নির্বাচিত পোস্ট | লগইন | রেজিস্ট্রেশন করুন | রিফ্রেস

নূর মোহাম্মদ নূরু (পেশাঃ সংবাদ কর্মী), জন্ম ২৯ সেপ্টেম্বর প্রাচ্যের ভেনিস খ্যাত বরিশালের উজিরপুর উপজেলাধীন সাপলা ফুলের স্বর্গ সাতলা গ্রামে

নূর মোহাম্মদ নূরু

দেখি শুনি স্মৃতিতে জমা রাখি আগামী প্রজন্মের জন্য, বিশ্বাস রাখি শুকনো ডালের ঘর্ষণে আগুন জ্বলবেই। ভবিষ্যৎকে জানার জন্য আমাদের অতীত জানা উচিতঃ জন ল্যাক হনঃ ইতিহাস আজীবন কথা বলে। ইতিহাস মানুষকে ভাবায়, তাড়িত করে। প্রতিদিনের উল্লেখযোগ্য ঘটনা কালক্রমে রূপ নেয় ইতিহাসে। সেসব ঘটনাই ইতিহাসে স্থান পায়, যা কিছু ভাল, যা কিছু প্রথম, যা কিছু মানবসভ্যতার অভিশাপ-আশীর্বাদ। তাই ইতিহাসের দিনপঞ্জি মানুষের কাছে সবসময় গুরুত্ব বহন করে। এই গুরুত্বের কথা মাথায় রেখে সামুর পাঠকদের জন্য আমার নিয়মিত আয়োজন ‘ইতিহাসের এই দিনে’। জন্ম-মৃত্যু, বিশেষ দিন, সাথে বিশ্ব সেরা গুণীজন, এ্ই নিয়ে আমার ক্ষুদ্র আয়োজন

নূর মোহাম্মদ নূরু › বিস্তারিত পোস্টঃ

নিছক একটি বেতাল রম্য !!

০১ লা আগস্ট, ২০২২ বিকাল ৫:১৪


নিছক একটি বেতাল রম্য !!
নূর মোহাম্মদ নূরু

পৃথিবীর বড় বড় মনীষীরা বলে গেছেন পৃথিবীতে যত শিল্পমাধ্যম আছে তার মধ্যে কবিতাই শ্রেষ্ঠতম। সুকুমার বৃত্তি প্রকাশের এই শ্রেষ্ঠ মাধ্যমের প্রেমে পড়ে বানের পানির মতো এই দলে যোগ দিচ্ছে মহানসব কবিরা। বিশ্বের আর কোন দেশে আমাদের দেশের মতো এতো কাক আছে কিনা জানিনা, তবে কাকের সংখ্যা যে অগুনিত তা অনস্বীকার্য। দূর্মুখেরা বলেনঃ
কাব্য পঁচেছে কুষ্ঠ রোগেতে
কবিতা হয়েছে বাঁশি
আমার দেশে কাকের চাইতে
কবির সংখ্যা বেশি।

