নির্বাচিত পোস্ট | লগইন | রেজিস্ট্রেশন করুন | রিফ্রেস |
-ভাই সাহেব !
-জি !
-বাসায় যাচ্ছেন ?
-জি !
-আজকে তিন নাম্বার গলি দিয়ে যাবেন না প্লিজ !
লোকটা কিছুক্ষন আমার দিকে একভাবে তাকিয়ে রইলো । কিছু একটা বোঝার চেষ্টা করছে ! আমার চেয়ারায় একটা ভদ্র ভদ্র ভাব আছে, তা না হলে এই নিশ্চিত আমাকে পাগল, গাঁজাখোর কিংবা ছিনতাইকারী ভাবতো ! কিন্তু চেহারার কারনে হয়তো বলতে পারছে না ।
লোকটা বলল
-কেন ?
-যাইয়েন না !
-তাহলে কোন দিক দিয়ে যাবো ?
-দুই নাম্বার গলি ঘুরে যান !
লোকটা আমার দিকে তাকিয়ে খানিকটা বিরক্তি নিয়ে বললেন
-আপনি জানেন আমার বাড়ি কোথায় ? যদি দুই নাম্বার গলি ঘুরে যাই তাহলে আমার কতটুকু ঘুরে যেতে হবে আপনি জানেন ? আর আমি কেনই বা ঘুরেই যাবো ?
আমি কোন কথা বলতে পারি না । কিছু অবশ্য বলারও নাই । আর আমি যা বলতে চাই তা এই লোক বিশ্বাস করবে না ! কেউই বিশ্বাস করবে না । কেবল অবিশ্বাসের চোখে আমার দিকে তাকাবে অথবা আমাকে পাগল ভাববে ।
আমাকে কথা শুনে অনেকে অনেক রকম কথা বলে । কেউ রেগে যায় আবার কেউ বিরক্ত হয় ! কেউবা কিছু না বলে চলে যায় ! এসব শুনে আমি অভস্ত । কারো কথা ঠিক মনে রাখি না ! তবে একবার একজন আমাকে বেশ মজার একটা কথা বলেছিল ।
এইভাবেই একজনকে এক জায়গায় যেতে মানা করেছিলাম । সে কারন জানতে চাইলো, আমি কারন বললাম । সে কারন শোনার পরে আমর কাধে হাত দিয়ে খুব মোলায়েম কন্ঠে বলল
-বাবা তোমার নাম কি ?
-জি অপু !
-ভাল নাম কি ?
-তানভীর হাসান !
-তা বাবা কল্কে কি নিয়মিতই খাও নাকি গ্যাপ দিয়ে দিয়ে খাও ! এতো ছোট বয়সে এসব খাওয়া ঠিক না !
-কল্কে ?
-ও আচ্ছা ! তাহলে কি ডাইল ?
-আপনি কি বলছেন আমি ঠিক বুঝতে পারছি না !
লোকটা হাসতে হাসতে বলল
-শুনো আমি তোমার বাবা বয়সী এই সব ফাজলামো আমার সাথে করতে আইসো না !
আমি আর কিছু বলি নি । ওখানে থেকে চলে এসেছি । পরে ভেবে দেখেছি যে আসলেই লোকজন আমার সম্পর্কে এমন ধারনা করতেই পারে ! চিনি না জানি এমন একজনকে যদি বলি ভাই আপনি আজকে বাসে করে অফিস যাইয়েন না কিংবা আজকে রিক্সায় উঠবেন না লোকে কি ভাববে আমার সম্পর্কে !
যখন ছোট ছিলাম তখন খুব বলতাম । এখন অবশ্য আর বলি না !
কি হবে বলে ?
সারা দিনে কত মানুষই তো মারা যায় কিংবা দুর্ঘটনার শিকার হয় ! আমার বলা বা না বলায় কি যায় আসে !
আমি আস্তে আস্তে নিজের পথে রওনা দিলাম । জানি লোকটা আমার কথা শুনবে না ! তিন নম্বার গলি দিয়েই যাবে ! ঠিক লাল বাড়িটা পার হবার পরেই একটা নির্মাধীন বাড়ি ! মিস্ত্রীরা সেখানে কাজ করছে ! নিচ দিয়ে কে যায় না যায় সেদিকে তাদের কোন লক্ষ্য নাই । লোক টা যখন ঐ বাড়ির সামনে দিয়ে যাবে তখনই সেই বাড়িতে কাজ করা এক রাজমিস্ত্রীর হাত থেকে একটা ইট খসে পড়বে । আর পড়বি ত পড় একেবারে লোকটার মাথার উপরে !!
এই পর্যন্তই আমি জানি ! এর পর লোকটা বাঁচবে নাকি মারা যাবে আমি জানি না !!
অনেক মুভি কিংবা নাটকে দেখেছি যে নায়ক বা নায়িকা ভবিষ্যৎ দেখতে পারে ! অনেক আগে থেকেই বলে দিতে পারে সামনে কি হতে যাচ্ছে !
ঠিক কবে প্রথম আমি এমন ঘটনা দেখতে শুরু করি আমার ঠিক মনে নেই ! তবে প্রথম যেদিন যেদিন লক্ষ্য করেছি বিষয় সে দিন আমার প্রাইভেট স্যারের কাছে অংক পরীক্ষা ছিল ! তখন পড়ি ক্লাস এইটে !
