নির্বাচিত পোস্ট | লগইন | রেজিস্ট্রেশন করুন | রিফ্রেস |
দেখি শুনি স্মৃতিতে জমা রাখি আগামী প্রজন্মের জন্য, বিশ্বাস রাখি শুকনো ডালের ঘর্ষণে আগুন জ্বলবেই। ভবিষ্যৎকে জানার জন্য আমাদের অতীত জানা উচিতঃ জন ল্যাক হনঃ ইতিহাস আজীবন কথা বলে। ইতিহাস মানুষকে ভাবায়, তাড়িত করে। প্রতিদিনের উল্লেখযোগ্য ঘটনা কালক্রমে রূপ নেয় ইতিহাসে। সেসব ঘটনাই ইতিহাসে স্থান পায়, যা কিছু ভাল, যা কিছু প্রথম, যা কিছু মানবসভ্যতার অভিশাপ-আশীর্বাদ। তাই ইতিহাসের দিনপঞ্জি মানুষের কাছে সবসময় গুরুত্ব বহন করে। এই গুরুত্বের কথা মাথায় রেখে সামুর পাঠকদের জন্য আমার নিয়মিত আয়োজন ‘ইতিহাসের এই দিনে’। জন্ম-মৃত্যু, বিশেষ দিন, সাথে বিশ্ব সেরা গুণীজন, এ্ই নিয়ে আমার ক্ষুদ্র আয়োজন
ছবি গুগলের সৌজন্যে
দাঙ্গাবাজ শকুন !!
© নূর মোহাম্মদ নূরু
ফুল পাখিতে ভরা ছিলো সবুজ এই বাগান,
প্রাণ জুড়াতো শুনে তাদের মিষ্টি মধুর গান।
ময়না টিয়া দোয়েল শ্যামা কত সুরে ডাকে,
মিলে মিশে সবাই হেথায় মনের সুখে থাকে।
লাল পরী আর নীল পরীদের ছিলো আনাগোনা,
আসতো অনেক প্রজাপতি মেলে রঙিন ডানা।
অনেক পাখির কলতানে মুখর যে বাগান,
দিনে দিনে সেই বাগানটি হচ্ছে যে বিরাণ।
শকুন হেথায় ছোবল দিয়ে নিচ্ছে পাখির প্রাণ,
অনেক পাখি যায় পালিয়ে বাঁচাতে তার জান।
দাঙ্গাবাজ শকুনের পাল্লায় পড়ে ভাগ্য দোষে,
বাগান ছেড়ে পালিয়ে যাচ্ছে যারা ছিলো বশে।
চাঁদের দেশের চাঁদ কুমারকে মারছে বহু আগে,
এখনো তার বিরহ ব্যথায় অনেকে রাত জাগে।
সোনার টোপর মাথায় দিয়ে ছিলো সোনার টিয়া
শকুনির দল তাকেও জানি রাখছে কোথায় নিয়া!
শকুনিদের তাড়া খেয়ে মিষ্টি গানের পাখি,
আড়ালেতে ডুকরে কেঁদে ভিজায় দুটি আঁখি।
সময় আছে শকুন তাড়াও পাখিরা হও জোট,
ভোঁতা করো সাহস নিয়ে তাদের নষ্ট ঠোট।
তাড়া খেয়ে দূরে যাবে শকুনিদের পাল,
তা না হলে ছিড়ে খাবে মিষ্টি পাখির ছাল।
আসবে সুদিন শকুন যেদিন বিতাড়িত হবে,
ফুলে ভরা সবুজ বাগান তবেই ফিরে পাবে।
প্রকাশকালঃ ঢাকা-০৬ আগষ্ট ২০২২ ইং
উৎসর্গঃ মডেল হান্টার গোফরান ভাইকে
০৬ ই আগস্ট, ২০২২ বিকাল ৫:৫২
নূর মোহাম্মদ নূরু বলেছেন:
আপনাকে ধন্যবাদ পুরানা দামান।দাঙ্গাবাজ
সব আয়োজন এখন নয়া দামানদের
জন্য, পারানাদের কদর নাই। দাঙ্গাবাজ
শকুনিরা খাবলে খাচ্ছে আমাদের সবুজ
ঘেরা রুল পাখিতে ভরা চারণভূমি ।
রুখতে হবে শকুনিদের না হলে
পরবাসী হতে হবে পুরানা
দামানদের!