ঢাকা শহরে নাকি এখন কাক ও কবির সংখ্যা সমান। তার প্রমানও মিলছে। এর কারণ নাকি বাঙ্গালীর আবেগচিত্ত মন। আমার আজকের বিষয় কাক নিয়ে গবেষণা নয়। তবে বেশ কিছু দিন যাবৎ লক্ষ্য করছি বাংলা ভাষায় বিভিন্ন ব্লগে কিছু ব্লগার বন্ধুরা ধুমছে কবিতা লিখছেন। মাঝে মাঝে আমি তাদের কবিতায় দুই/চার ছত্রের ছন্দ মিলে মন্তব্য এবং দু/চারটি ছড়া/কবিতা লিখে আমিও হয়ে গেছি তথাকথিত কবি! যদিও অনেকে উপহাস ছলে তাকে তড়িং বিড়িং ছড়া বলে টিপ্পনী কাটে! আমি জানি কবিতা লিখবার মতো সামান্যতম জ্ঞানও আমার নাই। তাই কবির দলে আমার অন্তর্ভূক্তি মনে করিয়ে দেয় কাকের সাথে পাল্লা দিয়ে দেশে বেড়ে যাচ্ছে কবির সংখ্যা। তাই তথাকথিত এই সকল কবিদের নিয়ে নেতবিাচক মন্তব্য করতে শংকা বোধ করছি। কারণ একটা কাকের কিছু হলে যেমন রাজ্যের কাক একসাথে জড়ো হয়ে কা-কা করতে থাকে তেমনি একজন কবিকে কিছু বলা হলে রাজ্যের কবিরা মিলে তার কী হাল করতে পারে সে চিন্তায় পেরেশান আমি। তবে আমি বিনয়ের সাথে সকল কবিদের কাছে ক্ষমা চেয়ে বলেতে চাই এটা শুধুই আমার ব্যক্তিগত মতামত ও নিছক একটি রম্য কথন। সুতরাং কেউ একে সিরিয়াসলি নিয়ে অযথা মনকষ্টে ভুগবেন না। তা ছাড়া যেহেতু কোন বিষয়ে মতামত প্রদান আমার মৌলিক নাগরিক অধিকার তাই কারো কাছে আমার মতামত গ্রহণযোগ্য না হলে আপনারা যুক্তি দিয়ে তা খণ্ডন করতে পারেন। আপনাদের মুক্ত মতামত আমার ভুল ভাঙ্গাতে সহায়তা করবে বলে আমার ধারণা। কারণ কোন ভুলের উপর দাঁড়িয়ে সত্য প্রতিষ্ঠা করা বাতুলতা। এবার আমি বাংলা ভাষায় বিভিন্ন ব্লগের নব্য কবিদের নিয়ে আমার পর্যবেক্ষণ ও ব্যক্তিগত মত প্রকাশ করছি।

