নির্বাচিত পোস্ট | লগইন | রেজিস্ট্রেশন করুন | রিফ্রেস |
দেখি শুনি স্মৃতিতে জমা রাখি আগামী প্রজন্মের জন্য, বিশ্বাস রাখি শুকনো ডালের ঘর্ষণে আগুন জ্বলবেই। ভবিষ্যৎকে জানার জন্য আমাদের অতীত জানা উচিতঃ জন ল্যাক হনঃ ইতিহাস আজীবন কথা বলে। ইতিহাস মানুষকে ভাবায়, তাড়িত করে। প্রতিদিনের উল্লেখযোগ্য ঘটনা কালক্রমে রূপ নেয় ইতিহাসে। সেসব ঘটনাই ইতিহাসে স্থান পায়, যা কিছু ভাল, যা কিছু প্রথম, যা কিছু মানবসভ্যতার অভিশাপ-আশীর্বাদ। তাই ইতিহাসের দিনপঞ্জি মানুষের কাছে সবসময় গুরুত্ব বহন করে। এই গুরুত্বের কথা মাথায় রেখে সামুর পাঠকদের জন্য আমার নিয়মিত আয়োজন ‘ইতিহাসের এই দিনে’। জন্ম-মৃত্যু, বিশেষ দিন, সাথে বিশ্ব সেরা গুণীজন, এ্ই নিয়ে আমার ক্ষুদ্র আয়োজন
কীর্তনখোলা নদীর তীরে অবস্থিত ধান-নদী খালের অপূর্ব সমাহার বরিশাল। বরিশাল দক্ষিণ বাংলাদেশের একটি গুরুত্বপূর্ণ জেলা এবং বরিশাল বিভাগের সদর দপ্তর। দেশের দক্ষিণে বঙ্গোপসাগরের তীর ঘেঁষে গঙ্গা, মেঘনা ও ব্রহ্মপুত্র পলি জমে সৃষ্ট কয়েকটি দ্বীপ বরিশাল। এ অঞ্চল বা এর অংশ বিশেষ বিভিন্ন সময়ে বিভিন্ন সময়ে পরিচিত ছিল। প্রাচীন নাম বাকলা-চন্দ্রদ্বীপ। পাঙ্গালা, সাগরদ্বীপ, চন্দ্রদ্বীপ, বঙ্গাল প্রভৃতি ছত্রিশটি নামার পরিচয় পাওয়া যায়। চন্দ্রদ্বীপ কখনো পরগণা, কখনো বা রাজ্য হিসেবে সুপরিচিত ছিলো। চতুর্থ শতাব্দী পর্যন্ত এ অঞ্চল চন্দ্রদ্বীপ নামে প্রসিদ্ধ লাভ করে। দক্ষিণ পূর্ব বাংলায় মুসলিম আধিপত্য বিস্তারকালে দনুজমর্দন কর্তৃক চন্দ্রদ্বীপ নামে এ স্বাধীন রাজ্যটি প্রতিষ্ঠিত হয়। প্রাচীনকাল থেকেই নদী ভাঙ্গন, ঝড়-জলোচ্ছ্বাস মোকাবেলা করে বেঁচে থাকা এ অঞ্চলের মানুষের পেশা কৃষি ও মৎস্য শিকার। গঙ্গার মোহনায় অবস্থিত চন্দ্রদ্বীপে লোকবসতি কবে শুরু হয়েছে তার সঠিক কোন তথ্য পাওয়া যায়নি। তবে প্রাচীন পুঁথি থেকে ধারণা পাওয়া যায় বাকলা-চন্দ্রদ্বীপের জন্ম ৪ হাজার বছর পূর্বে। প্রাচীনকালে এই দ্বীপে ছিল অসংখ্য নদী-নালা।
(বরিশালের কীর্তনখোলা নদীতে নৌকা বাইচ)
এ রাজ্য প্রতিষ্ঠার পূর্বে ১৭৯৬ সাল পর্যন্ত এ অঞ্চল বাকলা নামে পরিচিত ছিলো। নবাব আলীবর্দী খানের সময় আগা বাকের খান চন্দ্রদ্বীপের একাংশের জমিদারী লাভ করে বাকেরগঞ্জ বন্দর প্রতিষ্ঠা করেন। ১৭৯৭ সালে ঢাকা জেলার দক্ষিণাঞ্চল নিয়ে বাকেরগঞ্জ জেলা প্রতিষ্ঠিত হয়। ১৮০১ সালে জেলার সদর দপ্তর বাকেরগঞ্জ থেকে বরিশাল (গিরদে বন্দর; গ্রেট বন্দর) স্থানান্তরিত করা হয়। কালক্রমে জেলার মূল নাম বাকেরগঞ্জের পরিবর্তেস বরিশাল নামটিই পরিচিতি লাভ করে। দেশের খাদ্যশস্য ও মৎস্য উৎপাদনের অন্যতম মূল উৎস বরিশাল। একে বাংলার ভেনিস বলা হয়।