আমি সাইকেলে করে স্যারের কাছে যাচ্ছি ! তখনই সামনে দিয়ে সাইকেলে করে আরেক লোককে আসতে দেখলাম ! লোকটার চেহারা দিকে তাকিয়েই আমার চট করে কিছু মনে পড়ে গেল ! লোকটার একটা ইয়া বড় মোচ রয়েছে ! আর কপালের কাছে একটা বিরাট আকারের তিল ! এই জন্যই আমার লোকটার চেহারটা মনে আছে !
ঠিক তার দুই দিন আগের কথা । দুপুর বেলার খাওয়ার পরে বিছানায় গা এলিয়া শুয়েছি তখনই দৃশ্যটা আমার চোখের সামনে ভেসে উঠলো !
আমি সাইকেল চালিয়ে যাচ্ছি একটা বিরাট মোচওয়ালা লোকে উল্টো দিক থেকে আসছে ! আরো কাছে আসতেই আমি লোকটার বড় কালো তিল টা দেখতে পেলাম !
আরো কিছুক্ষন পরে হঠাৎই পিছন থেকে কিছু একটা ক্রাসের আওয়াজ পেলাম ! যেন ভারী কোন যানবাহনের ব্রেক করার আওয়াজ ! তার পরপরই চিৎকারের আওয়াজ ! পেছনে তাকিয়ে দেখি একটা ট্রাক দাড়িয়ে আছে রাস্তার উপরে ! তার সামনে কিছু একটা পড়ে আছে !
কাছে গিয়ে দেখি সেই বিরাট মোচ ওয়ালা লোকটা !
আমার বুকের মাধ্যে হঠাৎ করেই কেমন করে লাফাতে শুরু করলো ! আমি জানি কি হতে চলেছে !
আমি সাইলে ঘুড়িয়ে লোকটার দিকে তাকিয়ে রইলাম ! দেখার অপেক্ষায় কি ঘটে !
আমার চোখের সামনেই ঘটে গেল গত দুদিন আগের ঘটে যাওয়ার ঘটনা টা ! আমি এই কথা আর কাউকে বললাম না । বললে কেউ বিশ্বাসও করতো না !
তারপর থেকে আমি এই ব্যাপার টা লক্ষ্য করতে শুরু করি আমি যা দেখি তা ঘটে ! এমন একটা ভাবে দেখি যেন আমি স্বপ্ন দেখছি ! দেখার পরপরই যে ঘটে এমন কোন ব্যাপার না ! একদিন দুইদিন কিংবা এক সপ্তাহ পরেও ঘটনা ঘটে । এবং একটা বিষয় সব কিছুর ভিতর কমন যে সব কিছু ঘটে বা যে ব্যাক্তির সাথে ঘটবে সেই ব্যাক্তির সাথে আমার ঠিকই দেখা হবে ! তবে আমার সামনেই যেই ঘটবে সেটা নয় । অনেক ঘটনা আমার সামনে ঘটে আবার আমার সাথে তার দেখা হওয়ার পরে তা ঘটে ! ব্যাপার টা নিশ্চিত হওয়ার জন্য আমি পরে বেশ কিছু জনের কাছ থেকে খোজ নিয়েছি !
পরে জেনেছি আসলেই তেমন কিছু হয়েছিল !
-----
-স্যার আপনি এতো দেরি কেন করলেন ?
-দেরি ?
আমি ঘড়ির দিকে তাকিয়ে দেখি সাতটার কিছু বেশি বাজে । নাবিলার এখানে আমার আসার কথা সন্ধ্যা সাতটার সময় ! খুব বেশি তো দেরি হয় নাই । আমি বললাম
-খুব কি বেশি দেরি হয়েছে ?
নাবিলা মুখ ভার করে বলল
-জি অনেক দেরি হয়েছে ! আপনার জন্য আমি সেই বিকেল থেকে বসে আছি !
-কিন্তু আমার আসার কথা তো সন্ধ্যা বেলা । তুমি বিকেল থেকে কেন অপেক্ষা করছো ?
-স্যার আপনি কিচ্ছু বোঝেন না !
নাবিলা আমার সামনে থেকে উঠে চলে গেল । খানিকটা অভিমান নিয়ে যেন ! মেয়েটা ইদানিং কি শুরু করেছে ! যাওয়ার আগে বলল
-আজকে আমি আপনার কাছে পড়বো না !
আমি কিছুক্ষন বসে রইলাম বসার ঘরে । কি করবো ঠিক বুঝতে পারছি না ! নাবিলা যখন বলেছে পড়বে না তখন মনে হয় পড়বেই না ! এখানে আর অপেক্ষা করার মানে হয় না ! চলে যাওয়াই ভাল !
আমি উঠতে যাবো ঠিক এই সময় নাবিলা আবার এসে হাজির ! আমি ওর দিকে তাকিয়ে একটু অবাকই হলাম । কতটা সময় ও ঘরের ভেতরে গেছে ঠিক বলতে পারবো না তবে এর ভিতরে পোষাক বদলেছে ! চোখে কাজল দিয়েছে !
আমার দিকে তাকিয়ে বলল
-আপনি চলে যাচ্ছেন ?
-হুম ! তুমি বললে না যে পড়বা না ।
-পড়ব না বলেছি । আপনাকে চলে তো যেতে বলি নি ! আর তাছাড়া আম্মু আপনাকে রাতে খেয়ে যেতে বলেছে । আব্বু আসবে তারপর যাবেন ! এখন আমার সাথে আমাদের ছাদে চলেন !
-ছাদে ? কেন ?
-আহা ! আপনি সব সময় আমার সাথে মাস্টারি ফলাবেন নাতো স্যার । সব কিছু তে কেন প্রশ্ন কেন করেন ? আপনার সাথে কথা বলে মনে হয় আমি পরীক্ষা দিচ্ছি !