বাঙ্গালীরা জন্মগত ভাবেই কবি! পৃথিবীতে এমন একটি বাঙ্গালী খুঁজে পাওয়া যাবে না যে জীবনে একবারের জন্যও দুলাইন কবিতা লেখেননি। জরিপ করলে হয়তো দেখা যাবে দেশের প্রতি ১০ জন মানুষের মধ্যে ৬ জনই কবি। অর্থাৎ কোন না কোন সময় তারা কবিতা লিখেছেন বা রচনা করেছেন। কেউ গদ্য রীতিতে কবিতা লেখেন, কেউবা আবার ছন্দ মিলিয়ে। আমার মতো মোটা মাথার মানুষের কাছে মনে হয় ছন্দ হলো কবিতার প্রাণ। কারন সুলিখিত ও উপযুক্ত শব্দ-বাক্যে গঠিত ছড়া-কবিতা-গানকে আবৃত্তি বা পাঠের সময় যে রিদম ও দ্যোতনার ঢেউ সৃষ্টির মাধ্যমে আমাদের হৃদয়-মনকে উদ্বেলিত-আন্দোলিত করে, তাইতো ছন্দ। ছন্দের আকর্ষণেই ছড়া-কবিতা পড়তে মজা পাওয়া যায়। অথচ অন্তমিলবিহীন মুক্ত ছন্দের নামে অনেকেই আজকাল রাতারাতি কবি বনে যাচ্ছেন দেখে আমার মাঝে মাঝে হাসিও পায়। আবার যারা শুধু অন্তমিলকেই ছন্দ মনে করে--কবি মধুসুদনের ভাষায় ''শব্দে শব্দে বিয়ে দিলেই কবিতা হয়না'' তারাও বোকামী করে। এদের উচিৎ আধুনিক বা গদ্য কবিতা মুক্ত ছন্দের কবিতা কী বা কাকে বলে তা মধু কবির লেখা থেকে শিখে নেয়া। তবে আধুনিক কবিদের সেই চিন্তা করতে হয়না। এটার নাম গদ্য কবিতা। আধুনিক কবিরা গদ্য লিখে যান ইচ্ছামত, নাম দেন কবিতা। আমাদের এই সম্ভাবনাময় কবি আর কবিনীর অনেকেরই নেই বানান সম্পর্কে কোন জ্ঞান, নেই ছন্দ আন্ত মিল সম্পর্কে কোন ধারণা। কেউ কেউ আবার উল্টা পাল্টা লাইন একটার পর আরেকটা লিখে সেটাকেই কবিতা বলে চালিয়ে দেন ও তাদের কবিতাকে গদ্য কবিতা বলে দাবি করেন। এদের কবিতার ১ম অন্তরায় ৪ লাইন থাকলেও পরবর্তীতে অবলিলায় পাঁচ/ছয়, আট কিংবা নয় ছত্রেও শেষ করেন। ভাবখানা এমন যেন কোন অত্যাধুনিক কাব্যধারা সৃষ্টি করে কবিতাঙ্গনকে ধন্য করলেন। আসলে এই সব তথাকথিত “আধুনিক গদ্য কবিতা” আদৌ কবিতা কিনা সেটা নিয়েই যথেষ্ট সন্দেহের অবকাশ আছে। ইদানিংতো কেউ কেউ আবার সেই কবিতায় সুর জুড়ে দিয়ে গান বানিয়ে ফেলছেন! মুচকেকা দিতে হিয় কেবল হিরো আলমদের! সে যা হোক, ছন্দ মিলিয়ে একটা কবিতা লিখলে তা সব সময় সুন্দর হোক বা না হোক সেই কবিতাটি নিয়ে সাধারণতঃ প্রশ্ন আসে না যে এটি কি কবিতা হয়েছে নাকি হয়নি। আমার ধারণা যারা ছন্দ মিলিয়ে কবিতা লিখতে পারে না, তারাই ছন্দ ছাড়া কবিতা লিখে। পুরোনো দিনের সব কবিই ছন্দ দিয়ে কবিতা লিখতেন। মাইকেল মধূসুদনের কবিতাতেও "সনেট" এর ছন্দ ছিলো। রবীন্দ্রনাথ ঠাকুর, কাজী নজরুল ইসলাম সকলেরই ছন্দ মেলানো কবিতা রয়েছে। আর সত্যন্দ্রনাথ দত্তকে বলা হয় ছন্দের যাদুকর। আমার মতে সকলেরই উচিত ছন্দ মিলিয়ে , বাংলাদেশে এত কাব্য-সমালোচক আছে এটা আমার চিন্তার ও অতীত ছিল। অনেকে ভূয়সী প্রশংসা করেন। এমন প্রসংশা যে কবিতার লেখক ও হয়তো লজ্জাবোধ করেন তাদের প্রশংসা বাক্যে। পঞ্চমুখ বলে একটা কথা শুনেছিলাম। তবে কাদের পঞ্চমুখ আছে তা আজও দর্শনের সুযোগ হয় নাই। পাঁচ মুখের সমাহারে পঞ্চমুখ হয় বলে আমার ধারণা। বিভিন্ন ব্লগের এই সকল নব্য কবিদের কবিতা পাঠ করে (!) (পাঠ না করেও হতে পারে) অনেক বন্ধুরা উচ্ছ্বাসিত প্রশংসা করে থাকেন। এক কথায় প্রশংসায় পঞ্চমুখ হন। বিশেষ করে সেই কবি যদি বিপরীত লিঙ্গের হন তা হলে মাত্রাটা হয় লাগাম ছাড়া। তারা তাদের মন্তব্যে যে বাক্য প্রয়োগ করেন তা দৃষ্টে ধারণা হয় পাঠকদের যদি ক্ষমতা থাকতো তা হলে হয়তো তারা তাকে নোবেল পুরস্কার দিয়ে দিতেন। তাদের এহেন বাক্য প্রয়োগে আমার মতো অনেকেই বিব্রত বোধ করেন। যারা সত্যি কবিতার সমঝদার বা যারা কবিতার বিজ্ঞ পাঠক তারও নিশ্চয়ই এই সকল নব্য কবিদের লেখার মন্তব্যকারীদের মন্তব্য দেখে মুচঁকি হাসেন। নির্ভরযোগ্য সুত্রে জানাযায় মন্তর্বকারীদের অনেকেই আছেন যারা কবিতাতে comments করেন কবিতাটা না পরেই। …হয়তো অন্য কারো comments দেখেই তাঁরা তাঁদের জ্ঞানগর্ভ comments লিখে সেই সব কবি-কবিনী দের উতসাহ দেন। নব্য কবি আর তাদের চাটুকারী পাঠকদের প্রশংসাসূচক মন্তব্য দেখে শুধু বলতে ইচ্ছা হয় "হায় সেলুকাস ! কি বিচিত্র আমাদের ব্লগের নব্য কবি ও তার পাঠক"।

