নির্বাচিত পোস্ট | লগইন | রেজিস্ট্রেশন করুন | রিফ্রেস |
অনু গল্প একঃ প্যাটার্ন লক
নিহিনের স্মার্ট ফোন টার দিকে তাকিয়ে রইলাম একভাবে ! প্যাটার্ন লকে এল দিয়ে লক করা !
এল ?
ওর নাম তো এন দিয়ে শুরু !
ভাল নাম এ দিয়ে ! তাহলে এল দিয়ে কেন ?
"এল" ?
মনের ভিতর খানিকটা দ্বিধা হচ্ছিল কথাটা ভাবতে । আশ্চর্য হয়ে লক্ষ্য করলাম আমার বুকের ভেতর একটা অন্যরকম অনুভুতি শুরু হয়েছে ! আসলেই কি এটাই নিহিনের স্মার্টফোন টাতে এল প্যাটার্ন থাকার কারন এটাই যে আমার নাম এল দিয়ে শুরু !
নাহ !
একটু বেশি বেশি কল্পনা করে ফেলতেছি ! ক্লাসে আরও ৫০ টা ছেলে আছে যাদের সাথে নিহিন কথা বলে ! সবার সাথেই ভাল সম্পর্ক ! তবে এটা ঠিক যে কারো নাম এল দিয়ে শুরু নয় !
তার উপর ওর নিজের স্কুল কলেজ জীবনের বন্ধু আছে, পরিবার আত্মীয় আছে ! তাদের যে কারো নাম "এল" দিয়ে শুরু হতে পারে যাকে ও পছন্দ করে ।
আবার কোন কারন ছাড়াই এল দিতে পারে !
নিজে নিজে আরও অনেক থিউরী দাড় করালাম কিন্তু কোন টাতেই মন ভরলো না ! কেবল এই কথাটাই বিশ্বাস করতে মন চাইলো যে আমার নাম দিয়ে নিহিন এল প্যাটার্ন দিয়ে দিয়েছে !
মোবাইলের কাজ শেষ করে নিহিন আমার দিকে তাকিয়ে বলল
-কি হল ? কি দেখছো ?
-না ! তোমার মোবাইল টা ! নতুন কিনেছো নাকি ?
-লাবিব ! তুমি মাঝে মাঝে এমন কথা বল না ? গত সাত মাস ধরে এই ফোন টা ব্যবহার করছি ! মনে নেই তোমার ?
-ও তাই নাকি ?
আমি একটু বোকার মত হাসি ! আসলেই তো ! কি বলব আর কি বলে ফেললাম !
নিহিন বলল
-অবশ্য আমার আর জিনিসের দিকে খিয়াল দেওয়ার মত তোমার সময় কোথায় ? তুমি তোমার ঐ মিনা আর টিনা কে নিয়েই ব্যস্ত !
-আরে কি বল ? এর ভিতর আবার মিনা টিনা আসলো কোথা থেকে ?
-আসে নি ? আমি নিয়ে এসেছি !
-কেন ?
-এমনি আমার ইচ্ছা ! আচ্ছা বললে না, তুমি আমার মোবাইলের দিকে এভাবে তাকিয়ে ছিলে কেন ?
আমি একটু দ্বিধা দ্বন্দ্বে পরে গেলাম আবার । বলব ?
বলে ফেলবো নাকি ?
কি করবো এটা ভাবতেই কয়েক সেকেন্ড চলে গেল ! আসে পাশে তাকিয়ে দেখি কেউ কাছে পিঠে নেই ! আমি সংকুচিত কন্ঠে বললাম
-তোমার স্ক্রিন লকে "এল" অক্ষর কেন ?
বলেই নিহিনের চেহারার দিকে তাকালাম ! দেখি ওর চোহারা থেকে থেকে রক্ত সরে গেল ! খুব বিব্রত যেন অস্বস্থিতে পরে গেছে এমন মনে হচ্ছে ওর দিকে তাকিয়ে ! অন্য দিকে তাকিয়ে কি যেন ভাবতে লাগলো !
আমি আবার বললাম
-বল ! কেন এল ! "এল" ফর .... ?
অনেকক্ষন অন্য দিকে তাকিয়ে নিহিন আমার দিকে তাকিয়ে বলল
-এতো দিন পরে তুমি দেখলে ?
আমি ক্ষীণ কন্ঠে বললাম
-"এল" ফর লাবিব ?