সর্বনাশ !
যে ভয়টা মি করতেছিলাম সেটাই তাহলে হচ্ছে ?
না !
আসলে কদিন আগেই আমি নাবিলাকে আমার বউ হিসাবে দেখেছি ! যেদিন প্রথম দেখি সেদিন অবশ্য ভালই লাগছি । বিশেষ করে নাবিলার মত একটা মেয়েকে নিজের বউ হিসাবে পাওয়াটা একেবারে খারাপ কিছু না !
নাবিলা দেখতে সুন্দর ! স্মার্ট, পড়াশুনায় ভাল ! এক বাপের এক মেয়ে ! সব দিক দিয়ে পার্ফেক্ট !
সেদিন রাতের খাওয়ার পর আমি একটা পিসিতে বসেছি এমন সময় মাথাটা ঘুরে উঠল । প্রথমেই চারিদিকে কেমন ধোঁয়াসা হয়ে উঠলো ! কিছু একটা দেখলাম তারপর যেমন টি হয় আমি ধুপ করে দৃশ্যের ভিতরে চলে গেলাম !
আমাদের গ্রামের বাড়ি ! আমি আমার নিজের রুমে ঢুকতে যাচ্ছি ! আমার পরনে শেরওয়ানী, মাথায় টোপর ! বুঝতে বাকি রইলো না যে আজকে আমার বিয়ে হয়ে গেছে । কিন্তু কার সাথে ?
দরজার ওপাশে গেলেই হয়ত প্রশ্নটার উত্তর পাওয়া যাবে । আমি দরজার দিকে পা বারালাম ! দরজা দিয়ে ঢুকার আগে দেখলাম নিলু বের হয়ে গেল । ওর বের হওয়ার গতি দেখে বুঝলাম যে কিছু একটা হয়েছে ! মুখটার দিকে তাকিয়ে মনে হল খুব কষ্টে কান্না আটকেছে !
কি হল আবার !
আমি দরজা দিয়ে ঢুকতেই খাটের দিকে চোখ গেল ! নাবিলা বসে আছে ! আমি ঢুকতেই বলল
-তোমাদের বাসায় এসি নাই ?
-না তো !
-আরে আগে বলবা না ? আমি এতো গরমের ভিতর থাকতে পারবো না ! আর হুট হাট করে কাউকে ঘরে ঢুকতে মানা করবা ! এটা আমার ঠিক পছন্দ না !
আমি বুঝতে পারলাম নাবিলা আমার ছোট বোনটার কথা বলছে । আমি খানিকটা লজ্জিত ভাব নিয়ে তাকিয়ে রইলাম নাবিলার দিকে । ঠিক বুঝতে পারছি না ঠিক কি হচ্ছে ! তবে এটা বুঝতে পারছি যে নাবিলার সাথে আমার বিয়ে হয়েছে ! এবং আমরা এখন আমাদের বাসর ঘরে !
-শুনো ! ফ্যান টা আরেকটু বাড়িয়ে দাও তো ?
আমি ফ্যানের দিকে তাকিয়ে দেখি ফুল স্পীডে চলছে !
-এর থেকে জোরে তো আর চলবে না !
নাবিলার চেহারায় এক ধরনের হতাশা ফুটে উঠলো । সঙ্গে সঙ্গে একটু বিরক্তি ভাবও ফুটে উঠলো ! ও যেন ঠিক মেনে নিতে পারছে না এটা !
-শুনো আমরা এখানে আর থাকবো না ! আমি কালকেই ঢাকা চলে যেতে চাই !
এই পর্যন্তই ! তারপরে আমি আবার বাস্তবে ফিরে আসি ! সব কিছু আবার যেন স্বাভাবিক ! তারপর থেকেই আমার নাবিলার দিকে তাকাতে বেশ অস্বস্থি লাগতো ! এবং আমি একটা জিনিস আবিস্কার করি যে নাবিলার দৃষ্টি কেমন যেন ঘোলাটে ! আমার বুঝতে একটুও বাকি রইলো না যে আমার ভবিষ্যৎ দর্শন সত্যি হতে যাচ্ছি !
-------
-স্যার দেখেন চাঁদ !
-হুম ! চাঁদ !
-উহু ! আপনি আসলেই একটা ..........
নাবিলা কথা শেষ করলো না ! আমি বললাম
-কি ? আমি কি ?
-না ! কিছু না !
আমি নাবিলার দিকে তাকিয়ে দেখি নাবিলা ঠিক সেই ঘোলা দৃষ্টিতে আমার দিকে তাকিয়ে আছে !
আমার মনে হয় একটু খুশি হওয়া দরকার ! কিন্তু কেন জানি আমি খুশি হতে পারছি না ! কারন এর পরেও আর কয়েকটা দৃশ্য আমি দেখতে পেয়েছি । যেখানে আমার বিবাহিত জীবনের বেশ কিছু দুর্বিসহ কিছু দৃশ্য দেখেছি ।
আমি ঠিক বুঝতে পারছি না কি করবো !
-স্যার !
-হুম !
-কি ভাবেন ?
-কিছু না !
-কিছু তো একটা ভাবছেনই ! বলেন কি ভাবছেন ? বলেন কিন্তু !
-আরে তুমি এমন কেন করছো ? এমন কিছু না !
-বলেন না প্লিজ ! আমার শুনতে ইচ্ছে করছে ! আপানর সব কিছু আমার শুনতে ইচ্ছে করে !
