নির্বাচিত পোস্ট | লগইন | রেজিস্ট্রেশন করুন | রিফ্রেস |
দেখি শুনি স্মৃতিতে জমা রাখি আগামী প্রজন্মের জন্য, বিশ্বাস রাখি শুকনো ডালের ঘর্ষণে আগুন জ্বলবেই। ভবিষ্যৎকে জানার জন্য আমাদের অতীত জানা উচিতঃ জন ল্যাক হনঃ ইতিহাস আজীবন কথা বলে। ইতিহাস মানুষকে ভাবায়, তাড়িত করে। প্রতিদিনের উল্লেখযোগ্য ঘটনা কালক্রমে রূপ নেয় ইতিহাসে। সেসব ঘটনাই ইতিহাসে স্থান পায়, যা কিছু ভাল, যা কিছু প্রথম, যা কিছু মানবসভ্যতার অভিশাপ-আশীর্বাদ। তাই ইতিহাসের দিনপঞ্জি মানুষের কাছে সবসময় গুরুত্ব বহন করে। এই গুরুত্বের কথা মাথায় রেখে সামুর পাঠকদের জন্য আমার নিয়মিত আয়োজন ‘ইতিহাসের এই দিনে’। জন্ম-মৃত্যু, বিশেষ দিন, সাথে বিশ্ব সেরা গুণীজন, এ্ই নিয়ে আমার ক্ষুদ্র আয়োজন
রহিমা খালা ও নাজেহাল দুই উকিল !! ,
নূর মোহাম্মদ নূরু
শহরের নাম করা দুই জাদরেল উকিল। একজন বিজন মজুমদার অন্যজন হারুন তরফদার। তর্ক আর কু-যুক্তির মারপ্যাচে বিপক্ষের উকিলকে মামলায় হারিয়ে দেয়া তাদের কাছে ডাল ভাত। দেমাগে মাটিতে পা পড়েনা। ভাবখানা যেনো ভারতের আদালত পাড়ার কেডি পাঠক। মাঝে মাঝে তাদের কু-যুক্তি ও নোংরা চুটকি শুনে কান চাপা দেয় জজ সহ জুরীর সদস্যগণ। একবার এক মামলায় এই দু উকিল দুজনে লড়বেন বাদী ও বিবাদীর পক্ষে। শহরে তুমুল আলোড়ন সৃষ্টি হলো দেখা যাক এবার কে হারে কে জেতে!
মালার শুনানী শুরু হলো। ওই মামলার স্বাক্ষী হিসেবে রহিমা খালার ডাক পড়েছে-
বাদী পক্ষের উকিল "বিজন মজুমদার" রহিমা খালাকে ঘাবড়ে দেবার জন্য প্রথমেই জিজ্ঞেস করলেন--- "আপনি আমায় চেনেন"?
রহিমা খালার উত্তর ---
"ওমা চিনব না কেন, তুমি বিজন, তোমায় আমি ল্যাংটা বয়স থেকে চিনি, পুরো বখে যাওয়া ছেলে ছিলে! মিথ্যা কথা বলতে, পুরো লোক ঠকানোর ওস্তাদ ছিলে, আরও অনেক গুন তোমার ছিলো, সে সব আর বলছি না। তোমাকে আমি ভালো করেই চিনি বাপু"
বিজন বাবু স্তম্ভিত হয়ে গেলেন, বুঝতে পারছিলেন না কি বলবেন। কিংকর্তব্যবিমূঢ় হয়ে পড়লেন। সম্বতি ফিরে পেয়ে নিজেকে সামাল দেবার জন্য কোর্ট ঘরের অপর প্রান্তে বিবাদী পক্ষের উকিল হারুন তরফদার এর দিকে আঙুল নিদের্শ করে বললেন, " আপনি ওনাকে চিনেন"?
