নির্বাচিত পোস্ট | লগইন | রেজিস্ট্রেশন করুন | রিফ্রেস

নূর মোহাম্মদ নূরু (পেশাঃ সংবাদ কর্মী), জন্ম ২৯ সেপ্টেম্বর প্রাচ্যের ভেনিস খ্যাত বরিশালের উজিরপুর উপজেলাধীন সাপলা ফুলের স্বর্গ সাতলা গ্রামে

নূর মোহাম্মদ নূরু

দেখি শুনি স্মৃতিতে জমা রাখি আগামী প্রজন্মের জন্য, বিশ্বাস রাখি শুকনো ডালের ঘর্ষণে আগুন জ্বলবেই। ভবিষ্যৎকে জানার জন্য আমাদের অতীত জানা উচিতঃ জন ল্যাক হনঃ ইতিহাস আজীবন কথা বলে। ইতিহাস মানুষকে ভাবায়, তাড়িত করে। প্রতিদিনের উল্লেখযোগ্য ঘটনা কালক্রমে রূপ নেয় ইতিহাসে। সেসব ঘটনাই ইতিহাসে স্থান পায়, যা কিছু ভাল, যা কিছু প্রথম, যা কিছু মানবসভ্যতার অভিশাপ-আশীর্বাদ। তাই ইতিহাসের দিনপঞ্জি মানুষের কাছে সবসময় গুরুত্ব বহন করে। এই গুরুত্বের কথা মাথায় রেখে সামুর পাঠকদের জন্য আমার নিয়মিত আয়োজন ‘ইতিহাসের এই দিনে’। জন্ম-মৃত্যু, বিশেষ দিন, সাথে বিশ্ব সেরা গুণীজন, এ্ই নিয়ে আমার ক্ষুদ্র আয়োজন

নূর মোহাম্মদ নূরু › বিস্তারিত পোস্টঃ

অসৎকাজে বাধা দান ইসলােমের হুকুম

০২ রা আগস্ট, ২০২১ রাত ১২:৩৭


পবিত্র কোরআনে আল্লাহ তাআলা বলেন, তোমরা সৎ কাজের আদেশ ও অসৎকাজে বাধা দেবে এবং আল্লাহর প্রতি বিশ্বাস স্থাপন করবে।’ (আলে ইমরান, আয়াত : ১১০) আল্লাহ তাআলা যে দুইটি মৌলিক উপাদানের কারণে মুসলিম উম্মাহকে শ্রেষ্ঠ ও কল্যাণকামী জাতি হিসেবে ঘোষণা দিয়েছেন, তন্মধ্যে সৎকাজের আদেশ ও অসৎকাজের নিষেধ অন্যতম। অসৎ কাজ থেকে নিষেধ করা কখনো শক্তি প্রয়োগের মাধ্যমে হতে পারে। আবার কখনো শুভবুদ্ধি সৃষ্টির মাধ্যমে হতে পরে। আবার কখনো শুধু অন্তরের ঘৃণার মাধ্যমেই হয়ে থাকে। অন্তর দিয়ে সেটা করা সর্বাবস্থায়ই ওয়াজিব হবে। কারণ, এতে কোনো কষ্ট পেতে হয় না। যে ব্যক্তি এতটুকু ঘৃণাও পোষণ করে না, সে প্রকৃত মুমিন নয়। অন্যায়, অবিচার, ছিনতাই, ধর্ষণ, ধোঁকাবাজি, নারীকে উত্যক্ত করা ও অন্যান্য মন্দকাজের বাগাড় এখন চারপাশে। অপরাধমূলক কিছু ঘটতে দেখলেও কেউ বাধা দেওয়ার কিংবা অন্যায়কারীকে শুধরানের চেষ্টা করা হচ্ছে না। ইসলামের দৃষ্টিতে এটা ঠিক নয়। কারণ হতে পারে- খারাপ মানুষের পাল্লায় পড়ে কিংবা ভুলবশত ও অসতর্কতায় মানুষ অন্যায়ে জড়িয়ে পড়ে। মন্দকে ভালোর মাধ্যমে পরিবর্তন না করলে সুদূরপ্রসারী খারাপ প্রভাব দেশ-জাতি সবাইকে অনুভব করতে হয়। তাই প্রকৃত মুসলিম ও সচেতন মানুষের অবশ্য কর্তব্য হলো- মন্দ কাজ থেকে মানুষকে বিরত রাখার সাধ্যানুযায়ী চেষ্টা করা। অন্য আয়াতে আল্লাহ তাআলা বলেন, ‘তোমাদের মধ্য থেকে এমন একটি জাতি হওয়া উচিত যারা সব ভালো কাজের দিকে আহ্বান করবে, সৎকাজের আদেশ দেবে এবং অসৎকাজে নিষেধ করবে, প্রকৃতভাবে তারাই সফলকাম সম্প্রদায়। ’ (সুরা আলে ইমরান, আয়াত:১০৪) হাদিসে বলা হয়েছে হযরত মোহাম্মদ (সাঃ) বলেন, ‘তোমাদের কেউ যদি কোনো খারাপ কাজ বা বিষয় দেখে তাহলে সে যেন হাত দিয়ে তা পরিবর্তন করে দেয়, যদি তা করতে অপারগ হয় তাহলে যেন মুখ দিয়ে তার প্রতিবাদ করে, যদি তাও করতে সক্ষম না হয় তাহলে যেন অন্তর দিয়ে তা ঘৃণা করে, আর এটাই হচ্ছে ঈমানের মধ্যে সবচেয়ে দুর্বলতম স্তর। ’ (বুখারি, হাদিস নং: ১৯৪)

