিনার দিকে তাকিয়ে রইলো ! তারপর বলল
-চা সত্যিই খুব সুন্দর হয়েছে । লবন টা এটো মিষ্টি হয় তোমার হাতের চা না খেলে জানতেই পারতাম না !
-তাই ? তুমি চাও আমি তোমার জন্য সারা জীবন এমন করে সুন্দর করে চা বানাই ?
সুমনের মনে হল ও মনে কথাটা ভুল শুনলো ! তানজিনার দিকে তাকিয়ে দেখলো তানজিনা কেমন চোখে ওর দিকে তাকিয়ে আছে ? সেই চোখে কিছু টা জানতে চাইছে, যেটা সুমন অনেক দিন থেকে বলার চেষ্টা করছে কিন্তু বলতে পারছে না !
-কি চাও না ?
-হুম ! চাই !
-তাহলে বল না কেন, গাধা কোথাকার ! সব কিছু আমাকেই বলতে হবে ?
চার
সুমন যখন বাইরে থাকে তখন একটা নির্দিষ্ট পরপর তানজিনার ফোন এসে হাজির হবেই । এবং কোন ভাবেই সেই ফোন ইগনোর করা যাবে না ! এই সময়ে সে কি কি করেছে সেটা সুমন কে না বললে নাকি তার পেটের ভাত হজম হয় না ! বিয়ের পাঁচ বছর পার হয়ে গেছে কিন্তু এই ছেলেমানুষী এখনও যায় নি । অবশ্য সুমনের নিজেরও সে রকম অনুভুতি । ফোন না আসলে সে নিজেই ফোন করে । যত টা সময় বাইরে থাকে সারাক্ষন ইচ্ছে করে তানজিনার সাথে কথা বলতে । অনেকে এই ভালবাসা দেখে মুখ বাকিয়ে হাসে । সুমন কিছু মনে করে না !
-এই কি কর ?
-তোমাকে মিস করি !
-ইস ঢং কত !
-আরে সত্যি বলছি ! চাকরী করছি এখানে কিন্তু মন পড়ে আছে তোমার কাছে !
-হুম বুঝলাম ! এই শুনা না কি হয়েছে !
-কি হয়েছে !
-আজকে পাশের বাসার ভাবীরা এসেছিল । আমি চা খেতে দিলাম । তুমি তো জানো তোমার জন্য লবন চা বানাতে বানাতে অভ্যেস হয়ে গেছে । ওনাদেরকেও লবন চা দিলাম ! চা মুখে নেওয়ার পরে ওনাদের মুখের ভাব দেখে মনে হল আমি চায়ে লবন দিয়েছি ! হিহিহিহি !
-ভাল তো !
-ভাল তো, না ? কি একটা অভ্যের হয়েছে আমার । তোমার সাথে থাকতে থাকতে আমার নিজেও এই বদ অভ্যসে হয়েছে । সেদিন তোমার বাবা এসেছিল, বাবাকেও এই লবন চা দিয়ে ফেলেছিলাম ! কি লজ্জার একটা ব্যাপার !! বাবা নিশ্চই মনে করেছে ছেলের বউ চা টাও ঠিক মত বানাতে পারে না ! কাল থেকে লবন চা বন্ধ ! ওকে !
সুমন মনে মনে হাসে । এই ক'বছরে তানজিনা কতবার যে বলেছে এই কথা কিন্তু প্রতিদিন সকাল বিকাল ঠিকই এই নোনতা চা তার বিছানার পাশে এসে হাজির হয়েছে । সুমনের জন্য যেমন এক কাপ বানিয়েছে নিজের জন্যও তাই !