কবিতা লেখা বা লেখবার চেষ্টা অবশ্যই দোষের কিছু নয়। প্রতিটি মানুষের জীবনে একটা সময় আসে যখন সব কিছুই ভালো লাগে। নিজেকে কবি কবি ভাবতে ইচ্ছা করে। আপনারও হয়তো সেই সময় এসেছে বা আসবে। হয়তো আমার মতো সে সময় পেরিয়ে গেছে। আমিও একসময় কবি হবার ইচ্ছা হতো। ইচ্ছার সময়টাতে বেশ কিছু কবিতা লিখে খাতার পাতা পূর্ণ করে ফেলেছি। তারপর তা পত্রিকার পাতায় প্রকাশের খায়েস জাগলো। দ্বারস্থ হলাম আমার পরিচিত এক প্রকাশকের । তিনি মনোযোগসহকারে কবিতাগুলো পাঠ করে মন্তব্য করলেন. "কবিতাসমূহে আমার আবেগ ও যত্নের ছাপ থাকলেও কবিতার অন্তরা ও ছন্দের পতন হয়েছে।" তিনি প্রথিতযশা কবিদের লেখা বেশী বেশী করে পড়ার এবং আরও লিখবার পরামর্শ দিলেন। তিনি আরও পরামর্শ দিলেন ” গদ্য কবিতা লেখার চেষ্টা করতে পার ”। আমি গদ্য কবিতা লেখার নিয়ম কানুন জানতে চাইলে তিনি যা বললেন তাতে আমার আক্কেল গুড়–ম। তার পরামর্শ - ”প্রথমে যেকোন একটা বিষয়ে রচনা লিখবে। গরুর রচনা হলেও ক্ষতি নাই। তার পার রচনাটির দুই পার্শ্ব থেকে এক ইঞ্চি করে ছেটে ফেলবে দেখবে চমৎকার একটি গদ্য কবিতা রচনা করে ফেলছ।” আমি সেদিন তার সেই কথার মানে না বুঝলেও এখন বুঝতে পারছি বিভিন্ন ব্লগরে কিছু নব্য কবিদের কবিতা পঠ করে। আমার বিজ্ঞ সম্পাদক সাহেবের উপদেশবানী ও তার মন্তব্যে হতাশ হয়ে কবি হবার বাসনাকে নির্বাসন দিয়ে গুণীজনের সাত কাহন, গদ্য ও কলাম লেখায় মনোযোগী হয়েছি।