বর্তমান সমেয়ে দেখাযায় সমাজে কোন অনৈতিক কার্যকলাপ এমনকি ধর্মের প্রতি বিষোদ্গার হলেও আমরা নীরব থাকি। ঝামেলা এড়াতে অনৈতিক কার্যকলাপ দেখেও না দেখার ভান করে পাশ কাটিয়ে চলি। ইসলামের বিধানগুলো মনঃপুত না হলে তার বিরুদ্ধাচারণ করে নিজের মনগড়া যুক্তি প্রদান করি এমনকি পবিত্র কোরানের বানীকে ভুল বলে মন্তব্য করতেও দ্বিধা করিনা (নাউজুবিল্লাহ) যারা সৎকাজের আদেশ ও অসৎকাজের প্রতিবিধানে এগিয়ে আসে না, তাদের নিন্দাবাদ জ্ঞাপন করা হয়েছে। বলা হয়েছে, ‘বনি ইসরাঈল জাতির মধ্য থেকে যারা কুফরির পথ অবলম্বন করেছে তাদের ওপর দাউদ এবং মরিয়ম পুত্র ঈসার (আ.) মুখ দিয়ে অভিসম্পাত করা হয়েছে। কারণ তারা বিদ্রোহী হয়ে গিয়েছিল এবং বাড়াবাড়ি করতে শুরু করেছিল। তারা পরস্পরকে খারাপ কাজ করা থেকে বিরত রাখা পরিহার করেছিল, তাদের গৃহীত সেই কর্মপদ্ধতি বড়ই জঘন্য ছিল।’ (সুরা মায়েদা, আয়াত: ৭৮-৭৯) সৎকাজের আদেশ এবং অসৎকাজে নিষেধ করা মুমিনের অবশ্যপালনীয় অন্যতম গুণ। একজন মুসলমানের পরিচয় শুধু এমনটি হতে পারে না যে, সে শুধু নিজেরই কল্যাণ কামনায় ব্যস্ত থাকবে। ভালো কাজ করবে ও খারাপ কাজ থেকে বিরত থাকবে। পবিত্র কোরআনে বলা হয়েছে, ‘সময়ের কসম! মানুষ আসলেই বড় ক্ষতির মধ্যে রয়েছে। তবে তারা ছাড়া যারা ইমান আনে ও সৎকাজ করে এবং একজন অন্যজনকে হক থাকার ও সবর করার উপদেশ দেয়।’ (সুরা আসর, আয়াত: ১-৩) মুমিন নারীরাও এখানে মুমিন পুরুষদের মতো, এমন গুরুত্বপূর্ণ বিধান পালনে তাদেরও অংশ ও ভূমিকা রয়েছে। ইরশাদ হয়েছে—মুমিন পুরুষ ও মুমিন নারী, তারা সবাই পরস্পরের বন্ধু ও সহযোগী। তারা ভালো কাজের হুকুম দেয় এবং খারাপ কাজ থেকে বিরত রাখে। (সুরা তাওবা ৯, আয়াত ৭১)

