নির্বাচিত পোস্ট | লগইন | রেজিস্ট্রেশন করুন | রিফ্রেস |
দেখি শুনি স্মৃতিতে জমা রাখি আগামী প্রজন্মের জন্য, বিশ্বাস রাখি শুকনো ডালের ঘর্ষণে আগুন জ্বলবেই। ভবিষ্যৎকে জানার জন্য আমাদের অতীত জানা উচিতঃ জন ল্যাক হনঃ ইতিহাস আজীবন কথা বলে। ইতিহাস মানুষকে ভাবায়, তাড়িত করে। প্রতিদিনের উল্লেখযোগ্য ঘটনা কালক্রমে রূপ নেয় ইতিহাসে। সেসব ঘটনাই ইতিহাসে স্থান পায়, যা কিছু ভাল, যা কিছু প্রথম, যা কিছু মানবসভ্যতার অভিশাপ-আশীর্বাদ। তাই ইতিহাসের দিনপঞ্জি মানুষের কাছে সবসময় গুরুত্ব বহন করে। এই গুরুত্বের কথা মাথায় রেখে সামুর পাঠকদের জন্য আমার নিয়মিত আয়োজন ‘ইতিহাসের এই দিনে’। জন্ম-মৃত্যু, বিশেষ দিন, সাথে বিশ্ব সেরা গুণীজন, এ্ই নিয়ে আমার ক্ষুদ্র আয়োজন
একটি কুড়ি দুটি পাতা রতনপুর বাগিচায়
অমল কোমল হাত বাড়িয়ে লছমি আজো তোলে
গানের কথা ড.ভুপেন হাজারিকা
পাহাড়, টিলা ঝরনা, হাওর, নদী, বন-বনানীর ঢেউ খেলানো ঘন সবুজে আচ্ছ্বাদিত সাজানো গোছানো এক সবুজ প্রান্তর সিলেটের চা-বাগান।এই জনপদের অপর এক নাম ‘দুটি পাতা একটি কুঁড়ি’র দেশ। চা শিল্পের ইতিহাস পাঁচ হাজার বছরের পুরোনো। ১৮৩৩ সালে ভারতবর্ষে প্রথমে ইস্ট-ইন্ডিয়া কোম্পানি চায়ের আবাদ শুরু করে। ১৮৫০ সালে তৈরি করা হয় সিলেটের মালনীছড়া চা-বাগান। ১৮৫৪ সালে আমাদের দেশে মালনীছড়ায় প্রথম বাণিজ্যিকভাবে চা উৎপাদন শুরু হয় । সারাদেশের ১৬২টি চা-বাগানের মধ্যে সিলেটে চা-বাগানের সংখ্যা ১৩৮টি। এগুলোর মধ্যে বেশিরভাগ চা-বাগান মৌলভীবাজার ও শ্রীমঙ্গলে। আর কিছু বাগান রয়েছে সিলেট ও হবিগঞ্জে ।
সূত্রঃ চা শিল্পের ইতিহাসঃ আতবুল কাশেম৷
দুটি পাতা একটি কুঁড়ি’র দেশ আজ জলমগ্ন!