শেষের কথাটা কেমন যেন শোনালো ! আমি অন্য দিকে তাকিয়ে রইলাম কিছুক্ষন !
সন্ধ্যার আকাশটা আজকে বেশ চমৎকার ! এত্তো বড় একটা চাঁদ উঠেছে ! আমি চাদের দিকে তাকিয়ে রইলাম । এমন কত চাঁদের দিকে তাকিয়ে থেকেছি একা একা ! মনে হয়েছে এমন কোন একটা দিন নিশ্চই আসবে যেদিন আমি চাঁদের দিকে আমাকে একা একা থাকতে হবে না ! আমার পাশে চাঁদ দেখার মত আরও কেউ থাকবে !
আজকে অবশ্য আছে কিন্তু আমার সেদিকে কোন লক্ষ্য নাই ! লক্ষ্য দিতে মন চাইছেও না !
-------
-কি রান্না ভাল হয় নি ?
-না না ! রান্না ভাল হয়েছে !
-তাহলে খাচ্ছ না কেন ?
-না আসলে আমি কম খাই একটু !
আমার আসলে নাবিলার বাবা মার সামনে খেতে একটু অস্বস্তি লাগছিল ! সেই ক্লাস এইট থেকে আমি বাইরে থাকি । বলতে গেলে সব সময় একা একা খেয়ে অভ্যাস ! কেউ আদর করে সামনে বসিয়ে খেতে দিলে একটু অস্বস্থি লাগে !
নাবিলার বাবা আমার দিকে তাকিয়ে একটু হাসি মুখে বলল
-তুমি মনে হয় একটু লজ্জা পাচ্ছ আমাদের সামনে খেতে ? তাই না ?
আমি কথার জবাব না দিয়ে একটু ইতস্তঃ করে খেতে লাগলাম ।
হ্ঠাৎ নাবিলার বাবা বলল
-তোমার পড়া লেখা তো শেষ নাকি ?
-জি ! শেষ !
-সামনে কি করবে ভাবছো ?
-জি ! রেজাল্ট টা আগে বের হোক ! তারপর দেখা যাক !
আমার অস্বস্তি আরও খানিকটা বেড়ে গেল । আমি জানি সামনে কি কথা হতে যাচ্ছে । এই রকমই একটা দৃশ্য আমি কয়েকদিন আগে দেখেছি ।
নাবিলার বাবা বলল
-দেখো ঘুরিয়ে পেচিয়ে কথা ঠিক বলতে পারি না আমি । যা বলার সরাসরি বলি ! যদিও কথা গুলো তোমার বাবা মার সাথেই বলার দরকার ছিল তবে আমার মনে হয়েছে আগে তোমার সাথেই কথা বলে নেওয়া ভাল !
আমার খাওয়া বন্ধ হয়ে গেল !
আমি জানি এর পরে নাবিলার আব্বা কি কথা বলবে তবুও আমি চুপ করেই রইলাম । আমি কিছু বলতে চাই না আরো ভাল করে বল গেলে আমি কিছু বলতে পারি না । সামনের একটা চমৎকার ভবিষ্যৎ আমার জন্য অপেক্ষা করছে সাথে অশান্তিময় একটা পারিবারিক জীবন । আমি ইচ্ছা করলে এ দুটোকেই প্রত্যাখান করতে পারি আর বেছে নিতে পারি একটা অনিশ্চিত অথচ শান্তিময় একটা জীবন । কিন্তু পারবো কি ?
নাবিলার আব্বা বলল
-দেখো তোমাকে আমরা দুজনই পছন্দ করি । আমি আর নাবিলার মাও । আর সব থেকে বড় কথা আমাদের নাবিলাও তোমাকে অনেক পছন্দ করে !
আমি চুপ করে থাকি ! সব কিছু বুঝতে পারলেও আমি কোন কিছু বলতে পারি না । এখনও ঠিক মত সিদ্ধান্ত নিতে পারি না আমি করবো ? সব কিছু কি মেনে নিবো ? যা হচ্ছে তার সাথে এগিয়ে যাবো ?
নাবিলার বাবা অঢেল সম্পত্তির মালিক হয়ে যাবে সাথে সাথে বড়লোক বাপের একজন আজ্ঞা বহ হয়ে যাবো ?
-------
-কি ব্যাপার ? তুমি বসে পড়লে কেন ?
সবে মাত্র অফিস থেকে এসেছি ! শরীর টা বেশ ক্লান্ত । নাবিলা এতোক্ষন রুমে ছিল না । আমি কাপড় না ছেড়েই খাটের উপর বসে একটু গা এলিয়ে দিলাম । কালকে মা আর নিলু গ্রামের বাসায় চলে গেছে । আরো ভাল করে বলতে হয় মা চলে যেতে বাধ্য হয়েছে । চলে যেতে বাধ্য হয়েছে নাবিলার জন্য !
নাবিলার রাত করে বাসায় ফেরাটা কিছুতেই মার পছন্দ ছিল না । সেই কথাটাই মা তাকে বলতে গিয়েছিল । কিন্তু ফলাফল খুব বেশি ভাল হয় নি !
আমি কিছুই বলতে পারি নি । চোখের সামনে এখনও দৃশ্যটা ভাসছে !
বিয়ের এই ছয় মাসের মাথাই আমার কাছে যেন জীবনটা কেমন একটা দুর্বিষহ হয়ে উঠেছে । বারবার মনে হচ্ছে সব কিছু ছেড়ে ছুড়ে কোথাও চলে যাই ! কিন্তু পারি না ।
-কি ব্যাপার ? বসে পড়লে কেন ?
