নির্বাচিত পোস্ট | লগইন | রেজিস্ট্রেশন করুন | রিফ্রেস |
-সজল ?
একটা গাছে ঘেরা বাগান বাড়িতে বসে ছিলাম ! যেদিকে চোখ যায় কেবল গাছ আর গাছ । তবে গাছ গুলো কেমন যেন অপরিচিত মনে হল ! সব গুলোর রং এ সবুজের সাথে কেমন একটা গোলাপী গোলাপী ভাব আছে । আমি একটা কাঠের বেদীতে বসে আছি ।
কেউ যেন আমার সামনে দিয়ে হেটে যাচ্ছে ।
একটা মেয়ে । আমি যতবারই মেয়েটার চেহারা দেখার চেষ্টা করি ততবারই মেয়েটার মুখ দেখতে পারি না !
কিছুক্ষন পরপরই মেয়েটা আমার সামনে দিয়ে হেটে যাচ্ছে । একবার ভাবলাম মেয়েটাকে ডাক দেই ।
মেয়েটার সাথে কথা বলা জরুরী । যখনই ডাকতে যাবো ঠিক তখনই মেয়েটা আমাকে ডেকে বসলো !
-সজল ! সজল !
আরে এই মেয়ে আমার নাম জানলো কিভাবে ? কিন্তু সমস্যা হচ্ছে মেয়েটার কন্ঠ এমন ফ্যাকাসে শোনাচ্ছে কেন ?
-সজল ?
ঠিক তখনই আমার ঘুম ভেঙ্গে গেল ! তাকিয়ে দেখি আমি ফোন কানে নিয়ে কথা বলছি ! কার ফোন কে জানে ?
চোখ কান খুলে কোন রকম নাম্বারটা দেখার চেষ্টা করলাম !
রাতে ঘুমাতে দেরি হয়েছে, এতো সকালে কি ঘুম ভাঙ্গে ?
ঘুমের কারনে মোবাইল স্ক্রিনে ঠিক মত নামটাও পড়তে পারলাম না ! তখনও ওপাশ থেকে আমার নাম ধরে ডেকে চলেছে কেউ ! তাও আবার কোন একটা মেয়ে !
আমি কোন রকমে বললাম
-হুম ! কে ?
-কে মানে ? তুমি এখনও ঘুমাচ্ছো ?
প্রেমিকা যেমন প্রেমিকের উপর খবরদারি করে ওপাশের মেয়েটার কন্ঠস্বর শুনে আমার ঠিক এমন মনে হল । কিন্তু সমস্যা হচ্ছে মেয়েটা আমার উপর এমন করে খবরদারি করছে কেন ? আমার তো কোন প্রেমিকা কিংবা গার্লফ্রেন্ড নাই । তাহলে ?
আমি ঘুমের ঘরেই বললাম
-এখন ঘুমানোর সময় নাকি ? ঘুমাবো না তো কি করবো ?
-সজল ! এখন দশটা বাজে ! তোমার না আমার সাথে ১০ টার সময় দেখা করার কথা !
-দেখা ! আপনার সাথে ? কে আপনি ?
-আমি কে ? আমি কে ?
ওপাশ থেকে যেন বোমা ফুটলো ! ঠিক তখনই আমার ঘুমের ঘোর টা চট করে কেটে গেল ! আর আস্তে আস্তে মনে পড়ে গেল সব !
মিরা ?
খাইছে ।
আমি বিছানা থেকে উঠতে উঠতে মিরা ফোনের ওপাশ থেকে চিৎকার করে বলল
-তুমি যদি আর আধাঘন্টার ভিতর এখানে না আসো তাহলে তোমার কিন্তু খবর আছে ?
-আরে আধা ঘন্টা ? মাত্র আধা ঘন্টায় কি হবে ? বাধরুমেই তো ৩০ মিনিট চলে যাবে !
-বাধরুমে যাওয়া লাগবে না ! তুমি এখনই এখানে আসবা ! কোন কথা শুনতে চাই না !