২| ০৬ ই আগস্ট, ২০২২ বিকাল ৫:১০
মোহাম্মদ গোফরান বলেছেন: ধন্যবাদ নূরু ভাই। উৎস্বর্গের জন্য। আসলে শকুন শকুনির দোষ দিয়ে লাভ নেই। দোষ আমাদের। আমরা আমাদের বিবেক মনুষ্যত্ব জ্ঞান বুদ্ধি বিসর্জন দিয়ে কারো পেছনে কেউ কুকুরের মত লেলিয়ে দিলে সত্য মিথ্যা যাচাই না করেই ঘেউ শুরু করি। একে অন্যের নিষ্পাপ মা-বাবকে গালি দেই। সহমত না হলেই নোংরা গালি ব্যক্তি আক্রমণ। আমরা নাকি সৃষ্টির সেরা জীব।
০৬ ই আগস্ট, ২০২২ বিকাল ৫:৫৫
নূর মোহাম্মদ নূরু বলেছেন:
শকুনিদের অত্যাচারে একে একে পাড়া ছাড়ছে
নিরীহ পক্ষীকুল! নষ্টদের দখলে যেতে আর খুব
একটা সময় লাগবেনা হয়তো"
৩| ০৬ ই আগস্ট, ২০২২ বিকাল ৫:১১
মোহাম্মদ গোফরান বলেছেন: শকুনির গল্প টা মনে পড়ে গেল -
এক বিরাট তাল গাছ। তার সুউচ্চ ডালে বাস করে এক শকুন-শকুনি। দুজনকে ভালোবেসে তারা লিভ-টুগেদার করছে বেশ কিছুদিন। মানুষের মতো ওদেরও জীবন পাশ্চাত্যের হাওয়ায় বেশ খোলামেলা। লিভ-টুগেদার। অতএব প্রেম। অতএব সন্তান। শকুন উধাও। সন্তান মানে বাচ্চার দায়-দায়িত্ব তখন শকুনির।
বাচ্চা ধীরে ধীরে বড় হলো। বড় হতেই মা-শকুনির কাছে নিত্য-নতুন বায়না। শকুনি জান-মান দিয়ে তার বাচ্চার বায়না মেটায়। কখন এর মাংস। কখন তার মাংস। মানে মরা-পচা-গলা ইঁদুর, সাপ, ব্যাঙ, গরু, ছাগল ইত্যাদি।
একদিন বাচ্চাটা মা-শকুনির কাছে বায়না ধরলো—মা, আমি মানুষের মাংস খাব, এনে দাও না প্লিজ! শকুনি বলল—ঠিক আছে বেটা, সন্ধ্যার সময় এনে দেব। শকুনি উড়ে গেল আর আসার সময় বাচ্চার জন্য শূকরের মাংস নিয়ে এলো।
বাচ্চা বলল—মা, এটা তো শূকরের মাংস, আমি মানুষের মাংস খেতে চাই। মা বলল—ঠিক আছে বেটা, এনে দেব। শকুনিটা উড়ে গেল আর আসার সময় এক মরা গরুর মাংস নিয়ে এলো।
বাচ্চা বলল—আরে এটা তো গরুর মাংস নিয়ে এসেছো, মানুষের মাংস কোথায়? তখন শকুনিটা উড়ে গেল আর শূকরের মাংস একটা মসজিদের পাশে আর গরুর মাংস একটা মন্দিরের পাশে ফেলে দিয়ে চলে এলো।
কিছুক্ষণের মধ্যেই সেখানে সাম্প্রদায়িক দাঙ্গায় কয়েকশ মানুষের লাশ পড়ে গেল। মা আর বেটায় মিলে খুব তৃপ্তিতে মানুষের মাংস খেল।
বাচ্চাটা খেতে খেতে জিজ্ঞেস করল—মা, এত মানুষের মাংস এখানে কী করে এলো? শকুনি বলল—এই মানুষ জাতটাই এরকম রে! ঈশ্বর তো ওদেরকে মানুষ বানিয়ে জন্ম দিয়েছেন, কিন্তু ধর্মের নামে এদেরকে জানোয়ার থেকেও হিংস্র বানানো যেতে পারে! এতদিন এসব কাজ রাজনৈতিক নেতা-মন্ত্রীরা করে মানুষের মধ্যে দাঙ্গা লাগিয়ে রক্তগঙ্গা বইয়ে দিতো, আজ সেই কাজটা আমিই করলাম রে!