তাকিয়ে দেখি নাবিলা একদম রেডি হয়ে আছে । কোথাও যাবে মনে হচ্ছে !
আমি বললাম
-কেন ?
-আর ভুলে গেলে চলবে ? কালকে বললাম না ?
-দেখো আমার এখন কোথাও যেতে ইচ্ছা করছে না ।
-না ! এই কথা বললে হবে না । আমাদের সব বান্ধবীদের হাসবেন্ডরা ওখানে আসবে এমন বললে তো হবে না ।
-আমার ভাল লাগছে না !
একটু উচু গলায়ই বললাম কথাটা !
-এই খবরদার চিৎকার করবে না !
গত সোমবার এমন কিছু দেখেছি ! এই রকম আরও বিশ পঁচিশটা দৃশ্য আমার চোখের সামনে ভেসে উঠেছে । আস্তে আস্তে অনুভব করতে পেরেছি নাবিলাকে বিয়ে করলে কি পরিমান অশান্তিময় জীবন আমাকে অতিবাহিত করতে হবে। কিন্তু সাথে সাথে একটা সুনিশ্চিত আর্থিক নিশ্চয়তাও আমি পেয়ে যাবো । সারা জীবন যেমন যেমন জীবনের স্বপ্ন দেখেছি, একজন নিন্ম মধ্যবিত্ত পরিবারের ছেলে যেমন টা স্বপ্ন দেখে সেই স্বপ্নটা হয়তো পূরন হবে । কিন্তু আমার নিজের জীবন টা ?
আমি কোন সিদ্ধান্ত নিতে পারি নি ।
নাবিলার বাবা যখন আমাকে তা মেয়ের সাথে বিয়ের কথা বলছিলেন আমি তখন কিছু বলতে পারি নি ! কেবল বলে এসেছি আমাকে একটু ভাবতে দিন !
-------
নিজের ঘরের সামনে দাড়িয়ে ! আজকে বিকেল বেলায় নাবিলার সাথে আমার বিয়ে হয়েছে । পারিবারিক ভাবেই । সামনের জীবনের কথা গুলো জেনেও আমি কিছুতেই এই প্রস্তাব থেকে নিজেকে বিরত রাখতে পারি নি । মা কিংবা ছোট বোনটারও কোন রকম আপত্তি ছিল না ! ঐ দিন বাসায় আসার পরে নাবিলা আমাকে একটা মেসেজ পাঠিয়ে ছিল । একটা মাত্র লাইন লেখা !
"আপনি যদি আমাকে বিয়ে না করেন, আমি মরে যাবো"
ব্যাস এই টুকুই ! নাবিলার এই ম্যাসেজ টুকুই এই বিয়ের ব্যাপারের সিদ্ধান্তটা যেন আরো তরান্বিত করেছে ! জানি সামনে কি অপেক্ষা করছে আমার জন্য তবুও আমি এগিয়ে গেছি ! যদি এটাই আমার কপালে লেখা থাকে তাহলে এটাই সই !
আমি ঘরের দরজা ঠেলে ভিতরে ঢুকলাম ! একটু যেন অবাক লাগলো ! এখনই নিলুর বের হয়ে যাওয়ার কথা ! কিন্তু নিলু বের হলনা ।
কি ব্যাপার ?
এম তো হওয়ার কথা না ! আরো কয়েক ধাপ এগিয়ে গিয়ে ঘরের ভিতর যখন প্রবেশ করলাম তখন খানিকটা অবাকই হতে হল ! নাবিলার সাথে নিলু বসে আছে । ভাবী ননদ মিলে হাসাহাসি করছে ।
আশ্চর্য !
এমন তো হওয়ার কথা না ! এমন টা কোন দিন হয় নি !
আমাকে দুজন দেখলো ! নিলু হাসতে হাসতে বলল
-ভাইয়া তুই এতো তাড়াতারি কেন আসলি ? বউয়ের সাথে দেখা করার জন্য এতো তাড়াহুড়া !
আমার মাথায় কিছু ঢুকছে না ! এমন তো হওয়ার কথা না ! এমন কিছুতেই হওয়ার কথা না । নিলুর তো সাথে এই রাতেই নাবিলার কিছু একটা মন কষাকষি হওয়ার কথা ! নিলু না বলে মনে হয় ঘরে ঢুকার ফলে নাবিলার কিছু বলার কথা যা শুনে নিলু ঘরের বাইরে চলে যাবে । কিন্তু এখানে দুই জন মিলে হাসাহাসিতে ব্যস্ত !
নিলু তারপর বলল
-আচ্ছা ভাবি তোমার জামাইয়ের মনে হচ্ছে আর তর সইছে না । আমি যাই । জামাই বউ মিলে গল্প কর ! পারো তো আরও কিছু কইরো !
-যাহ ! শয়তান !
নাবিলা নিলুর দিকে তেড়ে এল হাসতে হাসতে !
নিলু বলল
-হয়েছে । তোমার অবস্থাও আমি বেশ বুঝতে পারছি ! যাও আমিই যাই ! সকালে তোমার খবর নিবো ! আর আমার ভাইটাকে দেখে রেখো কিন্তু !
নিলু হাসতে হাসতে হাসতেই রুম থেকে চলে গেল ! আমি ওর চলে যাওয়া দেখলাম ! এখনও আমার ঠিক মত বিশ্বাস হচ্ছে না । এটা কি আসলেই হচ্ছে । একটু একটু ঘামছি যেন । উপরে তাকিয়ে দেখি ফুল স্পীডেই ফ্যানটা ঘুরছে ! এতো গরম লাগছে কেন ?
