নির্বাচিত পোস্ট | লগইন | রেজিস্ট্রেশন করুন | রিফ্রেস |
বন্ধুত্বে উদার, শত্রুতায় নির্মম : কিছু করার নাই, রাশির দোষ ........................ জামাতে ইসলামী ও ইসলামী ছাত্র শিবির সম্পর্কে মহানবীর (দঃ) সতর্কবাণী : শেষ জমানায় কিছু প্রতারক সৃষ্টি হবে। তারা ধর্মের নামে দুনিয়া শিকার করবে। তারা মানুষের নিকট নিজেদের সাধুতা প্রকাশ ও মানুষকে প্রভাবিত করার জন্য ভেড়ার চামড়ার পোষাক পড়বে (মানুষের কল্যাণকারী সাজবে)। তাদের রসনা হবে চিনির চেয়ে মিষ্টি। কিন্তু তাদের হৃদয় হবে নেকড়ের হৃদয়ের মতো হিংস্র। (তিরমিজী)
ছোটভাই মিম একটা চমৎকার কথা বলছিলো। আমাদের মাইন্ডসেট বেশীরভাগ ক্ষেত্রেই ফিক্সড। এর বাইরের কিছু আমরা ধারণ করতে পারি না, বা মেনে নিতে পারি না। এই প্রিজুডিসের কারণে আমাদের সব কিছুতেই আগেই সিদ্ধান্ত নেওয়া থাকে। টু কাউন্টার দ্যাট, আমাদের আগে সেটা জিরো লেভেলে আনতে হবে, তারপরই আমরা নিজের বিবেচনাবোধ প্রয়োগ করতে পারবো। আমি কখনও আমার সমসাময়িক প্রজন্মকে মুক্তিযুদ্ধ বোঝাতে যাই না, কারণ তারা আগেই সিদ্ধান্ত নিয়ে বসে আছে। সেটা পক্ষে হোক বা বিপক্ষে। আমার টার্গেট অডিয়েন্স তরুণ প্রজন্ম, আমি তাদের সামনে তথ্য উপাত্ত যুক্তি দিয়ে মিথ্যা এবং সত্যের প্রভেদ করার উপাদান যোগান দিই। বিবেচনাবোধ খাটিয়ে সিদ্ধান্ত নেওয়ার ক্ষমতাটা তারই থাকে।
একে খন্দকারের মেমোয়ারের (স্মৃতিকথা, ইতিহস নয়) পক্ষে বিপক্ষে তরুণ প্রজন্মের এবং বুড়োদের লড়াইটা দেখছিলাম গত কদিন ধরে। প্রাক সিদ্ধান্ত মানুষের বিবেচনাবোধকে কিভাবে আচ্ছন্ন করে রাখে তার কিছু নমুনা দেখছিলাম। উভয়পক্ষই আবেগতাড়িত যা রাজনৈতিক মনোভাব দিয়ে প্রভাবিত। আরেকটা তৃতীয়পক্ষ রয়েছে যারা বাকস্বাধীনতার নামে এইসব গারবেজের প্রচারণাকে উস্কানি যোগায়। তো আমি কোন পক্ষ? যেহেতু আমি সমমনাদের নিয়ে মুক্তিযুদ্ধের ইতিহাস বিকৃতিরোধে আইন চেয়ে প্রকাশ্যে প্রতিবাদ করেছি, তাই আমার পক্ষ নির্দিষ্ট। আমি মুক্তিযুদ্ধের ইতিহাস পর্যালোচনায় হাইপোথেটিকাল না, প্র্যাকটিকাল। আমি যুক্তি-তথ্য-প্রমাণে নিজের সিদ্ধান্ত নিই এবং উপস্থাপন করি বাকিদের সামনে। এবং এই বিষয়ে মুক্তিযুদ্ধের উপ-সেনাপতির বক্তব্যের বিপরীতে এবং বিরুদ্ধে অবস্থান নেওয়ার যুক্তিসঙ্গত কারণগুলো আগেও জানিয়েছি।
খেয়াল করুন। আমি দাবি জানিয়েছি মুক্তিযুদ্ধের ইতিহাস বিকৃত বন্ধ করার। এবং এই অবস্থানে আমার প্রতিপক্ষ একে খন্দকার নন, আমি প্রতিরোধ করতে চাই বিকৃতির এই চর্চাটা। প্রথমা প্রকাশণী গত কিছুদিন ধরেই যেই অপচর্চাটা মোটামুটি নিয়মিত বানিয়ে ফেলেছে। প্রথমে তারা ২৫ মার্চ রাতে গণহত্যার (যা অপারেশন সার্চলাইট নামে পরিচিত) অপারেশনাল কমান্ডার খাদিম হোসেন রাজার লেখা বই আনলো (আ স্ট্রেঞ্জার ইন মাই ওউন কান্ট্রি ইস্ট পাকিস্তান) এবং তার নির্বাচিত অংশ অনুবাদ করে তাদের বাজারকাটতি দৈনিক প্রথম আলোয় প্রকাশ করলো। সেই মিথ্যাচারিতার প্রতিবাদও আমি করেছি। কিন্ত এখন দেখা যাচ্ছে তারা নোটবই ব্যবসায়ীদের আদলে বিকৃত ইতিহাস বিপননে নেমেছে। একসময় স্কুল কলেজের নামী স্যারদের নামে নোটবই বের হতো, কিন্তু তারা তাদের নাম ব্যবহারের জন্য টাকা পেতেন মাত্র, নিজেরা লিখতেন না।