স্মরণ কালের ভয়াবহ নন্যায় এবার তলিয়ে গেছে দুটি পাতা একটি কুড়ির এই সবুজ দেশ।
গত ১৮ বছরের মধ্যে সিলেটে এটিই সবচেয়ে বড় বন্যা।
১৮ বছর আগে ২০০৪ সালে এমন পানি হয়েছিল। সিলেটে এবারের বন্যা পরিস্থিতি মনে করিয়ে দিল সেই স্মৃতি। গত ১৮ বছরের মধ্যে এবারই সবচেয়ে বড় বন্যা হয়েছে।
এবারের বন্যায় থেমে থেমে পানি বেড়ে সিলেটের বেশির ভাগ এলাকাই এখন পানির নীচে। সিলেটের ৬টি উপজেলা বন্যায় সবচেয়ে ক্ষতিগ্রস্ত হয়েছে। এ ছাড়া পানি উঠে গেছে নগরের বেশির ভাগ এলাকায়ও। পানির তোড়ে জেলার বিভিন্ন এলাকায় ইতোমধ্যেই ভেঙে গেছে ২০টি নদীরক্ষা বাঁধ। পানি এত বেশি আসছে যে বাঁধগুলোতে পানি উপচে পড়ছে। কিছু কিছু জায়গায় বাঁধ ক্ষতিগ্রস্ত হয়েছে। পানি অতিরিক্ত থাকায় বাঁধগুলো সংস্কার কাজও করা যাচ্ছেনা। সিলেট শহরের অন্তত ২০টি এলাকা প্লাবিত হয়েছে। ডুবে গেছে এসব এলাকার সড়ক। বাসাবাড়ি, দোকানপাট, শিক্ষাপ্রতিষ্ঠান এবং বিভিন্ন সরকারি অফিসেও পানি ঢুকে পড়েছে। এ অবস্থায় ঘরে রান্না বন্ধ, এমনকি বাথরুমও ব্যবহার করা যাচ্ছে না। এবারের বন্যায় সিলেটের জৈন্তাপুরে এ পর্যন্ত ৪০ একর বীজতলা পানির নিচে নিমজ্জিত এবং প্রায় ১০০ হেক্টর বোরো ধান তলিয়ে গেছে।
বন্যায় জকিগঞ্জ উপজেলার বারহাল, মানিকপুর, কাজলসার, বিরশ্রী ইউনিয়নের অর্ধ লক্ষাধিক মানুষ পানিবন্দি হয়ে পড়েছেন বলে খবর পাওয়া গেছে। বারহাল ইউনিয়নের চেয়ারম্যান মোস্তাক আহমদ জানান- তার ইউনিয়নের নোয়াগ্রাম, উত্তর খিলোগ্রাম, চকবারাকুলি, শরীফাবাদ, শাহগলী বাজার ও কচুয়া এলাকা সুরমা নদীর ডাইক ভেঙে তলিয়ে গেছে।
বেশির ভাগ গ্রামীণ সড়ক তলিয়ে যাওয়ায় জকিগঞ্জের যোগাযোগব্যবস্থাও ব্যাহত হচ্ছে।
এ ছাড়া বন্যায় তলিয়ে গেছে কানাইঘাট, সদর, গোয়াইনঘাট, ফেঞ্চুগঞ্জ ও কোম্পানীগঞ্জ উপজেলার বেশির ভাগ এলাকাই। এসব এলাকার বেশির ভাগ সড়কই তলিয়ে গেছে। পানি উঠে গেছে কানাইঘাট থানায়ও। ঘরবাড়ি তলিয়ে যাওয়ায় নিজেদের পাশাপাশি গবাদিপশু নিয়েও বিপাকে পড়েছেন এসব এলাকার বাসিন্দারা। প্লাবিত প্রতি উপজেলায় আশ্রয়কেন্দ্র খোলা হয়েছে। বন্যাকবলিতদের প্রয়োজনীয় খাদ্য সহায়তাও দেয়া হচ্ছে।
ব্যক্তিগত ও সামাজিক যোগাযোগ মাধ্যমের সদস্যরাও তাদের সাধ্যমতো ত্রাণ বিতরণ করছে বন্যাকবিলত মানুষের মাঝে। যাদের মধ্যে সাম হোয়্যার ইন ব্লগের মডারেটর কাল্পনিক ভালোবাসা ( জাদিদ ভাই) এবং এক রঙা এক ঘুড়ির পক্ষথেক নীল সাধুর নাম উল্লেখযোগ্য। আমরা অচিরে দিলেটবাসীর দুরাবস্থা কাটিয়ে ওঠার জন্য মহান আল্লাপাকের দরবারে মোনাজাত করছি।
© নূর মোহাম্মদ নূরু
গণমাধ্যমকর্মী
[email protected]
২৩ শে জুন, ২০২২ সন্ধ্যা ৬:১৩
নূর মোহাম্মদ নূরু বলেছেন:
আপনাকে অনেক ধন্যবাদ গোফরান ভাই,
সমগ্র জাতির পক্ষ থেকে এটাই আমাদের
প্রত্যাশা আবার ফিরে আসবে সবুজের
অপরূপ সমারোহ। দুর্যোগ কাটিয়ে উঠুক
প্রকৃতির মাধুর্য দিয়ে হযরত শাহজালাল ও
শাহ পরান এর পুণ্যভূমি।
২| ২৩ শে জুন, ২০২২ সন্ধ্যা ৬:২৩
সোনাগাজী বলেছেন:
পাহাড়ের চা'বাগান পানির নীচে? আপনি কি দিয়ে ভাত খেয়েছেন? পেট ভালো তো?