নাবিলার গরম লাগছে না তো ! আমি এরকম আরো সাতপাঁচ ভাবতে থাকি !
আমাকে দাড়িয়ে থাকতে দেখে নাবিলা একটু গলা খায়েরী দিল ।
-দাড়িয়েই থাকা থাকা হবে নাকি বসাও হবে ?
আমি নাবিলার দিকে ফিরলাম ! আমার দিকে তাকিয়ে আছে এক অদ্ভুদ চোখে ।
আমি এসে বসলাম খাটের উপর । নাবিলার চোখের অদ্ভুদ নেশা যেন আমার লাগা শুরু করলো !!
আশ্চার্য ! এমন তো হবার কথা না ! কিছুতেই হবার কথা !
নাবিলা বলল
-দেখো প্রথম বাক্য ভাববাচ্যে বলেছি ! কিন্তু আমি কিন্তু তোমাকে আপনি করে বলতে পারবো না ।
আমি কিছু বলতে পারলাম না ! নাবিলার দিকে তাকিয়েই রইলাম কেবল ! তাহলে কি আমার সাথে অন্য কিছু ঘটতে চলেছে ! যা দেখেছি সে রকম কিছু না !
পরিশিষ্টঃ বিয়ের পর থেকে আমার সেই ভবিষ্যত দর্শনের ক্ষমতাটা নষ্ট হয়ে গেছে । আর কিছু দেখি নি কোন দিন । আর সাথে সাথে নাবিলার সাথে যেই ঘটনা গুলো দেখেছি সেগুলোর কোনটাই সত্য হয় নি !
কেবল একটা ছাড়া !
কোন টা ?
সেটা তো বলা যাবে না !
০৬ ই জানুয়ারি, ২০১৪ রাত ১১:৩০
অপু তানভীর বলেছেন: কল্কে !!!!!
এই জিনিস জীবনেও খাই নাই তবে একবার খাওনের ইচ্ছা আছে
২| ০৬ ই জানুয়ারি, ২০১৪ রাত ১১:৩৩
নিরপেক্ষ মানুষ বলেছেন: ভালু লিখিছেন মিয়া। বাস্তবে যদি এইরকম অবস্থায় কেউ পড়ে থাকে তাহলে সে বেশিদিন বাঁচবে বলেই আমার মনেহয়।এরপর কি হতে যাচ্ছে তা জেনেও কিছু করতে না পারার মানসিক যন্ত্রণায় সে নিজেই নিজেকে হত্যা করবে..
০৬ ই জানুয়ারি, ২০১৪ রাত ১১:৩৯
অপু তানভীর বলেছেন: কথা সত্য ! আসলেই সামনে কি হতে চলেছে এমন কিছু যদি আগে থেকেই মানুষ বুঝে ফেলে তাহলে জীবন যন্ত্রনাময় হয়ে উঠে !! এমন অবস্থায় আসলেই মানুষের জন্য জীবন ধারন করা কঠিন হয়ে উঠে !
ধন্যবাদ !!
৩| ০৭ ই জানুয়ারি, ২০১৪ রাত ১:১৮
সুমন কর বলেছেন: গল্প ভালই লাগল। আমিও ভেবেছিলাম এই ধরনের একটা পল্ট। ইংরেজী মুভি next এর মতো। নিকোলাস ২ মিনিট আগে কি ঘটে দেখতে পারতো। দিলেন তো আগে লিখে! তবে আমি এত সুন্দর করে লিখতে পারি না। ভালো থাকবেন।
০৭ ই জানুয়ারি, ২০১৪ রাত ১:২৭
অপু তানভীর বলেছেন: আরে কোন সমস্যা নাই ! আপনিও লিখে ফেলেন !
নেক্স মুভিটা আমিও দেখেছি ! দারুন একটা মুভি !
আপনিও ভাল থাকবেন !
৪| ০৭ ই জানুয়ারি, ২০১৪ সকাল ১০:১২
লাইলী আরজুমান খানম লায়লা বলেছেন: ভাল লাগলো সহজ সরল সাবলীল গল্প,,,,,,,,,,,,,,,,
০৭ ই জানুয়ারি, ২০১৪ রাত ৯:৪৪
অপু তানভীর বলেছেন: ধন্যবাদ
৫| ০৭ ই জানুয়ারি, ২০১৪ দুপুর ১২:৫৬
ইখতামিন বলেছেন:
দারুণ
০৭ ই জানুয়ারি, ২০১৪ রাত ৯:৪৪
অপু তানভীর বলেছেন: থেঙ্কু
৬| ০৭ ই জানুয়ারি, ২০১৪ দুপুর ১:০৪
সেলিম আনোয়ার বলেছেন: কিছুটা পড়েছি।ভাললেগেছে। বাকী অংশ সময় করে পড়বো।
আমি ছোট বেলায় দাদার খানদানী হুক্কায় টান দিয়েছিলাম।সবাই খুব ভয় পেয়েছিল উনি কারো মুখে দেয়া জিনিস রাখতেন না । বাবা খুব রাগকরলেন অবশ্য ভয়ও পেয়েছেন। দাদা কিন্তু ব্যতিক্রম ঘটিয়ে সেটা ফেলে দেননি। আমাকে কোলে নিয়ে আর সেটিতে মুখ দিতে না করেছিলেন।তবে সেটি অন্য কারণ।হুক্কা স্বাস্থ্যের জন্য ক্ষতিকর। আর আমি ছোডো। তখন আমার বয়স মোটে সাত। দাদার আরামচে খানদানি হুক্কা টানা দেখে লোভ সামলাতে পারিনি।
আপনার কল্কে টানার কথায় আমার হুক্কা টানার কথা মনে পড়লো।
০৭ ই জানুয়ারি, ২০১৪ রাত ৯:৪৫
অপু তানভীর বলেছেন: বাকীটা পড়ে দেখেন কেমন লাগে !