প্রথম আলো ঠিক তাই করছে। সাবেক প্রেসিডেন্ট হোসেইন মোহাম্মদ এরশাদ যেমন দুইদিনের নোটিশে পুত্র সন্তানের বাবা হয়েছিলেন, তেমনি আমরা বাজারে হঠাৎ মুক্তিযুদ্ধের ইতিহাস নিয়ে তৈরি লেখক পাচ্ছি। যে বইটা লিখেছেন একে খন্দকার বা শারমিন আহমেদ (ঐতিহ্য প্রকাশনী) সেটা নিয়ে তারা আগাম কোনো আভাস দিয়েছেন বলে জানা যায়নি। তারা দুজনের কেউই যে পান্ডুলিপিতে কলম ছোয়াননি সেটা আমি মাথার দিব্যি দিয়ে বলতে পারি। এই প্রথমাই এর আগে মুক্তিযুদ্ধের পূর্বাপর নামে তাদের বছর পাচেক আগেকার একটি গোলটেবিল বৈঠকের মাইনুট প্রকাশ করেছিলো। সেখানে একে খন্দকার ছিলেন, এবং তিনি বইয়ে যা লিখেছেন তা গোলটেবিলে মাইদুল হাসান এবং অন্যরা বলেছেন। তিনি কেন বলেননি? আজ কেনো তার এই উল্টো সুর।
যে অপচর্চায় আমি উদ্বিগ্ন তার নেপথ্যের বার্তাটা অনেকেই হয়তো ধরতে পারেননি। এটাকে আমি বলবো সুকৌশলে মুক্তিযুদ্ধ থেকে বঙ্গবন্ধু শেখ মুজিবুর রহমান এবং আওয়ামী লীগকে বিচ্ছিন্ন করার অপচেষ্টা। শারমিন তার বাবাকে বঙ্গবন্ধুর প্রতিপক্ষ হিসেবে দাড় করিয়ে দিয়েছেন। আর খন্দকার বোঝানোর চেষ্টা করেছেন মুক্তিযুদ্ধ করেছে সশস্ত্র বাহিনীর সদস্যরা এতে রাজনৈতিক কোনো অংশগ্রহণ কখনও ছিলো না। এবং প্রথমা প্রকাশনী তাদের পৃষ্টপোষক ও ভোক্তাবৃন্দ এটাই জানাতে চায় এবং বিশ্বাস করে যে মুক্তিযুদ্ধ শুরু হয়েছে ২৬ মার্চ এবং শেষ হয়েছে ১৬ ডিসেম্বর। এবং সেটা আসলে মেহেরজান ছবির চিত্রনাট্যের মতো প্রেমময় ও আত্মশ্লাঘায় ভরপুর ছিলো।
রাজনৈতিক ইতিহাসের ছাত্র এবং পাঠক মাত্রই মানবেন আমাদের মুক্তিযুদ্ধ আসলে দীর্ঘ এক রাজনৈতিক সংগ্রামের ধারাবাহিকতামাত্র। সেই রাজনৈতিক সংগ্রামের একমাত্র এসেন্স ছিলো বাঙালী জাতীয়তাবাদ। উপনিবেশের নাগরিক হিসেবে নির্যাতিত, সবখাতে বৈষম্যে ভোগা বাঙালী তাদের পূর্বপুরুষদের দেখেছে মোগল এবং ব্রিটিশদের বিরুদ্ধে লড়তে, স্বাধীনতার জন্য জীবন দিতে। পাকিস্তানের ক্ষেত্রে কেনো ব্যতিক্রম হবে! ধরলাম ইসা খা, তিতুমির বা ফকির মজনু শাহদের লড়াই ছিলো নিতান্তই গালগল্প, বাহাদুর শাহ পার্ক আসলে ভিক্টোরিয়া পার্কই সেখানে কখনও কোনো সিপাহীর লাশ ঝুলিয়ে রাখা হয়নি, কয়েকশো সিপাহী তো প্রশ্নই ওঠে না। সাদা চামড়ার ইংরেজরা প্রচন্ডে গরমে অস্থির আর বোরড হয়ে দুশো বছর পর দেশে চলে গেছে।
কিন্তু মুক্তিযুদ্ধ তো চারশো বছর আগের ঘটনা নয়। এর আগের এবং পরের পত্রপত্রিকাগুলো তো এখনও লাইব্রেরিতে পাওয়া যায়। ঢাকা বিশ্ববিদ্যালয়ে আছে, পাবলিক লাইব্রেরিতে আছে, জাতীয় আর্কাইভে আছে, অনলাইনেও আছে। সে সময়কার মানুষজনও সবাই মরেননি। ৭ মার্চের জনসভায় উপস্থিত ছিলেন এমন শখানেক মানুষ আমার ফেসবুক বন্ধুতালিকাতেই আছেন। তারা কেনো এইসব কথা শোনেননি যা বাকিরা বলছে? একাত্তরের দিনগুলিতে কেনো এমন কোন লাইন জাহানারা ইমাম লিখলেন না যে রুমি এসে বললো আম্মা শেখ মুজিব এটা কি করলেন, উনি পাকিস্তান জিন্দাবাদ বা জয় পাকিস্তান বা জিয়ে পাকিস্তান বলে তার বক্তৃতা শেষ করলেন!