২৩ শে জুন, ২০২২ সন্ধ্যা ৬:৪০
নূর মোহাম্মদ নূরু বলেছেন:
আপনার ত্যাদরামি আর গেলো না!
দূপুরে ভাত খেয়েছি করল্লা ভাজি,
বরবটি ভাজি আর লাউ দিয়ে চিংড়ি
মাছ। ডাল ছিলো তবে ডাল খাওয়া
নিষেধ আমার জন্য! খুশি তো!
আপনি কি খেলেন হ্যম বাগা'র
নাকি হট ডগ!
৩| ২৩ শে জুন, ২০২২ সন্ধ্যা ৬:২৪
সোনাগাজী বলেছেন:
মিলিটারী ও সরকারী সংস্হাগুলো মানুষকে সাহায্য করছে?
২৩ শে জুন, ২০২২ সন্ধ্যা ৬:৪২
নূর মোহাম্মদ নূরু বলেছেন:
শুনেছি সেনাবাহিনী ত্রাণ বিতরণ
করছে তবে প্রয়োজনের তুলনায়
অপ্রতুল।
৪| ২৩ শে জুন, ২০২২ সন্ধ্যা ৬:২৯
শূন্য সারমর্ম বলেছেন:
চা মানেই সিলেট বিভাগ।
২৩ শে জুন, ২০২২ সন্ধ্যা ৬:৪৩
নূর মোহাম্মদ নূরু বলেছেন:
হ্যাঁ, অবশ্যি তাই!
৫| ২৩ শে জুন, ২০২২ সন্ধ্যা ৬:৩২
ভার্চুয়াল তাসনিম বলেছেন: সিলেট পানি উন্নয়ন বোর্ড (পাউবো) সূত্রে জানা গেছে, সুরমা নদীর কানাইঘাট পয়েন্টে গতকাল বুধবার সন্ধ্যা ৬টায় পানি ১৩ দশমিক ৬৮ সেন্টিমিটারে অবস্থান করছিল। আজ বৃহস্পতিবার সকালে সেখানে রয়েছে ১৩ দশমিক ৭৪ সেন্টিমিটার। কুশিয়ারা নদীর অমলশিদ পয়েন্টে গতকালের মতো পানি অপরিবর্তিত আছে। সেখানে পানি ১৭ দশমিক ২৮ সেন্টিমিটারে অবস্থান করছে। শেওলা পয়েন্টেও গতকালের মতো পানি অপরিবর্তিত রয়েছে। সেখানে পানি রয়েছে ১৭ দশমিক ৭০ সেন্টিমিটার। নদীর ফেঞ্চুগঞ্জ পয়েন্টেও অপরিবর্তিত অবস্থায় পানি ১০ দশমিক ৫৭ সেন্টিমিটারে রয়েছে- পত্রিকা প্রতিবেদন।
২৩ শে জুন, ২০২২ সন্ধ্যা ৬:৪৯
নূর মোহাম্মদ নূরু বলেছেন:
ধন্যবাদ আপনাকে তাসনিম ভাই।
আশার কথা আগামীকাল সন্ধ্যাবেলা-এর মধ্যে, সুরমা নদী-এর জলস্তর আজ সন্ধ্যাবেলা-যেমন ছিল তার তুলনায় ০-১০ সেমি কমার সম্ভাবনা রয়েছে।
৬| ২৩ শে জুন, ২০২২ রাত ১০:০৩
মরুভূমির জলদস্যু বলেছেন: কয়টি চা বাগানে পানি উঠেছে?