পাঁচ
৪০ বছর পরের কথা । সুমনের মৃত্যুর পরে বৃদ্ধ তানজিনার সময় কাটে সুমনের সাথে কাটানির দিন গুলোর কথা মনে করে । আর তার রেখে যাওয়া একটা কালো ডায়রি পড়ে । সেখানে সুমন তার নিজের জীবনে অনেক কথা লিখে রেখেছে । তানজিনা বারবার সেগুলো পড়ে, কখন আপন মনেই হাসে । মৃত্যুর আগে সে নিজেই এটা তানজিনার কাছে দিয়ে গিয়েছিল ! বলেছিল "আমার মরার পর এগুলো পড়" !
সেই ডায়রির ভিতরের বেশ কয়েকটা টিঠির ভিতর একটা চিঠি তানজিনার খুব বেশি পছন্দ ! চিঠিটার শুরু এমন
"তোমার কি মনে আছে আমাদের প্রথম দেখা হয়েছিল কবে ? সেই সেদিনের কথা আমার এখন পরিস্কার মনে আছে । তুমি যখন আমার পাশে এসে বসলে সেদিন আমি যেন আরেকটু হলে অজ্ঞান হয়ে পড়েই যাই, এমন অবস্থা ! আমার হাত কাঁপছিল । যদি একটু ভাল করে লক্ষ্য করতে তাহলে বুঝতে আমি নিজেকে স্থির করার কি আপ্রান চেষ্টাই না করছিলাম । কথা বার্তা চিন্তা ভাবনায় কেমন জট পেকে যাচ্ছিল ! তাই তো তুমি যখন চায়ের কথা বললে আমি ভুল করে চিনির বদলে লবনের কথা বলে ফেললাম ! তোমার অবাক হওয়া দেখে আর নার্ভাস হয়ে গেলাম আরও ! তোমার সামনে তখন কি বলবো আর ঠিক করতে পারি নাই । তাই তো সমুদ্রের গল্পটা বানালাম ! আমি কোন দিন ভাবতেও পারি নি তুমি এতে এতো অবাক হবে !
তারপর .... কতবার বলার চেষ্টা করেছি তোমাকে সত্যটা বলার কিন্তু পারি নি ! তোমাকে মিথ্যে বলা হবে বলে তুমি কষ্ট পাবে বলে এই মিথ্যেটাই আমি আমার জীবনে সত্য বানিয়ে নিলাম ! বিদঘুটে লবন চা খেতে শুরু করলাম ! সত্যি বলছি এই ৪৫ বছর আমি যে লবন টা খেয়েছি তোমার হাতের বানানো একটা দিনও আমার কাছে বিন্দু মাত্র খারাপ লাগে নি ! বারবার কেবল মনে হয়েছে এর থেকে মিষ্টি চা হয়তো আর কোথাও হয় না !
কেবল এই জীবন না, বাকি সব গুলো জীবন আমি তোমার হাতের এই লবন চা খেয়েই বাঁচতে চাই !"
তানজিনা যতবার এই চিঠিটা পরে ততবার তার চোখ পানি হাসে ! আর মুখে একটা আনন্দের হাসি ! মুখে হাসি নিয়ে মনে মনে বলে পাগল একটা !
-দাদী ! ও দাদী !
ডায়রি রেখে তানজিনা তার নাতনীর দিকে তাকায় !
-এই নাও তোমার চা ! লবন চা ! আমি বুঝি না তুমি এই লবন চা কেমন করে খাও !
তানজিনা হেসে বলে
-তুই বুঝবি না ! লবন চা খুব মিষ্টি !
(গল্পটা লিখতে ইচ্ছা হল গত কাল ইনকগনিটো ভাইয়ের স্টাটাসের মাধ্যমে পড়া "আদিত্য অনীক" এর কবিতা পড়ে । এরকম নাকি একটা বিদেশী গল্পও আছে । থাকুক ! আমি লিখলাম আমার নিজের মত করে)
আদিত্য অনীক কবিতার লিংক
ইংরেজি গল্পটার লিংক
২০ শে সেপ্টেম্বর, ২০১৪ রাত ১০:১১
অপু তানভীর বলেছেন: আর কতদিন বাইচ্যা থাকবো কন লবন চা খাইয়া ! তাই মইরা গেছে
২| ২১ শে সেপ্টেম্বর, ২০১৪ রাত ৩:১০
অপ্রতীয়মান বলেছেন: ইশ!