আমার ধারণা রাজনৈতিক কারণেই বঙ্গবন্ধুর সাতই মার্চের ভাষণ অনেকে জীবনে শোনেননি। কারণ তাদের জন্য তা হারাম করা হয়েছে। রাস্তাঘাটে বাজলেও তা এককান দিয়ে ঢুকিয়ে আরেক কান দিয়ে বের করে দিয়েছেন। কিংবা শুনলেও তা অনুধাবন করার চেষ্টা করেননি, ফরওয়ার্ড করে দেখেছেন জিয়ে পাকিস্তান কোথায় আছে। একবার শুনুন। তার আগে এটাও জানার চেষ্টা করুন তার আগে কি হয়েছিলো। ১ মার্চ ইয়াহিয়া যখন রেডিওতে ঘোষণা দিলেন জাতীয় সংসদের অধিবেশন স্থগিত করা হয়েছে বাঙালী প্রতিবাদে ফেটে পড়লো। কি হতো অধিবেশন চললে? যদি নির্বিঘ্নে সেই সংসদ অধিবেশন চলতো তাহলে বঙ্গবন্ধু হতেন পাকিস্তানের প্রধানমন্ত্রী (নট অনলি পূর্ব পাকিস্তান), দেশের ক্ষমতা সামরিক বাহিনীর হাত থেকে সিভিলিয়ানদের হাতে চলে আসতো এবং আওয়ামী লীগ পাকিস্তানের সংবিধান সংশোধন করতো এবং ছয় দফা বাস্তবায়ন করতো।
৭০ এর নির্বাচনে আওয়ামী লীগের নির্বাচনী ম্যান্ডেট সেই ছয় দফাই তো ছিলো বাঙালীর মুক্তির সনদ। স্বায়ত্বশাসিত প্রদেশ আর স্বাধীনতায় তফাত তো ক্ষীনই। নামে পাকিস্তানের অংশ হয়ে থেকে বাঙালি নিজের ভুখন্ডকে শাসন করবে! এর আগে সামরিক পৃষ্টপোষকতায় বাঙালি প্রধানমন্ত্রী দুয়েকজন হয়েছেন, তারা জেনারেলদের ইচ্ছামতো চলতে বাধ্য হয়েছেন। শেখ মুজিব তো সে প্রকৃতির নন। সেনাবাহিনী তার অর্ডার মানবে, তিনি না। যাহোক অধিবেশন স্থগিত হওয়ার পর তিনি দিলেন অসহযোগ আন্দোলনের ডাক। টানা হরতাল চললো। আগেই ঘোষণা দিয়েছিলেন যে শেখ মুজিব ৭ মার্চ আগামী দিনের দিক নির্দেশনা দিবেন। তিনি দিলেন। সে ভাষণ যারা শুনেছেন, যারা পড়েছেন তারা জানেন বঙ্গবন্ধু ঠিক সেদিনই পূর্ব পাকিস্তানকে পশ্চিম পাকিস্তান থেকে আলাদা করে দিয়েছেন। সেদিন থেকে বাংলাদেশের কোনো অফিসে কার্যালয়ে পাকিস্তানী প্রশাসন কাজ করেনি। জনগনকে ট্যাক্স দিতে নিষেধ করা হয়েছে। কোনো টাকা পয়সা পশ্চিম পাকিস্তানে না পাঠানোর নির্দেশ কড়াকড়ি পালন করা হয়েছে।
এবং পাকিস্তান সেনাবাহিনীকে তিনি স্পষ্ট বলেছেন, তোমরা ব্যারাকে থাকো, তোমাদের কেউ কিছু বলবে না, কিন্তু আমাদের টাকায় আমাদের বুকে গুলি চালানো আর বরদাস্ত করা হবে না। তিনি স্পষ্ট বলেছেন আর যদি একটা গুলি চলে, আর যদি আমার কোনো ভাইকে হত্যা করা হয়, তাহলে তোমাদের উপর স্পষ্ট নির্দেশ রইলো, আমি যদি হুকুম দিবার নাও পারি তোমাদের যার যা কিছু আছে তাই নিয়ে প্রস্তুত থাকবে। বক্তৃতায় এই কথাগুলা তিনি দুইবার বলেছেন। বলেছেন আওয়ামী লীগের নেতৃত্বে মহল্লায় মহল্লায় সংগ্রাম কমিটি গঠন করতে। কিসের সংগ্রাম? স্বাধীনতার সংগ্রাম, মুক্তির সংগ্রাম। তাহলে? জনসভায় উপস্থিত ছিলেন না এমন লোকেরা বঙ্গবন্ধু জয় পাকিস্তান বলেছেন জাতীয় তর্ক তোলার আড়ালে আসলে মূল কথাগুলো থেকে নজর সরাতে চায়। কারণ কেউ মন দিয়ে শুনলে, তলিয়ে দেখলে প্রজ্ঞা বিবেচনা ব্যবহার করলেই তো বুঝবেন বঙ্গবন্ধু যা বলার বলে দিয়েছেন।
এবং যে কথাটা এসব জ্ঞানপাপী কখনও আলোচনায় টানেন না তা হচ্ছে বঙ্গবন্ধুর সেই বাণী, আমি প্রধানমন্ত্রীত্ব চাই না, আমি এদেশের মানুষের মুক্তি চাই। এসব কথার মানে কি একটু বলবেন আমাকে? কি বোঝায় এসবে। ইয়াহিয়া খান ঢাকা এসে কিসের আলোচনা করেছেন, কিসের সমঝোতার চেষ্টা করেছেন? যাতে আওয়ামী লীগ ছয় দফার দাবি থেকে পিছু হটে। এই সামান্য সমঝোতাটুকুর বিনিময়ে গোটা পাকিস্তানের প্রধানমন্ত্রীত্ব প্রস্তুত ছিলো বঙ্গবন্ধুর সামনে। তিনি আপোষ করেননি, তিনি বেঈমান ছিলেন না। যখন বোঝা গেলো বঙ্গবন্ধু পিছু হটবেন না, আওয়ামী লীগ পিছু হটবে না, পাকিস্তানের বিরুদ্ধে এই অসহযোগ চলবেই, তখন ইয়াহিয়া প্লেনে চড়লেন, তার আগে দিয়ে গেলেন অপারেশন সার্চলাইটের সবুজ সংকেত।
যারা সেই অপারেশনের বিবরণ পড়েছেন তারা জানেন সেখানে কি বলা ছিলো কাদের ওপর আক্রমণের নির্দেশ ছিলো, কাদের মেরে সাফ করে ফেলা বাধ্যতামূলক ছিলো। জ্বি, এক নম্বর নামটা আওয়ামী লীগ, আই রিপিট আওয়ামী লীগ। দুইনম্বরে হিন্দু। যে কোনো মূল্যে গ্রেফতার তালিকায় এক নম্বর নামটা শেখ মুজিবুর রহমান। তাজউদ্দিন আহমেদ বা জিয়াউর রহমান নন। এবং গ্রেফতার করে তাকে পাকিস্তানে নিয়ে গিয়ে প্রধানমন্ত্রী হওয়ার জন্য সমঝোতা করতে কোনো রেস্ট হাউজে রাখা হয়নি। তিনি ছিলেন কারাগারে। তার বিচার চলছিলো বাংলাদেশের স্বাধীনতার ঘোষণার অপরাধে। যা মৃত্যুদন্ডযোগ্য রাজনৈতিক অপরাধ। জিয়াউর রহমান তখন স্বাধীনতার ঘোষক বলে নিজেকে দাবি করে কোনো গোপন স্থান থেকে ভিডিও বার্তা পাঠালে হয়তো বঙ্গবন্ধু এই দায় থেকে অব্যহতি পেতেন। আম্মুকে আব্বু এটা বলেছেন শোনেননি শারমিন তাই ইতিহাস মিথ্যা সারাদেশ জিয়াউর রহমানের ঘোষণা শুনেছে ৫০ কিলোমিটার রেডিয়াসের রেডিও থেকে। তারপর তারা মুক্তিযুদ্ধে ঝাপ দিয়ে পড়েছে। দেশ স্বাধীন হয়ে গেছে।
কিছু প্রশ্ন কি জাগে না? বঙ্গবন্ধু যদি এতই অচলমুদ্রা হন তাহলে মুক্তিযুদ্ধকালীন সরকারের প্রধান কেনো তাকেই করা হয়েছিলো? কেনো তাজউদ্দিন তার জুতো সিংহাসনে রেখে যুদ্ধ পরিচালনা করলেন। বাংলাদেশের প্রথম প্রেসিডেন্ট বলে দাবি করা জিয়াউর রহমানই বা কেনো বঙ্গবন্ধুকে অভিভাবক হিসেবে ঘোষণা দিয়েছিলেন তার প্রথম রেডিও বক্তৃতায়? কেনো বাংলাদেশ সরকারের অধীনেই সামান্য সেক্টর কমান্ডার হিসেবে চাকুরি করলেন? স্বাধীনতার পর বঙ্গবন্ধুর জন্য কেনো অপেক্ষা করেছে গোটা জাতি? কেনো তিনি এসে এই দেশের রাষ্ট্রপতি হলেন। কেনো সাত কোটি মানুষ, লাখো মুক্তিযোদ্ধা, এতো কমান্ডার এবং রাজনীতিবিদরা বলেননি যে আপনি বাতিল, আপনি আপোষ করেছেন, আপনাকে আমরা চাই না। কেনো বলেননি? তিনি কি পায়জামার সঙ্গে বুট আর কাধে বন্দুক নিয়ে চলতেন যে তাকে ভয় পেতো সবাই?