(বরিশালের ঐতিহ্যবাহী বিবির পুকুর)
বরিশাল নামকরণ সম্পর্কেও অনেক মতভেদ রয়েছে। বড় বড় শালগাছের কারণে, (বড়+শাল)> বরিশাল, বড় বড় ঘর (শাল) থাকার কারেণে বড়ি (বড়) + শাল (ঘর) বরিশাল; পর্তুগীজ বেরী ও শেলীর প্রেম কাহিনীর জন্য বরিশাল; বড় বড় লবনের বরিশাল ইত্যাদি। গিরদে বন্দরে ঢাকার নবাবদের বড় বড় লবণের গোলা ও চৌকি ছিলো। ইংরেজ ও পর্তুগীজ বণিকরা বড় বড় লবণ চৌকিকে 'বরিসল্ট' বলতো। পরবর্তীতে শব্দটি পরিবর্তিত হয়ে 'বরিশাল' হয়েছে। ১৯৬০ সাল পর্যন্ত ঢাকা বিভাগের অন্তর্গত ও ১৯৬১ সাল থেকে ১৯৯৩ সাল পর্যন্ত ছিল খুলনা বিভাগের অন্তর্গত। নদীর অববাহিকার এ জেলার বয়স দু’শ’ বছর পেরিয়ে গেছে।
সংক্ষেপে এর সীমারেখা হচ্ছে উত্তরে শরীয়তপুর, মাদারীপুর ও গোপালগঞ্জ, পশ্চিমে গোপালগঞ্জ, পিরোজপুর ও ঝালকাঠি, দক্ষিণে বরগুনা ও পটুয়াখালী এবং পূর্বে ভোলা ও লক্ষ্মীপুর। সর্ব শেষ তথ্য অনুযায়ী এ জেলার আয়তন: ২৭৯০.৫১ বর্গ কিলোমিটার একং মোট ভোটার সংখ্যা (পুরুষ ও মহিলা)- ১১,৯৭,৭২২(পুরুষ) ১১,৫৮,২৪৫(মহিলা) জন ।
বরিশাল দেশের একটি গুরুত্বপূর্ণ নদীবন্দর। এককালের বরিশাল জেলা শহর বর্তমানে রূপ নিয়েছে বরিশাল বিভাগীয় শহরে। কবি কাজী নজরুল ইসলাম বরিশালের রূপ সৌন্দর্যে বিমোহিত হয়ে নাম দিয়েছিলেন প্রাচ্যের ভেনিস। বিশ্বকবি রবীন্দ্রনাথ ঠাকুরের সঙ্গে এ শহরের আত্মীয়তা ও ব্যবসায়িক সম্পর্ক ছিল। এখানে জন্ম নিয়েছেন মহাত্মা অশ্বিনী কুমার দত্ত, বাংলার বাঘ বলে খ্যাত শেরেবাংলা একে ফজলুল হক, সাংবাদিকতার পথিকৃৎ নির্ভীক সাংবাদিক তফাজ্জল হোসেন মানিক মিয়া, কবি সুফিয়া কামাল, ব্রিটিশবিরোধী আন্দোলনের নেতা অগ্নিপুরুষ বিপ্লবী দেবেন্দ্রনাথ ঘোষ, নলিনী দাস, মনোরমা মাসিমা অমৃত লাল দে, মহাপ্রাণ যোগেন্দ্রনাথ ম-ল, কৃষক কুলের নয়নমণি আব্দুর রব সেরনিয়াবাতসহ অনেক ক্ষণজন্মা নারী-পুরুষ।