-মানে কি ? এটা আবার কি ধরনের কথা ?
-একদম চুপ । যদি ৩০ মিনিটের ভিতর না আসতে পারো তাহলে আজকেই তোমার সাথে আমার রিলেশন ব্রেক আপ ! মনে থাকে যেন !
আমাকে আর কিছু বলার সুযোগ না দিয়ে মিরা ফোন রেখে দিল ! আমি খানিটা সময় বোকার মত বসে রইলাম ! মেয়েটার মাথায় আসলেই সমস্যা আছে মনে হচ্ছে । তাহলে আমার সাথে এমন আচরন করছে যেন কত দিনের না পরিচয় আমার সাথে !
তবে বুকের ভেতর কেন জানি একটা সুখের আনন্দ বইতে লাগলো ! কেন লাগলো ঠিক জানি না !
মিরার সাথে পরিচয় গত কালকে বিকেল বেলা ! টিউশনীতে যাওয়ার আগে মাঝে মাঝেই ঐ পার্কটাতে হাওয়া খাই । মানুষজন দেখি । তাদের কাজ কারবার দেখি ! তেমন ভাবেই অনেকক্ষন ধরেই মেয়েটাকে দেখছিলাম । পার্কের এই দিকটাকে একা একা কার জন্য যেন অপেক্ষা করছে । মুখের দিকে তাকিয়ে মনে হচ্ছে যে কিছু একটা নিয়ে চিন্তিত ! অথবা কোন কারনে মেয়েটার মন খারাপ !
আসলে আজকে পার্কে ঢুকেছিলাম একটা কাপলের পিছন পিছন । ঠিক ইয়াং কাপল না । আঙ্কেল ভাতিজি কাপল । লোকটার বয়স কম করে হলেও চল্লিশ ! অন্য দিকে মেয়েটার পরনে কেবল মাত্র পরিচিত একটা কলেজ ড্রেস ! বাস থেকে নেমেই দেখি তারা হেটে চলেছে । কি মনে হল তাদের পিছন পিছন এসে ঢুকলাম ! দেখতে দেখতে আঙ্কেল আর ভাতিজি পার্কের একেবারে কোনার দিকে একটা বেঞ্চে বসল । তারপর কি কাজ শুরু করলো তা আর নাই বলি ।
তবে আমাকে দেখে মেয়েটা বিশেষ করে একটু অস্বস্থি বোধ করছিল । শেষে আর না পেরে উঠেই চলে গেল তারা ! আমিও উঠে যেতাম তখনই মেয়েটাকে দেখলাম ! কলাপাতা রংয়ের এক সালোয়ার কামিজ পরে আছে ! সবুজের মাঝে হালকা গোলাপী । একা একা কি যেন ভাবছে ।
হঠাৎ মেয়েটার ফোন বেজে উঠলো । মেয়েটা ফোন রিসিভ করলো । কিছু কথা বলল । দেখলাম কথা বলতে বলতেই মেয়েটার চোখ দিয়ে পানি গড়িয়ে পড়লো !
কিছু একটা হয়েছে নিশ্চই অপর প্রান্ত থেকে ! মেয়েদের এভাবে কাঁদতে দেখলে আসলেই খানিকটা খারাপ লাগে ! আমার নিজেরও খানিকটা খারাপ লাগলো ! মন খারাপ নিয়েই ঘড়ির দিকে তাকিয়ে দেখি টিউশনীর সময় হয়ে গেছে । পার্কের গেটের কাছে গিয়ে আবারও ফিরে চাইলাম মেয়েটার দিকে । মেয়েটা ততক্ষনে নিজের চোখ মুছে নিজেকে খানিকটা সামলে নিয়েছে । কিন্তু মেয়েটির বিষন্ন মুখে দিকে তাকিয়ে কেমন বুকের ভিতর একটা মোচড় লাগলো ! তখনই একটা বোকার মত কাজ করতে মন চাইলো !