বাঙালী তৈরি ছিলো না, বাঙালীর উপর মুক্তিযুদ্ধ চাপিয়ে দেওয়া হয়েছে। এইসব রাবিশ কথাবার্তা দিয়ে কি বোঝানো হয় আমি সত্যিই বুঝি না। রাত দশটায় ক্যান্টনমেন্ট থেকে ট্যাংক বেরিয়ে বিশ্ববিদ্যালয় এলাকায় পৌছেছে রাত সাড়ে এগারোটায়। রাস্তায় রাস্তায় ব্যারিকেড। আগাম না জানলে কিভাবে হয়। বিশ্ববিদ্যালয়ে তারাই নিহত হয়েছেন যারা এটা আওয়ামী লীগ সেনাবাহিনী ক্যাচাল ভেবে রয়ে গিয়েছিলেন। কেউ লড়তে লড়তে মারা যাননি। সব নিরীহ ছাত্র। প্রস্তুত না থাকলে তো সার্চলাইটের তালিকা মেনে এক রাতেই গোটা দেশ আওয়ামী লীগ মুক্ত করে ফেলতো পাকিস্তানী সেনাবাহিনী।
একটা পরিপূর্ণ রাষ্ট্রকাঠামোয় থেকে একটা পরিপূর্ণ সরকারী অবকাঠামোয় আমাদের মুক্তিযুদ্ধ হয়েছে। সেই সরকার ছিলো আওয়ামী লীগের। বঙ্গবন্ধু ছিলেন সেই মুক্তিযুদ্ধের বাই ডিফল্ট সর্বাধিনায়ক। কারন সেই সরকার সেনাশাসিত সরকার ছিলো না, গণতান্ত্রিক সরকার ছিলো। আর যারা সেনাবাহিনীর সদস্যরা মুক্তিযুদ্ধ করে দেশকে স্বাধীন করেছেন থিসিস গিলিয়ে ৭৫ পরবর্তী পাকিস্তানী কাঠামোয় দেশ শাসনকে জায়েজ করতে চান তাদের বিনয়ের সঙ্গে বলতে চাই। জুনে বাংলাদেশ সশস্ত্র বাহিনী গঠনের আগে মুক্তির লড়াইয়ে মেজর জিয়া, রাস্তার সলিমুদ্দিন কিংবা হরিদাস পালে কোনো তফাৎ ছিলো না। সবাই লড়েছেন। সামরিক প্রশিক্ষন এবং যুদ্ধের অভিজ্ঞতায় ময়দানের নেতৃত্ব নির্ধারিত হয়েছে মাত্র। বাংলাদেশ সেনাবাহিনী গঠন করার পর মুক্তিযুদ্ধটা দুই দেশের লড়াইয়ের আনুষ্ঠানিকতা পেয়েছে। তার আগে গেরিলা যুদ্ধ ছিলো মাত্র যা কেউ কেউ গৃহযুদ্ধ বলেও অবমূল্যায়িত করে।
এবং এই তত্বের জনকরা এই পরিবেশনায় অপমান করে ২৫ মার্চ রাতের সবচেয়ে বীর যোদ্ধাদের, মুক্তিযুদ্ধের প্রথম লড়াকু সৈনিকদের। বাংলাদেশ পুলিশ বাহিনীর সদস্যদের। রাজারবাগে যারা ৫টি গুলি আর প্রথম বিশ্বযুদ্ধে ব্যবহৃত লি এনফিল্ড থ্রি নট থ্রি রাইফেল নিয়ে লড়েছেন মেশিনগান আর রিকয়েলেস রাইফেলের বিরুদ্ধে। মারা গেছে পিলখানায় ইস্ট পাকিস্তান রাইফেলসের সদস্যরা। ঢাকা সেনানিবাসে কতজন বাঙালী মরেছেন? কুমিল্লা ও চট্টগ্রাম সেনানিবাস বাদ দিলে অপারেশন সার্চলাইটে নিহত সেনা সদস্যের সংখ্যা কতো? এক রাজারবাগের অর্ধেকও না। তবে সবাই দেশের জন্যই শহীদ হয়েছেন। ওই তাত্বিকরা অপমান করেন তাদেরও।
আমাদের দেশের জন্ম ইতিহাস, আমাদের স্বাধীনতা ইতিহাস রাজনীতিবিদদের পুতুলখেলা হয়ে গেছে। যে যার খুশী মতো এডিট করে মনগড়া কথা বসিয়ে দিচ্ছে। আর তাদের ইন্ধন জোগাতে সুশীল মুখোশ পড়ে তৈরি আছে স্বাধীনতাবিরোধীদের সহায়ক শক্তি। এর অবসান চাই। বন্ধ হোক এইসব নোংরামী। আর তা অবিকৃত অবিকল রাখতে সংসদে আইন চাই। একমাত্র বর্তমান সরকারই পারে এই ব্যাপারে এগিয়ে আসতে…।
২| ১১ ই সেপ্টেম্বর, ২০১৪ বিকাল ৩:৫২
হরিণা-১৯৭১ বলেছেন:
খন্দকার মুক্তিযোদ্ধা, উনি যা বলছেন সেটাই সঠিক। জীবিত ৪৫ হাজার মুক্তিযোদ্ধারা উনার সাথে আছেন।
খন্দকারের লেখায় শেখ সাহেবের ঐতিহাসিক গুরুত্ব কমেনি কোনভাবে; শেখ সাহেব নিজের সাধ্যানুসারে কাজ করে গেছেন, এর চেয়ে বেশী উনার পক্ষে সম্ভব ছিলো না।
মুক্তিযো্দ্ধারা ( খোকা, জিয়া, এ ধরণের হাতে গোণা ২/১জন বাদে) সঠিক মানুষ, উনাদের বিপক্ষে যাবে না।
৩| ১১ ই সেপ্টেম্বর, ২০১৪ বিকাল ৩:৫৮
াহো বলেছেন:
জয় পাকিস্তান ত্রুটি স্বীকার
কবি শামসুর রাহমান
করে লজ্জিত হয়ে প্রকাশ্যে ক্ষমা প্রার্থণা করলেও এখনো তাঁর কাঁধে বন্দুক রেখে 'জিয়ে পাকিস্তান' বলে চিৎকার করে যাচ্ছেন অনেকে।
মুহাম্মদ হাবিবুর রহমান