উপসংহারে বলবো, এটি নিছক একটি বেতাল রম্য! কবিতা লিখতে হলে যা প্রয়োজন তা হলো বেশী বেশী করে প্রতিষ্টিত কবিদের কবিতা পাঠ করা ও লেখার চর্চা করা। এর কোন বিকল্প নাই। কবির হাত পাকানোর জন্য অবশ্যই অন্তমিলযুক্ত ছন্দবদ্ধ কবিতা দিয়ে শুরু করা উচিত। কারণ যদি কবিতায় ছন্দ না থাকতো তাহলে পত্রিকার কলামকেও কবিতা বলা হতো। ছন্দ ছাড়া যদি কবিতা হয় তাহলে মীর মোশাররফ হোসেনের 'বিষাদ সিন্দু' এবং বিভূতীভূষণ বন্দোপাদ্যায়ের 'পথের পাঁচালী' উত্তম কবিতার বই। কারণ গাড়িতে ঘুমালেও গাড়ির সে ঘুম ভেঙ্গে গেলে আপনি রেগে যাবেন অবশ্যই। ছন্দহীন কবিতাপাঠেও পাঠকের তেমন বিরক্তি আসবে। তা ছাড়া কবিতাটি কোন ব্লগে পোস্ট করার পূর্বে কোন একজন বিজ্ঞজনকে দিয়ে তার ভুল ত্রুটি সংশোধন করে নেওয়া। আর যারা সত্যিই কবিতা বোঝেন তাদের উচিৎ যথার্থ সমালোচনা করা। শুধু কবিকে সন্তষ্ট করার জন্য বা তার কাছে আসবার চেষ্টা পরিহার করে তার গঠনমূলক পরামর্শ দিন যেন সে আরো ভালো লেখায় উদ্বুদ্ধ হন; ভালো লেখা উপহার দিতে সক্ষম হন। মুক্তছন্দের নামে যারা পত্রিকার কলামের মত করে ছন্দহীন কিছু লাইন সাজিয়ে কবিতা লেখে, তারা কোনোদিনই ভাল কবি হবেন না। আর তা পত্রিকায় ছাপা হলেই খুশি হবারও কারণ নেই। তাই লিখতে হলে ছন্দ শিখতেই হবে। নতুবা কবি কবি ভাব, ছন্দের অভাব, থেকেই যাবে। তাই তথাকথিত কোন কবিতার স্রষ্টা হয়ে কারো বিরক্তির উদ্রেগ করতে চাইনা। আমার লেখার সাথে যারা একমত তাদের মন্তব্য আশা করি । আর যারা দ্বিমত পোষণ করেন তাদের কাছ থেকে ব্যাখ্যা । আমার লেখা কারো মনোপীড়ার কারন হলে নিজগুণে ক্ষমা করবেন এই প্রত্যাশায়।

বিঃদ্রঃ আমার বিশ্বাস কবিতা লেখা বা বুঝার ক্ষমতা সবার থাকে না। আমি সেই দলের। মোটা মাথার কবিতা পাঠক বলা যায়। ছন্দের মিল না থাকলে আমার কাছে সেটা কবিতা বলে মনে হয়না। ছন্দের মিল না থাকলে বা ছন্দপতন কবিতার অংগহানী করে বলে আমার মোটা মাথার উদ্ভট থিউরি। তাছাড়া আমি সম্মানের সাথে সেই সকল প্রতিথযশা ও গুণী গদ্য কবিদের আমার এ লেখার আওতামূক্ত রেখেছি যারা সত্যিই অনেক গদ্য কবিতা লিখে প্রতিষ্ঠিত হয়েছেন। আমার লেখা তাঁদের জন্য নয়, আমি ইদানিং বিভিন্ন ব্লগের নব্য কবিদের লেখা নিয়ে আমার স্বাধীন মত প্রকাশ করছি মাত্র। আমি কোন কবিকে আক্রমন করে অদ্যকার লেখাটি লেখিনি। আমার গতানুগতিক লেখার বাইরে অদ্যকার পোস্ট। তবে সব দ্বায়ভার নিয়ে বলছি যারা কবিতা না বুঝে বা না পড়ে ভাল বলে কমেন্ট করেন তাদের কটাক্ষ করে আমার এই লেখা। কারণ আমি আশা ও বিশ্বাস করি আমার এ লেখা কবি ও পাঠক তাদের কবিতা ও মন্তব্য সম্পর্কে সচেতন হবেন। মত-দ্বিমতের দোলায় দুলুক আজকের এই রম্য লেখাটি সেই প্রত্যাশায়।

পুনঃপ্রকাশঃ (ঈষৎ পরিবর্তিত) ১ আগষ্ট ২০২২ ইং
সূত্রঃ

মন্তব্য ২৬ টি রেটিং +১/-০

মন্তব্য (২৬) মন্তব্য লিখুন

১| ০১ লা আগস্ট, ২০২২ বিকাল ৫:২২

মরুভূমির জলদস্যু বলেছেন:
আমার ধারনা এটি আপনার কিছু কিছু কপি-কাট-পেস্ট টাইপ পোস্ট।
আমার ধারনা যদি ঠিক হয় তাহলে সূত্র উল্লেখ না করার আপত্তি আসতে পারে।
আর আমার ধারনা যদি ভুল হয় তাহলে আপনাকে অভিনন্দন।

০১ লা আগস্ট, ২০২২ সন্ধ্যা ৭:৩২

নূর মোহাম্মদ নূরু বলেছেন:
দাদা প্রথম প্রকাশের সাত বছর পরে
সূত্র চাইলেন! যারা আপত্তি করবে তারা
সুত্র পেলেও আপত্তি জানাবে! গাধা সংহার
করতে বাঘের ছলের অভাব হবার কথা নয়!