গেটের পাশেই একটা আইসক্রিম ওয়ালা দাড়িয়ে ছিল । দুটো কোণ আইসক্রিম কিনে মেয়েটির দিকে দৌড় দিলাম ! একেবারে থামলাম মেয়েটির সামনে । এমন একটা ভাব করলাম যেন আমি অনেক দুরে থেকে দৌড়ে এসেছি ! আমাকে এভাবে দৌড়ে আসতে দেখে মেয়েটি একটু চমকে উঠলো ! আমি হাঁপানোর ভাব করে বলল
-সরি ! অনেক দেরি হয়ে গেল ! দেখো এতো জ্যাম ছিল ! পুরো রাস্তা দৌড়ে এসেছে । আমি জানি তুমি অনেকক্ষন ধরে অপেক্ষা করছো ! প্লিজ রাগ কর না ! এই নাও ! তোমার পছন্দের পোলারের কোণ আইসক্রিম খাও !
এই বলতে বলতে মেয়েটার পাশে বসে পড়লাম !
যেন খুব হাঁপিয়ে গেছি এমন একটা ভাব ! মেয়েটা আইসক্রিম হাতে নিয়ে আমার দিকে এখনও খানিকটা অবাক হয়েই তাকিয়ে আছে ।
-আপ....।
কিছু বলার আগেই আবার বললাম
-আরে বাবা বলললাম তো সরি ! দেখো প্লিজ রাগ কর না ! এমন ভাবে মন খারাপ থাকলে আমি কোথায় যাবো বল ? মানুষের কি দেরি হতে পারে না ? পারে না বল ? প্লিজ রাগ করে থেকো না !
-হুম ! রাগ করে থাকতে নেই !
কথা টা আমি বলি নি ! বলল সামনে দাড়িয়ে থাকা এক বৃদ্ধ । তবে ঠিক বৃদ্ধ না, ৫০ থেকে ৬০ এর ভিতরে বয়স । কোন সরকারী অফিসার মনে হল ! পরনে বিকেলের জগিং ট্রাক শু ! হাটছিল মনে হয় ! আমার কথা শুনে আর মেয়েটির বিষন্ন মুখ দেখে মনে হয় থামেছে আমাদের সামনে ।
আমি বৃদ্ধের কথা শেষ হওয়ার সাথে সাথেই বললাম
-দেখুন তো, আঙ্কেল ! কি কান্ড ! রাস্তায় কি জ্যাম আপনি তো জানেনই ! এই মাত্র ৩০ মিনিট লেট হয়েছে আর এরই ভিতর কেঁদে কেটে অস্থির ! এমন অবুঝ মেয়েকে নিয়ে আমি কোথায় যাবো বলেন ?
আঙ্কেল বলল
-তা তো ঠিকই ! রাস্তার অবস্থা তো একটু বোঝা উচিৎ !
-হুম ! আপনি তো নিশ্চই কোন না কোন সময়ে আন্টিকে সময় দিয়ে ঠিক মত আসতে পারেন নি ! এমন টা সবার জীবনেই তো হয় তাই না !
কয়েক মুহুর্ত আঙ্কেল তো কোথায় যেন হারিয়ে গেল ! মনে হল যেন পুরানো দিনের কিছু মনে করছে । বলল
-তা বলছো ! একবার তো তোমাদের আন্টি আমাকে ঘরেই ঢুকতে দেন নি দেরি করে আসার জন্য ! হা হা হা ! সারা রাত সেই করিডরে থাকতে হয়েছে ।
বলতে বলতেই আঙ্কেলের চোখ মুখ কেমন করুন হয়ে গেল !
আমি বললাম
-দেখেন আঙ্কেল আমাকেও সারা টাত এখানে এভাবে বসে থাকতে হয় ? মিরা যদি আমার উপর রাগ করে এখন চলে যায় আমি কি করবো বলেন ! আমার তো ......
আমি কথা শেষ করলাম না !
দেখলাম বৃদ্ধ আঙ্কেল আমাদের মাঝখানে বসে গেল । মেয়েটির দিকে তাকিয়ে বলল
-তোমার নাম মিরা ?