বাংলাদেশের তারিখ' বইয়ের দ্বিতীয় সংস্করণ থেকেই উধাও হয়ে যায় 'জিয়ে পাকিস্তান' শব্দ দুটি।
আহমদ ছফা
নিজে যেখানে দ্বিধান্বিত, ঠিকঠাক মনে নেই বলে স্বীকার করছেন, সেখানে তাঁকে প্রামাণ্য সাক্ষী মেনে এখনো লড়াই করে যাচ্ছেন আমাদের 'জয় পাকিস্তান'পন্থীরা!
বদরুদ্দীন উমর
নিজের কানে বঙ্গবন্ধুকে 'জয় পাকিস্তান' বলতে শুনেছেন।এবং সাক্ষী মেনেছেন কবি শামসুর রাহমান,বিচারপতি হাবিবুর রহমান,হুমায়ূন আহমেদ প্রমূখকে।সাক্ষীদের প্রত্যেকেই নিজেদের ভুল বুঝতে পেরেছেন আগেই। বদরুদ্দীন উমরের ভুলটা ভাঙবে কবে? আদৌ ভাঙবে কি?"
৬০ পৃষ্ঠায় একে খন্দকার বলেছেন, ‘মেজর জিয়ার ঘোষণাটিকে কোনোভাবেই স্বাধীনতার ঘোষণা বলা চলে না।
মেজর জিয়া রাজনৈতিক নেতা ছিলেন না বা
ঘোষণা দেওয়ার মতো উপযুক্ত ব্যক্তিও ছিলেন না। যে ঘোষণা চট্টগ্রাম বেতার থেকে তিনি দিয়েছিলেন ঠিক একই ধরনের একাধিক ঘোষণা ২৬ ও ২৭ মার্চ চট্টগ্রাম বেতার থেকে বেশ কয়েকজন রাজনৈতিক ও ছাত্রনেতাও দিয়েছিলেন, এমন কি বেতারকর্মীরাও একই ধরনের ঘোষণা দিয়েছিলেন।’ -
Click This Link
৭ই মার্চের সত্য ভাষণের খোঁজে
http://www.sachalayatan.com/nazrul_islam/52981
https://www.amarblog.com/pritomdas/posts/181248
নিউ ইয়র্ক টাইমস
(২৭শে মার্চ, ১৯৭১)
Click this link for online archive of
নিউ ইয়র্ক টাইমস
Click This Link
LEADER OF REBELS IN EAST PAKISTAN REPORTED SEIZED; Sheik Mijib Arrested After a Broadcast Proclaiming Region's Independence DACCA CURFEW EASED Troops Said to Be Gaining in Fighting in Cities -Heavy Losses Seen
The Pakistan radio announced today that Sheik Mujibur Rahman, the nationalist leader of East Pakistan, had been arrested only hours after he had proclaimed his region independent and after open rebellion was reported in several cities in the East.
New York Times - Mar 27, 197
---------------------====================================================================================================================
1971/1972 সংবাদপত্রে
বিএনপি নেতার নাম খুঁজে পাচ্ছি না.
নিউ ইয়র্ক টাইমস
নিউজউইক
টাইম ম্যাগাজিন ইউএসএ
টাইমস সংবাদপত্র ইউকে
===================
বিশ্ব বিখ্যাত টাইম ম্যাগাজিন ইউএসএ
1) পাকিস্তান এখন শেষ --শেখ মুজিব---15 মার্চ 1971
2)শেখ মুজিবুর রহমান স্বাধীনতা ঘোষণা করেছেন --Apr. 05, 1971
--The World: Pakistan: Toppling Over the Brink
3)গত মার্চে পাকিস্তান সেনাবাহিনী ধ্বংসযজ্ঞ চালানোর পর বিশ্বব্যাংকের পরিদর্শকদের একটি বিশেষ টিম কিছু শহর প্রদক্ষিণ করে বলেছিলেন, ওগুলোকে দেখতে ভুতুড়ে নগরী মনে হয়। এরপর থেকে যুদ্ধ শেষ হওয়া পর্যন্ত এহেন ধ্বংসলীলার ক্ষান্তি নেই। ৬০ লাখ ঘরবাড়ি মাটির সঙ্গে মিশিয়ে দেওয়া হয়েছে এবং ২৪ লাখ কৃষক পরিবারের কাছে জমি চাষের মতো গরু বা উপকরণও নেই। পরিবহনব্যবস্থা পুরোপুরি ভেঙে পড়েছে। রাস্তাঘাট ক্ষতিগ্রস্ত হয়েছে, পুল-কালভার্টের চিহ্নও নেই এবং অভ্যন্তরীণ নৌ-যোগাযোগেও অনেক বাধাবিঘ্ন। ---শেখ মুজিবুর রহমান : বন্দি থেকে বাদশা / টাইম সাময়িকী ১৭ জানুয়ারি ১৯৭২
4)Bangladesh have suffered three consecutive years of natural or man-made disasters—a calamitous cyclone in 1970, the civil war in 1971, and a crop-crippling drought this year. Jan. 01, 1973
5)শেখ মুজিবের সময়কালে ৬০০০ হাজারের ও বেশী মানুষ সহিংসতা নিহত (মুজিব।। স্থপতির মৃত্যু Time Magazine USA আগষ্ট ২৫,১৯৭৫).