আর সত্যি একবার কল্কে টানার ইচ্ছা আছে ! অভিজ্ঞতা কেমন দেখতে চাই
৭| ০৭ ই জানুয়ারি, ২০১৪ বিকাল ৩:৩৯
বটবৃক্ষ~ বলেছেন:
দারুন লেগেছে!!!!!!
০৭ ই জানুয়ারি, ২০১৪ রাত ৯:৪৫
অপু তানভীর বলেছেন:
৮| ০৭ ই জানুয়ারি, ২০১৪ বিকাল ৪:১৯
বটবৃক্ষ~ বলেছেন:
ঠিক পুরনো গল্পগুলোর মতো!!!
এমনি চাই!বেশি বেশি!!!!!
০৭ ই জানুয়ারি, ২০১৪ রাত ৯:৪৬
অপু তানভীর বলেছেন: এমন গল্প লিখতে সময় লাগে । জানো না কয় দিন ধরে এই গল্প লিখতে হয়েছে ।
এমন গল্প বেশি বেশি লিখতে পারুম না !
৯| ০৭ ই জানুয়ারি, ২০১৪ বিকাল ৪:৩১
অপর্ণা মম্ময় বলেছেন: খারাপ কিছু দেখে সেটা সত্যি হবার সম্ভাবনা থাকলে সেই ভবিষ্যৎদর্শন ক্ষমতা নষ্ট হয়ে যাওয়া খারাপ কিছু না।
প্রথমটুকু মনে হয় ফেবুতে দিছিলা, না?
ভালো থাইকো ভাইগ্না
০৭ ই জানুয়ারি, ২০১৪ রাত ৯:৪৭
অপু তানভীর বলেছেন: কথা সত্য ! আসলেই খারাপ কিছু আগে থেকে দেখে ফেলা টা যন্ত্রনাদায়ক ! এই ক্ষমতা না থাকাই ভাল !!
হুম ! ফেসবুকে কয়েকদিন আগে প্রথম একটু দিয়েছিলাম !
আপনেও ভাল থাকেন আন্টি !
১০| ০৭ ই জানুয়ারি, ২০১৪ বিকাল ৪:৪৫
সকাল রয় বলেছেন:
গল্প গল্প।
পড়লাম। ভালো লাগলো।
০৭ ই জানুয়ারি, ২০১৪ রাত ৯:৪৮
অপু তানভীর বলেছেন: ধন্যবাদ ! ধন্যবাদ !!
আরো পড়বেন !
১১| ০৭ ই জানুয়ারি, ২০১৪ বিকাল ৫:০২
মৌমিতা আহমেদ মৌ বলেছেন: ভাই সাহেব ইদানীং অলৌকিক সব গল্প লিখছেন। ভালো। চালাইতে থাকেন। আর আমি তো আছিই পড়ার জন্যে।
০৭ ই জানুয়ারি, ২০১৪ রাত ৯:৪৯
অপু তানভীর বলেছেন: আর কোন কাম তো নাই ! সামনের শুক্রবারে ভুত এফএম নিয়ে একটা গল্প দিবো । সেইটা পইড়েন !
১২| ০৭ ই জানুয়ারি, ২০১৪ বিকাল ৫:৩৪
নিয়ামুল ইসলাম বলেছেন: ভাই জা বলা যাবেনা তা নিজ গুনে বুঝে নিলাম :!> :!>
০৭ ই জানুয়ারি, ২০১৪ রাত ৯:৪৯
অপু তানভীর বলেছেন: এই কথা বুঝেই নিতে হয় । মুখে বলা যায় না !
১৩| ০৭ ই জানুয়ারি, ২০১৪ সন্ধ্যা ৭:১৪
অপ্রচলিত বলেছেন: ধুর মিয়া, আপনি পারেনও ভাই। ভাবছিলাম একটা জম্পেশ হরর/থ্রিলার পড়বো
দিলেন তো এইখানেও প্রেম ভালোবাসা ঢুকায়ে অপু তানভীর বইলা কথা
তবে গল্প ভালো লাগলো। খুব সুন্দর লিখেছেন। ভালো থাকুন সর্বদা।
০৭ ই জানুয়ারি, ২০১৪ রাত ৯:৫০
অপু তানভীর বলেছেন: এই কুনো কথা নহে ! অপু তানভীরের গল্প হবে আর সেখানে প্রেম ভালবাসা আসিবে না এইটা তো হইতে পারে না !
তাই না ?
ধন্যবাদ ! আপনিও ভাল থাকবেন !
১৪| ০৮ ই জানুয়ারি, ২০১৪ রাত ২:০৩
শায়মা বলেছেন: সুন্দর!!!!
এই জন্য বেশি বেশি ভাবা ভালো না।
০৮ ই জানুয়ারি, ২০১৪ রাত ২:০৯
অপু তানভীর বলেছেন: আমার তো ভাবাভাবি ছাড়া আর কিছু করি আপু !!
১৫| ০৮ ই জানুয়ারি, ২০১৪ রাত ২:১২
শায়মা বলেছেন: হুম সেটাও ঠিক।
কথায় আছে ভাবিয়া করিও কাজ, করিয়া ভাবিও না......