২| ০১ লা আগস্ট, ২০২২ বিকাল ৫:২৩

সোনাগাজী বলেছেন:



কবিতা হচ্ছে সাহিত্যের সবচেয়ে শক্তিশালী ও ছন্দময় শাখা।

০১ লা আগস্ট, ২০২২ সন্ধ্যা ৭:৩৬

নূর মোহাম্মদ নূরু বলেছেন:
ছন্দময় শাখাতেই যদি ছন্দ না রয়,
তা হলে ব্যাপারটা কোথায় গিয়ে দাঁড়ায়!
কবি গুরু শুরু করেন ছন্দে মাখা মাখি,
জল পড়ে পাতা নড়ে এতে নাই ফাঁকি।

৩| ০১ লা আগস্ট, ২০২২ বিকাল ৫:২৪

শূন্য সারমর্ম বলেছেন:


ঢাকা শহরে কাক থেকে কবির সংখ্যা বেশি।

০১ লা আগস্ট, ২০২২ সন্ধ্যা ৭:৩৮

নূর মোহাম্মদ নূরু বলেছেন:
এটা আপনার আমার কথা নয়,
কিন্তু এর সূত্র পাই কই!

৪| ০১ লা আগস্ট, ২০২২ বিকাল ৫:৪৪

ভার্চুয়াল তাসনিম বলেছেন: পোস্টটি লিখতে আপনাকে প্রসঙ্গত কয়েকটি লেখা পড়তে হয়েছে । পড়ার পর এই পোস্টটি ডেভেলপ করেছেন।

সবাই নিজ নিজ মত লিখুক। লিখতে তো কোন সমস্যা নেই।

০১ লা আগস্ট, ২০২২ সন্ধ্যা ৭:৪৯

নূর মোহাম্মদ নূরু বলেছেন:
সবার নিজ নিজ মতো লিখুক, সবাই নিজ নিজ মতো
বলুক, সবাই নিজ নিজ মতো চলুক সবাই তার ইচ্ছা
মতো গাইবে কোন সমস্যা নাই, কিন্তু মুচলেকা কেনো?

৫| ০১ লা আগস্ট, ২০২২ সন্ধ্যা ৬:৪১

সোনাগাজী বলেছেন:



কবিতা লেখার জন্য বিষয়ের উপর আধুনিক জ্ঞান ও সম্যক ধারণা থাকতে হয়; না'হয় উহা ছন্দের গার্বেজে পরিণত হয়।

০১ লা আগস্ট, ২০২২ সন্ধ্যা ৭:৪০

নূর মোহাম্মদ নূরু বলেছেন:
কথা সত্য!
আমরা প্রতি নিয়ত
গার্বেজ ভক্ষন করে
গার্বেজে পরিণত
হচ্ছি!

৬| ০১ লা আগস্ট, ২০২২ সন্ধ্যা ৬:৪৭

কামাল৮০ বলেছেন: এতো সুন্দর গুরু-গম্ভীর প্রবন্ধের মাঝ খানে হিরো আলমকে আনা ঠিক হয় নাই।

০১ লা আগস্ট, ২০২২ সন্ধ্যা ৭:৪৫

নূর মোহাম্মদ নূরু বলেছেন:
তাকে নিয়ে না আসলে
এটা বেতাল রম্য
হতো কী?