একুশে ফেব্রুয়ারি ও মহান স্বাধীনতাযুদ্ধ নিয়ে বরিশালের রয়েছে গর্বিত ইতিহাস। ভাষা আন্দোলনের শহীদদের নিয়ে রচিত ‘আমার ভাইয়ের রক্তে রাঙানো একুশে ফেব্রুয়ারি আমি কি ভুলিতে পারি’ গানের রচয়িতা ও বিশিষ্ট কলামিস্ট আবদুল গাফ্্ফার চৌধুরী এবং গানটির সুরকার ও শিল্পী আলতাফ মাহমুদ জন্ম নিয়েছেন এ জেলায়। আলতাফ মাহমুদের নামে নগরীতে রয়েছে একটি সঙ্গীত বিদ্যালয়। এছাড়াও স্বাধীনতাযুদ্ধে অংশগ্রহণকারী বীরশ্রেষ্ঠ ইঞ্জিনিয়ার ক্যাপ্টেন মহিউদ্দিন জাহাঙ্গীর, বীরশ্রেষ্ঠ মোস্তফা কামাল, বীরোত্তম আব্দুস সত্তার ও মেজর জলিলকে নিয়ে এখানকার মানুষ এখনও গর্ববোধ করেন। রূপসী বাংলার কবি জীবনানন্দ দাশের শৈশব-কৈশোর ও শিক্ষকতা জীবন কেটেছে বরিশাল শহরে। একইভাবে ব্রিটিশবিরোধী আন্দোলনের অপর নেতা চারণ কবি মুকুন্দ দাসের শৈশব-কৈশোর কেটেছে এই শহরে।
(বরিশাল অক্সফোর্ড মিশন)
এ অঞ্চলে বিপুল পরিমাণ ধান উৎপাদন হওয়ায় নদী ও খালের সঙ্গে যুক্ত করেই প্রবাদ রচিত হয় ‘ধান-নদী-খাল এই তিনে বরিশাল’। বালাম চাল উৎপাদনের জন্য বিখ্যাত এ জেলা।
(দুর্গাসাগর দীঘি)
১৭৮০ খ্রিস্টাব্দে চন্দ্রদ্বীপ পরগনার তৎকালীন রাজা শিবনারায়ণ এলাকাবাসীর পানির সঙ্কট নিরসনে মাধবপাশায় একটি বৃহৎ দীঘি খনন করেছিলেন। তার মা দুর্গা দেবীর নামে দীঘিটির নামকরণ করা হয় দুর্গাসাগর। প্রত্নতত্ত্ব সংরক্ষণ অধিদফতরের পরিবর্তে দুর্গাসাগর রক্ষণাবেক্ষণের দায়িত্ব পালন করছে জেলা প্রশাসন। দুর্গাসাগরের তিনদিকে তিনটি ঘাটলা ও দীঘির ঠিক মাঝখানে ৬০ শতক ভূমির ওপর টিলা রয়েছে। দুর্গাসাগরের অদূরেই রয়েছে অত্যাধুনিক বায়তুল আমান জামে মসজিদ কমপ্লেক্স ও শেরেবাংলা একে ফজলুল হক জাদুঘর। এ জাদুঘরটি বানারীপাড়ার চাখারে শেরেবাংলার জন্ম ভিটায় অবস্থিত। লাকুটিয়া জমিদার বাড়িটি প্রায় তিন’শ’ বছরের পুরনো।
(বরিশাল বিমান বন্দর)
খাল-বিলে ভরা এ জেলার মানুষের এক সময়ে যাতায়াতের মাধ্যম ছিল একমাত্র নৌকা। গয়নার নৌকা থেকে শুরু করে এখন যাত্রীসেবায় যুক্ত হয়েছে বিলাসবহুল দোতলা-তিনতলা লঞ্চ। যোগাযোগের মাধ্যম নৌপথের পাশাপাশি আজ সড়ক ও আকাশ পথের উন্নতি হয়েছে।
(বাইতুল আমান মসজিদ বরিশাল)
এশিয়ার অন্যতম বৃহত্তম জামে মসজিদ, যা বরিশাল বিভাগে উজিরপুর থানার গুটিয়া ইউনিয়নের চাংগুরিয়া গ্রামে অবস্থিত। বরিশাল শহর থেকে ১১ কিলোমিটার দূরে ১৪ একর জমির উপর বিশাল এই মসজিদটি গড়ে তোলা হয়েছে। গুটিয়া মসজিদ নামে পরিচিতি পেলেও এর নাম বাইতুল আমান জামে মসজিদ ঈদগাহ কমপ্লেক্স । মসজিদ কমপ্লেক্সে কাবা শরীফ, জমজম কূপের পানি, আরাফার ময়দান, জাবালে রহমত, জাবালে নূর, নবীজীর জন্মস্থান, মা হাওয়া এর কবর স্থান, খলিফাদের কবরস্থান, অন্যান্ন বিখ্যাত মসজিদ এবং আরো বিভিন্ন বিখ্যাত জায়গার মাটি সংরক্ষন করা আছে, যা হাজার হাজার দর্শনার্থীরা দুর-দূরান্ত থেকে প্রতিনিয়ত দেখতে আসেন। জীবনান্দদের স্মৃতিবিজড়িত রূপসী বাংলার রূপের মাধুর্য ছড়িয়ে ছিটেয়ে আছে এখানের প্রতিটি পথে প্রান্তরে ।