২৩ শে জুন, ২০২২ রাত ১১:২৯
নূর মোহাম্মদ নূরু বলেছেন:
দাদা এর সঠিক পরিসংখান আমার
কাছে নাই। আপনি জেলায় জেলায়
ঘুরে বেড়ান আপনিই ভালো জানবেন।
কোন সূত্র থেকে জানতে পারলে আমাকে
জানাবেন।
৭| ২৩ শে জুন, ২০২২ রাত ১০:৪২
রাজীব নুর বলেছেন: মুরুব্বী পুরো লেখাটা মন দিয়ে পড়লাম। ৭ টা বানান ভুল চোখে পড়েছে। অবশ্য আমি লিখলে ভুল হতো ১৪ টা।
২৩ শে জুন, ২০২২ রাত ১১:৪৬
নূর মোহাম্মদ নূরু বলেছেন:
ধন্যবাদ আপনাকে খানসাব!
আমি মনে করেছিলাম আরো
বেশী হবে! দশের ঘর ক্রস
করে নাই!
ইদানিং আপনার গুরুর মতো আমার
চোখের সমস্যা দেখা দিয়েছে, তা ছাড়া
মোবাইল থেকে ব্লগিং; অনেক যুক্ত অক্ষর
লেখা সম্ভব হয় না। ভুলতো হবেই!
৮| ২৪ শে জুন, ২০২২ বিকাল ৩:২৫
সাড়ে চুয়াত্তর বলেছেন: চা গাছ সম্পর্কে কিছু তথ্য জানলাম যা আগে জানতাম না। এই চা গাছের আয়ু ৫০ থেকে ৬০ বছর হয়। এই গাছগুলি আসলে ছোট আম গাছের মত বড় হয়। কিন্তু চা উৎপাদনের জন্য এগুলিকে কেটে ছোট রাখা হয়। চা বাগানে আমি এই ধরণের কিছু বড় চা গাছ দেখেছি। চা শ্রমিকরা এত দরিদ্র যে ওদের অনেকেরই কোন মোবাইল ফোন নাই।
২৪ শে জুন, ২০২২ বিকাল ৪:৪৮
নূর মোহাম্মদ নূরু বলেছেন:
আপনাকে ধন্যবাদ সা চু ভাই
চা নিয়ে কিছু নতুন তথ্য সংযোজন
করার জন্য। তবে আমার আজকের
লেখা চা বাগানের আদ্যপান্ত নিয়ে নয়,
আমার আজকের লেখার বিষয় সিলেটের
পানিবন্দি মানুষ!
©somewhere in net ltd.
১| ২৩ শে জুন, ২০২২ সন্ধ্যা ৬:০৭
মোহাম্মদ গোফরান বলেছেন: আমাদের চা শিল্পে সিলেটের গুরুত্ব অপরিসীম। প্রাকৃতিক সৌন্দর্যের অনন্য নৈসর্গিকতা সাময়িক সময়ের জন্য প্রকৃতি বিলীন করে দিলেও খুব শীগ্রই আবার ফিরে আসবে সবুজের অপরূপ সমারোহ। দুর্যোগ কাটিয়ে উঠুক প্রকৃতির মাধুর্য দিয়ে হযরত শাহজালাল ও শাহ পরান এর পুণ্যভূমি। পোস্ট ভালো লাগলো।