মেয়েটি বলার আগেই আমি বললাম
-জি ! মিরা !
-আর তুমি !
-আমি সজল !
-আচ্ছা শুনো মিরা......
লোকটা আমার দিকে তাকিয়ে বলল
-তুমি একটু দুরে যাও তো !
-দুরে যাবো ?
-হুম ! যাও ! দুরে যাও !
অনিচ্ছা সত্ত্বেও আমি দুরে গিয়ে দাড়ালাম ! মনে মনে হঠাৎই ভয় হল মিরা মানে মেয়েটি আবার সব কিছু বলে না দেয় । যদি মেয়েটি বলে দেয় যে আমি ওকে চিনি না তাহলে ?
অবশ্য এতে খুব বেশি চিন্তিত হওয়ার কিছু নেই । আঙ্কেল মনে করবে আমার উপর রাগ করেই মেয়েটি এমন বলছে !
কয়েক মিনিট পরেই দেখলাম আঙ্কেল আমাকে হাতের ইশারায় করে ডাকলেন ! আমি গিয়ে দাড়াতেই বললেন
-আমি ওকে সব বুঝিয়ে দিয়েছি ! তুমি এবার থেকে বাসায় থেকে বের হওয়ার সময় একটু আগে আগে বের হবে ! মনে থাকবে ?
-জি আঙ্কেল । মনে থাকবে !
আঙ্কেল আমাদের রেখে আমার আবার জগিং শুরু করলো ! মেয়েটা ততক্ষনে কোণ আইসক্রিম খুলে খাওয়া শুরু করেছে । আমার এবার কেন জানি একটু অস্বস্থি লাগা শুরু করলো । যেই জোশ নিয়ে কোন কিছু না ভেবেই কাজটা শুরু করেছিল এখন সেই জোশ কোথায় হারিয়ে গেল মুহুর্তেই ! মনে মনে এখান থেকে পালিয়ে বাঁচি !
আমাকে খানিকটা অবাক করে দিয়ে মেয়েটি বলল
-কি হল দাড়িয়ে কেন আছো ? বস !
-বসবো ?
-বসবা না তো কি করবা ? রাগ ভাঙ্গাতে কাকে কাকে টেনে নিয়ে এলে এখন রাগ পড়ে গেছে আর বসতে ইচ্ছে করছে না ?
-না মানে ..... আসলে .....
-কি ? মানে মানে করছো কেন ?
-আসলে টিউশনীর সময় হয়ে যাচ্ছে ।
-তার মানে এখন চলে যাবে ?
আমি খানিকটা কাচুমুচু করে বললাম
-আসলে যাওয়া দরকার ! টিউশনীতে দেরি হলে আবার.....
মেয়েটা কি যেন ভাল কিছুক্ষন ! তারপর বলল
-আচ্ছা, এখন যাও তাহলে ! কিন্তু কালকে ঠিক সাড়ে দশটায় এখানে হাজির হবা ! মনে থাকবে ?
-থাকবে !
-থাকবে না ! আমি জানি ! কই তোমার মোবাইল দেখি !
-মোবাইল ? মোবাইল দিয়ে কি করবে ?
-দিতে বলছি দাও !
আমি কোন কথা না বলে পকেট থেকে মোবাইল বের করে দিলাম ! মেয়েটা কি যেন টেপাটেপি করলো ! তারপর আমার কাছে মোবাইল টা ফেরৎ দিয়ে বলল
-কালকে সময় মত হাজির হয়ে যাবে । দেরি যেন না হয় !
মিরা বলেছিল দেরি না হয় কিন্তু যখন পার্কে পৌছালাম তখন অলরেডি সাড়ে দশটা পার হয়ে গেছে । ঠিক সেই খানে এসে দেখি মিরা সেখানে বসে আছে । তবে তাকে দেখে একটু যেন চমকালাম । আজকে তাকে দেখতে কালকের থেকে একটু অন্য রকম লাগছে । বলতে গেলে কালকের থেকে আজকে অনেক বেশি সুন্দর লাগছে । চুল গুলো পরিপাটি করে সাজানো, পোষাক আষাকেও কালকের থেকে বেশ খানিকটা সাজানো গোছানো !