বাংলাদেশের সামাজিক, সাংস্কৃতিক ও রাজনৈতিক অঙ্গনে বরিশাল এক অসাধারণ স্থান দখল করে আছে। বাঙালির অনেক কীর্তি আর কৃতিত্বের সাথে জড়িয়ে আছে বরিশালের নাম। মহান নেতা শেরে বাংলা এ কে ফজলুল হক, কবি সুফিযা কামাল, কবি জীবনানন্দ দাশ, চারণকবি মুকুন্দ দাসসহ আরো অনেক কীর্তিমান জন্ম নিয়েছেন বরিশালে। বৃটিশ বিরোধী আন্দোলন, স্বাধীনতা আন্দোলনসহ বিভিন্ন রাজনৈতিক আন্দোলনে বরিশাল উল্লেখযোগ্য ভূমিকা পালন করেছে। এ জেলার প্রশাসন জেলাবাসীকে অবিরত সেবা দিয়েছে এবং জেলার পর্যটন ও কৃষিভিত্তিক শিল্পের সম্ভাব্যতা সমগ্র বিশ্বে তুলে ধরার জন্য আন্তরিক প্রচেষ্টা চালিয়ে যাচ্ছে। ঘর হতে শুধু দু'পা ফেলিয়া সময় করে আসুননা প্রাচ্যের ভেনিস খ্যাত বরিশালে। নিমন্ত্রণ রইলো সবার।
© নূর মোহাম্মদ নূরু
গণমাধ্যমকর্মী
ব্রেকিং নিউজ২৪.কম ফেসবুক-১ ফেসবুক-২
[email protected]
২৫ শে জুলাই, ২০২১ রাত ১:৪১
নূর মোহাম্মদ নূরু বলেছেন:
১। বরিশালে বিশ্ববিদ্যালয় ৪টি
২। মেডিকেল কলেজ ৫টি
৩। প্রকৌশল কলেজ ২ টি
৪। বিশ্ববিদ্যালয় কলেজ ১৩ টি
৫। পলিটেকনিক ইনস্টিটিউট ২ টি
৬। উচ্চ মাধ্যমিক বিদ্যালয় ১০ টি
৭। উচ্চ বিদ্যালয় ৩০ টি
৮। ইংরেজি মাধ্যমিক বিদ্যালয় ২টি
৯। ধর্মীয় স্কুল ৯টি
১০। কারিগরি স্কুল ১০টি
আরো চাই ?
২| ২৫ শে জুলাই, ২০২১ রাত ১২:৪৪
মরুভূমির জলদস্যু বলেছেন: বরিশালে অনেক কিছু দেখার আছে। একবার মাত্র গিয়েছিলাম। আবার যাবো।
২৫ শে জুলাই, ২০২১ রাত ১:৪২
নূর মোহাম্মদ নূরু বলেছেন:
আপনাকে ধন্যবাদ
নিমন্ত্ণ রইলো,
আবার আসবেন।
৩| ২৫ শে জুলাই, ২০২১ রাত ১২:৫৯
স্প্যানকড বলেছেন: এই নদী নিয়া একবার লিখছিলাম
" তুমি সর্বগ্রাসী কীর্তনখোলা
আমি ভোলা ভালা ! "
ভালো থাকবেন এবং সুস্থ ও নিরাপদ থাকুন।
২৫ শে জুলাই, ২০২১ রাত ১:৪৩
নূর মোহাম্মদ নূরু বলেছেন:
সময় করে আবার লিখবেন।
ভালো থাকবেন এবং সুস্থ ও নিরাপদে
থাকবেন।
৪| ২৫ শে জুলাই, ২০২১ রাত ৩:০৫
কামাল১৮ বলেছেন: নামের একটি সঠিক উৎস আছে।জানা দরকার বরিশাল বাসীদের।
২৫ শে জুলাই, ২০২১ বিকাল ৫:০০
নূর মোহাম্মদ নূরু বলেছেন:
আমি নামকরনের যে ইতিহাস উল্লেখ করেছি তাতে
কি আপনি তৃপ্ত নন !! এটি কি আপনার কাছে বেঠিক
মনে হয় !!