৭| ০১ লা আগস্ট, ২০২২ সন্ধ্যা ৭:১৮

রূপক বিধৌত সাধু বলেছেন: অল্প কথায় অনেক কথা বলার শ্রেষ্ঠ মাধ্যম হলো কবিতা।

০১ লা আগস্ট, ২০২২ সন্ধ্যা ৭:৫৩

নূর মোহাম্মদ নূরু বলেছেন:
কবিতা মনের ভাব প্রকাশের
শ্রেষ্ঠ মাধ্যম যদি তা সুচারুরূপে
বা নান্দনিক রূপে প্রকাশ পায়।

৮| ০১ লা আগস্ট, ২০২২ সন্ধ্যা ৭:৫৭

পদাতিক চৌধুরি বলেছেন: আপনি আপনার মতামত জানাতেই পারেন। ব্লগে সবারি মত প্রকাশের স্বাধীনতা আছে। অনেকেরই লেখা খুবই দুর্বল। কিন্তু সেটা যদি আমরা সরাসরি বলি তাহলে সে আগ্রহ হারিয়ে ফেলবে। কাজেই সেক্ষেত্রে একটু মধ্যপন্থা নিয়ে কবিতা ভালো হচ্ছে বলে কয়েকটি ভুল ধরিয়ে দিলে সে ব্যক্তি লেখায় আগ্রহ পাবে।ক্রমশ উন্নতি করতে পারে নিজের লেখালেখি।
দ্বিতীয় আরেকটি বিষয়। আমরা হাতুড়ে লেখকরাই ব্লগে লিখি।যারা সুনাম অর্জন করেছেন তারা আর ব্লগে ফেরেননা। কাজেই আমরা যারা ব্লগে এখনও পড়ে আছি তাদের লেখা দুর্বল বা গার্বেজ মেনে নিয়েই এখনও পর্যন্ত টিকে আছি বা আছে। কাজেই হাবিজাবি কেউ লিখলে আর যাইহোক খারাপ কিছু তো নয় উল্টে নিজেদের বন্ধুত্ব গড়তে বা এমন মিথোস্ক্রিয়া মন্দ নয়।
অবশ্য আমি আমার কথা বললাম।
ভালো থাকবেন নুরু ভাই সবসময়।

০১ লা আগস্ট, ২০২২ রাত ১০:৪৬

নূর মোহাম্মদ নূরু বলেছেন:
আপনাকে ধন্যবাদ দাদা,
আপনি মধ্যম পন্থা অবলম্বন
করার পরামর্শ দিয়েছেন; এটা
ভালো। কিন্তু কেউ যখন অযাচিত
ভাবে পায়ে পারা দিয়ে পরিস্থিতি
ঘোলাটে করতে চায় তখন বিড়াল
যতটুকু সম্ভব সহ্য করে যায়;
কিন্তু নিয়ন্ত্রণের বাইরে গেলে
হয় খামছি মারে নয়তো গাছে
ওঠে! সবাইতো গৌতম বুদ্ধ
হতে পারেনা!
আপনার মূল্যবান পরামর্শের
জন্য ধম্যবাদ।

৯| ০১ লা আগস্ট, ২০২২ রাত ৮:১৪

মোহাম্মদ গোফরান বলেছেন: প্রতিদিন গার্বেজ পোস্ট আসবে। ঐগুলা এড়িয়ে চলুন।
বিসমিল্লাহ বলে ক্যাচাল শুরু করলে ধর্ম অবমাননা হবে না, বিসমিল্লাহ বলে গান গাইলেও ধর্মমাননা হবে না। কেউ ধর্ম নিয়ে ২ টা গঠনমূলক সমালোচনা করলে ধর্ম অবমাননা হবে। একটা ছবি দিলে হারাম কিন্তু প্রেমের কবিতা উপন্যাস লিখলে হালাল। অথচ ইসলামে দুইটাই হারাম। অনেকের মতে তারা যেটা করসে সেটা হালাল অন্য কেউ যা করসে সব হারাম। তারা পাক্ষা মুসলমান বাকি সব নাস্টেক।

এসব মেনে নিতে পারলে ওনাদের ব্লগে থাকুন না হলে চলে যান।

০১ লা আগস্ট, ২০২২ রাত ১০:৫৪

নূর মোহাম্মদ নূরু বলেছেন:
অন্যায় যে করে আর অন্যায় যে সহে
তব ঘৃণা তারে তৃণ সম দহে "

জানিনা কি তেলেসমাতি তিনি করে রেখেছেন!
আমি তাকে জবাব দিলে সে মন্তব্য সবগুলো
প্রকাশিত হয়না। যেটা তার পছন্দ হয় সেটা
প্রকাশ করেন! তাই ভাবছি তাকে আর কোন
মন্তব্য নয়! ওনারা সব নেককার বান্দা,
লাল পানি পান করতেও বিসমিল্লাহ...