আমি খানিকটা ঢোক গিলতে গিলতে মিরার সামনে গিয়ে দাড়ালাম !
মিরা ঘড়ি দিকে ইংগিত দিয়ে বলল
-আজকেও লেট !
-ঘুমিয়ে ছিলাম !
-ঘুমিয়ে !! যাও তাহলে ঘুমিয়ে কাটাও ! এখানে কেন এসেছো ?
-না মানে ?
মেয়েটি এবার চোখে চোখ বলল
-সত্যি করে বল কেন এসেছো ? তোমার সাথে আমার এমন কোন সম্পর্ক এখন তৈরি হয় নি ! কালকের ঘটনা তুমি যেমন সিরিয়াসলি ভেবে চিন্তে কর নাই আমিও তেমনিই প্রশ্রয় দিয়েছি ! তাহলে ?
কিছুক্ষন চুপ করে রইলাম । তারপর বললাম
-তুমি কেন আসলে ? তুমিও নাও আসতে পারতে !
-হুম ! না আসলেই পারতাম । কিন্তু কেন যেন আসলাম ! কেন জানো ?
-কেন ?
-কালকে অনেক দিন পর রাতে আমি খুব আনন্দ নিয়ে ঘুমিয়েছিলাম ! অনেক দিন পরে কঊকে ভেবেছি আনন্দ নিয়ে !
-আমাকে নিয়ে ?
-না তোমাকে নিয়ে কেন ভাববো ? কালকের ঐ আঙ্কেল কে নিয়ে ভেবেছি ! গাধা কোথাকার !
-ও তাই নাকি ! আচ্ছা বল তো ঐ আঙ্কেল তোমাকে ঠিক কি কি বলেছিল !
-কেন বলবো ?
-আরে কেন বলবা না ? শুনি না একটু !
-উহু ! বলা যাবে না !
আমি মিরার পাশে বসতে বসতে বললাম
-আচ্ছা তোমার নাম টাই তো জানা হয় নাই !
-কেন? মিরা !
-সত্যি মিরা ?
-তোমার কাছে মিরাই থাকুক ! ঠিক আছে !
এই মিরা মিষ্টি করে হাসলো ! মন জুড়ানো হাসি !
-আরে আজকেও তোমরা !
তাকিয়ে দেখি গতকালকের সেই বৃদ্ধ আঙ্কেল !
-আরে আঙ্কেল আপনি আবার !
-আমি আর কি করি বল ! সারা দিন এখানে সময় কাটাই ! বুড়া হয়ে গেছি তো !
বলতে বলতে আঙ্কেল আমার পাশে বসে পড়লো ! গতকালকে বসে ছিল মাঝ খানে আজকে বসলো আমি মিরার দিকে একটু সরে বসে আঙ্কেল কে বসে জায়গা করে দিলাম !
-বুঝলে ! কাল থেকে তোমাদের দেখে বড় ভাল লাগেছে । আমার যুবক বয়সটাও ঠিক এমন গেছে । বড় আনন্দের ! তোমাদের আন্টি এতো ন্যাকামো করতো ! পান থেকে চুন ঘষলেই আর রক্ষা নাই ! তবুও মেয়েটাকে কতই না পছন্দ করতাম ! কত ভাল বাসতাম !
-তারপর !
মিরাকে দেখলাম একটু আগ্রহী হয়ে উঠেছে !
-কালকে তো বলেছি একবার রাগ করে আমাকে বাসায় ঢুকতেই দেয় নাই ! একবার কি হয়েছে জানো .......
আঙ্কেল নিজের গল্প করতে লাগলো আমি মিরার দিকে তাকিয়ে দেখি ও মনযোগ দিয়ে সেই গল্প শুনছে । চোখে মুখে কালকের সেই বিষন্নতার সিটে ফোটাও নেই । বরং সেখানে একটা চাপা আনন্দ রয়েছে !