তাই বলে বেশী ভাবলে সিজোফ্রেনিয়া হবে যাবে।
০৮ ই জানুয়ারি, ২০১৪ রাত ৩:০০
অপু তানভীর বলেছেন: সিজোফ্রেনিয়া !!
হেহেহেহেহে !!
একদিন দেখবা তাই হয়ে গেছি !
হিহিহিহিহিহি !!
১৬| ০৮ ই জানুয়ারি, ২০১৪ রাত ৩:১০
শায়মা বলেছেন: হা হা দেখা যাবে সিজোফ্রেনিয়া হয়ে হেলুসিনেশন দেখছো সব সম্ভাব্য প্রেমিকারা ঘুরাঘুরি করছে চারিদিকে।
০৮ ই জানুয়ারি, ২০১৪ ভোর ৪:২৫
অপু তানভীর বলেছেন: সম্ভাব্য প্রেমিকারা ঘুরাঘুরি করার জন্য সিজোফ্রেনিয়া হওয়ার কোন দরকার নাই । তারা এমনিতেই ঘুরাঘুরি করে সব সময়
১৭| ০৮ ই জানুয়ারি, ২০১৪ সন্ধ্যা ৬:২৫
মামুনূর রহমান বলেছেন: জীবনে বহুবার কল্কে টানা দেখেছি। ইনফ্যাক্ট, আমার রুমমেটও বিরাট খোর ছিল। রুমেও মাঝে মাঝে টান দিত। টানও সেইরকম টান। ঘ্রাণ অটোমেটিকালি নাক দিয়ে ঢুকে যেত বলে আলাদাভাবে টান দেবার বাসনা জাগেনি। তবে গল্পটা কিন্তু এক টানেই পড়লাম। ব্যাচেলর মানুষ, ভালোবাসার গল্প এমনিতেই ভালো লাগে, তার উপর আবার লিখছেন আপনি। বুকের ব্যাথাটা বাড়তে শুরু করছে।
০৮ ই জানুয়ারি, ২০১৪ সন্ধ্যা ৬:৩৮
অপু তানভীর বলেছেন: আমি তো শুনেছি কল্কে টানলে নাকি অন্য রকম একটা অনুভুতি হয় ! সত্যি নাকি ?
যাক আপনার ভাল লাগলো জেনে ভাল লাগলো ! আপনার জন্য আরও কয়েকটা ভালবাসার গল্প !
Click This Link
১৮| ০৮ ই জানুয়ারি, ২০১৪ সন্ধ্যা ৬:৫৫
বিদ্রোহী ভৃগু বলেছেন: আয় হায়..
আপনে আমার কাহিনী কেমনে লিখলেন?
হঠাৎ দেখি এক ঘাসে ঢাকা কুয়া... পাশে শীতের মতো চাদর পড়া লোক.. হঠাদ চাকু বের করে মারতে আসছে...
আগামাথা কিছুই বুঝিনি...কিছুদিন পর এক জায়গায় বেড়াতে গিয়ে হঠাৎ বিরোধ.....রাগ করে হেটে যাচ্ছি.. ঘন ঘাস--এর মাঝে দেখি হঠাৎ ছোট এক কূয়া মূখ.. দেখে মনে পড়তে না পড়তেই পরের দৃশ্য গুলো খেলে গেল... হ্যা.. কয়েক সেকেন্ড মাত্র....(পরে অবশ্য মুরুব্বিদের মধ্যস্থতায় নিরাপদেই ফিরে আসি
এসএসসির পর হঠাৎ নাখালপাড়া এক বাসার সামনে দিয়ে যাচ্ছি.. ঝুল বারান্দা.. উপরে চাদ কম্বিনেশন দেখে ভাবছি - আহ এমন বাসায় যদি থাকা যেত----
৪ মাস পর বড় ভাইরা বাসা বদল করছে। আমি শুধু গাড়ীর সাথে সাথে! ওমা গাড়ী দেখি সেই বাসাটার সামনে এসে থেমেছে!!!!
এরকম যে কত বার হয় হয়েছে ইয়ত্তা নাই।
খখোন স্রফ নিরব দর্শক!!! কখনো সাবধানের ফলে নিরাপত্তা!!! কখনো অসহায় আত্মসমপর্ণ!!!!!
আপনার গল্পটা পুরাই আউলা কইরা দিল
০৮ ই জানুয়ারি, ২০১৪ সন্ধ্যা ৭:৩৪
অপু তানভীর বলেছেন: হায় হায় ! ঘটনা সত্য নাকি ? আমি তো নিজেই তব্ধা খাইয়া গেলাম ! সত্যিই নাকি ?
যাক ভাল ভাল ! ভাল !
তা আপনি লিখে ফেলেন এমন একটা গল্প !
১৯| ১১ ই জানুয়ারি, ২০১৪ রাত ৯:০৭
দুষ্টু ছেলেটি বলেছেন: ধৈর্য্য ধরে পুরাটা পড়লাম
সুন্দর হইছে
১১ ই জানুয়ারি, ২০১৪ রাত ৯:৩০
অপু তানভীর বলেছেন: আপনাকে দুইটা ধন্যবাদ দিলাম !
এক - গল্পটি পড়ার জন্য !
দুই - ধৈর্য্য ধরার জন্য !
©somewhere in net ltd.
১| ০৬ ই জানুয়ারি, ২০১৪ রাত ১১:২১
মোঃ আনারুল ইসলাম বলেছেন: কল্কে খাইয়্যা ফাইন একটা গল্প লেখেছেন।