তবে অসৎকাজের বাধা দিতে আগ্রহীদের প্রয়োজনীয় শর্তাবলির প্রতি লক্ষ রাখা অবশ্যই জরুরি। এসব হাদিসের ভাষ্য থেকে উৎসারিত হয়েছে। যেমনঃ
১। সন্দেহাতীতভাবে শরিয়তে নিষিদ্ধ কাজঃ শরিয়া নিষিদ্ধ কাজ যেগুলো থেকে দূরে থাকা মানুষের ওপর আবশ্যক। মহান আল্লাহ বলেন, ‘তোমরা যদি বড় বড় গুনাহ থেকে দূরে থাকো, যা থেকে দূরে থাকার জন্য তোমাদের বলা হচ্ছে, তাহলে তোমাদের ছোটখাটো খারাপ কাজগুলো আমি তোমাদের হিসাব থেকে বাদ দিয়ে দেব এবং তোমাদের সম্মান ও মর্যাদার জায়গায় প্রবেশ করিয়ে দেব। (সুরা নিসা ৪, আয়াত : ৩১) হাদিসে রাসুল (সঃ) বলেন পাঁচ ওয়াক্তের নামাজ, জুমা থেকে জুমা, রমজান থেকে রমজান এগুলোর মধ্যবর্তী সব (সগিরা) গুনাহকে মুছে দেয়, যদি কবিরা গুনাহের কাজ থেকে বিরত থাকা যায়।

২। অন্যায় প্রকাশ্য রূপ ধারণ করলেঃ অন্যায় অনাচারের প্রতিবিধানে পেশিশক্তি নিয়ে এগিয়ে আসতে হবে তা অবশ্যই প্রকাশ্য ও দৃশ্যমান হতে হবে। সুতরাং যা মানুষের দৃষ্টির আড়ালে বা বদ্ধ দরজার অন্তরালে সংঘটিত হয়ে থাকে সে ব্যাপারে গুপ্তচরের ভূমিকায় অবতীর্ণ হওয়া এবং গোপনে খোঁজ-খবর সংগ্রহ করতে তৎপর হওয়া বৈধ হবে না। হাদিসে বলা হয়েছে, ‘তোমাদের কেউ যখন কোনো অপরাধকর্ম দেখতে পায়।’ এমনকি যে ব্যক্তি কোনো অপরাধ করার পর তা প্রকাশ না করে গোপনে আল্লাহর সঙ্গে বোঝাপড়া করে নেয় এবং ক্ষমা প্রার্থনা করে, আখিরাতের শাস্তিও এমতাবস্থায় আল্লাহতায়ালা সহজ করে দেন। যেমন হাদিসে এসেছে, ‘অপরাধকর্ম করার পর যারা তা প্রকাশ করে বেড়ায়, তারা ছাড়া আমার উম্মতের প্রত্যেক ব্যক্তিই ক্ষমা পাওয়ার উপযুক্ত।’ (তিরিমিজি, হাদিস: ৩৩৫)

৩। কার্যকর শক্তির অধিকারী হওয়াঃ অন্যায়-অনাচারের প্রতিরোধ ও পরিবর্তন যারা করতে চান, তাদের অবশ্যই সক্ষম হতে হবে। এ ক্ষেত্রে বৈষয়িক অথবা আত্মিক শক্তির অধিকারী হতে হবে, যাতে বড় কোনো ক্ষতির শিকার হওয়া ছাড়া সহজেই কার্যোদ্ধারে সক্ষম হতে পারে। রাসুল (সা.) বলেন, ‘যারা শক্তির সাহায্যে পরিবর্তন করতে সক্ষম হবে না, তারা যেন মুখ বা বর্ণনা-বিবৃতি দিয়ে তা পরিবর্তনে সচেষ্ট থাকে।’ অর্থাৎ যার বাহুবল তথা বৈষয়িক শক্তি নেই সে যেন এ পথ ছেড়ে দিয়ে বর্ণনা-বিবৃতি, প্রতিবাদ মিছিল বা প্রতিবাদ সভা ইত্যাদি নিয়ে সন্তুষ্ট থাকে, যদি সে তা করতে সক্ষম হয়। শক্তির ব্যবহার সাধারণত ক্ষমতাবানদের জন্য সম্ভব। ক্ষমতাবান ব্যক্তি তার ক্ষমতার পরিধিতে তা ব্যবহার করে অসৎকাজের প্রতিবিধানে সচেষ্ট হতে পারে। যেমন স্বামী তার স্ত্রীর সঙ্গে, বাবা তার সন্তান-সন্তুতি ও পরিবারের সঙ্গে যারা তার ভরণপোষণে লালিত-পালিত, কোনো সংস্থার অধিকারী তার সংস্থার অভ্যন্তরে এবং সরকারপ্রধান বা রাষ্ট্রপ্রধান তার রাষ্ট্রসীমা বা কর্মসীমার পরিধিতে সাধ্য ও সক্ষমতার আওতায় থাকলে ইত্যাদি।

