নির্বাচিত পোস্ট | লগইন | রেজিস্ট্রেশন করুন | রিফ্রেস

নূর মোহাম্মদ নূরু (পেশাঃ সংবাদ কর্মী), জন্ম ২৯ সেপ্টেম্বর প্রাচ্যের ভেনিস খ্যাত বরিশালের উজিরপুর উপজেলাধীন সাপলা ফুলের স্বর্গ সাতলা গ্রামে

নূর মোহাম্মদ নূরু

দেখি শুনি স্মৃতিতে জমা রাখি আগামী প্রজন্মের জন্য, বিশ্বাস রাখি শুকনো ডালের ঘর্ষণে আগুন জ্বলবেই। ভবিষ্যৎকে জানার জন্য আমাদের অতীত জানা উচিতঃ জন ল্যাক হনঃ ইতিহাস আজীবন কথা বলে। ইতিহাস মানুষকে ভাবায়, তাড়িত করে। প্রতিদিনের উল্লেখযোগ্য ঘটনা কালক্রমে রূপ নেয় ইতিহাসে। সেসব ঘটনাই ইতিহাসে স্থান পায়, যা কিছু ভাল, যা কিছু প্রথম, যা কিছু মানবসভ্যতার অভিশাপ-আশীর্বাদ। তাই ইতিহাসের দিনপঞ্জি মানুষের কাছে সবসময় গুরুত্ব বহন করে। এই গুরুত্বের কথা মাথায় রেখে সামুর পাঠকদের জন্য আমার নিয়মিত আয়োজন ‘ইতিহাসের এই দিনে’। জন্ম-মৃত্যু, বিশেষ দিন, সাথে বিশ্ব সেরা গুণীজন, এ্ই নিয়ে আমার ক্ষুদ্র আয়োজন

নূর মোহাম্মদ নূরু › বিস্তারিত পোস্টঃ

জনপ্রিয় সবজি ক্যাপসিকাম বা মিষ্টি মরিচ

১১ ই মার্চ, ২০২২ দুপুর ২:৩২


আমাদের দেশে ধীরে ধীরে জনপ্রিয় হয়ে উঠছে বেল পেপার। এ নামে অবশ্য খুব বেশি মানুষ এটিকে চিনবে না। কিন্তু যদি ক্যাপসিকাম বা সিমলা মরিচ কিংবা মিষ্টি মরিচ বলা হয় তাহলে সবাই চিনবেন। মরিচ নাম হলেও একটি আসলে একটি সবজি। মাছ, মাংস, সবজি, সালাদ—সবকিছুতেই এর ব্যবহার রয়েছে। সবুজ, লাল ও হলুদ রঙ সহ বিভিন্ন রঙের ক্যাপসিকাম এখন কিনতে পাওয়া যায় কাঁচাবাজার ও সুপারশপগুলোয়। তবে একটু চেষ্টা করলে বারান্দা কিংবা ছাদের টবে খুব সহজেই বেল পেপার বা ক্যাপসিকাম চাষ করা যায়। ক্যাপসিকাম বা মিষ্টি মরিচ সারা বিশ্বেই একটি জনপ্রিয় সবজি। ক্যাপসিকাম দক্ষিণ উত্তর আমেরিকা, ক্যারিবিয়ান এবং উত্তর দক্ষিণ আমেরিকার একটি প্রজাতি। বাংলাদেশেও এর জনপ্রিয়তা দিন দিন বাড়ছে। মিষ্টি মরিচের আকার ও আকৃতি বিভিন্ন রকমের হয়ে থাকে। তবে সাধারণত ফল গোলাকার ও ত্বক পুরু হয়। মিষ্টি মরিচ আমাদের দেশীয় প্রচলিত সবজি না হলেও ইদানিং এর চাষ প্রসারিত হচ্ছে। বিশেষ করে বড় বড় শহরের আশেপাশে সীমিত পরিসরে কৃষক ভাইয়েরা এর চাষ করে থাকে যা অভিজাত হোটেল ও বিভিন্ন বড় বড় মার্কেটে বিক্রি হয়ে থাকে। এ ছাড়া মিষ্টি মরিচের বিদেশে রপ্তানীর সম্ভাবনাও প্রচুর। কারণ সারা বিশ্বে টম্যাটোর পরেই দ্বিতীয় গুরুত্বপূর্ণ সবজি হচ্ছে মিষ্টি মরিচ।
নানান রঙের ক্যাপসিকাম শরীরের নানা চাহিদা পূরণ করে, পাশাপাশি দীর্ঘদিনের কোনও অসুখ থেকে উপশম পাওয়া যায়।
সবুজ-লাল-হলুদ বাহারি রঙের ক্যাপসিকাম কেবল খাবারের স্বাদ ও সৌন্দর্যই বাড়ায় না, এর রয়েছে অনেক পুষ্টিগুণ।
পুষ্টিমানের দিক থেকে মিষ্টি মরিচ একটি অত্যন্ত মূল্যবান সবজি। প্রচুর পরিমানে ভিটামিন ’সি’ থাকার কারণে
স্বাস্থ্যকর খাদ্য হিসেবেও দিন দিন কদর বাড়ছে ক্যাপসিকামের।