6)বাংলাদেশ. "বাস্কেট কেস", নয়, Jan. 01, 1973
লন্ডনের টাইমস পত্রিকায় ২৭শে মার্চ, ১৯৭১
বঙ্গবন্ধু শেখ মুজিবুর রহমানের স্বাধীনতার ঘোষনার খবর
নিউ ইয়র্ক টাইমস
(২৭শে মার্চ, ১৯৭১)
বঙ্গবন্ধু শেখ মুজিবুর রহমানের স্বাধীনতার ঘোষনার খবর
-Times of India 27 March 1971
বঙ্গবন্ধু শেখ মুজিবুর রহমানের স্বাধীনতার ঘোষনার খবর
এটা 75 এর 07 November পত্রিকা.Where it said Zia announce 27 March 1971
এটা 75 এর 07 November পত্রিকা.Where it said Zia announce 27 March 1971
একে খন্দকার স্বীকার করছেন তিনি সঠিক তথ্য ব্যবহার করেননি।
দ্বিতীয় সংস্করণে নিজেই স্বীকার করছেন যে, প্রথম সংস্করণে তিনি সঠিক তথ্য ব্যবহার করেননি।
৩২ পৃষ্ঠার দ্বিতীয় স্তবকে আমি লিখেছিলাম– এই ভাষণের শেষ শব্দ ছিল ‘জয় পাকিস্তান’। আসলে তা হবে ‘এই ভাষণের শেষ শব্দ ছিল ‘জয় বাংলা, জয় পাকিস্তান’।’’
যিনি জাতিকে ইতিহাসের বয়ান দেবেন তিনি ইতিহাসের ওই সময়টাতে ‘এমএলএ’ ছিল, নাকি এমপিএ ছিল সেটা জানবেন না, তা কী করে হয়? যদি না-ই জানেন, তাহলে তো স্পষ্টত বোঝা যায় তিনি রাজনীতির খবরাদি রাখতেন না, সেই সময়ের সরকারের অনুগত হিসেবে বিমানবাহিনীর চাকরিটিই ঠিকমতো করে গেছেন। তো, যিনি ইতিহাসের মাহেন্দ্রক্ষণের রাজনীতির গতিধারা সম্পর্কে খোঁজখবর রাখতেন না, তিনি জাতিকে ইতিহাসের বয়ান দিতে আসেন কীভাবে? Click This Link
আব্দুল করিম খন্দকার
২৫ মার্চ ১৯৭১, রাতে পাকিস্তানি বাহিনীর পক্ষে তাদের ঢাকা বেইসের সেকেন্ড ইন কমান্ড ছিলেন।
১২ মে ১৯৭১ সালে তিনি পাকিস্তানের পক্ষ ত্যাগ করে বাংলাদেশের স্বাধীনতা যু্দ্ধে যোগ দেন। মুজিবনগর সরকার গঠিত হয় ১০ এপ্রিল ১৯৭১।
মুজিবনগর সরকার যে সরকারের প্রধান ছিলেন শেখ মুজিব, তাদের কাছ থেকেই মাসে মাসে মাইনে নিয়েছে জনাব আব্দুল করিম খন্দকার। কেন, কী কারণে আব্দুল করিমের ৪৭ দিন সময় লেগেছিলো পাকিস্তানের পক্ষ ত্যাগ করতে সে কারণটি অজানাই রয়ে গিয়েছে। পাকিস্তানের পক্ষে ছোট একটি পদে থেকে মার্চ-এপ্রিল, ১৯৭১ সালে বাংলাদেশে কী ঘটেছে তা অনুমান করা নিঃসন্দেহে দূরহ কাজ এবং সেখানে সেই পাকিস্তানি দৃষ্টিভঙ্গি ধারণ করে অবশ্যই বঙ্গবন্ধুকে মূল্যায়ন করা অসম্ভব।
৪| ১১ ই সেপ্টেম্বর, ২০১৪ বিকাল ৪:০৬
*কুনোব্যাঙ* বলেছেন: আইন না হয় হলো কিন্তু বিচারক কিভাবে নিশ্চিত হবে কোনটা সঠিক ইতিহাস।উল্টা আরো দেখা যাবে হয়তো মুক্তিযুদ্ধের প্যারাডক্স অফ পলিটিক্যাল ইউজের যাতাকলে পড়ে প্রতি ৫ বছর পরপর শুধু ইতাহাস পাল্টাচ্ছে।
৫| ১১ ই সেপ্টেম্বর, ২০১৪ বিকাল ৪:১৩
হরিণা-১৯৭১ বলেছেন:
@ *কুনোব্যাঙ* ,
সাথর্ক কুনোব্যাং, কোন ভেজাল নেই; বিচারককে তা হলে তা'হলে ঘটনাস্হালে উপস্হিত থাকতে হবে?
বিচারক তার লজিক্যাল ভাবনা দ্ধারা বুঝতে পারবেন কোনটা সঠিক।
কুনো থেকে বের হন।
৬| ১১ ই সেপ্টেম্বর, ২০১৪ বিকাল ৪:২০
Eisenheim বলেছেন: একদিক দিয়ে ভালোই হলো, ৭ই মার্চের ভাষণ যারা রেসকোর্সে দাঁড়িয়ে শুনেছেন তারা জীবিত থাকতে থাকতেই এই 'জয় পাকিস্তান' বিতর্কের একটা হেস্তনেস্ত হয়ে যাওয়া উচিত মনে হয়।
শাহ মোয়াজ্জেমের 'বলেছি বলছি বলবো' তেও দেখলাম এই একই কথা। এছাড়া 'গন্ডগোলের বছর' নিয়ে নামে বেনামে বের হওয়া চটি বই তো আছেই...