রহিমা খালার উত্তরঃ
"আরে অরে চিনব না কেন? ও তো হারুন। খুব ভাল করেই চিনি। অলস, অকর্মন্য। শহরের সব চেয়ে পিশাচ উকিল। বউয়ের চোখে ধুলো দিয়ে তিন চারটে ছুড়ির সাথে ফষ্টি-নষ্টি করে বেড়ায়। তার মধ্যে একজন আবার তোমার বউ!
রহিমা খালার কথা শুনে বিবাদি পক্ষের উকিল হারুন সাহেব এবং বাদী পক্ষের উকিল বিজন মজুমদার উভয়েই অসুস্থতা বোধ করতে লাগলেন।
দুই উকিলের এমন নাজেহাল অনস্থা দেখে জজ সাহেবও বিব্রত বোধ করছেন। মহিলা আবার না জানি তার কোন গোপন কথা প্রকাশ করে দেয়। জজ সাহেব বিলম্ব না করে দুই উকিলকে কাছে ডাকলেন। উকিলদ্বয় কাছে যাবার পর জজ সাহেব নিচু গলায় বললেনঃ
"তোমরা দুই গাধার মধ্যে একজনও যদি ওই মহিলাকে প্রশ্ন করো যে, আমায় চেনে কি না, তবে তোমাদের আমি ফাঁসিতে চড়াবো!
সংগৃহীত এবং ঈষৎপরিবর্তিত।
০৯ ই জুন, ২০২২ দুপুর ১:৪৮
নূর মোহাম্মদ নূরু বলেছেন:
শুভেচ্ছা ফারহান ভাই আমার ব্লগে আসবার জন্য।
রম্যটি নতুন বোতলে পুরাতন মাল ! যা লেখার শেষে
উল্লেখ আছে। তবে সাদ আগের
মতোই আছে।
আপনাকে ধন্যবাদ মন্তব্য প্রদানের জন্য।
২| ০৯ ই জুন, ২০২২ দুপুর ১:৩৫
রাজীব নুর বলেছেন: সর্বনাশ।
০৯ ই জুন, ২০২২ দুপুর ১:৫৩
নূর মোহাম্মদ নূরু বলেছেন:
কার আবার সর্বনাশ হলো?
উকিলদের নাকি জজ সাবের?
সবারই কিছু ছিদ্র থাকে তবে
নিজের ছিদ্র কেউ দেখতে
পায়না কারণ তারা তাল কানা।
৩| ০৯ ই জুন, ২০২২ দুপুর ১:৩৬
মোহাম্মদ গোফরান বলেছেন: হা হা হা। রহিমা খালা রকস।
০৯ ই জুন, ২০২২ দুপুর ১:৫৫
নূর মোহাম্মদ নূরু বলেছেন:
ধন্যবাদ আপনাকে।
রহিমা খালারাই একদিন
আমাদের ঠুলি পড়া চোখ
খুলে দিবে।
৪| ০৯ ই জুন, ২০২২ দুপুর ১:৫৬
খাঁজা বাবা বলেছেন: দুই এক দিন আগে কে যেন এই গল্পটি লিখেছিল।
০৯ ই জুন, ২০২২ দুপুর ২:০৪
নূর মোহাম্মদ নূরু বলেছেন:
লিখতেই পারে! অসম্ভব নয়।
যেহেতু এর কপি রাইট নাই।
এটি আকটি সংগৃহীত গল্প
যার উপরে কল্পনার রঙ
মিশেল দেয়া হয়েছে।
৫| ০৯ ই জুন, ২০২২ দুপুর ২:১৬
জুল ভার্ন বলেছেন: চর্বিত চর্বন হলেও উপস্থাপনায় নতুনত্ব আছে।
০৯ ই জুন, ২০২২ দুপুর ২:৪৩
নূর মোহাম্মদ নূরু বলেছেন:
আপনাকে ধন্যবাদ।
সুন্দর মোড়কের আড়ালে
আমরা প্রতিনিয়ত অখাদ্য
হজম করছি, কিন্তু কোন
প্রতিক্রিয়া নেই আমাদের!
