নির্বাচিত পোস্ট | লগইন | রেজিস্ট্রেশন করুন | রিফ্রেস |
দেখি শুনি স্মৃতিতে জমা রাখি আগামী প্রজন্মের জন্য, বিশ্বাস রাখি শুকনো ডালের ঘর্ষণে আগুন জ্বলবেই। ভবিষ্যৎকে জানার জন্য আমাদের অতীত জানা উচিতঃ জন ল্যাক হনঃ ইতিহাস আজীবন কথা বলে। ইতিহাস মানুষকে ভাবায়, তাড়িত করে। প্রতিদিনের উল্লেখযোগ্য ঘটনা কালক্রমে রূপ নেয় ইতিহাসে। সেসব ঘটনাই ইতিহাসে স্থান পায়, যা কিছু ভাল, যা কিছু প্রথম, যা কিছু মানবসভ্যতার অভিশাপ-আশীর্বাদ। তাই ইতিহাসের দিনপঞ্জি মানুষের কাছে সবসময় গুরুত্ব বহন করে। এই গুরুত্বের কথা মাথায় রেখে সামুর পাঠকদের জন্য আমার নিয়মিত আয়োজন ‘ইতিহাসের এই দিনে’। জন্ম-মৃত্যু, বিশেষ দিন, সাথে বিশ্ব সেরা গুণীজন, এ্ই নিয়ে আমার ক্ষুদ্র আয়োজন
বরিশালের উজিরপুর উপ জেলার সাতলা ইউনিয়নের মধ্যদিয়ে প্রবাহিত কচা নদীর উপর ১২০ কো্টি টাকায় নির্মিত সাতলা ব্রীজ। এটি উজিরপুর উপজেলার দ্বিতীয় বৃহত্তম ব্রীজ।
ভিডিওতে সাতলা ব্রীজ
কচা নদীর সংক্ষিপ্ত পরিচিতিঃ
কচানদী বাংলাদেশের দক্ষিণ-পশ্চিমাঞ্চলের বরিশাল ও পিরোজপুর জেলার একটি নদী। কচা নদীটি বরিশাল জেলার উজিরপুর উপজেলার সাতলা ইউনিয়ন এলাকায় প্রবহমান বিশারকান্দী-বাগদা নদী হতে উৎপত্তি লাভ করেছে। অতঃপর এই নদীর জলধারা পিরোজপুর জেলার নেছারাবাদ (স্বরূপকাঠি) উপজেলার গুয়ারেখা ইউনিয়ন পর্যন্ত প্রবাহিত হয়ে কালীগঙ্গা (পিরোজপুর) নদীতে নিপতিত হয়েছে। নদীটির উজানের তুলনায় ভাটির দিক ক্রমশ সংকুচিত হয়ে পড়েছে। সমুদ্র উপকূলীয় অঞ্চলের মধ্য দিয়ে প্রবাহিত হওয়ায় নদীটির ভাটির অংশ জোয়ার ভাটার প্রভাবে প্রভাবিত। এ নদীতে ছোট আকৃতির নৌযান চলাচল করে।
নদীটির দৈর্ঘ্য ২২ কিলোমিটার, গড় প্রস্থ ১২৫ মিটার এবং নদীটির প্রকৃতি সর্পিলাকার। বাংলাদেশ পানি উন্নয়ন বোর্ড বা "পাউবো" কর্তৃক বেলুয়া নদীর প্রদত্ত পরিচিতি নম্বর দক্ষিণ-পশ্চিমাঞ্চলের নদী নং ৬৫। নদীটিতে সারাবছর পানিপ্রবাহ দেখা যায়।
ছোটবেলার অনেক স্মৃতি বিজড়িত সাতলার একসময়ের প্রমত্তা কচা নদীর বর্তমান হাল !!
নদীমাতৃক দেশ বাংলাদেশ। সমগ্র দেশ জুড়ে রয়েছে অসংখ্য নদী। জালের মতো ছড়িয়ে আছে নদীগুলো। কিন্তু কলধ্বনিময় এই নদী মানুষের স্বেচ্ছাচারিতার জন্য আজ হুমকির মুখে। এরইমধ্যে অনেক নদী হারিয়েছে সাধারণ বহতা। নদী মরে যাচ্ছে। হারিয়ে যাচ্ছে। বহু নদী মৃত্যুর সাথে পাঞ্জা লড়ছে। এর মধ্যে বাংলাদেশের দক্ষিণ-পশ্চিমাঞ্চলের বরিশাল ও পিরোজপুর জেলার কচা নদী বলা চলে ভাগ্যবতী। কারণ এখনও নদীটি জোয়ার-ভাটায় বয়ে চলেছে। তবে নদীটির উজানের তুলনায় ভাটির দিক ক্রমশ সংকুচিত হয়ে পড়েছে।
নূর মোহাম্মদ নূরু
গণমাধ্যমকর্মী
ব্রেকিং নিউজ২৪.কম ফেসবুক-১ ফেসবুক-২
[email protected]
১৭ ই জুলাই, ২০২১ রাত ১০:৫২
নূর মোহাম্মদ নূরু বলেছেন:
যখন গিয়েছে ডুবে পঞ্চমীর চাঁদ
মরিবার হ’লো তার সাধ;
কোনোদিন জাগিবে না আর
জানিবার গাঢ় বেদনার
অবিরাম— অবিরাম ভার
সহিবে না আর—’
জীবনানন্দকে তুলে দিলাম