কিন্তু প্রশ্ন হচ্ছে, এখনই এই বিতর্কের মুখে যারা পানি ঢেলে দিতে পারেন তারা সরব হচ্ছেন না কেন?
---
All that is necessary for the triumph of evil is that good men do nothing.
৭| ১১ ই সেপ্টেম্বর, ২০১৪ বিকাল ৪:৩৬
হরিণা-১৯৭১ বলেছেন:
@Eisenheim ,
আপনি বিতর্কের কি দেখছেন? ইডিয়ট ও চোর ডাকাতদের সাথে আপনিও জড়িত হচ্ছেন?
৭ই মার্চ পাকিস্তান ছিল, পাকিস্তানের নির্বাচনে জয়ী হওয়া শেখ সাহেব বক্তব্যে পাকিস্তান নিয়ে বললে কোন অসুবিধা নেই। তিনি ২৫ শে মার্চের পর, পাকিস্তানের পক্ষে বলেছেন কিনা, সেটা নিয়ে তর্ক হতে পারে।
৮| ১১ ই সেপ্টেম্বর, ২০১৪ বিকাল ৪:৫৫
Eisenheim বলেছেন: সুবিধা ছিলো, না অসুবিধা ছিলো তা নিয়ে তো কারো কোনো মাথাব্যথা নাই।
এ কে খন্দকার তার বইতে লিখেছেন, বঙ্গবন্ধু ৭ই মার্চের ভাষণ শেষ করেছেন 'জয় বাংলা জয় পাকিস্তান' বলে। কোনো সূত্র ছাড়া এই তথ্যটা ব্যবহার করে তিনি মুক্তিযুদ্ধের ঘটনাপ্রবাহের উপর একটা থিওরি দাড় করিয়ে ফেলেছেন।
এখন, এই তথ্যটা কি সঠিক না বেঠিক সেই বিতর্কের অবসান হওয়া দরকার। আর সেটা যাচাই করা সম্ভব একমাত্র সেদিন রেসকোর্সে উপস্থিত থেকে যারা ভাষণ শুনেছেন তাদের পক্ষেই।
৯| ১১ ই সেপ্টেম্বর, ২০১৪ বিকাল ৫:০৬
হরিণা-১৯৭১ বলেছেন:
@Eisenheim ,
খন্দকার মুক্তিযো্দ্ধা, উনি জেনে লিখেছেন, উনি সঠিক, এটাই তথ্য।
১০| ১১ ই সেপ্টেম্বর, ২০১৪ বিকাল ৫:০৯
তিক্তভাষী বলেছেন: @ লেখক- আদালতের নির্দেশ মতো উপন্যাস লিখতে বাধ্য হয়েছেন এদেশের জনপ্রিয়তম লেখক। সেক্ষেত্রে আলাদা আইনের দরকার পড়েনি কিন্তু। কেউ তার চিন্তা-ভাবনা এ কে খন্দকারের মতো লিখে প্রকাশ করলে হয়তো আপনার সুপারিশকৃত আইনে তার বিচার হতে পারবে। কিন্তু মানুষ যদি এধরণের চিন্তা-ভাবনা-বিশ্বাস মনে মনে পোষণ করে সেটার বিচার কিভাবে করবেন?
@ হরিণা-১৯৭১- বিচারক যে লজিক্যাল ভাবনা দ্বারা পরিচালিত হবেন তার গ্যারান্টি কোথায়?
১১| ১১ ই সেপ্টেম্বর, ২০১৪ বিকাল ৫:১৪
*কুনোব্যাঙ* বলেছেন: @হরিণা-১৯৭১,
আমি নাহয় কুনো থিকা বাইর হইলাম, দেশের আম জনতার কি হৈবো। দেশের অদ্দেক্টা মানুষ এক বই বিলিভ করে তো অদ্দেক আরেক বই। এই বিশ্বাসের মধ্যেও আবার সারাউন্ডিং কিছু সুযোগ সুবিধা জড়িত। যেহেতু দুই দিকের বিশ্বাসপন্থীই প্রায় সমান সেহেতু ধইরাই নিতে পারি যে বিশ্বাসপন্থী যখন ক্ষমতায় থাকবে তখন তার রায় দিবে। খোনকার সাহেব টাহেব বাদ্দিলাম, ধরেন যুদ্ধের ১০ বছর পরে আমার জন্ম। এখন আমি ইমাজিনেশন দিয়াও যদি ইতিহাস লেখি সেইখানে দেশের অর্ধেক জনগণের হাততালি আর অর্ধেক জনগণের গালি নিশ্চিত আদায় কইরা নিতে পারুম।
যাউক বাদ্দেন বস, বিশ্বাসে মেলায় ভক্তি তর্কে বহুদূর।
১২| ১১ ই সেপ্টেম্বর, ২০১৪ বিকাল ৫:২৪
যাযাবর বেদুঈন বলেছেন: ইতিহাস রোধে আইন থাকা ভাল। কিন্তু তার আগে দুইটা জিনিস নিশ্চিত করতে হবে।
১। সর্বসাধারণের মত আছে কিনা ইতিহাস নিয়ে।
২। আইনের শাসন ঠিক মত প্রয়োগ হয় কিনা।
দেশের ৩৫ ভাগ মানুষ যা বিশ্বাস করে দেখা যায় দেশের ৪০ ভাগ মানুষ ভাবে অন্যভাবে। থাকে বাকি ২৫ ভাগ। এখন এই ২৫ ভাগের কথা বাদ কারণ ৩৫+৪০ = ৭৫ ভাগ যদি এক জায়গায় এক মতে পৌছাতে পারে তাইলেই সার্থকতা। এখন দেশের শুধু ৩৫ ভাগ কিংবা শুধু ৪০ ভাগ মানুষের কথা ঠিক মেনে নেয়া যৌক্তিক না। না হলে পাঁচ বছর পর পর আইন ও সংবিধান পরিবর্তিত হতে থাকবে। আর বেচারা ইতিহাস ঠিক একই ভাবে পচতে থাকবে।
১৩| ১১ ই সেপ্টেম্বর, ২০১৪ বিকাল ৫:৩২
হরিণা-১৯৭১ বলেছেন:
@*কুনোব্যাঙ*,
আপনি কোন বই নিয়ে কথা বলছেন?