নিহিন আমার প্রশ্নের উত্তর না দিয়ে আমার দিকে কেবল এক ভাবে তাকিয়েই রইলো ! ওর চোখের দৃষ্টিতেই আমার সকল প্রশ্নের উত্তর ছিল ! আমি কেবল একটু হাসলাম আপন মনেই ! তারপর পকেট থেকে আমার ফোন টা বের করে ওর হাতে দিলাম !
বললাম
-ওপেন ইট !
নিহিন আমার ফোন টা হাতে নিয়ে পাওয়ার বাটন চাপ দিতেই প্যাটার্ন লক উঠে এল ! আমার দিকে জিজ্ঞাসু চোখ তাকালো কয়েক মুহুর্ত !
আমি কেবল ওর দিকে তাকিয়ে হাসলাম !
নিহিন কিছু সময় আমার দিকে অবিশ্বাসের চোখে তাকিয়ে থেকে নিজেই স্ক্রিনের উপর নিজের আঙ্গুল ঘোরালো !
"এন" !
কি আশ্চার্য ! আমরা দুজনে দুজনের নামে আমাদের স্ক্রিন লক করেছি অথচ এতো দিনে একটা বারেও একে ওপর কে বলি নি !
ও লক টা খুলে আমার দিকে আবার তাকালো ! অবাক হয়ে দেখলাম নিহিনের চোখে পানি জমতে শুরু করেছে ! সেই অদ্ভুদ অশ্রু সিক্ত চোখ দেখে বুকের ভিতর কেমন একটা চিনচিন ব্যাথা শুরু হল ! সুখ আর আনন্দময় ব্যাথা !
অনু গল্প দুই !
ঠিক যখন আশা করেছিলাম নিশির ফোন টা তখনই এসে হাজির ! আমি খুব ভাল করেই জানি ওর ঘুম কখন ভাঙ্গে ! তাছাড়া আজকে ক্লাস আছে একটু পরে ! এখন ও হল থেকে বের হবে ! তার আগেই জায়গা মত হাজির হলাম !
নিশির ফোন টা রিসিভ করার আগে মনে একটু ওকে জ্বালিয়ে নিই ! গত রাতে আমার যে ঝগড়া টা করেছে ! শোধ নিতে হবে না ? নিশি বলল
-এই কোথায় তুমি ?
-এই তো বাসায় ?
-বাসায় কি কর ?
-কিছু না ! কেন ? আরে দাড়াও দাড়াও ! তুমি আমাকে ফোন দিয়েছো কেন ? কালকে রাতে না আমাদের ব্রেক আপ হয়েছে ! এখন আমি কোথায় সেইটা তোমার জেনে কি লাভ ?
এই কথার পর নিশি চুপ করে গেল ! কোন কথা বলল না কিছুক্ষন ! আমি মনে মনে হাসলাম !
গতকাল কে রাতে নিশির সাথে থা রীতি তুমুল ঝগড়া ! এক পর্যারে আমার উপর রাগ করে ফোন কেটে দিল ! আমি আর আবার ফোন করছি না দেখে ১০ মিনিট পরেই নিজেই ফোন করলো আবার !
-এই ফোন দিলা না কেন ?
-আমি কেন ফোন দিবো ? তুমি লাইন কাটছো ?
-আমি লাইন কাটছি তো কি হইছে ! তুমি কেন ফোন দিলা না কেন ?
-আজিব ! তুমি বিনা কারনে লাইন কাটবা আমি তোমাকে তেলাবো ? মোটেও না ! মোটেই না ! তুমি প্রস্থান করতে পারো !
-কি এতো বড় সাহস ! আর কোন দিন যদি আমাকে তুমি ফোন দিছো ? তোমার সাথে আজকেই শেষ ব্রেক আপ !
মনে মনে হাসি ! নিশির প্রায় প্রতিদিনই আমার সাথে ব্রেক আপ করে !
কোন কিছু একটা হলেই হল ! ব্রেক আপ ! ব্রেক আপ করতে সময় লাগে না ! আবার জোড়া লাগতে সময় লাগে না ! ও যে আমার সাথে ব্রেক আপ করে এটা নাকি ওর মনেই থাকে না !
যথারীত আজকে ওর মনে নেই গত কালকের কথা ! নিশি কিছুক্ষন চুপ করে থেকে বলল
-ও আমার ভুল হয়েছে । তুমিও আমাকে ফোন দিবা না ! এইটা বলার জন্য ফোন দিছি !