শেষটা অন্যরকম হলেই বা কি ক্ষতি ছিল? ভিন্নরকম একটা সমাপ্তি কি হতে পারতো না যেখানে সুমনও থাকবে তানজিনার পাশে।
চমৎকার গল্পটার জন্যে ভালোলাগা....
২১ শে সেপ্টেম্বর, ২০১৪ দুপুর ১২:৪৯
অপু তানভীর বলেছেন: আরে সুমন তো এতোদিন তার পাশেই ছিল ! সুখী জীবন অতিবাহিত করেই তারপর না মারা গেছে
৩| ২১ শে সেপ্টেম্বর, ২০১৪ দুপুর ১২:৫২
অঘটনঘটনপটীয়সী বলেছেন: ভাবছি একদিন লবন চা করে খাব কিনা।
২১ শে সেপ্টেম্বর, ২০১৪ দুপুর ১২:৫৭
অপু তানভীর বলেছেন: খেয়ে দেখেন । তাকেও খাইয়ে দেখেন
৪| ২১ শে সেপ্টেম্বর, ২০১৪ দুপুর ১:১৫
পরিবেশ বন্ধু বলেছেন: ভাবছি একদিন লবন চা করে খাব কিনা। ভাল লাগল ।
২১ শে সেপ্টেম্বর, ২০১৪ দুপুর ২:৫২
অপু তানভীর বলেছেন: খেয়ে দেখেন !!
৫| ২১ শে সেপ্টেম্বর, ২০১৪ দুপুর ২:৪২
তামিম ইবনে আমান বলেছেন: প্রথম প্লাস
২১ শে সেপ্টেম্বর, ২০১৪ দুপুর ২:৫৮
অপু তানভীর বলেছেন: থেঙ্কু
৬| ২১ শে সেপ্টেম্বর, ২০১৪ সন্ধ্যা ৭:৪৩
ইনসোমনিয়াক দাঁড়কাক বলেছেন: চমৎকার!!
২১ শে সেপ্টেম্বর, ২০১৪ রাত ৯:৩৮
অপু তানভীর বলেছেন: থেঙ্কু
৭| ২২ শে সেপ্টেম্বর, ২০১৪ রাত ১:৫৬
নাসরিন চৌধুরী বলেছেন: পুরো জীবনের একটা চিত্র। উপন্যাস হলে ভাল লাগত আরো। পুরো জীবনটাকেই বিশ্লেষণ করতে পারতেন মহা আনন্দে---শেষ করার জন্য তাড়াহুড়ো থাকত না। এটা একান্তই আমার ব্যক্তিগত মত।
ভাল থাকুন।
২২ শে সেপ্টেম্বর, ২০১৪ দুপুর ১২:০১
অপু তানভীর বলেছেন: বড় গল্প লেখা যেত হয়তো ! কিন্তু আমি ছোট গল্প লিখেই মজা পাই বেশি !
ধন্যবাদ ! আপনিও ভাল থাকুন
৮| ২২ শে সেপ্টেম্বর, ২০১৪ সকাল ৭:৫৯
কয়েস সামী বলেছেন: গল্পটা আমিও অনুবাদের চেষ্টা করসিলাম। পড়ে দেইখেন...লবণাক্ত কফি
২২ শে সেপ্টেম্বর, ২০১৪ দুপুর ১২:০৫
অপু তানভীর বলেছেন: দেখে আসি
©somewhere in net ltd.
১| ২০ শে সেপ্টেম্বর, ২০১৪ রাত ৯:৩০
বিদ্রোহী ভৃগু বলেছেন: যা বাবা!! প্রেম সংসার মায় মেরেও ফেললেন।
আ কমপ্লিট লাইফ উইদ লবন চা
+++