৫০% বাংলা পড়তে পারে না, বইয়ের কি মুল্য?
যেই ৫০% পড়তে পারে, তাদের কয়জন বুঝতে পারে ও কয়জন বই কিনতে পারে?
বইতে লাথি মারেন, মুক্তিযোদ্ধাদের উপর আস্হা রাখেন।
১৪| ১১ ই সেপ্টেম্বর, ২০১৪ বিকাল ৫:৩৬
হরিণা-১৯৭১ বলেছেন:
@তিক্তভাষী,
বাংলাদেশে বিচারক নিযুক্ত হয় হাসিনা খালেদার পায়ে সালাম করে; ঐ ইডিয়টদের পক্ষ থেকে কোন কিছুর গ্যারান্ট নেই, আমি একজন আদর্শ বিচারকের কথা বলছি থিওরিটিক্যালী।
অমি পিয়াল হলো আমাদের মুক্তিযুদ্ধের 'ডিলার', উনার বালছাল ভাবনার অভাব নেই!
১৫| ১১ ই সেপ্টেম্বর, ২০১৪ বিকাল ৫:৩৯
াহো বলেছেন:
জয় পাকিস্তান ত্রুটি স্বীকার
কবি শামসুর রাহমান
করে লজ্জিত হয়ে প্রকাশ্যে ক্ষমা প্রার্থণা করলেও এখনো তাঁর কাঁধে বন্দুক রেখে 'জিয়ে পাকিস্তান' বলে চিৎকার করে যাচ্ছেন অনেকে।
১১ ই সেপ্টেম্বর, ২০১৪ রাত ৮:৫২
অমি রহমান পিয়াল বলেছেন: যাক একটা পাইলাম
১৬| ১১ ই সেপ্টেম্বর, ২০১৪ বিকাল ৫:৫১
শাহ আজিজ বলেছেন: ৮ই মার্চ সকালেই শেখ সাহেবের ভাষণ প্রচার হয় রেডিওতে। আমি কিন্তু ভাবছি এটা সরাসরি প্রচার হচ্ছে। ৪৩ বছর পর জানলাম না ওটা একদিন পরে সাড়ে ৭ কোটি মানুষ শুনেছিল । তথ্যটা লুকাল কে? জয় বাংলা বলে ভাষণ শেষ হয়েছে ,জয় পাকিস্তান নয়। দেশটি তখনও পূর্ব পাকিস্তান আর চলছি রুপির বিনিময়ে। গোলযোগটা বাধিয়েছেন জিয়ার সৈনিকেরা আর তাহের গং সাথে পাক বন্দিদশা থেকে ফেরত আসা সেনা অফিসাররা। সেক্টর কমান্ডার রা নিজ যোদ্ধাদের নাম মনে রাখেননি বা তালিকা করেও রাখেননি , কি বালের কমান্ডাররে। কারা জীবনের বিনিময়ে যুদ্ধ করেছেন আর কারা এখন সুবিধা ভোগ করছেন আমরা জানি । আইন করে ৭১ ফেরানো যাবেনা পিয়াল। ওখানেই আমাদের সীমাবদ্ধতা । আমরা এই দেশদ্রোহীদের সাথে একাত্ম বোধ করিনা যারা রাইফেল হাতে ঢাকা ঢুকে রাত না পোহাতেই রাজাকারের সাথে আত্মীয়তা করেছেন, যারা এখনো বিহারীদের জন্য কাদেন ,ফরহাদ মজহার কেন জেনেভা ক্যাম্পে রাতের বেলা গিয়ে আহসানিসে উর্দু শিখো পড়েন। সবকিছু ওলট পালট হয়ে গেছে। সামনের দিনগুলো ভালো আসছে না । ওই গালিটাই ঠিক আছে "চুতিয়া বাঙ্গাল"। ক্যাম্পের সামনে দিয়ে মাথা নিচু করে যাই, যদি মারে! রেসকোর্সে পক্ষ ও বিরোধীরা একাকার হয়ে গেছে, সবার পোশাক সমান , পকেটে টুপি , মুখে সৌদি বাদশার দাড়ি ,কেয়া বাত হ্যায় ইয়ার !!!! ঙ
১৭| ১১ ই সেপ্টেম্বর, ২০১৪ রাত ১১:২৫
ক্ষতিগ্রস্থ বলেছেন: আমাদের মাইন্ডসেট বেশীরভাগ ক্ষেত্রেই ফিক্সড। এর বাইরের কিছু আমরা ধারণ করতে পারি না, বা মেনে নিতে পারি না। এই প্রিজুডিসের কারণে আমাদের সব কিছুতেই আগেই সিদ্ধান্ত নেওয়া থাকে।
এই জন্যই অমি পিয়াল কি লিখবেন যা ধারণা করেছিলাম ঠিক তাই লিখেছেন৷
১৮| ১২ ই সেপ্টেম্বর, ২০১৪ রাত ১১:১৫
মাঈনউদ্দিন মইনুল বলেছেন:
এটি সেই দেশ যেখানে অন্যের যাত্রা ভঙ্গ করার জন্য প্রয়োজনে নিজের নাক কাটে।
দেশের ইতিহাস ঐতিহ্য আর সার্বভৌমত্ব বিক্রি করে রাজনীতি করেন আমাদের নেতারা। এটি সেই দেশ, যেখানে স্বাধীনতার ইতিহাস নিয়ে ৪০ বছর পরও চলে বিতর্ক। যেখানে স্বাধীনতা যুদ্ধের নেতা নিয়ে আমরা একমত হতে পারি না। এটি সেই দেশ।
জয় বাংলা/ আর জিয়ে পাকিস্তান একটি তুচ্ছ বিষয় হতো, যদি আমরা মৌলিক বিষয়গুলোতে এক থাকতে পারতাম। এতে বিদেশীদের কাছে অথবা সনাতন প্রতিপক্ষদের কাছে আমরা কেবলই হেয়/প্রশ্নবিদ্ধ হচ্ছি... সন্দেহের মধ্যে পড়ে যাচ্ছে আমাদের গৌরবময় স্বাধীনতার সুফল।
©somewhere in net ltd.
১| ১১ ই সেপ্টেম্বর, ২০১৪ বিকাল ৩:১০
অমি রহমান পিয়াল বলেছেন: এই লিঙ্কটা দেখতে পারেন Click This Link