-ওকে দিবো না ! আমার মনে আছে !
-বদ পুলা ! তুই দুর হও !
নিশি ফোন কেটে দিল ! একবার মনে হল কাল রাতের কথা টা এখন না বললেও হত ! কিন্তু যা হওয়ার হয়ে গেছে ! কিন্তু আমারও দোষ আছে ! ওর পিছনে না লাগলে আমার ও ভাল লাগে না !
কয়েকবার ফোন দিলাম কিন্তু নিশি এবার আমার ফোন ধরলো না ! বুঝলাম এই সকাল বেলা করে ওর মেজাজ টা খারাপ করিয়ে দেওয়া ঠিক হয় নি ! কিন্তু কি করবো এখন ?
আছে একটা উপায় ! অবশ্য !
তাড়াতাড়ি নিশিকে একটা মেসেজ পাঠিয়ে দিলাম ! জানি ও মেসেজ টা পড়বে আর মেসেজ পড়ে ঠিক চলে আসবে !
নিশি হাজির হল ঠিক ৭ মিনিটের মাথায় ! গেট দিয়ে বের হতেই ওকে দেখতে পেলাম ! চুলের ক্লিপ টা তখনও হাতে ধরা ! আমি জানি ও এখন কি করবে ! আমার কাছে এসে বলবে ক্লিপ টা লাগিয়ে দাও তো !
নিশিঠিক তাই করলো !
আমার কাছে এসে বলল
-এই চুলের ক্লিক টা লাগিয়ে দাও তো ?
-আমি সকাল থেকে এখানে তোমার চুলের ক্লিপ লাগানোর জন্য দাড়িয়ে আছি ? হুহ ?
-আহা ! এতো কথা বল কেন ? দেখো সকাল বেলা এমনিতেই একবার মেজাজ গরম করিয়ে দিয়েছ ? আরেকবার যদি...।
-কি হবে শুনি ?
নিশি আমা রদিকে কিছুক্ষন তাকিয়ে থেকে বলল
-আচ্ছা যাও ! লাগবে না তোমার হেল্প !
এই বলে যখনই চলে যেতে চাইলো তখনই ওর চুপ চেপে ধরলাম ! চুল চেপে ধরে বললাম
-খবরদার যদি আমাকে রেখে কোথায় যাওয়া চেষ্টা কর....
-কি হবে শুনি ? চুল ছাড়ো আমার লাগছে !
আমি ক্লিপ টা চুলে আটকে দিতে দিতে বললাম
- তুমি জানো না আমি অক্সিজেনের অভাবে মারা যাবো যদি আমাকে ছেড়ে যাও !
-ইস ! ঢং ! বদ পুলা কোথাকার !
-সুইট মাইয়া কোথাকার !
১৯ শে মে, ২০১৪ রাত ১১:০১
অপু তানভীর বলেছেন:
ধন্যবাদ
২| ১৯ শে মে, ২০১৪ রাত ১১:২০
নীলতিমি বলেছেন: মেলা ধইন্যা!
১৯ শে মে, ২০১৪ রাত ১১:৪৪
অপু তানভীর বলেছেন:
৩| ২০ শে মে, ২০১৪ রাত ৩:০৭
সাদরিল বলেছেন: আপনার গল্পে মানবিক সম্পর্কগুলোর সাথে প্রযুক্তির একটি সাইড রোলের ইঙ্গিত থাকে। এর আগেও একটা সাইন্স ফিকশনে ছিলো। আপনার লেখার এই বৈশিষ্ট্যটি আমার বেশ পছন্দের
২০ শে মে, ২০১৪ রাত ১০:৪৩
অপু তানভীর বলেছেন: অনেক অনেক ধন্যবাদ
৪| ২০ শে মে, ২০১৪ রাত ৩:৩২
অঘটনঘটনপটীয়সী বলেছেন: সুইট গল্প।
২০ শে মে, ২০১৪ রাত ১০:৪৪
অপু তানভীর বলেছেন: থেঙ্কু
৫| ২০ শে মে, ২০১৪ সকাল ৮:৫১
মামুন রশিদ বলেছেন: খুব একটা জমলো না ।
২০ শে মে, ২০১৪ রাত ১০:৪৪
অপু তানভীর বলেছেন:
৬| ২০ শে মে, ২০১৪ সকাল ৯:১৩
বঙ্গভূমির রঙ্গমেলায় বলেছেন: ভাল
২০ শে মে, ২০১৪ রাত ১০:৪৫
অপু তানভীর বলেছেন:
৭| ২০ শে মে, ২০১৪ সন্ধ্যা ৭:২২
দ্বীন মুহাম্মদ সুমন বলেছেন: ভাই আপনি অনেক ভাল লিখেন। সবসময় লেখা চাই। আরও আরও সুন্দর লেখা চাই। আপনার লেখা অসম্ভব ভাল লাগে আমার। ভাল থাকবেন।
২০ শে মে, ২০১৪ রাত ১০:৪৬
অপু তানভীর বলেছেন: অনেক অনেক ধন্যবাদ
চেষ্টা করবো
৮| ২০ শে মে, ২০১৪ রাত ১১:১০
আকিব আরিয়ান বলেছেন: বাহ কতো মজা :#>
২০ শে মে, ২০১৪ রাত ১১:৪২
অপু তানভীর বলেছেন: হুম ! অনেক মজা
৯| ২১ শে মে, ২০১৪ রাত ৯:০৮
একজন ঘূণপোকা বলেছেন:
বাহ, বেশ গল্প তো!!