০৬ ই আগস্ট, ২০২২ বিকাল ৫:৫৯
নূর মোহাম্মদ নূরু বলেছেন:
শকুনিরা দাঙ্গা বাধানোর কাজটাই দক্ষতার সাথে
করতে পারে! ঘরে আগুন দিয়ে খই খেতে ওস্তাদ
শকুনির পাল। গল্পের জন্য ধন্যবাদ।
৪| ০৬ ই আগস্ট, ২০২২ সন্ধ্যা ৭:২৪
মৌফড়িং বলেছেন: সুন্দর জিনিস অপরিষ্কার করা সহজ কিন্তু অপরিষ্কার জিনিস পুরোপুরি পরিষ্কার করা সম্ভব নয়।
০৬ ই আগস্ট, ২০২২ সন্ধ্যা ৭:৩০
নূর মোহাম্মদ নূরু বলেছেন:
সহজ নয় বলে হাত গুটিয়ে থাকলে কোন দিনই
তা পরিস্কার হবেনা। কাউকে না কাউকে উদ্যোগী
হতেই হবে। তা না হলে দিনে দিনে বিরাণ হবে
সবুজ মাঠ। এয়াসুন সবাই মিলে শকুন তাড়াই!
৫| ০৬ ই আগস্ট, ২০২২ রাত ১০:২০
মরুভূমির জলদস্যু বলেছেন:
কবিতা ভালো হয়েছে।
০৬ ই আগস্ট, ২০২২ রাত ১০:৪৭
নূর মোহাম্মদ নূরু বলেছেন:
আপনার আশ্রমে
বড় ভাইদের নিয়া
আয়োজন করা
খাবার দাবারের গল্প
বলেন।
শুনে রসনা
তৃপ্ত করি।
৬| ০৬ ই আগস্ট, ২০২২ রাত ১০:২৬
মোহাম্মদ গোফরান বলেছেন: আমি তো মডেল হান্টার নই। মডেল মেকার।
০৬ ই আগস্ট, ২০২২ রাত ১০:৪৫
নূর মোহাম্মদ নূরু বলেছেন:
মডেল খুঁইজ্যা না পাইলে
মডেক বানাইবেন ক্যমতে!
মডেল হান্টাররাই মডেল
বানায় রংচং দিয়ে!
৭| ০৬ ই আগস্ট, ২০২২ রাত ১১:৩৭
শূন্য সারমর্ম বলেছেন:
২য় ছবির ফটোগ্রাফার নাকি ডিপ্রেশনে ভুগেছে পরবর্তীতে?
০৭ ই আগস্ট, ২০২২ রাত ১২:০৩
নূর মোহাম্মদ নূরু বলেছেন:
আনি সঠিক জানুনা,
তবে ভোগারই কথা!
অনেক মানসিক চাপ
নিতে হয়েছে তাকে।
৮| ০৭ ই আগস্ট, ২০২২ দুপুর ১:৩৪
সৈয়দ মশিউর রহমান বলেছেন: আমাদের চারপাশেই তো অনেক শকুন।
০৭ ই আগস্ট, ২০২২ বিকাল ৪:৫৬
নূর মোহাম্মদ নূরু বলেছেন:
তাদের আমি দেখি
আপনিও কি দেখেন?
©somewhere in net ltd.
১| ০৬ ই আগস্ট, ২০২২ বিকাল ৪:৫৯
পুরানা দামান বলেছেন: সুন্দর। জনজীবনের প্রতিটি ক্ষেত্রেই এখন এই শকুনদের থাবা। অথচ এরাই একসময় চেতনা, উন্নয়নের নামে হুমায়ুন আজাদের হিংস্র শকুনের ভয় দেখাতো।