২| ১৭ ই জুলাই, ২০২১ রাত ১০:৪৮
আল-ইকরাম বলেছেন: নদীর সৌন্দর্য বহমানতা। আর বাংলাদেশের সৌন্দর্যের অন্যতম কারণ হলো এর চারিদিকে ছোট-বড় নানা নদ-নদী। নদী পথেই না হয় আমার ব্লগ থেকে একটু ঘুরে আসুন ভাই! শুভেচ্ছা নিরন্তর।
১৭ ই জুলাই, ২০২১ রাত ১০:৫৪
নূর মোহাম্মদ নূরু বলেছেন:
আপনাকে অসংখ্য ধন্যবাদ ইকরাম ভাই
নদীমাতৃক বাংলাদেশের নদীবহুল জেলা
বরিশালের পোলা আমি। তাই নদী আমকে
খুব টানে। আপনার নিমন্ত্রনের জন্য ধন্যবাদ।
৩| ১৮ ই জুলাই, ২০২১ রাত ১২:৩৯
সেলিম আনোয়ার বলেছেন: নদীর উপরে ব্রীজ নির্মান করলে এটার ভাল ইম্প্যাক্ট পড়ে নদীর উপর । ব্রীজের উজানে আর ভাটায় পানি পৃষ্ঠের উচ্চতার তারতম্য পরিলক্ষিত হয় । নদী প্রবাহে বিঘ্ন হয় ।নদীর বাস্তু সংস্থানে বিরাট পরিবর্তন সাধিত হয় এছাড়া নদী শাসনে ব্রীজ ব্যাতিরেকে আরও যেসব সহযোগি অবকাঠামো নির্মান করতে হয় তারও একটা প্রভাব পরিলক্ষিত হয়।মোদ্দা কথা প্রকৃতির উপর মানুষের হস্তক্ষেপ পরা মাত্র তার ব্যাপক পরিবর্তন হয়। নদীগর্ভে প্রতিনিয়ত যে সিল্টেশন সেটিও ব্যহত হয় নদীর নাব্যতার ভারসাম্য নষ্ট হয়। ফলে ড্রেজিং নিযমিত না করা হলে নদীগুলো মরে যেতে পারে্ ।আবার নদীর পানি ধারনক্ষমতা কমে গেলে প্লাবনের সময় অল্পতেই নদীর দূকূল উপচে পড়ে ফলে অল্পতে বন্যা হয়ে নদীপাড়ের মানুষের জীবন বিপর্যস্ত হয়ে পড়ে। দরকার সঠিক পরিবেশ বান্ধব পরিকল্পনা । মূলত ভূতত্ত্ববিদদের সংযুক্তি না হওয়াতে সৃষ্টা ল্যাকিং এসব বিপর্যয়ের সৃষ্টি করে। সঠিক মানুষটি সঠিক জায়গায় রাখতে হবে। স্থাপনাটিও সঠিক স্থানে হতে হবে্ ।তাহলে সমস্যা এত প্রকট হবে না। এখানে সীমান্ত দিয়ে প্রবাহিত পানির গতি প্রকৃতিও ভূমিকা রাখে।
সুন্দর পোস্ট।
১৮ ই জুলাই, ২০২১ রাত ১:২২
নূর মোহাম্মদ নূরু বলেছেন:
চমৎকার জ্ঞানগর্ভ কথকতা !!
আপনাকে ধন্যবাদ কবি, প্রকৃতির
প্রতি তিক্ষ্ণ নজর রাখার জন্য।
ভালো থাকবেন।
৪| ১৮ ই জুলাই, ২০২১ রাত ১:০২
মরুভূমির জলদস্যু বলেছেন: যাওয়া হয়নি ঐদিকে কখনো।
১৮ ই জুলাই, ২০২১ রাত ১:২৩
নূর মোহাম্মদ নূরু বলেছেন:
দাদা সুযোগ ও সময় করতে পারলে একবার
বেড়িয়ে যাবেন সাপলা ফুলেল স্বর্গরাজ্য সাতলায়!
নিমন্ত্রণ রইলো।
৫| ১৮ ই জুলাই, ২০২১ রাত ১:৪৫
মরুভূমির জলদস্যু বলেছেন: সাতলায় যাবার ইচ্ছে আছে, পৃথিবী নিজেকে একটু সামলে নিক, তখন আবার নামবো পথে।
১৮ ই জুলাই, ২০২১ বিকাল ৪:১৪
নূর মোহাম্মদ নূরু বলেছেন:
ইনসাআল্লাহ !
আপনার আশা পূর্ণ হোক।
৬| ১৯ শে জুলাই, ২০২১ দুপুর ১২:২২
আদম_ বলেছেন: লন্চে চড়া হয় নাই কখনো, লন্চে চড়ে বরিশাল যাবার ইচ্ছা আমার বহুদিনের, ওদিকে কোনো আত্নীয়-বন্ধু না থাকায় যাওয়া হয়নি এখনো।
২০ শে মার্চ, ২০২২ বিকাল ৪:০১
নূর মোহাম্মদ নূরু বলেছেন:
আমাকেই না হয় বন্ধু ভাবলেন"
যদি আপত্তি না থাকে আমার
আতিথিয়তাই গ্রহণ করলেন।
©somewhere in net ltd.
১| ১৭ ই জুলাই, ২০২১ রাত ৯:৪১
হাবিব বলেছেন: নদীমাতৃক বাংলাদেশের নদীগুলো আজ মরিবার পথে