১. ক্যাপসিকামে থাকে ভিটামিন এ, যা চোখ ভালো রাখতে অত্যন্ত কার্যকর। বয়সজনিত দৃষ্টিশক্তি হ্রাস প্রতিরোধ করতেও এই জুড়ি মেলা ভার।

২. লাল ক্যাপসিকাম বাড়ায় হজমের ক্ষমতা। যা পরোক্ষভাবে সাহায্য করে দেহের অতিরিক্ত ওজন কমাতে।
তাই স্বাস্থ্য সচেতন অনেকেই প্রতিদিনের খাদ্যতালিকায় একে রেখে থাকেন।

৩. ক্যাপসিকামে থাকে ভিটামিন সি ও কোলাজেন। যেগুলো যথাক্রমে রোগপ্রতিরোধ ক্ষমতা বাড়াতে এবং ত্বক ও অস্থি সন্ধি ভালো রাখতে সাহায্য করে।

৪. ক্যাপসিকামে থাকে ক্যাপসিসিন যা শরীরে কোলেস্টেরল ও ট্রাইগ্লিসারাইডের মাত্রা
নিয়ন্ত্রণে সাহায্য করে।

৫. চুল পড়ার সমস্যা কমাতেও বেশ কার্যকর ক্যাপসিকাম। ক্যাপসিকামে থাকা কোলাজেন চুলের গোড়া ভালো রাখতে খুবই উপযোগী। (সম্পাদিত)

লেখাট সম্পাদনা করতে ২,টি পত্রিকার সহয়াতা নেয়া হয়েছে। একটি প্রথম আলো, :লসামান্থা মিজান এবং অন্যটি Bangl২৪news.com online পত্রিকার লাইফস্টাইল ডেস্ক থেকে।

মন্তব্য ১২ টি রেটিং +২/-০

মন্তব্য (১২) মন্তব্য লিখুন

১| ১১ ই মার্চ, ২০২২ বিকাল ৪:১০

সোনাগাজী বলেছেন:




ইহা ক্যান্সার প্রতিতিরোদক হিসেবেও কাজ করে; সাধারণ মানুষ কিনছে?

১১ ই মার্চ, ২০২২ বিকাল ৪:২৮

নূর মোহাম্মদ নূরু বলেছেন:
সোনা গাজী সাব, ইহা সাধারন মানুষের জন্য নয়।
দাম খুব বেশী। অসাধারণ কিনে বেশী। গরীব
মানুষ ক্যান্সার ফ্যান্সারের ধার ধারেনা।
তাদের রোগ প্রতিরোধ করে খোদায়!