৪। বড় কোনো ক্ষতির আশঙ্কা না থাকাঃ শক্তি ব্যবহারের মাধ্যমে অন্যায়ের বিরোধিতা করতে গিয়ে বড় ক্ষতির আশঙ্কামুক্ত থাকা জরুরি। যেমন এমন কোনো ফিতনা-ফাসাদের সূচনা হওয়ার আশঙ্কা না থাকা- যেখানে নিরপরাধ রক্তপাত ঘটে থাকে, ইজ্জত-আব্রু নষ্ট হয়ে থাকে এবং জনগণের ধন-সম্পদ লুণ্ঠিত হয়ে থাকে। এর পরিণামে অন্যায়-অনাচার আরও শক্ত করে গেড়ে বসতে সক্ষম হয় এবং জালিমদের জুলুম আরও বেগবান হতে সক্ষম হয়। তাই আলেম-ওলামা সিদ্ধান্ত দিয়েছেন অন্যায়ের প্রতিবিধান করতে গিয়ে যদি এর থেকেও বড় অন্যায়ের সূচনা হওয়ার আশঙ্কা থাকে তাহলে এ ক্ষেত্রে নীরব ভূমিকা পালন করা বৈধ হবে। এ মর্মে হাদিসে রাসুল (সা.) আয়েশাকে (রা.) বলেছেন, ‘তোমার জাতির সদস্যদের ইসলামের বয়স যদি স্বল্প না হতো তাহলে আমি কাবা শরিফকে ভেঙে ইবরাহিমের মূলভিত্তির ওপর নির্মাণ করতাম।’ (মুসলিম, হাদিস : ৩৩৬৫)

৫। নম্রতা অবলম্বন করাঃ কোন অনৈতিক কাজ বা ধর্ম অবমাননাকারীকে প্রতিরোধ বা প্রতিবাদ করতে হলে প্রথমে অবশ্য্ই নম্রতা অবলম্বন করতে হবে। এ প্রসঙ্গে হাদিসে এসেছে, ‘জেনে রেখো! তোমাদের প্রত্যেকেই দায়িত্বশীল; আর তোমরা প্রত্যেকেই নিজ অধীনস্থদের সম্পর্কে জিজ্ঞাসিত হবে। অতএব ইমাম, যিনি জনগণের দায়িত্বশীল, তিনি তার অধীনস্থদের সম্পর্কে জিজ্ঞাসিত হবেন। পুরুষ গৃহকর্তা তার পরিবারের দায়িত্বশীল; সে তার অধীনস্থদের সম্পর্কে জিজ্ঞাসিত হবে। নারী তার স্বামীর পরিবার, সন্তান-সন্ততির উপর দায়িত্বশীল, সে এসব সম্পর্কে জিজ্ঞাসিত হবে। কোন ব্যক্তির দাস স্বীয় মালিকের সম্পদের দায়িত্বশীল; সে এ সম্পর্কে জিজ্ঞাসিত হবে। অতএব জেনে রাখ, প্রত্যেকেই দায়িত্বশীল এবং তোমাদের প্রত্যেকেই নিজ নিজ দায়িত্বাধীন বিষয় সম্পর্কে জিজ্ঞাসিত হবে। (বুখারি, হাদিস নং: ৭১৩৮)
আল্লাহ আমাদের সবাইকে অনৈতিক ও ধর্মবিরোধী কার্যকলাপ দেখলে প্রতিবাদী হবার তৌফিক দান করুন। আমিন

বিঃদ্রঃ লেখাটি আমার ব্লগে দেখা গেলেও অজানা কারনে সামুর পাতায় অদৃশ্য

সম্পাদনাঃ নূর মোহাম্মদ নূরু
গণমাধ্যমকর্মী
ব্রেকিং নিউজ২৪.কম :-& ফেসবুক-১ :-& ফেসবুক-২
[email protected]