এটাই বাস্তবতা।
৬| ০৯ ই জুন, ২০২২ বিকাল ৩:৩১
সৈয়দ মশিউর রহমান বলেছেন: হাটে হাড়ি ভেঙ্গে দিয়েছে।
০৯ ই জুন, ২০২২ বিকাল ৪:০১
নূর মোহাম্মদ নূরু বলেছেন:
বাকী আছেন জজ সাহেব!
খালাকে ঘাটাইলে তার হাড়িও
ভাংবে!
৭| ০৯ ই জুন, ২০২২ বিকাল ৫:১৫
সোনাগাজী বলেছেন:
ভালো সাক্ষী, স্বয়ং জাাজই কাঁপছে।
০৯ ই জুন, ২০২২ বিকাল ৫:৩৫
নূর মোহাম্মদ নূরু বলেছেন:
সব মাছেই গু খায়
নাম পরে শুধু শিং
মাছের! শিং মাছের
এটাই দুঃখ!
৮| ০৯ ই জুন, ২০২২ সন্ধ্যা ৭:৪৩
মোহাম্মদ গোফরান বলেছেন: উকিল গুলোর মতো ছাগুদের একটা দুর্বলতা হলো এদের ব্রেন ছাগু ব্রেন। এরা কিছু না জেনে ধারণার উপর ভিত্তি করে আজাইরা ক্যাচাল করে নিরপরাধ লোকদের অপবাদ দেয়। ছাগুরা যা করে আর কী? রহিমা খালার মতো কয়েকজন বুজ্ঝিমান এদের দিনে ২ বেলা কাঁঠাল পাতা খাওয়ায়।
০৯ ই জুন, ২০২২ রাত ৮:০৬
নূর মোহাম্মদ নূরু বলেছেন:
জেরার মুখে এইসব বটতলার উকিলদের নোংরা কথা,
মধ্য রাতের জোকস নামে কুতসিত ইংগিত সুশীল মানুষ
দের বিব্রত করে। রহিমা খালারা হলো মুগুর। মানে
"যেমন কুকুর তেমন মুগুর"!
৯| ০৯ ই জুন, ২০২২ রাত ১০:১৪
মরুভূমির জলদস্যু বলেছেন: ভালো হইছে এই কৌতুক।
আমি কয়েকটি কৌতিক রেডি করেছি অন্ততো এক-দেড় মাস আগে, রমজানের সময়। দেয়া হয় নাই।
০৯ ই জুন, ২০২২ রাত ১০:৩৫
নূর মোহাম্মদ নূরু বলেছেন:
দিয়্র ফিন।
সবাই এখন জোক দিয়ে হিট হচ্ছে,
তবে কোনটা কখন কোন সমাজে
বলতে হয় সে ধারনা অনেকেরই
নাই। মধ্য রাতের জোঁক সকাল
বেলা টানলে জোঁকের ত্রাহি
অবস্থায় পরতে হয়।
১০| ০৯ ই জুন, ২০২২ রাত ১১:১৩
গরল বলেছেন: হাহাহাহাহাহ, ব্যাপক মজা পাইলাম নুরু ভাই।
০৯ ই জুন, ২০২২ রাত ১১:৩৫
নূর মোহাম্মদ নূরু বলেছেন:
আপনাকে অসংখ্য ধন্যবাদ মন্তব্য
প্রদানের জন্য। মাঝে মাঝে আপনি
কোথায় উধাও হয়ে যান!
নিয়মিত হবেন ব্লগে।
©somewhere in net ltd.
১| ০৯ ই জুন, ২০২২ দুপুর ১:৩৪
রশিদ ফারহান বলেছেন: পুরাতন রম্য। আগে ভিন্ন ফরমেটে পড়েছিলাম। আজ আবার নতুন ফরমেটে পড়লাম।