আমার জন্য ?
আমার কথা কি মেয়েটা রাতে ভেবেছে ?
আমার কথা ভেবে কি আনন্দ নিয়ে ঘুমিয়েছে ?
আমি জানি কাল রাতে মেয়েটি আমাকে নিয়েই ভেবেছে । যেমন টা ঘুমানোর আগে আমি তাকে নিয়ে ভেবেছি !
গতকাল ঘুম থেকে উঠেই দেখি হামা ভাইয়ের মেসেজ । আমাকে একটা গল্পের থিম দিয়ে বলল গল্পটা লিখতে । আমি এতোই এক্সসাইটেড হয়ে গেলাম যে একটা থিম নিয়ে দুইটা গল্প লিখে ফেললাম । হামা ভাইকে দেখালাম । উনার পরের টা বেশি পছন্দ হল । যাই হোক প্রথমটা এখন প্রকাশ করলাম । ২য় টা রাতের বেলা প্রকাশ করবো !
২৩ শে জুলাই, ২০১৪ রাত ১১:২৮
অপু তানভীর বলেছেন:
২| ২৩ শে জুলাই, ২০১৪ রাত ৮:০৫
কলমের কালি শেষ বলেছেন: ছুইট...এইরকম কি হয় ? এখনকার সময়তো মনে হয় উক্ত্যক্ততার দায়ে গণপিটুনী খাওয়া লাগতে পারে । তবে গল্পের মধ্যে ব্যতিক্রমী ভালো লাগা আছে ।...
২৩ শে জুলাই, ২০১৪ রাত ১১:৩০
অপু তানভীর বলেছেন: এই করম কুনো দিন হয় না ! আপনার ধারনা সত্য হওয়ার সমুহ সম্ভাবনা আছে
ধন্যবাদ !
৩| ২৩ শে জুলাই, ২০১৪ রাত ১০:৪৯
হাসান মাহবুব বলেছেন: এইটা বেশি ভালো হয় নাই। পরেরটার জন্যে অপেক্ষা করে থাকলাম, দেখি কেমন ঘষামাজা করসো তুমি।
২৩ শে জুলাই, ২০১৪ রাত ১১:৩১
অপু তানভীর বলেছেন: আমি নিজেও জানতাম । আমি যেমন করে লিখি এইটা তেমন করে লিখছি !
তাই তো পরের টা লিখেছি কেবল আপনার কথা ভেবে । কেমন হয়েছে কে জানে ।
৪| ২৩ শে জুলাই, ২০১৪ রাত ১১:৪৩
আধখানা চাঁদ বলেছেন: হামা ভাইয়ের সাথে কিঞ্চিৎ একমত।
পরের টা ভাল হইসে ।
২৩ শে জুলাই, ২০১৪ রাত ১১:৫১
অপু তানভীর বলেছেন: আমিও জানতাম । এমনই হবে !
৫| ০২ রা আগস্ট, ২০১৪ সন্ধ্যা ৭:৩০
মৌমিতা আহমেদ মৌ বলেছেন: ইহিরে..। আমাকে যদি কেউ এভাবে রাগ ভাংগাতো তাহলে তো আমিও ঐ পোলার প্রেমে পড়ে যেতাম.. যাই হোক , মজা পাইছি গল্পটা পড়ে।
০৮ ই আগস্ট, ২০১৪ বিকাল ৫:৪৫
অপু তানভীর বলেছেন: বাস্তবে কি আর এমন হয় ? মোটেই হয় না !
৬| ০৯ ই আগস্ট, ২০১৪ দুপুর ২:২৪
অঘটনঘটনপটীয়সী বলেছেন: পরেরটা ফার ফার বেটার। এইটা মোটামুটি।
০৯ ই আগস্ট, ২০১৪ দুপুর ২:৪৫
অপু তানভীর বলেছেন:
©somewhere in net ltd.
১| ২৩ শে জুলাই, ২০১৪ সন্ধ্যা ৭:২৬
গাজী আলআমিন বলেছেন: সত্যি মিরা ?