মন্তব্য ১২ টি রেটিং +০/-০

মন্তব্য (১২) মন্তব্য লিখুন

১| ০২ রা আগস্ট, ২০২১ রাত ৩:০১

কামাল১৮ বলেছেন: কোনটা সৎ কাজ কোনটা অসৎ কাজ নির্ধারন করবে কে।ধর্মীয় অনেক কাজ এক ধর্মের কাছে সৎ কাজ অন্য ধর্মের কাছে অসৎ কাজ।একমাত্র মানবিক কাজ গুলো সবার কাছে সৎ কাজ,এখানে কোন বিতর্ক নাই।

০২ রা আগস্ট, ২০২১ দুপুর ১:২৮

নূর মোহাম্মদ নূরু বলেছেন:
আল্লাহ তাআলা জড় ও জীব মিলে সর্বমোট ৮০ হাজার বস্তু সৃষ্টি করেছেন।
স্থলভাগে ৪০ হাজার এবং পানিতে ৪০ হাজার। এসব সৃষ্টির মধ্যে জিন,
ফেরেশতা ও মানুষ সেরা; তবে মানুষই আশরাফুল মাখলুকাত বা সৃষ্টির সেরা জীব।
মহান আল্লাহ তাআলা ইরশাদ করেন, ‘অবশ্যই আমি আদম সন্তানদের সম্মানিত
করেছি এবং তাদের পানিতে ও স্থলে প্রতিষ্ঠিত করেছি, তাদের উত্তম জীবনোপকরণ
প্রদান করেছি এবং তাদের অনেক সৃষ্টির ওপর শ্রেষ্ঠত্ব দান করেছি।
(সুরা ইসরা : ৭০)

সুতরাং মানুষ তার বিবেক ও বুুদ্ধি দ্বারা বুজতে সক্ষম কোনটা সৎ আর কোনটা অসৎ কাজ !
যে সৎ এবং অসতের পার্থক্য বোঝেনা সে মানুষ নামের কলৃঙ্ক, পশুবৎ

২| ০২ রা আগস্ট, ২০২১ সকাল ৮:১৫

সাসুম বলেছেন: কোন মানব সন্তান কে দাস দাসী বানানো, জেনোসাইড করা, যুদ্ধ বন্দী নারীদের কে সেক্স স্লেভ বানানো- এসব অসৎ কাজ।

অসৎকাজে বাধা দান ইসলােমের হুকুম- এই সূত্র মতে এই সব অসৎ কাজে বাধা দান করা হয় নি। তাইলে কিভাবে মেনে নেব আপনার কথা স্যার?

০২ রা আগস্ট, ২০২১ দুপুর ১:৩৫

নূর মোহাম্মদ নূরু বলেছেন:

সৎকাজের আদেশ এবং অসৎকাজে নিষেধ করা ইসলামের অবশ্যপালনীয়
কর্তব্যগুলোর মধ্যে অন্যতম একটি। অসৎ কাজ থেকে নিষেধ করা কখনো
শক্তি প্রয়োগের মাধ্যমে হতে পারে। আবার কখনো শুভবুদ্ধি সৃষ্টির মাধ্যমে
হতে পরে। আবার কখনো শুধু অন্তরের ঘৃণার মাধ্যমেই হয়ে থাকে। অন্তর
দিয়ে সেটা করা সর্বাবস্থায়ই ওয়াজিব হবে। কারণ, এতে কোনো কষ্ট পেতে
হয় না। যে ব্যক্তি এতটুকু ঘৃণাও পোষণ করে না, সে প্রকৃত মুমিন নয়।

বার ঘরে ঘরে গিয়ে অনৈতিক কাজে বাধা দেওয়া হয়তো কারও পক্ষে সম্ভব নয়,
কিন্তু প্রকাশ্যে ও দিবালোকে রাস্তার ধারে কেউ অপরাধ করলে বাধা দেওয়া সবার
কর্তব্য ও আবশ্যিক দায়িত্ব। মানুষ এ ধরনের দায়িত্ব থেকে দূরে সরার কারণেই
নয়ন বন্ডদের মতো সন্ত্রাসীরা প্রকাশ্যে রাস্তায় মানুষ হত্যা করে।

৩| ০২ রা আগস্ট, ২০২১ সকাল ৯:৪০

সাড়ে চুয়াত্তর বলেছেন: আমরা অসৎ কাজে বাঁধা দেই না বলেই আজকে সমাজের এই অবস্থা। বাঁধা দিতে না পারলে অন্তত ঘৃণা করা উচিত।