৫| ২৫ শে জুলাই, ২০২১ ভোর ৪:৩৭
চাঁদগাজী বলেছেন:
কয়টি মেডিক্যাল প্রাইভেট মালিকানায়?
২৫ শে জুলাই, ২০২১ বিকাল ৪:৫১
নূর মোহাম্মদ নূরু বলেছেন:
মোট তিনটি জনাব যথাঃ
এপেক্স হোমিওপ্যাথিক মেডিকেল কলেজ
বরিশাল নার্সিং কলেজ
ইনস্টিটিউট অব হেলথ টেকনোলজি, বরিশাল
৬| ২৫ শে জুলাই, ২০২১ ভোর ৫:৩৯
স্বামী বিশুদ্ধানন্দ বলেছেন: বরিশালের লোকজন ভোজনরসিক। আপনার পোস্টে বরিশালের খাওয়া-দাওয়া মিস করলেন কেন ?
২৫ শে জুলাই, ২০২১ বিকাল ৫:০৪
নূর মোহাম্মদ নূরু বলেছেন:
স্বামীজী প্রথমে বরিশালের সাথে পরিচয় করিয়ে দিলাম
পরবর্তীতে এ জেলার আতিথিয়তা, পিঠা পুলি, মাছ,
পাখিদের সাথে পরিচয় করিয়ে দেবার ইচ্ছা রইলো!
এত উতলা হবেন না। ধীরে বৎস !! একটু শেতলা হন।
৭| ২৫ শে জুলাই, ২০২১ সকাল ৮:৩৭
রানার ব্লগ বলেছেন: বরিশালের চিতই পিঠা, নারেকেলের ঝোল, গুড়ের সন্দেস, রুটি পিঠা এই গুলা বাদ দয়ে গেছেন।
২৫ শে জুলাই, ২০২১ বিকাল ৫:০৬
নূর মোহাম্মদ নূরু বলেছেন:
রানার ব্লগ দাদা আপনাকেও স্বামীজীর সাথে নিমন্ত্রণ জানাবো।
চিতই পিঠা খেজুরের ঝোলা গুড়, চাউলের গুড়ি দিয়ে রু্টি্
দিয়ে ভূরিভোজ হবে !!
৮| ২৫ শে জুলাই, ২০২১ সকাল ৯:৪৬
সাড়ে চুয়াত্তর বলেছেন: বরিশালে একটা ক্যাডেট কলেজও আছে মনে হয়।
ব্যান্ড: চাইম এর গান -
কীর্তনখোলা নদী আমার
কীর্তনখোলা নদীরে আমার।
এই নদীতে সাতার কাইটা বড় হইছি আমি
এই নদীতে আমার মায় কলসীতে নেছে পানি
আমার দিদিমা আইসা প্রতিদিন ভোরে
থাল বাটি ধুইয়া গেছে এই নদীর কিনারে
দশ বছর পর বিদেশ গোনে ফিরা আইসা দেহি
হগলি বদলাইয়া গেছে
নদী আমার যেমন ছিলো তেমনি আছে
ও নদী তেমনি আছে।।
পাঠশালা পলাইয়া গিয়া নদীর তীরে
খেওয়া পার হইয়া গেছি কাউয়ার চরে
আদমআলী হাজি মেয়ার ইটেরই খোলাতে
চড়ুইভাতি করছি মোরা গুড়াগাড়াতে
আজ ইটের খোলা তেমনি আছে সাথিরা কোথায়?