২| ১১ ই মার্চ, ২০২২ বিকাল ৫:৫৭

সোনাগাজী বলেছেন:


ইহা অন্য মরিচের মতোই সহজে চাষ করা যায়।

১১ ই মার্চ, ২০২২ রাত ৯:৩৫

নূর মোহাম্মদ নূরু বলেছেন:
চাষ করা সহজ কাজ
কেমন করে কহ যে,
সহজ কাজ করা বলো
যায় কি করা সহজে!

৩| ১১ ই মার্চ, ২০২২ সন্ধ্যা ৬:০৬

রাজীব নুর বলেছেন: আমাদের বাসায় প্রচুর ক্যাপসিকাম লাগে।
এখন কারওয়ান বাজার থেকে প্রতিমাসের শুরুতেই ৩/৪ কেজি কিনে আনা হয়।

খোলা বাজারে প্রচুর দাম নেয়। কারওয়ান বাজারে দাম কম।

১১ ই মার্চ, ২০২২ রাত ৯:৩৬

নূর মোহাম্মদ নূরু বলেছেন:
তা কত কেজি দরে এ মাসে
কিনলেন ক্যাপ্সিকাম? লাল
হলুদের দামে কি হের ফের আছে?

৪| ১১ ই মার্চ, ২০২২ সন্ধ্যা ৬:২৭

শাহ আজিজ বলেছেন: আমরা বেইজিং এর জীবনে প্রথম ক্যাপ্সিকাম খাই ৮০র দশকের শেষ দিকে । হোটেলে গরুর মাংসের সাথে ক্যাপ্সিকাম খেয়ে খুব মজা লাগার পরই বাসায় চীনা বুয়াকে দিয়ে এটা রান্না করাতাম । সে বিবিধ রকমে এটা রান্না করে দিত । দেশে আমরা খাই তবে কম কারন এটার দাম ঢাকায় খুব বেশি । উচ্চমুল্যের কারনে এটা রফতানি করা যাবেনা । আমরা এটাতে কোন মশলা ব্যাবহার করিনা । রসুনের কোয়া , সয়া সস , স্ক্রামবল এগ বা গরুর চিকন ফালি বা মুরগির কিউব দিয়ে চমৎকার স্বাদের ডিশ বানানো যায় । অন্য কোন মশলা লাগে না ।

১১ ই মার্চ, ২০২২ রাত ৯:৪৪

নূর মোহাম্মদ নূরু বলেছেন:
অনেক ধন্যবাদ আজিজ ভাই
ক্যাপ্সিকাম নিয়ে অনেক তথ্য
প্রদানের জন্য। চড়া দামের
জন্য ইচ্ছা থাকলেও কেনা
হয় না মন যদিও চায়।

৫| ১১ ই মার্চ, ২০২২ রাত ৮:০৮

মোহাম্মদ গোফরান বলেছেন: বিস্তারিত জেনে ভালো লাগলো।

১১ ই মার্চ, ২০২২ রাত ৯:৪৫

নূর মোহাম্মদ নূরু বলেছেন:
আপনার ভালো লাগার জন্য
অনেক অনেক ধন্যবাদ।

৬| ১২ ই মার্চ, ২০২২ রাত ১২:৩৯

রাজীব নুর বলেছেন: লেখক বলেছেন:
তা কত কেজি দরে এ মাসে
কিনলেন ক্যাপ্সিকাম? লাল
হলুদের দামে কি হের ফের আছে?

সবুজটা কারওয়ান বাজারে ৭০/৮০ টাকা কেজি নেয়।
লাল ও হলুদটা ১০০/১২০ টাকা কেজি নেয়।

১২ ই মার্চ, ২০২২ রাত ১:১৯

নূর মোহাম্মদ নূরু বলেছেন:
১০০ টাকায় আমি ৬ কেজি ডায়মন্ড আলু
অথবা ২.৫ কেজি পেয়াজকে সাশ্রয়ী মনে
করি, ও-ই দরে ১কেজি কেপসিকাম আমার
মতো অনেকের কাছে বিলাসিতা!

আপনার মন্তব্য লিখুনঃ

মন্তব্য করতে লগ ইন করুন

আলোচিত ব্লগ


full version

©somewhere in net ltd.