০২ রা আগস্ট, ২০২১ দুপুর ১:৩৭

নূর মোহাম্মদ নূরু বলেছেন:
মহানবী (সা.) বলেন, ‘তোমাদের কেউ যদি কোনো খারাপ কাজ বা বিষয় দেখে
তাহলে সে যেন হাত দিয়ে তা পরিবর্তন করে দেয়, যদি তা করতে অপারগ হয়
তাহলে যেন মুখ দিয়ে তার প্রতিবাদ করে, যদি তাও করতে সক্ষম না হয়,
তাহলে যেন অন্তর দিয়ে তা ঘৃণা করে, আর এটাই হচ্ছে ইমানের
মধ্যে সবচেয়ে দুর্বলতম স্তর।’ (বুখারি, হাদিস : ১৯৪)

ইসলামি দৃষ্টিকোণ থেকে চিন্তা করলে দেখা যায়, অনৈতিক কাজে বাধা দেওয়া
শুধু একজন জনপ্রতিনিধিরই দায়িত্ব নয়, বরং প্রতিটি নাগরিকেরই কর্তব্য।
এ প্রসঙ্গে হাদিসে এসেছে, ‘তোমরা প্রত্যেকেই দায়িত্বশীল এবং তোমাদের
প্রত্যেকেই নিজ নিজ দায়িত্বাধীন বিষয় সম্পর্কে জিজ্ঞাসিত হবে।’
(বোখারি, হাদিস : ৭১৩৮)

৪| ০২ রা আগস্ট, ২০২১ সকাল ১০:১৩

হাবিব বলেছেন: একজনের কাছে যেটা সৎ সেটা আরেকজনের কাছে অসৎ নয়। ধর্মীয় দৃষ্টিকোন থেকেও

০২ রা আগস্ট, ২০২১ দুপুর ১:৪০

নূর মোহাম্মদ নূরু বলেছেন:

আল্লাহতায়ালা যে দুইটি মৌলিক উপাদানের কারণে মুসলিম উম্মাহকে
শ্রেষ্ঠ ও কল্যাণকামী জাতি হিসেবে ঘোষণা দিয়েছেন, তার মধ্যে
সৎকাজের আদেশ ও অসৎকাজের নিষেধ অন্যতম। আল্লাহতায়ালা
বলেন, ‘তোমরাই শ্রেষ্ঠ জাতি। মানুষের কল্যাণে তোমাদের সৃষ্টি
করা হয়েছে। তোমরা সৎ কাজের আদেশ ও অসৎকাজে বাধা
দেবে এবং আল্লাহর প্রতি বিশ্বাস স্থাপন করবে।’ (আলে ইমরান, আয়াত : ১১০)

ববেকবান মানুষের কাছে যেটা সৎ তা সবার কাছেই সৎ
আর যা অসৎ তা কো্ন ভাবেই সৎ বলা যাবেনা

৫| ০২ রা আগস্ট, ২০২১ দুপুর ২:২৫

রাজীব নুর বলেছেন: দুঃখের বিষয় যথাযথভাবে ইসলামের হুকুম কেউ মানছে না।

০২ রা আগস্ট, ২০২১ বিকাল ৩:০২

নূর মোহাম্মদ নূরু বলেছেন:

মানবে মানবে
যখন আর কো্ন উপায় থাকবেনা
তখন ঠিকই মানবে!!
মরার পরে জানাযায়ও ইসলামের
হুকুম পালন হবে।

৬| ০৪ ঠা আগস্ট, ২০২১ রাত ২:১০

কামাল১৮ বলেছেন: মুমিনদের এই এক সমস্যা।প্রশ্নের উত্তর না দিয়ে ইসলাম প্রচার শুরু করে দেয়।২ নং কমেন্টে প্রশ্ন করলো কি আর উত্তর দিলেন কি,মাঝখান থেকে ফাও কিছু সওয়াব হাসিল করার মতলব।

০৪ ঠা আগস্ট, ২০২১ বিকাল ৩:২৫

নূর মোহাম্মদ নূরু বলেছেন:

কুমিনদের কাজ হলো মিছামিছি তর্কে জড়ানো।
কে মানলো আর কে না মানলো তা দিয়ে বিশ্বাসীদের
মাথা ব্যাথা না্ই্। কারন বিশ্বাসে মিলায় বস্তু, তর্কে বহুদূর!

আপনার মন্তব্য লিখুনঃ

মন্তব্য করতে লগ ইন করুন

আলোচিত ব্লগ


full version

©somewhere in net ltd.