১০| ০১ লা আগস্ট, ২০২২ রাত ৮:১৯

কামাল৮০ বলেছেন: কবি যুদ্ধ শুরু হয়ে গেছে।

০১ লা আগস্ট, ২০২২ রাত ১০:৫৬

নূর মোহাম্মদ নূরু বলেছেন:
ইচ্ছা থাকলেও উপায় নাই!
তিনি কমেন্টস মডারেশনের
চিপায় ফেলে জয় ছিনিয়ে নেন!

১১| ০১ লা আগস্ট, ২০২২ রাত ৮:২৯

গেঁয়ো ভূত বলেছেন:


”প্রথমে যেকোন একটা বিষয়ে রচনা লিখবে। গরুর রচনা হলেও ক্ষতি নাই। তার পার রচনাটির দুই পার্শ্ব থেকে এক ইঞ্চি করে ছেটে ফেলবে দেখবে চমৎকার একটি গদ্য কবিতা রচনা করে ফেলছ।”


উপরোক্ত কথাগুলো ছাত্রজীবনে আমার বন্ধুর মুখে শুনেছিলাম, কিন্তু কথাগুলো কার জানতে ইচ্ছে করছে।

আপনার লেখাটি ভালো লেগেছে।

০১ লা আগস্ট, ২০২২ রাত ১১:০১

নূর মোহাম্মদ নূরু বলেছেন:
উপরোক্ত কথাগুলো আমিও আমার ছাত্রজীবনে আমার বাংলা স্যারের মুখে শুনেছিলাম, কিন্তু কথাগুলো যে কার তা তখন তাকে জিজ্ঞাসা করার বুদ্ধি ছিলোনা। তখন ভাবতাম এটা স্যারেরই কথা! এখন যে হারে সবাই সূত্র খুঁজে তা যদি মনে আসতো তা হলে অবশ্যিই সূত্র জেনে নিতাম। আপনি সূত্র খুঁজে পেলে আমাকে অবশ্যই জানাবেন

১২| ০২ রা আগস্ট, ২০২২ সকাল ১১:২৩

মহাজাগতিক চিন্তা বলেছেন: অল্পকষ্টে দু’কলম লিখে বলে কাকের সাথে তুলনা?

০২ রা আগস্ট, ২০২২ বিকাল ৫:৫৬

নূর মোহাম্মদ নূরু বলেছেন:
আমার কি সাধ্য বলুন কাউকে বলি কাক,
ঘুমের ঘোরে স্বপন মাঝে শুনি কাকা ডাক।
সবাই কি আর কোকিল হয় কাকের কেনো দোষ,
কাকের এমন ডাক শুনিলে কেন করে ফোঁস

১৩| ০৭ ই আগস্ট, ২০২২ সকাল ৯:২৯

জুল ভার্ন বলেছেন: খুব সুন্দর লিখেছেন!
কবিদের আমার যেমন শ্রদ্ধা, তেমনই হিংসা।
শ্রদ্ধা করিঃ- একজন প্রবন্ধকার কিম্বা একজন সাহিত্যিক শত পৃষ্ঠার একটা বইয়ে যা বলেন- একজন কবি সেই বক্তব্যই মাত্র এক পৃষ্ঠার একটা কবিতায় অসম্ভব সুন্দর করে বলেন- সেখানেই একজন কবির মেধার পরিচয়।
হিংসা করিঃ- একজন কবির মতো মেধা-জ্ঞান আমার ছিটেফোটাও নাই সেই আক্ষেপে।

০৮ ই আগস্ট, ২০২২ রাত ১২:০৫

নূর মোহাম্মদ নূরু বলেছেন:
অনেক অনেক ধন্যবাদ আপনাকে
সুন্দর দৃষ্টিভঙ্গির জন্য।

আপনার মন্তব্য লিখুনঃ

মন্তব্য করতে লগ ইন করুন

আলোচিত ব্লগ


full version

©somewhere in net ltd.