নষ্ট ভাইরে নষ্ট কইরা দিলেন
২১ শে মে, ২০১৪ রাত ১০:০৬
অপু তানভীর বলেছেন: হে হে হে
১০| ০১ লা জুন, ২০১৪ রাত ৮:১০
মৌমিতা আহমেদ মৌ বলেছেন: "বদ পুলা কোথাকার! " আহহারে, কতদিন কাউরে এমন সুইট কইরা বকি না!!!! ধুরু....
(অফটপিক: গল্প দুইটা হ্যাপি হ্যাপি হইছে!!!! ভালো লাগসে অনেক!!!! )
০১ লা জুন, ২০১৪ রাত ১০:৪৬
অপু তানভীর বলেছেন: থেঙ্কু
১১| ১৫ ই ফেব্রুয়ারি, ২০১৬ রাত ২:৫৯
দিয়া আলম বলেছেন: আপনি সত্যি একজন ভালো লেখক,এত সংক্ষেপে এত বড় একটা বিষয় তুলে ধরেছেন ভাবাই যায়না।
আচ্ছা আমি যদি একটা ঘটনা বলি আমাকে একটাা গল্প লিখে দিবেন? আমি পারিনা সাজাতে দৃশ্য গুলো।
তবে একটা ঘটনা আমি প্রায় ফেইস করি,আমার ভালো লাগা আর কষ্ট দুই মিশে একাকার।অনেক ট্রাই করেছি গোছাতে পারিনা দিবেন সাজিয়ে ?
১৫ ই ফেব্রুয়ারি, ২০১৬ রাত ৩:৩০
অপু তানভীর বলেছেন: অবশ্যই লিখবো । আমার কাজই তো গল্প লেখা ! বলে ফেলুন দেখি !
১২| ১৫ ই ফেব্রুয়ারি, ২০১৬ রাত ৩:৪৩
দিয়া আলম বলেছেন: আপনার ইমেইলটা এ্যাড্রেসটা দিবেন?
১৫ ই ফেব্রুয়ারি, ২০১৬ দুপুর ১:১৪
অপু তানভীর বলেছেন: [email protected]
১৩| ২৯ শে ফেব্রুয়ারি, ২০১৬ বিকাল ৪:২৬
মোঃ আব্দুল্লাহ আল গালিব বলেছেন: ডিজিটাল পীরিতি
২৬ শে মে, ২০১৬ রাত ২:২০
অপু তানভীর বলেছেন:
১৪| ২৯ শে ফেব্রুয়ারি, ২০১৬ বিকাল ৪:৪৬
ইয়েলো বলেছেন: প্যাটার্ন লক ভাল লেগেছে।পরের গল্পটা লুতুপুতু প্রেম
২৯ শে ফেব্রুয়ারি, ২০১৬ রাত ১১:৩৪
অপু তানভীর বলেছেন:
১৫| ২৫ শে মে, ২০১৬ বিকাল ৪:০৫
সিলা বলেছেন: hihi কিমজা
আবেগে কাইন্দালচি।
২৬ শে মে, ২০১৬ রাত ২:২০
অপু তানভীর বলেছেন:
©somewhere in net ltd.
১| ১৯ শে মে, ২০১৪ রাত ১০:৫৮
আপেক্ষিক বলেছেন: বাহ ভালই হয়েছে। সুন্দর লিখেছেন