হগলি বদলাইয়া গেছে
নদী আমার যেমন ছিলো তেমনি আছে
ও নদী তেমনি আছে।।
২৫ শে জুলাই, ২০২১ বিকাল ৫:৩৪
নূর মোহাম্মদ নূরু বলেছেন:
জ্বি ভাই, আপনারতো জানার কথা
বরিশাল ক্যাডেট কলেজ বাংলাদেশের সপ্তম ক্যাডেট কলেজ।
১৯৮১ সালে এ শিক্ষা প্রতিষ্ঠানটি প্রতিষ্ঠিত হয়। প্রতিষ্ঠাকালীন
সময়ে এর নাম ছিল বরিশাল রেসিডেন্সিয়াল মডেল কলেজ।
এটি বরিশাল জেলার বাবুগঞ্জ উপজেলায় ঢাকা-বরিশাল
মহাসড়কের পাশে অবস্থিত। এটি দেশের অন্যান্য ক্যাডেট
কলেজসমূহের মত এক ধরনের স্বায়ত্বশাসিত আবাসিক
সামরিক স্কুল ও প্রতিরক্ষা মন্ত্রণালয়ের অধীনে পরিচালিত হয়।
চাইম ব্যান্ড এর গানটি আপনার সৌজন্যে
৯| ২৫ শে জুলাই, ২০২১ সকাল ৯:৪৯
শেরজা তপন বলেছেন: কেত্তনখোলা নদী আমার
এই নদীতে সাতার কাইটা বড় হইছি আমি
এই নদীতে আমার মায়ে- কলসীত নিত পানি
আমার দিদীমায় আইসা প্রতিদিন ভোরে
থাল- বাডি ধুইয়া যাইত এই নদীর কিনারে।
আজ দশ বছর বিদেশ থনে ফির্যা আইসা দেহি
হগলি বদলাইয়া গেছে নদী আমার যেমন ছিল তেমনই আছে
- চাইমের খালিদের এইও গানের সাথেই কীর্তনখোলার পরিচয়। কত শতবার হেঁড়ে গলায় গেয়েছি।
এই কদিন আগেও চড় কুকড়িমুকড়ি থেকে ঘুরে আসলাম।
খুব ভাল লাগল নুরু ভাই বরিশালের ইতিহাস পড়ে।
আমরা ছোটবেলায় বলতাম, আইতে শাল যাইতে শাল- মুই বাড়ি বরিশাল!
২৫ শে জুলাই, ২০২১ বিকাল ৫:১৪
নূর মোহাম্মদ নূরু বলেছেন:
ধন্যবাদ তপন দাদা
লেখাটি পড়বার জন্য।
এবার গান শুনুন
আইতে শাল যাইতে শাল মোগো বাড়ি বরিশাল
১০| ২৫ শে জুলাই, ২০২১ দুপুর ১:৩৭
শোভন শামস বলেছেন: আমাদের নদীগুলোকে আমাদের ভালবাসা দরকার, এই নদী আমাদের লাইফ লাইন। আমরা আমাদের এই নদী গুলুকে বাঁচিয়ে রাখার চেষ্টা করি।
২৫ শে জুলাই, ২০২১ বিকাল ৫:১৭
নূর মোহাম্মদ নূরু বলেছেন:
নদী প্রেমিক শোভন শামস ভাইর জন্য
রিশালের নদীবন্দর ও নদী পথ
১১| ২৫ শে জুলাই, ২০২১ দুপুর ১:৪০
রাজীব নুর বলেছেন: আমার এক বন্ধু বলে- বরিশালের মানুষেরা ভয়াবহ খারাপ। বিশেষ করে মহিলারা। এই বিষয়ে আপনি কি বলবেন?
২৫ শে জুলাই, ২০২১ বিকাল ৩:২০
নূর মোহাম্মদ নূরু বলেছেন:
আপনার বন্ধুর কথা ছারুন,
আপনি কি বলেন! আপনার
বউকে কেমন মনে হয়? খুব
খারাপ! খারাপ হলে এতদিনে
হাতে হ্যারিকেন আর...বাশ দিয়া
খাড়া কইরা রাখতো
©somewhere in net ltd.
১| ২৫ শে জুলাই, ২০২১ রাত ১২:৪৩
চাঁদগাজী বলেছেন:
কয়টি কলেজ ও কয়টি ইুনিভার্সিটি আছে?